শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪

শিল্পকলায় শুরু হলো সবচেয়ে বড় চারুকলা প্রদর্শনী

১৯তম দ্বিবার্ষিক এশীয় চারুকলা প্রদর্শনী বাংলাদেশ ২০২২-এর সংবাদ সম্মেলনে আয়োজকেরা। ছবি: সংগৃহীত
বিনোদন ডেস্ক
প্রকাশিত
বিনোদন ডেস্ক
প্রকাশিত : ৮ ডিসেম্বর, ২০২২ ১৫:৪২

১৯তম দ্বিবার্ষিক এশীয় চারুকলা প্রদর্শনী বাংলাদেশ ২০২২ শুরু হলো আজ। সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের পৃষ্ঠপোষকতায় এবং বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির আয়োজনে এটি চলবে আগামী বছর ৭ জানুয়ারি পর্যন্ত। রাজধানীর বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় চিত্রশালায় মাসব্যাপী এই আয়োজনে থাকছে শিল্পকলার নানা বিভাগের শিল্পকর্ম নিয়ে প্রদর্শনী।

গত ৬ ডিসেম্বর বিকেল ৩টায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার সেমিনার কক্ষে সংবাদ সম্মেলনে প্রদর্শনী সম্পর্কে জানানো হয়। আয়োজক সূত্র জানিয়েছে, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি গত ৪০ বছর ধরে এশিয়ার সর্ববৃহৎ শিল্পযজ্ঞ এশিয়ান আর্ট বিয়েনাল আয়োজন করে আসছে। এবারের আয়োজনে বাংলাদেশসহ ১১৪টি দেশ অংশ গ্রহণ করেছে। প্রদর্শনীতে ১১৪টি দেশের ৪৯৩ জন শিল্পীর ৬৪৯টি শিল্পকর্ম স্থান পেয়েছে।

আজ সকালে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি জাতীয় নাট্যশালা মিলনায়তনে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভার্চুয়ালি প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন। আয়োজক সূত্র জানিয়েছে, ‘দ্বিবার্ষিক এশীয় চারুকলা প্রদর্শনী বাংলাদেশ’ বিগত ৪ দশক ধরে বিরতিহীনভাবে আয়োজনকৃত এশিয়া মহাদেশের প্রাচীনতম মর্যাদাপূর্ণ একটি আন্তর্জাতিক চারুকলা উৎসব। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পৃষ্ঠপোষকতায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি উৎসবের আয়োজন করে আসছে।

‘দ্বিবার্ষিক এশীয় চারুকলা প্রদর্শনী বাংলাদেশ’- এ দ্বিমাত্রিক ও ত্রিমাত্রিক শিল্পকর্মসমূহ যেমন–চিত্রকলা, ছাপচিত্র, আলোকচিত্র, ভাস্কর্য, স্থাপনাশিল্প ও নতুন মাধ্যমের শিল্পকর্ম প্রদর্শিত হয়ে থাকে। দেশি-বিদেশি চারুশিল্পীগণ এই সকল শিল্পকর্মের মাধ্যমে তাঁদের সমকালীন চিন্তা-ভাবনাকে দর্শকদের সামনে তুলে ধরেন। প্রদর্শনী উপলক্ষ্যে দেশি-বিদেশি শিল্পী, শিল্পসমালোচক, জুরি, পর্যবেক্ষকদের অংশগ্রহণে একটি নির্দিষ্ট থিম নিয়ে দুই দিনব্যাপী সেমিনারের আয়োজন করা হয়।


নাটকে এখন বাজেট নয়, সংকট ভালো গল্পের

আপডেটেড ২০ এপ্রিল, ২০২৪ ১৯:৪২
সৈয়দ ইকবাল

প্রতি বছর ঈদ উৎসবে দেশের বিভিন্ন টিভি ও ইউটিউব চ্যানেলসহ প্রায় তিন শ থেকে চার শ নাটক নির্মিত হয়ে থাকে। কখনও কখনও এই সংখ্যা কমবেশি হয়ে থাকে। এখনকার সময়ে টিভি চ্যানেল থেকে ইউটিউবেই নাটক নির্মাণের সংখ্যা বেশি। এর মধ্যে কিছু ইউটিউব চ্যানেলের নাটক টিভিতে প্রচার হওয়ার পর সেগুলো আবার ইউটিউবেও প্রচার হচ্ছে। আবার বেশ কিছু ইউটিউব চ্যানেল আছে যারা শুধু নিজস্ব ইউটিউবের জন্যই নাটক নির্মাণ করে থাকে। অন্যদিকে বর্তমানে প্রায় সব টিভি চ্যানেলের নিজস্ব ইউটিউব চ্যানেল থাকায় তাদের নিজেদের নির্মিত নাটক টিভিতে প্রচারের পর আবার সেগুলো নিজস্ব ইউটিউব চ্যানেলে প্রচার হচ্ছে। ফলে এখন একটি নাটক বানানোর লগ্নিকৃত টাকা দুই মাধ্যম থেকেই প্রযোজক বা লগ্নিকারক ফেরত পাচ্ছেন। যার কারণে নাটকের বাজেট এখন আগের চেয়ে অনেক বেড়েছে। একটা সময় বলা হতো বাজেট নেই, নাটকে বাজেট কম- এটা এখনকার সময়ে নাটকের বাজেটের দিকে তাকালে বলা যাবে না।

বিশেষ করে ইউটিউবের আধিপত্য হওয়ার পর থেকেই গত কয়েক বছর ধরে একেকটি নাটক অনেক টাকায় বানানো হচ্ছে। একটা সময় নাটকের বাজেট নিয়ে নানান ধরনের কথা শোনা যেত। পরিচালক-অভিনয়শিল্পী থেকে শুরু করে নাটকের কলাকুশলীরা সব সময় বলত- নাটকের বাজেট কমে গেছে, এত কম বাজেটে নাটক বানানো সম্ভব নয় ইত্যাদি ইত্যাদি। ইউটিউবের কল্যাণে এখন নাটকের সেই বাজেট কয়েকগুণ বেড়েছে। অথচ ইউটিউবের আগে নাটকের বাজেট অনেক কমে গিয়েছিল। ২০১৬-২০১৭ সালেও নাটক এখনকার মতো এত বাজেটে নির্মিত হতো না। ২০১৮ সাল থেকে আস্তে আস্তে নাটকের বাজেট বাড়তে থাকে। নরমালি এখন একটি নাটক বানাতে চার-পাঁচ-ছয় লাখ টাকা নির্মাতারা হরহামেশাই পাচ্ছেন। এর থেকেও কম বাজেটে ছোট কিছু কনটেন্ট তৈরি হচ্ছে। ওইদিকের হিসেবে না গিয়ে যেগুলো আমাদের মেইনস্ট্রিমের নাটক বলে চিহ্নিত তা নিয়েই কথা হচ্ছে।

আর্টিস্ট ভেদে এখন একেকটি নাটকের বাজেট দশ-বারো-পনেরো লাখ পর্যন্ত পাচ্ছেন নির্মাতারা। এবার ঈদে তো আঠারো-বিশ লাখ এমনকি পঁচিশ লাখে নাটক নির্মাণের খবর পাওয়া গেছে। এখন প্রশ্ন হচ্ছে- এই যে এত এত বাজেট পাচ্ছেন নির্মাতারা, নাটকের গল্পে কতটা ভেরিয়েশন পাচ্ছেন দর্শক? সেই একই অভিনয়শিল্পীদের একই প্রেম কাহিনি, কমেডি গল্প, চিল্লাচিল্লি কিংবা প্রেম হওয়ার শুরুতে ঝগড়া, তারপর প্রেম, পরিবার মানে না- টাইপের গল্প অথবা প্রেমিকার বিয়ে হয়ে যাচ্ছে, প্রেমিক চাকরি পায় না, পরিবার মানে না ইত্যাদি ইত্যাদি গল্প। অনেকটা নতুন বোতলে পুরোনো মদের মতো গল্প। আর এখন যোগ হয়েছে নাটকে গানের ব্যবহারসহ ঢাকার বাইরে শুটিং- দামি ক্যামেরা এবং বিজ্ঞাপনের মতো ইউনিট-ক্রু নিয়ে মুভ করা। বাজেট বাড়ছে, খরচ করতে সমস্যা নেই। কিন্তু যেই গল্পের জন্য নাটক- সেই গল্পের জন্য কতটা খরচ করে নাটক নির্মিত হচ্ছে? মানে ভালো গল্পের এবং ‘খরচওয়ালা’ গল্পের পেছনে কি সেই বাজেটটা যাচ্ছে?

