দীর্ঘ তিন বছর ধরে অন্তরালে রয়েছেন একাধিকবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত অভিনেত্রী সাদিকা পারভিন পপি। হঠাৎ করেই নিজেকে আড়াল করে নেন এই অভিনেত্রী। নায়িকার আড়ালে যাওয়ার রহস্য খুঁজতে বেরিয়ে আসে তার গোপন সংসার ও সন্তান জন্মের খবর। বিয়ে করে এখন পুরোদস্তুর সংসারী পপি। শোবিজে নেই তার কারও সঙ্গে যোগাযোগ।
সর্বশেষ পপি ২০১৯ সালে এফডিসিতে ‘সাহসী যোদ্ধা’ নামের সিনেমার শুটিংয়ে অংশ নিয়েছিলেন। এরপর আর তাকে কাজে পাওয়া যায়নি। সিনেমাটির কাজ শেষ করেই নিজেকে সবকিছু থেকে গুটিয়ে নিয়েছেন জনপ্রিয় এই অভিনেত্রী।
সাদেক সিদ্দিকী পরিচালিত সিনেমাটি ২০২১ সালে ‘ডাইরেক্ট অ্যাকশন’ নামে সেন্সর বোর্ড থেকে ছাড়পত্র পেয়েছে। বেশ কয়েকবার সিনেমাটির মুক্তির খবর পাওয়া গেলেও শেষ মুহূর্তে পিছিয়ে যায়। অবশেষে আসছে আগস্টের শেষ সপ্তাহে সিনেমাটি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাচ্ছে বলে নিশ্চিত করেছেন ছবির পরিচালক। ছবিতে পপির বিপরীতে রয়েছেন চিত্রনায়ক আমিন খান।
ছবির পরিচালক সাদেক সিদ্দিকী বলেন, “বেশ কয়েকবার সিনেমাটি মুক্তির পরিকল্পনা করলেও শেষ মুহূর্তে পেছাতে হয়েছিল। এবার আর পিছু হাঁটছি না। আগামী ২৩ আগস্ট সিনেমাটি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাবে। এদিন ঝড়, বৃষ্টি কিংবা তুফান যা কিছুই হোক না কেন- এবার আর পেছাব না। ‘ডাইরেক্ট অ্যাকশন’ মুক্তি পাবেই।”
মুক্তি নিয়ে পপির সঙ্গে যোগাযোগ হয়েছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘না হয়নি। সিনেমাটির শুটিং চলাকালীন পপি বলেছিল যেদিন বিয়ে করবে সবকিছু থেকে নিজেকে গুটিয়ে নেবে। আর কখনো সিনেমায় ফিরবে না এবং মিডিয়ার কারও সঙ্গে যোগাযোগ রাখবে না।’
সমাজের অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের গল্পে নির্মিত হয়েছে ‘ডাইরেক্ট অ্যাকশন’। এখানে একজন পুলিশ কর্মকর্তার চরিত্রে অভিনয় করেছেন পপি। তবে আমিন খানের চরিত্রটি পরিষ্কার করেননি নির্মাতা। শুধু জানিয়েছেন আমিন খানের চরিত্রে অনেক টুইস্ট আছে। সিনেমাটিতে আরও অভিনয় করেছেন চিত্রনায়ক মামনুন হাসান ইমন, অভি, চিত্রনায়িকা শিরিন শিলা প্রমুখ।
এ সিনেমা দিয়ে দীর্ঘদিন পর বড় পর্দায় ফিরছেন এক সময়ের ঢাকাই সিনেমার নিয়মিত মুখ সাদিকা পারভিন পপি। মাঝে বিজ্ঞাপনে আমিন খানের দেখা মিললেও পপির কোনো খোঁজ নেই দীর্ঘদিন। সর্বশেষ ২০১৯ সালে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে পপি অভিনীত ‘দি ডিরেক্টর’ সিনেমাটি। এরপর আর তার কোনো সিনেমা মুক্তি পায়নি।
প্রকৃতির রুদ্ররোষে হলিউড! জেমি লি কার্টিস, প্যারিস হিলটন, অ্যান্থনি হপকিনস, ম্যান্ডি মুরেরদের লস অ্যাঞ্জেলেসের বাড়ি দাবানলের গ্রাসে। ভয়াবহ পরিস্থিতিতে আতঙ্ক সর্বত্র। আগুনের লেলিহান শিখায় জ্বলতে থাকা ঘরবাড়ির ছবি শেয়ার করে একাধিক হলিউড তারকা সোশ্যাল মিডিয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। ইতোমধ্যেই জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে সেখানে। দেশি গার্লখ্যাত বলিউড ও হলিউড তারকা প্রিয়াঙ্কা চোপড়ার লস অ্যাঞ্জেলেসের বাড়ির অনতিদূরেই এমন অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে। বুধবার গভীর রাতে সেই ছবি শেয়ার করে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন এই অভিনেত্রী।
প্রিয়াঙ্কা চোপড়া নিজেও এখন আমেরিকাবাসী। বিগত কয়েক বছর ধরেই লস অ্যাঞ্জেলেসে নিক জোনাসের সঙ্গে ঘরকন্না পেতেছেন তিনি। পাশাপাশি হলিউডেও তিনি বেশ পরিচিত মুখ। বুধবার রাতে তার বেভারলি হিলসের বাংলো বাড়ির বারান্দা থেকে যে দৃশ্য ক্যামেরাবন্দি করলেন অভিনেত্রী, তা দেখে শিউরে উঠতে হয়! দাউদাউ করে জ্বলছে সর্বত্র। বিধ্বংসী দাবানলে ক্ষতিগ্রস্ত ক্যালিফোর্নিয়া নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে একাধিক ইনস্টাগ্রাম স্টোরি শেয়ার করেছেন প্রিয়াঙ্কা। সেখানেই তার প্রার্থনা, ‘রাতে যেন আমরা সবাই সুরক্ষিত থাকি।’
এদিকে এই আতঙ্কের মধ্যেই নতুন একটি সুখবর পেলেন প্রিয়াঙ্কা। আসন্ন অস্কারের সংক্ষিপ্ত তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে ভারতের স্বল্পদৈর্ঘ্য সিনেমা ‘অনুজা’। সিনেমাটির নির্বাহী প্রযোজক প্রিয়াঙ্কা চোপড়া। একটি নয় বছর বয়সী মেয়ের গল্প উঠে এসেছে এই সিনেমায়। মেয়েটি তার বড় বোন পলকের সঙ্গে একটি গার্মেন্টস কারখানায় কাজ করে। সে এমন একটি সিদ্ধান্তের মুখোমুখি হয়, যা তার ভবিষ্যৎ এবং পরিবার, উভয়কেই প্রভাবিত করে।
এই সিনেমার সঙ্গে যুক্ত হওয়ার বিষয়ে প্রিয়াঙ্কা বলেন, ‘সিনেমাটি এমন একটি বিষয়ের ওপর নির্মিত, যা বিশ্বজুড়ে লাখ লাখ শিশুকে প্রভাবিত করবে। এই শিশুরা তাদের ভবিষ্যৎ সম্পর্কে একেবারেই ভাবে না এবং কঠিন বাস্তবতার মুখোমুখি হয়।’ তিনি আরও বলেন, মর্মস্পর্শী, চিন্তা করতে সাহায্য করবে এমন একটি গল্পের সিনেমা ‘অনুজা’। এটি আমাদের জীবনের গতিপথকে প্রভাবিত করতে দারুণভাবে সাহায্য করবে। আমি এমন একটি অসাধারণ প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত হতে পেরে অত্যন্ত গর্বিত।
