অবশেষে অভিনয়ে ফিরছেন দীপিকা পাড়ুকোন। বহু অপেক্ষার পরে বাড়িতেই মেয়েকে রেখে কাজে যোগ দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। সন্দীপ রেড্ডি ভাঙ্গার ‘স্পিরিট’ ছবিতে অভিনয় করার কথা ছিল দীপিকার। কিন্তু অভিনেত্রী শর্ত দিয়েছিলেন, আট ঘণ্টার বেশি কাজ করবেন না। এমনকি নির্দিষ্ট পারিশ্রমিকও জানিয়ে দিয়েছিলেন। এ নিয়ে পরিচালকের সঙ্গে মতানৈক্যের জেরে ছবি থেকে বাদ পড়তে হয় দীপিকাকে। গত বছর ৮ই সেপ্টেম্বর জন্ম নেয় দীপিকা-রণবীর সিংয়ের মেয়ে দুয়া। তারপর দীপিকা ছিলেন মাতৃত্বকালীন ছুটিতে। মা হওয়ার পর তার কাছে অগ্রাধিকার ছিল মেয়ে দুয়া-ই। দিনের অধিকাংশ সময় মেয়েকে দেবেন বলেই ঠিক করেছিলেন দীপিকা। তাই কাজের পরিমাণ কমানোর আভাস দিয়েছিলেন। প্রায় এক বছর হতে চললো দুয়ার। অবশেষে কাজে যোগ দিতে প্রস্তুত দীপিকা। জানা গেছে, ফের অ্যাটলির পরিচালিত ছবিতে অভিনয় করতে চলেছেন দীপিকা। তার বিপরীতে থাকবেন আল্লু অর্জুন। ছবির নাম আপাতত ঠিক করা হয়েছে, ‘এএ২২এক্সএ৬’। দীপিকাকে কতদিন শুটিং করতে হবে, সেইসব নাকি ইতোমধ্যেই স্থির হয়ে গেছে। চলতি বছরের নভেম্বর থেকে ছবির শুটিং শুরু করবেন দীপিকা। মোট ১০০ দিন শুটিং করবেন অভিনেত্রী। ছবিতে লড়াইয়ের দৃশ্যেও দেখা যাবে দুয়ার মাকে। আল্লু ও দীপিকা ছাড়াও রাশমিকা মান্দানা, জাহ্নবী কাপুর ও ম্রুনাল ঠাকুরও অভিনয় করবেন এই ছবিতে।
ঢালিউড অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধন বরাবরই খোলামেলা ও সাহসী কথা বলে থাকেন। সামাজিক মাধ্যমে নেটিজেনদের মাঝে এ নিয়ে আলোচনা-সমালোচনার কেন্দ্রে থাকেন তিনি। শুধু অভিনয়ই নয়, দেশের রাজনৈতিক ময়দানে পক্ষে-বিপক্ষে সব জায়গায় আছেন অভিনেত্রী।
ছিলেন গত বছর ৫ আগস্ট আওয়ামী সরকারের শেখ হাসিনার পতনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সঙ্গে। আবার দেখা যায়, ১৫ আগস্টেও তিনি আছেন। মুজিবের মৃত্যুবার্ষিকীতে তাকে শ্রদ্ধা জানিয়ে কটাক্ষের মুখে পড়েন অভিনেত্রী। তার মাঝে দ্বিচারিতা আচরণ। কোথায় নেই বাঁধন- সব জায়গায় সক্রিয়ভাবে আছেন। তবে এবার অভিনেত্রী তার জীবনের আন্দোলনে দেখা পুরুষকে নিয়ে কথা বললেন।
সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেওয়া এক পোস্টে আজমেরী হক বাঁধন লিখেছেন, ‘আমার জীবনের পুরুষরা’। নিজের জীবনের পুরুষের কথা। সেখানে অভিনেত্রী স্পষ্ট করেছেন, তার আপত্তি পুরুষদের প্রতি নয়, বরং সমাজে প্রচলিত পুরুষতান্ত্রিক মানসিকতার প্রতি।
বাঁধন বলেন, আমাকে নিয়ে প্রায়ই একটা বড় ভুল বোঝাবুঝি হয়। অনেকেই ভাবেন আমি নাকি পুরুষকে পছন্দ করি না। এটা সত্যি নয়; আমি যা পছন্দ করি না, তা হলো- আমাদের এই পুরুষতান্ত্রিক সমাজ, আর সেই সমাজকে টিকিয়ে রাখা নারী-পুরুষ উভয়কেই। তিনি বলেন, পুরুষ মানুষকে ঘৃণা না করলেও পুরুষতন্ত্রকে কখনোই মেনে নিতে রাজি নয়।
তবে পুরুষ নিয়ে অভিনেত্রীর অভিজ্ঞতা সবসময় ইতিবাচক ছিল না। তার জীবনে এমনও পুরুষ এসেছে, যারা ছিলেন অসম্মানজনক, হিংস্র ও অমানবিক। কিন্তু তাদের প্রতিও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন বাঁধন। অভিনেত্রী বলেন, তারা যতই আমাকে ভাঙতে চেয়েছে, তাদের নিষ্ঠুরতা আমাকে ততটাই আগুনের মতো জ্বালিয়েছে—অন্যায়ের বিরুদ্ধে আগ্নেয়গিরির বিস্ফোরণের মতো।
তার জীবনে গুরুত্বপূর্ণ কিছু পুরুষ প্রসঙ্গে অভিনেত্রী বলেন, প্রথমেই আছেন তার বাবা, যিনি নানা উপায়ে তাকে গড়ে তুলেছেন। ‘রেহানা’ চলচ্চিত্রের পরিচালক আবদুল্লাহ মোহাম্মদ সাদ। এ দুজন পুরুষ তার ব্যক্তিত্ব ও শিল্পীজীবনে গভীর প্রভাব ফেলেছেন।
