ঈদের সিনেমা শেষে আবারও শুরু হলো নতুন সিনেমার মুক্তির প্রক্রিয়া। গতকাল শুক্রবার দেশের ৫টি মাল্টিপ্লেক্সে মুক্তি পেল ঢাকার শীর্ষ র্যাম্প মডেল ইমি অভিনীত প্রথম সিনেমা ‘আজব কারখানা’। সরকারি অনুদান পাওয়া এ ছবিটি নির্মাণ করেছেন শবনম ফেরদৌসী। ইমির বিপরীতে অভিনয় করেছেন টালিউডের আলোচিত অভিনেতা পরমব্রত। জানা গেছে, ছবিটি রাজধানীর স্টার সিনেপ্লেক্সের বসুন্ধরা ও সনি স্কয়ার শাখা, যমুনা ফিউচার পার্কের ব্লকবাস্টার সিনেমাস, কেরানীগঞ্জের লায়ন্স সিনেমা এবং চট্টগ্রামের সিলভার স্ক্রিনে মুক্তি পেয়েছে।
ছবিটি প্রসঙ্গে নায়িকা হিসেবে অভিষেক হওয়া র্যাম্প মডেল ইমি বলেন, ‘২০১৯ ও ২০২০ সাল মিলিয়ে এ ছবির কাজটি করেছিলাম। সে হিসেবে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেতে খানিক সময় নিয়েছি আমরা। কারণ উৎসবকেন্দ্রিক মুভমেন্ট ছিল। অনেক দিন ধরেই অপক্ষোয় ছিলাম ছবিটির মুক্তির জন্য।’
‘আজব কারখানা’য় রকতারকা রাজীব চরিত্রে অভিনয় করেছেন পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়। গল্পটি তাকে কেন্দ্র করেই। গ্রাম-বাংলার বাউলশিল্পীদের সংস্পর্শে এসে নিজের জীবনের নতুন অর্থ খুঁজতে শুরু করে সে। গল্পে আবহমান বাংলার বিভিন্ন গানের ধারা, ঘরানা ও মর্মবাণী তুলে ধরা হয়েছে।
সৈয়দা নিগার বানুর রচনায় চলচ্চিত্রটি প্রযোজনা করেছেন বাংলাদেশের নির্মাতা, প্রযোজক ও মিডিয়া ব্যক্তিত্ব সামিয়া জামান। ছবিতে আরও অভিনয় করেছেন দিলরুবা দোয়েল, খালিদ হাসান রুমি, সেলিম বয়াতি, দিলু বয়াতি, কিতাব আলী, ক্রিস্টিয়ানো তন্ময়, অর্পণ, মায়মুনা মম ও মাহরিন মান্যসহ অনেকে।
ছবির নির্মাতা শবনম ফেরদৌসী জানান, ‘আজব কারখানা’ চলচ্চিত্রের কাহিনি আবর্তিত হয়েছে একজন রকস্টারের জীবনকে ঘিরে। ছবিটিতে ৫টি মৌলিক গান রয়েছে। এতে প্রথমবারের মতো বাংলা সাহিত্যের অন্যতম জনপ্রিয় কবি হেলাল হাফিজের ৪টি কবিতাকে গানে রূপায়ন করা হয়েছে। এগুলোর সংগীতায়োজন করেছে ব্যান্ড ভাইকিং এবং শিল্পী লাবিক কামাল গৌরব। ছবিটির সংগীত পরিচালনা করেছেন গৌরব নিজেই।
এরমধ্যে বিশ্বের ১৫টি আন্তর্জাতিক ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে অংশ নিয়েছে ‘আজব কারখানা’। দুটি পুরস্কারও জিতেছে। ২০২২ সালে ২৭তম কলকাতা আন্তর্জাতিক ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের ‘এশিয়ান সিলেক্ট: নেটপ্যাক অ্যাওয়ার্ড’ শাখায় প্রদর্শিত হয় এটি। এর আগে একই বছরের জানুয়ারিতে ২০তম ঢাকা আন্তর্জাতিক ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের বাংলাদেশ প্যানোরমা শাখায় দেখানো হয়েছে সিনেমাটি। এ ছাড়া ২০২৩ সালের অক্টোবরে ফ্রান্সের প্যারিসে ‘গঙ্গা থেকে সিন’ ফিল্ম ফেস্টিভ্যালেও প্রদর্শিত হয় ‘আজব কারখানা’।
সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রায়শই পরীমনির সন্তানকে নিয়ে নানা ধরনের ছবি দেখা যায়। সেখানে বোঝা যায় সন্তানের সঙ্গে কাটানো সময় বেশ উপভোগ্য করেন এই গ্ল্যামার কন্যা।
অনেকের মতে, পরীমনি আর যা–ই হোক, মা হিসেবে দুর্দান্ত, আপনি কী বলেন? এ ব্যাপারে ঢাকাই ছবির এই নায়িকার বক্তব্য, ‘এমনি এমনি তো আর মানুষ বলেন না এটি। সন্তানের প্রতি আমার আবেগ, অনুভূতি, ভালোবাসা মানুষ দেখেন। হয়তো এ কারণে বলেন। এতে একজন মায়ের যে শান্তি, পৃথিবীর কেউ তার ভাগ নিতে পারেন না। আমি সন্তানদের নিয়ে সেই শান্তির মধ্যে সময় পার করছি।’
এদিকে এই মুহূর্তে বাংলাদেশি কোনো সিনেমা হাতে নেই পরীমনির। ‘আমি দুটি সন্তান লালনপালন করছি। আগে আমার সন্তানরা, পরে কাজ। তাদের যত্ন নেওয়ার পর যতটুকু সময় পাই, কাজ হাতে নিই। কারণ, এখন আমি সন্তানদের সময় দিতে চাই’- বললেন পরীমনি।
গত ৮ আগস্ট পরীমনি অভিনীত অনম বিশ্বাসের ওয়েব সিরিজ ‘রঙিলা কিতাব’ মুক্তির কথা ছিল। কিন্তু দেশের পরিস্থিতির কথা বিবেচনা করে মুক্তি পিছিয়েছে। চলতি মাসের শেষ সপ্তাহে মুক্তির কথা আছে। এই সিরিজে সুপ্তি চরিত্রে অভিনয় করেছেন পরীমনি।
এ ব্যাপারে পরীমনি বলেন, ‘সিরিজটির মুক্তির অপেক্ষায় আছি। কারণ, এ কাজটি আমার কাছে অনেক স্পেশাল। দেশের পরিস্থিতির কারণে মুক্তি পিছিয়েছে। এর মধ্যে পরিচালকের সঙ্গে কথা হয়েছে। চলতি মাসের শেষে মুক্তির সম্ভাবনা আছে।’
দেবরাজ সিনহার পরিচালনায় ‘ফেলুবকশি’ নামে কলকাতার একটি ছবিতে অভিনয় করেছেন পরীমনি। এখন শুধু ছবির ডাবিং বাকি।
পরীমনি জানান, ভিসা জটিলতার কারণে ডাবিংয়ের জন্য কলকাতা যেতে পারছেন না তিনি। বলেন, ‘আমার আগের ভিসা নেই। নতুন ভিসা পেতেও সমস্যা হচ্ছে। এখন কবে ভিসা পাব, কবে যেতে পারব, বুঝতে পারছি না। এটি আমার কলকাতার প্রথম ছবি। আমি চাই দ্রুতই শেষ করে মুক্তি পাক ছবিটি।’ ‘ফেলুবকশি’-তে কাজ করতে গিয়ে কলকাতার আরও একটি ছবিতে কাজের সুযোগ হয়েছে পরীমনির। তবে ছবিটির বিস্তারিত এখনই জানাতে চাননি তিনি।
