‘মঞ্চকুসুম’খ্যাত বহুমুখী শিল্পপ্রতিভার নাম শিমূল ইউসুফ। দেশীয় নাট্যাঙ্গন তথা শিল্প-সাংস্কৃতিক ভুবনের এক উজ্জ্বল বহুশ্রুত একটি নাম। দেশীয় নাট্যাঙ্গনের খ্যাতিমান নির্দেশক ও ‘গেরিলা’ চলচ্চিত্রের পরিচালক নাসির উদ্দিন ইউসুফ বাচ্চু সহধর্মিণী। বাংলা অভিনয়রীতি বিকাশে এবং শুদ্ধ সঙ্গীতচর্চায় অবদানের জন্য কবি বেগম সুফিয়া কামাল ও নাট্যাচার্য সেলিম আল দীন তাকে ‘মঞ্চকুসুম’ উপাধি দিয়েছিলেন। শিল্পকলায় অবদান রাখারে জন্য ২০২৩ সালে শিমূল ইউসুফকে একুশে পদকে ভূষিত করেছে সরকার। একাধারে সংগঠক, কণ্ঠশিল্পী, নির্দেশক, ডিজাইনার, কোরিওগ্রাফার- সব পরিচয়েই যেন পূর্ণ তিনি। এরপরও সবার কাছে তিনি অভিনয়শিল্পী হিসেবেই পরিচিত শিমূল ইউসুফ। নাট্যাচার্য সেলিম আল দীনের অনন্য সব নাটকে অভিনয়, সঙ্গীতায়ন, পোশাক পরিকল্পনাসহ নানা সৃজনের মাধ্যমে নাগরিক মঞ্চে আধুনিক বর্ণনাত্মক বাংলা নাট্যের প্রায়োগিক ক্ষেত্রে তিনি হয়ে উঠেছেন অপ্রতিরুদ্ধ এক কীর্তিমান নাট্যশিল্পী।
প্রথিতযশা এ ব্যক্তিত্বের আজ জন্মদিন। ১৯৫৭ সালের ২১ মার্চ তিনি ঢাকায় জন্মগ্রহণ করেন। সাত ভাই-বোনদের মধ্যে শিমূল ইউসুফ সবার ছোট। জীবনের বিশেষ এই দিনে প্রতিবারেই প্রিয়জনদের ভালোবাসা আর শুভেচ্ছায় সিক্ত হন নন্দিত এ নাট্যকর্মী। ভেসে যায় তার ফেসবুক ওয়াল। কেউ শিমুল ইউসূফের দীর্ঘায়ু কামনা করেন, কেউ তাকে অভিনন্দিত করেছেন নতুন বছরে, কেউবা আবার প্রশংসা করেন তার ব্যতিক্রমী অভিনয়ের। আর তাদের এই শুভেচ্ছায় প্রতিবারই আপ্লুত হন শিমূল ইউসুফ। নিজের সেই অনুভূতিও শেয়ার করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। এবারও তার ব্যতিক্রম হবে না বলেই জানান তিনি। এরই মধ্যে অগ্রিম শুভেচ্ছা ভরে উঠতে শুরু করেছে তার ফেসবুক ওয়াল এবং ইনবক্স।
শিমূল ইউসুফের তার বাবা মেহতের বিল্লাহ কমলাপুরে একজন গায়ক হিসেবে কাজ করতেন। শিমূল পাঁচ বছর বয়স থেকে গান শুরু করেন। শিশুশিল্পী হিসেবে তিনি রেডিও এবং টেলিভিশনে গান পরিবেশন করতেন এবং কচি কাঁচার মেলা নামক একটি শিশুদের গানের অনুষ্ঠানে গান গাইতেন। শৈশব থেকেই শিমূল ইউসুফ উচ্চাঙ্গ সঙ্গীত, নজরুল সঙ্গীত এবং গণসঙ্গীতে ওস্তাদ হেলাল উদ্দিন, পিসি গোমেজ, ওস্তাদ ফুল মোহাম্মদ, শহীদ আলতাফ মাহমুদ, শেখ লুৎফর রহমান, আব্দুল লতিফ, ওস্তাদ ইমামউদ্দীন এবং সুধীন দাসের কাছে দীর্ঘদিন শাস্ত্রীয় এবং বাংলাদেশের ঐতিহ্যগত গানের ওপর তালিম নেন।
মঞ্চাভিনয়ের সূচনা মাত্র ১০ বছর বয়সে। এরপর একে একে পঞ্চাশ দশকেরও বেশি সময় ধরে অভিনয়ের সঙ্গে সঙ্গীতের যুগলবন্ধনে তিনি সৃষ্টি করেছেন স্বকীয় ধারা। শিল্পী হিসেবে সেই শৈশবেই ১৯৬৫ সালে পেয়েছিলেন ‘প্রেসিডেন্ট পদক’। এর আগে ১৯৬২ সালে মাত্র পাঁচ বছর বয়সে তিনি শিশুশিল্পী হিসেবে মঞ্চে অভিনয় ও সঙ্গীত জীবন শুরু করেন। ১৯৬৩ সালে তিনি তৎকালীন রেডিও পাকিস্তানে শিশুশিল্পী হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন। ১৯৬৪ সালে তৎকালীন পাকিস্তান টেলিভিশনের সম্প্রচারের প্রথম দিন শিশুশিল্পী হিসেবে সঙ্গীত পরিবেশন করেন। নানা ভাঙা-গড়ার মধ্য দিয়ে পেরিয়ে আসা তার কর্মমুখর শিল্পীজীবন যেন অনবদ্য এক ইতিহাস।
