বুধবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৫
৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩২

আড়াল ভাঙলেন বাঁধন

আজমেরী হক বাঁধন। ছবি : সংগৃহীত
বিনোদন প্রতিবেদক
প্রকাশিত
বিনোদন প্রতিবেদক
প্রকাশিত : ১৫ এপ্রিল, ২০২৫ ২১:৩০

লাক্স চ্যানেল আই সুপারস্টার আজমেরী হক বাঁধন। মূলত লাক্স চ্যানেল আই প্ল্যাটফর্ম থেকেই শোবিজে যাত্রা শুরু হয় তার। শুরুতে নাটকে বেশ ব্যস্ত সময় কাটালেও পরবর্তীতে বিয়ে, বিচ্ছেদ ও একমাত্র কন্যাকে নিয়ে বিভিন্ন সমস্যায় পড়ে অভিনয় অনেকটাই কমিয়ে দেন তিনি। তবে বহুল আলোচিত ‘রেহানা মরিয়ম নূর’ সিনেমা দিয়ে ঘুরে দাঁড়ান এই লাক্সকন্যা। এই সিনেমায় নাম ভূমিকায় অভিনয় করে কেবল সেরা অভিনেত্রী জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারই অর্জন করেননি, আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও মুগ্ধতা ছড়ান তিনি। ‘রেহানা মরিয়ম নূর’ সিনেমার সুবাদে টালিউড এমনকি বলিউডের সিনেমাতেও কাজ করার সুযোগ মেলে তার। গত বছর জুলাই-আগস্টে কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে দেশে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে শিক্ষার্থীদের দাবির পাশে দাঁড়িয়ে নতুন করে আলোচনায় আসেন বাঁধন।

এরপর হঠাৎ করেই দেশের আলোচিত এই মডেল অভিনেত্রী আড়াল হয়ে যান। অনেক দিন ধরেই কোথাও দেখা যায়নি তাকে। সোশ্যাল মিডিয়াতেও এক ধরনের নিখোঁজই ছিলেন সবসময় বেশ সরব থাকা এ তারকা। এমনকি ঈদের সময়েও কোনো পোস্ট করতে দেখা যায়নি তাকে। অবশেষে বিরতি কাটিয়ে বাংলা নববর্ষের দিন আড়াল ভাঙেন এই লাক্সকন্যা। নববর্ষের শুভেচ্ছা জানিয়ে বাঁধন বললেন, সোশ্যাল মিডিয়া থেকে দূরে থাকায় শান্তিতে ছিলেন তিনি। ফেসবুকে বাঁধন লেখেন, ‘হ্যালো, পৃথিবী! শুভ নববর্ষ! আমি এখনো এখানেই আছি। এখনো আমার মায়ের বাড়িতেই থাকি, আমার বাবার গাড়ি চালাই। বাইরে জীবন সহজ, কিন্তু ভেতরে নীরবে ভাঙাগড়া চলে। আমি কিছুদিনের জন্য সোশ্যাল মিডিয়া থেকে সরে এসেছিলাম এবং সত্যি বলতে, এটি আমাকে শান্তি এনে দিয়েছে।’

জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত এই অভিনেত্রী আরও লেখেন, ‘আমার নিজস্ব একটি মন আছে। আমি যে পথে হেঁটেছি, তা সহজ ছিল না, তবে এটি একান্তই আমার। আমি আমার ভুলগুলো স্বীকার করি এবং আমার এই বেড়ে ওঠাকে সম্মান করি। আমার প্রতিটি সাফল্য নিজে অর্জন করেছি। অন্যের মন্তব্য আমাকে বিচলিত করে না। আমি জানি আমি কে এবং এখানে পৌঁছানোর জন্য কী করেছি।’ সবশেষে বাঁধন লেখেন, ‘কোনো অনুশোচনা নেই। প্রতিটি অভিজ্ঞতা একটি শিক্ষা। প্রতিটি পদক্ষেপ গল্পের অংশ, যা আজকের আমাকে তৈরি করেছে। সামনেও এই দৃঢ়তা নিয়ে এগিয়ে যাব।’

লাখো লাখো অনুরাগীর ভালোবাসায় সিক্ত বাঁধন ব্যক্তি জীবনে এখনো একা। ২০১০ সালের ৮ সেপ্টেম্বর মাশরুর হোসেন সিদ্দিকীকে বিয়ে করেছিলেন বাঁধন। দাম্পত্যজীবনের মাত্র চার বছর পরই ভেঙে যায় সেই সংসার। এরপর থেকে একমাত্র মেয়ে মিশেল আমানি সায়রাকে নিয়ে সিঙ্গেল মাদার হিসেবে থাকছেন এই অভিনেত্রী। গত বছর ২৮ অক্টোবর ৪০ বসন্ত পার করে ৪১-এ পা রেখেছেন তিনি। জীবনের এই সময়ে তিনি এসে উপলব্ধি করছেন জীবনে একজন সঙ্গীর খুব প্রয়োজন।

বাঁধন জানিয়েছেন, তার মেয়ে সায়রা চায় মায়ের জীবনে কেউ আসুক। সম্প্রতি গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বিষয়টি নিয়ে সোজা মুখ খুললেন তিনি। জানালেন, আবার নতুন করে, নতুনভাবে পথচলা শুরু করতে চান অভিনেত্রী। মেয়ের বায়না তুলে ধরে বাঁধন বললেন, ‘আমার মেয়ে তো এখন বড় হয়েছে। মায়ের সবকিছুই একা করতে হয়, কষ্ট করতে হয়, যুদ্ধ করতে হয়- ও বুঝছে। সবকিছু দেখে মেয়ের মনে হয়েছে, মায়ের একজন সঙ্গী দরকার।’

বাঁধন বললেন, ‘এখন অনেক বেশি মনে করি যে একজন জীবনসঙ্গী থাকতেই পারে।’ কেমন জীবনসঙ্গী চান, সে বিষয়ে বলেন, ‘জীবনসঙ্গীর ক্ষেত্রে আমাকে আমার মতো যে গ্রহণ করবে, সেই জিনিসটা খুব জরুরি। জীবনসঙ্গী শব্দটা যে বুঝবে, সে রকম কেউ যদি আসে, নিঃসন্দেহে সঙ্গী হিসেবে তার সঙ্গে পথচলা যাবে।’

চল্লিশের কোটায় এসেও বিয়ের পরিকল্পনা সামনে আনার কারণ অকপটে তুলে ধরেছেন বাঁধন। অভিনেত্রীর কথায়, ‘৪০ বছর বয়স পার হয়ে গেছে তো, এখন অন্য রকম একটা জীবন লাভ করছি। নতুন জীবনে মনে হয়েছে, একজন সঙ্গী থাকতেই পারে। সঙ্গী ছাড়া তো মানুষ থাকতে পারে না। আমার পুরো জীবনটা সঙ্গী ছাড়াই কেটেছে, অলমোস্ট।’


‘সিদ্ধার্থ’ নিয়ে টানা ৩ দিন দর্শকের সামনে নওশাবা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বিনোদন ডেস্ক

নাটক ও সিনেমায় কাজের পাশাপাশি মঞ্চেও নিয়মিত অভিনয় করেন অভিনেত্রী ও মডেল কাজী নওশাবা আহমেদ। এবার টানা তিন দিন দর্শকের সামনে উপস্থিত হচ্ছেন তিনি মঞ্চনাটক ‘সিদ্ধার্থ’ নিয়ে। শিল্পকলা একাডেমির পরীক্ষণ থিয়েটার হলে প্রদর্শিত হয়েছে নাটকটি। শেষ হবে ২১ নভেম্বর।