বিশিষ্ট সাংবাদিক, নাট্যকার ও জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত নির্মাতা রেজানুর রহমান বলেন, ‘নাটকে ভালো গল্পের সংকট রয়েছে এটা যেমন সত্যি, তেমনি অনেকের কাছে ভালো গল্প থাকার পরও সে বাজেটের জন্য তা বানাতে পারছেন না- এটাও সত্যি। আসলে এখন কোনো লেভেল কোম্পানি (ইউটিউব), টিভি কিংবা প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান প্রথমেই নির্মাতার কাছে জিজ্ঞাসা করেন- ‘যে গল্প নিয়ে কাজ করবেন সেটির ভিউ হবে নাকি’- এই কথায় নির্মাতা নতুন কোনো কনসেপ্ট নিয়ে কাজ করতে চান না। সেই একই ফর‌ম্যাটে কাজ করতে হচ্ছে তাকে। এখন দেখা গেছে কেউ একজন একটি গল্প নিয়ে কাজ করায় সেটির ভিউ হয়েছে- সবাই সেটা বানাতে ছুটে। মানে হলো ভিউয়ের পেছনে দৌঁড়াচ্ছি। ভিউ-ই যখন এখন একমাত্র বাণিজ্য তখন তো গল্প ফ্যাক্ট না।’

তিনি আরও বলেন, ‘নির্মাতাদের স্বাধীনতা দিতে হবে। নির্মাতারা স্বাধীনতা না পেলে কাজ করা মুশকিল। অমুকটার মতো, তমুককে নিয়ে জুটি করে নাটক বানানোর জন্য প্রেসার না দিয়ে তাকে স্বাধীনতা দিতে হবে। এখন গল্পসহ ‘পাঁচজন- পাঁচজন’ জুটিকে ইঙ্গিত দিয়ে বলে দেয়া হচ্ছে নাটক বানানোর জন্য। সেই ‘পাঁচজন-পাঁচজন’ জুটির দশজন এতো ব্যস্ত যে, তাদেরকে মেনটেইন করতে গেলে নাটকের দিকে নজর দেয়া যাচ্ছে না। তারা ব্যস্ত থাকতেই পারেন। কিন্তু জুটি বেঁধে দিলেই বিপদ। নির্মাতাকে বলতে হবে- স্বাধীনভাবে গল্পে যে ধরনের আর্টিস্ট যায়, তাদেরকে নিয়েই বানান। তাহলে নতুন গল্প এবং নতুন আর্টিস্টও ইন্ডাস্ট্রিতে তৈরি হবে। বর্তমানে যারা কম্প্রমাইজ করে কাজ করছেন যা হওয়ার তাই হচ্ছে। ফলে মনে রাখার মতো নাটক হচ্ছে না। এখন আমাদের লাখ লাখ টাকা বাজেট যাচ্ছে, শত শত নাটকও হচ্ছে। কিন্তু অর্জনের জায়গাটা ফাঁকাই থেকে যাচ্ছে। এই বিষয়গুলো নিয়ে কেউ কথা বলছে না।’

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বেশির ভাগ নাটকে লোকেশন (প্রয়োজন না হলেও), লাইট-ক্যামেরাসহ এগুলোতে অপ্রয়োজনীয় বাজেট ব্যবহার, মেইন আর্টিস্টদের বেশি রেম্যুনারেশন (আর্টিস্টরা নিজেরাই নিজেদের পারিশ্রমিক ঠিক করছেন), শুটিং ইউনিটে বিলাসবহুল খরচ করায় বেশির ভাগ নাটকের মূল বাজেট সেখানেই চলে যাচ্ছে। ফলে নাটকে এত এত বাজেট পাওয়ার পরও যেই ভিন্নধর্মী গল্পটির পেছনে বাজেটটা খরচ করার কথা- সেখানে কি খরচ হচ্ছে না। সেই একই গল্প, একই মেকিং এবং কমেডি টাইপ নাটকগুলোই নির্মিত হচ্ছে। এখন তো একটি নাটকের গল্পের সঙ্গে আরেকটি নাটকের নামেরও বেশ মিল পাওয়া যায়। যেমন- ‘তুই আমারই’, ‘তোর জন্য’, ‘আজকাল তুমি আমি’, ‘তোমাতে হারাই’, ‘তোমায় ভালোবেসে’- এবারের ঈদের এই নাটকগুলোর নাম প্রায় কাছাকাছি। এরকম ইউটিউবে খুঁজলে আরও অনেক নাটক পাওয়া যাবে যেগুলোর নাম প্রায় কাছাকাছি। আরও রয়েছে ইউটিউবে ‘কাটতি টাইপ’ নাটকের নাম। যা আসলে শিল্পমানের নাটকের নাম নয়। ফলে দর্শক আসলে একটি নাটক দেখে তার মনের মধ্যে সেটি ‘দাগ’ কাটাতে পারছেন না। আর এখনকার নাটকগুলোতে প্রায় একই অভিনয়শিল্পী (অমুকের সঙ্গে তমুক, তমুকের সঙ্গে অমুক- ধরাবান্দা জুটি) হওয়ায় দর্শক আরও বিভ্রান্ত হচ্ছেন যে সে আসলে কোন নাটকটা দেখেছেন। ফলে মনের মধ্যে অনুভূতি সৃষ্টি করা এবং খুব ভাবনায় ভাবানোর মতো নাটক এখন খুব একটা দেখা যায় না।

নাটকে বাজেট বাড়লেও গল্পের অভাব কিংবা শিল্পমান সম্পন্ন নাটক কম নির্মিত হওয়ার পেছনে কারণ কি? এই বিষয়ে কথা বলেন নির্মাতা রাকেশ বসু। তিনি বলেন, ‘বাংলা নাটকের এখন সব থেকে বড় সমস্যা হলো- গল্প সংকট। একটা সময় বাজেট নিয়ে সবাই কম-বেশি কথা বলতেন। কিন্তু এখন বাজেট সমস্যা থেকে গল্প সংকটটাই অনেক বড় ইস্যু একটা ভালো কাজের জন্য। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে জনপ্রিয় অভিনয়শিল্পীরা যে ধরনের কাজ করে জনপ্রিয়তা পেয়েছেন এবং ভিউ কাউন্ট হয় সেই একই ধরনের গল্প নিয়েই কাজ করেন। সে ক্ষেত্রে সীমাবদ্ধতা হলো ভিউ হওয়া একই গল্পের পুনরাবৃত্তি। ফলে অভিনয়শিল্পীরা জনপ্রিয়তার দিকে নজর দিতে গিয়ে ভালো গল্পের কাজ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন বারবার।’

আগে একটি নাটকের স্ক্রিপ্ট ফাইনাল হতো। টেলিভিশন চ্যানেলের অনুষ্ঠান প্রধানসহ ক্রিয়েটিভ টিম মিলে গল্পটি ফাইনাল হওয়ার পর কোন অভিনয়শিল্পী কোন চরিত্রে অভিনয় করবে সেটা ভেবেচিন্তে কাস্টিং ফাইনাল করা হতো। এরমধ্যে স্ক্রিপ্ট নিয়ে কয়েকদফায় রাইটার ও পরিচালকসহ মিটিং হতো। তারপর ফাইনালি নাটকটি নির্মাণে যাওয়া হতো। নাটক নির্মাণের পর তা দেখে প্রিভিউ কমিটির মতামত থাকত এবং সেখানে পাস হলেই তা ফাইনালি সম্প্রচারে যেত।

আর এখন অনেকটা ঝালমুড়ি বানানোর মতোই নাটক বানানো হয়। মানে অমুক-তমুকের ভিউ আছে- আগে তাদের ডেট ‘লক’ করা হোক। তারপর তারা যেই গল্প পছন্দ করবেন কিংবা অনেক সময় অভিনয়শিল্পীও গল্প দিচ্ছেন সেটা নিয়ে- ডে নাইটের কিছু সিক্যুয়েন্স বানিয়ে (শুটিংয়ের সুবিধার্থে) শুটিংয়ে চলে যাওয়া হচ্ছে। স্লো-মো শট, গানের কিছু শট, নায়ক-নায়িকার দেখাদেখি-চোখাচোখি আর বিয়ে দিবে না বাবা-মা, ছেলে বেকার, চাকরি হয় না, পরিবার মেয়েকে অন্য জায়গায় বিয়ে দিয়ে দেয় আর চিল্লাচিল্লি ভরা কমেডি গল্প। বেশির ভাগ নাটকই এখন এভাবে নির্মিত হচ্ছে বলে জানা যায়। পাশাপাশি এখন সেট বানানোতেও ভালো খরচ করে নাটক নির্মাণের খবর পাওয়া গেছে।

ইউটিউবের সঠিক নিয়মনীতি না থাকা, নাটকে প্রিভিউ সিস্টেম না থাকায় এবং ‘ভিউই’ একমাত্র বাণিজ্য হওয়ায় দিনকে দিন মানহীন নাটক বানানোর প্রতিযোগিতা হচ্ছে এবং তা নিম্নমানের তলানিতে যাচ্ছে বলে অনেকে অভিমত দেন। এর পাশাপাশি একটা গুরুত্বপূর্ণ দিকের কথাও তারা উল্লেখ করেন তা হলো- একটা সময় যারা নাটক নির্মাণ ও ব্যবসার সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন তারা টেলিভিশন ও থিয়েটারে দীর্ঘদিন কাজের অভিজ্ঞতা ছিল। আর এখন শুধু ব্যবসার উদ্দেশ্যেই (বেশির ভাগ) ইউটিউব চ্যানেল করে নাটকের নামে ‘কনটেন্ট’ বানানো হয়।

অথচ গল্পনির্ভর, জীবনবোধের নাটক, সমাজে পিছিয়ে পড়া মানুষের গল্প, আমাদের চারদিকে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে কত কত গল্প। প্রতিদিন সংবাদের পাতায় কত গল্প প্রকাশ পায়, অথচ আমাদের দেশের নাটক নির্মাতারা এসব গল্প দেখেন না। কারণ এসব গল্পে ভিউ পাওয়া যায় না। তাই ইউটিউব মালিক তথা প্রযোজকরা ওই ধরনের গল্প নিয়ে কাজ করতে বা নির্মাণে আগ্রহ পান না।