প্রায় পাঁচ দশক ধরে নিষ্ঠার সঙ্গে মঞ্চে কাজ করছেন তিনি। এ প্রসঙ্গে বহুমাত্রিক এই প্রতিভা বলেন, ‘আমার জীবন সংগীতময় ছিল, সংগীতকে ঘিরেই আমার বেড়ে ওঠা। শহীদ আলতাফ মাহমুদ নিখোঁজ হওয়ার পর আমার জীবনটা ঘুরে যায়। সংগীত ছেড়ে মঞ্চনাটকের প্রতি ভালো লাগা তৈরি হয়। রাইসুল ইসলাম আসাদ, নাসির উদ্দীন ইউসুফের মতো মুক্তিযোদ্ধাদের মঞ্চে পেয়ে ভালো লেগেছিল। মঞ্চে নিয়মিত হওয়ার কারণে গাইতে না পারার দুঃখ ছিল, তবে তাদের স্নেহ-ভালোবাসায় দুঃখ ভুলেছিলাম। সংগীত ছেড়ে দিয়েছি, এমন নয়। মঞ্চ আমার জীবনের অনেক দরজা খুলে দিয়েছে। আমি যে গাইতে, সুরারোপ, চিত্রনাট্য সম্পাদনা ও কোরিওগ্রাফি করতে পারি, তা ঢাকা থিয়েটারের না এলে জানতামই না।’
যে স্বপ্ন নিয়ে মঞ্চে এসেছিলেন, ‘কতটুকু পূরণ হয়েছে? জবাবে মঞ্চকুসুম বলেন, আমি নাটক থেকে সর্বোচ্চ আনন্দ পেয়েছি। আমি সন্তুষ্ট, আমার কোনো দুঃখবোধ নেই। আমি যে ধরনের চরিত্র করেছি, প্রতিটিই চ্যালেঞ্জিং ছিল। এখনকার কোনো অভিনেত্রীকে বনপাংশুল নাটকের ‘সুকি’ চরিত্রটি করতে বললে মনে হয় না কেউ সাহস করে করবেন। মনোযোগ ও নিজের সর্বোচ্চ দক্ষতাকে কাজে লাগিয়েছি। নাসির উদ্দীন ইউসুফের নির্দেশনায় কাজটা করেছি।’
চরিত্রের গভীরতা, আত্মস্থ অভিনয় আর চোখে না দেখা অনুভবকে পর্দায় ছুঁয়ে দেওয়ার ক্ষমতায় বলিউড অভিনেত্রী টাবু বরাবরই অন্যদের থেকে আলাদা। সংবেদনশীল মা, রহস্যে মোড়া নারী কিংবা প্রতিবাদী আত্মা। প্রতিটি ভূমিকায় তিনি নিজেকে নতুনভাবে উপস্থাপন করেছেন। এবার সেই গুণী অভিনেত্রী সম্পূর্ণ ভিন্ন এক রূপে ফিরছেন বড়পর্দায়।
বলিউড আর দক্ষিণী সিনেমার গণ্ডি ছাড়িয়ে, টাবু এবার অভিনয় করতে চলেছেন একেবারে শক্তিশালী, নির্মম এবং জটিল এক খল চরিত্রে। দক্ষিণ ভারতের খ্যাতনামা নির্মাতাপুরী জগন্নাথ পরিচালিত নতুন সিনেমায় দেখা যাবে তাকে। ছবিতে টাবুর বিপরীতে থাকছেন জনপ্রিয় অভিনেতা বিজয় সেতুপতি, যিনি তার অভিনয়ের পরিধি ও চরিত্র নির্বাচনের জন্যই আলাদা করে পরিচিত।
টাবু ও বিজয়ের এই প্রথম একসঙ্গে কাজ, আর এই যুগলবন্দি নিয়েই ইতোমধ্যে বলিউড ও দক্ষিণী ইন্ডাস্ট্রিতে শুরু হয়েছে চর্চা। নির্মাতাদের ভাষায়, দুই অভিজ্ঞ শিল্পীর মুখোমুখি সংঘর্ষ হবে এই ছবির মূল আকর্ষণ। যদিও ছবির নাম এখনো চূড়ান্ত হয়নি। তবে জানা গেছে, এটি হবে একটি অ্যাকশন-ড্রামা ঘরানার সিনেমা। বর্তমানে চলছে চিত্রনাট্যের কাজ। প্রাথমিক পরিকল্পনা অনুযায়ী, চলতি বছরের শেষ দিকে শুটিং শুরু হবে এবং সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী বছরই মুক্তি পাবে সিনেমাটি।
টাবুর এই চরিত্রটি তার আগের সব নেতিবাচক ভূমিকাগুলোর চেয়েও বেশি তীক্ষ্ণ ও মনস্তাত্ত্বিকভাবে জটিল বলে দাবি নির্মাতাদের। ‘মকবুল’, ‘হায়দার’, ‘অন্ধাধুন’-এ তিনি যে ধূসর আবহে অভিনয় করেছেন, তা এখনো সিনেমাপ্রেমীদের স্মৃতিতে জ্বলজ্বলে। তবে এবারের চরিত্রে তিনি হতে চলেছেন আরও ভয়ঙ্কর, আরও প্রভাবশালী। এই চরিত্রের জন্য টাবু নিচ্ছেন বিশেষ প্রস্তুতি।
শুধু মনস্তাত্ত্বিক বিশ্লেষণ নয়, মারপিটের দৃশ্যগুলোকে বাস্তবসম্মত করে তুলতে তাকে শিখতে হচ্ছে বিশেষ রকমের স্টান্ট ও ফিজিক্যাল ট্রেনিংও। চরিত্রের খুঁটিনাটি বুঝে নিতে নিজেই ব্যস্ত রেখেছেন নিজেকে।
এদিকে টাবুর হাতে বর্তমানে রয়েছে বহুল প্রতীক্ষিত ‘দৃশ্যম ৩’, যা এই জনপ্রিয় থ্রিলার ফ্র্যাঞ্চাইজির শেষ অধ্যায় হিসেবে বিবেচিত। প্রথম দুটি কিস্তিতে একজন ক্ষুব্ধ পুলিশ অফিসার হিসেবেই তিনি ছিলেন দর্শকদের কাছে আতঙ্ক ও সহানুভূতির মিশ্রণ। নির্মাতারা ইঙ্গিত দিয়েছেন, তৃতীয় কিস্তিতে তার চরিত্র আরও জটিল ও দ্বন্দ্বে ভরা হবে।
টাবু মানেই অভিনয়ে ভরসা। আর এবার যখন তিনি পুরোদস্তুর খলচরিত্রে, তখন স্বাভাবিকভাবেই দর্শকদের আগ্রহও তুঙ্গে। এই ছবিটি শুধু তার ক্যারিয়ারের জন্য নয়; বরং সমগ্র ভারতীয় সিনেমার খলচরিত্রের উপস্থাপনাতেই একটি নতুন মাত্রা যোগ করতে পারে। এখন শুধু অপেক্ষা। এই ভয়ঙ্কর সুন্দর টাবুকে বড় পর্দায় দেখার। সূত্র: গিল্ড ডটকম।
