এখন পর্যন্ত কোনো সিনেমাই হিট বা ব্যবসা সফল না হলেও ব্যক্তিগত নানা ইস্যু নিয়ে সার বছরই আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে থাকেন বহুল চর্চিত চিত্রনায়িকা পরীমনি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও বছরজুড়ে সরব থাকেন এই অভিনেত্রী। এর আগে সাচিংয়ের দিক থেকে অন্যান্য বাংলাদেশি তারকার চেয়ে বেশি এগিয়ে ছিলেন তিনি। আবার ফলোয়ার সংখ্যাতেও অনেকের চেয়ে এগিয়ে ছিলেন পরী। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কার কত অনুসারী- এ নিয়ে রীতিমতো পাল্লা চলে ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান ও চিত্রনায়িকা পরীমনির ভক্তদের। সর্বোচ্চ অনুসারীর হিসাবে একবার এগিয়ে থাকেন সাকিব, আবার সেই রেকর্ড ছুঁয়ে ফেলেন পরী! কয়েক বছর ধরে এভাবেই চলছে তাদের পাল্টাপাল্টি লড়াই।
গতকাল রোববার দেখা গেছে, অনুসারীর দিক দিয়ে ফেসবুকে সাকিবকে পেছনে ফেলে শীর্ষস্থানে উঠে এসেছেন পরী। এ নায়িকার অফিসিয়াল পেজে অনুসারীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৬ মিলিয়ন (১ কোটি ৬০ লাখ), অন্যদিকে সাকিবের ১৫ মিলিয়ন (১ কোটি ৫০ লাখ)।
যেখানে গেল বছর আগস্টে ১ কোটি ৬০ লাখের বেশি অনুসারী নিয়ে শীর্ষস্থানে অবস্থান করছিলেন বাংলাদেশ ক্রিকেটের ‘পোস্টার বয়’খ্যাত সাকিব। আর ১ কোটি ৫০ লাখ অনুসারী নিয়ে তার পরের অবস্থানেই ছিলেন পরী। তবে জুলাইয়ে ছাত্র আন্দোলন শুরু হলে ধীরে ধীরে কমতে থাকে এই বাঁহাতি অলরাউন্ডারের অনুসারীর সংখ্যা। বিশেষত ছাত্র ও সাধারণ মানুষের হতাহতের ঘটনায় নীরবতার পন্থা অবলম্বন এবং আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য হওয়ার ফলেই এমন প্রভাব পড়েছিল বলে মত দিচ্ছেন নেটিজেনদের অনেকে।
বিপরীতে পরীর অবস্থান ছিল বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষে। ফলে তিনি ভক্তদের বিরাগভাজন হননি। আগের মতোই স্বাভাবিক রয়েছে তার অনুসারীরর সংখ্যাও। যদিও ক্রীড়া অঙ্গনের ব্যক্তিত্বদের মধ্যে শাকিবের অনুসারী এখনও সর্বোচ্চ। তার পরই রয়েছেন ক্রিকেটার মুশফিকুর রহিম। এই তারকার অনুসারীরর সংখ্যা ১৩ মিলিয়নের কোটায়। তৃতীয় অবস্থানে রয়েছেন তামিম ইকবাল। তার অনুসারীর সংখ্যা ৭.৬ মিলিয়ন।
এদিকে, বিনোদন অঙ্গনে শীর্ষস্থানে রয়েছেন পরীমনি আর দ্বিতীয় অবস্থানে অভিনেত্রী মেহজাবীন চৌধুরী। তার অনুসারী ১০ মিলিয়ন। তৃতীয় স্থানে রয়েছেন শাকিব খান। এই সুপারস্টারের অনুসারীর সংখ্যা ৬.৯ মিলিয়ন।
গত রোববার সন্ধ্যা। ঘড়ির কাঁটা তখন সাড়ে সাতটা ছুঁইছুঁই। ঢাকার স্টার সিনেপ্লেক্স, সনি স্কয়ার-চলচ্চিত্রের আলো ঝলমলে এক সন্ধ্যা। ‘তাণ্ডব’ সিনেমার বিশেষ প্রদর্শনী ঘিরে জমেছে তারকামুখর আসর। অতিথিরা আসছেন একে একে। নির্ধারিত সময়ের আগেই সিনেমার কলাকুশলীরা হয়ে উঠেছেন উৎসবের অংশ। লাল টুকটুকে পোশাকে অপার সৌন্দর্যে হাজির সাবিলা নূর-এই ছবির কেন্দ্রীয় নারী চরিত্রে তার আবির্ভাব যেন এক নতুন সূর্যোদয়।
নির্মাতা রায়হান রাফি তখন সিনেমা হলে প্রবেশ করে অতিথিদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়ে ব্যস্ত। ঠিক এমন এক মুহূর্তে শাকিব খানকে ঘিরে দর্শকের কৌতূহল যখন তুঙ্গে, নির্মাতা রাফি সাবিলা নূরকে সঙ্গে নিয়ে প্রেস টেবিলের সামনে এসে দাঁড়ান। উপস্থিত সংবাদকর্মীদের দিকে এক হৃদয়গ্রাহী দৃষ্টিতে তাকিয়ে সাবিলা শুরু করেন তার অনুভবের গল্প।
‘এই সিনেমা আমার প্রথম বাণিজ্যিক ছবি। সেখানে নির্মাতা হিসেবে পেয়েছি রায়হান রাফিকে, আর সহশিল্পী হিসেবে পেয়েছি আমাদের চলচ্চিত্রের সবচেয়ে বড় তারকা, শাকিব খানকে। এটা আমার অভিনয়জীবনের অন্যতম সেরা প্রাপ্তি। শুটিংয়ের সময় এক মুহূর্তের জন্যও তিনি বুঝতে দেননি আমি নতুন, আমার প্রথম। বরং যে আন্তরিকতা, সহযোগিতা আর সম্মান পেয়েছি, তা আজীবন স্মৃতিতে থাকবার মতো।’
তবে এই আনন্দের ভেতরেও রয়েছে একটা ক্ষতের দাগ। মুক্তির এক সপ্তাহের মাথায় ‘তাণ্ডব’ সিনেমাটি পাইরেসির শিকার হয়। ভেতরে জমে থাকা ক্ষোভ প্রকাশ করে সাবিলা বলেন, ‘এই সময়টা আমাদের সিনেমার নবজাগরণের সময়। দেশের ভেতরে তো বটেই, বিদেশেও প্রশংসা কুড়োচ্ছে আমাদের ছবি। এমন একটা মুহূর্তে একটি মানসম্পন্ন চলচ্চিত্র যদি পাইরেসির শিকার হয়, তাহলে সেটা শুধু দুঃখজনক নয়, সাংস্কৃতিক অপরাধ। এই কাজ যারা করে, তারা শিল্পের শত্রু।’