সিনেমাটি নির্মাণ করেছে সালাম বালক ট্রাস্ট (এসবিটি) নামে একটি অলাভজনক প্রতিষ্ঠান। এটি মূলত কাজ করে ছিন্নমূল শিশুদের সহায়তার জন্য। ‘অনুজা’র চিত্রনাট্য লিখেছেন আদম জে গ্রেভস। সিনেমাটি নির্মাণও করেছেন তিনি।
শোবিজ তথা সংগীতাঙ্গনে এখন একটাই আলোচনা। আর সেটা হচ্ছে সংগীতশিল্পী ও অভিনেতা তাহসান খানের নতুন বিয়ে নিয়ে। সোশ্যাল মিডিয়ায় চোখ রাখলেই এ উন্মাদনার প্রমাণ মিলছে। গত ৪ জানুয়ারি বিয়ের খবর প্রকাশ পায় তাহসানের। এরপর থেকেই গায়ক এবং তার নতুন জীবনসঙ্গী রোজা আহমেদের বিয়ের ছবি ঘুরছে শত শত পোস্টে। শুভকামনার বন্যার সঙ্গে চলছে নানা কৌতূহল। সবচেয়ে বেশি প্রশ্ন- হানিমুনে কোথায় যাচ্ছেন তাহসান-রোজা দম্পতি? সেই প্রশ্নের জবাব মিলল এবার। গতকাল মঙ্গলবার সকাল ৮টা ৫৫ মিনিটে দেশের একটি এয়ারলাইনসের বিমানে করে মালদ্বীপের উদ্দেশে রওনা হন তারা। সূর্যময় দ্বীপরাজ্যে মধুচন্দ্রিমার বিশেষ মুহূর্তগুলো কাটাবেন এ দম্পতি। দ্বিতীয় বিয়ের পর যেন মধুর সমস্যায় পড়েছেন তাহসান খান। একদল ভক্ত তার নতুন জীবনের জন্য শুভকামনা জানিয়েছেন। আবার অন্য একটি দল স্ত্রী রোজা আহমেদের সঙ্গে তার বয়সের পার্থক্য ও দুজনের অতীত নিয়ে সমালোচনায় মেতেছেন। বিষয়গুলো নিয়ে বরাবরের মতোই নীরব তাহসান।
অতীতেও অভিনেত্রী মিথিলার সঙ্গে তার বিচ্ছেদ নিয়ে কম আলোচনা হয়নি। প্রতিবারই এই অভিনেতা থেকেছেন নীরব ভূমিকায়। এবারও শুরু থেকেই তাই করেছেন। বিয়ে করলেও কোনো ঢাকঢোল পেটাননি। বরং পারিবারিক আয়োজনেই সব অনুষ্ঠান ও কার্যক্রম সম্পন্ন করেছেন। বিয়ের পর গত সোমবার সন্ধ্যায় রাজধানীর গুলশানের একটি রেস্টুরেন্টে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে প্রকাশ পায় তাহসান খান ও সিঁথি সাহার নতুন গান ‘একা ঘর আমার’। বিরহ ধাচের গানটি লিখেছেন তাহসান নিজেই। সংগীতায়োজন করেছেন সাজিদ সরকার। অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে নিজ হাতে অনুপম মিউজিক ইউটিউব চ্যানেলে গানটি প্রকাশ করেন তাহসান। সঙ্গে ছিলেন সিঁথি সাহা, সাজিদ সরকারসহ আরও অনেকে।
আর এই অনুষ্ঠানের হাজির হয়ে নতুন গানের পাশাপাশি বিয়ে নিয়েও সাংবাদিকদের নানারকম প্রশ্নের মুখোমুখি হন তাহসান। সেখানে বিয়ে নিয়ে নানা সমালোচনা-বিতর্কের জবাবে ঠাণ্ডা মাথায় তাহসান বলেন, ‘আমাদের দেশের মানুষের মধ্যে রসবোধটা একটু বেশি। এ ছাড়া আমরা জাতিগতভাবে একটু বেশি বিচারকধর্মী। কিছু মানুষ আছেন যারা সব সময় চুলচেরা বিশ্লেষণ নিয়ে একটু বেশি ব্যস্ত থাকেন। এটা উচিত না। এসব বিষয় মাথায় রাখলে এগিয়ে যাওয়া কঠিন।’
বিয়ের পরের অনুভূতি জানতে চাইলে মিষ্টি হেসে তাহসান বলেন, ‘আমি অন্য আর দশজন মানুষের মতোই। বিয়ে হলো আমার ব্যক্তিগত জীবনের একটা অংশ। আর্টিস্ট হিসেবে মানুষ আমার ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে অনেক কিছু জানতে চায় তাই বিয়ের মতো এত বড় একটি বিষয় লুকিয়ে রাখতে চাইনি। এর বাইরে আমার কিছু বলার নেই।’
ছবি নিষিদ্ধ করার ডাক, তথ্য বিকৃতির অভিযোগ, প্রাণনাশের হুমকিসহ একাধিক বিতর্কের জাল পেরিয়ে অবশেষে ‘এমার্জেন্সি’ মুক্তির আলো দেখতে চলেছে আগামী ১৭ জানুয়ারি। তার প্রাক্কালেই নতুন ট্রেলার প্রকাশ্যে এনে ঝাঁজালো কঙ্গনা রানাউত। ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীকে ‘সবচেয়ে বিতর্কিত নেত্রী’ বলে সম্বোধন করলেন। ‘ইন্দিরাই ইন্ডিয়া’, নতুন ট্রেলারে সত্তর দশকের উত্তাল সময়ের ঝলক দেখা গেল। নেতা-মন্ত্রীদের দাবার চালে তৎকালীন রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট কতটা প্রভাবিত হয়েছিল, ‘ইমার্জেন্সি’র নয়া ট্রেলারে সেই আওয়াজও স্পষ্ট। জয়প্রকাশ নারায়ণের ভূমিকায় অনুপম খের, যুব অটল বিহারি বাজপেয়ীর চরিত্রে শ্রেয়স তলপড়ে, ফিল্ড মার্শাল স্যাম মানেকশর চরিত্রে মিলিন্দ সোমানকে দেখা গেল সেই ঝলকে। কঙ্গনার ‘ইমার্জেন্সি’তে গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে রয়েছেন মহিমা চৌধুরী এবং সতীশ কৌশিকও।
ট্রেলার প্রকাশ্যে এনে কঙ্গনার মন্তব্য, ‘বহু চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হওয়ার পর এমার্জেন্সি অবশেষে ১৭ জানুয়ারি বড়পর্দায় আসছে। আমি খুব খুশি। এই গল্প শুধু এক বিতর্কিত নেত্রীর নয়, এই ছবি বর্তমান প্রেক্ষাপটেও ভীষণ প্রাসঙ্গিক। সাধারণতন্ত্র দিবসের মাত্র এক সপ্তাহ আগে রিলিজ করছে। সপরিবারে কিংবা কাছের মানুষকে নিয়ে দেশপ্রেম উদযাপন করার একেবারে যোগ্য সময়।’