বলিউডে নিজের যাত্রা শুরু করেই আলোচনার কেন্দ্রে চলে এসেছেন নবাগত অভিনেত্রী শানায়া কাপুর। সদ্য মুক্তিপ্রাপ্ত ছবি ‘আঁখোঁ কী গুস্তাখিয়া’-তে নিজের অভিনয় ও উপস্থিতি দিয়ে দর্শকের নজর কাড়তে সক্ষম হয়েছেন তিনি।
স্টারকিডদের তালিকায় নতুন সংযোজন শানায়া কাপুর, জনপ্রিয় বলিউড অভিনেতা সঞ্জয় কাপুরের কন্যা। তবে শুধুই পরিচিতি নয়, অভিনয়, ফ্যাশন সেন্স ও গ্ল্যামারের দিক থেকেও ইতিমধ্যে বলিউডে নিজের জায়গা পাকা করতে শুরু করেছেন এই উঠতি তারকা।
পর্দায় অভিষেকের আগেই সোশ্যাল মিডিয়ায় তুমুল জনপ্রিয়তা পেয়েছেন শানায়া। তার সাম্প্রতিক ফটোশ্যুট ও স্টাইল স্টেটমেন্ট অনুরাগীদের হৃদয় জয় করেছে। আর এখন বলিউডে পা রেখেই নিজের যোগ্যতা প্রমাণে নেমে পড়েছেন তিনি।
‘আঁখোঁ কী গুস্তাখিয়া’ ছবিতে শানায়ার বিপরীতে অভিনয় করেছেন বিক্রান্ত ম্যাসি। ছবিটি পরিচালনা করেছেন সন্তোষ সিং, কাহিনী লিখেছেন মানসী বাগলা। প্রযোজনার দায়িত্বে রয়েছে জি স্টুডিওস ও মিনি ফিল্মস।
শানায়া কাপুর বেড়ে উঠেছেন একেবারে ফিল্মি পরিবেশে, পরিবারে বেশিরভাগ সদস্যই যুক্ত অভিনয় জগতে। তবে তিনি চান স্টারকিড নয়, নিজের প্রতিভা দিয়েই বলিউডে নিজস্ব পরিচয় গড়তে। আত্মবিশ্বাস, কঠোর শরীরচর্চা আর নিজেকে শানিয়ে নিয়েই এগিয়ে যেতে চান তিনি।
দীর্ঘদিন পর বড় পর্দায় ফিরেছেন অভিনেত্রী জেনেলিয়া ডি’সুজা। শুধু তা-ই নয়, অনেক দিন পর তাকে বড় ব্যানারের কোনো ছবিতেও দেখা গেল। আমির খান প্রযোজিত ও অভিনীত ছবি ‘সিতারে জমিন পার’-এর মূল নায়িকা বা ছবিতে আমির খানের স্ত্রীর চরিত্রে দেখা গেল থাকে। এখানে ‘সুনীতা’ চরিত্রে অভিনয় করেছেন তিনি।
সিনেমা মুক্তির পর বক্স অফিসে সাফল্য অর্জন করেছে। এই সাফল্যের বাইরে দর্শকদের হৃদয়েও জায়গা করে নিয়েছেন জেনেলিয়া। ফলে সব কিছু মিলিয়ে সিনেমাটি জেনেলিয়ার জন্য হয়ে উঠেছে বিশেষ। ছবিটির মাধ্যমে দীর্ঘ ১৩ বছর পর একটি হিন্দি ছবিতে ফিরলেন তিনি। শেষবার তাকে দেখা গিয়েছিল ২০১২ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘তেরে নাল লাভ হো গেয়া’ ছবিতে। এরপর তিনি ‘ইটস মাই লাইফ’ ও ‘মিস্টার মাম্মি’-র মতো কয়েকটি ওটিটিও ছবিতে অভিনয় করেন।
সম্প্রতি হিন্দুস্তান টাইম জেনেলিয়াকে নিয়ে সাক্ষাৎকার প্রকাশ করেছে। সেখানে নিজের ফিরে আসার সবার এভাবে গ্রহণ করাতে দারুণভাবে উচ্ছ্বসিত তিনি। অভিনেত্রী বলেন, গত ১০ বছরে খুব বেশি কাজ করিনি। হয়তো বন্ধুবান্ধবের জন্য কিছু করেছি, গানের মধ্যে বা ছোটখাটো রোলে। দুই একটা ওটিটি ফিল্ম করেছি। তখন মনে হতো, মানুষ হয়তো আমাকে ভুলে গেছে। এটাই ভেবেছিলাম। আমার অস্তিত্ব যে আছে সেটা আমিও ভুলে গিয়েছিলাম। কিন্তু এখন মানুষ যখন বলছে, ‘তোমাকে আবার দেখতে চাই’, এটা সত্যিই হৃদয় ছুঁয়ে যায়।
জেনেলিয়া আরও বলেন, সিতারে জমিন পার তো আমির খানের ছবি, স্বাভাবিকভাবেই অনেক বেশি মানুষের চোখে পড়বে। কিন্তু আমি ভাবতেই পারিনি সেই আলোচনার ভেতরেও আমি আছি। কেউ যখন বলে, ‘তোমাকে আরও দেখতে চাই’-এটা একজন অভিনেতা ও মানুষ হিসেবে বিরল সৌভাগ্যেরই বলা যায়।