ক্যারিয়ারে এত বেশি প্রেমের নাটকে অভিনয় করেছেন; যার দরুণ রোমান্টিক নাটকের রাজপুত্র হিসেবে উপাধি পেয়েছেন জিয়াউল ফারুক। টিভি নাটকে অনেক বছর ধরে কাজ করলেও বর্তমানে ওটিটি প্ল্যাটফর্মেই বেশি দেখা যাচ্ছে এই তারকাকে। তবে এখন তার বেশিরভাগ কাজ দেখা যায় ওটিটি প্ল্যাটফর্মে। তবে রোমান্টিক ইমেজ থেকে বেরিয়ে এসে এবার একটু অন্যরকম চরিত্র নিয়ে দর্শকের সামনে হাজির হচ্ছেন তিনি। অভিনয়ের প্রতি একজন শিল্পীর কতটা একাগ্রতা, ভালোবাসা, অধ্যবসায় থাকলে তার জনপ্রিয়তা টানা দেড় যুগ ৮ বছর প্রায় সমানই থাকে তারই প্রমাণ যেন অপূর্ব।
২০০৬ সালে গাজী রাকায়েতের নির্দেশনায় ধারাবাহিক নাটক ‘বিয়ের গল্প’তে অভিনয়ের মধ্যদিয়ে অভিনেতা অপূর্ব’র যাত্রা শুরু হয়েছিলো। সেই থেকে যেন দিন দিন তার জনপ্রিয়তা বেড়েই চলেছে। নাটকে এখনো এই সময়ের শীর্ষ অভিনেতা বা জনপ্রিয় অভিনেতা তিনি। শুধু দেশেই যে তার এই জনপ্রিয়তা বিদ্যমান দেশের বাইরেও সমান জনপ্রিয় অপূর্ব। যেখানে কলকাতার দর্শক তাদের চ্যানেলে সিরিয়াল দেখে বিরক্ত, সেখানে অপূর্ব অভিনীত নাটক তারা ইউটিউবে আগ্রহ নিয়ে দেখেন। অপূর্ব অভিনয়কে পেশা হিসেবে নিয়ে মনে প্রাণে কাজ করে গেছেন। যার ফলশ্রুতিতে অভিনয়ের দুনিয়ায় তার আজকের এ অবস্থান।
বলা যায় টিভি নাটকে শীর্ষ অভিনেতা হিসেবে অপূর্ব বিগত দেড় যুগ ধরে রাজত্বই করেছেন। পরবর্তীতে ওটিটি প্ল্যাটফরমেও অপূর্ব অভিনীথ কন্টেন্ট দর্শককে মুগ্ধ করেছে। অর্থাৎ সময়ের সাথে সাথে নিজেকে প্রয়োজনানুযায়ী যেভাবে বদলানো দরকার অপূর্ব ঠিক সেভাবেই নিজেকে বদলে নিয়ে কাজ করে গেছেন নিরলসভাবে শ্রম ও মেধা দিয়ে।
নিজের অভিনয় পেশার এমন সাফল্যে এবং পথচলার দেড় যুগ প্রসঙ্গে অপূর্ব বলেন,‘ মহান আল্লাহর কাছে কৃতজ্ঞতা স্বীকার করছি কারণ তিনি আমাকে সুন্দর একটি জীবন দিয়েছেন, আমার বাবা মায়ের কারণে এই পৃথিবীর আলোর মুখ দেখতে পেরেছি। আমি কৃতজ্ঞতা স্বীকার করছি আমার প্রথম বিজ্ঞাপনের নির্মাতা অমিতাভ ভাই, প্রথম নাটকের নির্মাতা রাকায়েত ভাইসহ নির্মাতা চয়নিকা চৌধুরী, শিহাব শাহীনসহ বিভিন্ন সময়ে আরও যারা আমাকে নিয়ে নাটক নির্মাণ করেছেন তাদের প্রতি। একটা সময় তরুণ অনেক নির্মাতাই আমাকে নিয়ে একের পর এক নাটক নির্মাণ করেছেন, তারা চ্যালেঞ্জ নিয়ে কাজ করেছেন, আমি তাদের অনুপ্রেরণা দিয়ে পাশে থেকেছি, আমি তাদের প্রতিও কৃতজ্ঞ।’
দক্ষিণী অভিনেত্রী রাশমিকা মন্দানার ক্যরিয়ার শুরু দক্ষিণী সিনেমা দিয়েই। দক্ষিণী অভিনেত্রী হলেও নিজেকে এই পরিচয় দিতে মোটেও রাজি নন লাস্যময়ী এই অভিনেত্রী। নিজেকে কেবল ভারতীয় অভিনেত্রী হিসেবেই পরিচয় দিতে পছন্দ করেন তিনি। বলিউডে তাকে বলা হয় ‘জাতীয় ক্রাশ’। অভিনয়, হাসি ও সৌন্দর্য দিয়ে জয় করে আসছেন কোটি তরুণের মন। গত বছর মুক্তি পাওয়া বলিউড সিনেমা অ্যানিমেল-এর নায়িকা ছিলেন তিনি। বহুল আলোচিত এই ছবিতে রণবীর কাপুরের বিপরীতে ছিলেন রাশমিকা।
অ্যানিমেল ছবির সাফল্যে যখন উড়তে থাকেন রাশমিকা ঠিক তখনই আরেকটা বড় একটা প্রস্তাব পান তিনি। চলতি বছরের শুরুতেই পরিচালক এ আর মুরুগাদোস ঘোষণা করেন ‘সিকান্দার’ সিনেমাটির। এই ছবিরে মাধ্যমে প্রথমবারের মতো সালমানের নায়িকা হিসেবে পর্দায় আসছেন রাশমিকা। ছবিটির ঘোষণা দিয়েছিলেন চলতি বছরের শুরুতেই। এরই মধ্যে অনেকখানি শুটিং সম্পন্ন হয়েছে ছবিটির। মাঝখানে সালমান খানের কোমরে তীব্র ব্যথা পাওয়ার কারণে শুটিংয়ে কিছুটা বিলম্ব হয়। সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী বছরের কোনো একটা ঈদে মুক্তি পাবে সালমান-রাশমিকার প্রথম সিনেমা ‘সিকান্দার’।
এভাবে ক্রমেই বলিউডেও নিজের একটা শক্ত জায়গা তৈরি করেছেন তিনি। ইতোমধ্যে অভিনয় ক্যারিয়ারে অনেক ব্যবসা সফল সিনেমা উপহার দিয়েছেন। তবে কোনো এক রহস্যজনক কারণে আড়ালে ছিলেন রাশমিকা মন্দানা। অনেক দিন ধরেই তাকে সোশ্যাল মিডিয়া এমনকি শোবিজের কোনো অনুষ্ঠানেও দেখা যায়নি। এতে কিছুটা বিচলিত ছিলেন তার ভক্তরা। এবার সে কারণ জানালেন অভিনেত্রী নিজেই।
হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, সম্প্রতি রাশমিকা সোশ্যাল মিডিয়ায় জানালেন, দুর্ঘটনার শিকার হওয়ায় তিনি সোশ্যাল মিডিয়া থেকে অনুপস্থিত ছিলেন। তবে দুর্ঘটনার বিষয়ে বিস্তারিত কিছু না জানালেও তিনি এখন অনেকটাই সুস্থ আছেন বলে জানান। এ সময় চশমা পরা অবস্থায় মাথা ধরে ক্যাজুয়াল লুক নিয়ে নিজের একটি ছবিও শেয়ার করেছেন রাশমিকা। ক্যাপশনে লেখেন, হ্যালো বন্ধুরা। কেমন আছেন আপনারা? আমি এখানে আসার পর থেকে বেশ কিছুদিন কেটে গিয়েছে বা আমাকে জনসমক্ষে দেখা গেছে।
অভিনেত্রী আরও বলেন, ‘গত মাসে আমি খুব বেশি সক্রিয় ছিলাম না কারণ আমার একটি ছোট দুর্ঘটনা হয়েছিল (একটি ছোটখাটো) এবং আমি সুস্থ হয়ে উঠছিলাম। ডাক্তাররা আমাকে যেমন বলেছিলেন তেমন বাড়িতেই থাকছিলাম। আমি এখন আরও ভালো আছি।’