সত্তর দশকের প্রেক্ষাপটে তৈরি কঙ্গনার ‘ইমার্জেন্সি’। ছবিতে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর চরিত্রে অভিনয় করেছেন অভিনেত্রী। প্রথমে ২০২৩ সালের অক্টোবর বা নভেম্বরে ছবিটির মুক্তি পাওয়ার কথা ছিল। তা পিছিয়ে রিলিজ ডেট হিসেবে চলতি বছরের ১৪ জুন তারিখটি নিশ্চিত করা হয়েছিল। কিন্তু লোকসভা নির্বাচনের কারণে ফের ছবির মুক্তির তারিখ পিছিয়ে দেওয়া হয়। ৬ সেপ্টেম্বর নতুন মুক্তির তারিখ হিসেবে ধার্য করা হয়। কিন্তু সেই সময়েও সেন্সর বোর্ডের চোখ রাঙানিতে মুক্তির আলো দেখতে পারেনি ‘ইমার্জেন্সি’।
প্রসঙ্গত, ‘ইমার্জেন্সি’ সিনেমা নিয়ে প্রবল আপত্তি ছিল ‘শিরোমনি গুরুদ্বারা প্রবন্ধক কমিটি’র। ছবিটিকে নিষিদ্ধ করার দাবি জানানো হয়েছিল। সেই রেশ কাটতে না কাটতেই শিরোমণি অকালি দলের তরফ থেকেও আপত্তি ওঠে। অভিযোগ ওঠে ছবিটি শিখ সম্প্রদায়ের জন্য অপমানজনক। এই সম্প্রদায় সম্পর্কে ভুল তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। এই অভিযোগে চণ্ডীগড়ের জেলা আদালতে মামলা নথিভূক্ত করার আর্জি জানিয়েছিলেন আইনজীবী রবিন্দর সিং। তার জেরে অভিনেত্রী তথা সাংসদকে নোটিশও পাঠানো হয়েছিল। আগস্ট মাসে প্রাণনাশের হুমকিও পেয়েছিলেন তারকা সাংসদ। তবে এবারে সেন্সরের ছাড়পত্র নিয়েই এমার্জেন্সি মুক্তি পাচ্ছে।
বলিউডের লাস্যময়ী অভিনেত্রী দীপিকা পাড়ুকোন। দেখতে দেখতে ক্যারিয়ারের দেড় দশক পার করে দিয়েছেন এই অভিনেত্রী। এই দেড় দশকে অনেক উত্থানের ঘটনা ঘটেছে তার ক্যারিয়ারে। বলিউডের গণ্ডি পেরিয়ে অভিনয় করেছেন হলিউডের সিনেমায়ও। দীপিকা পাড়ুকোন গত দুই বছরে শুধু বক্স অফিসেই বিস্ফোরণ ঘটাননি, তিনি অনেক জায়গায় ভারতের প্রতিনিধিত্বও করেছেন। বর্তমানে ভারতীয় অভিনেত্রীদের মধ্যে সবচেয়ে প্রভাবশালী ও বিশ্বসেরা ব্র্যান্ডগুলোর অ্যাম্বাসাডর হিসেবেও কাজ করে যাচ্ছেন তিনি।
গতকাল ৫ জানুয়ারি ৩৯ বছরে পা রাখলেন দীপিকা পাড়ুকোন। আজকের বলিউডে ডিভার কর্মজীবন শুরু হয়েছিল ২০০৫ সালে। সে বছরই প্রথম পোশাকশিল্পী সুনীত বর্মার জন্য মার্জার সরণীতে হেঁটেছিলেন। তার পর থেকে একাধিক বিজ্ঞাপন ও মিউজ়িক ভিডিওয় কাজ। অভিনয়ের সফর শুরু কন্নড় ছবি ‘ঐশ্বর্য’ থেকে।
তার পরেই ২০০৭ সালে বলিউডে পা। প্রথম ছবিতেই বলিউডের বাদশাহের বিপরীতে তিনি। ‘ওম শান্তি ওম’ ছবিতে শান্তিপ্রিয়ার চরিত্রে নজর কেড়েছিলেন দীর্ঘাঙ্গী অভিনেত্রী। টানা টানা চোখে টানা কাজল, সারল্যে ভরা হাসিতে মুগ্ধ করেছিলেন দীপিকা। এর পরে আর পিছন ফিরে তাকাতে হয়নি দীপিকাকে। ১৭ বছর বলিউডে কাটিয়ে ফেলেছেন তিনি। বর্তমানে ভারতের প্রথম সারির অভিনেত্রীদের মধ্যে তিনি একজন। পারিশ্রমিকের দিক থেকেও এগিয়ে তিনি। নায়িকার ৩৯ তম জন্মদিনে দেখে নেওয়া যাক তার সম্পত্তির পরিমাণ।
বর্তমানে দীপিকা প্রায় ৫০০ কোটির সম্পত্তির মালিক। জানা গেছে, প্রতি ছবির জন্য ৩০ কোটি টাকার আশপাশে পারিশ্রমিক নেন তিনি। হিসাব বলছে, প্রতি মাসে দীপিকার আয় ৩ কোটি টাকা। বার্ষিক আয় ৪০ কোটিক আশপাশে ঘোরাফেরা করে।
২০১৩ সালে মুম্বাইয়ের প্রভাদেবীতে একটি বিলাসবহুল বাড়ি কিনেছিলেন দীপিকা। পরে স্বামী রণবীর সিংহের সঙ্গে জোট বেঁধে বান্দ্রাতে শাহরুখের বাড়ির কাছেই আরও একটি বাসস্থান ক্রয় করেন দীপিকা। ১১,২৬৬ বর্গফুটের সেই বাড়ির দাম ১১৯ কোটি টাকা।
এখানেই শেষ নয়। ওরলিতে পাঁচ কামরার একটি ফ্ল্যাট রয়েছে দীপিকা-রণবীরের, যার দাম ৪০ কোটি টাকা। মাঝে মধ্যেই ছুটি কাটাতে আলিবাগে ছুটে যান এই তারকা দম্পতি। সেখানেও তাদের একটি বাংলো রয়েছে। সেই বাংলোর দাম ২২ কোটি টাকা। এ ছাড়া বেশ কিছু সংস্থায় বিনিয়োগ করে রেখেছেন দীপিকা। অভিনয়ের পাশাপাশি একাধিক বিদেশি ব্র্যান্ডের মুখ হিসাবেও আয় করেন তিনি। বর্তমানে তার নিজস্ব পোশাক ও ত্বক পরিচর্যার ব্র্যান্ডও রয়েছে।
মারা গেছেন বর্ষীয়ান অভিনেতা প্রবীর মিত্র। আজ রোববার রাত ১০টা ১০ মিনিটে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মৃত্যু বরণ করেছেন। অভিনেতার ছোট ছেলে সিফাত ইসলাম গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
অন্যদিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক পোস্টে মিশা সওদাগর লিখেছেন, ‘প্রবীর মিত্র দাদা আর নেই। কিছুক্ষণ আগে উনি ইন্তেকাল করেছেন। স্রষ্টা তাকে ক্ষমা করুক।’
সেই পোস্টের কমেন্ট বক্সে ভক্ত-অনুরাগীরা কিংবদন্তি অভিনেতার মৃত্যুকে শোক জানিয়েছেন।
মৃত্যুকালে প্রবীর মিত্রের বয়স হয়েছিল ৮১ বছর।
জানা গেছে, প্রবীর মিত্র বেশ কিছু শারীরিক জটিলতা নিয়ে ১৩ দিন ধরে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। শরীরে অক্সিজেন স্বল্পতাসহ বেশ কিছু অসুস্থতায় গত ২২ ডিসেম্বর তাঁকে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়।