জেনেলিয়া জানালেন, ছবির প্রস্তাবটি আমির খানের কাছ থেকেই পেয়েছিলেন তিনি। তার ভাষ্য, একদিন আমির রিতেশকে কোথাও আমির খান দেখে জিজ্ঞেস করেন, ‘জেনেলিয়া কি কাজ করছে এখনো?’ রিতেশ তখন বলে, হ্যাঁ করছে। এরপর আমির আমাকে বলেন পরিচালক আরএস প্রসন্নর সঙ্গে দেখা করতে। আমি অডিশন দিই, আর সেখান থেকেই ছবিতে আমার জায়গা হয়। অনেকেই ভাবতে পারে, ২০ বছরের ক্যারিয়ারের পরেও কেন অডিশন? কিন্তু আমি মনে করি, এটা একটা দারুণ প্রক্রিয়া-এভাবেই কাজ পাওয়া উচিত। আমি খুব খুশি যে সেই পথেই এগিয়েছি।
‘সিতারে জমিন পার’-এর গল্প আবর্তিত হয়েছে একদল বিশেষভাবে সক্ষম প্রাপ্তবয়স্কদের ঘিরে, যারা একটি বাস্কেটবল প্রতিযোগিতার জন্য প্রশিক্ষণ পায় এক আত্মকেন্দ্রিক ও উদ্ধত কোচের কাছে-এই চরিত্রে অভিনয় করেছেন আমির খান। জেনেলিয়া সেখানে তার সাহসী ও সমর্থনকারী স্ত্রীর ভূমিকায় অভিনয় করেছেন।
ছবির সাফল্য নিয়ে জেনেলিয়া আরও বলেন, ‘ছবির মুক্তির দিন থেকে রবিবার (১৩ জুলাই) পর্যন্ত যেভাবে কালেকশন বেড়েছে, সেটা অনেকটাই মুখে মুখে প্রচারের কারণে। আমি বিশ্বাস করি, আপনি যদি একটা ভালো ছবি বানান, তাহলে সেটা নিজেই তার দর্শক খুঁজে নেয়। আমি খুব খুশি ছবিটা যা করেছে, বিশেষ করে আমাদের ‘সিতারাদের’ জন্য। আমি সত্যিই চাইছিলাম ছবিটা তাদের জন্য একটা ব্লকবাস্টার হোক। এটা আমার জীবনে প্রথম ছবি, যেখানে ‘ইনক্লুশন’ বা সবার গ্রহণযোগ্যতার মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে কাজ করেছি। এটা ভীষণভাবে গর্বের।’
গত কয়েক বছরে ব্যস্ততা ও দর্শকপ্রিয়তায় নায়িকাদের মধ্যে বেশ এগিয়ে রয়েছেন শবনম বুবলী। ধারাবাহিকভাবে ঈদসহ বড় উৎসবে মুক্তি পেয়েছে তার ছবি। সবশেষ চলতি বছরের রোজার ঈদে ‘জংলি’ সিনেমা নিয়ে হাজির হন বুবলী। এতে তার নায়ক ছিলেন সিয়াম আহমেদ। শাকিব খানের ‘বরবাদ’ ছবির সঙ্গে মুক্তি পায় ছবিটি। তারপরও সিনেপ্লেক্সে বেশ ভালো দর্শকপ্রিয়তা পায়। গত কোরবানির ঈদেও বুবলীর ‘সর্দার বাড়ির খেলা’ ছবিটি মুক্তির কথা থাকলেও তা পিছিয়ে যায়। তবে, সামনেই মুক্তি পাবে ছবিটি। রাখাল সবুজ পরিচালিত সরকারি অনুদানের এ ছবিতে বুবলীর নায়ক জিয়াউল রোশান। অন্যদিকে, এ নায়িকার ‘পিনিক’ শিরোনামের থ্রিলার ছবিও প্রস্তুত। যেকোনো সময় এ ছবির মুক্তির ঘোষণাও আসতে পারে। জাহিদ জুয়েলের পরিচালনায় এতে তার নায়ক আদর আজাদ। অন্যদিকে, গত মাসে বুবলী শুটিং করেছেন নতুন আরও একটি সিনেমার। ‘শাপলা শালুক’ নামের সিনেমাটি পরিচালনা করছেন রাশেদা আক্তার। এতে বুবলী অভিনয় করছেন সজলের বিপরীতে। শেরপুরের নালিতাবাড়ীর ভারতীয় সীমান্তবর্তী এলাকার বিভিন্ন লোকেশনে এই ছবির শুটিং হয়েছে। এর মাধ্যমে প্রথমবার জুটি বাঁধছেন সজল-বুবলী। ছবিটিতে আরও অভিনয় করছেন- সুমন আনোয়ার, আয়মান শিমলা, দিলরুবা দোয়েল, রফিকুল রুবেল, বাপ্পী প্রমুখ। এদিকে, নিজের নতুন এ তিন ছবি প্রসঙ্গে বুবলী বলেন, ‘শাপলা শালুক’র কাজ কিছুটা বাকি রয়েছে। তবে, যে তিনটি ছবি মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে সেগুলোর গল্প দর্শক পছন্দ করবে বলে আমার বিশ্বাস। তিনটি ছবিতেই আমি চ্যালেঞ্জিং চরিত্রে কাজ করেছি। আশা করছি, মুক্তি পেলে ছবি তিনটি দর্শকপ্রিয়তায় থাকবে।
তেলেগু চলচ্চিত্রের বর্ষীয়ান অভিনেতা ও সাবেক বিধায়ক কোটা শ্রীনিবাস রাও আর নেই। রবিবার (১৩ জুলাই) ভোর রাতে তিনি হায়দরাবাদের ফিল্মনগর এলাকায় নিজ বাসভবনে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। পরিবার সূত্রে জানা গেছে, তিনি দীর্ঘদিন বার্ধক্যজনিত সমস্যা ও শারীরিক অসুস্থতায় ভুগছিলেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৩ বছর। কোটা শ্রীনিবাস রাও রেখে গেছেন স্ত্রী রুক্মিণী ও দুই কন্যাকে।
জন্ম ও শুরু
