বুধবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৫
২৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩২

অ্যান্থোলজি ফিল্মে মিথিলা

তানজিয়া জামান মিথিলা। ছবি: সংগৃহীত
দৈনিক বাংলা ডেস্ক
প্রকাশিত
দৈনিক বাংলা ডেস্ক
প্রকাশিত : ২৬ এপ্রিল, ২০২৫ ১৬:৪৯

বাংলাদেশি মডেল তানজিয়া জামান মিথিলা। দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সিউলে অনুষ্ঠিত ‘ফেস অব এশিয়া’ ২০১৯-এ বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্বকারী প্রতিযোগী হিসেবে অংশ নিয়ে ইন্দোনেশিয়ার আইয়ুমওলিদা ফেস অব এশিয়া ২০১৯-এর বিজয়ী হিসেবে মুকুট অর্জন করেন তিনি। এরপর মিস ইউনিভার্স বাংলাদেশ ২০২০ সুন্দরী প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে বিজয়ী হন। এরমধ্যে বলিউডে নাম লেখান ‘রোহিঙ্গা’ সিনেমা দিয়ে। ‘দাবাং’, ‘কমান্ডো’, ‘দঙ্গল’ সিনেমার সহকারী পরিচালক হায়দার খান পরিচালিত এ সিনেমায় রোহিঙ্গা তরুণী হুসনে আরার চরিত্রে অভিনয় করেন মিথিলা।

এই সুন্দরী সম্প্রতি শেষ করেছেন একটি অ্যান্থোলজি ফিল্মের শুটিং। জাহিদ প্রীতম পরিচালিত এ সিনেমার নাম ‘থার্সডে নাইট’। পুরো সিনেমার শুটিং শেষ, শুধু একটি দৃশ্যের শুটিং বাকি বলে জানিয়েছেন এ মডেল-অভিনেত্রী। শিগগিরই বাকি অংশের কাজ শেষ হবে বলেও জানান তিনি। এর মধ্য দিয়ে প্রায় ছয় বছর পর অভিনয়ে ফিরলেন তিনি। শোবিজের জনপ্রিয় এ মডেল ২০১৯ সালে অভিনয়ে নাম লিখিয়েছিলেন বলিউড সিনেমায়। ‘রোহিঙ্গা’ শিরোনামের এ সিনেমাটি মুক্তি পায় পরের বছর। এরপর তাকে আর অভিনয়ে দেখা যায়নি।

দীর্ঘ এ বিরতি প্রসঙ্গে তানজিয়া জামান মিথিলা বলেন, ‘আমার বলিউড সিনেমাটি মুক্তির পর বেশ কিছু সিনেমার প্রস্তাব এলেও তখন তা করা হয়নি। তাছাড়া মডেলিং নিয়েই বেশ ব্যস্ত ছিলাম আমি। এখন যেরকম অনেক ভালো ভালো সিনেমা হচ্ছে ইন্ডাস্ট্রিতে, সেগুলো দেখে আগ্রহী হলাম। ভাবলাম, ভালো গল্প হলে কাজ করা যায়। এখন যে কাজটা করছি সেটার গল্পও বেশ ভালো, পরিচালকও বেশ সাপোর্টিভ।’ ‘থার্সডে নাইট’ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বন্ধুত্বের গল্প নিয়ে বেশ সুন্দর একটা ফিল্ম। বন্ধুত্বের গল্প হলেও এখন থ্রিল রয়েছে, আরও অনেক কিছুই রয়েছে।

জানা গেছে, আলফা আই প্রযোজিত অ্যান্থোলজি ফিল্ম ‘থার্সডে নাইট’-এ আরও অভিনয় করেছেন সৌম্য জ্যোতি, সামিরা খান মাহি, ফররুখ রেহান প্রমুখ। আসছে ঈদুল আজহায় এটি একটি ওটিটি প্ল্যাটফর্মে মুক্তি পাবে বলে জানা গেছে।


মনি রত্নমের সিনেমায় প্রথমবারের মতো জুটি বাঁধছেন বিজয় সেতুপতি ও সাই পল্লবী

আপডেটেড ১০ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১৬:৪৯
বিনোদন ডেস্ক

প্রখ্যাত নির্মাতা মনি রত্নমের আগামী সিনেমায় প্রথমবারের মতো জুটি বাঁধতে চলেছেন দক্ষিণী তারকা বিজয় সেতুপতি ও সাই পল্লবী। ২০২৬ সালের অন্যতম প্রতীক্ষিত এই প্রজেক্টটি ঘিরে ইতিমধ্যেই দর্শকদের মধ্যে ব্যাপক আগ্রহ তৈরি হয়েছে। আবেগঘন গল্প, দুর্দান্ত অভিনয় এবং দৃষ্টিনন্দন সিনেমাটোগ্রাফির সংমিশ্রণে তৈরি হতে যাওয়া এই সিনেমাটি ভক্তদের জন্য দারুণ এক অভিজ্ঞতা হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

শুরুতে সিনেমাটি অভিনেতা শিম্বুর সঙ্গে ‘ঠাগ লাইফ’ হিসেবে পরিকল্পনায় থাকলেও শেষ পর্যন্ত মূল চরিত্রে যুক্ত হয়েছেন বিজয় সেতুপতি। এর আগে মনি রত্নমের ‘চেক্কা চিভান্তা ভানামে’ সিনেমায় কাজ করে সফলতা পেয়েছিলেন তিনি। অন্যদিকে, পরিচালকের পছন্দের তালিকায় থাকা অভিনেত্রী সাই পল্লবী গত ৫ ডিসেম্বর একটি বিশেষ ফটোশুটে অংশ নিয়েছেন, যা সিনেমায় তার গুরুত্বপূর্ণ উপস্থিতির ইঙ্গিত দেয়।

সিনেমাটির বিশালত্ব বাড়াতে সঙ্গীতের দায়িত্বে থাকছেন অস্কারজয়ী সুরকার এ.আর. রহমান এবং চিত্রগ্রহণে থাকছেন রবি ভার্মান। জানা গেছে, পঙ্গল উৎসবের পর সিনেমাটির আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসবে এবং ২০২৬ সালের এপ্রিল মাস থেকে শুরু হবে শুটিং। মনি রত্নমের নিজস্ব স্বাক্ষর বহনকারী এই সিনেমাটি দর্শকদের প্রত্যাশা পূরণে সক্ষম হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।