বিশ্বখ্যাত লেখক হেরমান হেসের উপন্যাস ‘সিদ্ধার্থ’কে নাট্যরূপ দিয়েছেন রেজা আরিফ। একই সঙ্গে নাটকটির নির্দেশনাও তার। নাট্যদল আরশিনগরের ব্যানারে প্রযোজিত এই নাটকটি এবার নতুনভাবে মঞ্চে উঠছে।

সূচি অনুযায়ী, ১৯ নভেম্বর ও ২০ নভেম্বর সন্ধ্যা ৭টা ৩০ মিনিটে নাটকটির প্রদর্শনী হবে। আর ২১ নভেম্বর বিকেল ৪টা এবং সন্ধ্যা ৭টা ৩০ মিনিটে দুটি শো দেখতে পাবেন দর্শক।

উপন্যাসটি মূলত মানুষের আত্মঅন্বেষণ, বোধ, জীবনদর্শন এবং মুক্তির পথ খোঁজার গল্প। কাহিনিতে দেখা যায়, ব্রাহ্মণকুমার সিদ্ধার্থ গৃহত্যাগী হয়ে সন্ন্যাস গ্রহণ করেন। দীর্ঘ সাধনার পরও মনস্তাত্ত্বিক প্রশ্ন ও অস্থিরতা তাকে তাড়িয়ে বেড়ায়। অবশেষে তিনি গৌতম বুদ্ধের সান্নিধ্যে যান, তবে সেখানেও খুঁজে পান না তার কাঙ্ক্ষিত উত্তর। এরপর তিনি পৃথিবীর মোহ, ভোগবিলাস ও প্রেমের টানে এগিয়ে যান এবং নগরের শ্রেষ্ঠ বারবনিতার সঙ্গে সম্পর্কে জড়ান। জীবন তাকে ভেঙে দেয় এবং পুনরায় নদীর কাছে ফিরে এসে উপলব্ধি করেন। সমস্ত প্রশ্নের উত্তর প্রকৃতির ভেতরেই রয়েছে।

নাটকটি সম্পর্কে কাজী নওশাবা বলেন, ‘সিদ্ধার্থ অসাধারণ একটি উপন্যাস। আত্মোপলব্ধির গল্প। যতবার পড়েছি, ততবারই মনে হয়েছে, এটি নিয়ে কাজ হয় না কেন? অবশেষে তা হলো এবং সেটির অংশ হতে পেরে আমি সত্যিই নিজেকে সৌভাগ্যবান মনে করি।’

তিনি আরও বলেন, ‘অনেকেই সিদ্ধার্থ নামটি শুনলেই গৌতম বুদ্ধকে ভাবেন। তবে এই নাটকে হেরমান হেসের সিদ্ধার্থ বুদ্ধ নন; বরং বুদ্ধের ছায়ার আড়ালে থাকা একটি ব্যক্তিগত মানসিক জগতের গল্প। নির্দেশক রেজা আরিফ সেই অনাবিষ্কৃত সিদ্ধার্থকেই সামনে আনছেন।’

মঞ্চনাটকের প্রতি নিজের টান প্রসঙ্গে নওশাবা বলেন, ‘একজন শিল্পীর কাজ করার অনেক মাধ্যম থাকলেও মঞ্চের অভিজ্ঞতা সম্পূর্ণ আলাদা। এখানে হয়তো অর্থ পাওয়া যায় না, কিন্তু শেখার সুযোগ সবচেয়ে বেশি। মঞ্চ আমাকে আমার ভেতরের অভিনেতাকে চিনতে সাহায্য করেছে।’

‘সিদ্ধার্থ’ নাটকে নওশাবা ছাড়াও অভিনয়ে থাকছেন পার্থপ্রতিম, জিনাত জাহান নিশা, ওয়াহিদ খান সংকেত, নাজমুল সরকার নিহাত, মাঈন হাসান, শাহাদাত নোমান, প্রিন্স সিদ্দিকীসহ আরও অনেকে।

শুধু মঞ্চেই নয়, চলতি বছর চলচ্চিত্রেও ব্যস্ত সময় পার করছেন নওশাবা। কলকাতায় মুক্তি পেয়েছে তার অভিনীত সিনেমা ‘যত কাণ্ড কলকাতাতেই’, আর ঢাকায় মুক্তি পেয়েছে তার আরেক চলচ্চিত্র ‘সাত ভাই চম্পা’।

দুই সিনেমাতেই তার অভিনয় প্রশংসিত হয়েছে। এছাড়া দীর্ঘ বিরতির পর ছোটপর্দায়ও ফিরেছেন তিনি। সম্প্রতি তিনি অভিনয় করেছেন চয়নিকা চৌধুরীর পরিচালনায় নির্মিত ‘দ্বিতীয় বিয়ের পর’ নাটকে।


দেশের ঐতিহ্য নিয়ে ‘মিস ইউনিভার্স’ মঞ্চে জামদানিতে মিথিলা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বিনোদন ডেস্ক

‘মিস ইউনিভার্স’-এর ৭৪তম আসরের জমকালো গ্র্যান্ড ফাইনাল অনুষ্ঠিত হবে আগামী ২১ নভেম্বর থাইল্যান্ডের কেন্দ্রীয় শহর পাক ক্রেটে। বিশ্বের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ এ সুন্দরী প্রতিযোগিতায় ১২১ দেশের প্রতিযোগী অংশগ্রহণ করছেন। এর মধ্যেই সব প্রতিযোগীকে নিয়ে নানা ধরনের কার্যক্রমের বাছাই প্রক্রিয়া শুরু করেছে আয়োজক কর্তৃপক্ষ। এ আসরে বাংলাদেশ থেকে প্রতিনিধিত্ব করছেন মডেল ও অভিনেত্রী তানজিয়া জামান মিথিলা। শুরু হয়েছে বিভিন্ন বিভাগে ভোটিং কার্যক্রম।

মিথিলা বিশ্বের সামনে দেশের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য তুলে ধরার জন্য তিনি বেছে নিয়েছেন বাংলাদেশের অন্যতম শ্রেষ্ঠ শিল্প- জামদানি শাড়ি। তার জাতীয় পোশাকটি দেশের রাজকীয় ঐতিহ্য তুলে ধরেছে।

নিজের অনুভূতি ও পোশাকের বিশেষত্ব প্রকাশ করে সামাজিক মাধ্যমে এক পোস্টে মিথিলা লিখেছেন- মিস ইউনিভার্স মঞ্চের জাতীয় পোশাকটি সজ্জিত হয়েছে একটি রাজকীয় জামদানি শাড়িতে, যা বাংলাদেশের রাজকীয় ঐতিহ্যের এক জীবন্ত উত্তরাধিকার।

তিনি বলেন, এটি এমন একটি কাপড়, যার প্রতিটি সুতায় রয়েছে শিল্পকলা, নিষ্ঠা এবং চিরন্তন কমনীয়তা। এই বিশেষ শাড়িটি সম্পূর্ণ হাতে তৈরি এবং এটি বুনতে সময় লেগেছে ১২০ দিনেরও বেশি। শাড়িটির ডিজাইনার হলেন- আফ্রিনা সাদিয়া সৈয়দা।

