বৃহস্পতিবার, ২৬ জুন ২০২৫
১২ আষাঢ় ১৪৩২

ফের ঢাকায় ‘কফি হাউস’ গানের সুরকার, জানালেন পরিকল্পনা

এক ফ্রেমে মান্না দে ও সুপর্ণকান্তি ঘোষ। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড
৩ জানুয়ারি, ২০২৩ ১৯:২৯
অপূর্ণ রুবেল
প্রকাশিত
অপূর্ণ রুবেল
প্রকাশিত : ৩ জানুয়ারি, ২০২৩ ১৯:২৮

ঢাকায় এসেছেন মান্না দে’র গাওয়া কালজয়ী ‘কফি হাউসের সেই আড্ডাটা আজ আর নেই’ গানের সুরকার সুপর্ণকান্তি ঘোষ। সোমবার তিনি বিশিষ্ট গীতিকার পান্নালাল দত্তের ব্যক্তিগত আমন্ত্রণে তার বাসায় আসেন। এর আগে গত বছরের এপ্রিলে তিনি প্রথমবার ঢাকায় এসেছিলেন। তখন পান্নালাল দত্তের লেখা দুটি গানের সুরও করেছিলেন সুপর্ণকান্তি।

এবার ঢাকায় আসার কারণ সম্পর্কে পান্নালাল দত্ত বলেন, ‘দাদা আমাদের পরিবারের খুব কাছের মানুষ এবং সম্মানিত অতিথি। আমার ছেলে এসেছে দেশের বাইরে থেকে। তাই দাদাকে অনুরোধ করেছিলাম আসার জন্য। পরিবারের সবার সঙ্গে আনন্দ করতেই এসেছেন দাদা।’

সুপর্ণকান্তি ঘোষ দৈনিক বাংলাকে বলেন, ‘এবারের বাংলাদেশে আসার কারণ ঘোরাঘুরি। পাশাপাশি নতুন গান লেখা ও সেগুলো নিয়ে আলোচনা হবে।’

৬৫ বছর বয়সী এই সুরকারের বাবা ও মামার বাড়ি ঢাকার বিক্রমপুরে। সেখানে যাবেন কি না সেটি নিশ্চিত করেননি তিনি।

সুপর্ণকান্তি এই উপমহাদেশের কিংবদন্তি সুরকার নচিকেতা ঘোষের ছেলে। ১৯৭৬ সালে বাবার মৃত্যুর পর গৌরীপ্রসন্ন মজুমদার আর পুলক বন্দ্যোপাধ্যায়ের লেখা এবং তার বাবার রেখে যাওয়া অনেক গানে সুর দিতে শুরু করেন সুপর্ণকান্তি।

‘কফি হাউসের সেই আড্ডাটা আজ আর নেই’ গানের সুরকার সুপর্ণকান্তি ঘোষ

হেমন্ত মুখোপাধ্যায় থেকে শুরু করে আরতি মুখোপাধ্যায়, সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়, ভুপেন হাজারিকা, হৈমন্তী শুক্লাসহ বহু বিখ্যাত শিল্পী সুপর্ণকান্তির সুরে গান করেছেন। তারই সুর করা মান্না দে’র গাওয়া ‘কফি হাউসের সেই আড্ডাটা আজ আর নেই’ গান বাংলা সংগীত জগতের কালজয়ী সৃষ্টি হিসেবে অমর থাকবে।

মান্না দে’র গাওয়া আরেক কালজয়ী গান ‘সে আমার ছোট বোন’ এবং ভুপেন হাজারিকার ‘মালিক সারা জীবন কাঁদালে আমায়’ গানের সুরকারও সুপর্ণকান্তি।

আগেরবার এক সাক্ষাৎকারে সুপর্ণকান্তি ঘোষ বলেছিলেন, তার হওয়ার কথা ছিল ডাক্তার। কিন্তু তিনি ডাক্তার হলে ‘কফি হাউস’ বা অন্যসব জনপ্রিয় গানের হয়তো জন্ম হতো না। এই কারণেই তার সুরকার হওয়া।