১৯৪২ সালের ১০ জুলাই অন্ধ্রপ্রদেশের কৃষ্ণা জেলার কাঙ্কিপাড়ু গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন কোটা শ্রীনিবাস রাও। তার মা কোটা সীতারামার অনুপ্রেরণায় ছাত্রজীবনেই তিনি মঞ্চে অভিনয় শুরু করেন। চলচ্চিত্রে আসার আগে তিনি স্টেট ব্যাংক অফ ইন্ডিয়াতে কর্মরত ছিলেন।
চলচ্চিত্র জীবন
১৯৭৮ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘প্রাণম খারেদু’ ছবির মাধ্যমে তেলেগু সিনেমায় তাঁর অভিষেক হয়। এরপর দীর্ঘ অভিনয়জীবনে তিনি অভিনয় করেছেন প্রায় ৭৫০টি সিনেমায়। এর মধ্যে রয়েছে তামিল, হিন্দি, কন্নড় ও একটি মালয়ালম ভাষার সিনেমাও।
খলঅভিনেতা, চরিত্রাভিনেতা এবং কমেডিয়ান—সব ধরনের ভূমিকায় তিনি দর্শকদের মন জয় করেছেন। কাজের স্বীকৃতি হিসেবে তিনি অন্ধ্রপ্রদেশ সরকারের পক্ষ থেকে ৯টি নন্দী পুরস্কার অর্জন করেন। ২০১৫ সালে ভারত সরকার তাকে পদ্মশ্রী সম্মানে ভূষিত করে।
রাজনৈতিক জীবন
চলচ্চিত্রের পাশাপাশি রাজনীতিতেও সক্রিয় ছিলেন তিনি। ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) থেকে নির্বাচনে অংশ নিয়ে ১৯৯৯ থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত বিজয়ওয়াড়া (পূর্ব) বিধানসভা আসনের বিধায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তাঁর মৃত্যুতে চলচ্চিত্র ও রাজনৈতিক অঙ্গনে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
সিনেমা নিয়ে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী জয়া আহসান। ঢাকা ও কলকাতা দুই ইন্ডাস্ট্রিতেই সমানতালে কাজ করছেন তিনি। গত কোরবানি ঈদেই দেশের প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায় তার দুই সিনেমা ‘তাণ্ডব’ ও ‘উৎসব’। তার আগে মুক্তি পায় ‘জয়া ও শারমিন’ নামে আরও এক সিনেমা।
দুই মাসে মুক্তি পায় জয়ার তিন সিনেমা। সেগুলোর প্রচার-প্রচারণায় দেশের প্রেক্ষাগৃহে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছিলেন তিনি। এমন সময় ডাক আসে কলকাতা থেকে। উড়াল দেন সেখানে। অংশ নেন ‘আজও অর্ধাঙ্গিনী’ নামে একটি সিনেমার শুটিংয়ে। যা সম্প্রতি শেষ করেছেন। এটি দুই বছর আগে মুক্তি পাওয়া ‘অর্ধাঙ্গিনী’ সিনেমার সিকুয়েল। চলতি বছরেই সিনেমাটির মুক্তির সম্ভাবনা আছে।
এদিকে ১৮ জুলাই সেখানে মুক্তি পাচ্ছে জয়া অভিনীত সিনেমা ‘ডিয়ার মা’। অনিরুদ্ধ রায়চৌধুরী নির্মিত এ সিনেমার প্রচার নিয়ে বর্তমানে ব্যস্ত রয়েছেন তিনি। কিছুদিন আগেই প্রকাশ্যে আসে এর ট্রেলার। সেখানে জয়ার সঙ্গে তার দত্তকসন্তানের রসায়ন তুলে ধরা হয়েছে।
‘ডিয়ার মা’ সিনেমায় জয়া আহসানের বিপরীতে অভিনয় করেছেন চন্দন রায় সান্যাল। আরও অভিনয় করেছেন শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়, ধৃতিমান চট্টোপাধ্যায় এবং মালায়ালাম অভিনেত্রী পদ্মপ্রিয়া জনকীরামন।
এদিকে এ সিনেমা নিয়ে আলোচনায় মধ্যেই জয়া অভিনীত আরও এক টালিউড সিনেমার মুক্তির ঘোষণা আসে। আগামী ১ আগস্ট মুক্তি পেতে যাচ্ছে ‘পুতুলনাচের ইতিকথা’। প্রখ্যাত সাহিত্যিক মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুতুলনাচের ইতিকথা উপন্যাস অবলম্বনে এটি বানিয়েছেন সুমন মুখোপাধ্যায়
বাংলাদেশি চলচ্চিত্রের এক উজ্জ্বল নাম পূর্ণিমা। নব্বই দশকের শেষ ভাগে যাত্রা শুরু করে তিনি হয়ে ওঠেন ঢাকাই সিনেমার অন্যতম জনপ্রিয় মুখ। শুক্রবার (১১ জুলাই) ছিল এই গ্ল্যামার কন্যার জন্মদিন। এদিন ৪৪ বছরে পা রাখলেন তিনি।