মিথিলার পরা এই জামদানি শাড়িতে ফুটে উঠেছে স্নিগ্ধ শাপলা মোটিফ। শাপলা হলো বাংলাদেশের জাতীয় ফুল। শুধু পোশাকেই নয়, মিথিলার সোনার গহনাতেও শোভা পাচ্ছে একই শাপলা ফুল। ৬ ইয়ার্ডস স্টোরি লরা খান এ নকশা করেছেন।

এর আগে ২০১৩ সালে ইউনেস্কো এই প্রাচীন শিল্পকলাকে মানবতার এক অমূল্য সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে, যা জামদানির চিরন্তন সৌন্দর্য এবং কারুশিল্পকে বৈশ্বিকভাবে উদযাপন করে। তাঁত থেকে উদ্ভূত এই জাতীয় পোশাকটি হাতে বোনা এক জামদানি শাড়ি, যা সৌন্দর্য, ঐতিহ্য এবং স্থিতিস্থাপকতার এক জীবন্ত প্রকাশ। এর ঐতিহ্য শুরু হয় ১৭ শতকের মোগল যুগ থেকে। সেই সময় জামদানি ছিল রানি ও অভিজাতদের কাছে মূল্যবান।

মিথিলার এ পোশাকটি তৈরিতে ব্যবহার করা হয়েছে সেরা সুতির তন্তু। এটি সজ্জিত হয়েছে স্বর্ণালি জরি মোটিফে। নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদীর তীরবর্তী তাঁতশিল্পীদের দ্বারা নিপুণভাবে বোনা হয়েছে এই বিশেষ শাড়িটি।

উল্লেখ্য, ‘মিস ইউনিভার্স’ প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে ২ নভেম্বর থাইল্যান্ডে পৌঁছান ‘মিস ইউনিভার্স বাংলাদেশ ২০২৫’-এর মুকুট জয় করা মডেল-অভিনেত্রী তানজিয়া জামান মিথিলা। দেশের পতাকা নিয়ে মুকুট জয়ের প্রত্যাশায় একের পর এক ধাপ উতরে যাচ্ছেন তিনি। প্রত্যাশা রয়েছে মুকুট জয়েরও।


বলিউড বাদশা এবার নির্মম মাফিয়া চরিত্রে গুরু ও শিষ্যের গল্প ‘কিং’

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বিনোদন ডেস্ক

এবার নতুন চরিত্রে পর্দায় আসছেন বলিউড ‘বাদশা’ শাহরুখ খান। এক নির্মম, ধূসর চুলের মাফিয়া চরিত্রে আবির্ভূত হচ্ছেন। সিনেমাটির আনুষ্ঠানিক শিরোনাম রাখা হয়েছে ‘কিং’। শাহরুখ খানের ৬০তম জন্মদিনে এই চলচ্চিত্রের এক টিজার উন্মোচিত হয়েছে। এই্ টিজারের মাধ্যমে বলিউড বাদশা ভক্তদের জন্য এক অভিজ্ঞতার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন এবং প্রথম টিজার দেখে মনে হচ্ছে এটি হিন্দি সিনেমার অ্যাকশনকে নতুনভাবে তুলে ধরবে।

চলচ্চিত্র প্রেমীরা মনে করছেন, ‘কিং’ শুধু একটি অ্যাকশন ছবি নয়; এটি অপরাধের অন্ধকার জগতে মোড়ানো এবং গুরু ও শিষ্যের এক আকর্ষণীয় গল্প। এর কাহিনী সম্পর্কে যদিও বিস্তারিত তথ্য কঠোরভাবে গোপন রাখা হয়েছে, তবে ভারতীয় বিভিন্ন গণমাধ্যমের রিপোর্ট অনুযায়ী- এটি একটি রোমাঞ্চকর গল্প, যেখানে শাহরুখ খান একজন দুর্দান্ত ঘাতক এবং ভাড়াটে সৈনিকের ভূমিকায় অভিনয় করছেন, তিনি এক শিষ্যাকে প্রশিক্ষণের ভার নেন। এই শিষ্য আর কেউ নন, স্বয়ং তার বাস্তব জীবনের মেয়ে সুহানা খান। এর মাধ্যমেই বড়পর্দায় অভিষেক হচ্ছে শাহরুখ কন্যার। চলচ্চিত্রটি প্রতিশোধ, ক্ষমতা এবং তীব্র মানসিক নাটকে পূর্ণ একটি হাই-স্টেকের গ্যাংস্টার থ্রিলার হিসেবে পরিচিতি পাচ্ছে।

এদিকে ‘কিং’ সিনেমার টিজারে শাহরুখ ভক্তদের মধ্যে শিহরণ জাগিয়েছে। এসআরকের কণ্ঠে ঠান্ডা একটি সংলাপ রয়েছে এতে। যেখানে তিনি বলছেন- ‘কত খুন করেছি, মনে নেই। তারা ভালো লোক ছিল, না খারাপ, কখনো জিজ্ঞেস করিনি। শুধু তাদের চোখে এই অনুভূতি দেখেছি যে এটি তাদের শেষ নিঃশ্বাস। আর আমি তার কারণ শত দেশে কুখ্যাত, দুনিয়া দিয়েছে শুধু একটাই নাম আমি ভয় নই, আমি আতঙ্ক। ইটস শো-টাইম!’

টিজারে দেখা গেছে শাহরুখ খানের আকর্ষণীয় নতুন লুক। ধূসর-সাদা চুলের স্টাইল, তীক্ষ্ণ দাড়ি এবং রুক্ষ ট্যাটু করা শরীর নিয়ে এই ‘কিং খান’ যেন অ্যাকশন ঘরানার জন্য নিজেকে সম্পূর্ণ নতুনভাবে তৈরি করেছেন। টিজারে তাকে এক অবিরাম হত্যাযজ্ঞে দেখা যায়, যেখানে তিনি প্রতীকী অস্ত্র হিসেবে একটি কিং অব হার্টস তাস ব্যবহার করছেন।

‘কিং’ সিনেমাটি পরিচালনা করেছেন অ্যাকশন ডিরেক্টর সিদ্ধার্থ আনন্দ। যিনি এর আগে এসআরকের সঙ্গে মেগা-ব্লকবাস্টার ‘পাঠান’ উপহার দিয়েছিলেন। সিনেমাটিতে শাহরুখ-সুহানা ছাড়াও দেখা মিলতে পারে দীপিকা পাড়ুকোন, অভিষেক বচ্চন, জয়দীপ আহলাওয়াত, আরশাদ ওয়ারসি, অভয় ভার্মা, রাঘব জুয়াল, রানি মুখার্জি এবং অনিল কাপুরের মতো শিল্পগুরুদের।

নেটিজেন এবং চলচ্চিত্র প্রেমীদের মাঝে কিং ইতোমধ্যেই তুমুল জল্পনা-কল্পনার বিষয় হয়েছে। এই সিনেমাটির আন্তর্জাতিক শুটিংয়ের সময়সূচি কঠোরভাবে গোপন রাখা হয়েছে। এটি মুক্তি পেতে পারে ২০২৬ সালে। প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান হিসেবে রয়েছে এসআরকের নিজস্ব রেড চিলিজ এন্টারটেইনমেন্ট এবং মারফ্লিক্স পিকচার্স।