১৯৪৩ সালের ১৮ আগস্ট কুমিল্লার চান্দিনায় জন্মগ্রহণ করেন প্রবীর মিত্র। তাঁর পুরো নাম প্রবীর কুমার মিত্র। পুরান ঢাকায় বড় হওয়া প্রবীর মিত্র স্কুলজীবন থেকেই নাট্যচর্চার সঙ্গে যুক্ত হন। স্কুলজীবনে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘ডাকঘর’ নাটকে অভিনয় করেছিলেন তিনি।
১৯৬৯ সালে প্রয়াত এইচ আকবরের ‘জলছবি’ চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য প্রথম প্রবীর মিত্র ক্যামেরার সামনে দাঁড়ান। যদিও চলচ্চিত্রটি মুক্তি পায় ১৯৭১ সালের ১ জানুয়ারি। ক্যারিয়ারের শুরুর দিকে প্রবীর মিত্র ‘নায়ক’ হিসেবে কয়েকটি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। পরে চরিত্রাভিনেতা হিসেবে কাজ করেও তিনি দর্শকপ্রিয়তা পেয়েছেন।
প্রবীর মিত্রের পুত্রবধূ সোনিয়া ইসলাম জানিয়েছেন, রাতে গোসল শেষে ফ্রিজার গাড়িতে প্রবীর মিত্রের লাশ ধানমন্ডির বাসায় রাখা হবে। আগামীকাল সোমবার বাদ জোহর এফডিসিতে প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর চ্যানেল আইতে দ্বিতীয় জানাজা শেষে আজিমপুর কবরস্থানে তাঁকে দাফন করা হবে।
শুক্রবার মধ্যরাত থেকে ফেসবুকে চাউর হতে থাকে জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী তাহসান খান দ্বিতীয় বিয়ে করেছেন। ফেসবুকে নেটিজেনরা বাংলা নাটকের বিভিন্ন গ্রুপ থেকে শুরু করে নানাজনের টাইমলাইনে পোস্ট দিতে থাকেন এ বিষয়ে। পাত্রীর ছবি দিয়ে সেসব পোস্ট করা হয়। যেখানে জানানো হয় যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী মেকওভার আর্টিস্ট রোজা আহমেদের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন তাহসান খান। বেশ কয়েকটি সংবাদমাধ্যম ঘটা করে সংবাদও প্রচার করেছেন। তবে গতকাল শনিবার একাধিক গণমাধ্যম থেকে ঘটনার সত্যতা নিয়ে তাহসানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বিয়ে করেননি বলে উল্লেখ করেন।
তিনি বলেন, ‘এখনো বিয়ে হয়নি। কোনো আনুষ্ঠানিকতাও হয়নি। একটা ঘরোয়া আয়োজন ছিল, সেখানে এ ছবিগুলো তোলা। গতকাল সন্ধ্যায় বিস্তারিত জানাব।’
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাহসান ও রোজার একাধিক ছবি ভাইরাল হয়েছে। চলে নানান আলোচনা। তাতে নেটিজেনরা শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা জানাতে থাকেন। শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বিনোদন অঙ্গনের অনেকে। এমনো লিখেছেন কেউ কেউ, ‘অবশেষে চাঁদের আলো খুঁজে পেয়েছেন তাহসান। তার সেই প্রিয় গান যেন অবশেষে সত্য হয়ে ধরা দিল!’
একাধিক সূত্রে জানা গেছে, রোজা আহমেদ ১০ বছরের বেশি সময় ধরে বাংলাদেশে ও যুক্তরাষ্ট্রে ব্রাইডাল মেকআপ আর্টিস্ট হিসেবে কাজ করছেন। রোজা নিউইয়র্কে পড়াশোনা করেছেন। পড়াশোনা শেষ করে তিনি কসমেটোলজি লাইসেন্স অর্জন করে পরবর্তী সময়ে নিউইয়র্কের কুইন্সে রোজাস ব্রাইডাল মেকওভার প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি একজন উদ্যোক্তা বলেও জানান তাহসান। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে রোজা বেশ জনপ্রিয়, অসংখ্য অনুসারী রয়েছে তার।
প্রায় ১৮ বছর আগে ২০০৬ সালের ৭ আগস্ট বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন তাহসান খান ও অভিনেত্রী মিথিলা। এরপর ২০১৩ সালের ৩০ জুলাই তারা কন্যাসন্তানের মা-বাবা হন। পরে ২০১৭ সালের ৪ অক্টোবর বিচ্ছেদের ঘোষণা দেন তাহসান। নিজের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজ থেকে এদিন দুপুরে তাহসান ও মিথিলা যৌথভাবে তাদের বিবাহবিচ্ছেদের ঘোষণা দেন। সাবেক এই দম্পতির বিচ্ছেদের বিষয়টি তাদের অনেক ভক্ত সহজভাবে মেনে নিতে পারেননি। পরে মিথিলা ভারতের চলচ্চিত্র নির্মাতা সৃজিতকে বিয়ে করেন।
না ফেরার দেশে চলে গেলেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত অভিনেত্রী অঞ্জনা রহমান। শুক্রবার দিবাগত রাত ১টা ১০ মিনিটে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। গণমাধ্যমকে অঞ্জনার মৃত্যুর খবরটি নিশ্চিত করেছেন শিল্পী সমিতির সভাপতি মিশা সওদাগর। অঞ্জনার বয়স হয়েছিল ৬৮ বছর। তিনি দুই মেয়ে ও এক ছেলে রেখে গেছেন।
জানা গেছে, তিন সপ্তাহ ধরে অসুস্থ ছিলেন এক সময়ের জনপ্রিয় এই অভিনেত্রী। শুরুতে জ্বর ছিল। সারা শরীর কেঁপে জ্বর আসত। একটা সময় ওষুধ খেয়েও কাজ হচ্ছিল না। শেষে জানা যায়, তার রক্তে সংক্রমণ ধরা পড়েছে। এরপর অঞ্জনাকে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে কয় দিন তাকে রাখা হয় সিসিইউতে।
সেখানকার চিকিৎসায় শারীরিক অবস্থার আশানুরূপ উন্নতি না হওয়ায় হাসপাতাল বদলে গত বুধবার অঞ্জনাকে নেওয়া হয় বঙ্গবন্ধু মেডিকেলে। শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় ওই রাতেই তাকে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়। ভেন্টিলেশনে থাকা অবস্থায় তার অবস্থার কখনো উন্নতি, কখনো অবনতি হচ্ছিল। শেষ পর্যন্ত চলেই গেলেন এই নায়িকা।
