রাজনীতিতে যুক্ত হওয়ার সময়ই অভিনয় ছাড়ার আভাস দিয়েছিলেন দক্ষিণী ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির শক্তিমান অভিনেতা থালাপতি বিজয়। তার সেই আভাস এবার বাস্তবে রূপ নিতে যাচ্ছে। বর্তমানে রাজনীতির মাঠে ব্যস্ততা বাড়ায় খুব শিগগিরই রুপালি জগতকে বিদায় জানাবেন অসংখ্য হিট ছবির এই নায়ক। এরই মধ্যে নিজের শেষ এবং ৬৯তম সিনেমা ‘জননায়ক’-এর পোস্টার শেয়ার করে অভিনয়কে বিদায়ের কথা নিশ্চিত করেছেন তিনি। এইচ বিনোদ পরিচালিত এই সিনেমায় শ্রুতি হাসানের বিপরীতে দেখা যাবে থালাপতি বিজয়কে। ছবিতে বিজয়কে দেখা যাবে একজন রাজনৈতিক নেতার চরিত্রেই। থালাপতি বিজয় এক্স হ্যান্ডলে ‘জননায়ক’ সিনেমার ফার্স্ট লুক শেয়ার করেছেন। সেখানে সাদা পোশাক পরা অবস্থায় জনগণের সামনে তাকে দেখা গেছে। সেলফি তোলার পোজ নিয়েছেন বিজয়। সিনেমার জন্য ২৭৫ কোটি রুপি পারিশ্রমিক নিয়েছেন তিনি।
ইন্ডিয়ান গ্লিটজের বরাত দিয়ে ইন্ডিয়া টুডে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, আগামী সপ্তাহে ছবির বাকি অংশের শুটিং শুরুর কথা রয়েছে। সর্বশেষ ‘পুলি’ সিনেমায় একসঙ্গে অভিনয় করেন বিজয়-শ্রুতি। ২০১৫ সালে মুক্তি পায় এটি। মুক্তির পর সিনেমাটি বক্স অফিসে সাড়া ফেলতে না পারলেও প্রশংসা কুড়ান এই জুটি। প্রায় ১০ বছর পর ফের একসঙ্গে পর্দায় হাজির হতে যাচ্ছেন এই তারকা যুগল।
বিজয়-শ্রুতি ছাড়াও সিনেমাটির বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করছেন- ববি দেওল, প্রকাশ রাজ, পূজা হেগড়ে, প্রিয়ামণি, মমিতা বাইজু প্রমুখ। কেভিএন প্রোডাকশনের ব্যানারে নির্মিত হচ্ছে সিনেমাটি। বর্তমানে চেন্নাইয়ে ‘জননায়ক’ সিনেমার শুটিং চলছে।
থালাপতি বিজয়ের বাবার নাম এস এ চন্দ্রশেখর। তিনি ছিলেন তামিল সিনেমার পরিচালক। মা শোভা চন্দ্রশেখর ছিলেন গায়িকা। শিশুশিল্পী হিসেবে রুপালি জগতে পা রেখে তামিল সিনেমার শীর্ষ নায়কদের একজনে পরিণত হয়েছেন থালাপতি বিজয়।
ক্যারিয়ারের তুঙ্গে থাকা অবস্থায় ‘তামিলাগা ভেটরি কাজাগম’ নামে রাজনৈতিক দল গঠন করেন এই নায়ক। প্রায় এক বছর আগে আনুষ্ঠানিকভাবে দল ঘোষণা করেন। ২০২৬ সালের তামিলনাড়ুর বিধানসভা নির্বাচন ঘিরে আপাতত প্রস্তুতি নিচ্ছেন বিজয়।
রুপালি পর্দায় অভিষেকের আট বছর পর অর্থাৎ ১৯৯২ সালে ‘নালায়া থেরপু’ সিনেমার প্রথম নায়ক চরিত্রে অভিনয়ের সুযোগ পান। তার প্রথম ব্লকবাস্টার সিনেমা ‘পুভে উনাকাগা’। এটি মুক্তি পায় ১৯৯৬ সালে। তবে ২০০৩ সালে মুক্তি পাওয়া এই অভিনেতার ‘থিরুমালাই’ সিনেমাটি তার ক্যারিয়ারে নতুন মাত্রা যুক্ত করে।
নানামুখী প্রতিভার অধিকারী বিপাশা হায়াত। একাধারে তিনি চিত্রনাট্যকার, চিত্রশিল্পী, উপস্থাপক, সমাজকর্মী, মঞ্চ, টেলিভিশন ও চলচ্চিত্র অভিনেত্রী। নব্বই দশকের টিভি পর্দায় যে কয়জন অভিনেত্রী সবচেয়ে বেশি পাদপ্রদীপের আলোতে থাকতেন তাদের মধ্যে বিপাশা হায়াত শীর্ষস্থানেই থাকবেন। তার অভিনয়ে এমনই মুগ্ধতা ছড়ানো ছিল যে আজও ছোট পর্দায় সে সময়ের দর্শক এখনো তাকে খুঁজে বেড়ান। তবে বর্তমানে অভিনয় থেকে একপ্রকার দূরে সরে গিয়ে চিত্রশিল্প নিয়েই ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। পাশাপাশি দেশ থেকেও দূরে রয়েছেন এই তারকা। বর্তমানে তিনি রয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রে। আজ (২৩ মার্চ) এই অভিনেত্রীর জন্মদিন। তবে বিশেষ এই দিনটি নিয়ে আলাদা কোনো আয়োজন রাখেন না বিপাশা। প্রতিবারের মতো একান্ত ঘরোয়া পরিবেশে জন্মদিনের কেক কাটবেন তিনি। আমেরিকা থেকে বিপাশা হায়াত বলেন, ‘আমার ছেলেমেয়েরা রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে। তাই আপাতত অভিনয় করা হচ্ছে না। এখনো মাঝেমধ্যে অভিনয়কে খুব মিস করি। তবে পর্দায় না হলেও আমি আবার মঞ্চে ফিরতে আগ্রহী।’
বিপাশা হায়াত জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত অভিনেত্রী। নব্বই দশকের অনেক টিভি নাটকের অভিনয় তাকে বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান অভিনেত্রী হিসেবে সুপ্রতিষ্ঠিত করেছে। মঞ্চনাটকেও তিনি সমানভাবে সফলতার পরিচয় দিয়েছেন। মুক্তিযুদ্ধের বছর ১৯৭১ সালের আজকের দিনে (২৩ মার্চ) দিনে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। আজ তিনি পা রাখলেন জীবনের ৫৫তম বছরে। বিপাশা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলায় পড়াশোনা করেন। নন্দিত অভিনেতা, পরিচালক ও লেখক আবুল হায়াতের বড় কন্যা তিনি। পারিবারিকভাবেই শিল্প-সংস্কৃতির সঙ্গে আবাল্য পরিচয় থাকায় এক সময়ে তিনিও হয়ে উঠেছেন জাতশিল্পী। আশির দশকে ‘খোলা দুয়ার’ নাটকে বাবার মেয়ে হয়েই অভিনয় শুরু করেন। এরপর যুক্ত হন নাগরিক নাট্যসম্প্রদায়ে। টিভি নাটকে প্রথমে আলোচনায় আসেন ‘অয়োময়’ ধারাবাহিক দিয়ে। ‘অয়োময়’-এর লবঙ্গ জনপ্রিয় এবং প্রশংসিত চরিত্র। ‘রূপনগর’ নাটকে বিপদে থাকা তৌকীরকে বিপাশা দিয়েছিল মানসিক সাপোর্ট। চমৎকার একটি চরিত্র ছিল। ‘থাকে শুধু ভালোবাসা’ নাটকে ফেরদৌসের বিপরীতে বিপাশার করুণ প্রেমের অভিনয় দর্শক আজও মনে করে।