চিত্রনায়িকা শবনম ইয়াসমিন বুবলী চলচ্চিত্র যাত্রা শুরু করেন ঢালিউডের শীর্ষ তারকা শাকিব খানের নায়িকা হয়ে। এরপর বিয়ে ও বিয়ে বিচ্ছেদসহ নানা কারণে শাকিব-বুবলী জুটি। একপর্যায়ে শাকিব ছাড়া নিরব, শরিফুল রাজ, সাইমন, রোশানসহ অনেকে নায়কের সঙ্গে অভিনয় করলেও কোনো সিনেমাই খুব একটা সাফল্যের দেখা পায়নি। এর মধ্যেই জানা গেল, এবার শোনা যাচ্ছে, বুবলীর বিপরীতে নায়কের তালিকায় যুক্ত হচ্ছেন টিভি অভিনেতা শ্যামল মাওলা। ছবির নাম ‘নীল টিপ’। যদিও ছবিটি নিয়ে কেবল কথাবার্তা হয়েছে, চূড়ান্তভাবে শ্যামলকে সেখানে নায়ক হিসেবে নেওয়া হচ্ছে কি না তা এখনও নিশ্চিত করে বলেননি ছবিটির পরিচালক। মেহেদি হাসান।
এর মাধ্যমে প্রায় আট মাস পর নতুন সিনেমা হাতে পেলেন বুবলী। ছবির নির্মাতা মেহেদি হাসান জানান, শিগগিরই এ সিনেমার শুটিং শুরু হবে। নির্মাতা বলেন, বুবলীর সঙ্গে আমরা ছোটপর্দার একজন অভিনেতাকে নিতে চাই। তবে এ সিনেমার গল্প বুবলীকে ঘিরেই। তিনিও গল্পটা বেশ পছন্দ করেছেন। আসলে আমাদের দেশে নারীপ্রধান গল্পে সিনেমা হয় কম। একটা সময় শাবানা ম্যাডামের গল্প নিয়ে সিনেমা নির্মাণ হতো। আমিও এ সময়ে এসে বুবলীকে নিয়ে চ্যালেঞ্জ নিতে চাই।
শাকিব খানকে ছাড়া বুবলী অভিনীত কোনো সিনেমা ব্যবসাসফল হয়নি। সিনেমা মুক্তি পেলেও প্রেক্ষাগৃহে দর্শক টানতে ব্যর্থ হয়েছে। এ রকম এক অভিনেত্রীর সঙ্গে শ্যামল মাওলার জুটি বাঁধার ফলাফল আগাম অনুমান করা যায়। অন্যদিকে অনেক দিন ধরে নতুন কোনো ছবি পাচ্ছিলেন না বুবলী। হাতে থাকা এম ডি ইকবালের ‘বিট্রে’ ও জসিম উদ্দীন জাকিরের ‘মায়া: দ্য লাভ-২’ ছবিদুটি থেকে বাদ পড়েন তিনি।
এম ডি ইকবাল ‘বিট্রে’ সিনেমা থেকে তাকে বাদ দেওয়া প্রসঙ্গ বলেন, ‘রিভেঞ্জ’ দারুণ একটি গল্পের সিনেমা ছিল। অ্যাকশন থেকে শুরু করে একটি পরিপূর্ণ সিনেমা বলতে যা বোঝায়, তার সবকিছু এতে ছিল। রোশান-বুবলীকে জুটি করে চ্যালেঞ্জ নিয়েছিলাম। চেয়েছিলাম দর্শকদের নতুন একটি জুটি উপহার দিতে। কিন্তু দর্শক জুটিটি পছন্দ করেনি। দর্শকদের কথা মাথায় রেখেই প্রতিটি সিনেমার নির্মাতা যত্নের সঙ্গে কাজ করেন। কিন্তু সেই দর্শকই যদি রোশান-বুবলী জুটি পছন্দ না করে, তাহলে সিনেমা আমি কাদের জন্য বানাব! আমার পরিচালনায় রোশানের পরপর দুটি এবং বুবলীর একটি সিনেমা মুক্তি পেয়েছে, কিন্তু তারা দর্শক টানতে পারছেন না। তাই সিদ্ধান্ত নিয়েছি পূর্বঘোষিত ‘বিট্রে’ তাদের নিয়ে বানাব না।’
বিশিষ্ট চলচ্চিত্র অভিনেতা আনোয়ার হোসেন। দেশের চলচ্চিত্রানুরাগীরা তাকে ভালোবেসে ‘বাংলার শেষ নবাব’ বলেন। দেশের চলচ্চিত্র দর্শকের মধ্যে তিনি নবাব সিরাজ-উদ-দৌলা ও ‘মুকুটহীন নবাব’ হিসেবেও খ্যাত। আজ থেকে ১১ বছর আগে ২০১৩ সালে ঢাকাই ইন্ডাস্ট্রিকে অঝোরে কাঁদিয়ে পরপারে পাড়ি দেন আনোয়ার হোসেন। অসংখ্য চলচ্চিত্রে অভিনয় করলেও ১৯৬৭ সালের ২৪ মার্চ মুক্তিপ্রাপ্ত খান আতাউর রহমান পরিচালিত ‘নবাব সিরাজ-উদ-দৌলা’ ওই একটি চলচ্চিত্রে নবাব সিরাজের চরিত্রে অভিনয় করেই চিরকালের কিংবদন্তি হয়ে আছেন তিনি।
আনোয়ার হোসেন ঐতিহাসিক, রাজনৈতিক, নাট্যধর্মী, লোককাহিনিভিত্তিক, পোশাকি ফ্যান্টাসি, সাহিত্যনির্ভর, শিশুতোষ, পারিবারিক মেলোড্রামা, নাট্যধর্মী, বক্তব্যধর্মীসহ বিভিন্ন ধরনের চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। কিন্তু ‘নবাব সিরাজ-উদ-দৌলা’ হিসেবে তার ওই একটি ‘সিগনিফিকেন্ট’ চরিত্রে অভিনয়ের কোনো তুলনাই হয় না। মানুষ তাকে কখনোই ভুলবে না ওই একটি চরিত্রের কারণেই। তার ওই নিখুঁত অনবদ্য অভিনয়ের মধ্যেই বাংলার শেষ নবাব সিরাজ-উদ-দৌলার গোটা আদলটিই বাংলার মানুষের মানসপটে বারবার ভেসে ওঠে।
অভিনেতা আনোয়ার হোসেন ১৯৩১ সালে ৬ নভেম্বর জামালপুর জেলার সরুলিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। স্কুলজীবনে তিনি প্রখ্যাত নাট্যকার আসকার ইবনে সাইখের ‘পদক্ষেপ’ নাটকে প্রথম অভিনয় করেন। ময়মনসিংহে আনন্দ মোহন কলেজে পড়াকালে অনেক মঞ্চ নাটকে অভিনয় করেন তিনি। আনোয়ার হোসেন তার অভিনয় দক্ষতা প্রমাণ করেই ঢাকাই ফিল্মে পদার্পণ করেন। ১৯৫৮ সালে মহিউদ্দেনের ‘তোমার আমার’ চলচ্চিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে তার ঢাকাই ফিল্মে অভিষেক ঘটে। চলচ্চিত্রটি ১৯৬১ সালের ১০ নভেম্বর মুক্তি পায়। সেই থেকে শুরু করে তার দীর্ঘ ৫২ বছরের ক্যারিয়ারে পাঁচ শতাধিক চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন।
১৯৭৫ সালে নারায়ণ ঘোষ মিতা পরিচালিত ‘লাঠিয়াল’ চলচ্চিত্রে অভিনয় করে শ্রেষ্ঠ অভিনেতা হিসেবে প্রথমবারের মতো আয়োজিত জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন। ১৯৮৮ সালে চলচ্চিত্রে বিশেষ অবদানস্বরূপ একুশে পদক লাভ করেন। অভিনেতাদের মধ্যে তিনিই সর্বপ্রথম ওই পুরস্কার লাভ করেন। ২০১১ সালে তাকে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে আজীবন সম্মাননা প্রদান করা হয়। এ ছাড়া তিনি পাকিস্তানের নিগারসহ অসংখ্য পুরস্কারে ভূষিত হন।