চট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে ১৯৮১ সালের ১১ জুলাই জন্মগ্রহণ করেন পূর্ণিমা। তার পারিবারিক নাম দিলারা হানিফ পূর্ণিমা। চট্টগ্রামেই কেটেছে তার শৈশব ও প্রাথমিক শিক্ষাজীবন।
অভিনয়ের প্রতি আগ্রহ থেকেই চলচ্চিত্রে নাম লেখান। চলচ্চিত্রে তার অভিষেক ঘটে ১৯৯৭ সালে জাকির হোসেন রাজু পরিচালিত ‘এ জীবন তোমার আমার’ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে, মাত্র ১৬ বছর বয়সে। সেই সময় থেকেই তাকে ঘিরে গড়ে ওঠে আলাদা একটা উন্মাদনা। নানা ধরনের চরিত্রে তার সাবলীল অভিনয় তাকে দ্রুত জনপ্রিয়তার শীর্ষে নিয়ে যায়।
এরপর প্রায় দুই যুগের অভিনয় ক্যারিয়ারে শতাধিক দর্শকনন্দিত সিনেমা উপহার দিয়েছেন। পাশাপাশি টেলিভিশনেও করেছেন চমৎকার কাজ।
২০১০ সালে কাজী হায়াৎ পরিচালিত ‘ওরা আমাকে ভালো হতে দিল না’ সিনেমার জন্য পূর্ণিমা সেরা অভিনেত্রী হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন। ‘নিঃশ্বাসে তুমি বিশ্বাসে তুমি’, হৃদয়ের কথা, ধোঁকা, শিকারী, স্বামী-স্ত্রীর যুদ্ধ, মেঘের পরে মেঘ, টাকা, শাস্তি, মনের সাথে যুদ্ধ, আকাশ ছোঁয়া ভালোবাসা, পরাণ যায় জ্বলিয়া রে, মায়ের জন্য পাগল, শুভ বিবাহ তার উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্র।
হুমায়ূন আহমেদের কাহিনিভিত্তিক চলচ্চিত্র ‘সুভাতে’ শ্রবণপ্রতিবন্ধী চরিত্রে তার অভিনয় সমালোচকদের প্রশংসা কুড়িয়েছিল।
বর্তমানে পূর্ণিমা যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করছেন। তবে জন্মদিনে দেশের বন্ধু, সহকর্মী এবং ভক্তদের ভালোবাসা হৃদয়ে বহন করেন এই অভিনেত্রী। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমার সবচেয়ে বড় অর্জন মানুষের ভালোবাসা। আমি যে সময়টায় কাজ করেছি, সেই সময়ের দর্শকরা আজও আমাকে মনে রেখেছেন-এটাই আমার জন্য আশীর্বাদ। নাটক বা সিনেমায় ফেরার ইচ্ছা আমার আছে। হৃদয় ছুঁয়ে যাওয়া গল্প পেলে কাজ করব।’
পূর্ণিমা ঢাকাই চলচ্চিত্রে এক শান্ত অথচ শক্তিময় সৌন্দর্যের প্রতীক। তিনি আবার রুপালি পর্দায় ফিরে আসবেন বলে আশা করেন তার অনুরাগীরা।
বলিউড হোক বা দক্ষিণি- সিনেমাপ্রতি কে কত পারিশ্রমিক পান, সেটা সাধারণত বেশ গোপনেই রাখা হয়। তবে মাঝে মধ্যে কিছু প্রতিবেদন কিংবা বিশ্বস্ত সূত্র সেই পর্দা সরিয়ে দেয়, আর তখনই সামনে আসে তারকাদের চোখধাঁধানো পারিশ্রমিকের অঙ্ক। এত দিন ভারতে সর্বোচ্চ পারিশ্রমিক পাওয়া অভিনেত্রী ছিলেন দীপিকা পাড়ুকোন। পারিশ্রমিকের দৌড়ে দীপিকার চেয়ে খুব একটা পিছিয়ে নেই আলিয়া ভাটও। তবে সাম্প্রতিক এক চুক্তিতে বদলে গেছে ভারতের সর্বোচ্চ পারিশ্রমিক পাওয়া অভিনেত্রীর নাম। প্রিয়াঙ্কা চোপড়া, যিনি প্রায় ছয় বছর পর ভারতীয় সিনেমায় ফিরছেন। তিনি একটি ছবির জন্য ৩০ কোটি রুপি নিয়েছেন। এটিই এখন পর্যন্ত কোনো ভারতীয় অভিনেত্রীর সর্বোচ্চ পারিশ্রমিক।
এস এস রাজামৌলির পরবর্তী ছবিতে মহেশ বাবুর বিপরীতে অভিনয় করছেন প্রিয়াঙ্কা চোপড়া। একদিকে এটি তার বলিউডে প্রত্যাবর্তনের ছবি, অন্যদিকে দক্ষিণি ছবিতেও তিনি ফিরছেন দুই দশকের বেশি সময় পর। বলিউড হাঙ্গামার খবর অনুযায়ী, এই ছবির জন্য প্রিয়াঙ্কা চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন ৩০ কোটি রুপিতে।
প্রিয়াঙ্কা চোপড়া। অভিনেত্রীর ইনস্টাগ্রাম থেকে সিনেমার একটি ঘনিষ্ঠ সূত্র জানিয়েছে, ‘এ কারণেই এত দেরিতে প্রিয়াঙ্কার নাম ঘোষণা করা হয়েছে। তিনি নিজের পারিশ্রমিকের বিষয়ে একচুলও ছাড় দিতে রাজি ছিলেন না। আর কেনই বা ছাড় দেবেন? শুধু পুরুষ তারকারাই কেন বড় অঙ্ক পাবেন?’