স্ট্যাটাসে নিজের দুই ভাইয়ের কথাও তুলে ধরেছেন বাঁধন। তিনি বলেন, তার দুই ভাই-ই জীবনের ভরসা, যদিও চিন্তায় পার্থক্য আছে। বিশেষ করে ছোট ভাই রাশাকে তিনি শুধু ভাই নয়, বরং সেরা বন্ধু হিসেবেই দেখেন। তার সঙ্গে তিনি শিশুসুলভ সরলতায় কথা বলতে পারেন। আরেক ভাইয়ের প্রসঙ্গে অভিনেত্রী বলেন, বাবা-মা না পারলেও সেই ভাই তার পাশে দাঁড়িয়েছেন, যা তিনি কখনো ভুলবেন না।
বাঁধন বলেন, তারা দুজনই শরিয়তের নিয়ম কঠোরভাবে না মেনে সমান অংশে আমার সঙ্গে ভাগ করে নিয়েছিলেন। আমি আসলে পছন্দ করি না যে, তারা যেন আমাকে দিয়ে দিয়েছে- যেন সেটা তাদের ছিল, আমার নয়। কিন্তু এটাই আমাদের সিস্টেমের বাস্তবতা। আর তারা সেটাকে ন্যায্যতা ও ভালোবাসা দিয়ে সামলেছে। আমি আশা করি, একদিন আমাদের আইনই নিশ্চিত করবে- সবাই সমানভাবে উত্তরাধিকার পাবে।
নিজের অবস্থান পরিষ্কার করে অভিনেত্রী বলেন, তাই ভুল বোঝো না—আমি পুরুষকে অপছন্দ করি না। আমি অপছন্দ করি পুরুষতন্ত্রকে। আর হ্যাঁ, আমি পুরুষকে ভালোবাসি।
সুশান্ত সিং রাজপুত্রের মৃত্যুর পর বলিউডের মাদকযোগ নিয়ে উত্তাল ছিল গোটা ভারত। দীপিকা পাড়ুকোন থেকে শুরু করে বলিউডের নামী অভিনেত্রীদের সমন পাঠিয়েছিল এনসিবি (নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো)। মাদকবিরোধী প্রচারে এবার সেই নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরোর প্রচার মুখ হয়েছেন আলিয়া ভাট। এবার মাদক সেবনের বিরুদ্ধে আওয়াজ তোলে সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রলের মুখে পড়েছেন বলিউড অভিনেত্রী।
এনসিবির চণ্ডীগড় বিভাগ সম্প্রতি টুইটার হ্যান্ডেলে আলিয়ার একটি ভিডিও পোস্ট করে, যদিও পরবর্তী সময় সেই ভিডিওর মন্তব্য বন্ধ করতে হয়েছে।
ভিডিওতে দেখা গেছে, আলিয়া মানুষকে মাদক সেবন করতে বারণ করছেন এবং তাদের মিশনে এনসিবিকে সমর্থন করতে আহ্বান জানাচ্ছেন।
আলিয়া বলেন, ‘নমস্কার বন্ধুরা, আমি আলিয়া ভাট। মাদকাসক্তির মতো অত্যন্ত গুরুতর বিষয় নিয়ে আজ আমি কথা বলতে চাই, জানাতে চাই এটি কীভাবে আমাদের জীবন, সমাজ এবং জাতির জন্য বড় সমস্যা হয়ে উঠছে।
মাদকের বিরুদ্ধে এই বিশেষ অভিযানে এনসিবিকে সমর্থন করুন। জীবনকে হ্যাঁ বলুন, মাদককে না বলুন। আপনি নিচে দেওয়া লিংকে গিয়ে বা কিউআর কোডটি স্ক্যান করে ড্রাগের বিরুদ্ধে ই-শপথ নিতে পারেন এবং আপনি অবশ্যই এনসিবির এই উদ্যোগে যোগ দিতে পারেন। জয় হিন্দ।’
ভিডিওটি শেয়ার করার পরই দ্রুত তা ছড়িয়ে পড়ে। এরপর অভিনেত্রীকে ট্রল করতে শুরু করেন অনেকে। ট্রলিং শুরু হতেই এনসিবির হ্যান্ডেলের পক্ষ থেকে পোস্টের কমেন্ট বক্স বন্ধ করা হয়।
মাদকবিরোধী প্রচারের জন্য আলিয়া ভাট সঠিক বাছাই নন, এমনটাই মত নেটিজেনদের একটা বড় অংশের। একজন লিখেছেন, ‘বলিউড মাদক নিয়ে সচেতনতা ছড়াচ্ছে, ভাবা যায়।’ আবার কেউ কেউ ভিডিওটিকে ‘বিদ্রূপাত্মক’ বলে অভিহিত করেছেন।
প্রসঙ্গত, বর্তমানে বলিউডে সবচেয়ে বেশি পারিশ্রমিক পাওয়া অভিনেত্রীদের মধ্যে অন্যতম আলিয়া ভাট। তাকে শেষ দেখা গিয়েছিল ভাসান বালার ‘জিগরা’ ছবিতে। আগামীতে তাকে সঞ্জয় লীলা বানসালির ‘লাভ অ্যান্ড ওয়ার’ এবং যশরাজ ফিল্মসের ‘আলফাতে’ দেখা যাবে।
বিভিন্ন সময়েই নানা মন্তব্যকে ঘিরে সমালোচনার মুখে পড়েন চিত্রনায়িকা প্রার্থনা ফারদিন দীঘি। ট্রলের শিকারও হন অভিনেত্রী। তবে একটা সময়ে মন খারাপ হলেও এখন আর তা নিয়ে ভাবেন না। সম্প্রতি এমনটাই জানিয়েছেন তিনি।
এক সাক্ষাৎকারে ট্রল প্রসঙ্গে দীঘি বলেন, ‘একটা সময় খুব মন খারাপ থাকত। ভেঙে পড়তাম। ভাবতাম, কেন ট্রল হচ্ছে, আমি তো ট্রল হওয়ার মতো কিছু করিনি। পরে দেখলাম যে শাকিব খানকে নিয়েও ট্রল হয়, জয়া আহসানকে নিয়েও হয়।
অমিতাভ বচ্চন, শাহরুখ খান, এমনকি আমার প্রিয় রণবীরকে নিয়েও ট্রল হয়। যেটা বোঝলাম যে কিছু মানুষের ধরনই এ রকম, অন্যকে ট্রল করে বেড়ায়। যারা ট্রল করে, তারা আসলে খুবই অসফল, হতাশাগ্রস্ত; সফলদের দেখে তাদের ঈর্ষা হয়। এই ঈর্ষাকাতরতা থেকে তারা এমনটা করে।’