চলচ্চিত্রের ক্যারিয়ারে দীর্ঘ ৫২ বছরের অধিকাংশ সময় সহ-অভিনেতার কাজ করলেও অভিনয় জীবনের শুরুর দিকে তিনি সহঅভিনেতার পাশাপাশি নায়ক চরিত্রেও অভিনয় করতেন। তার উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্র- ‘সূর্যস্নান’, ‘কাচের দেয়াল’, ‘দুই দিগন্ত’, ‘রাজা এলো শহরে’, ‘বন্ধন’, ‘পালঙ্ক’, ‘গোধূলীর প্রেম’, ‘রাজা সন্ন্যাসী’, ‘সাত ভাই চম্পা’, ‘রাখালবন্ধু’, ‘পরশমণি’, ‘যাহা বাজে শেহনাই’ (উর্দু ছবি), ‘শহীদ তিতুমীর’, ‘ঈশা খাঁ’, ‘গাজী কালু চম্পাবতী’, ‘অরুণ বরুণ কিরণমালা’, ‘যে আগুনে পুড়ি’, ‘জীবন থেকে নেয়া’, ‘ধাঁকাবাঁকা’, ‘কোথায় যেন দেখেছি’, ‘দীপ নেভে নাই’, ‘শেষ রাতের তারা’, ‘লালন ফকির’, ‘অরুণোদয়ের অগ্নিসাক্ষী’, ‘লাঠিয়াল’, ‘রংবাজ’, ‘ধীরে বহে মেঘনা’, ‘রূপালী সৈকতে’, ‘নয়নমণি’, ‘গোলাপী এখন ট্রেনে’, ‘লাল সালু’, ‘ভাত দে’ প্রভৃতি।
গুলশান আরা আক্তার চম্পা- চলচ্চিত্রের সিনিয়র অভিনেত্রী। গৌতম ঘোষ পরিচালিত ‘পদ্মা নদীর মাঝি’ চলচ্চিত্রে অনবদ্য অভিনয়ের মাধ্যমে চম্পা যেন মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সেই ‘মালা’ হয়েই বসে আছেন রুচিশীল দর্শকের মনে। তার সঙ্গে রয়েছে ‘উত্তরের খেপ’, ‘অন্যজীবন’, ‘চন্দ্রগ্রহণ’ ও ‘শাস্তি’ সিনেমায় অভিনয়ের দরুন বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে পাঁচবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। বাণিজ্যিক সিনেমাতেও তিনি ছিলেন বেশ জনপ্রিয়। এ নন্দিত তারকার বর্তমান ব্যস্ততাসহ নানা বিষয়ে কথা বলেছেন জাহাঙ্গীর বিপ্লব
চলমান ব্যস্ততা
সত্যি কথা বললে এখন আমার একদমই কোনো ব্যস্ততা নেই। বলতে গেলে কোনো খবরেই নেই আমি। সেই করোনাকাল থেকেই আমি নতুন কোনো কাজ হাতে নিইনি। অবশ্য এ সময়ে অনেকই প্রস্তাব এসেছে- সেগুলো ফিরিয়ে দিয়েছি। কারণ এখন আমি আর অনুরোধের ঢেঁকি গিলে কারও সিনেমায় যুক্ত হতে চাই না। তবে ভালো গল্পের হলে নতুন কাজ করার ইচ্ছে আছে।
যে কারণে অভিনয়ে নেই
এখন সিনিয়র আর্টিস্টদের জন্য সে রকম গল্পই তৈরি হচ্ছে না। সেরকম গল্প হয় না বলেই সিনিয়র আর্টিস্টদের অভিনয় কমে গেছে। সিনিয়র আর্টিস্টদের নিয়ে গল্প হলেও গুরুত্ববিহীনভাবে ক্যারেক্টার তৈরি হচ্ছে। এরকম গুরুত্ববিহীন চরিত্রে কেন সিনিয়র আর্টিস্টরা কাজ করবেন? এ কারণেই আমি অভিনয় করছি না। ভালো কাজ ছাড়া করবও না। আগের আর্টিস্টদের ক্ষেত্রে দেখেন, তখন কিন্তু ভারী ভারী ক্যারেক্টার তৈরি হতো। রাজ্জাক-শাবানার কথাই ধরা যাক। তাদের সেসব চরিত্রের দিকে একবার তলিয়ে দেখেন তো- কীরকম মারাত্মক-ভারী চরিত্রের ছিল! আর এখনকার সিনেমাগুলোতে দেখেন। খুঁজেই পাবেন না।
এখনকার নির্মাতারা
এখনকার নির্মাতাদের মাঝে আমি আশার আলো দেখি। তারা অনেক ভালো ভালো গল্প চুজ করছেন। তারা পার্টিকুলার একটা নায়ক/নায়িকা বেইজ থেকে বেরিয়ে এমনসব ভালো সিনেমা বানাচ্ছে, কোনো কোনো ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে সেই ছবিটিইবা গল্পটিই নায়ক বা একটা নায়িকা হয়ে যাচ্ছে। একটা নতুন ডাইমেনশন নিয়ে আসছেন নতুনরা। আমরা অবশ্যই তাদের কাজে আরও ভালো কিছু আশা করতে পারি।
দুই রকম অনুভূতি
যখন নায়িকা ছিলাম আলাদা একটা ফিলিং ছিল। যখন ক্যারেক্টার আর্টিস্ট সেটা আরেক রকম। তবে ক্যারেক্টার আর্টিস্টে গভীরতা বেশি। নায়িকা চরিত্রে যেমন খালি লাইট, লাইট- বা ফান না থাকলেও ক্যারেক্টার আর্টিস্টে গভীরতা বেশি। আবার যখন নায়িকা ছিলাম অনেক সুন্দর-সুন্দর লোকেশনে যেতে হতো। তার অনুভূতি কিন্তু আলাদা। তা এখন মিস করি। সেটাই দারুণ উপভোগের ছিল।
চলচ্চিত্রের ভবিষ্যৎ
ভবিষ্যতের বিষয়টা বলা মুশকিল। তবে আমি ঢাকাই ইন্ডাস্ট্রির উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ দেখছি। জুনিয়রদের সঙ্গে সিনিয়রদের একটা গ্যাপ আছে কিন্তু। আগের যারা শিল্পী তাদের মধ্যে আছে অভিজ্ঞতা আর নতুনদের মধ্যে আছে নতুন নতুন আইডিয়া- এই দুইয়ের কম্বিনেশনেই কিন্তু ভালো ভালো সিনেমা সৃষ্টি হতে পারে। আমি নিজেও কিন্তু নতুনদের একটা ছবিতে কাজ করেছি ‘বিশ্বসুন্দরী’। ওটাও কিন্তু ভালো ছবি।
বলিউড বাদশা বলে কথা। বছরজুড়েই আলোচনায় থাকা এই সুপারস্টারের রয়েছে নানা উপাধি। নানা কারণে কয়েকদিন পরপরই খবরের শিরোনামে উঠে আসেন কিং খান খ্যাত এই তারকা। সম্প্রতি লোকার্নো চলচ্চিত্র উৎসবে বিশেষ সম্মানে ভূষিত হওয়ার পর পরই নতুন সিনেমা ‘কিং’ এর জন্য ওজন কমিয়ে আবার খবরে শাহরুখ খান। এবার নতুন লুকে নতুন আলোচনার জন্ম দিলেন তিনি। কিছুদিন আগেও ঘাড় পর্যন্ত চুল ছিল। কিন্ত আচমকা সেই উধাও সেই চুল। মাথায় এখন ছোট ছোট চুল। আসন্ন আইফা অ্যাওয়ার্ডসের জন্য গত মঙ্গলবার মুম্বাইয়ে অনুষ্ঠিত সাংবাদিক সম্মেলনে নতুন চেহারাতেই ধরা দিলেন কিং খান। শুধু আইফাতে থাকছেনই না শাহরুখ, করণ জোহরের সঙ্গে শোয়ের পরিচালনাও করছেন। করণ ও শাহরুখ দুজনেই অংশ নেন সাংবাদিক সম্মলেনে।