বাংলাদেশি চলচ্চিত্রের এক সময়ের জনপ্রিয় অভিনয়শিল্পী অঞ্জনা নৃত্যশিল্পী থেকে নায়িকা হয়ে সর্বাধিক যৌথ প্রযোজনা এবং বিদেশি সিনেমায় অভিনয় করেছেন।
অঞ্জনার অভিনয়জীবন শুরু হয় ১৯৭৬ সালে। বাবুল চৌধুরী পরিচালিত ‘সেতু’ চলচ্চিত্রে প্রথম অভিনয় করেন তিনি। তবে অঞ্জনা অভিনীত ও একই বছর মুক্তিপ্রাপ্ত প্রথম চলচ্চিত্র ‘দস্যু বনহুর’। ছবিতে তার নায়ক ছিলেন সোহেল রানা। এ ছবির পর তাকে আর ক্যারিয়ার নিয়ে ভাবতে হয়নি।
১৯৭৬ সালের এই সিনেমার পর টানা কাজ করেছেন অঞ্জনা। একে একে অভিনয় করেন ‘মাটির মায়া’, ‘অশিক্ষিত’, ‘চোখের মণি’, ‘সুখের সংসার’, ‘জিঞ্জির’, ‘অংশীদার’,‘আনারকলি’, ‘বিচারপতি’, ‘আলাদীন আলীবাবা সিন্দাবাদ’, ‘অভিযান’, ‘মহান’ ও ‘রাজার রাজা’, ‘বিস্ফোরণ’, ‘ফুলেশ্বরী’, ‘রাম রহিম জন’, ‘নাগিনা’, ‘পরীণিতা’ ইত্যাদি বাণিজ্যিক সফল সিনেমায়।
শনিবার বেলা ১১টা ২৫ মিনিটে অঞ্জনার মরদেহ বহনকারী গাড়িটি এফডিসিতে পৌঁছালে শোকাবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। শেষবারের মতো এই চিত্রনায়িকাকে দেখতে আসেন দীর্ঘদিনের সহকর্মী, ভক্ত থেকে সংবাদকর্মীরা। জোহরের নামাজের পর প্রথম জানাজা শেষে মরদেহ নেওয়া হয় চ্যানেল আই প্রাঙ্গণে। সেখানে দ্বিতীয় জানাজা শেষে বনানী কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।
অঞ্জনাকে শেষবিদায় জানাতে এদিন এফডিসিতে এসেছিলেন চিত্রনায়ক আলমগীর, উজ্জ্বল, ইলিয়াস কাঞ্চন, চিত্রনায়িকা নূতন, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সভাপতি মিশা সওদাগর, চিত্রনায়ক মেহেদী, অভিনেতা সুব্রত, নাসরিন, চিত্রনায়িকা অপু বিশ্বাস, জয় চৌধুরী, রোমানা মুক্তিসহ অনেকে। পরিচালকদের মধ্যে ছটকু আহমেদ, শাহিন সুমন, মুশফিকুর রহমান গুলজার, চয়নিকা চৌধুরী, প্রযোজক নেতা খোরশেদ আলম খসরুসহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।
এসেছিলেন প্রযোজক সমিতি, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রদর্শক, চিত্রগ্রাহক সমিতির সদস্যসহ চলচ্চিত্রের বিভিন্ন সংগঠনের সদস্যরা।
বিয়ে করে আমেরিকায় স্থায়ী হওয়ার পর মাঝেমধ্যে নিজ দেশ ভারতে এলেও কোনো ভারতীয় সিনেমায় অভিনয় করতে দেখা যায়নি বলিউড অভিনেত্রী প্রিয়াঙ্কা চোপড়াকে। তবে প্রস্তাব যে পান না, তা কিন্তু না। প্রতিবারই দেশে ফিরলে অনেক বড় বড় নির্মাতা তাকে অভিনয়ের প্রস্তাব দেন। কিন্তু ব্যাটে-বলে মেলেনি। তবে এবার মিলেছে। কয়েকদিন আগে ভারতে এসেছেন এই হলিউড-বলিউড তারকা। আর এসেই ভারতের ব্লকবাস্টার নির্মাতা এস এস রাজামৌলির সিনেমায় কাজ করার বিষয়ে দফায় দফায় কথাবার্তা চলে প্রিয়াঙ্কার। এরই মধ্যে রাজামৌলির ‘এসএসএমবি২৯’ সিনেমার জন্য চুক্তিবদ্ধও হয়েছেন অভিনেত্রী।
আর এর মারফতে প্রায় ৬ বছর পর ভারতীয় চলচ্চিত্রে অভিনয় করতে যাচ্ছেন প্রিয়াঙ্কা চোপড়া। তাও আবার বলিউড নয়, তাকে দেখা যাবে দক্ষিণী সিনেমায়। খবরটা দুদিন আগের হলেও এবার সামনে এসেছে ছবিতে প্রিয়াঙ্কার আকাশ ছোঁয়া পারিশ্রমিকের বিষয়টি। জানা গেছে, যার জন্য বলিউডের এই দেশি গার্লকে দেওয়া হবে ৩০ কোটি রুপি। যা এই সময়ের অভিনেত্রীদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি পারিশ্রমিক।
নির্মাতার ঘনিষ্ঠ সূত্র থেকে জানা যায়, প্রিয়াঙ্কা চোপড়া এস এস ‘জঙ্গল অ্যাডভেঞ্চার’ ধাঁচে নির্মিত এই ছবিতে মহেশ বাবুর বিপরীতে অভিনয় করবেন। যার জন্য তিনি ৩০ কোটি রুপি পারিশ্রমিক নেবেন- যা ভারতীয় সিনেমায় যেকোনো অভিনেত্রীর জন্য সর্বোচ্চ। এর আগে এই নায়িকা ভারতে একটি সিনেমা করার জন্য ১৫ কোটি রুপি নিতেন। বর্তমানে ভারতের সর্বোচ্চ পারিশ্রমিক পাওয়া অভিনেত্রী দীপিকা পাডুকোন। তার সবশেষ মুক্তি পাওয়া ‘কল্কি ২৮৯৮ এডি’ সিনেমার জন্য তিনি ২০ কোটি রুপি নিয়েছিলেন।
দক্ষিণ ভারতীয় সিনেমার সুপারহিট নির্মাতা এস এস রাজামৌলি। ব্লকবাস্টার হিট ‘বাহুবলি’ সিরিজের দুই সিনেমা দিয়ে নিজেকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছেন তিনি। এরপর তিনি নিজের কাজের মুন্সিয়ানা দেখিয়েছেন ‘আরআরআর’ সিনেমায়। তারকাবহুল সেই সিনেমা অস্কারেও বাজিমাত করেছিল।
এবার রাজামৌলি আসছেন নতুন সিনেমা নিয়ে। যার গল্পে দেখানো হবে আফ্রিকান জঙ্গলে রোমাঞ্চকর অ্যাডভেঞ্চার। এতে মহেশ বাবু একটি অনুসন্ধানকারী চরিত্রে অভিনয় করবেন। তার চরিত্রে দেখা যাবে লর্ড হনুমানের বৈশিষ্ট্য। প্রিয়াঙ্কার চরিত্রটি হবে শক্তিশালী এবং অ্যাকশনে ভরপুর। ভারতে প্রিয়াঙ্কার সবশেষ সিনেমা ছিল ‘দ্য স্কাই ইজ পিঙ্ক।’ যে সিনেমাটি মুক্তি পেয়েছিল ২০১৮ সালে।
