মঙ্গলবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫
৮ পৌষ ১৪৩২

অবশেষে খোশ মেজাজে কঙ্গনা

কঙ্গনা। ছবি: সংগৃহীত
বিনোদন ডেস্ক
প্রকাশিত
বিনোদন ডেস্ক
প্রকাশিত : ১৮ অক্টোবর, ২০২৪ ২১:২৩

কঙ্গনা সব সময় কোনো না কোনো ঘটনা কিংবা কথা দিয়ে সংবাদের শিরোনাম হয়ে থাকে। অনেক সমালোচনা-আলোচনায় ভরপুর থাকে সেসব খবরে। অবশেষে কঙ্গনার জন্য সুখবর এল। যদিও নিজের পরিচালিত প্রথম ছবি ‘ইমারজেন্সি’র ছাড়পত্র নিতে রীতিমতো ঘোল খেলেন!

ঐতিহাসিক তথ্য বিকৃতির অভিযোগে ভারতের চলচ্চিত্র সার্টিফিকেশন বোর্ড হয়ে আদালত সমুদ্রে, এক টুকরো খড়কুটোও যেন তার পাশে ছিল না; যেটা তিনি আঁকড়ে ধরতে পারেন। শুরুর দিকে বিষয়টি নিয়ে কঙ্গনা স্বভাবসুলভ বাঘিনীরূপে হুংকার দিলেও, শেষের দিকে নিজেকে নতজানু করে ফেলেছেন।

আশার কথা, অবশেষে স্বস্তিতে ফিরেছেন নির্মাতা-অভিনেতা-প্রযোজক কঙ্গনা। ১৭ অক্টোবর তার হাতে এসেছে ছবিটি মুক্তির ছাড়পত্র।

১৯৭৫ সাল থেকে ১৯৭৭ পর্যন্ত ভারতে জারি হওয়া ২১ মাসের জরুরি অবস্থা নিয়ে এই সিনেমা। যেটা ছিল দক্ষিণ এশিয়ার ইতিহাসে গুরুত্বপূর্ণ সময়। ছবিটির গল্পে ঐতিহাসিক তথ্য বিকৃত করার পাশাপাশি কিছু নির্দিষ্ট গোষ্ঠীকে নেতিবাচকভাবে উপস্থাপন করার অভিযোগ তুলেছে ভারতের একাধিক সম্প্রদায়। মূলত এই বিতর্কের কারণেই সিনেমাটি মুক্তির সার্টিফিকেট দেয়নি সেন্সর বোর্ড ও মুম্বাই হাইকোর্ট।

ছবিটিতে ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর ভূমিকায় অভিনয় করেছেন কঙ্গনা। সঙ্গে পরিচালক হিসেবেও অভিষিক্ত হতে যাচ্ছেন এই সিনেমার মাধ্যমে।

কঙ্গনা ছাড়াও ‘ইমারজেন্সি’-তে অভিনয় করেছেন অনুপম খের, মহিমা চৌধুরী, মিলিন্দ সোমান, শ্রেয়াস তালপাড়ে, বিশাক নায়ার এবং প্রয়াত সতীশ কৌশিকদের মতো পরিচিত মুখ। শিগগিরই ছবিটির মুক্তির দিনক্ষণ ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছেন কঙ্গনা।

ছাড়পত্র পাওয়ার বার্তায় কঙ্গনা বলেছেন, ‘আমরা ঘোষণা করতে পেরে আনন্দিত, সেন্সর সার্টিফিকেট পেয়েছি। শিগগিরই ছবিটি মুক্তির তারিখ ঘোষণা করব। ধৈর্য এবং সমর্থনের জন্য আপনাদের সবাইকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।’

১৯৭৫ সাল থেকে ১৯৭৭ পর্যন্ত ভারতে জারি হওয়া ২১ মাসের জরুরি অবস্থা নিয়ে এই সিনেমা। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর চরিত্রে অভিনয় করেছেন কঙ্গনা রনৌত। ছবিটির পরিচালনা-প্রযোজনার পাশাপাশি চিত্রনাট্যকারও তিনিই।

বিষয়:

বিধ্বংসী অবতারে বিজয় দেবরাকোন্ডা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বিনোদন ডেস্ক

দক্ষিণী সিনেমার জনপ্রিয় সুপারস্টার বিজয় দেবরাকোন্ডা দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে তাঁর নতুন চলচ্চিত্রের নাম ঘোষণা করেছেন। ‘রাউডি জনার্ধনা’ শিরোনামের এই সিনেমার মাধ্যমে তিনি এক রুক্ষ ও ভয়ংকর লুকে ফিরছেন। সম্প্রতি ছবিটির নির্মাতারা ২ মিনিট ৭ সেকেন্ডের একটি ‘টাইটেল গ্লিম্পস’ প্রকাশ করেছেন, যা দর্শকদের মাঝে ব্যাপক উন্মাদনা সৃষ্টি করেছে। এই বিশেষ ভিডিওটিতে বিজয়কে অত্যন্ত শক্তিশালী ও লড়াকু মেজাজে দেখা গেছে, যা দেখে স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে যে অ্যাকশন ঘরানার এই চলচ্চিত্রটি তাঁর ক্যারিয়ারে এক নতুন মাত্রা যোগ করতে যাচ্ছে।

টাইটেল গ্লিম্পসটির শুরুতেই বিজয়ের গম্ভীর কণ্ঠে একটি দানবের গল্প শোনা যায়, যেখানে গল্পের শেষে তিনি নিজেকেই সেই দানব হিসেবে উপস্থাপন করেন। পূর্ব গোদাবরী অঞ্চলের আঞ্চলিক তেলেগু ভাষায় সংলাপ প্রক্ষেপণ চরিত্রটিকে অনেক বেশি বাস্তব ও মাটির কাছাকাছি করে তুলেছে। বিজয়ের লম্বা চুল, ঘুরানো ঘন গোঁফ এবং লড়াকু চোখের দৃষ্টি তাঁর আগের সব লুককে ছাড়িয়ে গেছে। লুঙ্গি পরে গ্রামীণ আবহে তাঁর বিধ্বংসী লড়াইয়ের দৃশ্যগুলো ইতোমধ্যেই ভক্তদের শিহরিত করেছে। গ্লিম্পসে বিজয়কে বলতে শোনা যায়, অনেকেই ‘রাউডি’ হওয়ার দাবি করলেও এই পরিচয় তিনি অর্জন করেছেন নিজের কঠোর পরিশ্রম ও রক্ত দিয়ে।

পরিচালক রবি কিরণ কোলা পরিচালিত এই ছবিটিতে বিজয় দেবরাকোন্ডার পাশাপাশি একঝাঁক তারকা অভিনয় করছেন। এতে গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে দেখা যাবে রাশমিকা মান্দানা, কীর্তি সুরেশ এবং বিবেক অবেরয়ের মতো জনপ্রিয় অভিনয়শিল্পীদের। বিশেষ দিক হলো, ছবিটির প্রচারণামূলক ভিডিওটি তেলেগু, হিন্দি, কন্নড় ও মালয়ালাম—এই চার ভাষায় প্রকাশিত হয়েছে এবং প্রতিটি ভাষাতেই বিজয় নিজেই ভয়েসওভার দিয়েছেন, যা গ্লিম্পসগুলোকে আরও প্রাণবন্ত করেছে।

