আরণ্যক নাট্যদল আয়োজন করেছে ৫০ বছর পূর্তি উৎসব। দলটির জনপ্রিয় নাটক ‘রাঢ়াঙ’-এর ২০০তম প্রদর্শনী আজ। আরণ্যক দলপ্রধান এবং ‘রাঢ়াঙ’ নাটকের রচয়িতা ও নির্দেশক মামুনুর রশীদ কথা বললেন দৈনিক বাংলার সঙ্গে।
আরণ্যকের ৫০ বছর আর ‘রাঢ়াঙ’-এর ২০০তম প্রদর্শনী। যাত্রাপথটা কেমন ছিল?
পথটা খুব মসৃণ ছিল না। অনেক বাধা-বিঘ্ন অতিক্রম করে আজকে ২০০তম প্রদর্শনীতে পৌঁছেছি। আমাদের সমাজ কুসুমাস্তীর্ণ নয়। সমাজে অস্থিরতা, রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা নানা কিছু আছে। আমরা মানুষ নিয়ে কাজ করি। কাজেই এটা একটা নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার। তার মধ্যেই আমরা এখানে এসে পৌঁছাতে পেরেছি। তাও যদি আমাদের দেশে হল থাকত। আগের মতো বাইরের কল শো যদি থাকত তাহলে ৫ বছরের মধ্যে ২০০তম প্রদর্শনী করা যেত। এটা হতে পারেনি। আমাদের ১৮ বছর লেগে গেল।
তাহলে কী কী সংকট আপনার চোখে পড়েছে, যাতে ১৮ বছর লেগে গেল?
অবকাঠামোগত সংকট। আমাদের ঢাকা শহরে একমাত্র শিল্পকলা একাডেমিতেই আমরা অভিনয় করতে পারি মাসে একবার করে। ঢাকা এত বড় একটা শহর। তার জনসংখ্যা এখন দেড় কোটিতে দাঁড়িয়েছে। বনানীতে একটা মঞ্চ নেই। গুলশানে, ধানমন্ডিতে নেই। এই যে মঞ্চসংকট। এটা তো বড় ব্যাপার। উত্তরায় একটা মঞ্চ নেই, পাঠাগার নেই। এর মধ্য দিয়ে আমাদের কাজ করতে হচ্ছে। মিরপুর এত বড় জনপদ, সেখানে কোনো মঞ্চ নেই। মিরপুরের মানুষেরা যদি শিল্পকলায় আসে এটা তো একটা মহাসংগ্রামের ব্যাপার। দীর্ঘপথ অতিক্রম করে আসতে হয়। এমনিতে নাটক ২ ঘণ্টার, আসতে যেতে ২ ঘণ্টা। জনজীবন নিরাপদ, সহজ নয়। কলকাতা শহরেও যেকোনো জায়গায় পৌঁছে যাওয়া যায় একটা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে। লন্ডন শহরে, নিউইয়র্কেও পৌঁছানো যায়। কিন্তু ঢাকা শহরে ইচ্ছা করলেই একটা জায়গায় নির্দিষ্ট সময়ে পৌঁছানো যায় না। জনজীবনের সঙ্গে নাটক ওতপ্রোতভাবে জড়িত। মানুষের জীবন সহজ হলে নাটক করাটাও সহজ হতো।
এটাই কি এখনকার মূল সংকট?
পৃষ্ঠপোষকতার অভাব। রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতা, রাষ্ট্রশাসকদের সংস্কৃতির প্রতি দৃষ্টিভঙ্গি একটা বড় ব্যাপার। সবটা নিয়েই আমরা একটা ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছি। শাসকগোষ্ঠীর মধ্যে কোনো লক্ষণ দেখছি না যে, সংস্কৃতি নিয়ে তাদের কোনো ভাবনা আছে কি না।
আরণ্যকের মূলমন্ত্র ছিল ‘নাটক শুধু বিনোদন নয়, শ্রেণিসংগ্রামের সুতীক্ষ্ণ হাতিয়ার’…
সেটা আমরা এখনো বহন করছি। আমাদের প্রতিটি নাটকেই সেটা আমরা দেখানোর চেষ্টা করি।
হৃতিক রোশনের ব্লকবাস্টার ‘ওয়ার’–এর ছয় বছর পর আসছে তার বহু প্রতীক্ষিত সিক্যুয়েল ‘ওয়ার টু’। এবার হৃতিকের সঙ্গে রয়েছেন দক্ষিণের সুপারস্টার জুনিয়র এনটিআর। আর মুক্তির আগেই ছবিটি গড়েছে এক নতুন বিশ্বরেকর্ড—ভারতীয় চলচ্চিত্র ইতিহাসে সবচেয়ে বড় পরিসরে মুক্তি পাওয়ার নজির!