কিছুটা আবেগের সঙ্গে যোগ করেন, ‘এই সিনেমা থেকে আমি অনেক কিছু পেয়েছি-ভালোবাসা, শিক্ষা, আত্মবিশ্বাস। ভবিষ্যতে কী হবে, জানি না। তবে চেষ্টার কোনো কমতি থাকবে না। ভালো গল্পের সঙ্গে থাকব, সৎ কাজ করে যেতে চাই। আর বাকিটা নির্ভর করছে দর্শকের ভালোবাসার ওপর। কারণ, ‘তাণ্ডব’-এ তারা আমাকে যেভাবে গ্রহণ করেছেন, সেটা হৃদয় ছুঁয়ে গেছে।’
শাকিব খানও পরে বক্তব্যে বিস্ময় ও ক্ষোভ মিলিয়ে বলেন, ‘সেই জাতি সবচেয়ে উন্নত, যারা সাংস্কৃতিক দিক থেকে এগিয়ে থাকে। আমাদের সিনেমা এগিয়ে যাচ্ছে, আর ঠিক তখনই এর পথ রুদ্ধ করার চেষ্টা হচ্ছে পাইরেসির মাধ্যমে। ‘বরবাদ’-এর ক্ষেত্রেও আমরা সেটা দেখেছি। ‘তাণ্ডব’-এর ক্ষেত্রে তো আরও আগেই ঘটেছে। তবু আমি কৃতজ্ঞ দর্শকদের কাছে- পাইরেসির পরেও তারা হলে গিয়ে সিনেমা দেখেছেন, দেখাচ্ছেন। এটা এক প্রকার সাংস্কৃতিক প্রতিরোধ। সিনেমাকে বাঁচাতে হলে সবাইকে সোচ্চার হতে হবে।’
প্রদর্শনীর আসরটি রূপ নেয় এক শিল্পী-সমাবেশে। উপস্থিত ছিলেন অভিনয়শিল্পী গাজী রাকায়েত, ফজলুর রহমান বাবু, এ কে আজাদ সেতু, সালাহউদ্দিন লাভলু, সুমন আনোয়ার, মুকিত জাকারিয়া ও সদ্য অভিষিক্ত নায়িকা সাবিলা নূর।
এ ছাড়া সন্ধ্যাকে সৌন্দর্যময় করে তুলতে উপস্থিত ছিলেন অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধন, দীপা খন্দকার, তমা মির্জা, মন্দিরা চক্রবর্তী, সংগীতশিল্পী দিলশাদ নাহার কনা, জেফার রহমান এবং নির্মাতা চয়নিকা চৌধুরীসহ আরও অনেকে।
কর ফাঁকি দেওয়ার কারণে বেশ কয়েকজন তারকা শিল্পীদের ব্যাংক হিসাব জব্দ করতে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। সেই তালিকায় আছেন চিত্রনায়িকা মৌসুমী, চিত্রনায়ক বাপ্পারাজ, চিত্রনায়িকা নুসরাত ফারিয়া, সাবিলা নূর।
মোট ২৫ জনের ব্যাংক হিসাব জব্দ করা হয়েছে- এই মর্মে একটি নোটিশও প্রকাশ করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। তারকাদের ঠিকানায় চিঠিও প্রেরণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন এনবিআর ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা।
গণমাধ্যমকে তিনি বলেন, ‘সময়মতো কর পরিশোধ না করায় বেশ কয়েকজন তারকার ব্যাংক হিসাব জব্দ করা হয়েছে। এরই মধ্যে বেশ কয়েকজন তাদের কর পরিশোধ করেছেন। কয়েকজন সময় নিয়েছেন। কর পরিশোধ হলেই ব্যাংক হিসাবে সব ঝামেলা মিটে যাবে।’ কর অঞ্চল-১২’র সহকারী কর কমিশনার কাজী রেহমান সাজিদ মন স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে ২৫ জনের তালিকায় উপরোল্লেখিত নাম ছাড়াও রয়েছেন অভিনেতা আহমেদ শরীফ, শবনম পারভীন, নুসরাত ইয়াসমিন তিশাও।
২০২৪ সালে বলিউডে মুক্তি পাওয়া ‘ক্রু’ সিনেমায় একসঙ্গে দেখা গিয়েছিল তিন জনপ্রিয় অভিনেত্রী টাবু, কারিনা কাপুর ও কৃতি শ্যাননকে। বিমানবালাদের জীবনের কঠিন সংগ্রামের কাহিনী নিয়ে নির্মিত সিনেমাটি সেসময় বেশ আলোচিত হয়েছিল। পর্দায় তিন অভিনেত্রীর উপস্থিতি ভালোই প্রশংসা কুড়িয়েছিল সিনেবোদ্ধাদের। বাংলাদেশে এমন গল্প পেলে সিনেমায় একসঙ্গে অভিনয়ের আগ্রহের কথা জানিয়েছেন সম্প্রতি রুপালি পর্দায় পা রাখা ছোটপর্দার জনপ্রিয় দুই অভিনেত্রী সাবিলা নূর ও তাসনিয়া ফারিণ। সঙ্গে যুক্ত করতে চান আরেক বন্ধু অভিনেত্রী মেহজাবীন চৌধুরীকে।
মেহজাবীন চৌধুরী, সাবিলা নূর ও তাসনিয়া ফারিণ- তিনজনেরই ক্যারিয়ার শুরু হয়েছে টিভি নাটক দিয়ে। ভিন্ন সময়ে নাটকে কাজ শুরু করলেও বড় পর্দায় তাদের অভিষেক কাছাকাছি সময়ে। বাস্তব জীবনেও তিনজনের মধ্যে রয়েছে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক। অবসরে প্রায়ই একসঙ্গে সময় কাটাতেও দেখা যায় তাদের। দেশের বাইরেও একসঙ্গে ঘুরতে যান। তাদের বন্ধুত্বের এই রসায়ন পর্দায়ও ভালো লাগবে বলে বিশ্বাস সাবিলা ও ফারিণের।
এ প্রসঙ্গে তাসনিয়া ফারিণ বলেন, ‘বলিউডের ‘ক্রু’ সিনেমাটি দেখে মনে হয়েছিল, আমরা যদি এ রকম একটা প্রজেক্ট করতে পারি, তাহলে খুব ভালো হয়। খুব মজা করে কাজ করতে পারব।’ ফারিণের সঙ্গে একমত প্রকাশ করে সাবিলা নূর বলেন, ‘আমাদের খুব বেশি দেখা হয়, তা নয়। কিন্তু যখনই দেখা হয়, আড্ডা দিতে দিতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা চলে যায়। সে সময় আমরা কাজ নিয়ে ভাবিও না। আমরা নায়িকা- এই জিনিসটা আমাদের মাথায় থাকেই না।’