হেটার্সরা তার কাজের ফোকাস নষ্ট করতে চায়- উল্লেখ করে এই নায়িকা আরও বলেন, ‘আমার কাছে মনে হয়, হেটার্স থাকা খুবই স্বাভাবিক। একজন মানুষকে পৃথিবীর সবাই ভালোবাসবে, তা মোটেও ঠিক নয়। এই জিনিসটা যদি আমি নেগেটিভলি নেই, গায়ে মাখিয়ে ফেলি, তাহলে আমি হতাশ থাকব, কাজে ফোকাস দিতে পারব না। হেটার্সরা আমার কাজের ফোকাস নষ্ট করতে চায়। তাই এদের প্রাধান্য দেওয়াটা বোকামি।
কিছুদিন আগে নতুন সিনেমার খবরে শিরোনামে আসেন দীঘি। মেহেদী হাসান হৃদয় পরিচালিত ‘রাক্ষস’ সিনেমাতে অভিনয়ের কথা রয়েছে তার। পিওর রোমান্টিক গল্পের এ সিনেমাতে দীঘির বিপরীতে দেখা যাবে সিয়াম আহমেদকে। তবে এ বিষয়ে এখনই কিছু বলতে চান না নায়িকা।
দীঘি শুধু বললেন, ‘এখন পর্যন্ত নিশ্চিত কিছুই হয়নি। দেখা যাক, আশা করি ভালো কিছুই হবে। সিয়ামের সঙ্গে আবার সিনেমা মন্দ হবে না।’
দীঘিকে সর্বশেষ দেখা গেছে সিয়াম আহমেদের বিপরীতে ‘জংলি’ সিনেমায়। এম রাহিম পরিচালিত এ সিনেমায় দীঘিকে দেখা গেছে নূপুর চরিত্রে।
কবরে শুয়ে থাকা লাশ এবং চারপাশে সাপের উপস্থিতি- ভয় ধরানো এক পোস্টার প্রকাশের পর থেকেই আলোচনায় ক্যাপিটাল ড্রামার নতুন নাটক ‘খোয়াবনামা’। অস্বস্তিকর, ধাঁধাময় এবং কৌতূহল জাগানিয়া এই পোস্টার ছোটবেলার দেখানো ‘কবরের আজাব’-ধাঁচের আতঙ্কের স্মৃতিও উসকে দিচ্ছে দর্শকদের মনে, যা নিয়ে অন্তর্জালে চলছে তুমুল আলোচনা।
বরাবরই হরর-মিস্ট্রি ও সাইকোলজিক্যাল ঘরানার কাজের জন্য পরিচিত ভিকি জাহেদ। যার ফলে তার আসন্ন নাটকের পোস্টার দর্শকদের প্রত্যাশা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।
এর পরই অন্তর্জালে উন্মুক্ত হয়েছে নাটকটির আরও একটি পোস্টার, যেখানে বেশ রোমান্টিক আবহে ধরা দিয়েছেন এর কেন্দ্রীয় দুই শিল্পী তৌসিফ মাহবুব ও তানজিন তিশা।
নাটকটি প্রসঙ্গে নির্মাতা ভিকি জাহেদ একটি গণমাধ্যমকে বলেন, ‘খোয়াবনামা মানে স্বপ্নের আখ্যান, স্বপ্নের ব্যাখ্যা; গল্পের প্রয়োজনেই নামটা রেখেছি। এটা রোমান্স-ট্র্যাজেডি জনরার কাজ। আমার বিশ্বাস, গল্পের শেষ দৃশ্যে দর্শক আবেগতাড়িত হয়ে পড়বেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘ক্যাপিটাল ড্রামার সঙ্গে এটাই আমার প্রথম কাজ। সেই হিসেবে এই প্রজেক্টটা বেশ স্পেশাল আমার জন্য। খোয়াবনামার গল্পটা আমার ব্যক্তিগতভাবে খুব প্রিয়। এক অদ্ভুত মায়া কাজ করে গল্পটার প্রতি আমার।’
তানজিন তিশা বলেন, ‘খোয়াবনামাতে আমার চরিত্রের নাম রূপা। গল্পটা প্রথমবার পড়ার পরেই আমার পছন্দ হয়ে হয়েছিল। রূপা চরিত্রের গ্রাফটা খুব আনপ্রেডিক্টেবল ছিল। তাই পারফরম্যান্সটাও চ্যালেঞ্জিং ছিল। এখানে দর্শকরা ভিকি ভাইয়ার সিগনেচার টুইস্টের সঙ্গে পাবেন মায়াবী এক গল্প। আমি আশা করছি, খোয়াবনামা দর্শকদের খুব ভালো লাগবে।’
এর আগে তৌসিফ জানিয়েছিলেন, এই কাজটি করতে গিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়েছিলেন। রাত ৩টার সময় কবরে শুতে হয়েছে তাকে। এমনকি জলজ্যান্ত সাপকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে তার ওপর।
ভয়ংকর অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হওয়া নিয়ে বলেছিলেন, ‘মানুষের সবচেয়ে বড় ভয় মরে যাওয়া, মৃত্যুর ভয়। খোয়াবনামা করতে গিয়ে আমাকে একসঙ্গে অনেকগুলো ভয় জয় করতে হয়েছে।’ ক্যাপিটাল ড্রামা জানিয়েছে, আগামী ২৮ আগস্ট ‘খোয়াবনামা’ নাটকটি তাদের ইউটিউব চ্যানেলে মুক্তি পাবে।