ইউটিউবে ভিউ হচ্ছে সস্তা-চটুল, কমেডি তথা সুরসুরি প্রেম মার্কা গল্পের। ফলে যা হওয়ার তাই হচ্ছে। লাখ লাখ টাকা বাজেট দিয়ে যেসব ‘নাটক’ বানানো হচ্ছে তা আসলে কতটা সমাজে প্রভাব ফেলছে? কি শিখছেন তরুণ প্রজন্ম? অবশ্য তরুণ প্রজন্ম নাকি যা বানানো হচ্ছে- তাই দেখতে চায় বলে তাদের অভিমত। এত এত বাজেটের টাকা আদতে ‘শ্রাদ্ধ’ করাই হচ্ছে বলে প্রকৃত নাট্যপ্রেমী তথা সত্যিকারের সংস্কৃতপ্রেমীরা অভিমত দেন। তাদের মতে, বেশি বাজেট এলে বেশির ভাগ নাটককে ঝকঝকে তকতকে বানানো আর ‘ফুটেজ’ ছাড়া আর কিছুই না বলেও অনেকে অভিমত দেন। তাই ভালো বাজেট দিয়ে ভালো গল্প এবং ভিন্নধর্মী চরিত্রসহ জীবনবোধের নাটক বানানোর তাগিদ দেন তারা।

বর্তমানে নাটক নির্মাণের একটা চিত্র তুলে ধরলে এখনকার পরিস্থিতিটা আরও পরিষ্কার বোঝা যাবে। এখন নাটকের কয়েকজন মেইন নায়ক তারা তাদের নিজেদের প্রযোজনা হাউস থেকে নাটক বানিয়ে তা নিজেই বিভিন্ন ইউটিউব চ্যানেল এবং টিভি চ্যানেলে তাদের চাহিদামতো সরবরাহ করছেন। নাম প্রকাশ না করা শর্তে এক নাট্য নির্মাতা বলেন, ‘এভাবে আসলে কাজ করে অভ্যস্ত না। এই ভিউ বাণিজ্য এসে একজন নির্মাতার হাত-পা বন্দি হয়ে গেছে। আমরা আসলে বিক্রি হয়ে গেছি। এখন তো চাহিদাসম্পন্ন নায়করা তাদের প্রযোজনা হাউস থেকে নাটক তৈরি করেন। তারা নিজেদের বানানো ডিরেক্টর টিম, প্রোডাকশন টিমসহ ডিওপি এবং কো-আর্টিস্ট- সবই তারা ঠিক করেন। ডিরেক্টরকে দিয়ে শুধু ডিরেকশন (আসলে নামে ডিরেকশন) দেওয়ান। কোথায় এডিটিং হবে, কোথায় মিউজিক হবে এবং কীভাবে কাজটা কোথায় কত টাকায় বিক্রি হবে- সবই তিনি (নায়করা) ঠিক করেন। এভাবে চললে তো আসলে নাটকের ‘মান’ বলে কিছু থাকবেই না। ফলে যা হওয়ার তাই হচ্ছে।’

ভালো নাটক বানানোর কিছু ব্যতিক্রম চিত্রও রয়েছে। কিছু যে ভালো গল্পের নাটক নির্মিত হচ্ছে না তা বলা যাবে না। যারা সত্যিকারের ভালো গল্পের খোঁজ করেন এবং জীবনবোধের গল্পসহ ভিন্নরকম কিছু বা আইডলজির জায়গা থেকে কাজ করছেন তারা ঠিকই শত প্রতিকূলতায় কিছু নাটক বানাচ্ছেন। আমাদের দেশে ওটিটিতে ওয়েবসিরিজ ও ওয়েবফিল্মে ভিন্নধর্মী গল্পের কাজ হওয়ায় সেগুলো দর্শকদের কাছে সাড়া ফেলেছে। ফলে তার কিছুটা ছোঁয়া নাটকেও লেগেছে বলা যায়। এবারের ঈদে ভিন্নধর্মী গল্পের তেমনকিছু নাটক হচ্ছে- ‘স্মৃতিসারক’, ‘বিদায় বসন্তে মধ্যাহ্ন রোদে’, ‘নিখোঁজ’, ‘বোঝা’, ‘শেষমেষ’, ‘সম্ভবত প্রেম’, ‘কিছু কথা বাকি’, ‘দুনিয়া’, ‘অভাব’, ‘চাওয়া থেকে পাওয়া’, ‘অভিশাপ’, ‘অভাব, ‘জাদুর শহর’, ‘গর্ভ’, ‘কলিজার টুকরা’, ‘স্বপ্নটা সামান্যই’সহ আরও কিছু নাটক।

এখন প্রায় একই মুখ ঘুরেফিরে সব নাটকেই দেখতে হচ্ছে বলে সব নাটক একইরকম লাগার কথা দর্শকরা অভিমত দিয়েছেন। এক সময় নাটকে নিশো, মেহজাবীন, অপূর্ব, তানজিন তিশাকে জুটি বেঁধে অভিনয় করতে দেখা যেত। এখনকার সময়ে অপূর্ব ও তানজিন তিশাকে নাটকে দেখা গেলেও নিশো-মেহজাবীনকে দেখা যায় না। নিশো চলচ্চিত্র ও ওটিটির কাজ নিয়ে ব্যস্ত থাকায় গত কয়েক ঈদ উৎসবে তাকে নাটকে দেখা যায়নি।

অন্যদিকে মেহজাবীনও বর্তমানে ওটিটির কাজের সঙ্গে সম্প্রতি সিনেমায় নাম লিখিয়েছেন। তারপরও নাটকে মেহজাবীনের কাজের আগ্রহ রয়েছে; কিন্তু ভালো গল্পের অভাবে কাজ করা হচ্ছে না বলে জানান তিনি। ‘সাবা’ ও ‘প্রিয় মালতী’ শিরোনামের দুটি ছবিতে কাজ করতে যাচ্ছেন ভক্তদের মেহু। তার জন্মদিন উপলক্ষে রাজধানীর একটি হোটেলে ‘প্রিয় মালতী’ সিনেমা ঘোষণার অনুষ্ঠানে নাটকে অভিনয় কমিয়ে দেওয়ার বিষয়ে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘আমি নাটকে একেবারেই কাজ করতে চাই না, বিষয়টা তেমন না। আমি আসলে ভালো গল্প পাই না। ভালো গল্প পেলে অভিনয় অবশ্যই করব। আমার কাছে যে স্ক্রিপ্টগুলো আসে সেগুলো পছন্দ হয় না। দর্শক আসলে ভিন্নতা চায়। আমি অনেক দিন পর সিনেমাওয়ালা ইউটিউব চ্যানেলের ‘অনন্যা’ করেছি। কারণ এটার গল্পটা ভিন্ন। এটার জন্য আমি সাড়াও পেয়েছি বেশ। তাই আমি এরকম ভিন্ন ভিন্ন গল্পের কাজ করতে চাই। তেমন স্ক্রিপ্ট পেলে কাজ করব।’

ঈদে রাফাত মজুমদার রিংকুর পরিচালনায় ‘রূপান্তর’ নাটকটি নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ আলোচনা-সমালোচনা হয়েছে। ট্রান্সজেন্ডার এবং তৃতীয় লিঙ্গের ইস্যুতে নাটকটিকে শেষমেশ সোশ্যাল মিডিয়ায় একটা শ্রেণি ধর্মের বিষয়ের সঙ্গে তুলনা করে। ফলে কর্তৃপক্ষ নাটকটি ইউটিউব থেকে সরিয়ে ফেলতে বাধ্য হয়। ভিন্নধর্মী গল্প নিয়ে নাটক বানাতে গেলেও নানান সমস্যার কথা উল্লেখ করেন নির্মাতা রাফাত মজুমদার রিংকু। তিনি বলেন, ‘আগের চেয়ে ভিন্ন ধরনের গল্পের নাটক বানানো হচ্ছে। তবে সেটা সংখ্যায় কম। এখন আলাদা টাইপের গল্পের নাটক বানাতে গেলেও নানান ধরনের জটিলতা তৈরি হচ্ছে। আমি নিজেও ‘রূপান্তর’ নিয়ে একপ্রকার জটিলতায় রয়েছি। তাই যারা ইউটিউবের মালিক এবং প্রযোজক তারা ভিন্ন টাইপের গল্পের নাটক বানাতে রিস্ক নেয় না। বাধ্য হয়েই গদবাঁধা গল্পের নাটক বানায়। নাচ-গান আর বিউটি লোকেশনসহ কাজগুলো হচ্ছে।’

নাট্যপ্রেমী-বিনোদনপ্রেমী তথা সংস্কৃতিপ্রেমীদের প্রত্যাশা, নাটকের গল্পে সমাজের বাস্তবচিত্র থাকবে। কারণ ‘সমাজের দর্পণই হচ্ছে নাটক’। একটা সময় বিটিভিতে নাটক প্রচারের মাধ্যমে মধ্যবিত্তের ড্রয়িংরুমের সাজটা কেমন হবে- তা সেই নাটক থেকে শিখত মধ্যবিত্ত সমাজ। সময় বদলেছে, মানুষের রুচির পরিবর্তন হয়েছে। সমাজের আমূল পরিবর্তনে নিজেদের ‘রুচির দুর্ভিক্ষ’ যেন নাটকের মাধ্যমে প্রচার হয়ে তা আবার সমাজে প্রভাব ফেলুক- তা কারোরই কাম্য নয়। কারণ আজকে পর্দায় যা দেখানো হবে তাই দেখবেন দর্শক। সংস্কৃতিকর্মী তথা ক্রিয়েটিভরাই প্রকৃত ‘দর্শক’ তৈরি করেন। সারা পৃথিবীতেই রুচিহীন-সস্তা কনটেন্টেরই ‘ভিউ’ বেশি, এটাই স্বাভাবিক। এরমধ্যেও নিজেদের দর্শক নিজস্ব গল্প দিয়ে নিজেদেরই তৈরি করতে হবে- এমনটাই মনে করেন প্রকৃত সংস্কৃতিপ্রেমীরা।


প্রথমবার পরিচালকের আসনে জনি ডেপ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বিনোদন ডেস্ক