এই ঈদে প্রথমবার সাবিলা ও ফারিণকে পাওয়া গেছে বাণিজ্যিক ঘরানার সিনেমায়। রায়হান রাফীর ‘তাণ্ডব’ সিনেমায় শাকিব খানের সঙ্গে ছিলেন সাবিলা, অন্যদিকে সঞ্জয় সমদ্দারের ‘ইনসাফ’ সিনেমায় ফারিণকে দেখা গেছে শরিফুল রাজের সঙ্গে। সিনেমার প্রমোশনে ব্যস্ত সময় পার করেছেন। একসঙ্গে টিভি অনুষ্ঠানে গেছেন নিজেদের সিনেমা নিয়ে কথা বলতে। সেখানেই একসঙ্গে অভিনয়ের ইচ্ছার কথা জানালেন তারা।
বলিউডের ‘অক্টোবর’ ছবিতে বরুণ ধাওয়ানের সঙ্গে অসাধারণ অভিনয় করে লাইমলাইটে এসেছিলেন অভিনেত্রী বনিতা সান্ধু। এবার বলিউডের আরেক অভিনেত্রী দীপিকা পাড়ুকোনের হয়ে কথা বলে আরও একবার খবরের শিরোনামে এলেন বনিতা।
মূলত, দীপিকার ৮ ঘণ্টা শিফটের কাজ নিয়ে মুখ খুলেছেন অভিনেত্রী বনিতা সান্ধু। এর আগে সন্দ্বীপ রেড্ডি ভাঙ্গার ছবি ‘স্পিরিট’ থেকে দীপিকার বেরিয়ে যাওয়ার অন্যতম কারণ ছিল- মাতৃত্বকালীন সময়ে ৮ ঘণ্টার বেশি কাজ করবেন না দীপিকা। অন্যদিকে দীপিকার এই কথা মেনে নিতে রাজি ছিলেন না পরিচালক, ফলে তৈরি হয় মতবিরোধ এবং ফলস্বরূপ ছবি থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন অভিনেত্রী। তবে ব্যাপারটা এখানেই থেমে যায়নি। দীপিকার চাহিদার কথা শুনে দীপিকার পাশে এসে দাঁড়ান একাধিক পরিচালক, প্রযোজক এবং অভিনেতা অভিনেত্রী। কাজল থেকে অজয় দেবগন, রাধিকা আপ্তে থেকে দক্ষিণ সুপারস্টার রানা, সকলেই নিজেদের মন্তব্য রেখেছেন এই বিষয়টিতে। এবার প্রসঙ্গে কথা বলতে শোনা গেল বনিতা সান্ধুকে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সম্প্রতি স্ক্রিনের সঙ্গে একটি আড্ডা চলাকালীন বনিতা বলেন, ‘এটি সত্যি ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। পশ্চিমের দেশগুলোতে এই বিষয়ে একটি শক্তিশালী ইউনিয়ন থাকে, যারা এইসব বিষয়গুলো দেখাশোনা করেন। আমি সব সময় প্রত্যেকের জন্যই ১২ ঘণ্টা কাজের পক্ষে। আমরা সিনেমা বানাচ্ছি কোনো যুদ্ধ করছি না, তাই মানসিক স্বাস্থ্যকে বিসর্জন দেওয়া উচিত নয় বলেই আমি মনে করি।’
বনিতা আরও বলেন, ‘আমার যখন ক্যারিয়ার শুরু হয় তখন সত্যি এই ব্যাপারগুলো বুঝতে পারতাম না, আমার মনে হতো এটাই কাজ করার একমাত্র উপায়। ১৬ থেকে ১৮ ঘণ্টা কাজ করতাম। প্রযোজকরা যেমন বলতেন তেমনি করতাম। এমনও হয়েছে যখন টানা ২৪ ঘণ্টা ঘুমাইনি আমি। কিন্তু পরবর্তীকালে আমার মনে হয় যেন এটা ঠিক নয়।’
অভিনেত্রী বলেন, ‘আমি যখন প্রযোজকদের বলেছিলাম এই ব্যাপারটি নিয়ে তখন তাদের চোখে আমি খারাপ হয়ে যাই। কিন্তু তাতে আমার কিছু এসে যায় না। যেটা ঠিক বলে মনে করেছি আমি সেটাই বলেছি। প্রত্যেকটি মানুষের বিশ্রাম এবং ঘুমের দরকার আছে। কাজের পাশাপাশি নিজের দিকেও খেয়াল রাখতে হবে সকলকে।’
অক্টোবর ছবি প্রসঙ্গে অভিনেত্রী বলেন, ‘অক্টোবর সিনেমায় যখন অভিনয় করতাম তখন আমি পুরোপুরি ভারতে ছিলাম না। আমি কাজ করতে আসতাম আবার চলে যেতাম। তখন আমি লন্ডনে একটি কলেজে পড়াশোনা করতাম। তবে অনেকেই ভেবেছিলেন আমি হয়তো বিদেশে চলে গিয়েছিলাম কিন্তু আবার দেশে ফিরে এসেছি কাজের জন্য, ব্যাপারটা একেবারে সেটা নয়। আমি কখনওই দূরে যাইনি। আমি সব সময় কাজের মধ্যে ছিলাম, কিন্তু ভিন্ন দেশে।’
সবশেষে অভিনেত্রী বলেন, ‘অক্টোবর ছবির মুক্তির পর আমি স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করি এবং হলিউডের এবং সাউথ ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে অন্তত তিনটি ছবিতে কাজ করেছি। অক্টোবর ছবি সাফল্যের পর অনেকেই আমায় বলেছিলেন, আমরা ভেবেছিলাম তোমাকে ছবিতে নেব কিন্তু তুমি কোথায় ছিলে আমরা জানতাম না। ব্যাপারটা ঠিক এরকমই, আউট অফ সাইট, আউট অফ মাইন্ড।’
বলিউড তারকাদের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে ভক্ত-অনুরাগীদের কৌতূহলের শেষ নেই। সেই ধারাবাহিকতায় এবার আলোচনায় এসেছেন অভিনেত্রী জেনেলিয়া ডি’সুজা। অভিনেতা রীতেশ দেশমুখের সঙ্গে ১৩ বছরের সংসার সুখের হলেও সম্প্রতি এক বিস্ফোরক গুঞ্জন ছড়িয়েছে। বলিউডপাড়ায় শোনা যাচ্ছে—রীতেশের আগে নাকি জন আব্রাহামের সঙ্গেও বিয়ের বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন জেনেলিয়া!