জাপানি লাইফস্টাইল থেকে অনুপ্রাণিত তৈরি পোশাকের ব্র্যান্ড ‘মাইক্লো বাংলাদেশ’ গ্রাহকদের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে মানসম্মত ও পছন্দের পোশাক দেওয়ার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে। দ্রুত বর্ধনশীল ব্র্যান্ডটি মাত্র এক বছরে ১২টি শোরুম চালু করে এরইমধ্যে নতুন মাইলফলক অর্জন করেছে। তারই ধারাবাহিকতায় গতকাল শুক্রবার রাজধানীর বসুন্ধরা সিটিতে মাইক্লো বাংলাদেশের ১৩তম শোরুম উদ্বোধন করেন জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী-অভিনেতা তাহসান খান ও অভিনেত্রী সালহা খানম নাদিয়া। এ প্রসঙ্গে তাহসান খান বলেন, 'মাইক্লো' বাংলাদেশে এতো সুন্দর মানসম্মত তৈরি পোশাক নিয়ে আসছে তা দেখে আমার অবাক লাগছে। লাইফস্টাইল ব্র্যান্ড 'মাইক্লো' তাঁরা তাদের স্টাইল এবং মানের প্রতি প্রতিশ্রুতির প্রমাণ রেখে যাচ্ছে। ভবিষ্যতেও তাদের সেই চেষ্টা অব্যাহত থাকবে বলে আমি বিশ্বাস করি।'
অভিনেত্রী নাদিয়া বলেন, 'মাইক্লো বাংলাদেশের পোশাকের গুণগত মান খুবই ভালো। এ কারণেই অল্প সময়েই সবার কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। লাইফস্টাইল ব্র্যান্ড মাইক্লোর এই নতুন যাত্রায় অংশ হতে পেরে আমি খুবই আনন্দিত।'
মাইক্লো বাংলাদেশের অপারেশন উপদেষ্টা কাজী মোহাম্মদ আরিফুল ইসলাম বলেন, 'মাইক্লো বাংলাদেশ মানসম্মত, টেকসই ও সাশ্রয়ী মূল্যের পছন্দের পোশাক দেওয়ার লক্ষ্যে শুরু থেকেই কাজ করে যাচ্ছে। তারই অংশ হিসেবে ১৩তম শোরুম চালু করে মাইক্লো আরও একটা নতুন অধ্যায়ের সূচনা করলো। আমরা বাংলাদেশের জনগণকে আরামদায়ক, পরিবেশ-বান্ধব পোশাক সরবরাহের আমাদের যাত্রা চালিয়ে যেতে পেরে আনন্দিত।'
তিনি আরও বলেন, 'মাইক্লোতে আমরা গুণমান এবং সাশ্রয়ী মূল্যকে অগ্রাধিকার দেয়। গ্রাহকের চাহিদার কথা চিন্তা করেই বসুন্ধরা সিটিতে আরও একটি আমাদের নতুন শোরুম।'
অনুষ্ঠানে উপস্থিত মাইক্লোর পরিচালক (ক্রিয়েটিভ ডিজাইন ইনোভেশন অ্যান্ড মার্কেটিং) বাবু আরিফ বলেন, 'বসুন্ধরা সিটিতে বড় পরিসরে এই শোরুমটি মাইক্লোর জন্য একটি গর্বের মুহূর্ত। জাপানি পোশাক, লাইফস্টাইল ও কোয়ালিটি থেকে অনুপ্রাণিত হওয়ায় মাইক্লো জাপানি গুণগতমান ও উদ্ভাবনী কাপড়ের উপাদানকে অনুসরণ করছে। একইভাবে পোশাক তৈরি ও গ্রাহকদের হাতে পৌঁছে দেওয়ার প্রতিটি ধাপে সর্বোচ্চ পরিবেশ সুরক্ষার বিষয়টিও নিশ্চিত করছে। আমি বিশ্বাস করি, দাম, মান ও চাহিদা বিবেচনায় সর্বসাধারণের পোশাকের প্রিয় ব্র্যান্ডই নয় বরং ফ্যাশনে নিত্যদিনের সঙ্গী হয়ে উঠবে মাইক্লো।’
অন্যদিকে, মাইক্লোতে আন্তর্জাতিক মানের বিক্রয় সেবা নিশ্চিত করতে চান প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক (মার্চেন্ডাইজিং, সেলস, হিউম্যান রিসোর্স ও স্টোর অপারেশন) এ এইচ এম আরিফুল কবির। তিনি বলেন, 'বসুন্ধরা সিটিতে এটি আমাদের তৃতীয় স্টোর। আমরা সমগ্র বাংলাদেশে মাইক্লো প্রতিষ্ঠা করার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছি।'
মাইক্লোর গ্লোবাল বিজনেস ডিরেক্টর তাদাহিরো ইয়ামাগুচি বলেন, 'মাইক্লো একটি ব্র্যান্ডের চেয়েও বেশি কিছু; এটি সৃজনশীলতা, টেকসইতা এবং উদ্ভাবনের প্রতীক। আমরা আধুনিক জীবনযাত্রার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ আমাদের জাপানি-অনুপ্রাণিত ডিজাইনের মাধ্যমে পোশাক শিল্পকে পুনরুজ্জীবিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।'
প্রসঙ্গত, উদ্বোধন উপলক্ষে বসুন্ধরা সিটি লেভেল ৫- এ ক্রেতাদের জন্য সপ্তাহব্যাপী আকর্ষণীয় পুরস্কারের পাশাপাশি রয়েছে সব পণ্যের ওপর বিশেষ মূল্যছাড়। ৮ ফেব্রুয়ারি ও ১৩ ফেব্রুয়ারি ময়মনসিংহ এবং চট্টগ্রামে নতুন শোরুম উদ্বোধনের পরিকল্পনা রয়েছে।
বলিউডের একজন আলোচিত অভিনেত্রী কৃতি শ্যানন। ‘হিরোপান্তি’ ছবিতে টাইগার শ্রফের বিপরীতে অভিনয় করে বলিউডে আত্মপ্রকাশ করেন। নিজের অভিনয় দক্ষতা দিয়ে দর্শকদের মনে জায়গা করে নিয়েছেন এই অভিনেত্রী। এদিকে ২০২৫ সালে বলিউডের যেসব অভিনেতা-অভিনেত্রীর বিয়ের কথা চলছে, সেই তালিকায় কৃতিরও নাম রয়েছে। তবে এসব আলোচনার মধ্যেই নতুন সিনেমা নিয়ে বেশ ফুরফুরে মেজাজে রয়েছেন এই লাস্যময়ী। পরিচালক আনন্দ এল রাইয়ের নতুন সিনেমা ‘তেরে ইশক মে’ নিয়ে শুরু হয়েছে চরম উন্মাদনা। মঙ্গলবার ধানুষ ও কৃতি শ্যানন অভিনীত এই সিনেমার দ্বিতীয় টিজার প্রকাশ পেয়েছে, যা মুহূর্তেই দর্শকদের মধ্যে তুমুল সাড়া ফেলেছে।
আগের দিন সোমবার মুক্তি পাওয়া সিনেমার প্রথম টিজারে ধানুষের শক্তিশালী চরিত্র এবং কাহিনির গভীরতা দর্শকদের মুগ্ধ করেছিল। সেখানে রহস্যময় একটি নারীকণ্ঠ শোনা গেলেও তার পরিচয় নিয়ে চলছিল জল্পনা। অবশেষে দ্বিতীয় টিজারে নিশ্চিত হওয়া গেছে, ধানুশের বিপরীতে অভিনয় করছেন বলিউড তারকা কৃতি শ্যানন।
টিজারে কৃতির চরিত্রের কিছু নাটকীয় দৃশ্য ফুটে উঠেছে। এক বিশৃঙ্খল পরিবেশে তাকে দেখা যায় নিজের গায়ে পেট্রল ঢেলে আগুন লাগানোর প্রস্তুতি নিতে। এরপর একটি আবেগঘন মুহূর্তে তাকে কোনায় বসে সিগারেট ধরাতে দেখা যায়, যা দৃশ্যটির গভীরতা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।