অ্যামাজন প্রাইম ভিডিওর সিরিজ ‘সিটাডেলের’ জন্য প্রিয়াঙ্কা নিয়েছিলেন প্রায় ৪১ কোটি রুপি। যদিও সেটি ছিল ৬ ঘণ্টার কনটেন্ট, তাই সেই পারিশ্রমিককে স্বাভাবিকই বলছেন অনেকে। তবে রাজামৌলি-মহেশ বাবুর ছবির জন্য তার নেওয়া ৩০ কোটি রুপি এখন পর্যন্ত কোনো ভারতীয় অভিনেত্রীর সর্বোচ্চ পারিশ্রমিক।
রাজামৌলির এই ছবিতে সই করার আগপর্যন্ত দীপিকা পাড়ুকোন ছিলেন ভারতের সর্বোচ্চ পারিশ্রমিক পাওয়া অভিনেত্রী। ‘কাল্কি ২৮৯৮ এডি’ ছবির জন্য তিনি নিয়েছেন ২০ কোটি রুপি। আলিয়া ভাট ছবিপ্রতি ১৫ কোটি, আর কারিনা কাপুর খান, ক্যাটরিনা কাইফ, কিয়ারা আদভানি, নয়নতারা, সামান্থা রুথ প্রভুদের পারিশ্রমিক ১০ কোটি রুপির আশপাশে। তাদের সবাইকে ছাড়িয়ে গেছেন প্রিয়াঙ্কা চোপড়া।
২০১৫ সালে যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমানোর পর থেকে খুব একটা ভারতীয় ছবিতে দেখা যায়নি প্রিয়াঙ্কাকে। ‘জয় গঙ্গাজলের’ পর তিনি অভিনয় করেছেন কেবল একটি হিন্দি ছবিতে- ‘দ্য স্কাই ইজ পিঙ্ক’, যেটি মুক্তি পেয়েছিল ২০১৯ সালে। তার বহুল আলোচিত নারীকেন্দ্রিক ছবি ‘জি লে জারা’ (আলিয়া ও ক্যাটরিনাকে সঙ্গে নিয়ে) অনির্দিষ্টকালের জন্য পিছিয়ে গেছে। ফলে গত ৬ বছরে তাকে ভারতের কোনো প্রেক্ষাগৃহে কিংবা ওটিটিতেও দেখা যায়নি।
বলিউডের অন্যতম ‘ফিট’ অভিনেতা হৃতিক রোশন। তার সুঠাম চেহারায় অনুপ্রাণিত আট থেকে আশি। তবে কৈশোর থেকে যৌবনে পা দেওয়ার সময় পর্বে এমন নায়কোচিত চেহারা ছিলো না হৃতিকের। যা ছিল তা হল তার মায়াবী দুই চোখ। ছোটবেলা থেকেই ঈষৎ কটা তার চোখের মণি। যৌবনে ওই চোখের গহনে মন হারিয়েছেন বহু নায়িকাই। তার চোখের চাহনিতে বাঁধা পড়েছিলেন মেক্সিকান সুন্দরী বারবারা মোরে। এ বার নিজের চক্ষুদানের সিদ্ধান্ত নিলেন অভিনেতা। সিদ্ধান্তটা বহু বছর আগে নেওয়া। নিজের ৪৩ তম জন্মদিনে মৃত্যুর পর চক্ষুদানের জন্য নিবন্ধীকরণ করিয়েছেন। যদিও প্রথম কাউকে কিছু জানাতে চাননি অভিনেতা। পরে অবশ্য সকলকে জানান। তিনি চক্ষুদানের জন্য উৎসাহিত করেন সাধারণ মানুষকে। উল্লেখ্য, বেশ কয়েকবছর আগে ‘কাবিল’ ছবিতে হৃতিক অন্ধ ব্যক্তির চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন। অভিনয় জীবনের পঁচিশ বছর পার করে ফেলেছেন হৃতিক। এত বছরের ক্যারিয়ারে এই প্রথম হৃতিক কোন ছবি পরিচালনা করতে চলেছেন। বাবা রাকেশের সঙ্গে ‘কৃশ ৪’-এ প্রযোজক হিসেবে জুটি বেঁধেছে যশরাজ ফিল্মস।
এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়েছে। ২০২৫ সালের এসএসসি পরীক্ষায় গড় পাসের হার ৬৮.৪৫ শতাংশ। ২০২৪ সালে পাসের হার ছিল ৮৩.০৪ শতাংশ। প্রতিবছরের মতো এবার ফল প্রকাশ ঘিরে কোনো ধরনের আনুষ্ঠানিকতা রাখা হয়নি। ২০২৫ সালের এসএসসি পরীক্ষা ফল প্রকাশ নিয়ে কথা বলছেন তারকারাও। এদিকে ছোট পর্দার অভিনেত্রী কেয়া পায়েল পরীক্ষার্থীদের উদ্দেশে এক পোস্ট দিয়েছেন। যেখানে উল্লেখ করেছেন যে, জীবনের জন্য পড়াশোনা পড়াশোনার জন্য জীবন নয়। পোস্ট দিয়ে কেয়া পায়েল লিখেছেন, ‘জীবনে মানুষের মতো মানুষ হওয়াটাই সবচেয়ে বড় সার্টিফিকেট।
মন্তব্যের ঘরে নেটিজেনরা অভিনেত্রীর সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেছেন। একজন লিখেছেন, ‘একদম ঠিক বলেছ আপু তবে মানুষ মনে করে পড়াশোনায় জীবন পড়াশোনার বাইরে কিছুই নাই।’ আরেকজনের ভাষ্যে, ‘সফলতা এমনি এমনি আসে না, এর জন্য কঠোর পরিশ্রম ও ধৈর্য দরকার।’
চলতি বছর এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা শুরু হয়েছিল গত ১০ এপ্রিল। পরীক্ষা শেষ হয় ১৩ মে। এবারের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় নিয়মিত-অনিয়মিত মিলিয়ে মোট পরীক্ষার্থী ছিল ১৯ লাখ ২৮ হাজার ৯৭০ জন। ২০২৪ সালের তুলনায় এবার প্রায় এক লাখ পরীক্ষার্থী কম ছিল। এবার ফল তৈরি হয়েছে ‘বাস্তব মূল্যায়ন’ নীতিতে।
বহু পরিচয়ে তিনি আমাদের সামনে এসে দাঁড়ান–অভিনেত্রী, গায়ক, মডেল, শিক্ষক, উন্নয়নকর্মী, মা। একেকটি পরিচয়ের ছায়া পেরিয়ে যে কাহিনি তার জীবনগাথার অন্তরালে জ্বলজ্বলে হয়ে ওঠে, তা হলো–একজন নারীর আত্মপ্রতিষ্ঠার অদম্য সংগ্রাম। তিনি রাফিয়াত রশিদ মিথিলা। বাংলাদেশের বিনোদন জগতে, যিনি দীর্ঘদিন ধরে নিজের অবস্থান দৃঢ় করে রেখেছেন। মিথিলার পরিচয় শুধু শোবিজ তারকা নন বরং নারীর প্রেরণার প্রতীকও। তিনি জানেন কীভাবে ব্যক্তিগত ঝড়ের মুখে দাঁড়িয়েও নিজের স্বপ্নগুলো আঁকড়ে ধরে এগিয়ে যেতে হয়। যেমন গানে, যেমন পর্দায়, তেমনই বাস্তব জীবনের দৃঢ়তায়।