অসুস্থ নচিকেতাকে দেখতে হঠাৎ হাসপাতালে মমতা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বিনোদন ডেস্ক

হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী নচিকেতা চক্রবর্তী। মঙ্গলবার দুপুরে তাঁকে দেখতে হঠাৎ করেই কলকাতার বাইপাস সংলগ্ন বেসরকারি হাসপাতালে উপস্থিত হন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে তিনি প্রায় পনেরো মিনিট অবস্থান করেন এবং গায়কের চিকিৎসার সার্বিক খোঁজখবর নেন।

নচিকেতাকে নিজের ‘ভাই’ বলে সম্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী। সাক্ষাতের সময় তিনি গায়ককে শরীরের প্রতি যত্নশীল না হওয়ার কারণে স্নেহের সুরে মৃদু ভর্ৎসনাও করেন। ভবিষ্যতে যাতে তিনি নিজের স্বাস্থ্যের দিকে যথাযথ নজর দেন, সে বিষয়েও পরামর্শ দেন মমতা।

হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, নচিকেতার হৃদযন্ত্রে দুটি স্টেন্ট বসানোর পর তাঁর শারীরিক অবস্থার দ্রুত উন্নতি হচ্ছে। ইতিমধ্যেই তাঁকে সিসিইউ থেকে জেনারেল বেডে স্থানান্তর করা হয়েছে। তিনি স্বাভাবিক খাওয়াদাওয়া করছেন, সবার সঙ্গে কথা বলছেন এবং নিজের পছন্দের বই পড়ছেন। কিছুটা সুস্থ বোধ করায় তিনি দ্রুত মঞ্চে ফেরার ইচ্ছা প্রকাশ করলেও চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, এখনই তাঁকে ছাড়পত্র দেওয়া হবে না। আপাতত তিনি চিকিৎসকদের নিবিড় পর্যবেক্ষণে থাকবেন।

উল্লেখ্য, গত শনিবার রাতে হঠাৎ বুকে অস্বস্তি ও শ্বাসকষ্ট অনুভব করেন নচিকেতা। শরীর ঘামতে থাকায় কালবিলম্ব না করে তাঁকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর চিকিৎসকরা তাঁর হার্টে ব্লকেজ ধরা পড়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন এবং দ্রুত অস্ত্রোপচার করে স্টেন্ট বসানোর সিদ্ধান্ত নেন।


এশিয়ান ফিল্মস কম্পিটিশন বিভাগের জুরিবোর্ডে অপি করিম

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বিনোদন ডেস্ক

ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের আসন্ন ২৪তম আসরের ‘এশিয়ান ফিল্মস কম্পিটিশন’ বিভাগের জুরিবোর্ড ঘোষণা করেছে আয়োজক কমিটি। এবারের আসরে এই মর্যাদাপূর্ণ বিভাগের বিচারকের আসনে থাকছেন বাংলাদেশের জনপ্রিয় অভিনেত্রী ও স্থপতি সৈয়দা তুহিন আরা করিম (অপি করিম)। তাঁর সঙ্গে বিচারকার্য পরিচালনা করবেন আন্তর্জাতিক অঙ্গনের আরও চারজন বিশিষ্ট চলচ্চিত্র ব্যক্তিত্ব।

উৎসবের পরিচালক আহমেদ মুজতবা জামাল জুরিবোর্ডের সদস্যদের নাম প্রকাশ করেছেন। অপি করিম ছাড়াও এই বোর্ডে রয়েছেন নরওয়ের প্রযোজক ইনগ্রিড লিল হগটুন, ইতালির প্রযোজক ও পরিবেশক লিডিয়া জেনচি, মালয়েশিয়ার মিডিয়া নির্বাহী ও কনটেন্ট কৌশলবিদ টেং লি ইয়িন এবং তুরস্কের পুরস্কারপ্রাপ্ত নির্মাতা রেইস চেলিক। উৎসব পরিচালক জানান, এবারের আসরে এশিয়া ও বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে রেকর্ডসংখ্যক চলচ্চিত্র জমা পড়েছে, যা উৎসবের ইতিহাসে অন্যতম বড় সাড়া। এই বিপুল অংশগ্রহণ উৎসবটিকে আন্তর্জাতিক পরিসরে আরও সমৃদ্ধ করবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

‘নান্দনিক চলচ্চিত্র, মননশীল দর্শক, আলোকিত সমাজ’—এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে রেইনবো চলচ্চিত্র সংসদের উদ্যোগে আয়োজিত এই উৎসব শুরু হবে আগামী বছরের ১০ জানুয়ারি, যা চলবে ১৮ জানুয়ারি পর্যন্ত। এবারের উৎসবে বাংলাদেশসহ ৭৫টি দেশের মোট ২৫০টি পূর্ণদৈর্ঘ্য ও স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হবে। এর মধ্যে বাংলাদেশের ৬৭টি চলচ্চিত্র স্থান পেয়েছে। প্রদর্শনীগুলো অনুষ্ঠিত হবে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি, জাতীয় জাদুঘর মিলনায়তন ও আলিয়ঁস ফ্রঁসেজ মিলনায়তনে।