ভারতীয় গণমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, আগামী ১৪ আগস্ট প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাবে ‘ওয়ার টু’। ছবিটি বিশ্বব্যাপী ৭,৫০০টিরও বেশি স্ক্রিনে মুক্তি পেতে যাচ্ছে, যা এর আগে কোনো ভারতীয় সিনেমার ক্ষেত্রে দেখা যায়নি। এর মাধ্যমে ছবিটি মুক্তির আগেই জায়গা করে নিয়েছে ইতিহাসের পাতায়।
২০০ কোটি টাকা বাজেটের এই হাই-অকটেন অ্যাকশন থ্রিলার প্রযোজনা করছে যশরাজ ফিল্মস। অয়ন মুখার্জির পরিচালনায় নির্মিত ‘ওয়ার টু’ নিয়ে দর্শকমহলে তৈরি হয়েছে তুমুল উত্তেজনা।
২০২৫ সালেও হৃতিক রোশন কম কাজ করলেও তার প্রতিটি প্রজেক্ট নিয়ে দর্শকদের আগ্রহ থাকে আকাশচুম্বী। অপরদিকে, ‘ওয়ার টু’-এর মাধ্যমে বলিউডে অভিষেক হচ্ছে দক্ষিণের সুপারস্টার জুনিয়র এনটিআরের, যেটি সিনেমাটির প্রতি দর্শকের আগ্রহ আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।
এর আগে ২০১৯ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘ওয়ার’ ভারতে আয় করেছিল প্রায় ৩০০ কোটি টাকা, আর আন্তর্জাতিকভাবে ১৭৫ কোটি টাকা—সর্বমোট ৪৭৫ কোটি। সেই ছবির উত্তরসূরি হিসেবে ‘ওয়ার টু’ যে আরও বড় কিছু নিয়ে আসছে, তা এখনই স্পষ্ট।
এই রেকর্ড এবং বিশাল স্কেল দেখে বোঝা যাচ্ছে, অগাস্টে মুক্তি পেতে যাওয়া এই সিনেমা হতে যাচ্ছে ২০২৫ সালের অন্যতম ব্লকবাস্টার হিট।
হলিউডের অন্যতম জনপ্রিয় ফ্র্যাঞ্চাইজি ‘জুরাসিক ওয়ার্ল্ড’। ১৯৯৩ সালে ‘জুরাসিক পার্ক’ মুক্তির মধ্য দিয়ে এর যাত্রা শুরু। এবার এসেছে নতুন ছবি ‘জুরাসিক ওয়ার্ল্ড রিবার্থ’।
এ গল্পের পটভূমিতে ডাইনোসর ক্লান্তি থাকলেও দর্শকদের ক্ষেত্রে বিষয়টি একদমই প্রযোজ্য হয়নি। বরং বিশ্বজুড়ে বক্স অফিসে দারুণ দাপট দেখিয়েছে ছবিটি। রবিবার (৬ জুলাই) স্টুডিও থেকে জানানো হয়েছে, এ পর্যন্ত ৩১৮ দশমিক ৩ মিলিয়ন ডলার আয় করেছে ছবিটি। এটি মুক্তি পেয়েছিল গত বুধবার।
জুরাসিক ওয়ার্ল্ড রিবার্থ পরিচালনা করেছেন গ্যারেথ এডওয়ার্ডস। এটি ‘জুরাসিক ওয়ার্ল্ড’ সিরিজের চতুর্থ সিনেমা এবং ১৯৯৩ সালে স্টিভেন স্পিলবার্গ পরিচালিত মাইকেল ক্রাইটনের উপন্যাস অবলম্বনে প্রথম ‘জুরাসিক পার্ক’ মুক্তির পর থেকে সিরিজের মোট সপ্তম সিনেমা এটি।
আন্তর্জাতিক বাজারে চীনসহ ৮২টি দেশে ছবিটি মুক্তি পেয়েছে। আন্তর্জাতিক বাজার থেকে প্রথম পাঁচ দিনে আয় ১৭১ মিলিয়ন ডলার। শুধু চীনেই আয় হয়েছে ৪১ দশমিক ৫ মিলিয়ন ডলার। সেখানে ছবিটি ৬৫ হাজার পর্দায় চলেছে, যার ৭৬০টি ছিল আইম্যাক্স স্ক্রিন। এটিই চলতি বছরে চীনে সবচেয়ে বড় ‘মোশন পিকচার অ্যাসোসিয়েশন’ (এমপিএ) মুক্তির রেকর্ড গড়েছে।
এদিকে, উত্তর আমেরিকার ৪ হাজার ৩০৮টি প্রেক্ষাগৃহে পাঁচ দিনে ছবিটির আয় ১৪৭ দশমিক ৩ মিলিয়ন ডলার। এর মধ্যে তিন দিনের ‘সাপ্তাহিক ছুটি’ (শুক্রবারের স্বাধীনতা দিবসের ছুটি, শনিবার ও রবিবারের সম্ভাব্য বিক্রির হিসাব) মিলিয়ে আয় ৯১ দশমিক ৫ মিলিয়ন ডলার।
১৮০ মিলিয়ন ডলার ব্যয়ে নির্মিত ইউনিভার্সেল পিকচার্সের এই ছবি এরই মধ্যে দর্শকদের বিশেষ আগ্রহ তৈরি করেছে। ছবির প্রধান চরিত্রে আছেন স্কারলেট জোহানসন। তার সঙ্গে আরও আছেন মাহেরশালা আলী ও জোনাথন বেইলি।