‘পাইরেটস অব দ্য ক্যারিবিয়ান’ তারকা জনি ডেপ ব্যক্তিগত জীবনের ঝড়-ঝাপটা সামলে আবার কাজে মন দিয়েছেন। তবে এবার নতুন আঙ্গিকে ক্যামেরার পেছনেই নিজেকে জাহির করতে যাচ্ছেন তিনি। বিগত ২৫ বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো পরিচালকের চেয়ারে বসতে যাচ্ছেন। জনপ্রিয় এই অভিনেতা ইতালীয় শিল্পী অ্যামেডিও মোদিগ্লিয়ানির ওপর একটি বায়োপিক পরিচালনা করছেন, যার নাম ‘অ্যামেডিও মোদিগ্লিয়ানি’ (মোদি)।

প্রায় ২৫ বছর পরে পরিচালকের আসনে নিজেকে ফিরে পেয়ে খুশি জনি ডেপ; কিন্তু খুশি নন ভক্তরা। তারা তাদের প্রিয় তারকাকে পর্দার পেছনে নয়, সামনে চান। জনি যদি অভিনয়ে না ফেরেন, তাহলে ‘পাইরেটস অব দ্য ক্যারিবিয়ান’ অথবা ‘অ্যালিস ইন ওয়ান্ডারল্যান্ডস’-এর মতো ফ্র্যাঞ্চাইজিতে জনি ডেপের পরিবর্তে অন্য কোনো অভিনেতাকে দর্শক কতটা মেনে নিতে পারবেন তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। সামাজিক মাধ্যমে চোখ রাখলেই দেখা যায়, জনিকে উদ্দেশ্য করে ভক্তদের আকুতি। ‘পাইরেটস অফ দি ক্যারিবিয়ান’-এর মতো ফ্র্যাঞ্চাইজিতে জনি ডেপকেই চান তার বিশ্বব্যাপী অনুরাগীরা।

এদিকে নিজের পরিচালিত চলচ্চিত্র ‘মোদি’ নিয়ে দারুণ ব্যস্ত সময় পার করছেন জনি ডেপ। ইটালির চিত্রকর আমেদেও মোদিগ্লিয়ানির জীবন নিয়ে নির্মাণ করা হচ্ছে এই সিনেমা। বর্তমানে এর সম্পাদনার কাজ চলছে। এতে অভিনয় করছেন আল পাচিনো। ফরাসি চিত্রকর মরিস উট্রিলোর চরিত্রে দেখা যাবে তাকে। আল পাচিনো ছাড়াও সিনেমাটিতে থাকছেন রিচার্দো স্ক্যামারসিও এবং পিয়েরে নিনে।

ডেনিস ম্যাকইনটায়ারের নাটক ‘মোদিগ্লিয়ানি’ অবলম্বনে তৈরি করা হচ্ছে এটি। গল্প লিখেছেন চিত্রনাট্যকার জের্জি ও মেরি ক্রোমোলস্কি। ৪৮ ঘণ্টার ঘটনা নিয়ে তৈরি করা হবে সিনেমাটি। পুলিশের থেকে পালানোর সময় মোদিগ্লিয়ানির ইচ্ছা হয় তার ক্যারিয়ার শেষ করে দেওয়ার এবং ভবঘুরে ফরাসি চিত্রকর মরিস উট্রিলো, বেলারুশিয়ান বংশোদ্ভূত চেইম সাউটিন এবং প্রেমিকা বিট্রিস হেস্টিংস-এর সঙ্গে শহর ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার। মোদিগ্লিয়ানি তার পোলিশ আর্ট ডিলার ও বন্ধু লিওপোল্ডের কাছে যান পরামর্শ নিতে। বিশৃঙ্খলা চরমে পৌঁছে যায় যখন তিনি একজন চিত্র সংগ্রাহকের মুখোমুখি হন যিনি তার জীবন পরিবর্তন করতে পারেন।

বিষয়:

উৎসবমুখর পরিবেশে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
জাহাঙ্গীর বিপ্লব

কঠোর নিরাপত্তা বলয়, অভিযোগ-আপত্তি সত্ত্বেও অনেকটা উৎসবমুখর পরিবেশেই অনুষ্ঠিত হয়ে গেল বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির দ্বিবার্ষিক নির্বাচন। শুক্রবার বিএফডিসিতে সকাল ৯টা নাগাদ শুরু হওয়ার কথা থাকলেও ভোট গ্রহণ শুরু হয় সকাল সাড়ে ৯টার দিকে। ভোট গ্রহণ চলে বিকেল ৫টা পর্যন্ত। শিল্পী নির্বাচনের সাত-সতের জানাচ্ছেন জাহাঙ্গীর বিপ্লব

কড়া নিরাপত্তায় অসন্তোষ…

বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এফডিসিতে নিরাপত্তার কড়াকড়িতে বিরক্তি প্রকাশ করেছেন ভোট দিতে আসা শিল্পীরা। অনেকে ক্ষোভও প্রকাশ করেন। পরিবেশ ঠিক রাখতে ও সুষ্ঠুভাবে ভোট গ্রহণ সম্পন্ন করতে পুরো এফডিসিজুড়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিপুলসংখ্যক সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। সমিতির সদস্য, শিল্পী ও কলাকুশলী পরিচয়পত্র এবং সাংবাদিকদের এফডিসিতে ঢোকার পাস পরীক্ষা করে তবেই ঢুকতে দেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। এদিন মূল ফটক থেকে এফডিসির বিভিন্ন জায়গায় প্রায় আড়াই শ পুলিশ সদস্য ও সাদা পোশাকে সরকারের বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যর উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়। নিরাপত্তার স্বার্থে এফডিসির বিভিন্ন পয়েন্টে বাড়তি ৩১টি সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো হয়েছিল। এ ছাড়া এই প্রথম নির্বাচনে আচরণবিধি রক্ষায় একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালতও দায়িত্ব পালন করেন। নির্বাচনে অংশ নেওয়া মিশা-ডিপজল প্যানেলের সহসভাপতি পদপ্রার্থী অভিনেতা মাসুম পারভেজ রুবেল বলেন, ‘নির্বাচন নিয়ে আমাদের মধ্যে বিরোধ থাকতে পারে। তবে আমি মনে করি তা মাত্র ৫-৭ দিনের মতো। এরপর তো আবার আমরা এক। নব্বই সাল থেকে নির্বাচন করি, এভাবে প্রশাসনের পাহারায় নির্বাচন দেখিনি। আমরা সবাই আনন্দ করতে করতেই ভোট দিয়েছি, চেয়েছি।’ পরিচয়পত্র পরীক্ষার বিষয়ে বিরক্তি প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘নায়ক আলমগীর বা উজ্জ্বলের মতো লোককে যদি আইডি কার্ড শো করে ঢোকা লাগে, তাহলে তো দুঃখকজনক। এটা খুব খারাপ। এভাবে কার্ড চেক করে ঢোকানো নিজেদের অপমান করা।’

নিরাপত্তার এমন কড়াকড়িতে সাধারণ শিল্পীরা ক্ষোভ ঝাড়লেও কেউ কেউ একে ইতিবাচক হিসেবে দেখেছেন। নির্বাচন কমিশনার খোরশেদ আলম খসরু জানান, নির্বাচন সুষ্ঠু রাখতেই এই কড়াকড়ি।

ছিলেন না চাহিদাসম্পন্ন তারকারা…

উৎসবের আমেজ থাকলেও এবারের নির্বাচনে ছিল না সময়ের চাহিদাসম্পন্ন তারকাদের উপস্থিতি। তবে সিনিয়র শিল্পীদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। এবার ভোট দিতে দেখা আসেননি সময়ের শীর্ষ তারকা শাকিব খান, চিত্রনায়ক ফেরদৌস, অভিনেত্রী মৌসুমী, অরুণা বিশ্বাস, আনিসুর রহমান মিলন, আজিজুল হাকিম, বিপাশা কবির, রেসি, পুষ্পিতা পপি ও সোহানা সাবাসহ আরও কয়েকজন। এসব তারকার ভোট দিতে না পারার পেছনে অবশ্য বিশেষ কোনো কারণ নেই। তাদের অধিকাংশই ব্যক্তিগত কাজে বর্তমানে দেশের বাইরে অবস্থান করার জন্য ভোট প্রদান করতে পারেননি। জানা গেছে, বর্তমানে ভারতে অবস্থান করায় এবারের নির্বাচনে ভোট দিতে পারলেন না শাকিব খান। ভারতের হায়দরাবাদে তার ‘দরদ’ সিনেমার শুটিং চলছে। ঢাকা-১০ আসনের সংসদ সদস্য চিত্রনায়ক ফেরদৌস আহমেদ বর্তমানে কানাডায় অবস্থান করছেন। সেখান থেকে যাবেন যুক্তরাষ্ট্রে। আগামী ২০-২১ এপ্রিল নিউইয়র্কের জ্যামাইকা পারফর্মিং আর্টস সেন্টারে আয়োজিত ‘সুচিত্রা সেন আন্তর্জাতিক বাংলা চলচ্চিত্র উৎসব’-এ অতিথি হিসেবে থাকবেন তিনি। অন্যদিকে বর্তমানে চিত্রনায়িকা মৌসুমী আমেরিকাতে অবস্থান করছেন। মৌসুমীর মেয়ে ফাইজার লেখাপড়ার জন্য এ বছরটা তাকে আমেরিকায় থাকতে হবে।