বরাবরের মতো এবারও উৎসবে এশিয়ান সিনেমা সেকশন, রেট্রোস্পেক্টিভ, ট্রিবিউট, ওয়াইড অ্যাঙ্গেল, বাংলাদেশ প্যানোরমা, সিনেমা অব দ্য ওয়ার্ল্ড, চিলড্রেন ফিল্মস, উইমেন ফিল্মস, শর্ট অ্যান্ড ইন্ডিপেন্ডেন্ট ফিল্মস ও স্পিরিচুয়াল ফিল্মস—এই ১০টি বিভাগে চলচ্চিত্রগুলো প্রদর্শিত হবে। উৎসবের ২৪তম আসরের বিশেষ আকর্ষণ হিসেবে থাকছে ‘চাইনিজ ফিল্ম উইক’, যেখানে চীনা চলচ্চিত্রের ১২০ বছর পূর্তি উদযাপন উপলক্ষে দেশটির ১৫টি চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হবে। এ ছাড়া ভিন্ন দেশের তিনজন খ্যাতনামা নির্মাতার পরিচালনায় অনুষ্ঠিত হবে মাস্টারক্লাস। উল্লেখ্য, ১৯৯২ সাল থেকে নিয়মিতভাবে এই উৎসবের আয়োজন করে আসছে রেইনবো চলচ্চিত্র সংসদ।


‘ইত্যাদি’র নতুন পর্বের শুটিং চুয়াডাঙ্গায়, প্রচার ২৬ ডিসেম্বর

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বিনোদন ডেস্ক

জনপ্রিয় ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ‘ইত্যাদি’ দীর্ঘ দিন ধরেই স্টুডিওর চার দেওয়ালের বাইরে বেরিয়ে দেশের বিভিন্ন ঐতিহ্যবাহী ও গুরুত্বপূর্ণ জনপদে গিয়ে ধারণ করা হচ্ছে। সেই ধারাবাহিকতায় এবারের পর্বটি ধারণ করা হয়েছে চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার ঐতিহাসিক নাটুদাহ হাইস্কুল মাঠে। হানিফ সংকেতের রচনা, পরিচালনা ও উপস্থাপনায় নির্মিত এই বিশেষ পর্বটি আগামী ২৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশ টেলিভিশনে রাত ৮টার বাংলা সংবাদের পর প্রচারিত হবে।

এবারের পর্বের মূল আকর্ষণ হিসেবে থাকছে চুয়াডাঙ্গা ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের কৃষ্টি-ঐতিহ্য নিয়ে রচিত একটি বিশেষ লোকগান। গানটি লিখেছেন চুয়াডাঙ্গার জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক শাহ আলম সনি এবং সুর করেছেন হানিফ সংকেত। এতে কণ্ঠ দিয়েছেন রাজিব ও তানজিনা রুমা। গানের সঙ্গে নৃত্য পরিবেশন করেছেন চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজ ও সরকারি মহিলা কলেজের শিক্ষার্থীরা। এছাড়া আরেকটি লোকগীতি পরিবেশন করেছেন চুয়াডাঙ্গারই কৃতী সন্তান, ক্লোজআপ ওয়ান তারকা বাউলকন্যা বিউটি এবং পান্থ কানাই।

অনুষ্ঠানটিতে চুয়াডাঙ্গাকে নিয়ে একটি বিশেষ অনুসন্ধানী প্রতিবেদন, সামাজিক অসঙ্গতি ও সমসাময়িক বিষয়ভিত্তিক নাটিকা এবং নিয়মিত অন্যান্য আয়োজন থাকছে। তবে দর্শকদের জন্য একটি মন খারাপ করা খবর হলো, নাতি অসুস্থ থাকার কারণে এবারের পর্বে জনপ্রিয় ‘নানা-নানি’র কথোপকথন পর্বটি থাকছে না।

শুটিংয়ের ভেন্যু হিসেবে নির্বাচিত নাটুদাহ হাইস্কুল ভবনটি স্থানীয়ভাবে ‘হাজার দুয়ারি’ নামে পরিচিত। ১৯০৬ সালে জমিদার নফল চন্দ্র পাল চৌধুরী তাঁর স্ত্রী রাধা রানির উৎসাহে নিজস্ব জমিতে এই বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা করেন। ভবনটিতে প্রায় আড়াইশ দরজা রয়েছে এবং প্রতিটি ইটে জমিদারের নামের আদ্যক্ষর খোদাই করা। যদিও মূল পরিকল্পনায় ৭৫০টি দরজা থাকার কথা ছিল, তবুও বিদ্যমান স্থাপত্যশৈলী এটিকে ইতিহাসের এক অনন্য সাক্ষীতে পরিণত করেছে।

‘ফাগুন অডিও ভিশন’ প্রযোজিত এই পর্বটি নিয়ে স্থানীয়দের মাঝে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা লক্ষ্য করা গেছে। শুটিং দেখতে আসা দর্শকরা জানান, চুয়াডাঙ্গার সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যকে দেশজুড়ে তুলে ধরার এই উদ্যোগ তাদের জন্য অত্যন্ত গর্বের।


রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে ‘সাংস্কৃতিক ইশতেহার’ চাইলেন শিল্পীরা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বিনোদন ডেস্ক

জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে দেশের রাজনৈতিক দলগুলো যখন নানামুখী প্রতিশ্রুতি ও উন্নয়ন পরিকল্পনা নিয়ে ব্যস্ত, ঠিক তখনই সংগীত ও সংস্কৃতির ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন দেশের শিল্পীরা। রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে প্রথমবারের মতো সংস্কৃতি ও সংগীতচর্চা নিয়ে সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা বা ‘সাংস্কৃতিক ইশতেহার’ দাবি করেছেন তারা।

এই আলোচনার সূত্রপাত করেন দেশের জনপ্রিয় ব্যান্ড ‘মাইলস’-এর সদস্য হামিন আহমেদ। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক পোস্টে তিনি উল্লেখ করেন, স্বাধীনতার ৫৪ বছরে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল নানা খাতের পরিকল্পনা তুলে ধরলেও সংগীত ও সংস্কৃতি নিয়ে কখনোই প্রকাশ্যে কোনো ইশতেহার দেয়নি। অথচ জাতির মানসিক বিকাশ, মানবিকতা ও নতুন প্রজন্ম গঠনে সংস্কৃতির ভূমিকা অনস্বীকার্য। তাই আসন্ন নির্বাচনে দলগুলো ক্ষমতায় এলে সংগীতের ভবিষ্যৎ নিয়ে তাদের পরিকল্পনা কী, তা স্পষ্টভাবে জানতে চেয়েছেন তিনি।