পুরো নব্বই দশকজুড়েই বিপাশা ছিলেন শীর্ষ অভিনেত্রীদের মধ্যে একজন। এই সময় একঝাঁক গ্ল্যামার অভিনেত্রী ছিলেন পরবর্তীতে সেভাবে জ্বলে উঠতে দেখা যায়নি তাদের। সেই সময়ে ছোট পর্দার অনেক অভিনেত্রীই বিজ্ঞাপনে মডেলিং করলেও সর্বোচ্চ পারিশ্রমিক বিপাশাই পেতেন। মডেলিং জগতেও খেতাব ছিল তার। একটা সময় পর অভিনয় থেকে বিরতি নিয়েছিলেন। তবে যখনই ফিরে এসেছেন তখনই যেন স্বরূপেই নিজেকে আলোকিত করেছেন। জানা যায়, নব্বই দশকের জনপ্রিয় চলচ্চিত্র ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’-এ অভিনয়ের জন্য প্রস্তাব পেয়েছিলেন বিপাশা। তবে কমার্শিয়াল ছবি করবেন না বলে ফিরিয়ে দিয়েছিলেন। এরপর দুটি মুক্তিযুদ্ধের সিনেমা ‘আগুনের পরশমনি’ ও ‘জয়যাত্রা’য় অভিনয় করেন। অভিনয়ের বাইরে বিপাশা যেমন নাট্যকারও, উপস্থাপক হিসেবেও সুপরিচিতি আছে এই তারকার। ‘বিপাশার অতিথি’ নামক একটা অনুষ্ঠান বেশ জনপ্রিয় হয়েছিল। কবিতা আবৃত্তি ও গানেও বেশ ভালো দখল রয়েছে তার। তার অন্য আরেকটি প্রতিভা হলো তিনি একজন চিত্রশিল্পী। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে চারুকলায় স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেছেন।
বিপাশার জন্মদিন উপলক্ষে কথা হয় তার বাবা দেশবরেণ্য জীবন্ত কিংবদন্তি অভিনেতা, নাট্যকার, নাট্যনির্মাতা আবুল হায়াতের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘দেখতে দেখতে বিপাশা ৫৫ বছরে পা দিল। গত বছরই আমার বই প্রকাশনা অনুষ্ঠান উপলক্ষে বিপাশা দেশে এসেছিল। তখন তার আম্মার চোখের অপারেশন হয়। মায়ের পাশে থেকে মায়ের চিকিৎসার পুরো দায়িত্বটা কাঁধে নিয়ে সবকিছু ঠিকঠাক মতো করে দিয়েই আবার আমেরিকায় ফিরে যায় বিপাশা। সেই সময়টাতে কিন্তু বিপাশা না আসলেও পারত, কিন্তু এই যে আমার বই প্রকাশনা, মায়ের চোখের চিকিৎসা-সবকিছু মিলিয়ে ওর মনটাও আসলে মানছিল না। তাই সুদূর আমেরিকা থেকে ঢাকায় চলে এসেছিল। এটা পরম সত্যি যে সন্তান পাশে থাকলে বাবা-মায়ের মনটাই আসলে অন্যরকম থাকে, শান্তি কাজ করে। ভীষণ সাহস আর জোর থাকে মনের ভেতর। বিপাশা নেই, কেমন যেন শূন্য শূন্য লাগে। দূর থেকে তাকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাই। আল্লাহ তাকে, তার স্বামী-সন্তানকে ভালো রাখুন, সুস্থ রাখুন।’
‘জেলো’খ্যাত মার্কিন গায়িকা ও অভিনেত্রী জেনিফার লোপেজ। দীর্ঘদিন ধরে গানের পাশাপাশি সিনেমা এবং ওয়েব সিরিজে কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেও সুনাম কুড়াচ্ছেন এই আবেদনময়ী তারকা। তবে গান ও অভিনয়ে ভক্তদের মাতালেও ব্যক্তিজীবনে বড়ই অসুখী জেনিফার লোপেজ। সর্বশেষ বেন অ্যাফ্লেকের সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদের পর আবারও একা হয়ে পড়েছেন তিনি। সেই একাকিত্ব দূর করতে আবারও নতুন সঙ্গীর সন্ধান করছেন এই মার্কিন তারকা। যুক্তরাষ্ট্রের গণমাধ্যম পেজ সিক্সের এক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, জেনিফার লোপেজ নিজেকে নতুন সম্পর্কের জন্য প্রস্তুত মনে করছেন এবং প্রেমের বিষয়ে তিনি বেশ আশাবাদী।
জান গেছে, জেনিফারের বন্ধুরা তাকে নতুন মানুষের সঙ্গে পরিচিত হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন এবং তিনিও সেই পরামর্শে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। অভিনেত্রীর এক ঘনিষ্ঠ সূত্র থেকে জানা যায়, এবার জেনিফার শুধু তারকা কিংবা হলিউডের পরিচিত ব্যক্তিদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকছেন না, বরং বিনোদন জগতের বাইরের মানুষের সঙ্গেও সম্পর্কে জড়ানোর ব্যাপারে বেশ আগ্রহী তিনি। আরও জানা যায়, জেনিফার এমন কারও সঙ্গে ডেট করতে চান, যিনি জনসমক্ষে খুব বেশি পরিচিত নন, তবে তিনি নিজের পছন্দের ক্ষেত্রে খুব বেশি শর্ত বেঁধে দিচ্ছেন না।
এদিকে জেনিফার লোপেজ এবং বেন অ্যাফ্লেক তাদের দ্বিতীয় বিবাহবার্ষিকীতে বিচ্ছেদের আবেদন করেন। আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের বিচ্ছেদ চূড়ান্ত হয় ২০২৫ সালের ৬ জানুয়ারি, যদিও এটি কার্যকর হয় ২০২৫ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি।
বর্তমানে বেন অ্যাফ্লেক তার সাবেক স্ত্রী জেনিফার গার্নারের সঙ্গে আবারও সময় কাটাচ্ছেন। তাদের ইতোমধ্যে একসঙ্গে বেশ কয়েকবার দেখা গেছে। সম্প্রতি একটি পেইন্টবল আউটিংয়ে বেন ও জেনিফার গার্নারকে একে অপরকে আলিঙ্গন করতে দেখা যায়। তারা তাদের সন্তান ভায়োলেট (১৯), সেরাফিনা (১৬) ও স্যামুয়েল (১৩)-এর সঙ্গে সময় কাটাচ্ছেন, যা পারিবারিক বন্ধন আরও দৃঢ় করছে মনে করছেন নেটিজেনরা।