এই গুঞ্জন নিয়ে সম্প্রতি মুখ খুলেছেন অভিনেত্রী নিজেই। জানালেন, ‘ফোর্স’ ছবির (২০১১) শুটিংয়ের সময় এমন ঘটনা ঘটেছিল, যেখানে তার বিপরীতে ছিলেন জন আব্রাহাম। ছবির চিত্রনাট্য অনুযায়ী সেখানে বিয়ের দৃশ্য ছিল, যা রীতিমতো প্রকৃত বিয়ের মতোই ধারণ করা হয়েছিল। কারণ, ওই দৃশ্যে সত্যিকারের ব্রাহ্মণ পুরোহিত, মন্ত্রপাঠ, মাল্যদান, মঙ্গলসূত্র পরানো এবং সাতপাক ঘোরার দৃশ্য দেখানো হয়েছিল।
এই কারণেই হয়তো অনেকে ভেবেছেন সেটি বাস্তব বিয়ে ছিল। তবে অভিনেত্রীর দাবি, ‘আমরা মোটেও বিয়ে করিনি। এর কোনো সত্যতা নেই। এটা পুরোপুরি গুজব। আমার মনে হয়, এসব তথ্য যারা ছড়িয়েছে তাদের পিআর টিমকে জিজ্ঞাসা করা উচিত।’
উল্লেখ্য, রীতেশ দেশমুখ ও জেনেলিয়া ডি’সুজা বলিউডের অন্যতম সুখী দম্পতি। ২০১২ সালে বিয়ের পর থেকেই কাজ ও সংসারের ভারসাম্য বজায় রেখে এগিয়ে চলেছেন তারা। দুই সন্তানের এই মা-অভিনেত্রী এখনো বি-টাউনের আলোচিত মুখ।
১৯৬৫ সালে আলাউদ্দিন আল আজাদের রচনায় ও মোহাম্মদ জাকারিয়ার পরিচালনায় ‘ত্রিধারা’ দিয়ে শুরু হয় দিলারা জামানের অভিনয়জীবন। আজও অভিনয়ের সঙ্গেই আছেন তিনি। এই বয়সেও শুটিং করেন। ৬০ বছরের অভিনয়জীবনে একটি স্বপ্ন অধরাই থেকে গেল তার। আজ জন্মদিনে জানালেন, সেই যে একটা ওল্ড হোম করার স্বপ্ন ছিল, তা আজও পূরণ হয়নি। কবে পূরণ হবে তা জানিও না।’
দিলারা জামানের অভিনয়জীবন ৬০ বছরের। গত বৃহস্পতিবার তিনি ৮৩ বছর পার করে ৮৪ শুরু করেছেন। এবারের জন্মদিনে বড় মেয়ে সঙ্গে আছে, তাই মনটা বেশ ভালো আছে বলে জানালেন। সন্ধ্যায় বললেন, ‘দুপুরে চ্যানেল আইয়ের তারকাকথন অনুষ্ঠানে গিয়েছিলাম। কথা বলেছি। কেক কেটেছি।’
কথা প্রসঙ্গে দিলারা জামান বললেন, ‘জন্মদিন তো পালন করি না। মেয়েরা দেশে থাকলে উৎসাহ নিয়ে করে, আবার আমি তাদের কাছে থাকলেও করে। অভিনয় অঙ্গনে আমার সহকর্মীরাও উৎসাহ দেখায়। চ্যানেল আইয়ের সরাসরি অনুষ্ঠান তারকাকথনে প্রায়ই আসা হয়। এবারও হয়েছে। মেঘে মেঘে তো বেলা কম হলো না। ৮৪ বছরে পা দিলাম। এত দিন সুন্দরভাবে বাঁচতে পেরেছি, এখনো সুস্থ আছি—এটাই কম কী। আলহামদুলিল্লাহ। তবে আফসোস, এখনো তো কিছুই করতে পারিনি। মানুষের মনে জায়গা করে নিতে বা মানুষ যাতে সব সময় মনে রাখে, সেই চেষ্টাই করে যাচ্ছি। জানি না, কতটুকু মানুষ মনে রাখবে।’
কী করতে চেয়েছিলেন এমন প্রশ্নে জানালেন সেই ওল্ড হোম নিয়ে স্বপ্নের কথা। বললেন, ‘৩০ বছর আগে গাজীপুরের একটি ওল্ড হোমে শুটিং করতে গিয়েছিলাম। নাটকের নামটা এখন মনে করতে পারছি না। আমার সহশিল্পী আনোয়ার হোসেন ভাই। ওই নাটকেরই শুটিং করতে গিয়ে বুড়ো মানুষের অসহায়ত্ব দেখি। এমনিতেও চারপাশে বুড়ো মানুষের কষ্ট দেখি। শেষ বয়সে এসে তো তারা শিশুর মতো হয়ে যান, তখন তাদের আর সেভাবে দেখার মতো কেউ থাকে না। অথচ এই সময়টায় তারা থাকেন খুব অসহায়, কিছু বলতেও পারেন না। মা-বাবারা তখন বিষয়গুলো নিজেই উপলব্ধি করতে পারেন। বৃদ্ধ মানুষের কষ্টটা কেউ বুঝতে পারে না, চায় না। আপন যে সন্তান, সে–ও বুঝতে পারে না।’ বৃদ্ধাশ্রমের স্বপ্নটা এখনো পূরণ হয়নি, তবে রয়েছে। বললেন, ‘আমার মেয়েরা তো এখনো বলে, দেখি আমার মায়ের অপূর্ণ স্বপ্নপূরণে কিছু করতে পারি কি না। এটা যদি করতে পারতাম, তাহলে অনেক মানুষের উপকার হতো। যাদের কেউ নেই, বুড়োকালে যারা একাকী থাকেন—ও রকম মানুষের জন্য কিছু করা আরকি। অবশ্য আমার একার পক্ষে তো এটা এখন আর সম্ভবও না।’