হামিন আহমেদের এই আহ্বানে সাড়া দিয়ে সংগীতাঙ্গনে ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি হয়েছে। শিরোনামহীন ব্যান্ডের জিয়াউর রহমান, জনপ্রিয় গায়ক ও অভিনেতা জন কবিরসহ শীর্ষস্থানীয় শিল্পীরা এই দাবির সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে পোস্টটি শেয়ার করেছেন। জিয়াউর রহমান লিখেছেন, রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত দ্বিধা ঝেড়ে ফেলে সংগীতের পথচলায় তাদের পরিকল্পিত রোডম্যাপ ঘোষণা করা। মিউজিসিয়ান, ইন্ডাস্ট্রি কর্মী, সাউন্ড ইঞ্জিনিয়ার থেকে শুরু করে সাধারণ শ্রোতা—সবাই জানতে চায় আগামীতে এই শিল্পের জন্য কী অপেক্ষা করছে।

শিল্পীদের মতে, বাংলাদেশের সংগীতশিল্প আজ যে অবস্থানে পৌঁছেছে, তা মূলত শিল্পীদের ব্যক্তিগত প্রচেষ্টা, ত্যাগ এবং শ্রোতাদের ভালোবাসার ফসল। কিন্তু রাষ্ট্রীয় নীতিগত সহযোগিতা বা দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার অভাবে এই শিল্প কাঙ্ক্ষিত উচ্চতায় পৌঁছাতে পারছে না। এ অবস্থায় আধুনিক কপিরাইট আইন বাস্তবায়ন, শিল্পীদের স্বাস্থ্য ও বীমা সুরক্ষা, কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং বিশ্ববাজারে বাংলা গানকে তুলে ধরার জন্য রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে সুনির্দিষ্ট অঙ্গীকার চাইছেন সংস্কৃতিকর্মীরা। নির্বাচনের আগে শিল্পীদের এই ঐক্যবদ্ধ দাবি দলগুলোর ইশতেহারে কতটা প্রভাব ফেলে, এখন সেটাই দেখার বিষয়।


ওয়ার্নার ব্রাদার্স কিনতে প্যারামাউন্টের রেকর্ড প্রস্তাব, চ্যালেঞ্জের মুখে নেটফ্লিক্স

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বিনোদন ডেস্ক

হলিউডের অন্যতম বৃহত্তম স্টুডিও ওয়ার্নার ব্রাদার্স ডিসকভারির মালিকানা নিয়ে লড়াই এখন চরম নাটকীয় পর্যায়ে পৌঁছেছে। নেটফ্লিক্সের সঙ্গে প্রতিষ্ঠানটির চুক্তি প্রায় চূড়ান্ত হওয়ার পথেই ছিল, কিন্তু সোমবার (৮ ডিসেম্বর) হঠাৎ করেই নগদ অর্থের বড় প্রস্তাব নিয়ে হাজির হয়েছে প্যারামাউন্ট। ওয়ার্নার ব্রাদার্সের প্রতি শেয়ারের জন্য প্যারামাউন্ট ৩০ ডলারের প্রস্তাব দিয়েছে, যা নেটফ্লিক্সের দেওয়া প্রস্তাবিত মূল্যের চেয়ে বেশি।

প্যারামাউন্টের এই নতুন প্রস্তাবের ফলে ওয়ার্নার ব্রাদার্স কেনা নিয়ে দুই বিশাল প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সরাসরি যুদ্ধ শুরু হয়েছে। গত সপ্তাহেই নেটফ্লিক্স ঘোষণা দিয়েছিল যে, তারা ওয়ার্নার ব্রাদার্স কেনার বিষয়ে একটি সমঝোতায় পৌঁছেছে। নেটফ্লিক্সের ওই ঘোষণার পর চলচ্চিত্র ও ধারাবাহিক নির্মাণের সঙ্গে জড়িত অনেকেই উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন। তাদের আশঙ্কা, এত বড় একটি স্টুডিও স্ট্রিমিং জায়ান্ট নেটফ্লিক্সের নিয়ন্ত্রণে গেলে বাজারে একচেটিয়া আধিপত্য তৈরি হবে, যা শিল্পের ভবিষ্যতের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ।

এই বাণিজ্যিক লড়াইয়ে জড়িয়ে পড়েছে রাজনৈতিক মেরুকরণও। প্যারামাউন্টের মালিক ল্যারি এলিসন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত। রোববার ডোনাল্ড ট্রাম্প নিজেও এ বিষয়ে মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেছেন, নেটফ্লিক্স যদি ওয়ার্নার ব্রাদার্স কিনে নেয়, তবে বাজারে তাদের আধিপত্য ‘বড় ধরনের সমস্যা’ তৈরি করতে পারে।

এদিকে প্যারামাউন্টের চেয়ারম্যান ও প্রধান নির্বাহী ডেভিড এলিসন নিজেদের অবস্থানে অনড়। এক সাক্ষাৎকারে তিনি দৃঢ় কণ্ঠে বলেন, ‘আমরা যা শুরু করেছিলাম, তা শেষ করতে চলেছি।’ বিডিং যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর ওয়ার্নার ব্রাদার্সকে কেনার জন্য এটি প্যারামাউন্টের ষষ্ঠ প্রস্তাব। ফলে হলিউডের এই ঐতিহ্যবাহী স্টুডিও শেষ পর্যন্ত কার হাতে যাচ্ছে—নেটফ্লিক্স নাকি প্যারামাউন্ট—তা দেখার অপেক্ষায় এখন পুরো বিনোদন বিশ্ব।


শুটিংয়ে ফিরলেন কিয়ারা, নতুন লুকে চমক

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বিনোদন ডেস্ক

মা হওয়ার পর দীর্ঘ বিরতি কাটিয়ে আবারও শুটিং ফ্লোরে ফিরলেন বলিউড অভিনেত্রী কিয়ারা আদভানি। চলতি বছরের জুলাইয়ে কন্যাসন্তান সারায়াহর জন্মের পর নিজেকে কিছুটা আড়ালে রেখেছিলেন তিনি। তবে সোমবার (৮ ডিসেম্বর) সেই বিরতি ভেঙে একটি বিজ্ঞাপনী ভিডিওর শুটিংয়ের মাধ্যমে কাজে যোগ দিলেন এই তারকা।