জুরাসিক ওয়ার্ল্ড রিবার্থে মূল চরিত্রদের যুক্ত করা হয়েছে। সঙ্গে ফিরেছেন জুরাসিক পার্কের চিত্রনাট্যকার ডেভিড কোয়েপ, যিনি গল্প এগিয়ে নিয়েছেন ডাইনোসরের ডিএনএ নিয়ে এক ভয়ংকর শিকার অভিযানের দিকে—যেখানে এবার ডাইনোসর বানানো নয়, বরং হৃদরোগের চিকিৎসার জন্য ডিএনএ সংগ্রহই মূল লক্ষ্য।
ইউনিভার্সালের ঘরোয়া পরিবেশনা প্রধান জিম ওর বলেন, ‘এটা সত্যিই দারুণ সাফল্য। গ্রীষ্মকালে দর্শক ঠিক এমনই কিছু চায়—বড়, মজার আর অসাধারণভাবে নির্মিত অ্যাডভেঞ্চার।’
ছবিটি সমালোচকদের কাছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া পেয়েছে। রটেন টমেটোজে ছবির স্কোর ৫১ শতাংশ, আর প্রথম সপ্তাহের দর্শকদের কাছ থেকে পেয়েছে ‘বি’ গ্রেডের সিনেমাস্কোর।
তবে স্টুডিও বলছে, বয়স ৮ থেকে ৮০—সব বয়সী দর্শক ছবিটি দেখতে এসেছেন। সমালোচনাসত্ত্বেও প্রত্যাশার চেয়ে প্রতিটি ক্ষেত্রেই আয় বেশি হয়েছে।
বিনোদন প্রতিবেদক
সময়ের জনপ্রিয় অভিনয়শিল্পী তানজিন তিশা অভিনয়ের বাইরেও নানা কারণে আলোচনায় থাকেন। বিনোদন অঙ্গনের তারকাদের সঙ্গেও তার প্রেমের সম্পর্কের কারণে একাধিক খবরের শিরোনাম হন তিনি। এর বাইরে গোপনে বিয়ে করেছেন—এমন খবরও শুনেছেন তিশা। তা–ও আবার একটি নয়, দুটি। এমনকি তার একটি সন্তানও রয়েছে। ‘ফ্রাইডে নাইট উইথ জায়েদ খান’ অনুষ্ঠানে বিয়ে ও সন্তান প্রসঙ্গে কথা বললেন তানজিন তিশা।
মাসখানেক আগে অবকাশযাপনে যুক্তরাষ্ট্রে গিয়েছিলেন তানজিন তিশা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন স্থানে ঘোরাঘুরির সেই চিত্রও দেখা গেছে। এরই ফাঁকে একটি আড্ডার অনুষ্ঠানের অতিথি হন তিনি। বছরখানেকের বেশি সময় যুক্তরাষ্ট্রে থাকা চিত্রনায়ক জায়েদ খানের উপস্থাপনায় সেই অনুষ্ঠানে বিয়ে ও সন্তান প্রসঙ্গে কথা বলেন তিনি। উপস্থাপকের প্রশ্ন ছিল এমন একটি গুজব যা তুমি শুনেছ, উত্তরে তানজিন তিশা বললেন, ‘আমার নাকি দুটি বিয়ে হয়েছে। তিন নম্বর বিয়ের প্রস্তুতি চলছে। আমার একটা বাচ্চা আছে, যা দাদির কাছে আছে। ইনশা আল্লাহ আমি বিয়ে করব। তবে এমনটা শুনে আমি ও আমার পরিবারের সবাই হেসেছি।’
তবে আরেক প্রশ্নের জবাবে তানজিন তিশা জানালেন, তিনি বিয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। বিয়ের জন্য তার পাঁচ বছর সময় লাগবে। পাঁছ বছর পর নিজেকে কোথায় দেখতে চান—এই প্রশ্নে তিশা বলেন, ‘ডেফিনিটলি আই উইল বি আ মাদার। এর মধ্যে আমি বিয়ে করব। মা হব। আমি জানি, সহজে কোনো নারী শিল্পী এই ধরনের কথা বলে না। আমি বলি কারণ, মানুষের পেশাগত জীবনের সঙ্গে ব্যক্তিগত জীবনও থাকে। এটাকে আমরা এড়িয়ে চলতে পারব না। আজ অথবা আগামীকাল আমাকে বিয়ে করতে হবে। সবাই তো করছে। সবারই একটা ভবিষ্যৎ আছে। সেই জায়গা থেকে যদি আমার ভবিষ্যতের কথা ভাবি, তাইলে বিয়ের ব্যাপারটাই মাথায় আসে।’
এদিকে ঘোরাঘুরি শেষে দেশে ফিরেছেন তানজিন তিশা। শুরু করেছেন নতুন কাজও। এরই মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন লোকেশনে শুটিং করেছেন ভিকি জাহেদ পরিচালিত সেই নাটকের। ‘খোয়াবনামা’ নামের সেই নাটকে তিশার সহশিল্পী তৌসিফ মাহবুব।