বিজয় দেবরাকোন্ডাকে সর্বশেষ স্পাই অ্যাকশন থ্রিলার ‘কিংডম’-এ দেখা গিয়েছিল, তবে ‘রাউডি জনার্ধনা’ ছবির মাধ্যমে তিনি পুনরায় তাঁর সেই রুক্ষ ‘অ্যাংরি ইয়াং ম্যান’ ইমেজে ফিরছেন। সব ঠিক থাকলে ২০২৬ সালের ডিসেম্বরে বড় পর্দায় মুক্তি পাবে এই বহুল প্রতীক্ষিত সিনেমাটি। বিজয় দেবরাকোন্ডার এমন বৈপ্লবিক রূপান্তর এবং তারকা বহুল কাস্টিং নিয়ে চলচ্চিত্র বিশ্লেষকরা বক্স অফিসে এক বড় ধামাকার আভাস দিচ্ছেন। মূলত বিজয় ভক্তদের জন্য এই নতুন ঘোষণাটি ২০২৬ সালের অন্যতম বড় চমক হতে চলেছে।


নতুন বছরে চমক দেখাতে প্রস্তুত বলিউড

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বিনোদন ডেস্ক

দক্ষিণী ছবির দাপট আর ওটিটির জয়জয়কারের মাঝেও ২০২৫ সালে নিজেদের আধিপত্য প্রমাণ করেছে বলিউড। ‘ছাবা’, ‘সাইয়ারা’ এবং ‘ধুরন্ধর’-এর মতো সিনেমার সাফল্যের রেশ ধরে ২০২৬ সালেও এক বিশাল পরিবর্তনের প্রস্তুতি নিচ্ছে ভারতীয় চলচ্চিত্র ইন্ডাস্ট্রি। নতুন বছরে শাহরুখ খান, সালমান খান, হৃতিক রোশন এবং রণবীর কাপুরের মতো সুপারস্টারদের হাত ধরে বড় পর্দায় এক নজিরবিহীন ‘বিস্ফোরণ’ ঘটতে যাচ্ছে। বিশেষ করে জনপ্রিয় সব ফ্র্যাঞ্চাইজি ও সিক্যুয়েল সিনেমার তালিকায় রয়েছে হৃতিকের ‘কৃশ ৪’, অক্ষয় কুমারের বহুল প্রতীক্ষিত ‘হেরা ফেরি ৩’ এবং অজয় দেবগনের থ্রিলার মাস্টারপিস ‘দৃশ্যম ৩’। এছাড়াও অ্যাকশন ও ড্রামা ঘরানার সিক্যুয়েলের মধ্যে থাকছে টাইগারের ‘বাগি ৪’, বরুণ ধাওয়ানের ‘ভেড়িয়া ২’ এবং রানি মুখার্জির শক্তিশালী ‘মার্দানি ৩’।

বড় বাজেটের মৌলিক সিনেমার তালিকায় নীতেশ তিওয়ারির ‘রামায়ণ’ প্রথম কিস্তি নিয়ে দর্শকদের কৌতূহল এখন তুঙ্গে, যেখানে রামের ভূমিকায় রণবীর কাপুরের রূপান্তর দেখার জন্য মুখিয়ে আছেন ভক্তরা। প্রথমবারের মতো বাবা-মেয়ে হিসেবে শাহরুখ খান ও সুহানা খানকে দেখা যাবে ‘কিং’ সিনেমায়, যাতে ক্যামিও চরিত্রে দেখা যেতে পারে দীপিকা পাড়ুকোনকেও। সঞ্জয় লীলা বানশালির তারকাবহুল ‘লাভ অ্যান্ড ওয়ার’ সিনেমায় রণবীর কাপুর, আলিয়া ভাট ও ভিকি কৌশলের রসায়ন এবং সালমান খানের দেশাত্মবোধক সিনেমা ‘ব্যাটেল অব গালওয়ান’ ছাব্বিশের বক্স অফিসে নতুন রেকর্ড গড়ার আভাস দিচ্ছে। ঘরোয়া বিনোদনের জন্য প্রিয়দর্শনের হরর-কমেডি ‘ভূত বাংলা’ এবং জনপ্রিয় ‘ধামাল ৪’ দর্শকদের হাসির খোরাক জোগাতে প্রস্তুত। প্যান-ইন্ডিয়া সিনেমার তালিকায় প্রভাসের ‘ফৌজি’ এবং যশের ‘টক্সিক’ নিয়ে উন্মাদনার পারদ ইতোমধ্যেই তুঙ্গে চড়েছে।

বলিউডের পাশাপাশি কলকাতার টলিউড ইন্ডাস্ট্রিও ২০২৬ সালের জন্য সাজিয়েছে এক চমৎকার সিনেমার ডালি। সুপারস্টার দেবের ‘খাদান ২’ এবং ‘প্রজাপতি ৩’ যথাক্রমে পূজা ও বড়দিনের স্লট দখলে রাখতে প্রস্তুত। অন্যদিকে, অভিনেতা জিৎ তাঁর ‘কেউ বলে বিপ্লবী কেউ বলে ডাকাত’ নামক বায়োপিকের জন্য নিচ্ছেন কঠোর শারীরিক ও অ্যাকশন প্রস্তুতি। পরিচালক জুটি নন্দিতা রায় ও শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় তাঁদের ব্লকবাস্টার ‘বহুরূপী ২’ এবং প্রথম ছবি ‘ইচ্ছে’-র সিক্যুয়েল নিয়ে আসছেন নতুন বছরে। এছাড়া সুমন ঘোষের ‘ফ্যামিলিওয়ালা’ এবং রাহুল মুখোপাধ্যায়ের রোমান্টিক সিনেমা ‘মন মানে না’ টলিউডের তালিকাকে আরও সমৃদ্ধ করেছে। সব মিলিয়ে মেগাবাজেট অ্যাকশন, চিরায়ত রোমান্স আর দেশাত্মবোধক গল্পের মিশেলে ২০২৬ সাল হতে যাচ্ছে বাংলা ও হিন্দি চলচ্চিত্রের ইতিহাসের এক স্মরণীয় বছর।


‘লাইফ ইজ বিউটিফুল’-এ ফের এক পর্দায় আবুল হায়াত ও ডলি জহুর

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বিনোদন ডেস্ক

বাংলাদেশের অভিনয় জগতের দুই প্রবাদপ্রতিম ব্যক্তিত্ব আবুল হায়াত ও ডলি জহুর। দীর্ঘ বিরতির পর আবারও একটি নতুন টেলিভিশন নাটকে জুটি বেঁধেছেন এই দুই জীবন্ত কিংবদন্তি। নাটকের নাম ‘লাইফ ইজ বিউটিফুল’। পারিবারিক সম্পর্ক ও মানবিক টানাপোড়েনের এক নিটোল গল্পে নির্মিত এই নাটকটি দর্শকদের জন্য একটি ভিন্নধর্মী ও হৃদয়ছোঁয়া অভিজ্ঞতা হবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

গুণী নির্মাতা চয়নিকা চৌধুরীর পরিচালনায় এই নাটকটি প্রযোজনা করেছে রঙ্গন মিউজিক। পারিবারিক আবহের এই গল্প ও চিত্রনাট্য লিখেছেন শফিকুর রহমান শান্তনু। সম্প্রতি টানা তিন দিনের শুটিং শেষে নাটকটির দৃশ্য ধারণের কাজ সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। পরিচালক চয়নিকা চৌধুরী জানান, বর্তমান সময়ে দর্শকরা আবারও নব্বই দশকের সেই চিরাচরিত পারিবারিক ও মায়ায় ঘেরা গল্পের দিকে ঝুঁকছেন। মূলত মন ভালো করে দেওয়া একটি নির্মল পারিবারিক কাহিনী ফুটিয়ে তুলতেই তিনি এই নাটকটি নির্মাণ করেছেন। বড় মাপের দুই অভিনয়শিল্পীর সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতা তাঁর জন্য ছিল অত্যন্ত আরামদায়ক।

