বাংলা বিনোদন জগতের অন্যতম প্রবাদপ্রতিম শিল্পী তিনি। সে অভিনয় হোক বা পরিচালনা, গান হোক বা গল্প লেখা সবক্ষেত্রেই তিনি তার নিজের ছাপ ফেলেছেন। নিজের একটা ধারায় একটা ব্র্যান্ড তৈরি করেছেন। বলা হচ্ছে অভিনেতা, গায়ক ও পরিচালক অঞ্জন দত্তর কথা।
অঞ্জন দত্ত মানেই, বেলা বোসের সেই ফোন নম্বর, রঞ্জনার পাড়া, অঞ্জন দত্ত মানেই দার্জিলিংয়ের খাদের ধারের রেলিং। গিটার হাতে তুলে বাঙালির কানে পৌঁছে দেওয়া প্রেম, বিরহের নতুন সুর। তবে শুধুই কি গান? না, অঞ্জন দত্ত মানেই ‘বং কানেকশন’, ‘ম্যাডলি বাঙালি’ কিংবা ‘বো বারাকস’। সিনেমার পর্দা থেকে আবার নাটকের মঞ্চেও অভিনেতা, গায়ক, পরিচালক। এখনও নাট্যপ্রেমী মানুষ, তার গ্যালিলিও ভুলতে পারেননি। অঞ্জন দত্তের এই সফরের শুরুটা কিন্তু নাটকের মঞ্চ থেকেই হয়েছিল। সেই অঞ্জন দত্তই হঠাৎ বার্তা দিলেন, শেষ নাটকের!
অঞ্জন দত্ত সোশ্যাল মিডিয়ায় তার আগামী নাটকের একটি পোস্টার শেয়ার করেন। সেখানে তারই ছবি দেখা যাচ্ছে সাদাকালোয়। গলার লাল পোশাকের অংশ। পেছনে ফাটা দেয়াল। তার চোখ দুটো ব্লার করা। নাটকের নাম আরও একটা লেয়ার। উইলিয়াম শেক্সপিয়রের উপন্যাস থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে বানানো হয়েছে নাটকটি, অঞ্জন দত্তের প্রযোজনায়। তবে কবে মঞ্চস্থ হবে সেটা জানানো হয়নি। আর এই পোস্টের ক্যাপশনেই তিনি লিখেছেন, ‘আমার শেষ নাটক।’ আর তাতেই তার অনুরাগীরা কষ্ট পেয়েছেন। জানতে চেয়েছেন কেন এটা শেষ নাটক? শেষ হলে কিছু হয় না, দাবি তাদের। এক ব্যক্তি লেখেন, ‘কেন শেষ কেন? একেবারেই না।’ আরেকজন লেখেন, ‘শেষ বলে কিছু নেই....অশেষ শুভেচ্ছা আর ভালোবাসা।’ তৃতীয় জন লেখেন, ‘শেষ নাহি যে শেষ কথা কে বলবে।’
প্রসঙ্গত অঞ্জন দত্ত কিন্তু মাসখানেক আগেই এই নাটকের কথা ঘোষণা করেছিলেন। সেখানে তিনি লেখেন, ‘আপনারা নানা জায়গায় ছড়িয়ে আছেন। কলকাতায় এসে আমার থিয়েটার দেখা সম্ভব নয়। মৃণাল দা কিন্তু চাইতেন আমি থিয়েটারটা না থামাই। তাই এই বছর সিনেমা আর নয়। থিয়েটার। শেক্সপিয়রের কিং লিয়র.… এই ৭১ বছর বয়সে এসে আবার থিয়েটারে মজা। শেক্সপিয়র আমার জীবনে প্রথম বার, কিং লিয়র।’
প্রকৃতির রুদ্ররোষে হলিউড! জেমি লি কার্টিস, প্যারিস হিলটন, অ্যান্থনি হপকিনস, ম্যান্ডি মুরেরদের লস অ্যাঞ্জেলেসের বাড়ি দাবানলের গ্রাসে। ভয়াবহ পরিস্থিতিতে আতঙ্ক সর্বত্র। আগুনের লেলিহান শিখায় জ্বলতে থাকা ঘরবাড়ির ছবি শেয়ার করে একাধিক হলিউড তারকা সোশ্যাল মিডিয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। ইতোমধ্যেই জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে সেখানে। দেশি গার্লখ্যাত বলিউড ও হলিউড তারকা প্রিয়াঙ্কা চোপড়ার লস অ্যাঞ্জেলেসের বাড়ির অনতিদূরেই এমন অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে। বুধবার গভীর রাতে সেই ছবি শেয়ার করে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন এই অভিনেত্রী।
প্রিয়াঙ্কা চোপড়া নিজেও এখন আমেরিকাবাসী। বিগত কয়েক বছর ধরেই লস অ্যাঞ্জেলেসে নিক জোনাসের সঙ্গে ঘরকন্না পেতেছেন তিনি। পাশাপাশি হলিউডেও তিনি বেশ পরিচিত মুখ। বুধবার রাতে তার বেভারলি হিলসের বাংলো বাড়ির বারান্দা থেকে যে দৃশ্য ক্যামেরাবন্দি করলেন অভিনেত্রী, তা দেখে শিউরে উঠতে হয়! দাউদাউ করে জ্বলছে সর্বত্র। বিধ্বংসী দাবানলে ক্ষতিগ্রস্ত ক্যালিফোর্নিয়া নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে একাধিক ইনস্টাগ্রাম স্টোরি শেয়ার করেছেন প্রিয়াঙ্কা। সেখানেই তার প্রার্থনা, ‘রাতে যেন আমরা সবাই সুরক্ষিত থাকি।’
এদিকে এই আতঙ্কের মধ্যেই নতুন একটি সুখবর পেলেন প্রিয়াঙ্কা। আসন্ন অস্কারের সংক্ষিপ্ত তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে ভারতের স্বল্পদৈর্ঘ্য সিনেমা ‘অনুজা’। সিনেমাটির নির্বাহী প্রযোজক প্রিয়াঙ্কা চোপড়া। একটি নয় বছর বয়সী মেয়ের গল্প উঠে এসেছে এই সিনেমায়। মেয়েটি তার বড় বোন পলকের সঙ্গে একটি গার্মেন্টস কারখানায় কাজ করে। সে এমন একটি সিদ্ধান্তের মুখোমুখি হয়, যা তার ভবিষ্যৎ এবং পরিবার, উভয়কেই প্রভাবিত করে।