জনপ্রিয় তারকা জুটি তাহসান খান ও রাফিয়াত রশিদ মিথিলার সম্পর্ক বিশ্ববিদ্যালয় জীবন থেকে শুরু হয়েছিল। ২০০৬ সালের ৩ আগস্ট তারা বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। তাদের ঘরে একমাত্র কন্যাসন্তান আইরা তাহরিম খান ২০১৩ সালে জন্ম নেয়। ‘আদর্শ দম্পতি’ হিসেবে পরিচিত ছিল ভক্তদের মধ্যে। ২০১৭ সালের মে মাসে তাদের বিচ্ছেদ অনেকেই হতাশ করেছিল। আট বছর পর বিচ্ছেদ নিয়ে কথা বলেছেন মিথিলা। তিনি বলেন, তখন অনেক অল্পবয়সি এবং তরুণী মা ছিলেন। ভালো মন্দ বিচার করার শক্তি তার ছিল না। একটি পডকাস্ট অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
মিথিলা জানান, বিচ্ছেদের চূড়ান্ত ঘোষণার আগে তারা প্রায় দুই বছর আলাদা ছিলেন এবং এ সময়ে তিনি তাহসানের সঙ্গে সম্পর্ক ভেঙে যাওয়াটা মানতেই পারছিলেন না।
এই অভিনেত্রী আরও বলেন, তাহসানের সঙ্গে সেপারেশনে থাকার সময় ভেবেছিলেন শেষ পর্যন্ত হয়তো বিচ্ছেদ হবে না, সব ঠিক হয়ে যাবে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ঠিক হয়নি।
তিনি বলেন, যে কোনো বিচ্ছেদ বা যে কোনো সম্পর্ক ভেঙে যাওয়া সহজ না খুবই কঠিন। বন্ধু বা এটা যে কোনো ক্ষেত্রে হতে পারে। আমি ছিলাম তখন অনেক অল্পবয়সী এবং তরুণী মা। আমি যে কোনো একটা ভালো মন্দ বিচার করব বা কোনো একটা সিদ্ধান্তে আসব, সেটার শক্তিই আমার ছিল না। কারণ আমার একটা ১ বছরের বাচ্চা। আমার মানসিক অবস্থা ভালো ছিল না, যেখানে আমি কোনো একটা সিদ্ধান্ত নিতে পারবো নিজের জীবনের।
অভিনেত্রী জানান, ২৩ বছর বয়স থেকে আমি আমার জীবনকে একভাবে ভেবে এসেছিলাম। হঠাৎ করে জীবনটা সম্পূর্ণভাবে পরিবর্তন হয়ে গেছে। আমি আমার শ্বশুরবাড়ির মানুষদের সঙ্গে থেকেছি। একে তো আমার বাচ্চা আছে তারপর আমি জানলাম সেই জায়গাটা আমার ভবিষ্যৎ না। আমি তখন চাকরি করতাম, কিন্তু আমার একটা গাড়িও ছিল না। কিন্তু আমার তো অভ্যাস ছিল গাড়িতে করে বাইরে যাওয়ার, আমার বাচ্চার অভ্যাস ছিল গাড়িতে চড়ার।
মিথিলা বলেন, মেয়েদের নিজেদের আসলে জায়গা থাকে না। শ্বশুরবাড়ি আবার বাবার বাড়ি, থ্যাঙ্কফুলি এখন আমার নিজের জায়গা আছে। মেয়েদের সবার আগে যেটা দরকার সেটা হলো অর্থনৈতিক স্বাধীনতা। এ অর্থনৈতিক স্বাধীনতা ছাড়া জীবনের অন্য সব সিদ্ধান্ত নেওয়া কঠিন হয়।
নিউইয়র্ক থেকে প্রকাশিত বাংলা ভাষাভাষীদের জনপ্রিয় গণমাধ্যম ‘ঠিকানা’য় উপস্থাপক হিসেবে চিত্রনায়ক জায়েদ খানের অভিষেক হচ্ছে। নাম ‘ফ্রাইডে নাইট উইথ জায়েদ খান’। এই অনুষ্ঠানের মাধ্যমে প্রথমবারের মতো উপস্থাপনায় নাম লিখিয়েছেন তিনি।
জায়েদ খান প্রতি শুক্রবার রাতে দর্শকদের সামনে হাজির হবেন ভিন্ন ভিন্ন অতিথি নিয়ে। প্রথম পর্বে অতিথি হয়েছেন ছোটপর্দার অভিনেত্রী তানজিন তিশা। বাংলাদেশ সময় শুক্রবার (০৪ জুলাই ) রাত ৮টায় অনুষ্ঠানটি প্রচার হয়।
টক শো সঞ্চালক হিসেবে নিজের অভিষেক প্রসঙ্গে নিউইয়র্ক থেকে চিত্রনায়ক জায়েদ খান বলেন, ‘এটা আমার জন্য এক নতুন যাত্রা। আমি এমন একটি অনুষ্ঠান উপহার দিতে চাই, যেখানে আমাদের সেই গল্পগুলো উঠে আসবে- যেগুলো বাস্তব, অনুপ্রেরণাদায়ক এবং চেতনাকে নাড়া দেওয়ার মতো।’
বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে অবস্থান করছেন এই ঢালিউড তারকা। হলিউডে সিনেমা করার বিষয়েও পরিকল্পনা করছেন বলে জানিয়েছেন জায়েদ খান।