এই অনুষ্ঠানে শাহরুখ খানকে একটি অল ব্ল্যাক লুকে দেখা গেছে। তিনি ডি’ইয়াভোল লাক্সারি কালেক্টিভ ব্র্যান্ডের একটি কালো টুপি পরেছিলেন, যেখানে তার বড় ছেলে আরিয়ান খানের সহ-প্রতিষ্ঠাতা। একটি পাপারাজ্জো অ্যাকাউন্ট ইভেন্টের একটি ভিডিয়ো শেয়ার করেছে, যেখানে শাহরুখকে অনুষ্ঠানে আসতে এবং সামনের সারির আসনের দিকে এগিয়ে যেতে দেখা যায়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত রাণা ডাগ্গুবতীকে জড়িয়ে ধরেন তিনি।সেই অনুষ্ঠানে করণ জোহরকেও দেখা গিয়েছিল। করণ এবং শাহরুখ দুজনেই মঞ্চে উঠে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন। আবুধাবিতে ইন্টারন্যাশনাল ইন্ডিয়ান ফিল্ম অ্যাকাডেমি অ্যাওয়ার্ডস (আইফা) ২০২৪-এর ২৪তম আসর বসতে চলেছে।
২৭ সেপ্টেম্বর থেকে ২৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত, তিন দিনব্যাপী চলবে আইফা ২০২৪। প্রথম দিন (২৭ সেপ্টেম্বর) আইফা উৎবোধনের দিন, যা চারটি দক্ষিণ ভারতীয় সিনেমাকে উদযাপন করবে। দ্বিতীয় দিন (২৮ সেপ্টেম্বর) আইফা অ্যাওয়ার্ডের রাত। উৎসবের শেষ দিন, ২৯ সেপ্টেম্বর মিউজিক ইন্ডাস্ট্রির জন্য আইফা রক্স-কে উৎসর্গ করা হয়েছে। শাহরুখ ও করণের সঙ্গে এই অনুষ্ঠানের সহ-সঞ্চালনা করবেন ভিকি কৌশল।
আইফার সঞ্চালনার দায়িত্ব নিয়ে শাহরুখ খানকে বলতে শোনা গেল, ‘আইফা ভারতীয় সিনেমার একটি উদযাপন, যা বিশ্বজুড়ে অনুরণিত হয় এবং বছরের পর বছর ধরে এই যাত্রার অংশ হওয়া নিঃসন্দেহে আনন্দের। আমি আইফার শক্তি, আবেগ এবং মহিমাকে আবারও জীবন্ত করে তোলার অপেক্ষায় রয়েছি, কারণ আমরা এই সেপ্টেম্বরে ভারতীয় সিনেমার একটি অবিস্মরণীয় উদযাপনের জন্য প্রস্তুত হচ্ছি!’ শাহরুখকে শেষ দেখা গিয়েছিল ‘ডাঙ্কি’ ছবিতে। ভক্তরা তাকে আগামীতে সুজয় ঘোষ পরিচালিত ‘কিং’ ছবিতে দেখতে পাবেন। এতে তার মেয়ে সুহানা খানও অভিনয় করবেন। ইতোমধ্যেই এই সিনেমার প্রি প্রোডাকশনের কাজ শুরু হয়ে গেছে।
বলিউডের হাস্যোজ্জ্বল অভিনেত্রী শ্রদ্ধা কাপুর। তার অভিনয় দক্ষতা আর নজরকাড়া সৌন্দর্যে মোহিত হন দর্শক। একাধিক ব্যবসাসফল সিনেমা আছে শ্রদ্ধার ঝুলিতে। তার প্রথম ছবি ‘আশিকী-টু’ বলিউড বক্স অফিসে হইচই ফেলে দিয়েছিল। যদিও এরপর সেভাবে সফলতার দেখা পাননি। কিন্তু হতাশ হননি। চেষ্টা চালিয়ে গেছেন বলেই এখন তার বৃহস্পতি তুঙ্গে। এর প্রমাণ মিলবে ১৫ আগস্ট মুক্তি পাওয়া ‘স্ত্রী-টু’ সিনেমার আয়ের হিসাব কষলে। মুক্তির পর থেকেই বক্স অফিসে চালকের আসনে বলিউডের অন্যতম জনপ্রিয় হরর-কমেডি চলচ্চিত্র ‘স্ত্রী ২’। রাজকুমার রাও-শ্রদ্ধা কাপুরের চলচ্চিত্রটি একের পর এক রেকর্ড গড়ছে। শুরুতে ১৯ দিনের মধ্যে ভারতীয় বক্স অফিসে ৫০০ কোটির ক্লাবে প্রবেশ করে হরর সিনেমা হিসেবে ভারতীয় সিনেমার ইতিহাসে সর্বোচ্চ আয় করে সিনেমাটি।
এবার আরও একটি নতুন মাইলফলক গড়ল ‘স্ত্রী ২’। গত বছরের রেকর্ড গড়া বলিউড বাদশাহ শাহরুখ খানের ‘পাঠান’-এর রেকর্ডও ভেঙেছে ছবিটি। শুধু তাই নয়, ছবিটি দিয়ে এস এস রাজামৌলি পরিচালিত ‘বাহুবলী ২’ ছবিটির হিন্দি সংস্করণের আয়কেও ছাপিয়ে গেছেন শ্রদ্ধা কাপুর। গত রোববার পর্যন্ত ‘স্ত্রী ২’ ভারতীয় বক্স অফিস থেকে ৫২৭ কোটি রুপি আয় করেছে। অন্যদিকে ‘পাঠান’ ছবিটি গত বছর ৫২৪ কোটি ৫৩ লাখ রুপি আয় করেছিল ভারতীয় বক্স অফিস থেকে। ফলে রোববার সিদ্ধার্থ আনন্দের এই স্পাই থ্রিলারের আয়কে ছাপিয়ে গেল ‘স্ত্রী ২’।
এদিকে দর্শক ও সমালোচকদের কাছ থেকেও ভূয়সী প্রশংসা পাচ্ছে ‘স্ত্রী ২’। প্রথম কিস্তির পর দ্বিতীয় কিস্তিতেও গল্পে হরর ও কমেডি উপাদান ভরপুর দেখা গেছে। সেই সঙ্গে এর ভিএফএক্স-এর প্রশংসাও করছেন দর্শকরা।
অমর কৌশিক পরিচালিত ২০১৮ সালে মুক্তি পায় রাজকুমার রাও এবং শ্রদ্ধা কাপুরের ‘স্ত্রী’। সিনেমাটির প্রথম দিনে সেই সিনেমাটি ৬.৮২ কোটি টাকা আয় করে এবং প্রথম সপ্তাহে পৌঁছায় ৬০.৩৯ কোটিতে। ভারতে ১২৯ কোটি আয় করে সুপারহিট হয় সিনেমাটি। এর পর থেকেই এটির সিক্যুয়ালেলের অপেক্ষায় ছিলেন দর্শকরা।
বাবা শক্তি কাপুর বলিউডের নামজাদা অভিনেতা হলেও তার পথচলা সহজ ছিল না। প্রতি মুহূর্তে সংগ্রাম করতে হয়েছে। একের পর এক বাধার দেয়াল টপকাতে হয়েছে তাকে। এক সাক্ষাৎকারে নিজের জীবনের কঠিন সময় প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমাকে অনেক ছবি থেকে বাদ দেওয়া হয়েছিল। এমনও হয়েছে যে, জানি অভিনয় করব। কথাবার্তা হয়েছে। দুদিন বাদে হয়তো শুটিং করতে যাব।