অর্থ প্রদানের অভিযোগ…

ভোটারদের অর্থ প্রদানের অভিযোগ উঠেছে দুই সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী ডিপজল ও নিপুণের বিরুদ্ধে। এই নির্বাচনে মূলত ডিপজল ও নিপুণই শক্তিশালী প্রতিদ্বন্দ্বী। কেউই কাউকে ছাড় দিতে নারাজ। দুজনের বিরুদ্ধেই ভোটারদের অর্থ প্রদানের অভিযোগ উঠেছে। নির্বাচনের আগের দিন বৃহস্পতিবার ডিপজলের বিরুদ্ধে এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ করেন মাহমুদ কলি-নিপুণ আক্তার পরিষদের সদস্য পদপ্রার্থী সাদিয়া মির্জা। অভিযোগের সঙ্গে দ্বিবার্ষিক এ নির্বাচন পরিচালনাকারী প্রধান নির্বাচন কমিশনার খোরশেদ আলম খসরুর কাছে প্রমাণ হিসেবে পেনড্রাইভে করে একটি ভিডিও সরবরাহ করেছেন অভিযোগকারী। পরে তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়ে ছয় ঘণ্টার মধ্যে তার ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়। তবে ভোটের জন্য টাকা দেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করে ডিপজল বলেছেন, বিষয়টি তিনি জানেন না। তার দাবি, এটা মিথ্যা ও বানোয়াট অভিযোগ।

এবারও একসঙ্গে তিন কন্যা…

পিকনিক, নির্বাচন এমনকি চলচ্চিত্রের যেকোনো আয়োজনেই একসঙ্গে দেখা মেলে ‘তিন কন্যা’ কোহিনূর আক্তার সুচন্দা, ফরিদা আক্তার ববিতা ও গুলশান আরা চম্পাকে। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। প্রায় পৌনে ৩টার দিকে এফডিসিতে আসেন চলচ্চিত্রের এই তিন বোন। তাদের দেখে গণমাধ্যমকর্মীরা ভিড় করতে থাকেন। ভিড় ঠেলে সহকর্মীরা চলচ্চিত্রের তিন জাঁদরেল অভিনেত্রীকে পেয়ে আনন্দিত হয়ে সোগ্লান দিতে থাকেন। এসময় সুচন্দা বলেন, ‘আমি অনেক আশা নিয়ে ভোট দিতে এসেছি। এফডিসিতে আসা হয় না, নির্বাচনের জন্যই আসা। এফডিসি হচ্ছে আমাদের সংস্কৃতির আঁতুড়ঘর। এখানে শিল্পী সমিতির কোনো বিকল্প নেই। এটা গুরুত্বপূর্ণ সংগঠন।’ ববিতা বলেন, ‘এফডিসিতে আসা বন্ধই করে দিয়েছিলাম। অনেক দিন পর এসেছি, খুব ভালো লাগছে। নির্বাচন উপলক্ষে সবার সঙ্গে দেখা হবে এ কারণেই আসা। ভোট দিব যারা শিল্পীদের জন্য সত্যিকারের কাজ করবে তাদেরই।’ আরেক বোন চম্পা বলেন, ‘নতুন-পুরাতন যারাই নির্বাচন করছে প্রত্যেকে আমার প্রিয়। শিল্পী শব্দটা ভীষণভাবে আমাদের পরিবারের মনে হয়। তাই আমি মনে করি আমরা সবাই মিলে এক। সবাই মিলে যদি এগিয়ে যেতে পারতাম তাহলে আমাদের শিল্পটাকে অনেক এগিয়ে নিতে পারতাম।’

বিষয়:

তবুও মন খারাপ পরিণীতির

আপডেটেড ২০ এপ্রিল, ২০২৪ ০০:৩৪
বিনোদন ডেস্ক

প্রায় এক দশকের ক্যারিয়ারে কোনো সিনেমা দিয়েই তেমন সাড়া ফেলতে পারেনি বলিউড অভিনেত্রী পরিণীতি চোপড়া। তবে সম্প্রতি তার ভাগ্যের চাকা ঘুরেছে। ওটিটিতে মুক্তি পাওয়া ‘চমকিলা’য় অভিনয় করে ফের খবরের শিরোনামে চলে এসেছেন এই অভিনেত্রী চিত্রসমালোচক থেকে শুরু করে দর্শক সবাই পরিণীতির অভিনয়ে প্রশংসায় পঞ্চমুখ। তবুও মন খারাপ পরিণীতির। কথা উঠলেই, পরিণীতি শুধু বলছেন, ‘জীবনে অনেক ভুল সিদ্ধান্ত নিয়েছি। লোকের প্রচুর ভুল কথাও শুনেছি!’ হঠাৎ এমন কেন উপলব্ধি রাঘব চাড্ডার স্ত্রীর? সব ঠিক আছে তো!

ভারতীয় সংবাদ মাধ্যমগুলো থেকে জানা গেছে, রাঘব তরুণ রাজনীতিবিদ রাঘব চাড্ডার সঙ্গে বিয়ে হওয়ার পর থেকেই নিজেকে যেন একটু বেশি গুটিয়ে ফেলেছেন পরিণীতি। ব্যক্তিগত জীবনকে রেখেছেন আড়ালেই। এমনকি, কয়েক দিন আগেই রটে যায় পরিণীতি নাকি অন্তঃসত্ত্বা। তবে সেই গুঞ্জনকে নিজেই উড়িয়েছেন। তবে সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে এমন কিছু কথা বললেন যা শুনে রীতিমতো চমকে উঠেছেন অনুরাগীরা।

পরিণীতির কথায়, ‘ক্যারিয়ারের শুরুতেই আমি অনেক ভুল করেছি। প্রচুর ভুল পরামর্শ মেনে চলেছি। আসলে, তখন ঠিক বুঝতাম না। লোকে বলত, ওই অভিনেত্রী ওরকমটা করেছে, তোমাকেও সেরকমটা করতে হবে। আর আমিও সেটা মেনে নিতাম। তবে এখন বুঝতে পারি। তাই প্রযোজক ও পরিচালকদের বলতে চাই, এখন আমাকে কাস্ট করুন, আমার বর্তমানটা দেখে, অতীত দেখে নয়।’

বলিউডে পরিণীতি চোপড়ার অভিষেক হয়েছে প্রায় এক দশক আগে। ২০১১ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘লেডিস ভার্সেস রিকি বহল’ সিনেমায় পার্শ্বচরিত্রে অভিনয় করতে দেখা যায় পরিণীতিকে। বক্স অফিসে এই সিনেমা তেমন ব্যবসা করতে পারেনি। তার ঠিক পরের বছরই ২০১২ সালে যশরাজ ফিল্মসের প্রযোজনায় প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায় ‘ইশকজ়াদে’। এই সিনেমায় মুখ্য চরিত্রে অভিনয়ের সুযোগ পান পরিণীতি। এরপর আসে পরিচিতি।

২০২৩ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর গোধূলি লগ্নে পাঞ্জাবি রীতি রেওয়াজ মেনে উদয়পুরে রাজকীয় বিয়ে সেরেছেন পরিণীতি ও রাঘব চাড্ডা। নিজের গলায় ‘ও পিয়া’ গান রেকর্ডিং করে রাঘবের প্রতি প্রেমও উজাড় করেছিলেন পরিণীতি চোপড়া। ‘আম আদমি’ সাংসদের সঙ্গে বলিউড অভিনেত্রীর হাই প্রোফাইল বিয়ের অনুষ্ঠান নিয়ে দেশজুড়ে চর্চা চলেছিল।


শিল্পী বশির আহমেদের মৃত্যুবার্ষিকী আজ

কণ্ঠশিল্পী বশির আহমেদ। ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বিনোদন ডেস্ক

বাংলা সংগীতজগতের উজ্জ্বল নক্ষত্র কণ্ঠশিল্পী বশির আহমেদের আজ দশম মৃত্যুবার্ষিকী। ২০১৪ সালের এই দিনে (১৯ এপ্রিল) রাজধানীর মোহাম্মদপুরে নিজ বাসায় তিনি মারা যান।

বশির আহমেদের জনপ্রিয় গানের মধ্যে অন্যতম হচ্ছে ‘অনেক সাধের ময়না আমার’, ‘আমাকে পোড়াতে যদি এত লাগে ভালো’, ‘আমি সাত সাগর পাড়ি দিয়ে’, ‘যারে যাবি যদি যা; পিঞ্জর খুলে দিয়েছি’, ‘ডেকো না আমাকে তুমি, কাছে ডেকো না’, ‘খুঁজে খুঁজে জনম গেল’, ‘সজনী গো ভালোবেসে এত জ্বালা কেন বল না’।

বশির আহমেদ একাধারে শিল্পী, সুরকার, গীতিকার ও সংগীত পরিচালক ছিলেন। দিল্লির সওদাগর পরিবারের সন্তান বশির আহমেদ ১৯৩৯ সালের ১৯ নভেম্বর কলকাতার খিদিরপুরে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবার নাম নাসির আহমেদ। ১৯৬৪ সালে বশির আহমেদ সপরিবারে ঢাকায় চলে আসেন। ঢাকায় আসার আগেই উর্দু চলচ্চিত্রে গান গাওয়া শুরু করেন তিনি।

বিষয়:

আজ আসছেন আতিফ আসলাম

পাকিস্তানের জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী আতিফ আসলাম। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বিনোদন ডেস্ক

১১ বছর পর আজ ঢাকায় আসছেন পাকিস্তানের জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী আতিফ আসলাম। এই তারকা তার অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে এ তথ্য জানিয়েছিলেন। বসুন্ধরা ক্রিকেট গ্রাউন্ডে ভক্তদের আমন্ত্রণও জানিয়েছিলেন।

এর আগে রোববার (৭ এপ্রিল) আতিফ আসলাম তার অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে জানিয়েছিলেন বাংলাদেশে আসার তারিখটি। পোস্টে তিনি জানান, আগামী ১৯ এপ্রিল (শুক্রবার) রাজধানীর বসুন্ধরার ক্রিকেট গ্রাউন্ডে লেট’স ভাইবের আয়োজনে অনুষ্ঠিত কনসার্টে পারফর্ম করবেন তিনি। এর আগেই পা রাখবেন ঢাকার মাটিতে। মুহূর্তের মধ্যেই আতিফের এই পোস্ট ঝড় তুলেছিল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।