এই সিনেমার সঙ্গে যুক্ত হওয়ার বিষয়ে প্রিয়াঙ্কা বলেন, ‘সিনেমাটি এমন একটি বিষয়ের ওপর নির্মিত, যা বিশ্বজুড়ে লাখ লাখ শিশুকে প্রভাবিত করবে। এই শিশুরা তাদের ভবিষ্যৎ সম্পর্কে একেবারেই ভাবে না এবং কঠিন বাস্তবতার মুখোমুখি হয়।’ তিনি আরও বলেন, মর্মস্পর্শী, চিন্তা করতে সাহায্য করবে এমন একটি গল্পের সিনেমা ‘অনুজা’। এটি আমাদের জীবনের গতিপথকে প্রভাবিত করতে দারুণভাবে সাহায্য করবে। আমি এমন একটি অসাধারণ প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত হতে পেরে অত্যন্ত গর্বিত।
সিনেমাটি নির্মাণ করেছে সালাম বালক ট্রাস্ট (এসবিটি) নামে একটি অলাভজনক প্রতিষ্ঠান। এটি মূলত কাজ করে ছিন্নমূল শিশুদের সহায়তার জন্য। ‘অনুজা’র চিত্রনাট্য লিখেছেন আদম জে গ্রেভস। সিনেমাটি নির্মাণও করেছেন তিনি।
শোবিজ তথা সংগীতাঙ্গনে এখন একটাই আলোচনা। আর সেটা হচ্ছে সংগীতশিল্পী ও অভিনেতা তাহসান খানের নতুন বিয়ে নিয়ে। সোশ্যাল মিডিয়ায় চোখ রাখলেই এ উন্মাদনার প্রমাণ মিলছে। গত ৪ জানুয়ারি বিয়ের খবর প্রকাশ পায় তাহসানের। এরপর থেকেই গায়ক এবং তার নতুন জীবনসঙ্গী রোজা আহমেদের বিয়ের ছবি ঘুরছে শত শত পোস্টে। শুভকামনার বন্যার সঙ্গে চলছে নানা কৌতূহল। সবচেয়ে বেশি প্রশ্ন- হানিমুনে কোথায় যাচ্ছেন তাহসান-রোজা দম্পতি? সেই প্রশ্নের জবাব মিলল এবার। গতকাল মঙ্গলবার সকাল ৮টা ৫৫ মিনিটে দেশের একটি এয়ারলাইনসের বিমানে করে মালদ্বীপের উদ্দেশে রওনা হন তারা। সূর্যময় দ্বীপরাজ্যে মধুচন্দ্রিমার বিশেষ মুহূর্তগুলো কাটাবেন এ দম্পতি। দ্বিতীয় বিয়ের পর যেন মধুর সমস্যায় পড়েছেন তাহসান খান। একদল ভক্ত তার নতুন জীবনের জন্য শুভকামনা জানিয়েছেন। আবার অন্য একটি দল স্ত্রী রোজা আহমেদের সঙ্গে তার বয়সের পার্থক্য ও দুজনের অতীত নিয়ে সমালোচনায় মেতেছেন। বিষয়গুলো নিয়ে বরাবরের মতোই নীরব তাহসান।
অতীতেও অভিনেত্রী মিথিলার সঙ্গে তার বিচ্ছেদ নিয়ে কম আলোচনা হয়নি। প্রতিবারই এই অভিনেতা থেকেছেন নীরব ভূমিকায়। এবারও শুরু থেকেই তাই করেছেন। বিয়ে করলেও কোনো ঢাকঢোল পেটাননি। বরং পারিবারিক আয়োজনেই সব অনুষ্ঠান ও কার্যক্রম সম্পন্ন করেছেন। বিয়ের পর গত সোমবার সন্ধ্যায় রাজধানীর গুলশানের একটি রেস্টুরেন্টে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে প্রকাশ পায় তাহসান খান ও সিঁথি সাহার নতুন গান ‘একা ঘর আমার’। বিরহ ধাচের গানটি লিখেছেন তাহসান নিজেই। সংগীতায়োজন করেছেন সাজিদ সরকার। অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে নিজ হাতে অনুপম মিউজিক ইউটিউব চ্যানেলে গানটি প্রকাশ করেন তাহসান। সঙ্গে ছিলেন সিঁথি সাহা, সাজিদ সরকারসহ আরও অনেকে।
আর এই অনুষ্ঠানের হাজির হয়ে নতুন গানের পাশাপাশি বিয়ে নিয়েও সাংবাদিকদের নানারকম প্রশ্নের মুখোমুখি হন তাহসান। সেখানে বিয়ে নিয়ে নানা সমালোচনা-বিতর্কের জবাবে ঠাণ্ডা মাথায় তাহসান বলেন, ‘আমাদের দেশের মানুষের মধ্যে রসবোধটা একটু বেশি। এ ছাড়া আমরা জাতিগতভাবে একটু বেশি বিচারকধর্মী। কিছু মানুষ আছেন যারা সব সময় চুলচেরা বিশ্লেষণ নিয়ে একটু বেশি ব্যস্ত থাকেন। এটা উচিত না। এসব বিষয় মাথায় রাখলে এগিয়ে যাওয়া কঠিন।’
বিয়ের পরের অনুভূতি জানতে চাইলে মিষ্টি হেসে তাহসান বলেন, ‘আমি অন্য আর দশজন মানুষের মতোই। বিয়ে হলো আমার ব্যক্তিগত জীবনের একটা অংশ। আর্টিস্ট হিসেবে মানুষ আমার ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে অনেক কিছু জানতে চায় তাই বিয়ের মতো এত বড় একটি বিষয় লুকিয়ে রাখতে চাইনি। এর বাইরে আমার কিছু বলার নেই।’
ছবি নিষিদ্ধ করার ডাক, তথ্য বিকৃতির অভিযোগ, প্রাণনাশের হুমকিসহ একাধিক বিতর্কের জাল পেরিয়ে অবশেষে ‘এমার্জেন্সি’ মুক্তির আলো দেখতে চলেছে আগামী ১৭ জানুয়ারি। তার প্রাক্কালেই নতুন ট্রেলার প্রকাশ্যে এনে ঝাঁজালো কঙ্গনা রানাউত। ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীকে ‘সবচেয়ে বিতর্কিত নেত্রী’ বলে সম্বোধন করলেন। ‘ইন্দিরাই ইন্ডিয়া’, নতুন ট্রেলারে সত্তর দশকের উত্তাল সময়ের ঝলক দেখা গেল। নেতা-মন্ত্রীদের দাবার চালে তৎকালীন রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট কতটা প্রভাবিত হয়েছিল, ‘ইমার্জেন্সি’র নয়া ট্রেলারে সেই আওয়াজও স্পষ্ট। জয়প্রকাশ নারায়ণের ভূমিকায় অনুপম খের, যুব অটল বিহারি বাজপেয়ীর চরিত্রে শ্রেয়স তলপড়ে, ফিল্ড মার্শাল স্যাম মানেকশর চরিত্রে মিলিন্দ সোমানকে দেখা গেল সেই ঝলকে। কঙ্গনার ‘ইমার্জেন্সি’তে গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে রয়েছেন মহিমা চৌধুরী এবং সতীশ কৌশিকও।