বলা দরকার, ‘মুজিব: একটি জাতির রূপকার’ ছবিতে টিক্কা খানের ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন জায়েদ খান। কয়েক সেকেন্ড পর্দায় দেখা গিয়েছিল তাকে। তার জন্য বরাদ্দ ছিল একবাক্যের একটি সংলাপ। এতেই বাজিমাত করেছেন তিনি। জায়েদ খান অভিনীত সর্বশেষ মুক্তিপ্রাপ্ত সিনেমা ‘সোনার চর’। চলতি বছরের শুরুতে মুক্তি পাওয়া এই ছবিটি পরিচালনা করেছেন জাহিদ হোসেন। এতে আরও অভিনয় করেন মৌসুমী, ওমর সানী, শহীদুজ্জামান সেলিম, শবনম পারভীন ও পাপিয়া মাহি।
‘ভানুমতী ভূতের হোটেল’ ছবির শুটিং চলাকালীন তীব্র ব্যথায় কাবু হয়ে ওপার বাংলার জনপ্রিয় অভিনেত্রী স্বস্তিকা দত্ত হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
এই ঘটনায় তার ভক্ত ও সহকর্মীদের মধ্যে উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়েছে। অভিনেত্রী নিজেই তার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক পোস্টে নিজের অসুস্থতার কথা জানিয়েছেন। তিনি লিখেছেন, ‘আমি বুঝি, সব ঘটনার পিছনে কোনো কারণ থাকে।’
‘গতকাল আমি ‘ভানুপ্রিয়া ভূতের হোটেল’ ছবির শুটিং করছিলাম। হঠাৎ অসহ্য যন্ত্রণা শুরু হয়। মনে হচ্ছিল, পৃথিবীর সবচেয়ে কঠিন যন্ত্রণা। সঙ্গে সঙ্গে আমাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।’
এদিকে ভারতীয় গণমাধ্যমকে তিনি বলেন, ‘সবচেয়ে কঠিন যন্ত্রণার সঙ্গে আমি লড়াই করছি। সমস্ত সহ-অভিনেতাদের সহযোগিতা করার জন্য ধন্যবাদ। এই ছবি আমার কাছে খুব বিশেষ।’
তার কথায়, ‘প্রতিজ্ঞা করছি, যাই ঘটে যাক এই ছবিকে আমি আরও বিশেষ করে তুলব। আমার চিকিৎসার কথা মাথায় রেখেই আমার পরিচালক ও প্রযোজকেরা শুটিংয়ের দিন ক্ষণ সাজাচ্ছেন। নিজের চোখের খেয়াল রাখার চেষ্টা করছি এবং শুটিংও করছি।’
বলিউডের অন্যতম সফল অভিনেত্রী দীপিকা পাড়ুকোন এবার আন্তর্জাতিক মঞ্চে আরও একটি বড় ইতিহাস গড়লেন। হলিউডের বিখ্যাত ওয়াক অফ ফেম-এর ২০২৫ সালের মোশন পিকচার বিভাগের জন্য তার নাম মনোনীত হয়েছে। দীপিকা হলেন প্রথম এবং একমাত্র ভারতীয় অভিনেত্রী হিসেবে সম্মানে ভূষিত হলেন।
হলিউড চেম্বার অফ কমার্স সম্প্রতি ২০২৫ সালের ওয়াক অফ ফেম-এ স্থানপ্রাপ্ত বিশিষ্টদের তালিকা প্রকাশ করেছে। সেই তালিকায় দীপিকার পাশাপাশি রয়েছেন ডেমি মুর, এমিলি ব্লান্ট, র্যাচেল ম্যাক অ্যাডামস, স্ট্যানলি টুসি এবং টিমোথি চালামেটের মতো বিশ্ববিখ্যাত তারকারা।
দীপিকা পাড়ুকোন ২০১৭ সালে ‘XXX: Return of Xander Cage’ ছবির মাধ্যমে তিনি হলিউডে পা রাখেন। এর আগেও টাইম ম্যাগাজিন তাকে ২০১৮ সালে বিশ্বের ১০০ জন প্রভাবশালী ব্যক্তির একজন হিসেবে বেছে নিয়েছিল। এছাড়াও তিনি টাইম ১০০ ইমপ্যাক্ট অ্যাওয়ার্ড এবং ফিফা বিশ্বকাপে ট্রফি উন্মোচনের মতো মঞ্চে ভারতকে প্রতিনিধিত্ব করেছেন।
এখন পর্যন্ত দীপিকার তিনটি বলিউড সিনেমা একাধিকবার ১০০০ কোটির ঘর পার করেছে। অভিনয়ের পাশাপাশি মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে তার কাজও প্রশংসিত হয়েছে আন্তর্জাতিক স্তরে।
১৭ বছর পর ফের একসঙ্গে বড়পর্দায় দেখা যাবে বলিউডের দুই জনপ্রিয় অভিনেতা অক্ষয় কুমার এবং সাইফ আলি খানকে। প্রবীণ পরিচালক প্রিয়দর্শনের আসন্ন হাই-অক্টেন থ্রিলার ছবিতে একসঙ্গে অভিনয় করছেন এই জুটি। ছবির নামও ইতোমধ্যেই প্রকাশ্যে এসেছে ‘হাইওয়ান’। নাম ঘোষণার পর থেকেই ছবিটি নিয়ে উৎসাহের পারদ তুঙ্গে।
‘হাইওয়ান’ মূলত ২০১৬ সালের সুপারহিট মালয়ালম ছবি ‘ওপ্পামে’র হিন্দি রিমেক। মালয়ালম ছবিটিতে মোহনলাল মুখ্য ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন। বলিউড রিমেকে অক্ষয় কুমারকে এবার দেখা যাবে খলনায়কের চরিত্রে। সাইফ আলি খানও এক গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে থাকছেন।