দেখতে দেখতে ঈদের সময় ঘনিয়ে এলেও এখনো চূড়ান্ত হয়নি ঈদের সিনেমা। গত রোজার ঈদে ১১টি সিনেমা মুক্তি পেলেও এবার ঈদে মুক্তির জন্য শুরুতে আটটি ছবির নাম শোনা গেলেও পরবর্তীতে শোনা যায় হাফ ডজন সিনেমার কথা। তবে এরমধ্যে থেকেও চিত্রনায়িকা শবনম বুবলীর একটি ছবি বাদ পড়েছে। এ ছাড়া বাদ পড়ার সংশয় রয়েছে আরও দুটি ছবির। এই তালিকায় সবার আগে রয়েছে ঢালিউডের শীর্ষ তারকা শাকিব খানের ‘বরবাদ’। এর আগে পোস্টার প্রকাশ পাওয়ার পরে এই প্রতিবেদন লেখার ঠিক এক দিন আগে প্রকাশ্যে আসে সিনেমার প্রথম গান। ‘দ্বিধা’ শিরোনামের রোমান্টিক ধাঁচের এই গানটি ইতোমধ্যেই ভক্ত-দর্শকদের নজর কেড়েছে।
সিনেমাটি নিয়ে শাকিব খান বলেন, ‘এটি আমার সব সিনেমাকে ছাপিয়ে যাবে। একটা সময় বলেছিলাম, আমাদের দেশের সিনেমা আন্তর্জাতিকভাবে রিলিজ হবে হলিউড, বলিউডের সঙ্গে। এখন আমাদের সিনেমা বিশ্বের ৭টি মহাদেশে মুক্তি পায়। ছবিতে শাকিবের নায়িকা কলকাতার ইধিকা পাল। এ ছাড়া আরও অভিনয় করেছেন যিশু সেনগুপ্ত, মানব সচদেব, মিশা সওদাগর, শহীদুজ্জামান সেলিম, ফজলুর রহমান বাবুসহ অনেকেই। একটি আইটেম গানে পারফর্ম করছেন কলকাতার নায়িকা নুসরাত জাহান।
২০২৩ সালের ঈদুল আজহায় শাকিবের ব্লকবাস্টারের সঙ্গে বেশ ভালো প্রতিযোগিতা করেছিল ছোটপর্দার শীর্ষ অভিনেতা আফরান নিশোর অভিষিক্ত সিনেমা। এবার ঈদেও দুই তারকা মুখোমুখি হতে চলেছেন। এবারের ঈদুল ফিতরে মুক্তি পেতে চলেছে আফরান নিশোর ‘দাগি’। মূল চরিত্রে নিশোর সঙ্গে দেখা যাবে তমা মির্জাকে। নিশোর মতো তিনিও প্রায় দেড় বছর বিরতির পর আসছেন ক্যামেরার সামনে। একটি বিশেষ চরিত্রে অভিনয় করবেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত অভিনেত্রী সুনেরাহ বিনতে কামাল।
২০২৪ সালের শুরুতে শুটিং হয় এম রাহিম পরিচালিত ‘জংলি’ ছবির। গত বছর যখন প্রেক্ষাগৃহে ঈদুল ফিতরের ছবি নিয়ে মাতামাতি, ঠিক তখনই ছবিটির ফার্স্ট লুক পোস্টার আসে। প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান থেকে তখনই জানানো হয়, সিয়াম অভিনীত ছবিটি ওই বছরেরই ঈদুল আজহায় মুক্তি পাবে। তবে শুটিংয়ের কিছু অংশ বাকি থাকায় তখন ছবিটি মুক্তি দেওয়া সম্ভব হয়নি। তবে এবার ঈদে সিনেমাটি নিশ্চিত মুক্তি পাচ্ছে বলে দাবি করলেন ছবির নির্মাতাপক্ষ। ছবিতে সিয়ামের বিপরীতে অভিনয় করেছেন শবনম বুবলী ও প্রার্থনা ফারদিন দীঘি। ছবিতে নিজের চরিত্রটি প্রসঙ্গে সিয়াম ফেসবুকে লিখেছেন, ‘অভিনেতাদের জীবনে মাঝেমধ্যে এমন চরিত্র আসে, যার কারণে সে নিজের সর্বস্ব দিয়ে দিতে রাজি হয়ে যায়। জংলি আমার জীবনে তেমনই এক চরিত্র হয়ে এসেছে এ বছর।’
চিত্রনায়িকা বুবলীর আরেক ছবি ‘পিনিক’ মুক্তির কথা থাকলেও নানা কারণে ছবিটি পিছিয়ে দিয়েছেন ছবির নির্মাতা। জাহিদ জুয়েল পরিচালিত এ সিনেমায় বুবলী বিপরীতে থাকছেন আদর আজাদ। এ ছাড়া অভিনয় করছেন আলীরাজ, ফজলুর রহমান বাবু, জয়িতা মহলানবীশ, আজাদ আবুল কালাম, মোমেনা চৌধুরী, মাসুম বাশার, সমু চৌধুরী।
প্রস্তুতিতে এগিয়ে রয়েছে আরেক সিনেমা ‘জ্বীন-৩’। জাজ মাল্টিমিডিয়া প্রযোজিত এই সিনেমায় অভিনয় করেছেন নুসরাত ফারিয়া ও আবদুন নুর সজল। সিনেমাটি পরিচালনায় আছেন কামরুজ্জামান রোমান। এরই মধ্যে ছবির ‘কন্যা’ সিনেমারই একটি গান অন্তর্জালে প্রকাশ পেয়ে বেশ আলোড়ন তৈরি করেছে। ঈদুল ফিতরের মতো বড় উৎসবে দেখা যাওয়ার কথা লাক্সতারকা আজমেরী হক বাঁধনকে। চাঞ্চল্যকর এক হত্যাকাণ্ডের রহস্য ভেদ করার গল্প নিয়ে নির্মিত ‘এশা মার্ডার: কর্মফল’ সিনেমাটি মুক্তির কথা থাকলেও শেষমেশ চূড়ান্ত কিছু বলতে পারছেন ছবির প্রযোজনা সংস্থা কপ ক্রিয়েশন ও বিঞ্জ। এ ছাড়া অনীক বিশ্বাস পরিচালিত ‘খোদা হাফেজ’ নামের একটি ছবিও ঈদে আসছে বলে ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল। এ ছবির মাধ্যমে রুপালি পর্দায় অভিষেক হচ্ছে নতুন নায়ক ম্যাক দিদারের। এতে তার বিপরীতে অভিনয় করেছেন নিপা রিয়েলি। তবে প্রত্যাশিত সিনেমা হল না পাওয়ায় ছবিটির মুক্তি অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। এছাড়া জয়া আহসান অভিনীত ‘জিম্মি’ ওয়েব ফিল্মটিও মুক্তির কথা রয়েছে এবারের ঈদে দেখা যাক শেষমেশ কয়টি ছবি টিকে থাকে?
ইতোপূর্বে গানের কোনো তালিম না নিয়েই প্রথমবার কণ্ঠে গান তুলে নিলেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত অভিনেতা সিয়াম আহমেদ। আসন্ন ঈদে জনপ্রিয় ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ‘ইত্যাদি’র জন্য গান গাইলেন তিনি। তার সঙ্গে কণ্ঠ দিয়েছেন ছোট পর্দার এই এই সময়ের আলোচিক অভিনেত্রী জান্নাতুল হিমি। এরই মধ্যে গানটির রেকর্ডিং এবং দৃশ্যধারণের কাজ শেষ হয়েছে। গানটি নিয়ে সিয়াম বললেন, ‘আমি জীবনে কোনো দিন গান গাইতাম না। হানিফ সংকেত ও কবির বকুল ভাই যদি আমাকে তাগাদা না দিতেন। আমি গানের মানুষ না। আমি ভালো গান গাই না। কিন্তু তারপরও তারা দুজন বলেছেন, এটা তোমার দর্শকদের জন্য ঈদ উপহার, তাই গানটা গেয়েছি।’