এই সিনেমায় ধানুষের চরিত্রটি ভালোবাসা এবং এক অজানা আকাঙ্ক্ষায় পূর্ণ থাকতে দেখা যায়, যা তার ভক্তদের হৃদয় ছুঁয়ে গেছে। সিনে-বিশ্লেষকদের মতে, এই চরিত্রটি ধানুশের জনপ্রিয় সিনেমা ‘রাঞ্ঝনা’-র কথা মনে করিয়ে দেয়। এদিকে কৃতি শ্যাননকে সবশেষ দেখা গিয়েছিল ২০২৪ সালে মুক্তি পাওয়া ‘দো পাত্তি’ সিনেমায়, যেখানে কাজল ও শাহীর শেখসহ আরও অনেক তারকা অভিনয় করেছিলেন। তবে ‘তেরে ইশক মে’-তে কৃতির উপস্থিতি ও চরিত্রের গভীরতা তাকে এক নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
আনন্দ এল রাই পরিচালিত এই চলচ্চিত্রটির মুক্তির তারিখ এখনো চূড়ান্ত হয়নি। তবে ধারণা করা হচ্ছে, এটি ২০২৫ সালের মাঝামাঝি সময়ে মুক্তি পাবে। এরই মধ্যে দুটি টিজার মুক্তির পর সিনেমাটি নিয়ে দর্শকদের প্রত্যাশা অনেকগুণ বেড়ে গেছে।
এদিকে দক্ষিণ ভারতীয় সিনেমার লেডি সুপারস্টার নয়নতারার বিরুদ্ধে কপিরাইট আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে বড় জয় পেয়েছেন অভিনেতা ধানুষ। মাদ্রাজ হাইকোর্ট সম্প্রতি নয়নতারার পক্ষে করা নেটফ্লিক্স ইন্ডিয়ার আবেদন খারিজ করে দিয়েছে।
দেশীয় চলচ্চিত্রের বহুল চর্চিত অভিনেত্রী পরীমনির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত। ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন মাহমুদকে মারধর, ভাঙচুর ও ভয়ভীতি দেখানোর মামলায় আলোচিত নায়িকা পরীমনি ও তার কস্টিউম ডিজাইনার জুনায়েদ বোগদাদী জিমি আদালতে উপস্থিত না হওয়ায় এ গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। গতকাল রোববার ঢাকার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. জুনাইদ আসামি পক্ষের সময় আবেদন নামঞ্জুর করে এ আদেশ দেন। আদালত এ আদেশের পর আগামী ২০ মার্চ সাক্ষ্য গ্রহণের তারিখ ধার্য করেছেন। পরীমনির আইনজীবী নীলাঞ্জনা রিফাত (সুরভী) এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
অন্যদিকে অপরাধ প্রমাণিত হলে নায়িকার সর্বোচ্চ তিন বছরের সাজা হতে পারে বলে উল্লেখ করেন বাদীপক্ষের আইনজীবী আবুল কালাম মো. সোহেল। গতকাল সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘পরীমনির বিরুদ্ধে ৩২৩ ও ৫০৬ ধারায় চার্জগঠন করা হয়েছে। এ দুটি ধারার অভিযোগ আদালতে প্রমাণ করতে পারলে সর্বোচ্চ তিন বছরের সাজা হবে। এর মধ্যে ৩২৩ ধারার স্বেচ্ছায় আঘাত করার বিষয়টি প্রমাণিত হলে সর্বোচ্চ ১ বছর আর অপরাধমূলক ভীতি প্রদর্শন প্রমাণিত করতে পারলে সর্বোচ্চ ২ বছরের সাজা হতে পারে। এ ক্ষেত্রে আদালত চাইলে কিছু কম শাস্তি দিতে পারেন। আমরা চাইব সর্বোচ্চ শাস্তি যেন হয়।’ গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির বিষয়ে মাদককাণ্ডে বিতর্কিত চিত্রনায়িকা পরী গতকাল গণমাধ্যমকে বলেন, ফোন হাতে নিয়ে ফেসবুক স্ক্রল করতে করতে খবরটা দেখলাম। আমি আজ আদালতে যেতে পারিনি। এর আগেও একবার যেতে পারিনি, সেবার আমার মৃত নানুর একটা বিষয় ছিল। সেই হিসেবে পরপর দুবার আমি আদালতে যেতে পারিনি। আজকে আমার শারীরিক অসুস্থতার কারণে হাজির থাকতে পারিনি। আমার আইনজীবীকে তা জানিয়েছি। আদালতের ভাষ্য অনুযায়ী, আজকে আমার অবশ্যই যাওয়া উচিত ছিল। সচেতন নাগরিক হিসেবেও মনে করছি যাওয়া উচিত ছিল।
নিজের শারীরিক অসুস্থতার কারণ উল্লেখ করে পরীমনি বলেন, শরীর অনেক বেশি খারাপ ছিল। শরীর অসুস্থ থাকলে তো কিছুই করার নেই। আমি বিছানা থেকে ওঠার মতো শক্তিও পাচ্ছিলাম না। ঠিক থাকলে আমি তো আদালতে যেতাম। আদালতে যাওয়া নিয়ে আমার কখনই কোনো সমস্যা ছিল না। মাতৃত্বকালীন সময়টায়ও কিন্তু আমি আদালতে যাওয়া বাদ দিইনি।
উল্লেখ্য, ২০২১ সালের ৬ জুলাই ঢাকার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রাজীব হাসানের আদালতে বোট ক্লাবের সভাপতি ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন মাহমুদ বাদী হয়ে পরীমনিসহ তিনজনের বিরুদ্ধে এ মামলা করেন। অন্য দুই আসামি হলেন- পরীমনির সহযোগী ফাতেমা তুজ জান্নাত বনি ও জুনায়েদ বোগদাদী জিমি ওরফে জিম।
ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই চর্চার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছেন চিত্রনায়িকা পরীমনি। ছবি হিট না হলেও ব্যক্তিগত নানা কারণে আলোচনা-সমালোচনার শীর্ষে থাকেন এই নায়িকা। প্রেম, বিয়ে, বিচ্ছেদ, উদ্যাপন- সবকিছুতেই যেন পরীমনি আলোচনার একটি নাম। আর এসব যেন কাল হয়ে দাঁড়াল পরীর। গতকাল শনিবার বিকেল সাড়ে ৩টায় টাঙ্গাইলের কালিহাতিতে অথেনটিক প্রোডাক্ট হারল্যানের স্টোর উদ্বোধনের জন্য যাওয়ার কথা ছিল পরীমনির। এ খবরে তার ভক্ত-অনুরাগীরা অপেক্ষার প্রহর গুনছিলেন। কিন্ত তার এ আগমন ঘিরে বিপরীতমুখী অবস্থান নেন স্থানীয়রা। গত সপ্তাহ দুয়েক ধরে বিষয়টি নিয়ে চলে আলোচনা-সমালোচনা। একপর্যায়ে এলাকাবাসীর বাঁধার কারণে সেখানে যেতে পারলেন চর্চিত এই অভিনেত্রী।