২০০৮ সালের ‘তাশান’-এর পর এই প্রথমবার পর্দায় ফিরছে অক্ষয়-সইফ জুটি। তাদের আগের অনস্ক্রিন কেমিস্ট্রি একসময় দর্শকদের দারুণ মন জয় করেছিল। সেই পুরনো রসায়ন আবার ফিরে আসবে কি না, এখন সেটাই দেখার।
ছবির সঙ্গে ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র জানিয়েছে, ‘হাইওয়ান’ নামটি একাধিক বিকল্পের মধ্যে থেকে বেছে নেওয়া হয়েছে, কারণ এটি গল্পের থিম ও চরিত্রগুলির গভীরতা সবচেয়ে ভালোভাবে প্রকাশ করে। থ্রিলারধর্মী এই গল্পের অন্ধকার ও রহস্যময় পরিবেশকে আরও জোরালো করে তুলতে এই নামটি যথাযথ বলে মনে করা হচ্ছে।
‘হাইওয়ান’-এর শুটিং শুরু হতে চলেছে আগামী অগস্টে। সব কিছু ঠিকঠাক চললে, ছবিটি ২০২৬ সালে মুক্তি পেতে পারে। ইতোমধ্যেই ভক্তরা প্রতীক্ষায় দিন গুনতে শুরু করেছেন।
অক্ষয় কুমার সম্প্রতি প্রিয়দর্শনের আরেকটি ছবি ‘ভূত বাংলা’র শুটিং শেষ করেছেন। অন্যদিকে, সাইফ আলি খান শেষ বার দেখা গিয়েছেন ‘জুয়েল থিফ’-এ, যেখানে তার পারফরম্যান্স দারুণ প্রশংসিত হয়েছিল। এখন ‘হাইওয়ান’-এর মাধ্যমে তারা আবারও প্রমাণ করতে চলেছেন, পরিণত অভিনয়ে এখনো তারা বলিউডের প্রথম সারির তারকা।
পশ্চিমা বিশ্বের তারকাদের অনেকেই কিশোরী বয়সে কুমারিত্ব হারিয়েছেন। কেউ কেউ হয়েছেন গর্ভবতীও। এরকম কথা শোনা গিয়েছিল বলিউডের এক তারকার ক্ষেত্রেও। তিনি কারিনা কাপুর খান। উইকিপিডিয়া বলছে তার বয়স ৪০ পেরিয়েছে। বলিপাড়ায় তাকে নিয়ে আলোচনার কমতি নেই। অনেকেরই মতে তিনি নাকি বড়লোকের বখে যাওয়া সন্তান, যাকে ইংরেজিতে বলে ‘স্পয়েল্ট ব্র্যাট’।
গুঞ্জন রয়েছে মাত্র ১৪ বছর বয়সে স্কুলে থাকাকালীন অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন কারিনা। ইন্ডাস্ট্রিতে শোনা যায়, টিনএজার কারিনার সঙ্গে নাকি ঘটে যায় এমন এক ঘটনা, যা নিয়ে সে সময় বেশ আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছিল।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টিভি নাইনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ১৪ বছর বয়সে কারিনা নাকি হয়ে পড়েন অন্তঃসত্ত্বা। বাবা হিসেবে কার নাম উঠে আসে জানেন? তার আগে একবার ঝালিয়ে নেওয়া যাক কারিনা কাপুরের ছোটবেলা। ১৯৮০ সালের ২১ সেপ্টেম্বর মুম্বাইয়ে জন্ম নেন কারিনা। বাবা রণধীর কাপুরের সঙ্গে মা ববিতার সম্পর্ক মোটেও ভালো ছিল না।
কাপুর পরিবারের নিয়মানুসারে বিয়ের পর বউদের ইন্ডাস্ট্রিতে কাজের নিষেধাজ্ঞা ছিল, আর এই যুক্তিই কোনোভাবে মানতে পারেননি ববিতা। দুই মেয়ে, কারিনা ও কারিশমাকে নিয়ে আলাদা থাকতে শুরু করেন তিনি। প্রথম যমুনাবাই নার্সিং স্কুলে কারিনাকে ভর্তি করা হলেও কিছু বছর পরেই বলিউডের বেবোকে পাঠিয়ে দেওয়া হয় দেরাদুনের ওয়েলহাম গার্লস স্কুলে। সেখানেই দীর্ঘ সময় কাটান তিনি।
রটনা বলে, ওই স্কুলে থাকতে থাকতে নাকি নবম শ্রেণিতে আচমকাই অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন তিনি। তখন তার বয়স মোটে ১৪ বছর। এখানেই কি শেষ? সন্তানের বাবা হিসেবে উঠে আসে হৃতিক রোশনের নামও। তার সঙ্গে কারিনার যে বিশেষ সম্পর্ক ছিল এ খবর কে না জানেন?