আতিফকে বাংলাদেশে দেখতে উদগ্রীব হয়ে আছেন তার ভক্তরা, সেই মন্তব্যে ভরে ওঠে কমেন্টবক্স। এর আগে ২০১৩ সালে বিপিএলের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে পারফর্ম করতে ঢাকায় এসেছিলেন আতিফ আসলাম।

বিষয়:

তোপের মুখে পড়ে মুখ খুললেন জোভান

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১৯ এপ্রিল, ২০২৪ ১০:৫৭
বিনোদন প্রতিবেদক

এবার ঈদে ইউটিউবে উন্মুক্ত হয় ‘রূপান্তর’ শিরোনামের একটি নাটক। আর নাটকটি প্রচারের পর থেকেই তুমুল বিতর্কের সৃষ্টি হয় দর্শক মহলে। তীব্র সমালোচনার মুখে পরদিন সকালেই নাটকটি ইউটিউব থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়। রাফাত মজুমদার রিংকুর পরিচালনায় এই নাটকটিতে সৌরভ চরিত্রে অভিনয় করেছেন জোভান আহমেদ আর রিমঝিম চরিত্রে সামিরা খান মাহি।

বর্তমানে টক অব দ্য টাউনে পরিণত হয়েছে নাটকটি। নাটকটি নিয়ে রীতিমতো সমালোচনার ঝড় উঠেছে নেট দুনিয়ায়। এসবের মাঝেই হঠাৎ উধাও জোভান-মাহির ফ্যানপেজ। জোভানের ১৯ লাখ ও মাহির ২৪ লাখ ফলোয়ারের পেজ দুটি খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। বিষয়টি কেবল সমালোচনায় থেমে নেই। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অভিনেতা জোভানকে তুলোধোনা করছেন দর্শক।

‘রূপান্তর’ নাটকে অভিনয়ের কারণে নেটিজেনদের তোপের মুখে পড়েছেন জোভান। এই অভিনেতা জানিয়েছেন, ভবিষ্যতে এ ধরনের চরিত্রে আর অভিনয় করবেন না তিনি। তার কথায়, ‘বিষয়টি নিয়ে খুব বেশি কিছু বলার নেই। তবে আমি বুঝতে পারছি না, এটি নিয়ে কেন এত সমালোচনা হবে! নাটকের ভিউ কিন্তু খুব বেশি হয়নি। আমার মনে হয়, মানুষ না দেখেই নাটকটির সমালোচনা করছে। যাই হোক, ভক্ত-দর্শকরা এ ধরনের কাজ পছন্দ করে না- এটি বুঝেছি। যেহেতু তারা এসব পছন্দ করে না তাই আগামীতে এসব কাজ আর করব না।’

নাটকটির কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয়ের জন্য জোভানের বিরুদ্ধে বয়কটের ডাক দেওয়ার বিষয়টিকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলেই মনে করছেন এই অভিনেতা। জোভানের ভাষ্য, হতে পারে এটা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। কেননা সামগ্রিকভাবে কথা বলার থেকে ব্যক্তিগত আক্রমণই বেশি করা হচ্ছে। দর্শক যেহেতু পছন্দ করছে না, তাহলে এমন চরিত্রে আর কাজ করা যাবে না। এরপর থেকে এসব করব না আর। একই সঙ্গে নেটিজেনদের উদ্দেশে জোভান বলেন, ভেবেছি এটা নিয়ে একটি বিবৃতি দেব। সেখানে আমার সব কথা জানাব।

বিষয়টি নিয়ে গণমাধ্যমে নির্মাতা রিংকু বলেন, ‘আমি কোনো এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে আসিনি। আমি আসলে একজন একা মানুষের গল্প বলতে চেয়েছি। এ ধরনের ঘটনা কিন্তু আমাদের চারপাশে ঘটে। এটা হরমোনজনিত শারীরিক ঘটনা। আমি দেখানোর চেষ্টা করেছি হরমোনজনিত কারণে একজন মানুষের ক্রমেই একা হয়ে যাওয়ার গল্প। কিন্তু এ বিষয়টিকে অনেকেই ভুল ব্যাখ্যা দিচ্ছেন। আমি এর জন্য আন্তরিকভাবে দুঃখিত এবং হতাশ। এই সরল গল্পটি যদি আমরা না গ্রহণ করি, তাহলে নতুন গল্প বলব কেমন করে?’

বিষয়:

বহুল আলোচিত চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন আজ

আপডেটেড ১৯ এপ্রিল, ২০২৪ ০০:২০
বিনোদন প্রতিবেদক

শেষ হলো অপেক্ষার পালা। নানা নাটকীয়তা ও জলঘোলার পর আজ অনুষ্ঠিত হচ্ছে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সমিতির দ্বি-বার্ষিক (২০২৪-২০২৬) নির্বাচন। বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশনে (বিএফডিসি) সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত চলবে নির্বাচনের ভোট গ্রহণ। বহুল আলোচিত এই নির্বাচন নিয়ে বেশ কয়েক মাস ধরেই সরগরম ছিল চলচ্চিত্রপাড়া। ঈদের পর নির্বাচনের শেষ সময়ে প্রচার-প্রচারণা আরও মুখর হয়ে ওঠে।

২১ সদস্যবিশিষ্ট কমিটিতে ঠাঁই পেতে এবারের নির্বাচনে ৬ জন স্বতন্ত্রসহ ২টি প্যানেল থেকে মোট ৪৮ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। দুই প্যানেলের একটিতে আছেন অভিনেতা মিশা সওদাগর ও মনোয়ার হোসেন ডিপজল আর অন্যটিতে একসময়ের জনপ্রিয় নায়ক মাহমুদ কলি ও চিত্রনায়িকা নিপুণ আক্তার।

মিশা-ডিপজল পরিষদের হয়ে নির্বাচনে সহসভাপতির পদে লড়বেন মাসুম পারভেজ রুবেল ও ডি এ তায়েব। এ ছাড়া সহ-সাধারণ সম্পাদক পদে আরমান, সাংগঠনিক সম্পাদক পদে জয় চৌধুরী, আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক পদে আলেকজান্ডার বো, দপ্তর ও প্রচার সম্পাদক জ্যাকি আলমগীর, সংস্কৃতি ও ক্রীড়া সম্পাদক পদে ডন এবং কোষাধ্যক্ষ পদপ্রার্থী কমল।

এ ছাড়াও কার্যকরী পরিষদের সদস্য পদে নির্বাচন করছেন অভিনেত্রী সুচরিতা, রোজিনা, আলীরাজ, সুব্রত, দিলারা ইয়াসমিন, শাহনূর, নানা শাহ, রত্না কবির, চুন্নু, সাঞ্জু জন, ফিরোজ মিয়া।

অন্যদিকে, মাহমুদ কলি-নিপুণ প্যানেলের প্রার্থী হয়েছেন- সহসভাপতি পদে ড্যানি সিডাক ও অমিত হাসান। সহ-সাধারণ সম্পাদক বাপ্পি সাহা, সাংগঠনিক সম্পাদক অঞ্জনা রহমান, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক মারুফ আকিব, দপ্তর ও প্রচার সম্পাদক কাবিলা, সংস্কৃতি ও ক্রীড়া সম্পাদক মামনুন হাসান ইমন ও কোষাধ্যক্ষ পদে অভিনেতা আজাদ খান।

কার্যকরী পরিষদের সদস্য পদের হিসেবে থাকছেন সুজাতা আজিম, নাদের চৌধুরী, পীরজাদা হারুন, পলি, জেসমিন আক্তার, তানভীর তনু, মো. সাইফুল, সাদিয়া মির্জা, সনি রহমান, হেলেনা জাহাঙ্গীর ও সাইফ খান।

এবারের নির্বাচনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে থাকছেন খোরশেদ আলম খসরু। সদস্য হিসেবে আছেন এ জে রানা ও বি এইচ নিশান। মোট ভোটার সংখ্যা ৫৭০ জন। তারাই বেছে নেবেন আগামী দুই বছরের চলচ্চিত্র শিল্পীদের নেতা-অভিভাবক।

ইতোমধ্যেই ২০২৪-২৬ মেয়াদের নির্বাচন ঘিরে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে নির্বাচন কমিশন। এবারই প্রথম শিল্পীদের নির্বাচনে ভ্রাম্যমাণ আদালত থাকবে।

এ বিষয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার চলচ্চিত্র প্রযোজক সমিতির সাবেক সভাপতি খোরশেদ আলম খসরু বলেন, ‘এবার ভোটার আছেন ৫৭০ জন। নির্বাচনে যেন কোনো ঝামেলা না হয় সেই চেষ্টা থাকবে। সুষ্ঠু পরিবেশে ও নিরপেক্ষ নির্বাচন নিশ্চিত করব। গতবারের কোনো প্রভাব যেন এই নির্বাচনে না পড়ে সেটাও খেয়াল রাখছি।’


বিশ্বের প্রভাবশালীর তালিকায় আলিয়া ভাট

আপডেটেড ১৯ এপ্রিল, ২০২৪ ০০:২১
বিনোদন ডেস্ক

আরও এক উচ্চতায় বলিউডের এই সময়ের চাহিদাসম্পন্ন অভিনেত্রী আলিয়া ভাট। টাইমস ম্যাগাজিনে ২০২৪ সালের বিশ্বের ১০০ প্রভাবশালী ব্যক্তির তালিকায় নাম উঠেছে এই তারকার। হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২৪ সালের বিশ্বের ১০০ প্রভাবশালী মানুষের তালিকায় জায়গা পেলেন বলি ডিভা আলিয়া ভাট। অভিনেত্রীর মাথায় উঠল গ্লোবাল স্টারের তকমা। আলিয়ার কঠোর পরিশ্রমের জন্য প্রশংসা করে তার সম্পর্কে ম্যাগাজিনে লিখেছেন ব্রিটিশ লেখক এবং পরিচালক টম হার্পার।