দেশে থাকলে এখনো অভিনয় করেন। বিনোদন অঙ্গনে বিভিন্ন অনুষ্ঠানেও থাকে তার সদর্প উপস্থিতি। অভিনয় আমৃত্যু করে যাবেন—এমন প্রশ্নে দিলারা জামানের মত, ‘আমার তেমনই চিন্তা। অভিনয় করতে করতে মৃত্যুকে আলিঙ্গন করতে চাই। যে যাই বলুক না কেন, যতই ব্যাকডেটেড বলুক না কেন, আমি আমার অভ্যাস থেকে বের হতে পারব না। যার জন্য আমেরিকা ও কানাডায় থাকা মেয়েরা আমাকে সব সুযোগ-সুবিধা দিয়ে রাখার পরও নিজের দেশ, মাটি, অভিনয়ের টানে ফিরে এসেছি।’
নব্বইয়ের দশকে রাজত্ব করা রাভিনা ট্যান্ডনের মেয়ে রাশা থাডানিরও বলিউডে অভিষেক হয়েছে। শুধু রাশাই নন, উত্তরাধিকারকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার তালিকায় সুহানা খান, অনন্যা পাণ্ডে থেকে শুরু করে অনেক স্টারকিডই আছেন। সেদিক থেকে যেন ব্যতিক্রম কাজলের মেয়ে।
কাজলের মেয়ে নাইসা দেবগনের চলচ্চিত্র জগতে পা রাখার পরিকল্পনা আছে কি না, এমন প্রশ্নে ফিল্মিজ্ঞানকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে কথা বলেন কাজল।
কাজলকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল যে রাশা যেমন তার মা রাভিনার উত্তরাধিকার বহন করছে, তেমন করেই কি নাইসাও তার উত্তরাধিকারকে এগিয়ে নিয়ে যাবে? এরপর কাজল বলেন, ‘না, আমার মনে হয় না ও তা করবে। ও সিনেমায় আগ্রহী নয়। আমি আমার পরিবারের সব বাচ্চাকে ভালোবাসি এবং আমি চাই ওরা এমন কিছু করুক যা করতে ওদের ভালো লাগে। আমি মনে করি তাতেই ওরা সফল হবে।’
অভিনেত্রীর সন্তানরা তাঁর অভিনয় দেখে কী বলেন? এমন প্রশ্নে কাজল বলেন, ‘আমার সন্তানরা আমার ছবি পছন্দ করে না, কারণ সেগুলোতে আমাকে কাঁদতে হয়। ওঁরা পর্দায় মাকে কাঁদতে দেখতে পছন্দ করে না। নাসা এবং যুগ আমাকে কাঁদতে দেখে বেশ কষ্ট পায়। আমি ওঁদের বলেছি এটা নকল, কিন্তু ওঁরা তা বুঝতে পারে না।’
প্রসঙ্গত, রাশা অজয় দেবগনের ভাগ্নে আমান দেবগনের সঙ্গে ‘আজাদ’ ছবিতে অভিনয় করে বলিউডে ডেভিউ করেন। এই ছবিতে অজয় নিজেও অভিনয় করেছিলেন। ছবিটি বক্স অফিসে তেমন সাফল্য না পেলেও, সিনেমায় ‘উই আম্মা’ গানে রাশার নাচ তাকে খ্যাতি এনে দেয়।
এদিকে মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে কাজলের নতুন সিনেমা ‘মা’। বিশাল ফুরিয়া পরিচালিত এই পৌরাণিক ভৌতিক নাটকে তিনি ছাড়াও অভিনয় করেছেন রণিত রায়, ইন্দ্রনীল সেনগুপ্ত এবং খেরিন শর্মা। ছবিটি ২৭ জুন প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাওয়ার কথা রয়েছে।
দর্শকের হৃদয়ে এক সময় রাজত্ব করা জনপ্রিয় অভিনেত্রী আফসানা মিমি আবারও আলোচনার কেন্দ্রে। নাটকে সাবলীল অভিনয়ের জাদুতে যিনি এক সময় হয়ে উঠেছিলেন ঘরোয়া বিনোদনের অবিচ্ছেদ্য অংশ, সেই মিমি এবার ফিরেছেন বড় পর্দায়, ঈদুল আজহায় মুক্তিপ্রাপ্ত ‘উৎসব’ সিনেমায় অভিনয় করে। সময় বদলেছে, মাধ্যম বদলেছে, কিন্তু মিমির সেই অনবদ্য উপস্থিতি আজও তেমনই আবেগঘন, মুগ্ধকর, যেমনটা ছিল নব্বইয়ের নাট্যজগতে।
চলচ্চিত্রটির প্রেসমিট অনুষ্ঠানে কালবেলার এক সাক্ষাৎকারে ‘উৎসব’-এ অভিনয়ের অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছেন এ অভিনেত্রী।
মিমি বলেন, উৎসব সিনেমা এবার প্রমাণ করতে পারল, এ রকম সিনেমা দেখার জন্য আমরা মুখিয়ে থাকি। আমরা সবসময় বলি দর্শক এটা খায়, ওটা খায় না। এখন আমরা তো দেখতে পাচ্ছি দর্শক আসলে কী কী খায়। তাই সবরকমই থাকুক না দর্শকদের পাতে। তারাই সিদ্ধান্ত নেবেন কোনটা দেখবেন আর কোনটা দেখবেন না।