নাটকটি নিয়ে বর্ষীয়ান অভিনেতা আবুল হায়াত অত্যন্ত আশাবাদী। তিনি জানান, চয়নিকা একজন সচেতন ও বিচক্ষণ নির্মাতা এবং তাঁর নাটকের প্রাণই হচ্ছে সুন্দর গল্প। দীর্ঘদিন পর ডলি জহুরের সঙ্গে কাজ করে তাঁর বেশ ভালো লেগেছে বলে তিনি মন্তব্য করেন। অন্যদিকে, ডলি জহুর আবুল হায়াতকে ‘জীবন্ত কিংবদন্তি’ আখ্যা দিয়ে বলেন, তাঁর সঙ্গে অভিনয় করতে গেলে কখনো আলাদা করে কাজ মনে হয় না; গল্পের ছলেই সাবলীল অভিনয় হয়ে যায়। চয়নিকা চৌধুরীর সুন্দর এই উদ্যোগের জন্য তিনি তাঁকে বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।

পরিচালনা সূত্রে জানা গেছে, নাটকটি খুব শীঘ্রই দেশের একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল এবং ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে দর্শকদের জন্য উন্মুক্ত করা হবে। শক্তিমান এই দুই শিল্পীর রসায়ন দেখার জন্য এখন মুখিয়ে আছেন তাঁদের অগণিত ভক্ত ও অনুরাগীরা। মূলত পারিবারিক বন্ধন ও ভালোবাসার গুরুত্ব তুলে ধরাই এই নাটকের মূল লক্ষ্য।


গায়ে শর্ষের তেল মেখে রোদে দাঁড়িয়েছিলেন নাজিফা তুষি

আপডেটেড ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১৫:০৭
বিনোদন ডেস্ক

তিন বছর আগে ‘হাওয়া’র মাধ্যমে ঢাকাই চলচ্চিত্রে নতুন এক উন্মাদনা সৃষ্টি করেছিলেন নির্মাতা মেজবাউর রহমান সুমন। সেই দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে এবার তিনি নিয়ে আসছেন তাঁর দ্বিতীয় চলচ্চিত্র ‘রইদ’। সম্প্রতি সিনেমাটির পোস্টার এবং ২ মিনিট ২১ সেকেন্ডের ট্রেলার প্রকাশের পর থেকেই চলচ্চিত্র পাড়ায় ব্যাপক আলোড়ন তৈরি হয়েছে। পরিচালক জানিয়েছেন, এই সিনেমার গল্পের শেকড় রয়েছে তাঁর শৈশবের স্মৃতিতে। তাঁর মায়ের মুখে শোনা সাদু এবং তাঁর পাগল স্ত্রী ও একটি তালগাছকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠা লোকজ আখ্যানই বর্তমান সময়ের ভাষায় বড় পর্দায় ফুটিয়ে তুলেছেন তিনি। ‘হাওয়া’ ছিল সমুদ্র ও অনিশ্চয়তার গল্প, আর ‘রইদ’ হলো মাটির সোঁদা গন্ধে জড়ানো জীবনের আখ্যান।

এই সিনেমার নির্মাণশৈলীতে সুমন অত্যন্ত নিষ্ঠার পরিচয় দিয়েছেন। গল্পের প্রয়োজনে তিনি আস্ত একটি গ্রাম সেট হিসেবে গড়ে তুলেছেন এবং ফাঁকা জায়গায় প্রায় ৫০ হাজার গাছ রোপণ করেছেন। শুটিং শুরু করার অন্তত ছয় মাস আগে থেকে এই গাছগুলোর যত্ন নেওয়া হয়েছিল যাতে লোকেশনটি পুরোপুরি বাস্তবসম্মত মনে হয়। পরিচালকের মতে, এই আয়োজনের উদ্দেশ্য ছিল প্রকৃতিকে কেবল ব্যাকগ্রাউন্ড হিসেবে নয়, বরং গল্পের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে তুলে ধরা।

সিনেমাটির অন্যতম প্রধান চমক হিসেবে দেখা দিয়েছেন ‘হাওয়া’ খ্যাত অভিনেত্রী নাজিফা তুষি। পাগল স্ত্রীর চরিত্রে অভিনয়ের জন্য তিনি যে ত্যাগ স্বীকার করেছেন, তা রীতিমতো বিস্ময়কর। নাজিফা তুষি জানিয়েছেন, চরিত্রের প্রয়োজনে তিনি টানা ছয় মাস চুলে শ্যাম্পু বা সাবান ব্যবহার করেননি এবং কেবল পানি দিয়ে গোসল করেছেন। এমনকি ত্বকের পোড়া ভাব ও মেছতা ফুটিয়ে তুলতে তিনি কড়া রোদে শরীরে শর্ষের তেল মেখে দাঁড়িয়ে থাকতেন। সবচেয়ে কষ্টকর বিষয় ছিল চরিত্রের স্বাভাবিক বাচনভঙ্গি ও দাঁতের রং পরিবর্তনের জন্য চুন খাওয়া, যার ফলে তাঁর মুখ ও জিব পুড়ে গিয়েছিল। এই নামহীন চরিত্রে নিজেকে মিশিয়ে দিতে তিনি বিলাসবহুল জীবন ছেড়ে সাধারণ শ্রমিকদের ব্যবহৃত পোশাক পরেছেন এবং শুটিংয়ের সময় মাঠে কাজও করেছেন। এই কঠিন যাত্রায় সহশিল্পী হিসেবে তাঁর পাশে ছিলেন অভিনেতা মোস্তাফিজুর নূর ইমরান।

মুক্তির আগেই ‘রইদ’ বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের জন্য এক গৌরবময় সংবাদ বয়ে এনেছে। নেদারল্যান্ডসের ৫৫তম রটারড্যাম আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের সবথেকে মর্যাদাপূর্ণ ‘টাইগার কম্পিটিশন’ বিভাগে আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচিত হয়েছে সিনেমাটি। লোকজ গল্পের গভীরতা, সুশৃঙ্খল নির্মাণ এবং অভিনয়শিল্পীদের অদম্য আত্মনিবেদন—সব মিলিয়ে ‘রইদ’ কেবল দেশেই নয়, বিশ্ব চলচ্চিত্রের মানচিত্রেও এক নতুন মাইলফলক স্থাপন করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ‘হাওয়া’র পর মেজবাউর রহমান সুমন ও তাঁর টিমের এই নতুন উপস্থাপনা দর্শকদের দীর্ঘ অপেক্ষার এক সার্থক প্রতিদান হতে চলেছে।


২০২৬ সালের ২ অক্টোবর ফিরছে বিজয় সালগাওকরের রহস্য: আসছে ‘দৃশ্যম ৩’

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বিনোদন ডেস্ক

বলিউড সুপারস্টার অজয় দেবগনের অত্যন্ত জনপ্রিয় ক্রাইম-থ্রিলার ফ্র্যাঞ্চাইজি ‘দৃশ্যম’-এর তৃতীয় কিস্তি নিয়ে দর্শকদের দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান ঘটতে যাচ্ছে। ২০২৬ সালের ২ অক্টোবর বড় পর্দায় মুক্তি পাবে বিজয় সালগাওকরের রহস্যময় জীবনের পরবর্তী এবং সম্ভবত শেষ অধ্যায়। সম্প্রতি এই ঘোষণা আসার পর থেকেই ভারত ও বাংলাদেশের সিনেমাপ্রেমীদের মাঝে এক নতুন উন্মাদনা ছড়িয়ে পড়েছে। এই ফ্র্যাঞ্চাইজির প্রথম কিস্তিতে বিজয় সালগাওকরের সেই আইকনিক বয়ান—২ অক্টোবর পানজিমে যাওয়া, স্বামী চিন্ময়ানন্দের সৎসঙ্গে অংশ নেওয়া এবং পাওভাজি খাওয়া—বর্তমানে ভারতীয় পপ কালচারের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রতি বছর এই দিনে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কয়েক হাজার মিম শেয়ার হয়, যা এই সিনেমার জনপ্রিয়তাকে ভিন্ন উচ্চতায় নিয়ে গেছে। এই বিশেষ দিনটির গুরুত্ব বিবেচনা করেই নির্মাতারা ২০২৬ সালের ২ অক্টোবরকেই সিনেমাটি মুক্তির জন্য চূড়ান্ত করেছেন।