সাম্প্রতিক সময়ে যখন তার ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে জনমনে কৌতুহল তুঙ্গে, তখন মিথিলা নীরবে উচ্চারণ করেছেন অন্য এক বার্তা–নারীর অর্থনৈতিক স্বাধীনতার। তার নিজের কথাতেই উঠে এসেছে জীবনের কঠিন অধ্যায়গুলো। ২৩ বছর বয়সে বিয়েবন্ধনে আবদ্ধ হওয়া, অল্প বয়সেই মা হয়ে ওঠা, স্বপ্নের সংসারের ভেঙে যাওয়া, নতুন করে শুরু করার সংগ্রাম–সবই যেন তাকে তৈরি করেছে এক নতুন রূপে।
জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী নাজমুন মুনিরা ন্যানিসর বড় কন্যা রোদেলাও গানের জগতে পা রেখেছেন। তার গাওয়া গানগুলো প্রশংসিত হচ্ছে শ্রোতামহলে। এবার নতুন চমক নিয়ে হাজির হচ্ছেন মা-মেয়ে। প্রথমবারের মতো মৌলিক গানে কণ্ঠ দিয়েছেন তারা। ‘কেন’ শিরোনামের গানটি লিখেছেন ফয়সাল রাব্বিকীন, সুর-সংগীতায়োজন করেছেন প্রত্যয় খান। আজ গানটি প্রকাশিত হবে রোদেলার ইউটিউব চ্যানেলে। ন্যানিস বলেন, ‘গানটি আমার করার কথা ছিল। পরে মাথায় এলো এখানে রোদেলার অন্তর্ভুক্তি হলে মন্দ হয় না। আশা করি, শ্রোতাদেরও ভালো লাগবে।’
বলিউড অভিনেত্রী আলিয়া ভাটের অ্যাকাউন্ট থেকে মোটা অঙ্কের টাকা গায়েব। এই অভিযোগ উঠেছে তার সাবেক ব্যক্তিগত সচিব বেদিকা প্রকাশ শেট্টির বিরুদ্ধে। সম্প্রতি বেদিকাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
আলিয়া ভাটের ব্যক্তিগত এবং তার প্রযোজনা সংস্থার অ্যাকাউন্ট থেকে ৮০ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে বেদিকা প্রকাশ শেট্টির বিরুদ্ধে। আলিয়ার প্রযোজনা সংস্থা ‘ইটারনাল সানসাইন প্রোডাকশনস প্রাইভেট লিমিটেড’ এবং তার ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্ট থেকে ৮০ লাখের বেশি অর্থ অবৈধ উপায়ে বেদিকা আত্মসাৎ করেছেন বলে জুহু থানায় অভিযোগ করা হয়েছিল। জুহু পুলিশ এই মামলার তদন্ত করছে। পুলিশ আধিকারিকের বক্তব্য যে তদন্তের মাধ্যমে এই মামলার প্রকৃত ঘটনা বা আরও তথ্য প্রকাশ পাবে।
আলিয়ার মা সোনি রাজদান জুহু থানায় বেদিকার বিরুদ্ধে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ করেছিলেন। এর প্রায় পাঁচ মাস পর অভিযুক্ত ব্যক্তিকে বেঙ্গালুরু থেকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পেশ করা হয়েছে। আলিয়ার স্বাক্ষর জাল করে ২ বছর ধরে ৮০ লাখের বেশি টাকা প্রতারণা করার অভিযোগ উঠেছে বেদিকার বিরুদ্ধে। আলিয়া তার ব্যক্তিগত ও প্রযোজনা সংস্থা–সম্পর্কিত সব বিষয় বেদিকাকে দেখভালের দায়িত্ব দিয়েছিলেন। কিন্তু বেদিকা নিজের ক্ষমতা ও পদের অপব্যবহার করে আর্থিক তছরুপ করেছেন। এ মামলার বিষয়ে আলিয়ার দল থেকে এখনো কোনো বিবৃতি দেওয়া হয়নি।
২০২১ সালে আলিয়া তার প্রযোজনা সংস্থা ‘ইটারনাল সানসাইন প্রোডাকশনস প্রাইভেট লিমিটেড’ শুরু করেছিলেন। এই বিটাউন নায়িকা তার ব্যানারের তলায় প্রথম ছবি ‘ডার্লিংস’ নিয়ে এসেছিলেন। তবে প্রযোজনার ক্ষেত্রে আলিয়ার সঙ্গে হাত মিলিয়েছিল শাহরুখ খানের ‘রেড চিলিজ এন্টারটেইনমেন্ট’। ‘ডার্লিংস’ ছবিটি সরাসরি নেটফ্লিক্সে মুক্তি পেয়েছিল। এই ছবিতে আলিয়া, শেফালি শাহ, বিজয় ভার্মা মুখ্য ভূমিকায় ছিলেন।
আলিয়া ভাটের ব্যক্তিগত এবং তার প্রযোজনা সংস্থার অ্যাকাউন্ট থেকে ৮০ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে বেদিকা প্রকাশ শেট্টির বিরুদ্ধে
আলিয়া ভাটের ব্যক্তিগত এবং তাঁর প্রযোজনা সংস্থার অ্যাকাউন্ট থেকে ৮০ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে বেদিকা প্রকাশ শেট্টির বিরুদ্ধে কোলাজ।
আলিয়া এখন ব্যস্ত তার আগামী ছবি ‘আলফা’-র শুটিংয়ে। এই ছবির মাধ্যমে অভিনেত্রী স্পাই ইউনিভার্সের দুনিয়ায় পা রাখতে চলেছেন। ‘আলফা’ ছবিতে আলিয়ার সঙ্গে আছেন অভিনেত্রী শর্বরী বাগ। ছবিটি চলতি বছরে ২৫ ডিসেম্বর মুক্তি পাবে। এদিকে আলিয়া তার স্বামী-অভিনেতা রণবীর কাপুরের সঙ্গে ‘লাভ অ্যান্ড ওয়ার’ ছবিতে আসতে চলেছেন। সঞ্জয় লীলা বানসালির এই ছবিতে আলিয়া, রণবীর ছাড়াও আছেন ভিকি কৌশল। আলিয়ার ঝুলিতে ফারহান আখতারের ‘জি লে যরা’ ছবিটি আছে। এই ছবির অন্য দুই মুখ্য চরিত্রে দেখা যাবে প্রিয়াঙ্কা চোপড়া ও ক্যাটরিনা কাইফকে। তিন নারীর পথ-ভ্রমণ নিয়ে ফারহান ছবিটি নির্মাণ করবেন।