ট্রেলার প্রকাশ্যে এনে কঙ্গনার মন্তব্য, ‘বহু চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হওয়ার পর এমার্জেন্সি অবশেষে ১৭ জানুয়ারি বড়পর্দায় আসছে। আমি খুব খুশি। এই গল্প শুধু এক বিতর্কিত নেত্রীর নয়, এই ছবি বর্তমান প্রেক্ষাপটেও ভীষণ প্রাসঙ্গিক। সাধারণতন্ত্র দিবসের মাত্র এক সপ্তাহ আগে রিলিজ করছে। সপরিবারে কিংবা কাছের মানুষকে নিয়ে দেশপ্রেম উদযাপন করার একেবারে যোগ্য সময়।’
সত্তর দশকের প্রেক্ষাপটে তৈরি কঙ্গনার ‘ইমার্জেন্সি’। ছবিতে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর চরিত্রে অভিনয় করেছেন অভিনেত্রী। প্রথমে ২০২৩ সালের অক্টোবর বা নভেম্বরে ছবিটির মুক্তি পাওয়ার কথা ছিল। তা পিছিয়ে রিলিজ ডেট হিসেবে চলতি বছরের ১৪ জুন তারিখটি নিশ্চিত করা হয়েছিল। কিন্তু লোকসভা নির্বাচনের কারণে ফের ছবির মুক্তির তারিখ পিছিয়ে দেওয়া হয়। ৬ সেপ্টেম্বর নতুন মুক্তির তারিখ হিসেবে ধার্য করা হয়। কিন্তু সেই সময়েও সেন্সর বোর্ডের চোখ রাঙানিতে মুক্তির আলো দেখতে পারেনি ‘ইমার্জেন্সি’।
প্রসঙ্গত, ‘ইমার্জেন্সি’ সিনেমা নিয়ে প্রবল আপত্তি ছিল ‘শিরোমনি গুরুদ্বারা প্রবন্ধক কমিটি’র। ছবিটিকে নিষিদ্ধ করার দাবি জানানো হয়েছিল। সেই রেশ কাটতে না কাটতেই শিরোমণি অকালি দলের তরফ থেকেও আপত্তি ওঠে। অভিযোগ ওঠে ছবিটি শিখ সম্প্রদায়ের জন্য অপমানজনক। এই সম্প্রদায় সম্পর্কে ভুল তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। এই অভিযোগে চণ্ডীগড়ের জেলা আদালতে মামলা নথিভূক্ত করার আর্জি জানিয়েছিলেন আইনজীবী রবিন্দর সিং। তার জেরে অভিনেত্রী তথা সাংসদকে নোটিশও পাঠানো হয়েছিল। আগস্ট মাসে প্রাণনাশের হুমকিও পেয়েছিলেন তারকা সাংসদ। তবে এবারে সেন্সরের ছাড়পত্র নিয়েই এমার্জেন্সি মুক্তি পাচ্ছে।
বলিউডের লাস্যময়ী অভিনেত্রী দীপিকা পাড়ুকোন। দেখতে দেখতে ক্যারিয়ারের দেড় দশক পার করে দিয়েছেন এই অভিনেত্রী। এই দেড় দশকে অনেক উত্থানের ঘটনা ঘটেছে তার ক্যারিয়ারে। বলিউডের গণ্ডি পেরিয়ে অভিনয় করেছেন হলিউডের সিনেমায়ও। দীপিকা পাড়ুকোন গত দুই বছরে শুধু বক্স অফিসেই বিস্ফোরণ ঘটাননি, তিনি অনেক জায়গায় ভারতের প্রতিনিধিত্বও করেছেন। বর্তমানে ভারতীয় অভিনেত্রীদের মধ্যে সবচেয়ে প্রভাবশালী ও বিশ্বসেরা ব্র্যান্ডগুলোর অ্যাম্বাসাডর হিসেবেও কাজ করে যাচ্ছেন তিনি।
গতকাল ৫ জানুয়ারি ৩৯ বছরে পা রাখলেন দীপিকা পাড়ুকোন। আজকের বলিউডে ডিভার কর্মজীবন শুরু হয়েছিল ২০০৫ সালে। সে বছরই প্রথম পোশাকশিল্পী সুনীত বর্মার জন্য মার্জার সরণীতে হেঁটেছিলেন। তার পর থেকে একাধিক বিজ্ঞাপন ও মিউজ়িক ভিডিওয় কাজ। অভিনয়ের সফর শুরু কন্নড় ছবি ‘ঐশ্বর্য’ থেকে।
তার পরেই ২০০৭ সালে বলিউডে পা। প্রথম ছবিতেই বলিউডের বাদশাহের বিপরীতে তিনি। ‘ওম শান্তি ওম’ ছবিতে শান্তিপ্রিয়ার চরিত্রে নজর কেড়েছিলেন দীর্ঘাঙ্গী অভিনেত্রী। টানা টানা চোখে টানা কাজল, সারল্যে ভরা হাসিতে মুগ্ধ করেছিলেন দীপিকা। এর পরে আর পিছন ফিরে তাকাতে হয়নি দীপিকাকে। ১৭ বছর বলিউডে কাটিয়ে ফেলেছেন তিনি। বর্তমানে ভারতের প্রথম সারির অভিনেত্রীদের মধ্যে তিনি একজন। পারিশ্রমিকের দিক থেকেও এগিয়ে তিনি। নায়িকার ৩৯ তম জন্মদিনে দেখে নেওয়া যাক তার সম্পত্তির পরিমাণ।
বর্তমানে দীপিকা প্রায় ৫০০ কোটির সম্পত্তির মালিক। জানা গেছে, প্রতি ছবির জন্য ৩০ কোটি টাকার আশপাশে পারিশ্রমিক নেন তিনি। হিসাব বলছে, প্রতি মাসে দীপিকার আয় ৩ কোটি টাকা। বার্ষিক আয় ৪০ কোটিক আশপাশে ঘোরাফেরা করে।
২০১৩ সালে মুম্বাইয়ের প্রভাদেবীতে একটি বিলাসবহুল বাড়ি কিনেছিলেন দীপিকা। পরে স্বামী রণবীর সিংহের সঙ্গে জোট বেঁধে বান্দ্রাতে শাহরুখের বাড়ির কাছেই আরও একটি বাসস্থান ক্রয় করেন দীপিকা। ১১,২৬৬ বর্গফুটের সেই বাড়ির দাম ১১৯ কোটি টাকা।