এবারের ‘দৃশ্যম ৩’ নিয়ে বড় এক চমক হলো মালায়ালাম ও হিন্দি সংস্করণের সমন্বিত মুক্তি। সাধারণত মালায়ালাম সংস্করণটি আগে মুক্তির পর সেটির গল্প অনুসরণ করে হিন্দিতে রিমেক করা হয়। কিন্তু এবার গল্পের মূল রহস্য বা স্পয়লার ফাঁস হওয়া ঠেকাতে মূল স্রষ্টা জীতু জোসেফ এবং হিন্দি সংস্করণের প্রযোজক কুমার মাঙ্গাত পাঠক এক বিশেষ পরিকল্পনা করেছেন। দর্শকদের টানটান উত্তেজনা বজায় রাখতে মোহনলাল অভিনীত মালায়ালাম এবং অজয় দেবগন অভিনীত হিন্দি—দুটি সংস্করণই একই দিনে অথবা খুব অল্প সময়ের ব্যবধানে মুক্তি দেওয়ার প্রস্তুতি চলছে।

সিনেমার কাহিনি এবার এক চূড়ান্ত পরিণতির দিকে মোড় নিতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ‘দৃশ্যম ২’-এর শেষে পুলিশ খুনের শিকার ব্যক্তির কঙ্কাল খুঁজে পেলেও বিজয় সালগাওকর আবারও নিজের তীক্ষ্ণ বুদ্ধিমত্তায় আইনি জটিলতা থেকে পার পেয়ে যান। তৃতীয় কিস্তিতে কি বিজয় শেষ পর্যন্ত ধরা পড়বেন নাকি আইনের কোনো সুক্ষ্ম ফাঁক গলে পরিবারসহ চিরতরে মুক্তি পাবেন, সেই উত্তর মিলবে এই পর্বে। বিজয়ের এই ‘অস্তিত্ব রক্ষার লড়াই’ আগের চেয়ে অনেক বেশি বুদ্ধিদীপ্ত ও রোমাঞ্চকর হবে বলে নির্মাতারা আভাস দিয়েছেন।

অভিনয়শিল্পীদের ক্ষেত্রে আগের কিস্তিগুলোর ধারাবাহিকতা বজায় থাকছে। অজয় দেবগনের সঙ্গে তাঁর স্ত্রী চরিত্রে শ্রেয়া সরণ এবং দুই মেয়ের চরিত্রে ইশিতা দত্ত ও মৃণাল যাদবকে দেখা যাবে। এছাড়া গত কিস্তিতে দাপুটে অভিনয় করা অক্ষয় খান্না এবং আইকনিক আইজি মীরা দেশমুখ চরিত্রে তব্বু-র মতো শক্তিশালী অভিনয়শিল্পীরাও এই মহাকাব্যিক সমাপ্তিতে গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে ফিরতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

প্যানোরামা স্টুডিওস, ভায়াকম ১৮ এবং টি-সিরিজের যৌথ প্রযোজনায় নির্মিত এই সিনেমার চিত্রনাট্যের কাজ এখন শেষ পর্যায়ে রয়েছে। অজয় দেবগন বর্তমানে তাঁর অন্যান্য বড় প্রজেক্টের কাজ নিয়ে ব্যস্ত থাকলেও ২০২৫ সালের মাঝামাঝি নাগাদ ‘দৃশ্যম ৩’-এর শুটিং ফ্লোরে যাওয়ার কথা রয়েছে। চলচ্চিত্র বিশ্লেষকদের মতে, বিজয়ের নতুন কোনো বুদ্ধিদীপ্ত চাল আর টানটান উত্তেজনার এই সিনেমা ২০২৬ সালের ২ অক্টোবর বক্স অফিসে এক বিশাল ধামাকা সৃষ্টি করবে। মূলত বিজয় সালগাওকরের রহস্যময় গল্পের শেষ পরিণতি দেখার জন্য এখন থেকেই দিন গুনছেন ভক্তরা।


বক্স অফিসে কত আয় করল ‘অ্যাভাটার: ফায়ার অ্যান্ড অ্যাশ’

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বিনোদন ডেস্ক

জেমস ক্যামেরনের বহুল প্রতীক্ষিত সিনেমা ‘অ্যাভাটার: ফায়ার অ্যান্ড অ্যাশ’ বিশ্বজুড়ে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তির পর বক্স অফিসে শক্তিশালী আধিপত্য বিস্তার করতে শুরু করেছে। ফ্র্যাঞ্চাইজিটির তৃতীয় এই কিস্তিটি প্রথম সপ্তাহেই দর্শকদের আকর্ষণের কেন্দ্রে চলে এসেছে। যদিও উৎসবের মৌসুমে মানুষের ভ্রমণের ব্যস্ততা এবং নানা সামাজিক অনুষ্ঠানের কারণে ঘরোয়া বাজারে এর আয় প্রাথমিক পূর্বাভাস থেকে কিছুটা কম হয়েছে, তবুও আন্তর্জাতিক বাজারে এর অভাবনীয় সাফল্য নিয়ে চলচ্চিত্র বিশ্লেষকদের মধ্যে কোনো সংশয় নেই।

টুয়েন্টিয়েথ সেঞ্চুরি স্টুডিওজের সাম্প্রতিক তথ্য অনুযায়ী, উত্তর আমেরিকার বাজারে মুক্তির প্রথম তিন দিনে সিনেমাটি প্রায় ৮৮ মিলিয়ন ডলার আয় করতে যাচ্ছে, যার মধ্যে শুধু শনিবারেই আয় হয়েছে ২৮ মিলিয়ন ডলার। যদিও এর আগের কিস্তি ‘অ্যাভাটার: দ্য ওয়ে অফ ওয়াটার’-এর তুলনায় এই কিস্তির ব্যবসায়িক শুরুটা কিছুটা ধীরগতির, তবে বিশ্বজুড়ে সামগ্রিক আয়ের চিত্রটি বেশ আশা জাগানিয়া। ধারণা করা হচ্ছে, প্রথম সপ্তাহ শেষে বিশ্বব্যাপী সিনেমাটির মোট আয় ৩৪০ থেকে ৩৫০ মিলিয়ন ডলারের মাইলফলক ছাড়িয়ে যাবে। বিশেষ করে চীনের বাজারে সিনেমাটি অভাবনীয় দাপট দেখাচ্ছে; সেখানে এখন পর্যন্ত ৫২ মিলিয়ন ডলার আয় করে বক্স অফিস চার্টের শীর্ষে অবস্থান করছে ‘ফায়ার অ্যান্ড অ্যাশ’।