জীবনের ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতার কথা জানালেন লেডি গাগা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বিনোদন ডেস্ক

বিশ্ববিখ্যাত গায়িকা লেডি গাগা তার ক্যারিয়ারের শীর্ষ মুহূর্তে মানসিক স্বাস্থ্যের সঙ্গে লড়াইয়ের কথা প্রকাশ করেছেন। তিনি জানান, থেরাপি, তার প্রিয়জন এবং চিকিৎসা সহায়তা তাকে সবচেয়ে কঠিন সময়গুলোতে সাহায্য করেছে।

৩৯ বছর বয়সি এই গায়িকার আসল নাম অবশ্য স্টেফানি জার্মানোটা। তবে লেডি গাগা নামে সমধিক পরিচিত এই গায়িকা বললেন, তিনি এমন এক সময়ের মুখোমুখি হয়েছিলেন যখন মানসিক স্থিতিশীলতা সম্পূর্ণ হারিয়েছিলেন। সেই কারণে তিনি তার মেয়হেম বল বিশ্ব ট্যুর বাতিল করতে বাধ্য হন।

তিনি বলেন, ‘একদিন আমার বোন বলল, ‘আমি আর আমার বোনকে দেখতে পাচ্ছি না।’ আর আমি তখনই ট্যুর বাতিল করেছিলাম।’

গাগা আরও উল্লেখ করেছেন, ‘এমন সময়ও এসেছে যখন তিনি ভাবতেন হয়তো আর সুস্থ হতে পারবেন না। ‘একদিন আমাকে মানসিক চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়। আমি একেবারে ভেঙে পড়েছিলাম। কিছুই করতে পারছিলাম না এটা সত্যিই ভয়ঙ্কর ছিল। আমি নিজেকে ভাগ্যবান মনে করি যে আমি জীবিত আছি,’ তিনি জানান।

তিনি থেরাপি এবং তার বাগদত্তার সহায়তার গুরুত্বও গুরুত্বারোপ করেছেন, যা তাকে মানসিক চাপ মোকাবিলা করতে এবং স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে পেতে সাহায্য করেছে।

খোলাখুলিভাবেই জানান, তার সর্বকালের বড় কাজ ‘এ স্টার ইজ বর্ন’ সিনেমার সময়ও তিনি লিথিয়াম গ্রহণ করতেন। ‘আমি বড় পোশাকে, উচ্চ মাত্রার সঙ্গীতের সঙ্গে ফ্যানদের সামনে থাকি এবং ৯০ সেকেন্ডের জন্য নিজেকে প্যানিক অ্যাটাক থেকে বাঁচাতে চেষ্টা করি,’ যোগ করে গাগা।

লেডি গাগার এই প্রকাশ্যে স্বীকৃতি তার মানসিক স্বাস্থ্যের সমস্যাগুলো সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধিতে সহায়ক হিসেবে দেখা যাচ্ছে।


আলোচনায় ২০ বছরের ছোট নায়িকার সঙ্গে রণবীরের রোমান্স

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বিনোদন ডেস্ক

মুক্তির পর থেকেই আলোচনায় তারকাবহুল সিনেমা ‘ধুরন্ধর’ এর ট্রেইলার। গত মঙ্গলবার মুক্তি পেয়েছে আদিত্য ধর পরিচালিত এই সিনেমার ট্রেইলার। সিনেমায় মুখ্য ভূমিকায় দেখা যাবে রণবীর সিং। পর্দায় রণবীরের সঙ্গে প্রেমের দৃশ্যে অভিনয় করতে দেখা যাবে সারা অর্জুনকে।

ট্রেইলার প্রকাশের পর তাই এখন সব ছাপিয়ে আলোচনায় রণবীর-সারার রসায়ন। নবাগত এই অভিনেত্রী রণবীরের চেয়ে ২০ বছরের ছোট। মুম্বাইয়ে ট্রেলার প্রকাশ অনুষ্ঠানে বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন রণবীর।

রণবীরের বয়স এখন ৪০, উল্টো দিকে সারার ২০। সারা অর্জুনের সঙ্গে অভিনয় নিয়ে রণবীর বলেন, ‘এই ছবিতে সারা দারুণ চরিত্রে অভিনয় করেছে। কিছু মানুষ এমনই। বয়সে ছোট হলেও সে প্রভাবশালী চরিত্রে অভিনয় করেছে।’

রণবীর তার নায়িকাকে নিয়ে আরও বলেন, ‘ও যেন সিনেমা করার জন্যই জন্মেছে। ওর অভিনয় দেখলে মনে হবে, এর আগে ও ৫০টি ছবিতে অভিনয় করে ফেলেছে। মানুষ ও শিল্পী হিসেবে ও খুবই উঁচু মানের। আমি যে অসাধারণ অভিনেতাদের সঙ্গে কাজ করেছি, তাদের মধ্যে ও একজন। ওর জন্য আমাকেও দেখতে ভালো লেগেছে।’

মণিরত্নমের পিরিয়ড ফিল্ম ‘পন্নিয়িন সেলভান’-এ ছোট নন্দিনী- অর্থাৎ ঐশ্বরিয়া রাইয়ের চরিত্রের অল্প বয়সী সংস্করণে অভিনয় করেছিলেন সারা। এর আগেই মাত্র চার বছর বয়সে আলোচনায় আসেন তিনি ২০১১ সালে তামিল ছবি ‘দেইভা থিরুমাগল’–এ বিক্রমের মেয়ের চরিত্রে অভিনয় করে। পরে ‘সাইভম’–এ (২০১৪) তার অভিনয়ের জন্য প্রশংসা পান সমালোচকদের কাছ থেকে।

আদিত্য ধরের লেখা, পরিচালনা ও সহপ্রযোজনায় তৈরি ‘ধুরন্ধর’ প্রযোজনা করেছে জিও স্টুডিওস ও বি৬২ স্টুডিওস। ছবিতে অভিনয় করেছেন রণবীর সিং, সঞ্জয় দত্ত, অক্ষয় খান্না, আর. মাধবন ও অর্জুন রামপাল। তাদের সঙ্গে আছেন সারা অর্জুন ও রাকেশ বেদি। ছবিটি মুক্তি পাবে আগামী ৫ ডিসেম্বর।

প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানের ভাষ্য অনুযায়ী ‘ধুরন্ধর’ এমন মানুষের গল্প বলবে, যাদের নাম কেউ জানে না, যাদের কাহিনি লেখা নেই ইতিহাসের পাতায়। আড়ালের সেই নায়কদের গল্পই উঠে আসবে পর্দায়- যেমনটা হয়েছিল আদিত্য ধরের আগের ‘উরি’ ছবিতে।


সিনেমা হলে দর্শক কমে যাওয়ায় পোপের উদ্বেগ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বিনোদন ডেস্ক

ভ্যাটিকানে এক বিশেষ অনুষ্ঠানে হলিউডের জনপ্রিয় অভিনেতা ও নির্মাতাদের উদ্দেশে সিনেমা হলের অবস্থা নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন রোমান ক্যাথলিক খ্রিস্টানদের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা পোপ লিও। তিনি বলেন, বিশ্বজুড়ে সিনেমা হল টিকে থাকার লড়াই করছে। অথচ মানুষের সম্মিলিতভাবে ছবি দেখার অভিজ্ঞতাকে রক্ষা করা জরুরি।

এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন তারকা অভিনেত্রী কেট ব্লানচেট, মোনিকা বেলুচ্চি, ক্রিস পাইনে, ভিগো মর্টেনসেনসহ বহু নামী অভিনেতা। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন পুরস্কারজয়ী নির্মাতা স্পাইক লি, গাস ভ্যান স্যান্ট এবং স্যালি পটার।

পোপ লিও প্রথম মার্কিন নাগরিক হিসেবে পোপ হয়েছেন। তিনি বলেন, ‘অনিশ্চয়তায় ভরা সময়ে সিনেমা আশা জাগানোর এক গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্র।’

তিনি জানান, বহু শহর-উপশহরে সিনেমা হল বন্ধ হয়ে যাচ্ছে; এর ফলে সিনেমা দেখার সম্মিলিত অভিজ্ঞতা হুমকির মুখে।

তিনি প্রতিষ্ঠানগুলোকে আহ্বান জানান হাল না ছেড়ে সমাজ ও সংস্কৃতিতে সিনেমার গুরুত্ব রক্ষায় একযোগে কাজ করতে হবে।

করোনা পরবর্তী সময়ে বিশ্বের বহু দেশে প্রেক্ষাগৃহের আয়ে বড় পতন ঘটেছে। যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডায় এ বছর গ্রীষ্মকাল ছিল ১৯৮১ সালের পর সবচেয়ে খারাপ আয়ের সময়।

পোপ লিও বলেন, ১৩০ বছরের ইতিহাসে সিনেমা শুধু আলো-ছায়ার খেলা থেকে মানবজীবনের গভীর প্রশ্ন তুলে ধরার শক্তিতে রূপ নিয়েছে। তার ভাষায়, ‘সিনেমা কেবল চলমান ছবি নয়, এটি আশাকে এগিয়ে নেয়।’

তিনি আরও বলেন, ‘ক্রমাগত অনলাইন উত্তেজনায় ভরপুর এই যুগে গল্পগুলোকে শুধু যান্ত্রিক নিয়মে সাজালে চলবে না। যন্ত্রের নিয়ম একই জিনিস বারবার পুনরাবৃত্তি করে, কিন্তু শিল্প সম্ভাবনার দুয়ার খুলে দেয়।’

তিনি নির্মাতাদের আহ্বান জানান, যেখানে প্রয়োজন, গল্প বলার ক্ষেত্রে ধীরতা, নীরবতা ও ভিন্নতার গুরুত্ব রক্ষা করতে হবে।

সহিংসতা, যুদ্ধ, দারিদ্র্য ও নিঃসঙ্গতার মতো কঠিন বাস্তবতাকে সততার সঙ্গে তুলে ধরতে উৎসাহ দেন তিনি। তার মতে, ভালো সিনেমা কষ্টকে ব্যবহার করে না; বরং তা বুঝতে সাহায্য করে।

অস্ট্রেলিয়ার অভিনেত্রী কেট ব্লানচেট বলেন, ‘পোপের বক্তব্য অনুপ্রাণিত করেছে। তিনি আমাদের বলেছেন কঠিন, বেদনাদায়ক গল্প থেকেও দূরে না সরে মানুষকে অনুপ্রাণিত করতে।’

পোপ লিও ছবির পেছনে কাজ করা অগণিত কারিগরের ভূমিকাও প্রশংসা করেন। তার ভাষায়, ‘ছবি নির্মাণ এক যৌথ পরিশ্রম, যেখানে কেউ একা নয়।’

অনুষ্ঠানের শেষে আমন্ত্রিত তারকারা একে একে পোপের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। তাদের মধ্যে নির্মাতা স্পাইক লি পোপকে উপহার দেন তার নিজ শহরের বাস্কেটবল দলের একটি জার্সি, যাতে লেখা ছিল ‘পোপ লিও ১৪’।

তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘এখানে আমন্ত্রণ পাওয়া আমার জন্য বিস্ময়কর ছিল। রোমে বহুবার এসেছি, কিন্তু এই প্রথম ভ্যাটিকানে এসে পোপের সঙ্গে দেখা হলো। অসাধারণ অভিজ্ঞতা।’

অনুষ্ঠানের আগে ভ্যাটিকান পোপ লিওর পছন্দের চারটি সিনেমার তালিকাও প্রকাশ করে। সেগুলো ছিল ‘দ্য সাউন্ড অব মিউজিক’, ‘ইটস এ ওয়ানডারফুল লাইফ’, ‘অর্ডিনারি পিপল’ এবং ‘লাইফ ইজ বিউটিফুল’।


আবারো ঢাকায় গাইতে আসছেন আতিফ আসলাম

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বিনোদন ডেস্ক

পাকিস্তানের জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী আতিফ আসলাম আবারও বাংলাদেশে আসছেন গান শোনাতে।

আতিফ আসলাম পাকিস্তানের শিল্পী হলেও বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্মের কাছে তার আকাশচুম্বী জনপ্রিয়তা। তাই তাকে আবারো বাংলাদেশে আনার উদ্যোগ নিয়েছে মেইন স্টেজ নামের একটি প্রতিষ্ঠান। ‘আতিফ আসলাম অ্যাট মেইন স্টেজ শো’ শিরোনামের কনসার্টের আয়োজন করেছে তারা। আগামী ১৩ ডিসেম্বর রাজধানীর বসুন্ধরা মাঠে অনুষ্ঠিত হবে এই ওপেন এয়ার কনসার্ট। আয়োজকেরা জানিয়েছেন, ওই দিন বেলা ১টায় দর্শকদের জন্য ভেন্যুর গেট খুলে দেওয়া হবে। কনসার্ট শুরু হবে বিকেল ৫টায়, চলবে রাত সাড়ে ১০টা পর্যন্ত। শিগগিরই শুরু হবে অগ্রিম টিকিট বিক্রি। টিকিট পাওয়া যাবে জেনারেল ও ফ্রন্ট ভিআইপি- এই দুই ক্যাটাগরিতে।

গত বছর ঢাকায় আয়োজিত দুই কনসার্টে আতিফ আসলামের সঙ্গে ছিলেন দেশের শিল্পীরাও। লেটস ভাইভ আর্ট অ্যান্ড মিউজিক ফেস্টিভ্যালে আতিফের সঙ্গে পারফর্ম করেন বাংলাদেশের আহমেদ হাসান সানি, ব্যান্ড কাকতাল, ফিরোজ জং ও কার্নিভাল। আর ম্যাজিকাল নাইট ২.০ কনসার্টে ছিলেন তাহসান ও কাকতাল। ১৩ ডিসেম্বরের কনসার্টে আতিফের সঙ্গে দেশের কোনো শিল্পী কিংবা ব্যান্ড থাকবে কি না, তা জানা যায়নি এখনো। এ বিষয়ে শিগগির বিস্তারিত ঘোষণা আসবে বলে জানানো হয়েছে আয়োজকদের পক্ষ থেকে।


নিজের জন্য ভোট চাইলেন জেসিয়া ইসলাম

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বিনোদন ডেস্ক

২০১৭ সালের ‘মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ’ প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হয়ে ব্যাপক আলোচনায় এসেছিলেন জেসিয়া ইসলাম। সেরা সুন্দরীর খেতাব জেতার পরও বাংলাদেশের শোবিজ অঙ্গনে জেসিয়া ইসলাম নিজের একটি শক্তিশালী অবস্থান তৈরি করতে পারেননি।