এখানেই শেষ নয়। ওরলিতে পাঁচ কামরার একটি ফ্ল্যাট রয়েছে দীপিকা-রণবীরের, যার দাম ৪০ কোটি টাকা। মাঝে মধ্যেই ছুটি কাটাতে আলিবাগে ছুটে যান এই তারকা দম্পতি। সেখানেও তাদের একটি বাংলো রয়েছে। সেই বাংলোর দাম ২২ কোটি টাকা। এ ছাড়া বেশ কিছু সংস্থায় বিনিয়োগ করে রেখেছেন দীপিকা। অভিনয়ের পাশাপাশি একাধিক বিদেশি ব্র্যান্ডের মুখ হিসাবেও আয় করেন তিনি। বর্তমানে তার নিজস্ব পোশাক ও ত্বক পরিচর্যার ব্র্যান্ডও রয়েছে।
মারা গেছেন বর্ষীয়ান অভিনেতা প্রবীর মিত্র। আজ রোববার রাত ১০টা ১০ মিনিটে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মৃত্যু বরণ করেছেন। অভিনেতার ছোট ছেলে সিফাত ইসলাম গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
অন্যদিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক পোস্টে মিশা সওদাগর লিখেছেন, ‘প্রবীর মিত্র দাদা আর নেই। কিছুক্ষণ আগে উনি ইন্তেকাল করেছেন। স্রষ্টা তাকে ক্ষমা করুক।’
সেই পোস্টের কমেন্ট বক্সে ভক্ত-অনুরাগীরা কিংবদন্তি অভিনেতার মৃত্যুকে শোক জানিয়েছেন।
মৃত্যুকালে প্রবীর মিত্রের বয়স হয়েছিল ৮১ বছর।
জানা গেছে, প্রবীর মিত্র বেশ কিছু শারীরিক জটিলতা নিয়ে ১৩ দিন ধরে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। শরীরে অক্সিজেন স্বল্পতাসহ বেশ কিছু অসুস্থতায় গত ২২ ডিসেম্বর তাঁকে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়।
১৯৪৩ সালের ১৮ আগস্ট কুমিল্লার চান্দিনায় জন্মগ্রহণ করেন প্রবীর মিত্র। তাঁর পুরো নাম প্রবীর কুমার মিত্র। পুরান ঢাকায় বড় হওয়া প্রবীর মিত্র স্কুলজীবন থেকেই নাট্যচর্চার সঙ্গে যুক্ত হন। স্কুলজীবনে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘ডাকঘর’ নাটকে অভিনয় করেছিলেন তিনি।
১৯৬৯ সালে প্রয়াত এইচ আকবরের ‘জলছবি’ চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য প্রথম প্রবীর মিত্র ক্যামেরার সামনে দাঁড়ান। যদিও চলচ্চিত্রটি মুক্তি পায় ১৯৭১ সালের ১ জানুয়ারি। ক্যারিয়ারের শুরুর দিকে প্রবীর মিত্র ‘নায়ক’ হিসেবে কয়েকটি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। পরে চরিত্রাভিনেতা হিসেবে কাজ করেও তিনি দর্শকপ্রিয়তা পেয়েছেন।
প্রবীর মিত্রের পুত্রবধূ সোনিয়া ইসলাম জানিয়েছেন, রাতে গোসল শেষে ফ্রিজার গাড়িতে প্রবীর মিত্রের লাশ ধানমন্ডির বাসায় রাখা হবে। আগামীকাল সোমবার বাদ জোহর এফডিসিতে প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর চ্যানেল আইতে দ্বিতীয় জানাজা শেষে আজিমপুর কবরস্থানে তাঁকে দাফন করা হবে।
শুক্রবার মধ্যরাত থেকে ফেসবুকে চাউর হতে থাকে জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী তাহসান খান দ্বিতীয় বিয়ে করেছেন। ফেসবুকে নেটিজেনরা বাংলা নাটকের বিভিন্ন গ্রুপ থেকে শুরু করে নানাজনের টাইমলাইনে পোস্ট দিতে থাকেন এ বিষয়ে। পাত্রীর ছবি দিয়ে সেসব পোস্ট করা হয়। যেখানে জানানো হয় যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী মেকওভার আর্টিস্ট রোজা আহমেদের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন তাহসান খান। বেশ কয়েকটি সংবাদমাধ্যম ঘটা করে সংবাদও প্রচার করেছেন। তবে গতকাল শনিবার একাধিক গণমাধ্যম থেকে ঘটনার সত্যতা নিয়ে তাহসানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বিয়ে করেননি বলে উল্লেখ করেন।
তিনি বলেন, ‘এখনো বিয়ে হয়নি। কোনো আনুষ্ঠানিকতাও হয়নি। একটা ঘরোয়া আয়োজন ছিল, সেখানে এ ছবিগুলো তোলা। গতকাল সন্ধ্যায় বিস্তারিত জানাব।’
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাহসান ও রোজার একাধিক ছবি ভাইরাল হয়েছে। চলে নানান আলোচনা। তাতে নেটিজেনরা শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা জানাতে থাকেন। শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বিনোদন অঙ্গনের অনেকে। এমনো লিখেছেন কেউ কেউ, ‘অবশেষে চাঁদের আলো খুঁজে পেয়েছেন তাহসান। তার সেই প্রিয় গান যেন অবশেষে সত্য হয়ে ধরা দিল!’