এবারের পর্বে জেমস ক্যামেরন দর্শকদের পরিচয় করিয়ে দিয়েছেন না’ভিদের এক নতুন ও ভয়ংকর গোত্র ‘অ্যাশ পিপল’-এর সঙ্গে, যা দর্শকদের মধ্যে বাড়তি কৌতূহলের সৃষ্টি করেছে। যদিও সমালোচকদের কাছ থেকে কিছুটা মিশ্র প্রতিক্রিয়া পাওয়া গেছে, তবে সাধারণ দর্শকরা কারিগরি নির্মাণ ও ভিজ্যুয়াল ইফেক্টের জাদুতে মুগ্ধ হয়ে সিনেমাটিকে ইতিবাচক রেটিং দিয়েছেন। দর্শকদের জরিপে এটি ‘এ’ স্কোর অর্জন করেছে, যা ভবিষ্যতে দীর্ঘমেয়াদী ব্যবসায়িক সাফল্যের ইঙ্গিত দেয়। বিশেষ করে ভিএফএক্স-এর ক্ষেত্রে জেমস ক্যামেরন আবারও নিজেকে ছাড়িয়ে গেছেন বলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে প্রশংসার ঝড় বইছে।

একই সময়ে বক্স অফিসে অন্যান্য সিনেমাগুলোও লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে। ‘অ্যাঞ্জেল স্টুডিওজ’-এর অ্যানিমেশন সিনেমা ‘ডেভিড’ ২১ মিলিয়ন ডলার আয় করে প্রতিষ্ঠানটির ইতিহাসে সেরা উদ্বোধনী আয়ের রেকর্ড গড়েছে। এছাড়া ‘দ্য হাউজমেড’ এবং ‘স্পঞ্জবব মুভি’ যথাক্রমে ১৯ ও ১৭ মিলিয়ন ডলার আয় করে তালিকায় নিজেদের অবস্থান ধরে রেখেছে। তবে বড় বাজেটের ও বিশাল ক্যানভাসের সিনেমা হিসেবে ‘অ্যাভাটার’ যে খুব দ্রুতই বিলিয়ন ডলারের ক্লাবের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে, প্রথম সপ্তাহের এই পরিসংখ্যান সেই ইঙ্গিতই বহন করছে।


হায়দ্রাবাদে শোরুম উদ্বোধনে গিয়ে চরম হেনস্তার শিকার সামান্থা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বিনোদন ডেস্ক

দক্ষিণী চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় অভিনেত্রী নিধি আগরওয়ালের পর এবার জনসমুদ্রে হেনস্তার শিকার হলেন সুপারস্টার সামান্থা রুথ প্রভু। গত রোববার (২১ ডিসেম্বর) হায়দ্রাবাদে একটি শাড়ির শোরুম উদ্বোধন করতে গিয়ে তিনি এই অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতির মুখোমুখি হন। অনুষ্ঠান শেষে মঞ্চ থেকে নেমে গাড়ির দিকে যাওয়ার সময় উন্মত্ত জনতা তাঁকে চারপাশ থেকে ঘিরে ধরে, যার ফলে এক দমবন্ধ করা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া এই ঘটনার ভিডিও দেখে নিরাপত্তা ব্যবস্থা ও আয়োজকদের ভূমিকা নিয়ে তীব্র সমালোচনা শুরু করেছেন নেটিজেনরা।

প্রত্যক্ষদর্শী ও সোশ্যাল মিডিয়ার ফুটেজ অনুযায়ী, কালো ও রূপালি জরির শাড়িতে ঝলমলে সামান্থা অনুষ্ঠানস্থলে পৌঁছানোর পর থেকেই ভক্তদের মাঝে ব্যাপক উত্তেজনা বিরাজ করছিল। কিন্তু মূল বিপত্তি ঘটে যখন তিনি অনুষ্ঠান শেষ করে প্রস্থান করতে যান। এ সময় শত শত মানুষ তাঁকে ছেঁকে ধরে এবং নিরাপত্তারক্ষীরা ভিড় সামলাতে হিমশিম খান। ভিড়ের চাপে অভিনেত্রী এক পা-ও এগোতে পারছিলেন না, এমনকি নিরাপত্তারক্ষীদের নিরাপত্তা বলয়ও ভেঙে পড়ার উপক্রম হয়। এমন চরম বিশৃঙ্খলার মধ্যেও সামান্থা যথেষ্ট ধৈর্য দেখান এবং চেহারায় হাসি বজায় রেখেই কোনোমতে গাড়ির কাছে পৌঁছান।

এই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনুরাগীরা। মাত্র কয়েকদিন আগেই ‘দ্য রাজা সাব’ ছবির প্রচারণায় গিয়ে হেনস্তার শিকার হয়েছিলেন নিধি আগরওয়াল, যেখানে তাঁকে অশালীনভাবে স্পর্শ করার অভিযোগও উঠেছিল। সেই রেশ না কাটতেই সামান্থার মতো একজন শীর্ষ তারকার সঙ্গে এমন আচরণে ক্ষুব্ধ ভক্তরা। নেটিজেনদের মতে, তারকাদের জনসমক্ষে আনার আগে তাঁদের যথাযথ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা আয়োজকদের প্রধান দায়িত্ব হওয়া উচিত, যা এ ক্ষেত্রে চরমভাবে লঙ্ঘিত হয়েছে।


নিরাপত্তার কারনে কনসার্ট বাতিল, বড় আর্থিক ক্ষতির মুখে ব্যান্ড ‘শিরোনামহীন’

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বিনোদন ডেস্ক

রাজশাহীর বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় সমাবর্তন ঘিরে শিক্ষার্থীদের মাঝে যে বাড়তি আনন্দ ও উদ্দীপনা ছিল, নিরাপত্তার অজুহাতে তা হঠাৎ করেই ম্লান হয়ে গেছে। সমাবর্তনের দ্বিতীয় অংশের সাংস্কৃতিক পর্বে পারফর্ম করার কথা ছিল দেশের জনপ্রিয় ব্যান্ড ‘শিরোনামহীন’-এর, কিন্তু শেষ মুহূর্তে প্রশাসনের পক্ষ থেকে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা দিতে অপারগতা প্রকাশ করায় কনসার্টটি বাতিল করা হয়েছে। গত রবিবার (২১ ডিসেম্বর) এক বিবৃতির মাধ্যমে ব্যান্ডটি জানায়, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সমস্ত প্রস্তুতি নিলেও শনিবার রাত ৯টার দিকে তাদের জানানো হয় যে বর্তমান পরিস্থিতিতে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সম্ভব হচ্ছে না। ফলে দীর্ঘ প্রতীক্ষিত এই কনসার্টটি শেষ পর্যন্ত আলোর মুখ দেখেনি।

এই অনাকাঙ্ক্ষিত সিদ্ধান্তে চরম আর্থিক ও মানসিক ক্ষতির মুখে পড়েছে ‘শিরোনামহীন’। ব্যান্ডটি তাদের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক দীর্ঘ পোস্টে জানায়, সাধারণত তারা কনসার্টের আগে পূর্ণ সম্মানী গ্রহণ করলেও বিশ্ববিদ্যালয়ের আয়োজন বলে এক্ষেত্রে ব্যতিক্রমী সিদ্ধান্ত নিয়ে মাত্র ৩০ শতাংশ অগ্রিম নিয়েছিল। এমনকি রাজশাহীর এই সমাবর্তন কনসার্টে অংশ নিতে তারা একই তারিখের অন্য একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের বড় কনসার্টও বাতিল করেছিল। কিন্তু শেষ মুহূর্তে এমনভাবে অনুষ্ঠানটি বাতিল হওয়ায় ব্যান্ডটি কেবল আর্থিকভাবেই ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি, বরং মানসিকভাবেও তারা এবং তাদের ভক্তরা অত্যন্ত হতাশ হয়েছেন।