নাটক, সিনেমা কিংবা মডেলিং কোন জগতেই তার উল্লেখযোগ্য উপস্থিতি চোখে পড়েনি। বরং ব্যক্তিগত জীবনের বিভিন্ন ঘটনা তাকে আরও বেশি বিতর্কের কেন্দ্রে নিয়ে এসেছে। তবে এবার সম্পূর্ণ ভিন্ন এক প্রেক্ষাপটে বিশ্ব মঞ্চে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করছেন এই মডেল ও অভিনেত্রী।

বিশ্বের অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ সৌন্দর্য প্রতিযোগিতা ‘মিস ইন্টারন্যাশনাল ২০২৫’-এর মঞ্চে বাংলাদেশ থেকে অংশ নিয়েছেন জেসিয়া। আর এই মঞ্চে সেরার দৌড়ে টিকে থাকতে প্রাথমিক ধাপেই সেরা ২০ সুন্দরীর একজন হয়ে উঠতে চান তিনি। এই লক্ষ্য পূরণে তিনি ভোট চেয়েছেন।

সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি ভিডিও বার্তা প্রকাশ করেছেন জেসিয়া। সেখানে তিনি বলেন, ‘হ্যালো, আমি জেসিয়া ইসলাম, ‘মিস ইন্টারন্যাশনাল ২০২৫’ আমি আপনাদের সাপোর্টেই আরও একটু এগিয়ে যেতে পারি, টপ টুয়েন্টিতে জায়গা করে নিতে পারি।’

তিনি বলেন, ‘আমাকে সাপোর্ট করার জন্য ‘মিস ইন্টারন্যাশনাল’ অ্যাপ ডাউনলোড করুন। ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে ভোটিং কাউন্ট হবে, আর প্রথম ভোট সবার জন্য ফ্রি। তাই আপনার পরিবার ও বন্ধুমহলকেও উৎসাহিত করুন ভোট প্রদানের জন্য।’

নিজের এই লড়াইকে তিনি কেবল ব্যক্তিগত জয় হিসেবে দেখছেন না। জেসিয়ার কথায়, ‘কারণ জিতলে শুধু আমি জিতব না, জিতবে পুরো বাংলাদেশ। আমি আশা করব, সবাই আমাকে সাপোর্ট করবেন, বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশকে আরেকটু এগিয়ে নিতে। সবাইকে ধন্যবাদ।’

প্রসঙ্গত, মডেলিং ও নাটকে অভিনয়ের পাশাপাশি দুটি চলচ্চিত্রে অভিনয় করতে দেখা গিয়েছে জেসিয়া ইসলামকে। ভারত-বাংলাদেশ যৌথ প্রযোজনায় নির্মিত মনস্তাত্ত্বিক থ্রিলার চলচ্চিত্র ‘দরদ’ এ জেসিয়া ইসলাম অতিথি শিল্পী হিসেবে অভিনয় করেছেন। ছবিটিতে প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন শাকিব খান ও সোনাল চৌহান। ‘মাসুদ রানা-৯’ ছবিতে এজেন্ট চরিত্রে অভিনয় করেছেন।

এদিকে ইউটিউবার সালমান মুক্তাদিরের সঙ্গে প্রেম ছিল জেসিয়ার। সেই সম্পর্কের জেরে এক রাতে প্রকাশ্য রাস্তায় অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনারও জন্ম দেন তারা। যা নিয়ে নেট দুনিয়ায় সমালোচনার ঝড় উঠেছিল।


আলোচিত সেই পোশাক পরার কারণ জানালেন মিথিলা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বিনোদন ডেস্ক

বিশ্বের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ সুন্দরী প্রতিযোগিতা ‘মিস ইউনিভার্স’-এর ৭৪তম আসরে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করছেন মডেল ও অভিনেত্রী তানজিয়া জামান মিথিলা। গত সেপ্টেম্বরে ‘মিস ইউনিভার্স বাংলাদেশ ২০২৫’-এর মুকুট জয়ের পর দেশের পতাকা হাতে তিনি অক্টোবরের শেষ দিকে প্রতিযোগিতার মূল মঞ্চ থাইল্যান্ডে পৌঁছেছেন।

থাইল্যান্ড থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নেটিজেনদের চলমান বিতর্ককে কেন্দ্র করে মিথিলা একটি ভিডিও বার্তা দিয়েছেন। ভিডিওতে তিনি দেশের মানুষের প্রতি তার তীব্র হতাশা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এবং প্রতিযোগিতার কঠিন বাস্তবতা তুলে ধরেছেন।

ভিডিওতে মিথিলা বলেন, আমাকে অন্যান্য দেশের মানুষ ট্রল করলে আমার কিছু আসে যায় না, কিন্তু আমাদের দেশের মানুষ তো দেখতেছে আমি কী কষ্ট করতেছি। একটা এত বড় দেশ, এত বড় দেশ থেকে যদি একজন ভালো কন্টেস্ট্যান্ট এসে চেষ্টা করে, এত কষ্ট, এত ডিসিপ্লিন, টাইমলি সবকিছু করা, এত এফোর্ট, এত কিছু শিখে, এত কিছু করেও যদি নিজের দেশের মানুষের থেকে অ্যাপ্রিসিয়েশন না পায়, তাহলে তো এটা খুবই কষ্টের।

বিকিনি পরা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আর আমি কতবার বলব, আমি যদি বিকিনি না পরি, তাহলে আমি টপ থার্টিতেই যেতে পারব না। তো আপনারা তো চান যে আমি জিতি। তো জিততে হলে আমাকে তাহলে তো বিকিনি পরতে হবে। এখানে আসলে রিলিজিয়নের কিছু নেই। এখানে আমাকে জিততে হলে, বাংলাদেশকে যদি জেতাতে হয়, তাহলে আমাকে পরতে হবে।

মিথিলা আরও বলেন, এই জায়গাটা কিন্তু অনেক বড় একটা জায়গা। এতগুলো মানুষের সঙ্গে কম্পিটিশন এবং সবাই ভালো। এখানে কেউ খারাপ না, সবাই ভালো। তো এদের সঙ্গে কম্পিট করতে হলে আমাকে কিন্তু অনেক ভালো করতে হবে, আমার দেশের মানুষকেও অনেক আগায় আসতে হবে।


মিস ইউনিভার্স খেতাব বিজয়ীরা যা যা পান

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বিনোদন ডেস্ক

মিস ইউনিভার্সের ৭৪তম আসর বসেছে থাইল্যান্ডের ব্যাংকক ও ফুকেটে। সেখানে ইতোমধ্যে আলোচনায় আছেন মিস ইউনিভার্স বাংলাদেশ তানজিয়া জামান মিথিলা।

বিশ্বের অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ ও জমজমাট এ মঞ্চে বাংলাদেশের পতাকা হাতে সগৌরবে দাঁড়িয়েছেন তিনি।

মিস ইউনিভার্সের বার্ষিক বাজেট ১০০ মিলিয়ন ডলার। বিজয়ী হওয়ার পরবর্তী এক বছর মিস ইউনিভার্সের সব খরচ বহন করে মিস ইউনিভার্স কর্তৃপক্ষ। একজন মিস ইউনিভার্স স্বপ্নের মতো জীবনযাপনের সুযোগ পান।