বলিউড সেনসেশন ও সাবেক বিশ্বসুন্দরী ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চন সম্প্রতি একটি প্রসাধনী ব্র্যান্ডের ‘লেসনস অব ওর্থ’ সিরিজের নতুন ভিডিওতে নানা বিষয়ে কথা বলেছেন। বর্তমান ইন্টারনেটের যুগে সোশ্যাল মিডিয়া মানুষের জীবনের নিত্যসঙ্গী। এখন মানুষের সামাজিক মর্যাদা নির্ধারিত হয় সামাজিক মাধ্যমে- ‘লাইক আর কমেন্ট’ মানুষের আত্মস্বীকৃত আত্মমর্যাদা গড়ে তোলে। তবে এসবের থেকে একেবারেই আলাদা রাই সুন্দরী।
ঐশ্বরিয়া বলেন, আত্মমর্যাদা নিজের ভেতরের বিষয়। তার আত্মসম্মান কোনোভাবেই সামাজিক মাধ্যমের সঙ্গে যুক্ত নয়। তিনি বলেন, সামাজিক মাধ্যম কীভাবে মানুষের আত্মমূল্যায়নকে প্রভাবিত করছে এবং তা ক্রমশই বেড়ে চলেছে। অনেকেই লাইক আর কমেন্টের ওপর ভরসা করে স্বীকৃতি পেতে চান। কিন্তু সত্যিকারের মূল্যবোধ অনলাইন অনুমোদনের ওপর নির্ভর করা উচিত নয়।
অভিনেত্রী বলেন, আমি অভিনেত্রী হিসেবে নয়, একজন মা হিসেবেও উদ্বেগ প্রকাশ করছি। সামাজিক মাধ্যম আর সামাজিক চাপের মধ্যে তেমন কোনো পার্থক্য নেই। তরুণ-তরুণী থেকে শুরু করে প্রাপ্তবয়স্করাও এতে প্রভাবিত হন, যা একেবারেই গুরুতর উদ্বেগের বিষয়।
ঐশ্বরিয়া সবাইকে অনুরোধ করেছেন- অনলাইনে স্বীকৃতি খোঁজা বন্ধ করতে। অভিনেত্রী বলেন, আত্মসম্মান মানুষের ভেতর থেকেই আসে, বাইরে থেকে নয়। সচেতনভাবে নিজের ভেতরে উত্তর খুঁজে নিতে হবে।
দর্শকদের আশ্বস্ত করে অভিনেত্রী বলেন, ‘তোমরা এর যোগ্য’ এবং তা ভেতর থেকে বিশ্বাস করতে হবে।
অভিনেত্রীর এ বার্তা সামাজিক মাধ্যমে নেটিজেনদের মনে দারুণ সাড়া ফেলেছে। কেউ তাকে ‘কুইন’ আখ্যা দিয়েছেন, আবার কেউ তার সৌন্দর্যের প্রশংসাও করেছেন। এক নেটিজেন লিখেছেন- আমি চাই পৃথিবীর অর্ধেক মানুষও যদি তার কথাগুলো বুঝতে পারত। আরেক নেটিজেন লিখেছেন- খুব সুন্দর কথা বলা হয়েছে। আর সেটা এসেছে ঐশ্বরিয়ার মতো একজনের কাছ থেকে।
উল্লেখ্য, গত বছর ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চন ও অভিষেক বচ্চন দম্পতির বিচ্ছেদের গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ে। পরে অবশ্য মুম্বাইয়ে মেয়েকে নিয়ে একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে হাজির হয়ে এ দম্পতি সেই খবরকে ভুল প্রমাণ করেন। সর্বশেষ দেখা গিয়েছিল মানি রত্নম পরিচালিত ‘পোন্নিয়িন সেলভান’ সিনেমায়। এখনো তিনি নিজের পরবর্তী কোনো প্রজেক্ট ঘোষণা করেননি।
প্রথমবারের মতো ফিলিস্তিনের কোনো প্রতিযোগী আন্তর্জাতিক সৌন্দর্য প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে যাচ্ছে। এবার দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর মিস ইউনিভার্সের মঞ্চে ইতিহাস গড়তে যাচ্ছেন ঐতিহাসিক যাত্রার পথিকৃত খ্যাতিমান মডেল ও সমাজকর্মী নাহিন আইয়ুব। তিনি ৭৪তম মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগিতায় ফিলিস্তিনের প্রতিনিধিত্ব করবেন।
৭৪তম মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগিতাটি আগামী ২১ নভেম্বর থাইল্যান্ডের ব্যাংককে অনুষ্ঠিত হবে। এ প্রতিযোগিতায় ১৩০টিরও বেশি দেশের প্রতিযোগীরা অংশ নেবেন। মিস ইউনিভার্স অর্গানাইজেশন এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, তারা নাহিন আইয়ুবকে স্বাগত জানাতে অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন।
২০২২ সালে মিস প্যালেস্টাইন খেতাব অর্জন করা ২৭ বছর বয়সি এ সুন্দরী মডেল সৌন্দর্য প্রতিযোগিতার পাশাপাশি একজন মানবিককর্মী হিসেবেও পরিচিত মুখ। সামাজিক মাধ্যমে তার দৃঢ় বক্তব্য ও কাজের মাধ্যমে তিনি ফিলিস্তিন জনগণের দুঃখ-দুর্দশা ও ঘুরে দাঁড়ানোর অদম্য চেতনার কথা তুলে ধরেন।
সম্প্রতি সামাজিক মাধ্যম ইনস্টাগ্রামে একটি স্ট্যাটাসের নাহিদ আইয়ুব লিখেছেন- গাজাসহ পুরো প্যালেস্টাইন যখন হৃদয়বিদারক পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছে, তখন আমি সেসব মানুষের কণ্ঠস্বর বহন করছি, যারা নীরব থাকতে অস্বীকার করেন। আমি প্রতিটি ফিলিস্তিন নারী ও শিশুর প্রতিনিধিত্ব করছি, যাদের শক্তি পুরো বিশ্বের দেখা উচিত।