কনসার্ট বাতিলকে কেন্দ্র করে উপস্থিত কিছু অতিথির মধ্যে এমন ধারণা তৈরি হয়েছে যে ব্যান্ডটি বোধহয় ইচ্ছাকৃতভাবে অনুষ্ঠানটি বাতিল করেছে। এই অভিযোগ পুরোপুরি নাকচ করে দিয়ে ‘শিরোনামহীন’ স্পষ্ট করেছে যে, বিষয়টি তাদের ইচ্ছাধীন ছিল না বরং সম্পূর্ণই প্রশাসনের নিরাপত্তাজনিত সিদ্ধান্তের ফল। তারা শিক্ষার্থীদের এবং আগত অতিথিদের মতো সমভাবে ব্যথিত এবং এমন একটি বড় আয়োজনের অংশ হতে না পেরে দুঃখ প্রকাশ করেছে। ব্যান্ডটির এই দীর্ঘ প্রস্তুতির পর শেষ মুহূর্তের এই বাতিলে সাধারণ শিক্ষার্থী ও ভক্তদের মাঝেও এক ধরনের ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।


২০২৬-এ মহানায়কের জন্মশতবর্ষ: নতুন রূপে উত্তমকুমারকে ফিরে পাবে কলকাতা বইমেলা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বিনোদন ডেস্ক

বাংলা চলচ্চিত্রের কিংবদন্তি ও মহানায়ক উত্তমকুমারের জন্মশতবর্ষ পালিত হবে ২০২৬ সালে। এই বিশেষ বছরটিকে স্মরণীয় করে রাখতে আগামী কলকাতা বইমেলায় এক বিশাল ও বর্ণাঢ্য আয়োজনের পরিকল্পনা করেছে ‘পাবলিশার্স অ্যান্ড বুক সেলার্স গিল্ড’। ২০২৬ সালের বইমেলা হবে পুরোপুরি ‘উত্তমময়’, যেখানে রুপালি পর্দার এই কালজয়ী তারকাকে নতুন রূপে আবিষ্কার করার সুযোগ পাবেন দর্শক ও সংস্কৃতিপ্রেমীরা। বইমেলার প্রাঙ্গণে মহানায়ক একা নন, তাঁর সমসাময়িক ছবি বিশ্বাস, পাহাড়ি সান্যালের মতো প্রাতঃস্মরণীয় ব্যক্তিত্ব থেকে শুরু করে পরবর্তী প্রজন্মের ঋতুপর্ণ ঘোষের সময়কালকেও এক সুতোয় বেঁধে ফেলার এক শৈল্পিক পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।

এবারের মেলার অন্যতম আকর্ষণ হবে প্রেক্ষাগৃহের আদলে সাজানো একটি বিশেষ প্রদর্শনী কক্ষ। ‘আর্ট অলিন্দ আর্কাইভ’ এবং ‘কলকাতা কথকতা’-র যৌথ উদ্যোগে এই প্রদর্শনীতে উত্তমকুমারের ব্যক্তিগত জীবন ও চলচ্চিত্র ক্যারিয়ারের নানা দুর্লভ স্মারক সাধারণের জন্য উন্মুক্ত করা হবে। এর মধ্যে থাকবে তাঁর নিজের হাতে লেখা চিঠি, চিত্রনাট্য, শুটিংয়ের স্থিরচিত্র, পুরনো সিনেমার পোস্টার, টিকিট এবং অভিনেতার ব্যবহৃত পোশাক। শুধু চাক্ষুষ স্মারকই নয়, কক্ষের ভেতরে কান পাতলে শোনা যাবে পুরনো দিনের প্রেক্ষাগৃহের আমেজ—কখনো ভেসে আসবে সত্যজিৎ রায়ের সিনেমার গান, আবার কখনো শোনা যাবে টিকিট কাউন্টারের চিরচেনা কোলাহল। বিশেষ আকর্ষণ হিসেবে রাখা হবে ‘সপ্তপদী’ সিনেমার সেই আইকনিক বাইকটি, যাতে চেপে গাইতে দেখা গিয়েছিল ‘এই পথ যদি না শেষ হয়’।

এই আয়োজনকে সফল করতে মহানায়কের পরিবারের সদস্যরাও হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। উত্তম-পুত্র গৌতম চট্টোপাধ্যায়ের দ্বিতীয় স্ত্রী মহুয়া চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, তিনি মহানায়কের ব্যবহৃত বেশ কিছু ব্যক্তিগত জিনিস এই প্রদর্শনীর জন্য দেওয়ার পরিকল্পনা করছেন। পাশাপাশি ‘দ্য গোল্ডেন মোমেন্টস’ নামে একটি বিশেষ বই প্রকাশিত হবে, যেখানে উত্তমকুমারের সান্নিধ্যে আসা মানুষদের নানা স্মৃতি ও অভিজ্ঞতার সংকলন থাকবে। গিল্ডের পক্ষ থেকে পুরো অনুষ্ঠানটির নাম রাখা হয়েছে ‘অতি উত্তম’, যার মূল সমন্বয়ের দায়িত্বে রয়েছেন মালবিকা বন্দ্যোপাধ্যায়।

আগামী ২২ জানুয়ারি থেকে ৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলতে থাকা এই উৎসবে সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায়, মাধবী মুখোপাধ্যায়, লিলি চক্রবর্তী ও অপর্ণা সেনের মতো বরেণ্য শিল্পীদের আমন্ত্রণ জানানোর পরিকল্পনা করা হয়েছে। আলোচনাচক্র, স্মৃতিচারণা এবং মহানায়কের কালজয়ী সব গানের সুর বইমেলা প্রাঙ্গণকে করে তুলবে প্রাণবন্ত। নতুন প্রজন্মের কাছে বাংলা সিনেমার গৌরবময় ইতিহাস তুলে ধরতেই এই প্রয়াস। সব ঠিক থাকলে ২০২৬ সালের কলকাতা বইমেলা হয়ে উঠবে এক জীবন্ত সিনেমা হল, যেখানে বাংলা সংস্কৃতির আকাশে উজ্জ্বলতম ধ্রুবতারা উত্তমকুমার আবারও এক অনন্য মহিমায় সাধারণের মাঝে ফিরে আসবেন।


নেটফ্লিক্সে স্প্যানিশ থ্রিলার ‘সিটি অব শ্যাডোজ’-এর দাপট: রোমাঞ্চকর গল্পের টানে বুঁদ দর্শক

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বিনোদন ডেস্ক

নেটফ্লিক্সে সদ্য মুক্তি পাওয়া স্প্যানিশ সিরিজ ‘সিটি অব শ্যাডোজ’ (City of Shadows) বিশ্বজুড়ে রহস্যপ্রেমী দর্শকদের মধ্যে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। বার্সেলোনার রহস্যময় পটভূমিতে নির্মিত এই ক্রাইম থ্রিলারটি মুক্তির পরপরই নেটফ্লিক্সের বিদেশি ভাষার সিরিজের তালিকায় সেরা পাঁচে জায়গা করে নিয়েছে। টানটান উত্তেজনা আর নিখুঁত নির্মাণের কারণে সিরিজটি এখন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে।

ছয় পর্বের এই সিরিজের কাহিনী আবর্তিত হয়েছে একজন বরখাস্ত হওয়া পুলিশ সদস্যকে ঘিরে। শহরে যখন একের পর এক নৃশংস হত্যাকাণ্ড শুরু হয় এবং পুলিশ প্রশাসন খুনিকে ধরতে ব্যর্থ হয়, তখন তাকে পুনরায় চাকরিতে ফিরিয়ে আনা হয়। এরপর এক নারী সহকর্মীর সঙ্গে মিলে তিনি নেমে পড়েন এক বেপরোয়া সিরিয়াল কিলারকে ধরার শ্বাসরুদ্ধকর অভিযানে। পুরো শহর যখন অজানা আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে, তখন খুনিকে শনাক্ত করার প্রতিটি ধাপ দর্শকদের জন্য তৈরি করে নতুন নতুন রোমাঞ্চ।