অভিনেত্রী আরও বলেন, আমি দুইবার একা একা সিনেমাটি দেখেছেন। ছবি দেখে আমি তো ভূতেদের প্রেমে পড়ে গেছি। একটা ভূত অপি এবং আরেকটা ভূত চঞ্চল যারা আমার পাশেই আছেন। আজ জয়াকে খুব মিস করছি। তবে আমি খুব খুশি সাদিয়া ও সৌম্যের অভিনয় দেখে। ওদের কেমিস্ট্রিটা এত সুন্দর স্ক্রিনে ফুটে উঠেছে সেটা বলে বোঝানো যাবে না।
তানিম নূরের পরিচালনায় নির্মিত এ চলচ্চিত্রটিতে আফসানা মিমি জেসমিন চরিত্রে অভিনয় করেছেন। আরও অন্যান্য চরিত্রে অভিনয় করেছেন, জয়া আহসান, জাহিদ হাসান, চঞ্চল চৌধুরী, সৌম্য জ্যোতি, সাদিয়া আয়মানসহ অনেকে।
নাটকের আকাশে উজ্জ্বল এক তারার নাম তানিয়া বৃষ্টি। ২০১৫ সালে অভিনয়ের জগতে পা রেখেছেন। একটানা পথচলার দশ বছর পেরিয়ে আজ তিনি এক পরিপক্ব শিল্পী। এই এক দশকে তার অভিনয়ের পরিধি ছুঁয়েছে বিভিন্ন ধরনের চরিত্র– নরম-কোমল প্রেমিকা, প্রতিবাদী নারী, প্রান্তিক জনপদের নারী, পরিবারের দায়িত্বশীল কন্যা কিংবা ক্ষতবিক্ষত হৃদয়ের গল্প বলা এক মানুষ। প্রতিটি ভূমিকায় তিনি নিজেকে ভেঙে গড়েছেন, প্রতিবার যেন নতুন এক তানিয়া বৃষ্টিকে খুঁজে পাওয়া যায়।
তানিয়া বৃষ্টির অভিনয়ে একটি অনাড়ম্বর সৌন্দর্য আছে, যা সহজে দর্শকের হৃদয় ছুঁয়ে যায়। তার হাসি যেমন মিষ্টি, তেমনি চোখের ভাষায় খেলা করে এক অনুচ্চারিত বেদনা। অভিনয়ের ভেতরে যে আত্মনিবেদন, তা হয়তো খুব বেশি উচ্চকিত নয়, তবে গভীর। কখনও কখনও ক্যামেরার সামান্য এক দৃষ্টি বিনিময়েই বোঝা যায় দৃশ্যের ভেতরে তার অনুরণন।
ঈদ মানেই উৎসব, আর সে উৎসবে তানিয়া বৃষ্টির নাটক যেন দর্শকের জন্য এক পরম প্রাপ্তি। গত ঈদেও তার সরব উপস্থিতি ছিল বেশ চোখে পড়ার মতো। ‘তাসের ঘর’, ‘মানুষ’, ‘ভালোবাসা অন্তহীন’, ‘পাষাণী’, ‘মনে পড়ে তোমাকে’ ও ‘ক্যাফেতে ভালোবাসা’– এই নাটকগুলো এক সপ্তাহের ব্যবধানে প্রচার হয়েছে ইউটিউব ও টেলিভিশনের বিভিন্ন চ্যানেলে। প্রতিটি নাটকে তিনি ভিন্ন ভিন্ন চরিত্রে, ভিন্ন ভিন্ন রূপে ধরা দিয়েছেন। একটি নারীর মনের প্রতিটি স্তর যেন খুলে ধরেছেন তিনি অভিনয়ের পরতে পরতে।
এই জনপ্রিয়তার পথে কেবল ফুল বিছানো ছিল না। কিছু কাজ হয়তো তাকেও তৃপ্ত করেনি, কিছু চিত্রনাট্যে হয়তো গভীরতা ছিল না, তবু তিনি বলছেন, এখনকার দিনে গল্প বাছাইয়ে তিনি অনেক বেশি সচেতন। তার কথায়, ‘গল্পের প্রতি আগের চেয়ে বহুগুণ বেশি মনোযোগী আমি। এখন মনে হয়, নিজেকে বারবার ভাঙার মতো চরিত্রই আমাকে টানে।
শুধু ক্যামেরায় মুখ দেখানোর জন্য কাজ করতে রাজি নই। এখন যেকোনো নাটকে কাজ করার আগে গল্পটা ভালো হওয়া জরুরি মনে করি। কারণ দর্শক গল্পটাই আগে খোঁজেন। এরপর চরিত্রে নিজের অভিনয় করার সুযোগটা কেমন আছে তাও ভেবে দেখি।’ এই আত্মঅনুসন্ধানী মনোভাবই তাকে করে তুলছে আরও পরিণত, আরও আবেগপ্রবণ শিল্পী।
শুধু কাজের মাধ্যমেই নয়, তানিয়া বৃষ্টি প্রায়ই থাকেন আলোচনায় ব্যক্তিগত নানা প্রসঙ্গেও। প্রেম, বিয়ে, সম্পর্ক সবকিছুতে থাকে ভক্তদের কৌতূহল। তবে তিনি নিজেই জানিয়েছেন, আপাতত ব্যক্তিগত জীবনের এসব পরিকল্পনা থেকে দূরে তিনি। বর্তমানে নিজের সব মনোযোগ অভিনয়ে, নিজেকে আরও শিল্পসম্মত করে গড়ে তোলায়।
বরাবরই নাটকের ছোটপর্দা থেকে সিনেমার বড়পর্দার প্রতি বেশি আগ্রহ ছিল তার। ক্যারিয়ারের শুরুতে সুযোগ পেয়ে যান আকরাম খানের ‘ঘাসফুল’ ছবিতে। এরপর বেশ কয়েকটি সিনেমার প্রস্তাব পেলেও নিয়মিত হননি বড়পর্দায়। ছোটপর্দাকে ঘিরে যার স্বপ্ন। এখন তিনি চেষ্টা করছেন প্রতিনিয়ত নিজেকে ছাড়িয়ে যাওয়ার। ২০১২ সালে ‘ভিট চ্যানেল আই টপ মডেল’ দ্বিতীয় রানারআপের মধ্য দিয়ে শোবিজে আসেন তানিয়া বৃষ্টি। এরপরই রচিত হয় শুধুই।
হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে কয়েকদিন আগে মৃত্যুবরণ করেছেন বলিউড অভিনেত্রী কারিশমা কাপুরের সাবেক স্বামী সঞ্জয় কাপুর। ২০০৩ সালে কারিশমা কাপুরের সঙ্গে এ প্রয়াত শিল্পপতির বিয়ে হয়েছিল। কারিশমা কাপুর ও সঞ্জয় কাপুরের ঘরে দুই সন্তানের জন্মও জন্মও হয়েছিল। তবে তাদের বিয়ে স্থায়ী হয়নি।
বিবাহবিচ্ছেদের পরে শুধুই সন্তান ও কাজে মন দিয়েছিলেন কারিশমা কাপুর। কিন্তু দ্বিতীয়বার বিয়ে করার ইচ্ছা ছিল কিনা তা এ অভিনেত্রীর, সঞ্জয়ের মৃত্যুর পর আবারও সেই প্রশ্ন উঠেছে।
কারিশমা কাপুর সঞ্জয়ের সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদের পর আর বিয়ে করেননি। এমনকি কখনো কারও সঙ্গে তার প্রেমের গুঞ্জনও শোনা যায়নি। সঞ্জয়ের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার আগে ২০০২ সালে অভিষেক বচ্চনের সঙ্গে বাগদান সম্পন্ন করেছিলেন কারিশমা কাপুর। তবে বিয়ের আগেই সম্পর্ক ভেঙে যায়। এর এক বছর যেতে না যেতে সঞ্জয়ের সঙ্গে সাতপাকে বাঁধা পড়েন কারিশমা। সঞ্জয় ও অভিষেক ছাড়া আর কোনো পুরুষের সঙ্গে কখনো সম্পর্কে জড়াননি এ অভিনেত্রী। শুধু তা-ই নয় ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে কখনো তিনি খুব একটা কথাও বলেননি। কারিশমাকে ২০২২ সালে ইনস্টাগ্রামে প্রশ্নোত্তর পর্বে এক অনুরাগী প্রশ্ন করেছিলেন, ‘আপনি কি দ্বিতীয় বিয়ে করতে ইচ্ছুক?’ তিনি জবাবে কিছুই বলেননি। শুধু একটি ইমোজি দিয়েছিলেন। সেই সঙ্গে লিখেছিলেন, ‘পরিস্থিতির উপর নির্ভর করছে।’ সেই ইমোজি ও মন্তব্য দেখে তার ভক্তরা ধারণা করেছিলেন, দ্বিতীয় বিয়ে নিয়ে নিশ্চয়ই সিদ্ধান্তহীনতা ভুগছেন কারিশমা। মানে কোথাও গিয়ে তার মনে এখনো বিয়ের ইচ্ছে রয়েছে কিনা। যদিও এরপরে বিয়ে নিয়ে আর কখনো তিনি মুখ খোলেননি।
বলিউডে যাদের প্রেম ও দাম্পত্যের গল্প রূপকথার মতো মনে হয়, রিতেশ দেশমুখ ও জেনিলিয়া ডিসুজা সেই তালিকার শীর্ষে থাকবেন নিঃসন্দেহে। ‘তুঝে মেরি কাসম’ ছবিতে একসঙ্গে পথচলা শুরু, তারপর প্রেম আর বিবাহ, সব মিলিয়ে যেন নিখুঁত সিনেমার চিত্রনাট্য। তবে এই প্রেমকাহিনির পেছনে ছিল আরেকটি অজানা অধ্যায়। জানা যায়, রিতেশকে বিয়ে করার আগে জেনেলিয়া নাকি জন আব্রাহামকে প্রায় বিয়েই করে বসেছিলেন।
রীতেশের সঙ্গে বিয়ে হওয়ার বছর দুয়েক আগে ২০১০ সালে জন আব্রাহামের সঙ্গে জুটি বেঁধে সিনেমা করেন অভিনেত্রী। সেখানেই বিয়ের দৃশ্যে পুরোহিত এনে অগ্নিসাক্ষী রেখে সাত পাকে বাঁধা পড়েন তারা, হয় সিঁদুরদানও। যদিও গোটাটাই ছিল সিনেমার অংশ। কিন্তু, আচমকা খবর ছড়িয়ে যায়, বিয়ে করে ফেলেছেন জেনেলিয়া-জন।
এ বিষয়ে ভারতীয় গণমাধ্যমকে জেনেলিয়া বলেন, ‘আমি কিছুই জানি না এ সব নিয়ে। সব বাজে কথা। আমরা বিয়ে করেছি, এ সব পিআর-দের বানানো গল্প।’
চলতি বছরের ২০ জুন মুক্তি পেতে চলেছে জেনেলিয়া অভিনীত সিতারে জমিন পার সিনেমাটি। অভিনেতা আমির খানের প্রযোজনায় এ চলচ্চিত্রটি পরিচালনা করেছেন নির্মাতা আর.এস. প্রসন্ন। জেনেলিয়ার পাশাপাশি এ ছবিতে অভিনয় করেছেন, আমির খান, ব্রিজেন্দ্র কালা, ডলি আহলুওয়ালিয়াসহ আরও অনেকে।
এক মাসের নীরবতা ভেঙে অবশেষে কাজে ফিরলেন ঢাকাই সিনেমার চিত্রনায়িকা নুসরাত ফারিয়া। ফেসবুকে একগুচ্ছ প্রাণবন্ত ছবি পোস্ট করে ক্যাপশনে লিখেছেন, ‘১ মাস পর…।’ ক্যাপশন ছোট হলেও তার প্রত্যাবর্তন ছিল বড়সড় চমক।