বিশ্বজুড়ে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়ার পক্ষে সমর্থন বাড়ছে। বর্তমানে বিশ্বের ১৪৫টিরও বেশি দেশ ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে মডেল নাহিন আইয়ুবের মিস ইউনিভার্সে অংশগ্রহণ ফিলিস্তিনের জন্য এক নতুন আলোর প্রদীপ দেখছেন সবাই।
মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগিতায় ফিলিস্তিনের অংশগ্রহণ এমন এক সময়ে হচ্ছে, যখন গাজায় ইসরায়েলির চলমান আগ্রাসন নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলে তীব্র সমালোচনা চলছে।
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া এই যুদ্ধে এখন পর্যন্ত ৬২ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের অধিকাংশই নারী ও শিশু।
ঢাকাই সিনেমার জনপ্রিয় নায়ক শাকিব খান এবার নতুন একটি সিনেমায় কাজ করতে যাচ্ছেন। সেপ্টেম্বরে শুরু হবে ছবিটির শুটিং। নাম এখনও চূড়ান্ত হয়নি। সিনেমাটি পরিচালনা করবেন সাকিব ফাহাদ, যার প্রথম পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র এটি। শুটিংয়ের বড় অংশ হবে থাইল্যান্ডে, এরপর বাংলাদেশে।
শাকিব খানের নায়িকা কে হচ্ছেন- এ নিয়ে এতদিন ছিল নানা গুঞ্জন। অবশেষে নিশ্চিত হওয়া গেছে, এই ছবিতে তার বিপরীতে অভিনয় করবেন ছোটপর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী তানজিন তিশা। সূত্র জানিয়েছে, মৌখিকভাবে সবকিছু ঠিক হয়ে গেছে, শুধু আনুষ্ঠানিক ঘোষণা বাকি।
জানা গেছে, ২০২০ সালের ৩১ জুলাই কক্সবাজারের টেকনাফে পুলিশের গুলিতে নিহত হওয়া মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান নিহত হয়েছিলেন। সেই ঘটনায় সারাদেশে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছিল।
দেশের একাধিক সংবাদমাধ্যমের দাবি, শাকিব খান পর্দায় হাজির হবেন মেজর সিনহার চরিত্রে! তবে শাকিব সরাসরি কোনো সেনাবাহিনীর কর্মকর্তার চরিত্রে অভিনয় করবেন না, বরং রাষ্ট্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার সাবেক এক দক্ষ এজেন্টের ভূমিকায় দেখা যাবে তাকে, যিনি দেশের হয়ে একের পর এক লোমহর্ষক অপারেশন সফলভাবে সম্পন্ন করেন। গল্পে থাকবে সত্য ঘটনা এবং নাটকীয়তার মিশ্রণ, যা তুলে ধরবে তার চাকরি জীবনের নানা প্রেক্ষাপট ও দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি। সঙ্গে জড়িয়ে থাকা উত্তেজনাপূর্ণ অ্যাকশন দৃশ্য। ওই ছবির মাধ্যমে গোয়েন্দা সংস্থার নাম ও অবদানও উঠে আসবে বড় পর্দায়।
দুই বাংলার নন্দিত অভিনেত্রী জয়া আহসান। আপন অভিনয় দক্ষতায় সিনেমাপ্রেমীদের হৃদয়ে আলাদা জায়গা করে নিয়েছেন। সম্প্রতি ভারতে মুক্তি পেয়েছে তার অভিনীত ‘ডিয়ার মা’ চলচ্চিত্রটি। এরইমধ্যে পশ্চিমবঙ্গের দর্শকদের কাছে অনিরুদ্ধ রায় চৌধুরী পরিচালিত চলচ্চিত্রটি সমাদৃত হয়েছে। এবার দক্ষিণ আমেরিকা থেকে সুখবর পেলেন এই অভিনেত্রী।
দক্ষিণ আমেরিকায় ছবিটির পরিবেশক প্রতিষ্ঠান বায়োস্কোপ ফিল্মস জানাল ‘ডিয়ার মা’ নিয়ে কানাডা ও আমেরিকার বহু শহর থেকে প্রদর্শনীর আহ্বান পাচ্ছেন, পরের সপ্তাহে বেশ কিছু শহরে ছবিটি মুক্তি পেতে যাচ্ছে। এরইমধ্যে এই দুটো দেশের বিভিন্ন শহরে ছবিটি প্রথম পর্যায়ে সফল প্রদর্শনী সম্পন্ন হয়েছে। বায়োস্কোপ ফিল্মসের একটি চিঠি জয়া ফেসবুকে পোস্ট করেছেন।