সিরিজটিতে প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন ইসাক ফের্রিজ, ভেরোনিকা ইচেগুই এবং আনা ওয়াগেনারসহ আরও অনেকে। তবে সিরিজটি ঘিরে একটি বিষাদময় তথ্যও রয়েছে; প্রধান অভিনেত্রী ভেরোনিকা ইচেগুই সিরিজটি মুক্তির আগেই গত আগস্টে ৪২ বছর বয়সে ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। তাঁর দুর্দান্ত অভিনয় এখন দর্শকদের কাছে স্মৃতি হয়ে রয়েছে।

সমালোচকদের কাছেও ‘সিটি অব শ্যাডোজ’ ব্যাপক প্রশংসা কুড়িয়েছে। জনপ্রিয় রিভিউ সাইট ‘রটেন টমেটোজে’ এটি ১০০% রেটিং অর্জন করেছে। যদিও গল্পের কাঠামো কিছুটা প্রথাগত, তবে এর দ্রুত গতি এবং অভিনয়শিল্পীদের অনবদ্য নৈপুণ্য দর্শককে শেষ পর্যন্ত পর্দার সামনে ধরে রাখতে সক্ষম।

সিরিজটির জনপ্রিয়তা দেখে অনেকের মনেই প্রশ্ন জেগেছে এটি কোনো সত্য ঘটনা অবলম্বনে কি না। তবে নির্মাতারা জানিয়েছেন, এটি কোনো বাস্তব হত্যাকাণ্ডের নথি থেকে নেওয়া হয়নি। সিরিজটি মূলত লেখক সাইনজ দে লা মাজার একটি জনপ্রিয় স্প্যানিশ উপন্যাসের ওপর ভিত্তি করে নির্মিত সম্পূর্ণ কাল্পনিক এক গল্প। মূলত যারা ক্রাইম ড্রামা পছন্দ করেন, তাদের জন্য ‘সিটি অব শ্যাডোজ’ বর্তমানে নেটফ্লিক্সের অন্যতম সেরা পছন্দ হয়ে দাঁড়িয়েছে।


চুয়াডাঙ্গার প্রাচীন জনপদে ইত্যাদির নতুন পর্ব: আগামী শুক্রবার বিটিভিতে প্রচার

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বিনোদন ডেস্ক

জনপ্রিয় ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ‘ইত্যাদি’ নব্বইয়ের দশক থেকেই শিকড় সন্ধানী পরিক্রমায় স্টুডিওর চার দেয়াল পেরিয়ে দেশের নানা প্রান্তে হাজির হচ্ছে। ইতিহাস-ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির সেতুবন্ধনে ইত্যাদির এবারের গন্তব্য ছিল সীমান্তবর্তী জেলা চুয়াডাঙ্গা। এই জেলার শত বছরের প্রাচীন জনপদ এবং ব্রিটিশ আমলে নির্মিত ঐতিহ্যবাহী স্কুল ‘নাটুদা মাধ্যমিক বিদ্যালয়’ প্রাঙ্গণে ধারণ করা হয়েছে ইত্যাদির বিশেষ এই পর্ব। আগামী ২৬ ডিসেম্বর, শুক্রবার রাত ৮টার বাংলা সংবাদের পর বাংলাদেশ টেলিভিশনে অনুষ্ঠানটি একযোগে প্রচারিত হবে।

চুয়াডাঙ্গায় ইত্যাদির ধারণকে কেন্দ্র করে পুরো জেলায় এক উৎসবমুখর পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছিল। নাটুদা বিদ্যালয়ের দৃষ্টিনন্দন হাজারদুয়ারি ভবনের সামনে নির্মিত হয়েছিল নান্দনিক মঞ্চ। অনুষ্ঠানটি উপভোগ করতে চুয়াডাঙ্গার বিভিন্ন উপজেলাসহ পার্শ্ববর্তী মেহেরপুর ও ঝিনাইদহ থেকেও হাজার হাজার মানুষ শীত উপেক্ষা করে ভিড় জমান। দর্শকদের সুবিধার্থে অনুষ্ঠানস্থলকে ঘিরে বসেছিল জমজমাট মেলা। জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে বিশেষ আমন্ত্রণপত্রের মাধ্যমে দর্শকরা কানায় কানায় পূর্ণ করে তোলেন বিশাল স্কুল প্রাঙ্গণ।

এবারের পর্বে চুয়াডাঙ্গার সন্তান লোকসংগীত শিল্পী বিউটি এবং জনপ্রিয় শিল্পী পান্থ কানাই একটি দ্বৈত গান গেয়েছেন। মোহাম্মদ রফিকউজ্জামানের কথায় এবং সংগৃহীত সুরে গানটির সংগীতায়োজন করেছেন মেহেদী। এছাড়া অনুষ্ঠানের শুরুতেই স্থানীয় নৃত্যশিল্পীরা চুয়াডাঙ্গার ইতিহাস ও ঐহিত্য নিয়ে একটি চমৎকার নৃত্য পরিবেশন করেছেন। দর্শক পর্বে চুয়াডাঙ্গাকে কেন্দ্র করে করা প্রশ্নোত্তর পর্বের পাশাপাশি চিঠি ও রেললাইন নিয়ে জনপ্রিয় সব গানের সমন্বয়ে দর্শকদের জন্য একটি উপভোগ্য প্রতিযোগিতার আয়োজন ছিল।

ইত্যাদির এবারের প্রতিবেদনে উঠে এসেছে চুয়াডাঙ্গার নানা অজানা ও শিক্ষামূলক গল্প। বন্যপ্রাণী ও পাখির গ্রাম হিসেবে পরিচিত বেলগাছি গ্রামের তরুণ বখতিয়ার হামিদের প্রকৃতিপ্রেম নিয়ে রয়েছে একটি বিশেষ প্রতিবেদন। এছাড়া চুয়াডাঙ্গার গ্রামীণ অর্থনীতিতে বিপ্লব ঘটানো ‘ব্ল্যাক বেঙ্গল গোট’ বা বিশ্বসেরা জাতের ছাগল পালনের ওপর রয়েছে একটি তথ্যবহুল আলোকপাত। ফল-ফসলের সমৃদ্ধ এই জনপদে তরুণদের আধুনিক কৃষিকাজ এবং জনপ্রিয় সাহিত্যিক শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় ও জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের স্মৃতিবিজড়িত ঐতিহাসিক স্থাপনা নিয়েও রয়েছে চমকপ্রদ তথ্য। মানবিক প্রতিবেদনে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে এই অঞ্চলের খেজুর গাছের গাছিদের জীবনসংগ্রামের চিত্র। আর বিদেশি প্রতিবেদনে দর্শকদের নিয়ে যাওয়া হবে যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেসের বিখ্যাত ‘হলিউড ওয়াক অফ ফেইম’-এ।

বরাবরের মতো নিয়মিত আয়োজন হিসেবে থাকছে চিঠিপত্র পর্ব এবং সামাজিক অসংগতি নিয়ে তীক্ষ্ণ ও রসাত্মক সব নাট্যাংশ। দানের নামে ফটোসেশন, অকারণে ইংরেজির ব্যবহার, বিজ্ঞাপনের যন্ত্রণা ও সমসাময়িক নানা বিষয় নিয়ে অভিনীত এসব নাট্যাংশে অংশ নিয়েছেন সুপরিচিত একঝাঁক অভিনয়শিল্পী। ফাগুন অডিও ভিশনের ব্যানারে হানিফ সংকেতের রচনা, পরিচালনা ও উপস্থাপনায় নান্দনিক এই পর্বটি স্পন্সর করেছে কেয়া কসমেটিকস লিমিটেড। আগামী ২৬ ডিসেম্বর বিটিভির পর্দায় চোখ রাখলে দর্শকরা চুয়াডাঙ্গার রূপ-লাবণ্য আর ইত্যাদির চিরাচরিত জাদুকরী আয়োজন উপভোগ করতে পারবেন।