চলুন দেখে নেওয়া যাক, প্রতিযোগিতার বিজয়ী কী পান।

নগদ টাকা-

মিস ইউনিভার্সকে এক বছরের বেতন হিসেবে নগদ আড়াই লাখ ডলারের চেক দেওয়া হয়, টাকার অঙ্কে যা ৩ কোটির বেশি।

নিউইয়র্কে বিলাসবহুল অ্যাপার্টমেন্ট-

মিস ইউনিভার্সের বিজয়ীকে এক বছর যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক সিটি মিস ইউনিভার্স সংগঠনের বিলাসবহুল অ্যাপার্টমেন্টে থাকতে দেওয়া হয়। অবশ্য যুক্তরাষ্ট্রের মিস ইউনিভার্সের বিজয়ীরা সেখানে পাকাপাকিভাবে থাকার সুযোগ পান।

ব্যক্তিগত উড়োজাহাজ-

মিস ইউনিভার্স বিজয়ীকে পরবর্তী এক বছর বাজার করা, রান্না, খাওয়া, পোশাক, প্রসাধনসামগ্রী বা অন্য কোনো কিছু নিয়ে চিন্তা করতে হয় না। একটি ব্যক্তিগত উড়োজাহাজ দেওয়া হয়।

সেটিতে করে তিনি বিশ্বের যেকোনো প্রান্তে ঘুরে বেড়াতে পারেন। আগে থেকে কেবল মিস ইউনিভার্স কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে অনুমোদন নিতে হয়। প্রতিটি সফরের হোটেল খরচ, খাওয়া, ফটোশুট বা প্রেস মিটিংয়ের আয়োজন করে মিস ইউনিভার্স কর্তৃপক্ষ।

তবে শর্ত থাকে যে যেখানেই যান না কেন, মিস ইউনিভার্সের পক্ষ থেকে কিছু দাতব্য কাজে অংশ নিতে হবে। এর বাইরে মিস ইউনিভার্সের বিজয়ী ব্যক্তিগতভাবে কোনো কনসার্ট, ইভেন্ট, ফ্যাশন শো, অ্যাওয়ার্ড শো, পার্টি বা সিনেমার প্রদর্শনীতে যেতে চাইলেও মিস ইউনিভার্স কর্তৃপক্ষ সব ব্যবস্থা করে দেয়।

এছাড়া মিস ইউনিভার্সের ত্বক ও ডায়েটের জন্য বিশেষজ্ঞ, ব্যক্তিগত মেকআপ আর্টিস্ট থাকবে। খাবার জিনিস থেকে পোশাক সবই পাবেন মিস ইউনিভার্স অরগানাইজেশনের সৌজন্যে।


ফারিণ এবার শাকিবের নায়িকা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বিনোদন ডেস্ক

একসঙ্গে দুটি সুখবর। একটি তাসনিয়া ফারিণ নিজেই জানিয়েছেন, অন্যটি একটি প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানের ফেসবুক পোস্টের সূত্রে জানা গেছে।

হঠাৎই গত শনিবার এক ফেসবুক পোস্টে তাসনিয়া ফারিণ জানান, তার নামের আগে এবার যোগ হচ্ছে নতুন পরিচয়। তিনি এখন আর শুধু অভিনেত্রীই নন, প্রযোজনায়ও নাম লেখাচ্ছেন। তার প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানের নাম ‘ফড়িং ফিল্মস’। ভক্তদের সুখবরটা জানিয়ে ফেসবুক স্ট্যাটাসে ফারিণ লিখেছেন, ‘নতুন অধ্যায়ের শুরু। ‘ফড়িং ফিল্মস’ আমার প্রোডাকশন হাউস। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন।’ প্রযোজক হিসেবে ফারিণকে শুভকামনা জানিয়েছেন সহকর্মীরা।

এই প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান থেকে শুরুতে কী নির্মাণ করতে যাচ্ছেন, ফোনে জানতে চাইলে আপাতত কিছুই বলতে চাইলেন না অভিনেত্রী। তবে ফড়িং ফিল্মসের ফেসবুক পেজে লেখা হয়েছে, ‘তাসনিয়া ফারিণের নতুন যাত্রা। সীমানা ছাড়িয়ে ওড়ার গল্প। এই মাসে প্রথম প্রযোজিত কাজ প্রকাশ পাবে।’ একটি সূত্র জানায়, একটি স্বল্পদৈর্ঘ্য সিনেমার প্রযোজক হয়েছেন ফারিণ। ছোট থেকেই শুরু করতে চান। এদিকে বেশ কিছুদিন ধরেই শোনা যাচ্ছিল, ‘প্রিন্স’ সিনেমায় শাকিব খানের সঙ্গে কাজ করতে যাচ্ছেন ফারিণ। চুক্তিবদ্ধও হয়েছেন তারা। তবে এই নিয়ে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান কখনোই নিশ্চিত কিছু জানায়নি। অবশেষে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান ঘোষণা দিয়েছে, ‘প্রিন্স’ সিনেমার জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন ফারিণ। চুক্তিবদ্ধ হচ্ছেন এমন হাসিমুখের ছবি ফেসবুকে পোস্ট করে ফারিণ লিখেছেন, ‘আমার নতুন যাত্রা শুরু হতে যাচ্ছে। হৃদয় ভরা ভালোবাসা। তৈরি হচ্ছি ‘প্রিন্স’–এর জন্য।’

আগামী ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহ থেকে সিনেমার শুটিং শুরু হবে। শুরু থেকেই সিনেমার শুটিংয়ে অংশ নেবেন ফারিণ। সিনেমার পরিচালক আবু হায়াত বলেন, ‘সিনেমার একদম শুরু থেকেই শাকিব খান ও ফারিণের অংশ দিয়ে দৃশ্য ধারণ হবে। আমরা সিনেমার প্রিপ্রোডাকশনের কাজ প্রায় সব শেষ করেছি। আগামী সপ্তাহ থেকে আমরা টানা শুটিংয়ের আগপর্যন্ত রিহার্সাল করে যাব।’ ‘প্রিন্স’ আগামী ঈদুল ফিতরে মুক্তি পাওয়ার কথা রয়েছে। ‘ইনসাফ’ সিনেমায় শরীফুল রাজের বিপরীতে সর্বশেষ ফারিণকে দেখা যায়।


পাওনা দিতে পারলে শিল্পটা আজ হারিয়ে যেত না: জয়া আহসান

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বিনোদন ডেস্ক

ভালোবাসার শাড়িগুলোর ভেতর জামদানির স্থান থাকে সবচেয়ে ওপরে। বাংলাদেশের যেসব নারী শাড়ি পছন্দ করেন, তাদের সংগ্রহে অন্তত একটি জামদানি থাকেই। অভিনেত্রী জয়া আহসানও তেমনি একজন। শরীরে জামদানি জড়িয়ে বহু দেশে নিজেকে উপস্থাপন করে প্রশংসা পেয়েছেন। জামদানি শাড়ি তৈরির সঙ্গে জড়িয়ে আছে অসংখ্য মানুষের শ্রম ও ঘাম। তাদের একজন তাঁতশিল্পী ওস্তাদ আলী আকবর। সকালে তিনি মারা গেছেন। তার মৃত্যুতে শোক প্রকাশের পাশাপাশি আক্ষেপও জানালেন জয়া।