দেশীয় সংগীতাঙ্গনে যারা কালজয়ী প্লে-ব্যাক শিল্পী হিসেবে আলোকিত হয়ে আছেন, তাদের মধ্যে কনকচাঁপা অন্যতম। জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত এই গুণী সংগীতশিল্পী নিজেকে সবসময় একজন কণ্ঠশ্রমিক হিসেবেই পরিচয় দিতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন। চলচ্চিত্রের গানে কণ্ঠ দিয়েই তিনি শ্রোতা-দর্শকের ভালোবাসার কনকচাঁপায় নিজেকে পরিণত করেছেন। ১৯৯৪ সালের পর থেকে বাংলাদেশে যতগুলো ছবি হয়েছে প্রায় সবগুলো ছবিতেই ছিল কনকচাঁপার কণ্ঠের উপস্থিতি। বিশেষ করে শাবনূরের ছবি মানেই ছিল কনকচাঁপার গান। শাবনূরের কণ্ঠের সঙ্গে কনকচাঁপার কণ্ঠের অনেকটা সাদৃশ্যতার কারণেই সে সময় কনকচাঁপাকে দিনে চার-পাঁচটি গানও রেকর্ড করতে হয়েছে।
এই প্রথিতযশা কণ্ঠশিল্পী আজ পা রাখছেন জীবনের ৫৬তম বছরে। রাত ১২টার পর থেকেই ভক্ত-অনুরাগী ও কাছের মানুষদের কাছ থেকে জন্মদিনের শুভেচ্ছায় ভাসছেন কনকচাঁপা। তবে জন্মদিনকে ঘিরে কনকচাঁপা সচরাচর বিশেষ কোনো আয়োজন করেন না। দিনটিতে তিনি অন্যান্য স্বাভাবিক দিনের মতোই অতিবাহিত করেন। তাই যথারীতি এবারের জন্মদিনেও তার জন্মদিনকে ঘিরে নেই বিশেষ আয়োজন। তবে দিনটিতে তিনি সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে তার বহু ভক্তের শুভেচ্ছা গ্রহণ করেন। চলচ্চিত্র ও সংগীত জগতের বহু শিল্পী তার জন্মদিনকে উপলক্ষ করে যে স্ট্যাটাস দেন তাতেও তিনি সাড়া দেন। এ ছাড়া বিভিন্ন মিডিয়া, পত্র-পত্রিকাও তার জন্মদিন উপলক্ষে বিশেষ সংবাদ করে থাকে। আজকের দিনে পুরোটা সময়ই তিনি পরিবারের সঙ্গে কাটাবেন বলে মনস্থির করেছেন।
কনকচাঁপা বলেন, ‘জন্মদিনে আমার কখনোই নিজ উদ্যোগে কোনো বিশেষ আয়োজন করা হয় না। তবে মাঝেমধ্যে আমার স্কুলের শিক্ষার্থী, ভক্তরা বিশেষ আয়োজন করে ফেললে তখন অনেকটা নিরুপায় হয়েই তাতে অংশ নিতে হয়। যেহেতু এই সুন্দর একটি দিনে পৃথিবীতে আমার জন্ম হয়েছে। আল্লাহর রহমতে সুন্দর একটি জীবন হয়েছে আমার। সুস্থ-সুন্দরভাবে বেঁচে আছি, তাই মহান আল্লাহর কাছে সব সময়ই আমি শোকরিয়া করি। আগামী দিনগুলোতেও যেন এভাবে বেঁচে থাকতে পারি সবাইকে সঙ্গে নিয়ে।’
কনকচাঁপার পারিবারিক নাম রুমানা মোর্শেদ কনকচাঁপা। ১১ সেপ্টেম্বর, ১৯৬৯ সালে ঢাকার শান্তিবাগে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। তার দাদার বাড়ি সিরাজগঞ্জের কাজীপুরে। তার বাবা আজিজুল হক মোর্শেদ। পাঁচ ভাই-বোনের মধ্যে তৃতীয় কনকচাঁপা। বাবা আজিজুল হক মোর্শেদের কাছেই প্রথম সংগীতের হাতেখড়ি। তার পর বাংলা সংগীতের মহারথী প্রয়াত সংগীতশিল্পী বশীর আহমেদ এবং স্বনামধন্য সুরকার (স্বামী) মইনুল ইসলাম খানের কাছে সংগীতে তালিম নিয়ে নিজেকে সমৃদ্ধ করেন এই সুরের পথিক। চলচ্চিত্র, আধুনিক গান, নজরুলসংগীত, লোকগীতিসহ প্রায় সব ধরনের গানে তিনি সমান পারদর্শী।
প্রায় ৪০ বছর ধরে সংগীতাঙ্গনের সঙ্গে নিজেকে জড়িয়ে রেখেছেন কনকচাঁপা। নারী শ্রেষ্ঠ প্লে-ব্যাক কণ্ঠশিল্পী হিসেবে সাবিনা ইয়াসমিন ও রুনা লায়লার পরে তিনিই একাধিক তিনবার জাতীয় চলচ্চিত পুরস্কার লাভ করেন। এ পর্যন্ত চলচ্চিত্রে তিন হাজারেরও বেশি গানে কণ্ঠ দিয়েছেন কনকচাঁপা। প্রকাশিত হয়েছে ৪৬টি একক গানের অ্যালবাম এবং ১৫টি যৌথ অ্যালবাম। করেছেন ৪ হাজারের বেশি স্টেজ শো। তার জন্মদিনে দৈনিক বাংলার পক্ষ থেকে শুভেচ্ছে।
বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেতা চাঙ্কি পান্ডের মেয়ে অনন্যা পান্ডে। বাবার পথ ধরে রুপালি জগতে নাম লিখিয়েছেন। কাজ করেছেন বেশ কয়েকটি আলোচিত সিনেমায়। তবে এখনো সেভাবে মাথা তুলে দাঁড়াতে পারেননি। তবে ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে সারা বছরই আলোচনায় থোকেন এ স্টারকিড। অনন্যা পান্ডে গত সপ্তাহে প্রাইম ভিডিও ইন্ডিয়ায় মুক্তি পাওয়া ‘কল মি বে’-তে তার অভিনয়ের জন্য প্রশংসা কুড়িয়েছেন। বর্তমানে কলিন ডি’কুনহা পরিচালিত শো’য়ের প্রচারে ব্যস্ত এই অভিনেত্রী। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে অনন্যা জানিয়েছেন, একজন অভিনেত্রী এবং ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করা একজন পাবলিক ফিগার হিসেবে তিনি কীভাবে জাজমেন্টকে মোকাবেলা করেন।
সাক্ষাৎকারে অনন্যাকে প্রশ্ন করা হয়, বাস্তব জীবনে তিনি এমন পরিস্থিতিতে পড়েছেন কিনা, যেখানে তিনি তার চরিত্র বেলার মতো জাজমেন্টের মুখোমুখি হয়েছেন। তিনি বলেন, ‘এখানে জাজমেন্ট (বিচার) হয় এবং মানুষ সব ধরনের মানুষকে সব ধরনের কথা বলে। কিন্তু সময়ের সাথে সাথে আমি বুঝতে পেরেছি যে সেদিকে মনোযোগ না দেওয়া উচিত, কারণ লোকেরা যাই বলুক না কেন, আপনি যাই করুন না কেন, আপনি কীভাবে এটি করবেন, তারা দিনের শেষে নেতিবাচক কিছু বলার খোঁজ করবে। তাই আমি মনে করি ভালো কাজ করা এবং সেদিকে মনোনিবেশ করা উচিত।’