গানটির সুর ও সংগীত পরিচালনা করেছেন ইমরান। তার সঙ্গে সিয়ামের সম্পর্কটা বন্ধুত্বের। গানটি নিয়ে সিয়াম বললেন, ‘এত মেলোডিয়াস একটা সুর করেছে, আমার মনে হয় না অন্য কেউ হলে এর চেয়ে ভালো কিছু করত। গানটা ফিল্মি। সুন্দর। গানের মেলোডি তো মানুষের মাথায় থেকে যায়। এত সহজ কথা, খুব সহজে মনের সব অনুভূতি বলে দিচ্ছে- গানটা শুনলে এটা বোঝা যায়। আমি মোটেও পেশাদার গায়ক নই, গানটা শোনার সময় সবাইকে এ বিষয়টা মাথায় রাখলে হবে। পরিবারেরই কেউ গানটি গাইছে-এটা ভেবে নিলে চলবে। এটা ভেবে নিলেই আমি হয়তো পার পেয়ে যাব।’
গানে বাবার প্রভাব নিয়ে সিয়াম বললেন, ‘আমি জীবনে কোনো দিন গানের তালিম নিইনি। সারা জীবন আমি পড়াশোনা নিয়ে ব্যস্ত ছিলাম। গুনগুন করে আমি তাদের গানই গেয়েছি, বাবা যেসব গান শুনতেন আর আমাকে শোনাতেন। আমার বাবা চমৎকার একজন শিল্পী। বাবাকে যদি সংসার সামলানোর চাপটা তার ছোট বয়সে না নিতে হতো, আমি নিশ্চিত, আমার বাবা একজন সংগীতশিল্পী হতেও পারতেন।’
সিয়াম জানালেন, তার বাবা মান্না দে, খালিদ হাসান মিলু, বারী সিদ্দিকীর মতো শিল্পীদের গান শুনতেন। এই শিল্পীরা সিয়ামেরও প্রিয় শিল্পী। সময়ের সঙ্গে প্রিয় তালিকায় আরও অনেক যোগ হয়েছে। সিয়াম বললেন, ‘বর্তমান সময়ে যারাই গান করছেন, তারা সবাই দুর্দান্ত গায়। মাঝে মধ্যে তাদের সঙ্গে গান নিয়ে আলাপ হয়। আমার মনে হয়, প্রত্যেক শিল্পীকে তার শিল্পকর্ম নিয়ে প্রশংসা শুনতে বেশি ভালো লাগে। এটা তাদের প্রাপ্যও। আর শিল্পীদের প্রশংসা ওপেনলি করা উচিত। আমি গান গাইতে পারি না; কিন্তু আমি খুব ভালো একজন শ্রোতা। সবার গান শুনি।’
‘মঞ্চকুসুম’খ্যাত বহুমুখী শিল্পপ্রতিভার নাম শিমূল ইউসুফ। দেশীয় নাট্যাঙ্গন তথা শিল্প-সাংস্কৃতিক ভুবনের এক উজ্জ্বল বহুশ্রুত একটি নাম। দেশীয় নাট্যাঙ্গনের খ্যাতিমান নির্দেশক ও ‘গেরিলা’ চলচ্চিত্রের পরিচালক নাসির উদ্দিন ইউসুফ বাচ্চু সহধর্মিণী। বাংলা অভিনয়রীতি বিকাশে এবং শুদ্ধ সঙ্গীতচর্চায় অবদানের জন্য কবি বেগম সুফিয়া কামাল ও নাট্যাচার্য সেলিম আল দীন তাকে ‘মঞ্চকুসুম’ উপাধি দিয়েছিলেন। শিল্পকলায় অবদান রাখারে জন্য ২০২৩ সালে শিমূল ইউসুফকে একুশে পদকে ভূষিত করেছে সরকার। একাধারে সংগঠক, কণ্ঠশিল্পী, নির্দেশক, ডিজাইনার, কোরিওগ্রাফার- সব পরিচয়েই যেন পূর্ণ তিনি। এরপরও সবার কাছে তিনি অভিনয়শিল্পী হিসেবেই পরিচিত শিমূল ইউসুফ। নাট্যাচার্য সেলিম আল দীনের অনন্য সব নাটকে অভিনয়, সঙ্গীতায়ন, পোশাক পরিকল্পনাসহ নানা সৃজনের মাধ্যমে নাগরিক মঞ্চে আধুনিক বর্ণনাত্মক বাংলা নাট্যের প্রায়োগিক ক্ষেত্রে তিনি হয়ে উঠেছেন অপ্রতিরুদ্ধ এক কীর্তিমান নাট্যশিল্পী।
প্রথিতযশা এ ব্যক্তিত্বের আজ জন্মদিন। ১৯৫৭ সালের ২১ মার্চ তিনি ঢাকায় জন্মগ্রহণ করেন। সাত ভাই-বোনদের মধ্যে শিমূল ইউসুফ সবার ছোট। জীবনের বিশেষ এই দিনে প্রতিবারেই প্রিয়জনদের ভালোবাসা আর শুভেচ্ছায় সিক্ত হন নন্দিত এ নাট্যকর্মী। ভেসে যায় তার ফেসবুক ওয়াল। কেউ শিমুল ইউসূফের দীর্ঘায়ু কামনা করেন, কেউ তাকে অভিনন্দিত করেছেন নতুন বছরে, কেউবা আবার প্রশংসা করেন তার ব্যতিক্রমী অভিনয়ের। আর তাদের এই শুভেচ্ছায় প্রতিবারই আপ্লুত হন শিমূল ইউসুফ। নিজের সেই অনুভূতিও শেয়ার করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। এবারও তার ব্যতিক্রম হবে না বলেই জানান তিনি। এরই মধ্যে অগ্রিম শুভেচ্ছা ভরে উঠতে শুরু করেছে তার ফেসবুক ওয়াল এবং ইনবক্স।
শিমূল ইউসুফের তার বাবা মেহতের বিল্লাহ কমলাপুরে একজন গায়ক হিসেবে কাজ করতেন। শিমূল পাঁচ বছর বয়স থেকে গান শুরু করেন। শিশুশিল্পী হিসেবে তিনি রেডিও এবং টেলিভিশনে গান পরিবেশন করতেন এবং কচি কাঁচার মেলা নামক একটি শিশুদের গানের অনুষ্ঠানে গান গাইতেন। শৈশব থেকেই শিমূল ইউসুফ উচ্চাঙ্গ সঙ্গীত, নজরুল সঙ্গীত এবং গণসঙ্গীতে ওস্তাদ হেলাল উদ্দিন, পিসি গোমেজ, ওস্তাদ ফুল মোহাম্মদ, শহীদ আলতাফ মাহমুদ, শেখ লুৎফর রহমান, আব্দুল লতিফ, ওস্তাদ ইমামউদ্দীন এবং সুধীন দাসের কাছে দীর্ঘদিন শাস্ত্রীয় এবং বাংলাদেশের ঐতিহ্যগত গানের ওপর তালিম নেন।
মঞ্চাভিনয়ের সূচনা মাত্র ১০ বছর বয়সে। এরপর একে একে পঞ্চাশ দশকেরও বেশি সময় ধরে অভিনয়ের সঙ্গে সঙ্গীতের যুগলবন্ধনে তিনি সৃষ্টি করেছেন স্বকীয় ধারা। শিল্পী হিসেবে সেই শৈশবেই ১৯৬৫ সালে পেয়েছিলেন ‘প্রেসিডেন্ট পদক’। এর আগে ১৯৬২ সালে মাত্র পাঁচ বছর বয়সে তিনি শিশুশিল্পী হিসেবে মঞ্চে অভিনয় ও সঙ্গীত জীবন শুরু করেন। ১৯৬৩ সালে তিনি তৎকালীন রেডিও পাকিস্তানে শিশুশিল্পী হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন। ১৯৬৪ সালে তৎকালীন পাকিস্তান টেলিভিশনের সম্প্রচারের প্রথম দিন শিশুশিল্পী হিসেবে সঙ্গীত পরিবেশন করেন। নানা ভাঙা-গড়ার মধ্য দিয়ে পেরিয়ে আসা তার কর্মমুখর শিল্পীজীবন যেন অনবদ্য এক ইতিহাস।