দুপুরে সামাজিক মাধ্যমে একটি পোস্টে জয়া লিখেছেন, ‘জামদানি শাড়ি আমার কাছে সাংস্কৃতিক পরিচয়ের একটি অংশ। এ শাড়ির প্রতিটি সুতা, প্রতিটি নকশা আমাকে নিজের পরিচয় জানান দেয়। আমি অনুভব করি, এটি আমার আবেগের ভাষা, যা আমাকে আমার সংস্কৃতি ও ইতিহাসের সঙ্গে সংযুক্ত করে।’

জয়া আরও লিখেছেন, ‘ছবিতে আমি যে সাদা রঙের অপূর্ব শাড়িটি পরে আছি, এটি তৈরি করেছিলেন বাংলাদেশের তাঁতশিল্পী ওস্তাদ আলী আকবর (৮৩)। তিনি গত শনিবার সকালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন। আমরা সত্যিই একজন রত্ন হারিয়েছি। কারণ, এই জামদানির নকশাটি তিনি ছাড়া আর কেউই তৈরি করতে পারতেন না-আর হয়তো পারবেনও না।’

কাজের তুলনায় তাঁতশিল্পীরা উপযুক্ত পারিশ্রমিক পান না। ফলে এই শিল্প দিনে দিনে হারিয়ে যাচ্ছে বলেও উল্লেখ করেন জয়া।

জয়া বলেন, ‘জামদানি শাড়ি তৈরি ও নকশা করা বিশাল ধৈর্য এবং পরিশ্রমের কাজ। কিন্তু এর তুলনায় আয় তেমন হয় না। ফলে তাঁতিদের পরবর্তী প্রজন্ম এই কাজে আগ্রহ পায় না। আমরা যদি তাঁতিদের যথাযথ সম্মান ও পাওনাটা দিতে পারতাম, তবে হয়তো এই শিল্পটাও আজকের মতো হারিয়ে যেতে বসত না।’

ওস্তাদ আলী আকবরকে স্মরণ করে জয়া বলেন, ‘এই মোটিভটি শুধু আলী আকবর ভাই-ই তৈরি করতে পারতেন; আর কোন কারিগর পারতেন না। তার শরীর নিভে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সেই গুণটিও হারিয়ে গেল। একজন পরিশ্রমী, সত্যিকারের শিল্পীর প্রতি রইল গভীর শ্রদ্ধাঞ্জলি। আপনারা সবাই আমাদের এই ওস্তাদ তাঁতিকে আন্তরিক প্রার্থনায় রাখবেন।’

প্রসঙ্গত, প্রসঙ্গত, ২০২৫ সালে ‘জয়া আর শারমিন’, ‘উৎসব’, ‘তাণ্ডব’, ‘ফেরেশতে’, ‘ডিয়ার মা’, ‘পুতুলনাচের ইতিকথা’ সিনেমায় দেখা গেছে জয়া আহসানকে। সামনে আরও কয়েকটি নতুন প্রকল্পে দেখা যাবে তাকে।


ভালোবাসা এখনো চিঠিতে বসবাস করে: দীঘি

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বিনোদন ডেস্ক

সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে আন্তর্জাতিক আয়োজনে গত ১০ অক্টোবর ষষ্ঠবারের মতো শুরু হওয়া সংগীতানুষ্ঠান ‘রিয়াদ সিজন’-এ অংশ নিচ্ছে বিশ্বের ১৪ দেশ। প্রতিটি দেশের জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছে বিশেষ কিছু দিন, যেখানে তারা নিজস্ব সংগীত, নৃত্য, ঐতিহ্যবাহী পোশাক ও খাবার উপস্থাপন করবেন।

সেই আসরে অংশ নিচ্ছে বাংলাদেশ। গত ১১ নভেম্বর থেকে শুরু হয়েছে বাংলাদেশ পর্ব, যা চলছে ‘বাংলাদেশ কালচার’ শিরোনামে গত শুক্রবার পর্যন্ত। আর সেখানেই মঞ্চ মাতাতে গেছেন দেশের জনপ্রিয় সংগীত ও অভিনয় তারকারা। এর মধ্যে রয়েছেন ঢালিউড অভিনেত্রী প্রার্থনা ফারদিন দীঘি।

জানা গেছে, অভিনেত্রী দীঘি ছাড়াও বাংলাদেশ থেকে অংশগ্রহণকারী শিল্পীর মধ্যে রয়েছেন- সংগীতের যুবরাজ কণ্ঠশিল্পী আসিফ আকবর, জনপ্রিয় গায়ক মনির খান, বেলাল খান, আকাশ মাহমুদ, মুহাম্মদ ইমরান, ইশরাত জাহান জুঁই, পুষ্পিতা মিত্র, হুমায়রা ইশিকা ও ডিজে তুরিন এমএনআর।

আজ বাংলাদেশের শেষ পর্বে চমক হিসেবে মঞ্চে থাকছেন সংগীতাঙ্গনের জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী আসিফ আকবর। এর আগে যুক্তরাষ্ট্র থেকে দুই মাসব্যাপী সংগীত সফর শেষ করে দেশে ফিরে আবার সৌদি আরবে মুগ্ধতা ছড়াবেন এ তারকা। এছাড়া শেষ দিনের আয়োজনে আরও গান গাইবেন আকাশ মাহমুদ, ডিজে তুরিন এমএনআর, পুষ্পিতা মিত্র ও ইশরাত জাহান জুঁই।

আর এ আয়োজনে বিশেষ পারফর্মে অংশ নেবেন অভিনেত্রী প্রার্থনা ফারদিন দীঘি। সেখানে হোটেলের রুমে দীঘির অনুপস্থিতিতে এক পরিচ্ছন্নতাকর্মী একটি চিঠি লিখে রেখে যান। প্রিয় তারকার সঙ্গে দেখা করার আকাঙ্ক্ষা জানিয়ে লেখা সেই চিঠিটি দেখে রীতিমতো আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন অভিনেত্রী।

সামাজিক মাধ্যমে চিঠিটি প্রকাশ করে দীঘি তার অনুভূতি প্রকাশ করে লিখেছেন, ‘সকালে হোটেল থেকে বের হওয়ার সময় রিসেপশনে বলে গিয়েছিলাম আমার রুমটা পরিষ্কার করে রাখতে। অনেক কেনাকাটা করে রুমে ঢুকে দেখি আমার টেবিলে একটি ছোট চিরকুট রাখা। সম্ভবত যিনি রুম ক্লিন করেছিলেন, তিনি বাঙালি। এই ডিজিটাল আর সোশ্যাল মিডিয়ার যুগে কেউ এভাবে একটু দেখা করতে চাচ্ছে, ব্যাপারটি খুব মিষ্টি লাগল।’

অভিনেত্রী আরও বলেন, এই নোটের মাধ্যমে আবারো নতুন করে উপলব্ধি করলাম- ভালোবাসা এখনো চিঠিতে বসবাস করে। আর আমার এমন ভক্তের জন্য এখনো নিজের পায়ে দাঁড়িয়ে আছি। তাদের এই ভালোবাসাটা আজীবন চলমান থাকুক।

এদিকে সামাজিক মাধ্যমে দীঘির পোস্টে কমেন্টবক্সে মডেল ও অভিনেত্রী বারিশা হক লিখেছেন- অবশ্যই দেখা করা উচিত। এছাড়া অগণিত ভক্ত-অনুরাগী তাদের ভালোবাসা ও শুভকামনা জানিয়ে মন্তব্য করেছেন।


banner close