ফেসবুকে প্রকাশিত ছবিগুলোতে খোলা চুল, ঠোঁটে মিষ্টি হাসি- যেন ঝলমলে আলোয় ফিরে এসেছেন ফারিয়া। অনেক ভক্ত-অনুরাগী যেন খুঁজে পেয়েছেন সেই পুরোনো নায়িকাকে নতুন রূপে।
বলা দরকার, গত মাসে থাইল্যান্ডে যাওয়ার সময় ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে নুসরাত ফারিয়াকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালত তার জামিন মঞ্জুর করেন। এরপর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ফারিয়া কার্যত নিষ্ক্রিয় ছিলেন।
উল্লেখ্য, গত ১৮ মে ঢাকার ভাটারা থানায় দায়ের হওয়া একটি মামলায় গ্রেপ্তার হন নুসরাত ফারিয়া। অভিযোগ ছিল- বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সহিংসতা ও হত্যাচেষ্টার মতো গুরুতর বিষয়। ঘটনার পর মিডিয়া ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শুরু হয় তুমুল বিতর্ক। তবে ২০ মে জামিনে মুক্তি পেয়ে কাশিমপুর কারাগার থেকে বের হন এই চিত্রনায়িকা।
ভারতের হিন্দি সিনেমার দুই তারকা শাহরুখ খান ও সালমান খানকে একসঙ্গে নিয়ে ‘টাইগার ভার্সেস পাঠান’ নামের যে সিনেমাটি নির্মাণের কথা শোনা গিয়েছিল বছর খানেক আগে, সেই সিনেমার কাজ আগাচ্ছে। সোশাল মিডিয়ায় সিনেমা বন্ধের যে গুঞ্জন উঠেছে সেটি ‘সঠিক নয়’ বলে জানিয়েছে সিনেমা সংশ্লিষ্টরা। এনডিটিভি লিখেছে, পরিকল্পনা অনুযায়ী ‘টাইগার ভার্সেস পাঠান’ সিনেমার কাজ এগিয়ে যাচ্ছে, তবে সময় লাগবে।
চলতি বছরের শুরুতে সালমান এক অনুষ্ঠানে বলেছিলেন, ‘এই সিনেমাটি হয়ত হচ্ছে না’। এরপর থেকেই নানা গুঞ্জন ছড়াতে থাকে যে সিনেমাটি আর আলোর মুখ দেখবে না।
‘পিপিং মুন’ নামের যে অনলাইন পত্রিকাটি ‘টাইগার ভার্সেস পাঠান’ বন্ধ হওয়ার খবর প্রকাশ করেছিল, তারাও পরে সেই প্রতিবেদন সরিয়ে নেয়। ‘টাইগার বনাম পাঠান’ সিনেমাটি যশরাজ চলচ্চিত্রের স্পাই ইউনিভার্সের অংশ।
এই ফ্রাঞ্জাইজির শুরু হয়েছিল ২০১২ সালে মুক্তি পাওয়া সালমান খান ও ক্যাটরিনা কাইফ অভিনীত ‘এক থা টাইগার’ সিনেমা দিয়ে। সেখানে সালমানের চরিত্র ছিল রাষ্ট্রীয় গুপ্তচর সংস্থার কর্মকর্তা।
তারপর ২০১৭ সালে এর সিক্যুয়েল ‘টাইগার জিন্দা হ্যায়’ মুক্তি পায়। এরপর ২০২৩ সালে আসে ‘টাইগার থ্রি’।
এই ফ্রাঞ্চাইজির সঙ্গে শাহরুখ খান যুক্ত হন ২০২৩ সালে, তার অভিনীত ‘পাঠান’ সিনেমার মাধ্যমে। ওই সিনেমায় সালমান খান হাজির হন ক্যামিও চরিত্রে।
এই ধারাবাহিকের আরও সিনেমার মধ্যে আছে হৃতিক রোশন ও টাইগার শ্রফ অভিনীত ‘ওয়ার’। যেটি মুক্তি পেয়েছিল ২০১৯ সালে। এর সিক্যুয়েল ‘ওয়ার ২’ সিনেমার কাজ চলছে। যেখানে দেখা মিলবে হৃতিক রোশান ও দক্ষিণের তারকা জুনিয়র এনটিআরের। যা পরিচালনা করছেন অয়ন মুখোপাধ্যায়।
এছাড়া ‘আলফা’ নামের নতুন সিনেমারও পরিকল্পনা রয়েছে , যেখানে অভিনয় করবেন আলিয়া ভাট ও শরভারি ওয়াঘ।
শাহরুখ খান ও সালমান খানের আগেও একাধিক সিনেমায় একসঙ্গে অভিনয় করেছেন। এর মধ্যে রয়েছে ‘করন অর্জুন’, ‘কুছ কুছ হোতা হ্যায়’, ‘হাম তুমহারে হ্যায় সানাম’সহ আরো কয়েকটি।
সালমান খানকে সর্বশেষ দেখা গেছে এ আর মুরুগাদোস পরিচালিত ‘সিকান্দার’ সিনেমায়। চলতি বছরের রোজার ঈদে মুক্তি পাওয়া সিনেমাটি প্রত্যাশা পূরণ করতে ব্যর্থ হয়েছে।
অন্যদিকে শাহরুখ খান অভিনীত সর্বশেষ সিনেমা ছিল রাজকুমার হিরানির ‘ডাঙ্কি’। সামনে তাকে দেখা যাবে ‘কিং’ সিনেমায়।