যদিও এই ঘটনার কোনো উপযুক্ত প্রমাণ পাওয়া যায় না, তাই এটা নিছকই রটনা নাকি সত্যিই ঘটেছিল এমন কোনো ঘটনা, তা এখনো ধোঁয়াশা। কারিনাও কখনো এ নিয়ে মুখ খোলেননি।
বাংলাদেশের সংগীত জগতের এক উজ্জ্বল নাম, প্রখ্যাত কণ্ঠশিল্পী জীনাত রেহানা আর নেই। বুধবার (০২ জুলাই) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। ‘সাগরের তীর থেকে’ গানটি দিয়ে শ্রোতাদের মন জয় করেছিলেন এ গুণী সংগীতশিল্পী।
জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরেই অসুস্থতায় ভুগছিলেন জীনাত রেহানা। চিকিৎসা চলছিল তার। অবশেষে বুধবার না ফেরার দেশে পাড়ি জমালেন। জীনাত রেহানার স্বামী ছিলেন দেশের টেলিভিশন ব্যক্তিত্ব মোস্তফা কামাল সৈয়দ। তিনি আগেই প্রয়াত হয়েছেন।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, বুধবার (০২ জুলাই) জোহরের নামাজের পর গুলশানের আজাদ মসজিদে প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর বিকাল ৩টায় চ্যানেল আই প্রাঙ্গণে দ্বিতীয় জানাজা শেষে বনানী কবরস্থানে দাফন করা হবে এই গুণী শিল্পীকে।
প্রসঙ্গত, ১৯৬৪ সালে বাংলাদেশ বেতারে তালিকাভুক্ত শিল্পী হিসেবে যুক্ত হন জীনাত রেহানা। তার কণ্ঠে গাওয়া ১৯৬৮ সালের গান ‘সাগরের তীর থেকে’ শ্রোতাদের হৃদয়ে স্থায়ী আসন করে নেয়। গানটি তাকে এনে দেয় ব্যাপক জনপ্রিয়তা ও পরিচিতি। ১৯৬৫ সালে টেলিভিশনের শিল্পী হিসেবেও সংগীতজগতে যাত্রা শুরু করেন তিনি। যদিও আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানে দীর্ঘ সময় কাজ করার কারণে তাকে নিয়মিত গানে পাওয়া যায়নি, তবুও তার গাওয়া বেশ কিছু গান আজও সমানভাবে জনপ্রিয়।
আধুনিক, আধ্যাত্মিক ও ছোটদের গান, তিন ক্ষেত্রেই তিনি রেখেছেন অনন্য অবদান। তার গাওয়া উল্লেখযোগ্য গানের মধ্যে রয়েছে ‘একটি ফুল আর একটি পাখি বলতো কি নামে তোমায় ডাকি’, ‘আমি কাকন দিয়ে ডেকেছিলেম মুখে লজ্জা ছিল বলে’, ‘কপালে তো টিকলি পরবো না’, ‘আমি যার কথা ভাবছি মনে আনমনে’, ‘আমায় যদি ডাকো কাছে’, ‘কণ্ঠবীণা’, ‘মনে রেখো, স্মৃতি থেকে’ ইত্যাদি।
৩২টি চলচ্চিত্র নির্মাণের জন্য ৯ কোটি টাকা অনুদান দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়। ২০২৪–২৫ অর্থবছরে চলচ্চিত্র নির্মাণের জন্য এই অনুদান দেওয়া হবে। এর মধ্যে পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র রয়েছে ১২টি এবং স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ২০টি।
মঙ্গলবার তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, প্রতিটি পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র নির্মাণের জন্য অনুদান দেওয়া হবে ৭৫ লাখ টাকা। আর স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র নির্মাণের জন্য অনুদান দেওয়া হবে ২০ লাখ টাকা করে।
অনুদানের জন্য মনোনীত পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রগুলো হলো—রবিনহুডের আশ্চর্য অভিযান, মায়ের ডাক, জুলাই, রূহের কাফেলা, পরোটার স্বাদ, খোঁয়ারি, জীবন অপেরা, জলযুদ্ধ, কবির মুখ দ্য টাইম কিপার, কফিনের ডানা, নওয়াব ফুজুন্নেসা ও জুঁই।