প্রায় পাঁচ দশক ধরে নিষ্ঠার সঙ্গে মঞ্চে কাজ করছেন তিনি। এ প্রসঙ্গে বহুমাত্রিক এই প্রতিভা বলেন, ‘আমার জীবন সংগীতময় ছিল, সংগীতকে ঘিরেই আমার বেড়ে ওঠা। শহীদ আলতাফ মাহমুদ নিখোঁজ হওয়ার পর আমার জীবনটা ঘুরে যায়। সংগীত ছেড়ে মঞ্চনাটকের প্রতি ভালো লাগা তৈরি হয়। রাইসুল ইসলাম আসাদ, নাসির উদ্দীন ইউসুফের মতো মুক্তিযোদ্ধাদের মঞ্চে পেয়ে ভালো লেগেছিল। মঞ্চে নিয়মিত হওয়ার কারণে গাইতে না পারার দুঃখ ছিল, তবে তাদের স্নেহ-ভালোবাসায় দুঃখ ভুলেছিলাম। সংগীত ছেড়ে দিয়েছি, এমন নয়। মঞ্চ আমার জীবনের অনেক দরজা খুলে দিয়েছে। আমি যে গাইতে, সুরারোপ, চিত্রনাট্য সম্পাদনা ও কোরিওগ্রাফি করতে পারি, তা ঢাকা থিয়েটারের না এলে জানতামই না।’
যে স্বপ্ন নিয়ে মঞ্চে এসেছিলেন, ‘কতটুকু পূরণ হয়েছে? জবাবে মঞ্চকুসুম বলেন, আমি নাটক থেকে সর্বোচ্চ আনন্দ পেয়েছি। আমি সন্তুষ্ট, আমার কোনো দুঃখবোধ নেই। আমি যে ধরনের চরিত্র করেছি, প্রতিটিই চ্যালেঞ্জিং ছিল। এখনকার কোনো অভিনেত্রীকে বনপাংশুল নাটকের ‘সুকি’ চরিত্রটি করতে বললে মনে হয় না কেউ সাহস করে করবেন। মনোযোগ ও নিজের সর্বোচ্চ দক্ষতাকে কাজে লাগিয়েছি। নাসির উদ্দীন ইউসুফের নির্দেশনায় কাজটা করেছি।’
দেখতে দেখতে ঘনিয়ে এল সময়। আর এই ঈদে ‘জ্বীন ৩’ নিয়ে সিনেমা হলে হাজির হচ্ছেন নুসরাত ফারিয়া। জাজ মাল্টিমিডিয়ার ব্যানারের এই ছবিটির একাধিক পোস্টার ও একটি গান প্রকাশিত হয়েছে এর আগে। এবার প্রকাশ পেল ছবির ‘কন্যা’ শিরোনামের একটি গান। সুন্দর কথামালা ও অসাধারণ দৃশ্যায়নের এই গানটি প্রকাশের পর পর্দায় সজল ও নুসরাত ফারিয়ার রসায়ন উপভোগ করেছেন ভক্তরা। গানটি প্রকাশের এক দিন পর বাংলাদেশের বরেণ্য সংগীতশিল্পী রুনা লায়লা তার ফেসবুকে শেয়ার করেছেন। তা দেখে কেঁদেছেন ছবির নায়িকা নুসরাত ফারিয়া।
‘কন্যা’ গানটি প্রকাশ হওয়ার পর থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও যেন আগুন লেগেছে। সেই সঙ্গে প্রশংসার বন্যায় ভাসছেন সজল ও ফারিয়া। বিশেষ করে ফারিয়া যেন আলাদাভাবে সবার প্রশংসা কুড়াচ্ছেন। ফারিয়া তিনটি ভিন্ন কস্টিউমে হাজির হয়েছেন। সিঁদুর লাল শাড়িতে একেবারে টুকটুকে বউ-এর সাজে, কুসুম রঙা শাড়িতে যেন নামিয়েছেন বসন্ত এবং সাদা কুর্তিতে মোহনীয় ফারিয়া নজর কেড়েছেন সবার। অন্যদিকে আব্দুন নূর সজলও পরেছেন ভিন্ন তিনটি রঙের কস্টিউম। সাদা, কুসুম ও কালো রঙের পাঞ্জাবিতে তিনিও সুন্দর। গানের সবচেয়ে আকর্ষণীয় যে বিষয়টি, সেটি হলো- রং-বেরঙের মুখোশ ব্যবহারে গানটি রঙের বাহারে ভর্তি। সব মিলিয়ে ঈদ উৎসবের স্পষ্ট আমেজ।
আগেই উল্লেখ করা হয়েছে, গানটির প্রশংসায় মেতেছেন সবাই। বিশেষ করে নুসরাত ফারিয়াকে আলাদাভাবে অভিনন্দন জানাচ্ছেন সবাই। এসবের মধ্যে সাধারণ দর্শক থেকে শুরু করে আছেন শোবিজ তারকারাও। এই যেমন- ‘কন্যা’ গানটি শেয়ার দিয়ে শবনম বুবলী লিখেছেন, ‘এই গানে তোমাকে খুব সুন্দর লাগছে নুসরাত ফারিয়া। অনেকদিন পর এমন গানে তোমাকে দেখে খুব ভালো লাগছে। তোমাকে ভালোবাসি প্রিয়। গানটি যেমন সুন্দর, তেমন কালারফুল। পুরো টিম দারুণ কাজ করেছে।’
মাহিয়া মাহি গানটি শেয়ার দিয়েছেন। নুসরাত ফারিয়ার প্রশংসা করে লিখেছেন, ‘আল্লাহ লাল শাড়িতে তোকে কত্ত সুন্দর লাগছে দোস্ত।’ সিয়াম আহমেদ গানটি শেয়ার দিয়ে লিখেছেন, ‘বেস্ট অব লাক টিম।’ সাধারণ দর্শকও গানটির প্রশংসা করেছেন বেশ। গানের নিচে কমেন্টবক্স ভরে গেছে সুন্দর সুন্দর প্রশংসা বার্তায়। একজন লিখেছেন, ‘গানটি অসাধারণ, মার্জিত। সুন্দর লিরিক্স। খুব ভালো লেগেছে।’ আরেকজন মন্তব্য করেছেন, ‘আগুন আগুন, মধু মধু।’ অন্য আরেকজন লিখেছেন, ‘নাচ গানের সুর, সব মিলিয়ে জাস্ট ওয়াও।’
‘কন্যা’ গানটির কথা লিখেছেন রবিউল ইসলাম জীবন। কণ্ঠ দিয়েছেন ইমরান মাহমুদুল ও দিলশাদ নাহার কনা। কণ্ঠের পাশাপাশি ‘কন্যা’র সুর-সংগীতও ইমরানের। জাজ মাল্টিমিডিয়ার ব্যানারে ‘জ্বীন’ সিনেমার প্রথম কিস্তিতে দেখা গেলেও দ্বিতীয় কিস্তিতে ছিলেন না সজল। এবার তিনি যুক্ত হলেন তৃতীয় কিস্তিতে। প্রথম কিস্তিতে প্রশংসিত হয়েছিলেন এই অভিনেতা। ‘জ্বীন’ সিরিজের তৃতীয় সিনেমা ‘জ্বীন ৩’। ২০২৩ সালে মুক্তি পায় এর প্রথম কিস্তি ‘জ্বীন’। গেল বছর প্রেক্ষাগৃহে আসে ছবির দ্বিতীয় অধ্যায় ‘মোনা: জ্বীন-২’। এবার রোজার ঈদে আসছে ‘জ্বীন ৩’।
অল্পের জন্য বড় দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেলেন তরুণ সংগীতশিল্পী ও অভিনেত্রী পারশা মাহজাবীন পূর্ণি। আজ শনিবার উবারে করে বনানী যাওয়ার সময় রাজধানীর কুর্মিটোলায় গাড়িটিতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। তবে সময়মতো গাড়ি থেকে নেমে যাওয়ায় কোনো ক্ষতি হয়নি বলে খবর পাওয়া গেছে। বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন পারশা নিজেই।
এই বিষয়ে সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকেও তিনি একটি পোস্ট দিয়েছেন।
সেখানে তিনি লিখেন, ‘কিছুক্ষণ আগে কুর্মিটোলা হসপিটালের সামনে আমার Uber- এ আগুন ধরে যায়। ধোঁয়াতে আমার গলা এখনো জ্বলছে। গাড়ির দরজাটাও খুলতে পারিনি প্রথম কিছুক্ষণ। আগুন দাউ দাউ করে জ্বলছিলো! কিভাবে যে বেঁচে গেছি!’
জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মধ্যে ইউকেলেলে বাজিয়ে ‘আমি ভুলে যাই’ গান গেয়ে নজর কেড়েছিলেন সংগীতশিল্পী পারশা মাহজাবীন। এরপর তাকে নিয়ে আলোচনা হয়। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ২১ ফেব্রুয়ারি উপলক্ষে ইউনেস্কো সদর দপ্তরে বাংলাদেশের প্রতিনিধিদলের অংশ হিসেবে পারফর্ম করেন তিনি।
গানের পাশাপাশি অভিনয়ে নিজের নাম জড়িয়েছেন পারশা। গত বছর প্রবীর রায় চৌধুরীর নাটক ‘লাভ লাইন’ দিয়ে অভিনয়ে অভিষেক ঘটে তাঁর। সম্প্রতি মুক্তি পেয়েছে পারশার প্রথম ওয়েব ফিল্ম ‘ঘুমপরী’। যা ইতোমধ্যে দর্শকদের মধ্যে বেশ সাড়া ফেলেছে।
প্রকৃতির রুদ্ররোষে হলিউড! জেমি লি কার্টিস, প্যারিস হিলটন, অ্যান্থনি হপকিনস, ম্যান্ডি মুরেরদের লস অ্যাঞ্জেলেসের বাড়ি দাবানলের গ্রাসে। ভয়াবহ পরিস্থিতিতে আতঙ্ক সর্বত্র। আগুনের লেলিহান শিখায় জ্বলতে থাকা ঘরবাড়ির ছবি শেয়ার করে একাধিক হলিউড তারকা সোশ্যাল মিডিয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। ইতোমধ্যেই জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে সেখানে। দেশি গার্লখ্যাত বলিউড ও হলিউড তারকা প্রিয়াঙ্কা চোপড়ার লস অ্যাঞ্জেলেসের বাড়ির অনতিদূরেই এমন অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে। বুধবার গভীর রাতে সেই ছবি শেয়ার করে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন এই অভিনেত্রী।
প্রিয়াঙ্কা চোপড়া নিজেও এখন আমেরিকাবাসী। বিগত কয়েক বছর ধরেই লস অ্যাঞ্জেলেসে নিক জোনাসের সঙ্গে ঘরকন্না পেতেছেন তিনি। পাশাপাশি হলিউডেও তিনি বেশ পরিচিত মুখ। বুধবার রাতে তার বেভারলি হিলসের বাংলো বাড়ির বারান্দা থেকে যে দৃশ্য ক্যামেরাবন্দি করলেন অভিনেত্রী, তা দেখে শিউরে উঠতে হয়! দাউদাউ করে জ্বলছে সর্বত্র। বিধ্বংসী দাবানলে ক্ষতিগ্রস্ত ক্যালিফোর্নিয়া নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে একাধিক ইনস্টাগ্রাম স্টোরি শেয়ার করেছেন প্রিয়াঙ্কা। সেখানেই তার প্রার্থনা, ‘রাতে যেন আমরা সবাই সুরক্ষিত থাকি।’
এদিকে এই আতঙ্কের মধ্যেই নতুন একটি সুখবর পেলেন প্রিয়াঙ্কা। আসন্ন অস্কারের সংক্ষিপ্ত তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে ভারতের স্বল্পদৈর্ঘ্য সিনেমা ‘অনুজা’। সিনেমাটির নির্বাহী প্রযোজক প্রিয়াঙ্কা চোপড়া। একটি নয় বছর বয়সী মেয়ের গল্প উঠে এসেছে এই সিনেমায়। মেয়েটি তার বড় বোন পলকের সঙ্গে একটি গার্মেন্টস কারখানায় কাজ করে। সে এমন একটি সিদ্ধান্তের মুখোমুখি হয়, যা তার ভবিষ্যৎ এবং পরিবার, উভয়কেই প্রভাবিত করে।
এই সিনেমার সঙ্গে যুক্ত হওয়ার বিষয়ে প্রিয়াঙ্কা বলেন, ‘সিনেমাটি এমন একটি বিষয়ের ওপর নির্মিত, যা বিশ্বজুড়ে লাখ লাখ শিশুকে প্রভাবিত করবে। এই শিশুরা তাদের ভবিষ্যৎ সম্পর্কে একেবারেই ভাবে না এবং কঠিন বাস্তবতার মুখোমুখি হয়।’ তিনি আরও বলেন, মর্মস্পর্শী, চিন্তা করতে সাহায্য করবে এমন একটি গল্পের সিনেমা ‘অনুজা’। এটি আমাদের জীবনের গতিপথকে প্রভাবিত করতে দারুণভাবে সাহায্য করবে। আমি এমন একটি অসাধারণ প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত হতে পেরে অত্যন্ত গর্বিত।
সিনেমাটি নির্মাণ করেছে সালাম বালক ট্রাস্ট (এসবিটি) নামে একটি অলাভজনক প্রতিষ্ঠান। এটি মূলত কাজ করে ছিন্নমূল শিশুদের সহায়তার জন্য। ‘অনুজা’র চিত্রনাট্য লিখেছেন আদম জে গ্রেভস। সিনেমাটি নির্মাণও করেছেন তিনি।
শোবিজ তথা সংগীতাঙ্গনে এখন একটাই আলোচনা। আর সেটা হচ্ছে সংগীতশিল্পী ও অভিনেতা তাহসান খানের নতুন বিয়ে নিয়ে। সোশ্যাল মিডিয়ায় চোখ রাখলেই এ উন্মাদনার প্রমাণ মিলছে। গত ৪ জানুয়ারি বিয়ের খবর প্রকাশ পায় তাহসানের। এরপর থেকেই গায়ক এবং তার নতুন জীবনসঙ্গী রোজা আহমেদের বিয়ের ছবি ঘুরছে শত শত পোস্টে। শুভকামনার বন্যার সঙ্গে চলছে নানা কৌতূহল। সবচেয়ে বেশি প্রশ্ন- হানিমুনে কোথায় যাচ্ছেন তাহসান-রোজা দম্পতি? সেই প্রশ্নের জবাব মিলল এবার। গতকাল মঙ্গলবার সকাল ৮টা ৫৫ মিনিটে দেশের একটি এয়ারলাইনসের বিমানে করে মালদ্বীপের উদ্দেশে রওনা হন তারা। সূর্যময় দ্বীপরাজ্যে মধুচন্দ্রিমার বিশেষ মুহূর্তগুলো কাটাবেন এ দম্পতি। দ্বিতীয় বিয়ের পর যেন মধুর সমস্যায় পড়েছেন তাহসান খান। একদল ভক্ত তার নতুন জীবনের জন্য শুভকামনা জানিয়েছেন। আবার অন্য একটি দল স্ত্রী রোজা আহমেদের সঙ্গে তার বয়সের পার্থক্য ও দুজনের অতীত নিয়ে সমালোচনায় মেতেছেন। বিষয়গুলো নিয়ে বরাবরের মতোই নীরব তাহসান।
অতীতেও অভিনেত্রী মিথিলার সঙ্গে তার বিচ্ছেদ নিয়ে কম আলোচনা হয়নি। প্রতিবারই এই অভিনেতা থেকেছেন নীরব ভূমিকায়। এবারও শুরু থেকেই তাই করেছেন। বিয়ে করলেও কোনো ঢাকঢোল পেটাননি। বরং পারিবারিক আয়োজনেই সব অনুষ্ঠান ও কার্যক্রম সম্পন্ন করেছেন। বিয়ের পর গত সোমবার সন্ধ্যায় রাজধানীর গুলশানের একটি রেস্টুরেন্টে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে প্রকাশ পায় তাহসান খান ও সিঁথি সাহার নতুন গান ‘একা ঘর আমার’। বিরহ ধাচের গানটি লিখেছেন তাহসান নিজেই। সংগীতায়োজন করেছেন সাজিদ সরকার। অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে নিজ হাতে অনুপম মিউজিক ইউটিউব চ্যানেলে গানটি প্রকাশ করেন তাহসান। সঙ্গে ছিলেন সিঁথি সাহা, সাজিদ সরকারসহ আরও অনেকে।