পরিচালক টম হার্পার আলিয়ার সুনাম করে লিখেছেন, আলিয়া শুধু বিশ্ব চলচ্চিত্র জগতের একজন প্রতিভাময়ী অভিনেত্রীই নন, প্রায় এক দশকের বেশি তিনি ভারতীয় ছবিতে কৃতিত্বের সঙ্গে কাজ করে চলেছেন।

অভিনেত্রীর প্রশংসা করে টম হার্পার লিখেছেন, ‘হার্ট অব স্টোন’-এর সুবাদে আলিয়ার সঙ্গে পরিচয়। ওটাই তার ইংরেজি সিনেমায় হাতেখড়ি। জনপ্রিয় হওয়া সত্ত্বেও মাটিতে পা রেখে চলা একজন মজার মানুষ। তার কাজের একটা ধরন রয়েছে। ভীষণ মনোযোগী। চরিত্রের প্রয়োজনে যেকোনো রকম ঝুঁকি নিতে কুণ্ঠাবোধ করেন না আলিয়া। তিনি প্রকৃত অর্থে আন্তর্জাতিক মানের তারকা।

এদিকে ইনস্টাগ্রাম পোস্টে ভক্তদের খুশির খবর ভাগ করে নিয়েছেন আলিয়া। ম্যাগাজিনের একটি স্নিপেট শেয়ার করে অভিনেত্রী লিখেছেন, ‘#TIME100 @time-এর অংশ হতে পেরে সম্মানিত। সদয় কথার জন্য প্রিয়তম টম হার্পারকে ধন্যবাদ।’

বিখ্যাত পরিচালক মহেশ ভাট ও অভিনেত্রী সোনি রাজদানের ছোট মেয়ে আলিয়া। পরিবারের সবচেয়ে কনিষ্ঠ কন্যা তিনি। বলিউডের ময়দানে দক্ষ অভিনেত্রী হিসেবে নিজেকে প্রমাণ করেছেন। একই সঙ্গে পা রেখেছেন হলিউডেও। ‘হার্ট অব স্টোন’ সিনেমার সুবাদে হলিউডের হৃদয়েও জায়গা করে নিয়েছেন তিনি।

করণ জোহরের ‘স্টুডেন্ট অব দ্য ইয়ার’ ছবির হাত ধরে সিনেমায় পা রেখেছিলেন আলিয়া ভাট। তারপর নিজেই ছক ভাঙতে শুরু করেছিলেন। ‘হাইওয়ে’, ‘উড়তা পাঞ্জাব’, ‘রাজি’, ‘গাঙ্গুবাই কাঠিয়াওয়াড়ি’র মতো ছবিতে অভিনয় করেছেন আলিয়া। জাতীয় পুরস্কার ও একাধিক ফিল্মফেয়ারের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক আঙিনা থেকেও পুরস্কার পেয়েছেন রণবীর কাপুর ঘরনি। আলিয়া ভাট ছাড়াও এই তালিকায় ভারতীয়দের মধ্যে রয়েছেন বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট অজয় বঙ্গ, মাইক্রোসফ্টের সিইও সত্য নাদেলা, অলিম্পিয়ান কুস্তিগীর সাক্ষী মালিক এবং অভিনেতা-পরিচালক দেব প্যাটেল।


ওয়াসিমের তৃতীয় মৃত্যুবার্ষিকী আজ

চিত্রনায়ক ওয়াসিম। ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বিনোদন ডেস্ক

ঢাকাই সিনেমার সোনালি দিনের দাপুটে চিত্রনায়ক ওয়াসিমের আজ তৃতীয় মৃত্যুবার্ষিকী। ২০২১ সালের ১৮ এপ্রিল পরপারে পাড়ি দিয়েছেন এই তারকা।

অ্যাকশন, বিশেষ করে ফোক-ফ্যান্টাসি ঘরানার সিনেমায় এই নায়ক অভিনয় দিয়ে মাতিয়ে রেখেছিলেন চলচ্চিত্রাঙ্গন, পেয়েছেন মানুষের ভালোবাসা।

১৯৭২ সালে ‘ছন্দ হারিয়ে গেল’ সিনেমায় সহকারী পরিচালক হিসেবে ঢাকাই চলচ্চিত্রে ওয়াসিমের অভিষেক হয়। নায়ক হিসেবে তার যাত্রা শুরু মহসিন পরিচালিত ‘রাতের পর দিন’ সিনেমার মাধ্যমে। দিন যতই যেতে থাকে ওয়াসিমের জনপ্রিয়তা আকাশচুম্বী হয়। বাণিজ্যিক ঘরানার সিনেমায় অপরিহার্য নায়ক হয়ে ওঠেন তিনি।

তার উল্লেখযোগ্য সিনেমা ‘রাতের পর দিন’ ‘দোস্ত দুশমন’ ‘দি রেইন’ ‘রাজদুলারী’ ‘বাহাদুর’ ‘মানসী’ ‘সওদাগর’ ‘নরম গরম’ ‘বেদ্বীন’ ‘ঈমান’ ‘লাল মেম সাহেব’ প্রভৃতি।

বিষয়:

এবার যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডায় ‘রাজকুমার’

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বিনোদন প্রতিবেদক

এবার ঈদে ১১টি সিনেমা মুক্তি পেলেও ১২৭টি সিনেমা হল নিয়ে একাই রাজত্ব করছে চিত্রতারকা শাকিব খান অভিনীত রাজকুমার সিনেমাটি। আর এই ছবিতে শাকিবের বিপরীতে অভিনয় করেছেন মার্কিন অভিনেত্রী কোর্টনি কফি। যেটা পরিচালনা করেছেন হিমেল আশরাফ। হিমেল আশরাফ পরিচালিত এই সিনেমাটি এবার দেশের গণ্ডি পেরিয়ে প্রদর্শিত হতে যাচ্ছে মার্কিন মুলুকে। শুধু তা-ই নয়, যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিবেশী দেশ কানাডার প্রেক্ষাগৃহেও উঠছে রোমান্টিক-ড্রামা জনরার এই ছবিটি। খবরটি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেন ছবিটির আন্তর্জাতিক পরিবেশক স্বপ্ন স্কেয়ারক্রোর কর্ণধার সজীব সপ্তক। তিনি জানান, আগামীকাল ১৯ এপ্রিল থেকে যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার ৭৫টি থিয়েটারে দেখা যাবে ছবিটি। হলের তালিকাও প্রকাশ করেছেন এই পরিবেশক। তবে তার তথ্য মতে, কিছু উল্লেখযোগ্য শহরে ছবিটি মুক্তি পেতে এক সপ্তাহ বিলম্ব হবে। যেমন লস অ্যাঞ্জেলেস, বে এরিয়া ও কানেক্টিকাট। এসব অঞ্চলে ‘সিনেমার্ক’ থিয়েটারের মাধ্যমে ছবিটি মুক্তি দেবেন তারা। সে জন্য ওই প্রতিষ্ঠানের প্রক্রিয়া অনুসারে আগামী ২৬ এপ্রিল এসব শহরে ঢুকবে ‘রাজকুমার’।

এই ছবির গল্পের মূল অংশ যুক্তরাষ্ট্র ঘিরে। গল্পের সেই দেশেই মুক্তি পাচ্ছে ‘রাজকুমার’। বিষয়টি নিয়ে উচ্ছ্বসিত কণ্ঠে শাকিব খান বলেন, ‘ঈদুল ফিতরে মুক্তির পর সারা দেশের মানুষের ভালোবাসায় ধন্য হয়ে আগামী ১৯ এপ্রিল থেকে সুদূর আমেরিকা ও কানাডায় ‘রাজকুমার’ মুক্তি পাচ্ছে। দেশের পর এবার প্রবাসী বাংলাভাষীদের মন জয় করবে ‘রাজকুমার’, ভালোবাসা ছড়িয়ে পড়বে পৃথিবীজুড়ে।

অবশ্য স্বদেশে নিজের প্রথম সিনেমা মুক্তির বিষয়ে কোনো বার্তা দেননি কোর্টনি কফি। বরং তার সোশ্যাল হ্যান্ডেলে পাওয়া গেল এক প্রতিবাদী পোস্ট! দর্শক-সমালোচক অনেকে অভিযোগের সুরে বলছেন, ‘রাজকুমার’-এ কোর্টনির অভিনয় সাবলীল হয়নি; বরং তাকে রোবটের মতো লেগেছে! এ বিষয়েরই জবাব দিয়েছেন নায়িকা। চিত্রনাট্যের একটি অংশ শেয়ার করেছেন তিনি। যেখানে নায়িকার ভাবলেশহীন থাকার কথা উল্লেখ আছে।

এর আগে গত বছরের কোরবানির ঈদে মুক্তি পাওয়া একই টিমের ‘প্রিয়তমা’ আমেরিকায় মুক্তি দিয়েছিল ‘স্বপ্ন স্কেয়ারক্রো’। সেটি দারুণ সাড়া পেয়েছিল। প্রতিষ্ঠানটির প্রত্যাশা, নতুন ছবিটি সেই ধারা অব্যাহত রেখে আরও চমকপ্রদ কিছু করতে পারে। প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান ভার্সেটাইল মিডিয়া জানিয়েছে, ধাপে ধাপে বিশ্বের প্রায় ৪০টি দেশে ‘রাজকুমার’ মুক্তি দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। যেটার শুরুটা হলো ইউএস-কানাডা মিশনের মাধ্যমে। শিগগিরই আসছে আরব আমিরাতে মুক্তির বার্তা।