অনুদানের জন্য মনোনীত স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রগুলো হলো—মন্দ-ভালো, ফেলানী, ঝুঁকির মাত্রা, জীবনের গান, হু হ্যাজ মেইড আস ফ্লাই, ভরা বাদর, ১২৩০, বৃন্দারাণীর আঙুল, একটি সিনেমার জন্য, দাফন, সাঁতার, মাংস কম, গগন, অতিথি, বোবা, অদ্বৈত, আশার আলো, গর্জনপুরের বাঘা, হোয়ার দ্য ওয়াটার স্লিপস এবং অপসময়।
নব্বই দশকের অন্যতম জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা শাবনূর। সময়ের পরিক্রমায় অস্ট্রেলিয়ায় থিতু হয়েছেন অনেক আগেই। এর মধ্যে কয়েকবারই সিনেমায় ফেরার কথা জানিয়েছিলেন নায়িকা। এরপর তিনি সত্যি ফিরেছিলেন লাইট-ক্যামেরার সামনে। গেল বছরের এপ্রিলে ‘রঙ্গনা’ সিনেমা দিয়ে দীর্ঘ অনেক বছর পর ক্যামেরার সামনে দাঁড়ান শাবনূর। মে মাসে অর্ধেকের বেশি সিনেমাটির দৃশ্যধারণ শেষ করে আবার সিডনিতে ফিরে যান নায়িকা। এরপর কেটে যায় ১৪ মাসেরও বেশি সময়।
চলতি বছরের ৮ আগস্ট থেকে সিনেমার বাকি অংশের শুটিং হওয়ার কথা থাকলেও দেশের চলমান পরিস্থিতির কারণে দেশেই ফিরতে পারেননি শাবনূর। এরপর ‘রঙ্গনা’র দ্বিতীয় ধাপের শুটিং শুরু করার কথা থাকলেও পরে জানা যায়, সম্মানীর কারণে শাবনূরের নতুন শিডিউল পাচ্ছেন না এই নির্মাতা। মাঝপথে থেমে গেছে ‘রঙ্গনা’র কাজ। এর আগে শাবনূর জানিয়েছিলেন, নির্মাতা তার সঙ্গে নাকি কথা দিয়ে কথা রাখেননি। সব মিলিয়ে এমনও রটনা রটে, সিনেমা থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন তিনি। তবে শাবনূর তার ভক্তদের আশ্বস্ত করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জানান, তিনি সিনেমাটিতে কাজ করছেন। এরপর আরো কয়েক মাস কেটে গেলেও তার শুটিংয়ে ফেরার কোনো খবর পাওয়া যায়নি। এ বিষয়ে এই সিনেমার নির্মাতা আরাফাত বলেন, ‘কেউ কেউ বলার চেষ্টা করছেন, ‘রঙ্গনা’র শুটিং আর হচ্ছে না। এটা পুরোপুরি অবাস্তব কথা। শিগগিরই শাবনূর আপা দেশে আসবেন, তারপর শুরু হবে শুটিং। শাবনূর আপার সঙ্গে প্রতিনিয়ত কথা হচ্ছে। সব কিছু ঠিক থাকলে আগামী নভেম্বরে সিনেমার শুটিং করার পরিকল্পনা আছে।’
বর্তমান সময়ে নাটকের জনপ্রিয় জুটি নিলয় আলমগীর ও জান্নাতুল সুমাইয়া হিমি। জুটি বেঁধে এরই মধ্যে তারা দেড় শতাধিক নাটকে অভিনয় করেছেন। গত ঈদেও একাধিক নাটক মুক্তি পেয়েছে তাদের। এর মধ্যে ইউটিউব ট্রেন্ডিংয়ে এসেছে কয়েকটি নাটক।
এবার নতুন আরও এক ইতিহাস গড়লেন এ জুটি। তাদের অভিনীত নাটক ‘শশুরবাড়িতে ঈদ’ ভিউয়ের দৌড়ে আগেই পেছনে ফেলেছিল বাংলা নাটকের সর্বাধিক ভিউয়ের নাটক ‘বড় ছেলে’কে। এবার আরও একটি অর্জন জমা হয়েছে এ জুটির ঝুলিতে। মাত্র ১৪ মাসে নাটকটি ইউটিউবের সর্বাধিক ভিউয়ের খাতায় নাম লেখায়। যা দ্রুততম সময়ে অধিক ভিউ। এখন পর্যন্ত নাটকটি দেখেছেন ৬ কোটির অধিক দর্শক। এটি বাংলা নাটকের ইতিহাসে অনন্য এক রেকর্ড।
গত বছরের এপ্রিল মাসে ইউটিউবে মুক্তি পায় নাটকটি। গত আট বছর ধরেই শীর্ষ এই স্থানটি ধরে রেখেছিল ‘বড় ছেলে’ নাটক। ভিউয়ের দিক থেকে এখন এটির অবস্থান দ্বিতীয় স্থানে। এর ভিউ ৫ কোটি ৪৮ লাখ পেরিয়েছে।
‘শ্বশুরবাড়িতে ঈদ’ নাটকের গল্প আবর্তিত হয়েছে শ্বশুরবাড়িতে ঈদ করার ঘটনাকে ঘিরে। বিয়ের পর দূরে থাকলেও এবার শ্বশুরবাড়িতে ঈদ করতে এসে ভিন্ন এক পরিস্থিতির মুখে পড়েন জামাই।