দীর্ঘদিন নিজেকে একপ্রকার গৃহবন্দি রাখার পর কিয়ারার এই ফেরা ভক্তদের মাঝে বেশ সাড়া ফেলেছে। এতদিন কেবল প্রয়োজনে ক্লিনিকে যাওয়া ছাড়া তাকে জনসমক্ষে দেখা যায়নি। তবে কাজে ফেরার আগে ইনস্টাগ্রামে ভক্তদের উদ্দেশ্যে একটি ইঙ্গিতপূর্ণ বার্তা দিয়ে তিনি লিখেছিলেন, ‘এরপরের ধাপ আরও বেশি তপ্ত হবে।’ সেই কথা রেখেই সোমবার দুপুরে গ্ল্যামারাস অবতারে ধরা দেন তিনি।

মা হওয়ার পর বাড়তি ওজন ঝরিয়ে আবারও আগের মতোই ছিপছিপে গড়নে নিজেকে উপস্থাপন করেছেন কিয়ারা। কাঁধখোলা ডেনিম শার্ট আর শর্টস পরিহিত অবস্থায় তাকে দেখে বোঝার উপায় নেই যে, মাত্র কয়েক মাস আগেই তিনি মা হয়েছেন। তার এই নতুন লুক এবং কাজে ফেরার বিষয়টি এখন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে। ভক্তরাও প্রিয় তারকাকে পুরোনো ছন্দে ফিরে পেয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করছেন।


২০০ বছরের পুরোনো দানবের প্রত্যাবর্তন: পর্দায় কেমন হলো দেল তোরোর স্বপ্নের ‘ফ্রাঙ্কেনস্টাইন’?

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বিনোদন ডেস্ক

বিখ্যাত মেক্সিকান চলচ্চিত্র নির্মাতা গিয়ের্মো দেল তোরোর দীর্ঘদিনের লালিত স্বপ্নের প্রকল্প মেরি শেলির কালজয়ী উপন্যাস ‘ফ্রাঙ্কেনস্টাইন’ অবশেষে পর্দায় এসেছে। গত ৭ নভেম্বর নেটফ্লিক্সে মুক্তি পেয়েছে গথিক হরর ঘরানার এই সিনেমাটি। দেল তোরোর সিনেমায় দানবরা বরাবরই প্রথাগত ভীতিকর সত্তার চেয়ে অনেক বেশি মানবিক হয়ে ধরা দেয়। এই সিনেমাতেও তার ব্যতিক্রম হয়নি। দুইশ বছরের বেশি পুরোনো এই ধ্রুপদী কাহিনী নিয়ে বিশ্বজুড়ে অসংখ্য সিনেমা ও সিরিজ নির্মিত হলেও, দেল তোরো তার নিজস্ব দর্শন ও শৈলীতে এই গল্পটিকে নতুনভাবে উপস্থাপন করেছেন।

সিনেমাটি তিনটি অংশে বিভক্ত—শুরুর বয়ান, ভিক্টরের গল্প এবং দানবের (মনস্টার) গল্প। মেরি শেলির মূল উপন্যাস ১৮১৮ সালে প্রকাশিত হলেও সিনেমার সময়কাল নির্ধারণ করা হয়েছে ১৮৫৭ সাল অর্থাৎ ভিক্টোরিয়ান যুগে। কাহিনীর শুরু হয় আর্কটিক অঞ্চলে, যেখানে স্রষ্টা ও সৃষ্টি একে অপরের শিকারে পরিণত হয়। সিনেমার গল্পে ভিক্টর ফ্রাঙ্কেনস্টাইনের (অস্কার আইজ্যাক) ট্র্যাজিক শৈশব ও বাবার কঠোর শাসন তাকে বিদ্রোহী করে তোলে, যা তাকে মৃতদেহ জীবিত করার উন্মাদনায় ধাবিত করে। অন্যদিকে, ভিক্টরের সৃষ্টি করা দানব (জ্যাকব এলর্ডি) শুরুতে নতুন পৃথিবীকে বিস্ময়ের চোখে দেখলেও সমাজের নিষ্ঠুরতা ও নিজের শেকলবন্দী নিয়তি তাকে ভিন্ন পথে চালিত করে।

অভিনয়ের দিক থেকে সিনেমাটি দর্শকদের মুগ্ধ করেছে। উন্মাদ বিজ্ঞানী চরিত্রে অস্কার আইজ্যাক তার জেদ, ক্ষোভ ও হতাশা ফুটিয়ে তুলতে শতভাগ সফল হয়েছেন। অন্যদিকে দানবের চরিত্রে জ্যাকব এলর্ডি সংবেদনশীলতা ও ভয়ংকর রূপের এক অদ্ভুত মিশ্রণ উপস্থাপন করেছেন। তার নীলচে ত্বক আর অভিব্যক্তি—বিশেষ করে একটি দৃশ্যে ইঁদুরকে আদর করার মুহূর্তটি—দর্শকের হৃদয় ছুঁয়ে যায়। এলিজাবেথ চরিত্রে মিয়া গথ এবং ভিক্টরের মেন্টর হিসেবে ক্রিস্টফ ওয়াল্টজও তাদের নিজস্বতা বজায় রেখেছেন।

দৃশ্যসজ্জা বা ভিজ্যুয়ালের দিক থেকে ‘ফ্রাঙ্কেনস্টাইন’ এক কথায় অনবদ্য। তামারা ডেভেরেলের সেট ডিজাইন, কেট হাওলির কস্টিউম এবং ড্যান লাউস্টসেনের ক্যামেরার কাজ ভিক্টোরিয়ান যুগের আবহাওয়াকে জীবন্ত করে তুলেছে। সিনেমার ফ্রেমে দেল তোরোর প্রিয় লাল ও কালো রঙের ব্যবহার এবং আলেকজান্ডার ডেসপ্লাটের আবহ সংগীত কাহিনীর মেজাজকে আরও গম্ভীর ও রহস্যময় করে তোলে। তবে সিনেমার মধ্যভাগে গল্পের গতি কিছুটা মন্থর এবং কিছু দৃশ্যে সিজিআই (CGI)-এর দুর্বলতা, বিশেষ করে নেকড়ের দৃশ্যটি কিছুটা কৃত্রিম মনে হতে পারে।