অনন্যা দক্ষিণ দিল্লির এক উত্তরাধিকারীর চরিত্রে অভিনয় করেছেন, যিনি শোতে একজন হস্টলার হয়ে ওঠেন। এর আগে হিন্দুস্তান টাইমসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী জানিয়েছিলেন, বেলা চরিত্রের থেকে তিনি একেবারেই আলাদা। অনন্যা পান্ডে বলেছিলেন ‘যেমনটি আমি বলেছি, তার পুরো যাত্রাটি আমার জীবন এবং আমার যাত্রা থেকে খুব, খুব আলাদা, কারণ আমি খুব উদার পরিবার থেকে এসেছি এবং আমার কাছে এসব জিনিস ছিল না যে তোমাকে এভাবে দেখতে হবে। তোমাকে এখানে যেতে হবে, এভাবে কথা বলতে হবে। আমার জীবনে এমন ঘটনা কখনও ঘটেনি। সুতরাং ছোটবেলা থেকেই যে অভিজ্ঞতা অর্জন করেছে তাকে বোঝার চেষ্টা করা নতুন কিছু ছিল যা আমাকে আবিষ্কার করতে হয়েছিল।’
প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালে ‘স্টুডেন্ট অব দ্য ইয়ার’ দিয়ে অভিষেক হয় অনন্যার। এরপর তাকে ‘পতি-পত্নী অউর অউ’, ‘খালি পিলি’, ‘লাইগার’ ইত্যাদি ছবিতে দেখা গেছে। কিন্তু তার অভিনয় কিংবা পুরো ছবি, কোনোটাই পায়নি কাঙ্ক্ষিত সাফল্য।
কিশোর বয়স থেকেই অভিনয় ও গান দিয়ে বিশ্ব দরবারে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন মার্কিন তরুণ অভিনেত্রী, গায়িকা এবং উদ্যোক্তা সেলেনা গোমেজ। তবে অভিনয়ের চেয়ে কণ্ঠশিল্পী হিসেবেই বেশি স্বীকৃতি অর্জন করেছেন তিনি। এবার তার ক্যারিয়ারে যুক্ত হলো ভিন্ন এক তকমা। যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম কনিষ্ঠ স্বনির্ভর বিলিয়নিয়ারের তালিকায় সম্প্রতি নাম উঠল এ শিল্পীর। ব্লুমবার্গের তথ্য অনুযায়ী, ৩২ বছর বয়সি সেলেনার মোট সম্পদের পরিমাণ বর্তমানে ১.৩ বিলিয়ন ডলার।
ছোটবেলায় বার্নি এবং ডিজনি চ্যানেলের তারকা হিসেবে খ্যাতি অর্জন করা সেলেনা গোমেজের বিপুল সম্পদের বেশিরভাগই এসেছে তার ‘রেয়ার বিউটি’ নামক মেকআপ কোম্পানি থেকে। যা তিনি পাঁচ বছর আগে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। ব্লুমবার্গ জানিয়েছে, বর্তমানে এই কোম্পানিতে তার শেয়ার মূল্য ১ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি। এই ব্র্যান্ডের সাফল্য তাকে টেইলর সুইফট এবং রিহানার মতো কনিষ্ঠ স্বনির্ভর নারী ধনীদের তালিকায় নাম লিখিয়েছে। এ ছাড়া সেলেনা গোমেজ মানসিক স্বাস্থ্য প্ল্যাটফর্ম ওয়ান্ডারমাইন্ড-এ বিনিয়োগ করার পাশাপাশি সংগীত, অভিনয়, সম্পত্তি, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এবং পার্টনারশিপ থেকে বিভিন্ন উপায়ে আয় করেন।
ব্লুমবার্গের তথ্য মতে, লুই ভিতোঁ, কোচ এবং পুমার মতো ব্র্যান্ডের সঙ্গে এন্ডোর্সমেন্ট চুক্তি থেকে গোমেজ মিলিয়ন মিলিয়ন ডলার আয় করেছেন। তিনি হুলুর জনপ্রিয় সিরিজ ‘অনলি মার্ডার্স ইন দ্য বিল্ডিং’-এ অভিনয়ের জন্য প্রতি সিজনে কমপক্ষে ৬ মিলিয়ন ডলার আয় করেছেন। এই সিরিজটি সম্প্রতি পঞ্চম সিজনের জন্য নবায়ন করা হয়েছে। গত বছর এই গায়িকা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ইনস্টাগ্রামে বিশ্বের সবচেয়ে বেশি অনুসরণকারী নারীও হয়েছিলেন সেলেনা। ইনস্টাগ্রামে তার ৪২৪ মিলিয়নেরও বেশি অনুসরণকারী রয়েছে, যা টেইলর সুইফট এবং কাইলি জেনারের চেয়েও বেশি। সেলেনা গোমেজের কণ্ঠে সর্বশেষ প্রকাশিত গান ‘সিঙ্গেল সুন’। এটি গেল বছর প্রকাশ হয়েছিল। বর্তমানে অভিনয়ের মনোনিবেশ করেছেন এই গায়িকা। কিছুদিন আগে যুক্ত হয়েছেন মার্কিন গায়িকা লিন্ডা রনস্ট্যাডের বায়োপিকে। যেখানে কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করছেন তিনি।
সিনেমাপ্রেমীদের স্বপ্নের নায়িকা, ঢালিউডের অনিন্দ্য সুন্দরী সাদিকা পারভিন পপির আজ জন্মদিন। এক এক করে জীবন বসন্তের ৪৫ বছর পার করে ৪৬-এ পা দিলেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত এই অভিনেত্রী। তবে দীর্ঘদিন ধরে লোকচক্ষুর আড়ালে আছেন তিনি। প্রায় তিন বছরেরও বেশি সময় ধরে নিজেকে দূরে রেখেছেন। অনেকেই বলেছেন তিনি বিয়ে করেছেন, তার সন্তানও হয়েছে। কিন্তু এই দুটি খবরের একটিরও সত্যতা মেলেনি। আবার কেনই বা তিনি নিজেকে আড়ালে রেখেছেন তারও কোনো খবর নেই। পপিকে চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট কোনো অনুষ্ঠানে বা কোনো তারকার ঘরোয়া কোনো অনুষ্ঠানেও দেখা যাচ্ছে না। জন্মদিনে পপি সব সময়ই তার পরিবারকে নিয়ে উদ্যাপন করতেন; কিন্তু এখন কীভাবে তিনি তার জন্মদিন উদ্যাপন করবেন, তা সবার কাছে অজানা থাকলেও ভক্তরা তাকে স্মরণ করছেন এই দিনে।
পপি ১৯৭৯ সালের ১০ সেপ্টেম্বর খুলনা জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তার শৈশব কাটে খুলনায় দাদাবাড়িতে। ছয় ভাই-বোনের মধ্যে পপি বড়। পড়াশোনা করেছেন খুলনার মুন্নুজান উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ে। ১৯৯৭ সালে মনতাজুর রহমান আকবরের ‘কুলি’-তে অভিনয়ের মধ্য দিয়ে চলচ্চিত্র জগতে আবির্ভূত হন পপি। ঢাকাই চলচ্চিত্র ইতিহাসে অন্যতম আবেদনময়ী এই অভিনেত্রী এ পর্যন্ত বহু চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। তবে ‘মেঘের কোলে রোদ’, ‘কি যাদু করিলা’, ‘গঙ্গাযাত্রা’ চলচ্চিত্রে অভিনয় করে শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী হিসেবে তিনবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন।