বিষয়:

দর্শকের কাছে ঋণী হয়ে গেলাম: মন্দিরা চক্রবর্তী

আপডেটেড ১৮ এপ্রিল, ২০২৪ ০০:০১
জাহাঙ্গীর বিপ্লব

মন্দিরা চক্রবর্তী- ঢালিউডের নতুন বাসিন্দা। এবার ঈদে মুক্তি পাওয়া সরকারি অনুদানের সিনেমা ‘কাজল রেখা’র মাধ্যমে সিনেপর্দায় অভিষেক হলো এই নৃত্যশিল্পী ও অভিনেত্রীর। সিনেমায় নাম ভূমিকায় অভিনয় করেছেন তিনি। ঈদ, ঈদের সিনেমা, পহেলা বৈশাখ ও নানা বিষয়ে এই নবাগত নায়িকা কথা বলেছেন দৈনিক বাংলার সাথে।

ঈদ-বৈশাখ উৎসব ছিল অন্যরকম…

সত্যি কথা বলতে কী, প্রতি বছর যেভাবে কাটানো হয় এবার পুরো তার উল্টো। নিজের সিনেমা নিয়ে ব্যস্ত থাকায় ঈদ-বৈশাখ উৎসব কীভাবে পার হয়ে গেল টেরই পেলাম না। এবারের ঈদে ‘কাজল রেখা’ সিনেমা ছাড়াও আমার নতুন একটি বিজ্ঞাপন প্রচারে এসেছে। সপ্তাহ ধরে প্রচারিত হচ্ছে রাঁধুনীর সেই বিজ্ঞাপনচিত্রটি। নতুন সিনেমা-বিজ্ঞাপনের মধ্যেই কেটে গেছে ঈদ-বৈশাখের দুই উৎসব। এ ছাড়া প্রায় প্রতিদিনই বিভিন্ন টিভি চ্যানেলের সাক্ষাৎকারমূলক অনুষ্ঠানে অংশ নিতে হয়েছে।

খুবই আনন্দিত ও অভিভুত…

সিনেমাটির মুক্তির জন্য চাতক পাখির মতো অপেক্ষায় ছিলাম। কারণ এর আগে একাধিকবার ছবিটির মুক্তির তারিখ ঘোষিত হয়েছিল। অবশেষে এবারের ঈদে তার সেই প্রতিক্ষার অবসান ঘটে। ঈদের মতো এত বড় উৎসবে আমার প্রথম ছবি মুক্তিতে আমি খুবই আনন্দিত ও অভিভুত। ভালো লাগছে ছবিটি দর্শকরা গ্রহণ করেছেন। চারিদিক থেকে অভিনয়ের প্রশংসা পাচ্ছি। ‘কাজল রেখা’র কারণে নিজের আসল নামটাও বাদ পড়ে গেছে। মন্দিরার পরিবর্তে প্রায় সবাই এখন আমাকে ‘কাজল রেখা’ বলে ডাকছেন। সিনেমাটির কোনো শোতে হাজির হলে দর্শকরাও চিৎকার করে এই নাম উচ্চারণ করছেন। ‘কাজল রেখা’র সঙ্গে সেলফি-ছবি তোলার জন্য ভিড় করছেন। এসব খুব ভালো লাগছে।

দর্শকের ভালোবাসায় সিক্ত হচ্ছি…

মূল কথা হলো, আমরা যতগুলো সিনেমা হল প্রত্যাশা করেছিলাম, ততগুলো পাইনি। মোট সাতটি সিনেমা হলে সিনেমাটি মুক্তি পেয়েছে। এরই মধ্যে নিজেও বেশ কয়েকবার হলে গিয়ে সিনেমাটি উপভোগ করেছি। দর্শকের সঙ্গে কথা বলেছি। দর্শক আমার এবং সিনেমার প্রশংসা করেছেন, সাধুবাদ জানিয়েছেন। দর্শকের ভালোবাসায় সিক্ত হচ্ছি প্রতিনিয়ত, কখনো সরাসরি দর্শকের সঙ্গে কথা বলে, কখনো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।

নিজেও বেশ সন্তুষ্ট…

সব মিলিয়ে আমি নিজেও বেশ সন্তুষ্ট। কাজল রেখা আমার জীবনের প্রথম সিনেমা। প্রথম সিনেমাতেই নাম ভূমিকায় অভিনয় করার সুযোগ পেয়েছি। এটা আমার জন্য অনেক বড় প্রাপ্তি। সেলিম ভাইয়ের প্রতি আন্তরিকভাবে আমি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। আমার প্রত্যাশা ছিলো যে সিনেমাটি দর্শকের কাছে ভালোলাগবে। বিশেষত আমার চরিত্রটি। দর্শক আমার অভিনয়ে মুগ্ধ হয়েছেন, এটাই আমার প্রাপ্তি। আমি যে অনেক শ্রম দিয়েছি, কষ্ট করেছি-দর্শকের কাছ থেকে তার বিপরীতে যে ভালোবাসা, যে সম্মান আমি পেয়েছি, তাতে সত্যিই মুগ্ধ আমি।

হাতে আছে দুই সিনেমা…

সবকিছু ঠিক থাকলে কোরবানির ঈদে মুক্তি পাবে আমার দ্বিতীয় ছবি ‘নীলচক্র’। শুটিং শেষে সিনেমাটি এখন সম্পাদনার টেবিলে। ‘কাজল রেখা’ কয়েকশ বছর আগের পুরনো গল্পের হলেও ‘নীলচক্র’ এই সময়ের। এ ছাড়া আরও নতুন দুটি সিনেমায় শুটিং শুরু করব।


নতুন ঝলকে সাবিলা নূর

আপডেটেড ১৭ এপ্রিল, ২০২৪ ০০:৪৫
বিনোদন প্রতিবেদক

এই তো কয়েক বছর আগেই শীর্ষ চাহিদাসম্পন্ন মডেল-অভিনেত্রীর কাতারে ছিলেন সাবিলা নূর। তবে অসংখ্য নতুনের ভিড়ে এখন চাহিদার শীর্ষে না থাকলেও ব্যস্ততার দিক থেকে পিছিয়ে নেই এই টিভি তারকা। সেই ধারাবাহিকতায় এবার রোজার ঈদে একগুচ্ছ নাটকে অভিনয় করেছেন সাবিলা নূর। দর্শক ও টিভি চ্যানেলের খোরাক জোগাতে কাজ করেছেন চাঁদ রাত পর্যন্ত। সেই ব্যস্ততার ক্লান্তি কেটেছে ঈদের দীর্ঘ অবসর যাপনে।

কিন্তু রোজার ঈদের রেশ কাটার আগেই আবার কোরবানি ঈদের জন্য প্রস্তুতি শুরু হয়ে গেছে টেলিপাড়ায়। লাইট-ক্যামেরা আর অ্যাকশনের হাঁকডাক আবারও শুরু হয়েছে বিভিন্ন লোকেশনে। যার অংশ হিসেবে ওটিটি প্ল্যাটফর্মগুলোও বেশ সরব। গেল বছরে তুমুল প্রশংসা পাওয়া ‘বুকের মধ্যে আগুন’ সিরিজের গোলাম মামুন চরিত্রটি নিয়ে কোরবানি ঈদের জন্য নির্মিত হচ্ছে স্পিন অব সিরিজ। ‘গোলাম মামুন’ শিরোনামে এটি নির্মাণ করেছেন জনপ্রিয় নির্মাতা শিহাব শাহীন। সিরিজটির গোলাম মামুন চরিত্রে রয়েছেন জিয়াউল ফারুক অপূর্ব।

এবার জানা গেল, সিরিজটিতে অভিনয় করেছেন সাবিলা নূর। পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে চলতি বছরের আসন্ন সিরিজগুলোর এক ঝলক শেয়ার করেছে ওটিটি প্ল্যাটফর্ম হইচই কর্তৃপক্ষ। সেখানে ‘গোলাম মামুন’-এর ফার্স্ট লুকে অপূর্বের সঙ্গে দেখা গেছে সাবিলা নূরকেও। তবে বিষয়টি নিয়ে এখনই চূড়ান্ত কথা বলতে নারাজ টিম। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে হইচই জানায়, সিরিজটিতে নিজের আততায়ীকে খুনের দায়ে আটক হয় মামুন, সঙ্গে বন্ধু দম্পতির খুনেও জড়িয়ে যায় তার নাম। আইনরক্ষক মামুনকে আইন ভেঙে পুলিশের হাত থেকে পালাতে হয় নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করতে। কিন্তু বাইরেও অপেক্ষা করছে আরও বড় বিপদ।

এর আগে শিহাব শাহীন জানিয়েছিলেন, সিরিজটিতে ক্রাইম থ্রিলার, সঙ্গে ড্রামার মিশেল রয়েছে। গোলাম মামুনের যে চরিত্র সেটাকে ঘিরেই পুরো গল্প। তার জীবনে কী কী ঘটেছে, তা-ই দেখানো হবে এতে। এ প্রসঙ্গে সাবিলা নূরও একটু রক্ষণশীল ভূমিকায় রয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আনুষ্ঠানিকভাবে বলার মতো কোনো সুযোগ আমার কাছে নেই। তাই একটু অপেক্ষা করতে চাই। দেখা যাক কী হয়। তবে সম্প্রতি বেশ কিছু চমকজাগানিয়া কাজে যুক্ত হবো।’ আসছে ঈদুল আজহায় ‘গোলাম মামুন’ মুক্তি পাওয়ার কথা রয়েছে।


banner close