প্রতিষ্ঠানের কর্ণধার নওশাবা রশিদ ও রাজ হামিদ প্রেরিত চিঠিতে লেখা রয়েছে, ‘গত বৃহস্পতিবার ডিয়ার মা এর প্রথম পর্বের প্রদর্শনী যুক্তরাষ্ট্র এবং কানাডায় শেষ হলো। আপনাদের অকুণ্ঠ ভালোবাসা আর প্রশংসায় স্নাত অনিরুদ্ধ রায় চৌধুরীর যত্নবান পরিচালনায় ‘ডিয়ার মা’ আপনাদের হৃদয়ে ঠাই করে নিয়েছে বলেই আমাদের বিশ্বাস। আমরা বহু শহর থেকে আবেদন-আকুতি পেয়েছি ছবিটি দেখাবার জন্য। আমাদের সাধ্য মতো চেষ্টা করছি আমরা সেসব শহর এবং শহরতলিতে ‘ডিয়ার মা’ নিয়ে যাবার। এই সপ্তাহান্ত থেকে আরো কয়েকটি শহরে পর্যায়ক্রমে ছবিটি চলবে। আমরা খুব তাড়াতাড়ি এই হলগুলোর তারিখ এবং সময় জানাব। Boston ! Hartford! San Francisco! Raleigh! San Diego! Sacramento! Seattle! Portland! আপনারা তৈরি হন-আমরা আসছি। সবাইকে জানাবেন। সবাইকে নিয়ে হলে যাবেন-ছবিটি দেখবেন। এ বছরের সব চাইতে দাগ কাটবার মতো ছবি ‘ডিয়ার মা’। ভালোবাসা নেবেন, ভালোবাসা দেবেন- বাংলা ছবির পাশেই থাকবেন।’
স্বাভাবিকভাবেই বলা যায় জয়া আহসান এমন খবরে রীতিমতো আপ্লুত। দারুণ সময় কাটাচ্ছেন অভিনেত্রী। এবারের ঈদে দেশে মুক্তি পেয়েছে তার অভিনীত দুই সিনেমা রায়হান রাফীর ‘তাণ্ডব’ ও তানিম নূরের ‘উৎসব’। দুটি সিনেমা নিয়ে দর্শকের আগ্রহ দেখা গেছে। ঈদের আগে গত ১৬ মে মুক্তি পায় পিপলু আর খানের ‘জয়া আর শারমিন’।
‘ডিয়ার মা’ সিনেমা নিয়ে জয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, ‘এটা সম্পর্কের গল্প। টনিদা তো মনস্তাত্ত্বিক দ্বন্দ্বের গল্প বলেন, তেমনই একটা গল্প। মা, মায়ের সন্তান, সম্পর্ক, পরিবার, এগুলো নিয়ে এগোবে ছবিটি। ছবিতে আমার চরিত্রটিও একজন মায়ের। বলতে গেলে প্রথমবারের মতো মায়ের কোনো চরিত্রে অভিনয় করব।’
অমিতাভ বচ্চন ৮২ বছর বয়সেও কাজের প্রতি কতটা নিবেদিত, তা সবারই জানা। এই বয়সেও তিনি সমানতালে কাজ করে যাচ্ছেন, যা সত্যিই প্রশংসার দাবি রাখে। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে শরীর যে তার ওপর প্রভাব ফেলছে, সে কথা এবার অকপটে স্বীকার করেছেন বলিউডের এই মেগাস্টার। সম্প্রতি তিনি তার ব্লগে লিখেছেন, ‘শরীর ধীরে ধীরে ভারসাম্য হারাতে শুরু করেছে।
‘গত রোববার ভক্তদের সঙ্গে দেখা করার পর তিনি তার ব্লগে দৈনন্দিন জীবনের নানা পরিবর্তন নিয়ে কথা বলেন। কাজের পাশাপাশি এখন তার জীবনযাত্রার একটি বড় অংশ জুড়ে রয়েছে নিয়মিত ওষুধ খাওয়া।’ তার কথায়, ‘শরীর ধীরে ধীরে ভারসাম্য হারাতে শুরু করেছে। শরীরকে সুস্থ রাখার জন্য নিয়মিত যোগব্যায়াম, শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়ামের দিকে নজর দিতে হচ্ছে।
এখন আগের মতো কাজ করা যায় না, কিছু করতে হলে আগে চিন্তা করতে হয়।’
ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী একটানা অনেকক্ষণ তিনি দাঁড়িয়েও থাকেন না, পড়ে যেতে পারেন। বাড়িতেও এসেছে পরিবর্তন। এখন তিনি ঘরের মধ্যে হ্যান্ডেল বার ব্যবহার করেন।
যেই কাজগুলো কিছুদিন আগেও তিনি খুব সহজে করতে পারতেন, এখন সেসবের জন্য এই হ্যান্ডেল বারের সাহায্য নিতে হয়। শরীরের ভারসাম্য ধরে রাখার জন্য এই সরঞ্জামগুলো তার জন্য খুবই জরুরি হয়ে উঠেছে।
অভিনেতা আরো বলেন, ‘এই সময়টা সবার জীবনেই আসে। কিন্তু আমি চাই না, এটা আসুক। আমরা যেদিন পৃথিবীতে জন্ম নিই, সেদিন থেকেই মৃত্যুর দিকে এগোতে থাকি। এটা স্বাভাবিক হলেও খুব দুঃখজনক। জীবনের গতিতে কখন যে বয়স ব্রেক কষিয়ে দেবে, তা ভাবতেও পারবেন না।’
বলিউড সুপারস্টার শাহরুখ খান অভিনয় দক্ষতায় তো ভক্তহৃদয় জয় করেছেন অনেক আগেই। তবে উপস্থিত বুদ্ধিতেও কম যান না বলিউড বাদশাহ।
বিভিন্ন সাক্ষাৎকারে তার উত্তর সে প্রমাণ দেয় বারবার। সম্প্রতি আবারও কড়া জবাব দিয়ে এক ভক্তকে বোল্ডআউট করেছেন অভিনেতা।
হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত শনিবারের ‘আস্ক মি এনিথিং’ সেশনের সময়, একজন ভক্ত শাহরুখকে জিজ্ঞেস করেন, ‘শাহ, আপনি কি এখনো আপনার অভিব্যক্তি এবং ভয়েস মডুলেশনের উপর কাজ করেন, নাকি এটি ঈশ্বরের দেওয়া প্রতিভা?’