ছোটখাটো কিছু দুর্বলতা বাদ দিলে ‘ফ্রাঙ্কেনস্টাইন’ চলতি বছরের অন্যতম সেরা সিনেমা হিসেবে বিবেচিত হতে পারে। এখানে মেরি শেলির উপন্যাসের কাঠামো থাকলেও তাতে রক্ত-মাংস যোজনা করেছেন দেল তোরো। তিনি মানবিকতা ও নৃশংসতাকে পাশাপাশি দাঁড় করিয়েছেন, যা সিনেমাটিকে কেবল হরর নয়, বরং রোমান্স ও ট্র্যাজেডির মিশেলে এক দার্শনিক উচ্চতায় নিয়ে গেছে। সিনেমার শেষে দর্শকের মনে সেই চিরন্তন প্রশ্নটিই রেখে যান নির্মাতা—ভিক্টর নাকি তার সৃষ্টি, আসলে কে প্রকৃত দানব?


সোশ্যাল মিডিয়ায় নেই, নেই সংসার—একাই সুখী ‘নিভৃতচারী’ অক্ষয়

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বিনোদন ডেস্ক

বলিউডের গ্ল্যামার দুনিয়ায় তিনি এক ব্যতিক্রমী চরিত্র। তারকা পরিবারের সন্তান হয়েও স্বজনপোষণ বিতর্কের ঊর্ধ্বে তাঁর অবস্থান। শাহরুখ বা সালমানের মতো আকাশচুম্বী জনপ্রিয়তা না থাকলেও অভিনয়ের জাদুতে নিজস্ব এক অনুগত ভক্তশ্রেণি তৈরি করেছেন তিনি। বলছি অভিনেতা অক্ষয় খান্নার কথা, যিনি কাজ থেকে লম্বা বিরতি নেন, আবার যখন ফেরেন তখন পর্দায় ঝড় তোলেন। সম্প্রতি মুক্তি পাওয়া ‘ধুরন্ধর’ সিনেমায় দুর্দান্ত অভিনয়ের মাধ্যমে আবারও তিনি প্রমাণ করলেন, কেন তিনি অন্যদের চেয়ে আলাদা।

প্রখ্যাত অভিনেতা বিনোদ খান্নার পুত্র অক্ষয় খান্নার জন্ম ১৯৭৫ সালে। ১৯৯৭ সালে ‘হিমালয় পুত্র’ দিয়ে ক্যারিয়ার শুরু করলেও তিনি আলোচনায় আসেন ‘বর্ডার’ সিনেমার মাধ্যমে। এরপর ‘তাল’, ‘দিল চাহতা হ্যায়’, ‘হামরাজ’-এর মতো সিনেমা দিয়ে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেন। ২০১০ সালের পর ক্যারিয়ারে কিছুটা ভাটা পড়লেও ‘ইত্তেফাক’, ‘মম’, ‘দৃশ্যম ২’ এবং ‘সেকশন ৩৭৫’-এর মতো সিনেমায় শক্তিশালী অভিনয়ের মাধ্যমে তিনি রাজকীয় প্রত্যাবর্তন করেন।

২০২৫ সালকে অনেকেই অক্ষয় খান্নার বছর হিসেবে অভিহিত করছেন। বছরের শুরুতে ‘ছাবা’ সিনেমায় মুঘল সম্রাট আওরঙ্গজেব চরিত্রে অভিনয় করে তাক লাগিয়ে দিয়েছিলেন। আর গত শুক্রবার মুক্তি পাওয়া আদিত্য ধরের সিনেমা ‘ধুরন্ধর’-এ তাকে দেখা গেছে রেহমান ডাকাতের চরিত্রে, যা পাকিস্তানের কুখ্যাত এক গ্যাংস্টারের ছায়া অবলম্বনে নির্মিত। সমালোচক অনুপমা চোপড়া তাঁর প্রশংসায় বলেছেন, সিনেমায় অন্য নায়কদের পেশিশক্তি দেখাতে হলেও অক্ষয় কেবল চোখের অভিব্যক্তি দিয়েই সবাইকে ছাড়িয়ে গেছেন। সোশ্যাল মিডিয়াতেও ভক্তরা তার অভিনয়ের ভূয়সী প্রশংসা করছেন।

পর্দার বাইরে অক্ষয় খান্নার ব্যক্তিজীবনও বেশ কৌতূহলজাগানিয়া। ৫০ বছর বয়সেও তিনি অবিবাহিত, নেই কোনো প্রেমের গুঞ্জনও। এই ডিজিটাল যুগেও তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে নিজেকে দূরে রাখেন এবং সচরাচর সাক্ষাৎকার দেন না। ব্যক্তিজীবনে একা থাকা প্রসঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছিলেন, তিনি জীবনে বাড়তি দায়িত্ব নিতে পছন্দ করেন না। স্ত্রী বা সন্তানের দায়িত্ব পালন করার চেয়ে নিজের মতো করে অবাধ ও স্বাধীন জীবনযাপনই তাঁর কাছে বেশি প্রিয়। তিনি একাই সুখী এবং নিজের এই জীবন নিয়েই তিনি সন্তুষ্ট।

ক্যারিয়ারের চড়াই-উতরাই পেরিয়ে অক্ষয় খান্না আজও প্রাসঙ্গিক। নায়ক কিংবা খলনায়ক—যেকোনো চরিত্রেই তিনি মিশে যেতে পারেন অবলীলায়। নীরবতা ভেঙে যখনই তিনি পর্দায় আসেন, তখনই দর্শকদের নতুন কিছু উপহার দেন, যা তাকে সমসাময়িক অভিনেতাদের ভিড়ে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছে।


শেষ হলো ‘বিগ বস ১৯’, কত টাকা পেলেন বিজয়ী?