একাধিক সূত্রে জানা গেছে, রোজা আহমেদ ১০ বছরের বেশি সময় ধরে বাংলাদেশে ও যুক্তরাষ্ট্রে ব্রাইডাল মেকআপ আর্টিস্ট হিসেবে কাজ করছেন। রোজা নিউইয়র্কে পড়াশোনা করেছেন। পড়াশোনা শেষ করে তিনি কসমেটোলজি লাইসেন্স অর্জন করে পরবর্তী সময়ে নিউইয়র্কের কুইন্সে রোজাস ব্রাইডাল মেকওভার প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি একজন উদ্যোক্তা বলেও জানান তাহসান। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে রোজা বেশ জনপ্রিয়, অসংখ্য অনুসারী রয়েছে তার।
প্রায় ১৮ বছর আগে ২০০৬ সালের ৭ আগস্ট বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন তাহসান খান ও অভিনেত্রী মিথিলা। এরপর ২০১৩ সালের ৩০ জুলাই তারা কন্যাসন্তানের মা-বাবা হন। পরে ২০১৭ সালের ৪ অক্টোবর বিচ্ছেদের ঘোষণা দেন তাহসান। নিজের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজ থেকে এদিন দুপুরে তাহসান ও মিথিলা যৌথভাবে তাদের বিবাহবিচ্ছেদের ঘোষণা দেন। সাবেক এই দম্পতির বিচ্ছেদের বিষয়টি তাদের অনেক ভক্ত সহজভাবে মেনে নিতে পারেননি। পরে মিথিলা ভারতের চলচ্চিত্র নির্মাতা সৃজিতকে বিয়ে করেন।
না ফেরার দেশে চলে গেলেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত অভিনেত্রী অঞ্জনা রহমান। শুক্রবার দিবাগত রাত ১টা ১০ মিনিটে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। গণমাধ্যমকে অঞ্জনার মৃত্যুর খবরটি নিশ্চিত করেছেন শিল্পী সমিতির সভাপতি মিশা সওদাগর। অঞ্জনার বয়স হয়েছিল ৬৮ বছর। তিনি দুই মেয়ে ও এক ছেলে রেখে গেছেন।
জানা গেছে, তিন সপ্তাহ ধরে অসুস্থ ছিলেন এক সময়ের জনপ্রিয় এই অভিনেত্রী। শুরুতে জ্বর ছিল। সারা শরীর কেঁপে জ্বর আসত। একটা সময় ওষুধ খেয়েও কাজ হচ্ছিল না। শেষে জানা যায়, তার রক্তে সংক্রমণ ধরা পড়েছে। এরপর অঞ্জনাকে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে কয় দিন তাকে রাখা হয় সিসিইউতে।
সেখানকার চিকিৎসায় শারীরিক অবস্থার আশানুরূপ উন্নতি না হওয়ায় হাসপাতাল বদলে গত বুধবার অঞ্জনাকে নেওয়া হয় বঙ্গবন্ধু মেডিকেলে। শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় ওই রাতেই তাকে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়। ভেন্টিলেশনে থাকা অবস্থায় তার অবস্থার কখনো উন্নতি, কখনো অবনতি হচ্ছিল। শেষ পর্যন্ত চলেই গেলেন এই নায়িকা।
বাংলাদেশি চলচ্চিত্রের এক সময়ের জনপ্রিয় অভিনয়শিল্পী অঞ্জনা নৃত্যশিল্পী থেকে নায়িকা হয়ে সর্বাধিক যৌথ প্রযোজনা এবং বিদেশি সিনেমায় অভিনয় করেছেন।
অঞ্জনার অভিনয়জীবন শুরু হয় ১৯৭৬ সালে। বাবুল চৌধুরী পরিচালিত ‘সেতু’ চলচ্চিত্রে প্রথম অভিনয় করেন তিনি। তবে অঞ্জনা অভিনীত ও একই বছর মুক্তিপ্রাপ্ত প্রথম চলচ্চিত্র ‘দস্যু বনহুর’। ছবিতে তার নায়ক ছিলেন সোহেল রানা। এ ছবির পর তাকে আর ক্যারিয়ার নিয়ে ভাবতে হয়নি।
১৯৭৬ সালের এই সিনেমার পর টানা কাজ করেছেন অঞ্জনা। একে একে অভিনয় করেন ‘মাটির মায়া’, ‘অশিক্ষিত’, ‘চোখের মণি’, ‘সুখের সংসার’, ‘জিঞ্জির’, ‘অংশীদার’,‘আনারকলি’, ‘বিচারপতি’, ‘আলাদীন আলীবাবা সিন্দাবাদ’, ‘অভিযান’, ‘মহান’ ও ‘রাজার রাজা’, ‘বিস্ফোরণ’, ‘ফুলেশ্বরী’, ‘রাম রহিম জন’, ‘নাগিনা’, ‘পরীণিতা’ ইত্যাদি বাণিজ্যিক সফল সিনেমায়।
শনিবার বেলা ১১টা ২৫ মিনিটে অঞ্জনার মরদেহ বহনকারী গাড়িটি এফডিসিতে পৌঁছালে শোকাবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। শেষবারের মতো এই চিত্রনায়িকাকে দেখতে আসেন দীর্ঘদিনের সহকর্মী, ভক্ত থেকে সংবাদকর্মীরা। জোহরের নামাজের পর প্রথম জানাজা শেষে মরদেহ নেওয়া হয় চ্যানেল আই প্রাঙ্গণে। সেখানে দ্বিতীয় জানাজা শেষে বনানী কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।
অঞ্জনাকে শেষবিদায় জানাতে এদিন এফডিসিতে এসেছিলেন চিত্রনায়ক আলমগীর, উজ্জ্বল, ইলিয়াস কাঞ্চন, চিত্রনায়িকা নূতন, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সভাপতি মিশা সওদাগর, চিত্রনায়ক মেহেদী, অভিনেতা সুব্রত, নাসরিন, চিত্রনায়িকা অপু বিশ্বাস, জয় চৌধুরী, রোমানা মুক্তিসহ অনেকে। পরিচালকদের মধ্যে ছটকু আহমেদ, শাহিন সুমন, মুশফিকুর রহমান গুলজার, চয়নিকা চৌধুরী, প্রযোজক নেতা খোরশেদ আলম খসরুসহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।
এসেছিলেন প্রযোজক সমিতি, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রদর্শক, চিত্রগ্রাহক সমিতির সদস্যসহ চলচ্চিত্রের বিভিন্ন সংগঠনের সদস্যরা।
যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেসের ইতিহাসের ভয়াবহতম দাবানলে পুরো এলাকা ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। দাবানলে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে দুই হাজারের বেশি বসতবাড়ি-স্থাপনা, বাস্তুচ্যুত হয়েছেন লাখের বেশি বাসিন্দা। দাবানলে বিপর্যস্ত হলিউডও। সেখানে অবস্থিত অনেক জনপ্রিয় তারকার বাড়ি পুড়ে ছাই। আর এমন হৃদয়বিদারক দুর্যোগ দেখে ভেঙে পড়েছেন বলিউড অভিনেত্রী প্রীতি জিনতারও। দাবানলের আগুন থেকে রক্ষা পেয়েছেন তিনি ও তার পরিবার। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিজের নিরাপদ থাকার খবরটি জানান অভিনেত্রী।
বিয়ের পর থেকেই বলিউড অভিনেত্রী লস অ্যাঞ্জেলেসে বসবাস করছেন প্রীতি জিনতা। জেনে গুডএনাফের সঙ্গে সেখানকার বাংলোয় সুখের সংসার প্রীতির। দুই সন্তানও রয়েছে তাদের। বিধ্বংসী এই দাবানলে ক্ষতিগ্রস্ত তারাও। পরিস্থিতির সঙ্গে বুঝে নিজেকে কিছুটা সামলে নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই ভয়াবহ অভিজ্ঞতা শেয়ার করলেন প্রীতি।
নিজের এক্স হ্যান্ডেলে (টুইটার) অভিনেত্রী বলেন, ‘এরকম একটা দিন দেখার জন্য বেঁচে থাকতে হবে জীবনেও ভাবিনি। দাবানলের গ্রাসে আমাদের লস অ্যাঞ্জেলসের পাড়া-প্রতিবেশী, বন্ধুবান্ধব, পরিজনরা গৃহহারা সর্বস্বান্ত হয়ে গিয়েছেন। চূড়ান্ত সতর্কতা জারি করা হয়েছে। আকাশ ধোঁয়াচ্ছন্ন, সর্বত্র ছাই। তুষারপাতের মতো আকাশ-বাতাসে ছাঁই ভেসে বেড়াচ্ছে। এরকম পরিস্থিতি চলতে থাকলে বাচ্চা এবং বয়স্কদের জন্য সমস্যা আরও বাড়বে। চারপাশের এই ধ্বংসলীলা দেখে আমি ভেঙে পড়েছি। তবে ঈশ্বরকে ধন্যবাদ আমরা যে এখনো সুরক্ষিত।’
প্রীতি আরও বলেন, ‘এই অগ্নিকাণ্ডে বাস্তুচ্যুত এবং সর্বস্ব হারানো মানুষদের জন্য প্রার্থনা করছি প্রতিটা মুহূর্তে। আশা করি, শিগগিরই বাতাসের দাপট কমে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসবে। দমকল বিভাগ, অগ্নিনির্বাপক কর্মী এবং যারা যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে কাজ করে চলেছেন, তাদের সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ। নিরাপদে থাকুন সকলে।’
দাবানলে পুড়ে ছাই হয়েছে হলিউডের অনেক তারকার বাড়ি। কাউকে এক কাপড়েই বাড়ি ছাড়তে হয়েছে। জানা গেছে, অভিনেত্রী জেমি লি কার্টিস, প্যারিস হিলটন, ম্যান্ডি মুর, অ্যাড্রিয়েন ব্রডি এবং অস্কারের সাবেক সঞ্চালক বিলি ক্রিস্টাল আগুনে তাদের বাড়ি হারিয়েছেন। অভিনেতা ক্যারি এলওয়েসের বাড়িও পুড়েছে। স্ত্রী-সন্তান নিয়ে কোনোমতে প্রাণে বেঁচেছেন এই অভিনেতা। টম হ্যাংকস, প্যারিস হিলটন, স্টিভেন স্পিলবার্গ ও রিটা উইলসনের মতো তারকারাও থাকেন প্যাসিফিক প্যালিসেডসে।
বক্স অফিস কাঁপাচ্ছে টালিউড সুপারস্টার দেবের ‘খাদান’ ছবিটি। সব রেকর্ড ভেঙে ব্লকবাস্টার দেবের অ্য়াকশন প্যাকড অবতার। দেবেই এখন মত্ত গোটা টালিপাড়া। কিন্তু দেবের কথায়, এখন আসল স্টার বিনোদিনী ওরফে রুক্মিণী মৈত্রই। হ্য়াঁ, গতকাল শনিবার দুপুর ১টায় মুক্তি পেল রুক্মিণী মৈত্রর ‘বিনোদিনী – একটি নটীর উপাখ্যান’ ছবির ট্রেলার। সেই ট্রেলার প্রকাশ অনুষ্ঠানে এসেই রুক্মিণী মৈত্রর প্রসংশায় পঞ্চমুখ দেব। আর ট্রেলারেও চমক দিলেন টলিউডে প্রতিভাবান অভিনেত্রী রুক্মিণী।
এর মধ্য দিয়ে ৫ বছরের দীর্ঘ লড়াইয়ের পর অবশেষে বড়পর্দায় মুক্তি পেতে চলেছে ‘বিনোদিনী – একটি নটীর উপাখ্যান’। তাই ট্রেলার প্রকাশ অনুষ্ঠানে এসে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন রুক্মিণী। ছবি সম্পর্কে বলতে গিয়ে বার বার চোখের জলের বাঁধ ভাঙে তাঁর। অবশ্য রুক্মিণীকে আগলে রেখেছিলেন তার মনের মানুষ এবং এই ছবির প্রযোজক দেব। ট্রেলার মুক্তির অনুষ্ঠান ছিল নন্দন ৩-এ। ঘড়ির কাঁটায় দুপর ১২টা পেরোতেই নন্দনের গেট দিয়ে ঢোকে সাদা বিএমডব্লিউ। গাড়ি থেকে দেবের হাত ধরে নামেন পর্দার বিনোদনী। জরির কাজ করা অফ-হোয়াইট চিকনকারি শাড়িতে সেজে শীতের রোদে ঝলমল করে ওঠেন রুক্মিণী। খোঁপায় গোঁজা গোলাপ, গলায় দু’থাকের হার, কপালে ছোট্ট লাল টিপ। গত বছর ‘ন্যাশনাল অ্যাওয়ার্ড’-এর মঞ্চে আলিয়ার বেশভূষার সঙ্গে অনেকটা মিলে যায় রুক্মিণীর সাজ। এই লুকের অনুপ্রেরণা কি আলিয়া ভাট? এই সময় অনলাইনের বিভিন্ন সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে রুক্মিণী বলেন, ‘আমি আসলে এত কিছু ভেবে নিজেকে সাজাইনি। তবে আমার ভাললাগছে যে আমার সাজ দেখে আলিয়ার কথা মনে হয়েছে।’