এর উত্তরে শাহরুখ বলেন, ‘প্রতিভা ছাড়া কঠোর পরিশ্রমের মূল্য কম, আর সামান্য প্রতিভা থাকলেও কঠোর পরিশ্রমের তুলনায় তা অনেক কম। আমি শেষ ক্যাটাগরিতে পড়ি, তাই আমি ঈশ্বরের দানকে আরও নিখুঁত করার জন্য কঠোর পরিশ্রম করি।’
শাহরুখ খানের উত্তরে ভক্তরা আনন্দিত হন। একজন মন্তব্য করেন, ‘ওঠো সোনা, এসআরকে আজ একটি নতুন উক্তি দিয়েছেন।’
একজন যোগ করেন, ‘আপনি যে আপনার ১০০০ শতাংশ দেন তাতে কোনো সন্দেহ নেই, কিন্তু আপনার প্রতিভা সীমাহীন, তাই বিনয়ী হওয়া বন্ধ করুন, আমার বিনয়ী রাজা।’
৩৩ বছর শিল্পজগতে কাটানোর পর, কিং খান ২০২৪ সালের ব্লকবাস্টার জাওয়ান-এর জন্য সর্বপ্রথম সেরা অভিনেতা’ জাতীয় পুরস্কার পান।
শাহরুখ বর্তমানে তার আগামি সিনেমা কিং–এর শুটিংয়ে ব্যস্ত, যা পরিচালনা করছেন সিদ্ধার্থ আনন্দ। এতে অভিনয় করবেন তার মেয়ে সুহানা খান, অভিষেক বচ্চন, সৌরভ শুক্লা এবং জয়দীপ আহলাওয়াত। যদিও আনুষ্ঠানিকভাবে পুরো কাস্ট নিশ্চিত করা হয়নি।
বলিউডের ঠোঁটকাটা স্বভাবের অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাউত। আবারও বেফাঁস মন্তব্য করে বসলেন। কিছু দিন আগেই বিতর্ক তৈরি হয়েছিল আধ্যাত্মিক গুরু অনিরুদ্ধাচার্যের একটি মন্তব্য কেন্দ্র করে। স্বঘোষিত ধর্মগুরু বলেছিলেন— আজকালকার পুরুষেরা ২৫ বছরের আশপাশের নারীদের সঙ্গী হিসাবে খুঁজে বার করেন। কিন্তু এ নারীরা ততদিনে চার-পাঁচজনের শয্যাসঙ্গিনী হওয়ার অভিজ্ঞতা অর্জন করে ফেলেন। এ মন্তব্যে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন অভিনেত্রী দিশা পাটানির দিদি খুশবু পাটানি।
অনিরুদ্ধাচার্যকে ‘দেশদ্রোহী’, ‘নারী বিদ্বেষী’ ও ‘নপুংসক’ বলেও কটাক্ষ করেছিলেন খুশবু। সেই বিতর্কে এবার ঘৃতাহুতি দিলেন কঙ্গনা রানাউত। বললেন একত্রবাসের বিপক্ষে তিনিও।
কঙ্গনা রানাউত বলেন, বিয়ে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ পুরুষেরা নারীদের অন্তঃসত্ত্বা করে ফেলতে সক্ষম। তিনি বলেন, আদালত এখন বলেন— বিয়ের মতোই একত্রবাসও ভালো। আদালত তো বলেই দিয়েছেন— নারীর সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে মানে তাকে স্ত্রীর মর্যাদা দিতে হবে। সব আইন তো নারীরই পক্ষে। তবে সম্পর্কে থাকা নারীর জন্য খুব একটা ভালো নয় বলে মনে করেন অভিনেত্রী।
খুশবু পাটানির প্রসঙ্গে কঙ্গনা বলেন, আপনি সাধুসন্তানদের গালাগাল করছেন। কিন্তু বড় দিদির মতো একটা কথা বলতে পারি— একত্রবাস নারীর জন্য মোটেও ভালো নয়। একত্রবাসে থাকা নারীর উদ্দেশে অভিনেত্রী বলেন, গর্ভপাত করাতে আপনাকে কে সাহায্য করবে? একত্রবাসের সময়ে যদি আপনি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন, তাহলে আপনার দেখাশোনাই বা কে করবেন।
তিনি বলেন, পুরুষেরা শিকারি। ওরা নারীকে অন্তঃসত্ত্বা করে পালিয়ে যেতে পারে। আমরা নারীরা এখন যতই শক্তিশালী বা প্রগতিশীল হই না কেন, বিজ্ঞানসম্মতভাবেই বলছি— পুরুষেরা আলাদা হয়ে যেতে পারে, কিন্তু নারীরা পারে না।
কঙ্গনা আরও বলেন, লোকে বলে পুরুষেরা মঙ্গলের জাতক আর নারীরা শুক্রের। আমরা আধুনিক হতে পারি, কিন্তু সমীক্ষা থেকে একটা বিষয় দেখা গেছে— পুরুষের কেমন নারী পছন্দ একাধিকবার জিজ্ঞাসা করলে, ভিন্ন ভিন্ন উত্তর পাওয়া যায়। কিন্তু নারীকে প্রশ্ন করলে সেই ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে একই উত্তর পাবেন।