নতুন রূপে ফিরছেন ক্যাপ্টেন আমেরিকা: ‘অ্যাভেঞ্জার্স: ডুমসডে’-র টিজারে বড় চমক

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বিনোদন ডেস্ক

মার্ভেল সিনেম্যাটিক ইউনিভার্সের ভক্তদের জন্য এক বড় চমক নিয়ে আবারও পর্দায় ফিরছেন জনপ্রিয় সুপারহিরো স্টিভ রজার্স বা ক্যাপ্টেন আমেরিকা। সম্প্রতি মুক্তি পাওয়া ‘অ্যাভেঞ্জার্স: ডুমসডে’-র প্রথম টিজার ট্রেলারে ক্রিস ইভান্সের প্রত্যাবর্তনের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। তবে এবারের ফিরে আসায় তিনি কেবল পৃথিবী রক্ষার লড়াইয়ে ব্যস্ত নন, বরং এক নবজাতকের বাবা হিসেবে এক নতুন ও মানবিক রূপে হাজির হবেন। টিজারের এক আবেগঘন মুহূর্তে দেখা যায় স্টিভ রজার্স একটি খামারবাড়িতে মোটরবাইকে ফিরছেন, যেখানে নেপথ্যে বাজছে অ্যাভেঞ্জার্স থিমের এক হৃদয়স্পর্শী পিয়ানো সুর।

২০১৯ সালে মুক্তি পাওয়া ‘অ্যাভেঞ্জার্স: এন্ডগেম’-এর শেষে স্টিভ রজার্স যখন স্যাম উইলসনের হাতে নিজের ঢাল তুলে দিয়ে অতীত জীবনে ফিরে গিয়েছিলেন, তখন অনেক ভক্তই ভেবেছিলেন এটিই তাঁর শেষ। কিন্তু নতুন এই টিজার ভক্তদের মনে রহস্য আর কৌতূহল বাড়িয়ে দিয়েছে। এই স্টিভ রজার্স কি আগের সেই চিরচেনা স্টিভ, নাকি মাল্টিভার্সের কোনো ভিন্ন সংস্করণ—তা নিয়ে চলছে চুলচেরা বিশ্লেষণ। বিশেষ করে তাঁর শিশু সন্তানের পরিচয় এবং তার মাঝে সুপার সোলজারের কোনো ক্ষমতা রয়েছে কি না, সেই উত্তর জানতে ভক্তদের ২০২৬ সালের মে মাস পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।

তবে শুধু ক্যাপ্টেন আমেরিকার ফেরা নয়, ‘অ্যাভেঞ্জার্স: ডুমসডে’ হতে যাচ্ছে মার্ভেলের ইতিহাসের অন্যতম বড় আয়োজন। এই সিনেমায় আইরন ম্যান খ্যাত রবার্ট ডাউনি জুনিয়র এক ভয়ংকর ভিলেন হিসেবে আবির্ভূত হবেন, যার নাম ‘ডক্টর ডুম’। এছাড়া থর, লোকি, অ্যান্ট-ম্যান ও ব্ল্যাক প্যান্থারের মতো বহু পরিচিত মুখ এবং এক্স-মেন ইউনিভার্সের চরিত্রদের একসূত্রে দেখা যাবে। সব মিলিয়ে ক্যাপ্টেন আমেরিকার এই প্রত্যাবর্তন মার্ভেলের গল্পকে আরও গভীর ও মানবিক উচ্চতায় নিয়ে যাবে বলেই ধারণা করা হচ্ছে।


ভিজ্যুয়ালের চমক থাকলেও গল্পের খরায় সমালোচনার মুখে ‘অ্যাভাটার ৩’

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বিনোদন ডেস্ক

জেমস ক্যামেরনের বিশ্বখ্যাত ফ্র্যাঞ্চাইজি ‘অ্যাভাটার’-এর তৃতীয় কিস্তি ‘অ্যাভাটার: ফায়ার অ্যান্ড অ্যাশ’ গত ১৯ ডিসেম্বর বিশ্বজুড়ে মুক্তি পেয়েছে। প্রথম দুই কিস্তির আকাশছোঁয়া সাফল্যের পর এই সিনেমাটি নিয়ে দর্শকদের মধ্যে ব্যাপক উন্মাদনা থাকলেও মুক্তির পর থেকে অভিজ্ঞতা অনেকটা মিশ্র। অনেক দর্শক ও সমালোচকের মতে, জেমস ক্যামেরন পর্দায় জাদুকরী দৃশ্য তৈরি করতে পারলেও গল্পের গভীরতায় এবার খেই হারিয়েছেন। প্যান্ডোরার আগ্নেয়গিরির ছাইয়ের মানুষ বা ‘মাংকওয়ান’ গোষ্ঠীকে নতুনভাবে পরিচয় করিয়ে দেওয়া হলেও সিনেমার মূল গাঁথুনি দর্শকদের মন জয় করতে হিমশিম খাচ্ছে।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নেটিজেনদের একটি বড় অংশ সিনেমাটিকে ‘একই গল্পের পুনরাবৃত্তি’ বলে আখ্যা দিয়েছেন। বিশেষ করে এক্স (সাবেক টুইটার) ও ফেসবুকে সিনেমাটি নিয়ে চলছে নানা রসিকতা। জেমস ক্যামেরন ভিজ্যুয়াল ইফেক্ট বা ভিএফএক্স-এর ওপর মাত্রাতিরিক্ত জোর দিলেও গল্পের আবেগের জায়গাটি নড়বড়ে হওয়ায় অনেকেই ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। একজন ক্ষুব্ধ দর্শক তো সিনেমাটিকে ৪০০ মিলিয়ন ডলারের একটি ‘পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশন’ বলে মন্তব্য করেছেন। দর্শকদের বড় অভিযোগ—৩ ঘণ্টা ১০ মিনিটের এই দীর্ঘ সিনেমায় কেবল কারিগরি কারসাজি আছে, কিন্তু গত কিস্তিগুলোর মতো হৃদয়ছোঁয়া অনুভূতি নেই।

কারিগরি দিক থেকে সিনেমাটি অনন্য হওয়ায় অনেক সমালোচক মনে করছেন, এটি বরাবরের মতোই ভিজ্যুয়াল ইফেক্ট ক্যাটাগরিতে অস্কারের দৌড়ে এগিয়ে থাকবে। প্যান্ডোরার অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব ও নাভিদের নিজেদের রেষারেষির বিষয়টি নতুন মাত্রা যোগ করলেও দীর্ঘ সময় ধরে একই ধরনের দৃশ্যপট অনেক দর্শকের কাছে ক্লান্তিকর মনে হয়েছে। তবে গল্পের সমালোচনা থাকলেও বক্স অফিসে কিন্তু এর প্রভাব খুব একটা পড়েনি। প্রায় ৪০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ব্যয়ে নির্মিত এই সিনেমাটি বক্স অফিসে শক্তিশালী সূচনা করেছে। যদিও দ্বিতীয় কিস্তির তুলনায় উদ্বোধনী আয়ের গ্রাফ এবার কিছুটা নিম্নমুখী, তবুও চলচ্চিত্র বিশ্লেষকরা দেখার অপেক্ষায় আছেন এটি আগের মতো ২ বিলিয়ন ডলারের ক্লাবে পৌঁছাতে পারে কি না।


banner close