আর এই অনুষ্ঠানের হাজির হয়ে নতুন গানের পাশাপাশি বিয়ে নিয়েও সাংবাদিকদের নানারকম প্রশ্নের মুখোমুখি হন তাহসান। সেখানে বিয়ে নিয়ে নানা সমালোচনা-বিতর্কের জবাবে ঠাণ্ডা মাথায় তাহসান বলেন, ‘আমাদের দেশের মানুষের মধ্যে রসবোধটা একটু বেশি। এ ছাড়া আমরা জাতিগতভাবে একটু বেশি বিচারকধর্মী। কিছু মানুষ আছেন যারা সব সময় চুলচেরা বিশ্লেষণ নিয়ে একটু বেশি ব্যস্ত থাকেন। এটা উচিত না। এসব বিষয় মাথায় রাখলে এগিয়ে যাওয়া কঠিন।’
বিয়ের পরের অনুভূতি জানতে চাইলে মিষ্টি হেসে তাহসান বলেন, ‘আমি অন্য আর দশজন মানুষের মতোই। বিয়ে হলো আমার ব্যক্তিগত জীবনের একটা অংশ। আর্টিস্ট হিসেবে মানুষ আমার ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে অনেক কিছু জানতে চায় তাই বিয়ের মতো এত বড় একটি বিষয় লুকিয়ে রাখতে চাইনি। এর বাইরে আমার কিছু বলার নেই।’
ছবি নিষিদ্ধ করার ডাক, তথ্য বিকৃতির অভিযোগ, প্রাণনাশের হুমকিসহ একাধিক বিতর্কের জাল পেরিয়ে অবশেষে ‘এমার্জেন্সি’ মুক্তির আলো দেখতে চলেছে আগামী ১৭ জানুয়ারি। তার প্রাক্কালেই নতুন ট্রেলার প্রকাশ্যে এনে ঝাঁজালো কঙ্গনা রানাউত। ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীকে ‘সবচেয়ে বিতর্কিত নেত্রী’ বলে সম্বোধন করলেন। ‘ইন্দিরাই ইন্ডিয়া’, নতুন ট্রেলারে সত্তর দশকের উত্তাল সময়ের ঝলক দেখা গেল। নেতা-মন্ত্রীদের দাবার চালে তৎকালীন রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট কতটা প্রভাবিত হয়েছিল, ‘ইমার্জেন্সি’র নয়া ট্রেলারে সেই আওয়াজও স্পষ্ট। জয়প্রকাশ নারায়ণের ভূমিকায় অনুপম খের, যুব অটল বিহারি বাজপেয়ীর চরিত্রে শ্রেয়স তলপড়ে, ফিল্ড মার্শাল স্যাম মানেকশর চরিত্রে মিলিন্দ সোমানকে দেখা গেল সেই ঝলকে। কঙ্গনার ‘ইমার্জেন্সি’তে গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে রয়েছেন মহিমা চৌধুরী এবং সতীশ কৌশিকও।
ট্রেলার প্রকাশ্যে এনে কঙ্গনার মন্তব্য, ‘বহু চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হওয়ার পর এমার্জেন্সি অবশেষে ১৭ জানুয়ারি বড়পর্দায় আসছে। আমি খুব খুশি। এই গল্প শুধু এক বিতর্কিত নেত্রীর নয়, এই ছবি বর্তমান প্রেক্ষাপটেও ভীষণ প্রাসঙ্গিক। সাধারণতন্ত্র দিবসের মাত্র এক সপ্তাহ আগে রিলিজ করছে। সপরিবারে কিংবা কাছের মানুষকে নিয়ে দেশপ্রেম উদযাপন করার একেবারে যোগ্য সময়।’
সত্তর দশকের প্রেক্ষাপটে তৈরি কঙ্গনার ‘ইমার্জেন্সি’। ছবিতে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর চরিত্রে অভিনয় করেছেন অভিনেত্রী। প্রথমে ২০২৩ সালের অক্টোবর বা নভেম্বরে ছবিটির মুক্তি পাওয়ার কথা ছিল। তা পিছিয়ে রিলিজ ডেট হিসেবে চলতি বছরের ১৪ জুন তারিখটি নিশ্চিত করা হয়েছিল। কিন্তু লোকসভা নির্বাচনের কারণে ফের ছবির মুক্তির তারিখ পিছিয়ে দেওয়া হয়। ৬ সেপ্টেম্বর নতুন মুক্তির তারিখ হিসেবে ধার্য করা হয়। কিন্তু সেই সময়েও সেন্সর বোর্ডের চোখ রাঙানিতে মুক্তির আলো দেখতে পারেনি ‘ইমার্জেন্সি’।
প্রসঙ্গত, ‘ইমার্জেন্সি’ সিনেমা নিয়ে প্রবল আপত্তি ছিল ‘শিরোমনি গুরুদ্বারা প্রবন্ধক কমিটি’র। ছবিটিকে নিষিদ্ধ করার দাবি জানানো হয়েছিল। সেই রেশ কাটতে না কাটতেই শিরোমণি অকালি দলের তরফ থেকেও আপত্তি ওঠে। অভিযোগ ওঠে ছবিটি শিখ সম্প্রদায়ের জন্য অপমানজনক। এই সম্প্রদায় সম্পর্কে ভুল তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। এই অভিযোগে চণ্ডীগড়ের জেলা আদালতে মামলা নথিভূক্ত করার আর্জি জানিয়েছিলেন আইনজীবী রবিন্দর সিং। তার জেরে অভিনেত্রী তথা সাংসদকে নোটিশও পাঠানো হয়েছিল। আগস্ট মাসে প্রাণনাশের হুমকিও পেয়েছিলেন তারকা সাংসদ। তবে এবারে সেন্সরের ছাড়পত্র নিয়েই এমার্জেন্সি মুক্তি পাচ্ছে।
বলিউডের লাস্যময়ী অভিনেত্রী দীপিকা পাড়ুকোন। দেখতে দেখতে ক্যারিয়ারের দেড় দশক পার করে দিয়েছেন এই অভিনেত্রী। এই দেড় দশকে অনেক উত্থানের ঘটনা ঘটেছে তার ক্যারিয়ারে। বলিউডের গণ্ডি পেরিয়ে অভিনয় করেছেন হলিউডের সিনেমায়ও। দীপিকা পাড়ুকোন গত দুই বছরে শুধু বক্স অফিসেই বিস্ফোরণ ঘটাননি, তিনি অনেক জায়গায় ভারতের প্রতিনিধিত্বও করেছেন। বর্তমানে ভারতীয় অভিনেত্রীদের মধ্যে সবচেয়ে প্রভাবশালী ও বিশ্বসেরা ব্র্যান্ডগুলোর অ্যাম্বাসাডর হিসেবেও কাজ করে যাচ্ছেন তিনি।
গতকাল ৫ জানুয়ারি ৩৯ বছরে পা রাখলেন দীপিকা পাড়ুকোন। আজকের বলিউডে ডিভার কর্মজীবন শুরু হয়েছিল ২০০৫ সালে। সে বছরই প্রথম পোশাকশিল্পী সুনীত বর্মার জন্য মার্জার সরণীতে হেঁটেছিলেন। তার পর থেকে একাধিক বিজ্ঞাপন ও মিউজ়িক ভিডিওয় কাজ। অভিনয়ের সফর শুরু কন্নড় ছবি ‘ঐশ্বর্য’ থেকে।
তার পরেই ২০০৭ সালে বলিউডে পা। প্রথম ছবিতেই বলিউডের বাদশাহের বিপরীতে তিনি। ‘ওম শান্তি ওম’ ছবিতে শান্তিপ্রিয়ার চরিত্রে নজর কেড়েছিলেন দীর্ঘাঙ্গী অভিনেত্রী। টানা টানা চোখে টানা কাজল, সারল্যে ভরা হাসিতে মুগ্ধ করেছিলেন দীপিকা। এর পরে আর পিছন ফিরে তাকাতে হয়নি দীপিকাকে। ১৭ বছর বলিউডে কাটিয়ে ফেলেছেন তিনি। বর্তমানে ভারতের প্রথম সারির অভিনেত্রীদের মধ্যে তিনি একজন। পারিশ্রমিকের দিক থেকেও এগিয়ে তিনি। নায়িকার ৩৯ তম জন্মদিনে দেখে নেওয়া যাক তার সম্পত্তির পরিমাণ।
বর্তমানে দীপিকা প্রায় ৫০০ কোটির সম্পত্তির মালিক। জানা গেছে, প্রতি ছবির জন্য ৩০ কোটি টাকার আশপাশে পারিশ্রমিক নেন তিনি। হিসাব বলছে, প্রতি মাসে দীপিকার আয় ৩ কোটি টাকা। বার্ষিক আয় ৪০ কোটিক আশপাশে ঘোরাফেরা করে।