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বিনোদন ডেস্ক

দীর্ঘ প্রতীক্ষা আর টানটান উত্তেজনার অবসান ঘটিয়ে পর্দা নামল ভারতের জনপ্রিয় রিয়্যালিটি শো ‘বিগ বস’ সিজন ১৯-এর। সব জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে এবারের আসরের শিরোপা জিতে নিলেন জনপ্রিয় অভিনেতা গৌরব খান্না। রোববার (৮ ডিসেম্বর) রাতে অনুষ্ঠিত গ্র্যান্ড ফিনালেতে বিজয়ী হিসেবে তার নাম ঘোষণা করেন শো-এর সঞ্চালক বলিউড ভাইজান সালমান খান। পুরস্কার হিসেবে গৌরব খান্না পেলেন বিজয়ের ট্রফি এবং নগদ ৫০ লাখ রুপি।

জমকালো এই ফিনালেতে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয়েছে সেরা পাঁচ প্রতিযোগীর মধ্যে। গৌরব ছাড়া বাকি ফাইনালিস্টরা ছিলেন আমাল মালিক, তানিয়া মিত্তাল, প্রণীত মোরে এবং ফারহানা ভাট। দীর্ঘ কয়েক সপ্তাহ ঘরের ভেতরের কঠিন সব টাস্ক মোকাবিলা করে এবং দর্শকদের ভোটে শেষ হাসি হাসেন গৌরব খান্নাই। অন্যদিকে, দর্শকদের রায়ে এই সিজনের প্রথম রানার-আপ নির্বাচিত হয়েছেন ফারহানা ভাট।

তারকাবহুল এই ফিনালের রাতে গ্ল্যামারের কোনো কমতি ছিল না। নিজেদের নতুন সিনেমা ‘তু মেরি ম্যায় তেরা ম্যায় তেরা তু মেরি’-র প্রচারণায় মঞ্চ মাতান কার্তিক আরিয়ান ও অনন্যা পাণ্ডে। এছাড়াও বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সানি লিওন, করণ কুন্দ্রা এবং ভোজপুরি সুপারস্টার পবন সিং। তাদের পারফরম্যান্স আর নানা আবেগঘন মুহূর্তের মধ্য দিয়ে আসরটি পূর্ণতা পায়।

ভারতের অন্যতম বিতর্কিত ও জনপ্রিয় এই রিয়্যালিটি শো-তে প্রতিযোগীদের একটি আবদ্ধ ঘরে নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে টিকে থাকতে হয়। এর আগের সিজনগুলোতে মুনাওয়ার ফারুকি, তেজস্বী প্রকাশ, দীপিকা কক্কর এবং সিদ্ধার্থ শুক্লার মতো তারকারা চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করেছিলেন, এবার সেই তালিকায় যুক্ত হলো গৌরব খান্নার নাম।


‘আমাকে একা করে চলে গেলে’: জন্মদিনে ধর্মেন্দ্রকে স্মরণ করে হেমা মালিনীর আবেগঘন বার্তা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বিনোদন ডেস্ক

আজ ৮ ডিসেম্বর। বেঁচে থাকলে জীবনের ৯০টি বসন্ত পার করতেন বলিউডের কিংবদন্তি অভিনেতা ধর্মেন্দ্র। কিন্তু নিয়তির নির্মম পরিহাসে আজকের দিনটি শুধুই বিষাদের। মাত্র সপ্তাহ দুয়েক আগেই না ফেরার দেশে পাড়ি জমিয়েছেন বলিউডের এই ‘হি-ম্যান’। স্বামীর মৃত্যুর পর প্রথম জন্মদিনে তাকে ছাড়া একাকীত্বের যন্ত্রণায় কাতর ‘ড্রিম গার্ল’ হেমা মালিনী। প্রয়াত স্বামীকে স্মরণ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক হৃদয়স্পর্শী বার্তা দিয়েছেন তিনি।

দীর্ঘ দাম্পত্য জীবনের সঙ্গী ধর্মেন্দ্রকে হারিয়ে হেমা মালিনী লিখেছেন, ‘তুমি নেই তাও সপ্তাহখানেক হলো। আমাকে একা ছেড়ে চলে গেলে। নিজের ভাঙা হৃদয়ের টুকরোগুলো জোড়ার চেষ্টা করছি।’ তিনি আরও লেখেন, ‘আমি জানি তোমার আত্মা সারাজীবন আমার সঙ্গে থাকবে। তুমি আমাকে সুন্দর দুই সন্তান দিয়েছ, আমরাও দারুণ সময় কাটিয়েছি। তোমার দেওয়া সেই সুখস্মৃতিগুলো আঁকড়েই বাকি জীবন কাটিয়ে দেব। শুভ জন্মদিন আমার ভালোবাসা।’

দীর্ঘ অভিনয় জীবনে অগণিত নারীর হৃদয়ে ঝড় তোলা ধর্মেন্দ্র ভালোবেসেছিলেন হেমা মালিনীকে। প্রথম স্ত্রী প্রকাশ কৌরকে ত্যাগ না করেই ধর্ম পরিবর্তন করে হেমাকে বিয়ে করার সেই সিদ্ধান্ত এবং পারিবারিক টানাপড়েন ছিল তাদের জীবনের নিত্যসঙ্গী। সব ঝড় সামলে তারা ছিলেন একে অপরের ছায়া হয়ে।

বাবার জন্মদিনে কেবল হেমা মালিনীই নন, আবেগঘন পোস্ট দিয়েছেন তার সন্তানরাও। প্রথম সংসারের দুই ছেলে সানি দেওল ও ববি দেওল বাবাকে স্মরণ করেছেন শ্রদ্ধার সঙ্গে। অন্যদিকে, হেমা-ধর্মেন্দ্র দম্পতির দুই কন্যা ঈশা দেওল এবং অহনা দেওলও বাবাকে হারানোর শূন্যতা ও তাকে মিস করার কথা জানিয়েছেন।