এমন অবস্থায় চাপের মুখে পড়ে অথেনটিক রিটেইল কসমেটিকস শপ হারল্যান স্টোরটির এলেঙ্গার শোরুমের মালিক মীর মাসুদ রানা উদ্বোধনী অনুষ্ঠানটি স্থগিত করেন। স্থানীয়রা জানান, প্রায় ১৫ দিন ধরে এলেঙ্গায় টিন মার্কেটে অথেনটিক রিটেইল কসমেটিকস শপ ‘হারল্যান স্টোর’-এর শোরুমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে চিত্রনায়িকা পরীমনি উপস্থিত থাকার বিষয়টি জানিয়ে কর্তৃপক্ষ মাইকিং করে আসছিল। বিষয়টি নিয়ে গত দুই-তিন ধরে হেফাজতে ইসলামসহ স্থানীয় ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা পরীমনিকে ঠেকাতে বিভিন্ন কর্মসূচির পরিকল্পনা করছিলেন। পরীমনিকে যাতে এলেঙ্গার মাটিতে না আনা হয় সে ব্যাপারে আন্দোলনসহ অবস্থান কর্মসূচির ঘোষণারও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পরীমণির উদ্বোধনী অনুষ্ঠান বাতিলের ব্যাপারে থানা পুলিশ ও শোরুম কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেন হেফাজতে ইসলামের নেতাসহ কয়েকজন মুসল্লি। এদিকে শোরুমটির উদ্বোধনের সময় যতই ঘনিয়ে আসছিল, এলেঙ্গায় ততই উত্তাপের আভাস পাওয়া যাচ্ছিল। একপর্যায়ে শোরুম কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন চাপের মুখে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানটি স্থগিত করতে বাধ্য হয়।
শোরুমটির মালিক মীর মাসুদ রানা বলেন, ‘উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে পরীমনির থাকার কথা ছিল। এখানে কিছু ঝামেলা হয়েছিল। হেফাজতে ইসলাম আন্দোলন সৃষ্টি করেছিল। তারা অবস্থান কর্মসূচি দিয়েছিলেন। পরীমনি আসলে নাকি সমস্যা হয়। বিভিন্ন মসজিদে আলোচনা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে হেফাজতে ইসলামের এক নেতা ফোন করেছিলেন। বিভিন্ন পরিস্থিতির কারণে থানা পুলিশ আমাদের আপাতত অনুষ্ঠানটি করতে নিষেধ করেছে। পরে কোম্পানির সঙ্গে কথা বলে তাদের (ধর্মপ্রাণ মুসল্লি) প্রতি সম্মান জানিয়ে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানটি স্থগিত করেছি। পরে ফেসবুকে দেখেছি তাদের কর্মসূচিটিও বাতিল করেছে।’ এ বিষয়ে কালিহাতি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আবুল কালাম ভূঁইয়া বলেন, ‘হুজুররা ঝামেলা করেছিল। পরে কর্তৃপক্ষ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানটি স্থগিত করেছে।’
ভারতের বহুল আলোচিত মডেল-অভিনেত্রী ও নৃত্যশিল্পী নোরা ফাতেহি। অভিনয়ের চেয়ে সিনেমার আইটেম গানে অংশ নিতেই বেশি দেখা যায় এই তারকাকে। যদিও অসাধারণ নাচের মুদ্রায় দর্শকদের সবসময়ই মুগ্ধ করেন নোরা। তার নাচের পারফর্ম করতেই বেশি ভালো লাগে এমনটি অনেক আগেই বলেছেন নোরা। তবে গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করারও ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। যদিও তাকে যোগ্য মূল্যায়ন বা সুযোগ দেওয়া হয়নি বলে একাধিক সাক্ষাৎকারে জানান তিনি।
নতুন গুঞ্জন উঠেছে, বলিউড পেরিয়ে হলিউডে যাচ্ছেন অভিনেত্রী। হিন্দুস্থান টাইমসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, বলিউডের পাশাপাশি হলিউডেও কাজ শুরু করলেন নোরা ফাতেহি। সেখানে শুরু হলো তার মিউজিক অ্যালবামের যাত্রা। তবে চিরতরে বলিউডে অভিনয় ছাড়তে চলেছেন কি না সে বিষয়ে চলছে জল্পনা।
সম্প্রতি বিষয়টি নিয়ে মুখ খুললেন অভিনেত্রী। এক সাক্ষাৎকারে নোরা বলেন, ‘আমার ব্যক্তিগত কোনো জীবন নেই। আপনি যদি মনে করেন আমি অন্য কারও জন্য নিজের জায়গা ছেড়ে দেব তাহলে আপনি ভুল, এটা ভাবা হাস্যকর। আমি এখানেও থাকব, ওখানেও থাকব, সর্বত্র থাকব আমি। যেমন সিনেমায় অভিনয় করেছি ঠিক তেমনি সংগীত জগতেও কাজ করব।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমার মোট তিনটি জগৎ রয়েছে। আমি যেহেতু কানাডায় জন্ম নিয়েছি, তাই সেটি আমার প্রথম জগৎ। মরক্কোয় আমি বহুদিন ছিলাম তাই সেখানে আমার অস্তিত্ব লুকিয়ে রয়েছে। সবশেষে ভারত এমন একটি দেশ যেখানে আমি আমার পরিচয় গঠন করতে পেরেছি, তাই এই দেশের সঙ্গেও আমার ভালোবাসা অপরিসীম।’
আমেরিকান গায়ক জেসন ডেরুলোর সঙ্গে ‘স্নেক’ নামের একটি মিউজিক অ্যালবামে অভিনয় করেছেন নোরা ফাতেহি। ডেরুলোর সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতা সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘আমি প্রথম প্রথম ভীষণ লজ্জা পেতাম। আমি নিজেই প্রথমে গানটি রেকর্ড করেছিলাম। প্রথমে তার সঙ্গে কোনো সাক্ষাৎ হয়নি আমার। তবে যখন একসঙ্গে ভিডিওতে কাজ করেছি, তখন অনেক গল্প হয়েছে।’
নোরা ফাতেহি নৃত্যশিল্পী, মডেল, অভিনেত্রী ও গায়িকা। বিভিন্ন সাক্ষাৎকারে তিনি ‘হৃদয়ে ভারতীয়’ বলে নিজেকে অভিহিত করে থাকেন। ‘রোয়ার: টাইগার্স অব দ্য সুন্দরবনস’ চলচ্চিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে তার বলিউডে অভিষেক ঘটেছিল।