পপি অভিনীত উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্র- ‘আমার ঘর আমার বেহেশত’, ‘চারিদিকে শত্রু’, ‘দরদী সন্তান’, ‘বিদ্রোহ চারিদিকে’, ‘গুপ্ত ঘাতক’, ‘অনেক দিনের আশা’, ‘ভালোবাসার ঘর’, ‘কে আমার বাবা’, ‘লাল বাদশা’, ‘জিদ্দী’, ‘দুজন দুজনার’, ‘জানের জান’, ‘হীরা চুনি পান্না’, ‘আমার বউ’, ‘দাম দিয়ে প্রেম যায় না কেনা’, ‘ক্ষেপা বাসু’, ‘ক্ষমতার দাপট’, ‘বস্তির রানী সুরিয়া’, ‘রানীকুঠির বাকী ইতিহাস’ ইত্যাদি। এ ছাড়া তিনি অসংখ্য চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন।
এদিকে পপি অভিনীত ‘ডাইরেক্ট অ্যাকশন’ সিনেমাটি মুক্তির কথা ছিল চলতি মাসে। পরিচালক বলেছিলেন, যত ঝড় তুফানই আসুক, এবার আর ছবিটির মুক্তির তারিখ কিছুতেই পেছাব না; কিন্তু নিজের দেওয়া সেই শেষ কথাটিও রাখতে পারলেন না সাদেক সিদ্দিকী। তিনি আরও বলেছিলেন, ‘এরই মধ্যে ছবির সেন্সর ছাড়পত্র পেয়ে গেছি। ভেবেছিলাম পপিকে নিয়েই প্রচার করে ছবিটি মুক্তি দেব। আপাতত সেটা আর করা যাচ্ছে না।’
তবে হঠাৎ করে দেশের রাজনৈতিক অবস্থার বড় একটা রদবদলে সিনেমা হল প্রায় বন্ধের মুখে পড়ায় সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসতে বাধ্য হন পরিচালক। যে কারণে সহসা পর্দাতেও ফেরা হচ্ছে না একাধিকবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত পপির। সিনেমায় পুলিশ কর্মকর্তার চরিত্রে অভিনয় করেছেন সাদিকা পারভিন পপি।
বাংলাদেশের নাট্যাঙ্গনের জনপ্রিয় একটি নাম দীপা খন্দকার। কোনো রকম মঞ্চ অভিজ্ঞতা ছাড়াই কেবলমাত্র নিজের মেধা ও দক্ষতা দিয়ে সাফল্যের সঙ্গে কাটিয়ে দিয়েছেন ক্যারিয়ায়ের ২৫টি বছর। বিরতি ছাড়াই কাজ করেছেন অভিনয় ও মডেলিংয়ে। কখনো কখনো পুরো মাসজুড়ে তার ব্যস্ততা ছিল আবার কখনো কখনো কাজ একটু কমিয়ে সংসারে সময় দিয়েছেন। তবে কখনোই তিনি অভিনয় থেকে দূরে সরে যাননি। কারণ অভিনয়ই তার কাছে মনেপ্রাণে নেশা, পেশা। নিজেকে একজন অভিনেত্রী হিসেবেই তাই সবসময় ভীষণ স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন।
নাটকের পাশাপাশি সিনেমাতেও সমান দক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন নন্দিত এই তারকা। এছাড়া সময়ের আরেক জনপ্রিয় মাধ্যম ওটিটিতেও কাজ করছেন সমান তালে। তবে দীপার অভিনয়ের পছন্দের মাধ্যম নাটক ও প্রিয় টিভি চ্যানেল বিটিভি। অভিনয় জীবনের শুরুতে দীপা খন্দকার বাংলাদেশ টেলিভিশনে প্রচারিত অনেক নাটকে অভিনয় করেছেন। বলা যায় অভিনেত্রী হিসেবে তার আজ যে অবস্থান তার নেপথ্যে বিটিভির একটা বড় ভূমিকা রয়েছে। যে কারণে বিটিভি থেকে কাজের প্রস্তাব আসলে দীপা তা বেশ আগ্রহ নিয়েই করার চেষ্টা করেন। বিটিভিতে অবশ্য শিল্পীদের সম্মানীও আগের তুলনায় বেড়েছে। যে কারণে শিল্পীদেরও বিটিভির কাজের প্রতি আগ্রহ বেড়েছে আগের চেয়ে অনেকাংশে। এরই মধ্যে দীপা খন্দকার বিটিভিরই প্রযোজনায় নাসরীন মুস্তাফা রচিত এক পর্বের সাপ্তাহিক নাটক ‘ঘর’-এ অভিনয় করেছেন। এরইমধ্যে বিটিভিতে নাটকটির দৃশ্য ধারনের কাজ শেষ হয়েছে বলে জানালেন দীপা খন্দকার। তিনি জানান এতে তার বিপরীতে আছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত অভিনেতা শতাব্দী ওয়াদুদ।
দীপা খন্দকার বলেন, ‘নাটকটির গল্প একটি বাচ্চাকে ঘিরে। জীবন ঘনিষ্ঠ গল্পের নাটক ঘর। নাট্যকার চমৎকার একটি গল্প রচনা করেছেন। যে কারণে কাজটি করেও ভীষণ ভালোলেগেছে। আশা করছি নাটকটি দর্শকের ভালো লাগবে। নাটকটি শিগগিরই বাংলাদেশ টেলিভিশনে প্রচার হবে।’
এদিকে দীপা খন্দকার জানান আগামী ১৬ সেপ্টেম্বর জাহিদ প্রীতমের নির্দেশনায় একটি ওয়েব’-এর কাজ করার কথা রয়েছে। এদিকে দীপা কোরবানির ঈদের আগে শেষ হওয়া সিনেমা জাহিদ হোসেন পরিচালিত ‘ঋতুকামিনী’র ডাবিং-এর কাজ শেষ করলেন। এই সিনেমায় তিনি একেবারেই ভিন্ন ধরনের চরিত্র ‘আমেনা’ চরিত্রে অভিনয় করেছেন। এরইমধ্যে হৈচৈ’তে প্রচার চলছে দীপা খন্দকার অভিনীত ভিকি জাহেদ পরিচালিত ওয়েব সিরিজ ‘রুমী’। দীপ্ত প্লের জন্য এরই মধ্যে দীপা শেষ করেছেন মাহমুদুর রহমান হিমি পরিচালিত ‘হাইড অ্যান্ড সিক’ নাটকের কাজ। গত ঈদে দীপা খন্দকার’কে ছোটকাকু সিরিজে এবং ভুতের নাটক অনিমেষ আইচের ‘পিছনে তাকাবেন না’তে অভিনয়ে দেখা গেছে। মোস্তাফিজুর রহমান মানিক পরিচালিত ‘ডার্কওয়ার্ল্ড’ সিনেমায় সর্বশেষ অভিনয়ে দেখা গেছে দীপা খন্দকারকে। দীপা অভিনীত মুক্তিপ্রাপ্ত সিনেমাগুলো হচ্ছে ‘ভাইজান এলোরে’, ‘পায়ের ছাপ’, ‘অপরাজেয়’, ‘জিন টু’। মুক্তির অপেক্ষায় আছে শহীদ রায়হানের ‘মনোলোক’।