এমনিতে নারীকেন্দ্রিক ছবির জন্য প্রযোজক পাওয়া যায় না। ‘বিনোদনী’র ক্ষেত্রেও প্রথমে কোনো প্রযোজন টাকা দিতে রাজি হচ্ছিলেন না। কিন্তু রক্মিণী এবং এই ছবির পরিচালক রামগোপাল মুখোপাধ্যায় হাল ছাড়েননি। তারা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিলেন বিনোদনীকে বড় পর্দায় আনার জন্য। শেষ পর্যন্ত এগিয়ে আসেন দেব। তার প্রযোজনা সংস্থা থেকে ছবিটি বানানোর সিদ্ধান্ত নেন। তিনি যে সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, ট্রেলার প্রকাশ অনষ্ঠানে এসে সেটাই বললেন দেব। তার কথায়, বিনোদনীর মতো একজন ঐতিহাসিক চরিত্রকে নিয়ে এই ছবি প্রযোজনা করতে পেরে আমি নিজে ভীষণ গর্বিত। রুক্মিণী অনবদ্য কাজ করেছে এই ছবিতে। আমি চাই খাদান-এর মতোই এই ছবি প্রতিটি হলে হাউজফুল হোক।’
দাবানলে জ্বলছে লস অ্যাঞ্জেলেসের প্যাসিফিক প্যালিসেডস। এই এলাকাতেই বাস করেন হলিউডের বহু তারকা। দাবানলে ম্যান্ডি মুর, প্যারিস হিলটন থেকে অ্যান্টনি হপকিনসসহ কয়েকজন তারকার বিলাসবহুল বাড়ি পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। বর্তমানে সেখানে আছেন বলিউড তারকা নোরা ফাতেহি। সেখান থেকেই দাবানলের ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কথা জানালেন তিনি। খবর হিন্দুস্তান টাইমস।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি ভিডিও শেয়ার করে নোরা ফাতেহি বলেছেন, ‘আমি এখন লস অ্যাঞ্জেলেসে আছি। এই দাবানল সত্যিই বিধ্বংসী। এমন আগে কখনো দেখিনি। সাংঘাতিক বললেও কম বলা হবে। পাঁচ মিনিট আগে আমাদের ঘর খালি করে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। সঙ্গে সঙ্গে আমি আমার জিনিসপত্র গুছিয়ে নিয়ে হোটেল থেকে বেরিয়ে যাই। আমি এখন কাছাকাছিই এক বিমানবন্দরে যাচ্ছি। সেখানে গিয়ে একটু বিশ্রাম করব। আজই আমি ভারতে ফেরার বিমান ধরব।’
ভয়াবহ এই দাবানল নিয়ে উদ্বেগও প্রকাশ করেছেন নোরা। তিনি লিখেছেন, ‘আশা করছি আমি বিমানে উঠে আজ ফিরতে পারব। এখানে পরিস্থিতি কতটা ভয়ংকর বলে বোঝাতে পারব না। কী অবস্থায় রয়েছি আপনাদের জানাতে থাকব। আশা করছি, প্রত্যেকে নিরাপদে থাকবেন।’
জানা গেছে, অভিনেত্রী নোরা লস অ্যাঞ্জেলেসে কয়েকটি ইভেন্টে যোগ দেওয়ার জন্যে গিয়েছিলেন। তবে সেখানে গিয়ে চরম বিপর্যয়ের মধ্যে পড়েছেন।
এর আগে প্রিয়াঙ্কা চোপড়া তার ইনস্টাগ্রাম পোস্টে লস অ্যাঞ্জেলেসের দাবানলের একটি মর্মান্তিক ভিডিও পোস্ট করেছিলেন। যেখানে তাকে চিৎকার করে বলতে শোনা গেছে, ‘এটি বিধ্বংসী।’
ওই ভিডিওর ক্যাপশনে উদ্বেগ জানিয়ে প্রিয়াঙ্কা লিখেছেন, ‘সবাইকে নিয়ে আমার চিন্তা হচ্ছে। আমি আশা করব সবাই আজ রাতে নিরাপদ থাকতে সক্ষম হবে।’ সেই ক্যাপশনে প্রার্থনার ইমোজি দিয়ে সবার কাছে প্রার্থনাও চেয়েছেন প্রিয়াঙ্কা।
সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে লন্ডন যাওয়ার সময় বাংলাদেশ চলচ্চিত্র অভিনেত্রী ও চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক নাসরিন আক্তার নিপুণকে আটকে দিয়েছে ইমিগ্রেশন পুলিশ।
জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থার (এনএসআই) আপত্তির প্রেক্ষিতে শুক্রবার সকালে বাংলাদেশ বিমানের বিজি-২০১ ফ্লাইটে যুক্তরাজ্যের উদ্দেশে যাওয়ার সময় তাকে আটক করে ইমিগ্রেশন পুলিশ।
ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দিয়ে লন্ডন যাচ্ছিলেন নিপুণ। এ সময় হেফাজতে নেওয়া হয় তাকে। পরে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ছেড়ে দেওয়া হয়।
ইমিগ্রেশন পুলিশ জানায়, এনএসআই নিপুণের লন্ডন যাত্রার বিষয়ে আপত্তি করলে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে।
নিপুণের পাসপোর্ট ও নথিপত্র পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে তার ফ্লাইট বাতিল করা হয়। ঠিক কী কারণে এনএসআই আপত্তি জানিয়েছে, তা এখনও স্পষ্ট নয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওসমানী বিমানবন্দর ইমিগ্রেশন পুলিশের একজন কর্মকর্তা বলেন, এনএসআইয়ের আপত্তির প্রেক্ষিতে সকাল ৯টা ২০ মিনিটের দিকে লন্ডন গমনকালে ইমিগ্রেশন পুলিশ নিপুণকে ইমিগ্রেশন কর্তৃক অফলোড করে ফেরত পাঠায়। আমরা তাদের নির্দেশনা অনুযায়ী ব্যবস্থা নিয়েছি। তাকে এখন পর্যন্ত আটক কিংবা গ্রেপ্তার করা হয়নি বলে জানান তিনি।