বক্স অফিসে রণবীরের ‘ধুরন্ধর’ ঝড়: তিন দিনেই শত কোটি পার

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বিনোদন ডেস্ক

বলিউড বক্স অফিসে রীতিমতো তাণ্ডব চালাচ্ছে রণবীর সিং অভিনীত নতুন অ্যাকশন থ্রিলার সিনেমা ‘ধুরন্ধর’। গত ৫ ডিসেম্বর মুক্তির পর মাত্র তিন দিনের মধ্যেই ১০০ কোটি রুপির ক্লাবে প্রবেশ করে সিনেমাটি এক নতুন নজির স্থাপন করেছে। সমালোচকদের প্রাথমিক পূর্বাভাস ভুল প্রমাণ করে সিনেমাটি এখন দর্শকদের পছন্দের শীর্ষে।

বক্স অফিস বিশ্লেষণকারী সংস্থা স্যাকনিল্ক-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, শুক্রবারে ২৮ কোটি রুপির ব্যবসা দিয়ে যাত্রা শুরু করেছিল ‘ধুরন্ধর’। এরপর শনিবার আয় বেড়ে দাঁড়ায় ৩২ কোটি রুপিতে। তবে সবচেয়ে বড় চমক আসে রোববার; এদিন সিনেমাটি এক লাফে ৪৩ কোটি রুপি আয় করে। ফলে মাত্র তিন দিনে ভারতে সিনেমাটির মোট আয় দাঁড়িয়েছে ১০৩ কোটি রুপি। বাণিজ্য বিশ্লেষকরা শুরুতে সিনেমাটির অগ্রিম বুকিং নিয়ে কিছুটা সংশয় প্রকাশ করলেও, বর্তমান সাফল্যে তারা উচ্ছ্বসিত। তাদের মতে, শনিবার থেকেই সিনেমাটি অপ্রতিরোধ্য গতিতে ছুটছে এবং রোববার এটি সাম্প্রতিক সময়ের যেকোনো সিনেমার তুলনায় একদিনে সর্বোচ্চ আয়ের রেকর্ড গড়েছে।

বড় শহরগুলোর মাল্টিপ্লেক্স থেকে শুরু করে মফস্বলের হলগুলোতেও দর্শকদের উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। ‘ধুরন্ধর’ সিনেমায় রণবীর সিংকে একজন নির্ভীক সেনা কর্মকর্তার ভূমিকায় দেখা গেছে, যিনি চারজন ভয়ংকর সন্ত্রাসীর বিরুদ্ধে অদম্য লড়াই চালিয়ে যান। মুক্তির আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে রণবীরের চরিত্রটি নিয়ে নানা জল্পনা-কল্পনা তৈরি হলেও, সেন্সর বোর্ড স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে যে এটি সম্পূর্ণ কাল্পনিক একটি চরিত্র।


জেমস বন্ড হওয়ার প্রশ্নে শাহরুখের রসিক জবাব: ‘কাজল থাকলে অ্যাকশন করা যায় না’

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বিনোদন ডেস্ক

বলিউড বাদশাহ শাহরুখ খানকে কি এবার দেখা যাবে হলিউডের আইকনিক গোয়েন্দা জেমস বন্ডের চরিত্রে? সম্প্রতি এমন গুঞ্জনে তোলপাড় শুরু হয়েছিল ভক্তমহলে। ‘পাঠান’ ও ‘জাওয়ান’-এর মতো ব্লকবাস্টার অ্যাকশন সিনেমার পর শাহরুখকে নিয়ে এমন জল্পনা ডালপালা মেলতে শুরু করে। তবে এবার লন্ডনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে সেই জল্পনার অবসান ঘটালেন স্বয়ং শাহরুখ খান। আসন্ন ‘কিং’ সিনেমাতেও তাকে অ্যাকশন মুডে দেখা যাবে— এমন প্রেক্ষাপটে তাকে প্রশ্ন করা হয়, এরপর কি তিনি জেমস বন্ডের জুতোয় পা গলাবেন?

জবাবে শাহরুখ স্বভাবসুলভ রসবোধ দিয়ে সম্ভাবনাটি সরাসরি নাকচ করে দেন। তিনি বলেন, ‘না, আমার উচ্চারণ জেমস বন্ডের মতো নয়। এমনকি বন্ডের পছন্দের পানীয়র সঙ্গেও আমার পছন্দের কোনো মিল নেই। আর সত্যি বলতে, আমি খুব বেশি লড়াকু বা অ্যাকশনধর্মী ছবিতে কাজ করিনি।’ জেমস বন্ড চরিত্রে শন কনারি, রজার মুর, পিয়ার্স ব্রসনান, টিমোথি ডালটন ও ড্যানিয়েল ক্রেগের মতো তারকাদের অভিনয়ের প্রসঙ্গও উঠে আসে আলোচনায়, যেখানে শাহরুখ জানান তিনি শন কনারির কাজের সঙ্গে বেশ পরিচিত।

ওই অনুষ্ঠানে শাহরুখের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন তার দীর্ঘদিনের সহকর্মী ও বন্ধু অভিনেত্রী কাজল। শাহরুখ মজা করে বলেন, ‘কাজল আমার জীবনে থাকায় আমি প্রেমের ছবিই বেশি করেছি। বিপরীতে কাজল থাকলে আসলে লড়াইয়ের ছবি করা সম্ভব হয় না।’ কাজলের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বোঝাতে চান, রোমান্টিক হিরো হিসেবে তার ইমেজের পেছনে কাজলের সঙ্গে তার জুটির বড় ভূমিকা রয়েছে।

আলোচনার এক পর্যায়ে কাজল যখন মনে করিয়ে দেন যে শাহরুখ শুধু তার সঙ্গেই নয়, আরও অনেক অভিনেত্রীর সঙ্গেই কাজ করেছেন; তখন শাহরুখ চটজলদি উত্তর দেন, ‘তা ঠিক, তবে যেসব ছবিতে আমরা সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয়তা পেয়েছি, সেগুলোর নায়ক-নায়িকা আমরা দুজনই।’ শাহরুখের এমন সোজাসাপ্টা ও বুদ্ধিদীপ্ত উত্তরে আবারও মুগ্ধ হয়েছেন উপস্থিত দর্শকরা।


banner close