ছোট পর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী সাদিয়া আয়মানের কাজের পরিধি বৃদ্ধি পাচ্ছে। ছোট পর্দার পাশাপাশি তিনি অভিনয় করেছেন ওয়েব সিরিজেও। ‘তাকদীর’ নামে একটি ওয়েব সিরিজে অভিনয় করে তিনি দর্শকদের মনে দাগ কেটেছেন।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে তিনি খোলামেলা কথা বলেছেন ব্যক্তিজীবন ও ক্যারিয়ার নিয়ে।
প্রেম-ভালোবাসার প্রসঙ্গে সাদিয়া জানান, ‘আই লাভ ইউ’ কথাটা তার কাছে বেশ বিরক্তিকর মনে হয়। তিনি বলেন, ‘পছন্দের ব্যাপারটা সুন্দর করে বলাটা জরুরি। যদি কেউ সরাসরি প্রপোজ করে বলে ‘আই লাভ ইউ’ আমার ওটা ভালো লাগে না।’
তার কথায়, কেউ ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা করে যদি এমন হয় যে, ‘আমি পছন্দ করি আমার একটা ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা আছে যেমন বিয়ে করব। ওরকম হলে ঠিকঠাক আছে। কিন্তু গার্লফ্রেন্ড গার্লফ্রেন্ড ব্যাপারটাই ভালো লাগে না।’
অভিনয় প্রসঙ্গে সাদিয়ার মত, একজন অভিনেত্রীর সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হলো টিকে থাকা এবং ধারাবাহিকভাবে ভালো কাজ করা।
তিনি বলেন, ‘ভালো কাজ ছাড়া টিকে থাকা যায় না। সচেতনভাবে গল্প নির্বাচন করা এবং কাজের প্রতি শতভাগ ডেডিকেশন দেওয়াটা খুবই জরুরি। তা না হলে হারিয়ে যেতে হবে। অভিনয় দিয়ে টিকে থাকাটাই একজন অভিনেত্রীর সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।’
‘সুপারম্যান’ খ্যাত ব্রিটিশ অভিনেতা টেরেন্স স্ট্যাম্প আর নেই। গত রোববার সকালে ৮৭ বছর বয়সে প্রয়াণ ঘটে তার। বিষয়টি নিশ্চিত করেছে অভিনেতার পরিবার; তবে মৃত্যুর কারণ প্রকাশ করা হয়নি। খবর-এনবিসি নিউজ।
বিশ্বজুড়ে তারকা খ্যাতি পাওয়া এই অভিনেতা সবচেয়ে বেশি পরিচিত ছিলেন ‘সুপারম্যান’ ও ‘সুপারম্যান ২’ সিনেমায় খলনায়ক জেনারেল জোডের চরিত্রে অভিনয়ের জন্য। ১৯৭৮ সালে এবং ১৯৮০ সালের সিক্যুয়েলে সুপারম্যান চরিত্রের অভিনেতা ক্রিস্টোফার রিভের সঙ্গে জেনারেল জোডের আইকনিক চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন টেরেন্স স্ট্যাম্প।
বলা বাহুল্য, ‘সুপারম্যান’ ফ্র্যাঞ্চাইজি ছিল টেরেন্স স্ট্যাম্পের অভিনয় জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এবার তার মৃত্যুর খবরে শোক নেমে এসেছে পশ্চিমা শোবিজ অঙ্গনে, তার সহকর্মী, ভক্তরা শোক প্রকাশ করছেন।
লন্ডনে জন্ম নেওয়া টেরেন্স স্ট্যাম্প ১৯৬২ সালে ‘বিলি বাড’ ছবির মাধ্যমে বড় পর্দায় যাত্রা শুরু করেন। প্রথম ছবিতেই সেরা পার্শ্ব অভিনেতা হিসেবে অস্কার ও বাফটা অ্যাওয়ার্ডে মনোনয়ন পান। দীর্ঘ ছয় দশকের ক্যারিয়ারে তিনি দর্শকদের উপহার দিয়েছেন নানারকম চরিত্র।
১৯৯৪ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘দ্য অ্যাডভেঞ্চারস অব প্রিসিলা, কুইন অব দ্য ডেজার্ট’-এ ট্রান্সজেন্ডার চরিত্র ‘বার্নাডেট’-এর ভূমিকায় তার অভিনয় ছিল বহুল প্রশংসিত। ক্যারিয়ারের শেষদিকে থ্রিলার, কমেডি ও ফ্যান্টাসি-অ্যাডভেঞ্চার ঘরানার ছবিতেও কাজ করেছেন তিনি।