সফট ড্রিংক পণ্যের প্রচারে অংশ নিয়ে সমালোচনার মুখে পড়েন বলিউড তারকা শাহরুখ খান। অনেকেই দাবি করেন সফট ড্রিংক শিশুদের জন্য ক্ষতিকর। অকপট প্রতিক্রিয়ায় অভিনেতা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকেই আহ্বান জানান, সফট ড্রিংক যদি ক্ষতিকরই হয় তবে তার উৎপাদন ও বিক্রি নিষিদ্ধ হওয়া উচিত। কিন্তু সেটি না করে পণ্য প্রচার নিয়ে আপত্তি তোলা একেবারেই উচিত নয় বলে তিনি মনে করেন। সিএনএন-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে শাহরুখ খান বলেন, ‘কর্তৃপক্ষের প্রতি আমার আহ্বান এমনই থাকবে। আপনারা নিষিদ্ধ করুন। আমাদের দেশে বিক্রি করতে দেবেন না। যদি আপনি মনে করেন এটি শিশুদের জন্য ক্ষতিকর, তাহলে নিষিদ্ধ করুন। ধূমপান ক্ষতিকর- তাহলে দেশে সিগারেটের উৎপাদন হতে দেবেন কেন? যদি মনে কোমল পানীয় ক্ষতিকর, তবে তারও অনুমতি দেবেন না।’
বলিউড বাদশাহ আরুও বলেন, ‘দেখুন, আমার যুক্তি হলো, আপনি এটি বন্ধ করছেন না কারণ এটি আপনাকে রাজস্ব এনে দেয়। সত্যি কথা বলতে কি, ক্ষতিকর এসব পণ্য বন্ধ করলে সরকার থেকে আর রাজস্ব পাবে না। এগুলো তো রাজস্বের বড় উৎস। দয়া করে আমার আয় বন্ধ করবেন না। আমি একজন অভিনেতা। এটা করেই আমি খাই। যদি আপনি মনে করেন বাজারে ওগুলো থাকা উচিত নয় তবে সেটা বন্ধ করেন। কোনো সমস্যা নেই তো।’
সিএনএনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে শাহরুখ খান সিনেমায় ধূমপানের দৃশ্য সেন্সর করা এবং সৃজনশীল স্বাধীনতার ওপর বিধিনিষেধের ব্যাপক প্রভাব সম্পর্কে তার মতামতও দিয়েছিলেন। শাহরুখ বলেন, ‘দেখুন, বিষয়টি আরও গভীরভাবে ভেবে দেখতে হবে। আজ ধূমপান বন্ধ হলো। কাল কী? এবং এরপর এটি কোথায় গিয়ে থামবে? শিল্পমাধ্যমকে স্বাধীনভাবে থাকতে দেওয়া উচিত। আমি সত্যিই বিশ্বাস করি যে ভারতীয় জনগণ যথেষ্ট সচেতন এবং বুঝতে সক্ষম যে ধূমপান কতটা ক্ষতিকর। আর কোনো অভিনেতার ধূমপানের কারণে কেউ ধূমপান শুরু করবে এমনটি ভাবার কোনো কারণ নেই। আমার মনে হয় ক্ষমতাবানদের উচিত ধূমপানের চেয়ে সিনেমায় আরও বড় স্বাস্থ্য সমস্যা নিয়ে ভাবা।’
শাহরুখ খানকে সর্বশেষ দেখা গিয়েছিল রাজকুমার হিরানির ‘ডাঙ্কি’ সিনেমায়। বর্তমানে তার ব্যস্ত সময় কাটছে পরবর্তী সিনেমা নিয়ে। জানা গেছে সিনেমাটির নাম ‘কিং’। এই সিনেমায় শাহরুখের সঙ্গে অভিনয় করবেন তার কন্যা সুহানা খান এবং অভিষেক বচ্চন।
খ্যাতিমান নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর সিনেমা ‘৮৪০’ বা ‘ডেমোক্রেসি প্রাইভেট লিমিটেড’-এর মাধ্যমে প্রথমবার প্রযোজক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছেন তার স্ত্রী অভিনেত্রী নুসরাত ইমরোজ তিশা। মুক্তির ২০ দিন পর জানানো হয়েছে, সিনেমাটি শুধু সিনেমা হলে নয়- এবার ৮ পর্বের বর্ধিত সিরিজ হিসেবে টেলিভিশনের পর্দায়ও দেখা যাবে। আজ শুক্রবার থেকে দেশের তিনটি বেসরকারি টেলিভিশনে দেখানো হবে রাজনীতিভিত্তিক এই স্যাটেয়ার। এ উপলক্ষে গত বুধবার চ্যানেলে আই প্রাঙ্গণে এক সম্মেলনে মুখোমুখি হন সিনেমার প্রযোজক নুসরাত ইমরোজ তিশা। যেখানে তিনি জানান, দুঃশাসনের চিত্র নিয়ে তৈরি এই সিনেমাটি প্রচারের পর বিভিন্ন জায়গা থেকে হুমকি পেয়েছেন।
সংবাদ সম্মেলনে তিশাকে প্রশ্ন করা হয়, আওয়ামী লীগ সরকারের দুঃশাসনের চিত্র নিয়ে তৈরি এই সিনেমা মুক্তির পর প্রযোজক হিসেবে কোনো হুমকি পেয়েছেন কি না? জবাবে অভিনেত্রী বলেন, ‘হ্যাঁ পেয়েছি। সেই সঙ্গে আমার ফোন নম্বরটা ছাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে আমি বলব, সিনেমা মুক্তির পর কী হয়েছে না হয়েছে, কে কতটা মন খারাপ করেছেন সেটা মাথায় ধরে রাখলে হবে না। সিনেমাটা দর্শক পছন্দ করছে- এটাই আমার জন্য বড় বিষয়।’
টিভির পর্দায় সিনেমা মুক্তি প্রসঙ্গে তিশা বলেন, ‘একটি সিনেমা মুক্তির পর সিনেমা হলের পাশাপাশি দেশের তিনটি চ্যানেলে একই দিন থেকে প্রচার হতে যাচ্ছে- এমনটা বাংলাদেশের ইতিহাসে কখনো ঘটেনি। দর্শকদের কথা বিবেচনা করে আমরা এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছি। কারণ, দর্শক সিনেমাটি দেখতে চায়।’
প্রথমবার সিনেমার প্রযোজক হিসেবে এসেছেন। ২০ দিনে সিনেমাটি কতটা ব্যবসা করল- এমন প্রশ্নের উত্তরে তিশা বললেন, ‘প্রথম দিন থেকে মানুষ সিনেমাটি দেখছে। বিশেষ করে শিক্ষার্থীরা সিনেমাটি বেশি দেখছে। ব্যবসা নিয়ে আমরা খুব বেশি ভাবছি না। আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি সিনেমাটি যেন মানুষের কাছে পৌঁছায়।’
প্রসঙ্গত, আজ থেকে চ্যানেল আই, দীপ্ত টিভি ও আরটিভিতে সম্প্রচার করা হবে ‘৮৪০’ সিনেমাটি। ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত চলবে এই সম্প্রচার। চ্যানেল আইতে দেখানো হবে রাত ৮টা ২০ মিনিটে, আরটিভিতে রাত ৮টায় ও দীপ্ত টিভিতে প্রচার হবে রাত সাড়ে ১০টায়। পাশাপাশি সিনেমা ভার্সন চলবে দেশের সিনেমা হলগুলোতে।