২০১৩ সালে মুম্বাইয়ের প্রভাদেবীতে একটি বিলাসবহুল বাড়ি কিনেছিলেন দীপিকা। পরে স্বামী রণবীর সিংহের সঙ্গে জোট বেঁধে বান্দ্রাতে শাহরুখের বাড়ির কাছেই আরও একটি বাসস্থান ক্রয় করেন দীপিকা। ১১,২৬৬ বর্গফুটের সেই বাড়ির দাম ১১৯ কোটি টাকা।
এখানেই শেষ নয়। ওরলিতে পাঁচ কামরার একটি ফ্ল্যাট রয়েছে দীপিকা-রণবীরের, যার দাম ৪০ কোটি টাকা। মাঝে মধ্যেই ছুটি কাটাতে আলিবাগে ছুটে যান এই তারকা দম্পতি। সেখানেও তাদের একটি বাংলো রয়েছে। সেই বাংলোর দাম ২২ কোটি টাকা। এ ছাড়া বেশ কিছু সংস্থায় বিনিয়োগ করে রেখেছেন দীপিকা। অভিনয়ের পাশাপাশি একাধিক বিদেশি ব্র্যান্ডের মুখ হিসাবেও আয় করেন তিনি। বর্তমানে তার নিজস্ব পোশাক ও ত্বক পরিচর্যার ব্র্যান্ডও রয়েছে।
মারা গেছেন বর্ষীয়ান অভিনেতা প্রবীর মিত্র। আজ রোববার রাত ১০টা ১০ মিনিটে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মৃত্যু বরণ করেছেন। অভিনেতার ছোট ছেলে সিফাত ইসলাম গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
অন্যদিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক পোস্টে মিশা সওদাগর লিখেছেন, ‘প্রবীর মিত্র দাদা আর নেই। কিছুক্ষণ আগে উনি ইন্তেকাল করেছেন। স্রষ্টা তাকে ক্ষমা করুক।’
সেই পোস্টের কমেন্ট বক্সে ভক্ত-অনুরাগীরা কিংবদন্তি অভিনেতার মৃত্যুকে শোক জানিয়েছেন।
মৃত্যুকালে প্রবীর মিত্রের বয়স হয়েছিল ৮১ বছর।
জানা গেছে, প্রবীর মিত্র বেশ কিছু শারীরিক জটিলতা নিয়ে ১৩ দিন ধরে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। শরীরে অক্সিজেন স্বল্পতাসহ বেশ কিছু অসুস্থতায় গত ২২ ডিসেম্বর তাঁকে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়।
১৯৪৩ সালের ১৮ আগস্ট কুমিল্লার চান্দিনায় জন্মগ্রহণ করেন প্রবীর মিত্র। তাঁর পুরো নাম প্রবীর কুমার মিত্র। পুরান ঢাকায় বড় হওয়া প্রবীর মিত্র স্কুলজীবন থেকেই নাট্যচর্চার সঙ্গে যুক্ত হন। স্কুলজীবনে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘ডাকঘর’ নাটকে অভিনয় করেছিলেন তিনি।
১৯৬৯ সালে প্রয়াত এইচ আকবরের ‘জলছবি’ চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য প্রথম প্রবীর মিত্র ক্যামেরার সামনে দাঁড়ান। যদিও চলচ্চিত্রটি মুক্তি পায় ১৯৭১ সালের ১ জানুয়ারি। ক্যারিয়ারের শুরুর দিকে প্রবীর মিত্র ‘নায়ক’ হিসেবে কয়েকটি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। পরে চরিত্রাভিনেতা হিসেবে কাজ করেও তিনি দর্শকপ্রিয়তা পেয়েছেন।
প্রবীর মিত্রের পুত্রবধূ সোনিয়া ইসলাম জানিয়েছেন, রাতে গোসল শেষে ফ্রিজার গাড়িতে প্রবীর মিত্রের লাশ ধানমন্ডির বাসায় রাখা হবে। আগামীকাল সোমবার বাদ জোহর এফডিসিতে প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর চ্যানেল আইতে দ্বিতীয় জানাজা শেষে আজিমপুর কবরস্থানে তাঁকে দাফন করা হবে।
শুক্রবার মধ্যরাত থেকে ফেসবুকে চাউর হতে থাকে জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী তাহসান খান দ্বিতীয় বিয়ে করেছেন। ফেসবুকে নেটিজেনরা বাংলা নাটকের বিভিন্ন গ্রুপ থেকে শুরু করে নানাজনের টাইমলাইনে পোস্ট দিতে থাকেন এ বিষয়ে। পাত্রীর ছবি দিয়ে সেসব পোস্ট করা হয়। যেখানে জানানো হয় যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী মেকওভার আর্টিস্ট রোজা আহমেদের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন তাহসান খান। বেশ কয়েকটি সংবাদমাধ্যম ঘটা করে সংবাদও প্রচার করেছেন। তবে গতকাল শনিবার একাধিক গণমাধ্যম থেকে ঘটনার সত্যতা নিয়ে তাহসানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বিয়ে করেননি বলে উল্লেখ করেন।
তিনি বলেন, ‘এখনো বিয়ে হয়নি। কোনো আনুষ্ঠানিকতাও হয়নি। একটা ঘরোয়া আয়োজন ছিল, সেখানে এ ছবিগুলো তোলা। গতকাল সন্ধ্যায় বিস্তারিত জানাব।’
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাহসান ও রোজার একাধিক ছবি ভাইরাল হয়েছে। চলে নানান আলোচনা। তাতে নেটিজেনরা শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা জানাতে থাকেন। শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বিনোদন অঙ্গনের অনেকে। এমনো লিখেছেন কেউ কেউ, ‘অবশেষে চাঁদের আলো খুঁজে পেয়েছেন তাহসান। তার সেই প্রিয় গান যেন অবশেষে সত্য হয়ে ধরা দিল!’
একাধিক সূত্রে জানা গেছে, রোজা আহমেদ ১০ বছরের বেশি সময় ধরে বাংলাদেশে ও যুক্তরাষ্ট্রে ব্রাইডাল মেকআপ আর্টিস্ট হিসেবে কাজ করছেন। রোজা নিউইয়র্কে পড়াশোনা করেছেন। পড়াশোনা শেষ করে তিনি কসমেটোলজি লাইসেন্স অর্জন করে পরবর্তী সময়ে নিউইয়র্কের কুইন্সে রোজাস ব্রাইডাল মেকওভার প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি একজন উদ্যোক্তা বলেও জানান তাহসান। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে রোজা বেশ জনপ্রিয়, অসংখ্য অনুসারী রয়েছে তার।
প্রায় ১৮ বছর আগে ২০০৬ সালের ৭ আগস্ট বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন তাহসান খান ও অভিনেত্রী মিথিলা। এরপর ২০১৩ সালের ৩০ জুলাই তারা কন্যাসন্তানের মা-বাবা হন। পরে ২০১৭ সালের ৪ অক্টোবর বিচ্ছেদের ঘোষণা দেন তাহসান। নিজের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজ থেকে এদিন দুপুরে তাহসান ও মিথিলা যৌথভাবে তাদের বিবাহবিচ্ছেদের ঘোষণা দেন। সাবেক এই দম্পতির বিচ্ছেদের বিষয়টি তাদের অনেক ভক্ত সহজভাবে মেনে নিতে পারেননি। পরে মিথিলা ভারতের চলচ্চিত্র নির্মাতা সৃজিতকে বিয়ে করেন।