গীতিকার পান্নালাল দত্ত জানিয়েছেন, তার লেখা সুপর্ণকান্তির সুর করা দুটি গানের মধ্যে একটি গান এরই মধ্যে প্রকাশ পেয়েছে। আরেকটি প্রকাশ পাবে আগামী মার্চে।


অবশেষে ফিরছেন জায়েদ খান

আপডেটেড ২৬ জুন, ২০২৫ ২২:০২
বিনোদন ডেস্ক

ঢাকাই সিনেমার আলোচিত মুখ জায়েদ খান। জুলাই বিপ্লবের আগে থেকেই স্টেজ শোয়ের কারণে তিনি অবস্থান করছিলেন যুক্তরাষ্ট্রে। এরপর এখন পর্যন্ত আর তিনি দেশে ফিরেননি। অনুমান করা যাচ্ছে, সহসা তিনি দেশে ফিরবেনও না।

নিউইয়র্ক থেকে প্রকাশিত বাংলা ভাষাভাষীদের গণমাধ্যম ‘ঠিকানা’য় ‘ফ্রাইডে নাইট উইথ জায়েদ খান’ নামের বিশেষ শোয়ের মাধ্যমে প্রথমবার হোস্ট হিসেবে অভিষেক হতে যাচ্ছে তার। প্রথম পর্বটি প্রচার হতে যাচ্ছে ৪ জুলাই, শুক্রবার বাংলাদেশ সময় রাত ৮টায়।

তবে ‘ফ্রাইডে নাইট উইথ জায়েদ খান’ প্রথম পর্বে কে বা কারা থাকছেন সে বিষয়টি আগাম প্রকাশে অনিচ্ছা প্রকাশ করেছেন জায়েদ খান। তিনি বললেন, ‘সেটা না হয় চমক হিসেবেই তোলা থাক।’

জায়েদ খান বলেন, ‘এটা আমার জন্য এক নতুন যাত্রা। আমি এমন একটি অনুষ্ঠান উপহার দিতে চাই, যেখানে আমাদের গল্পগুলো উঠে আসবে-বাস্তব, অনুপ্রেরণাদায়ক এবং চেতনাকে নাড়া দেওয়ার মতো।’

‘মুজিব: একটি জাতির রূপকার’ ছবিতে টিক্কা খানের ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন জায়েদ খান। কয়েক সেকেন্ডে পর্দায় দেখা গিয়েছিল তাকে। তার জন্য বরাদ্দ ছিল একবাক্যের একটি সংলাপ। এতেই বাজিমাত করেছেন তিনি।

বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে অবস্থান করছেন এই ঢালিউড তারকা। পরিকল্পনা করছেন জায়েদ খান হলিউডে সিনেমা করার বিষয়েও।


তিনবার সংসার ভাঙার পরও বিয়েতেই আস্থা শ্রাবন্তীর

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বিনোদন ডেস্ক

ওপার বাংলার নায়িকা শ্রাবন্তী চ্যাটার্জির ব্যক্তিগত জীবন তথা বিয়ে-ডিভোর্স নিয়ে চর্চা যেন একটু বেশিই। তিনবার ভেঙেছে এই নায়িকার সংসার। কিন্তু ভালোবাসায় ভরসা রাখেন অভিনেত্রী। সম্পর্কের প্রতি তার বিশ্বাস এখনো অটুট। শুধু তাই নয়, বিয়েতে এখনো বিশ্বাস রাখেন নায়িকা! সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে এমনটিই বললেন শ্রাবন্তী।

নায়িকা বলেন, ‘আমি এখনও বিয়েতে বিশ্বাস করি। কারণ আমি আমার বাবা-মাকেও দেখেছি। আমি মনে করি যারা বিয়ে করছেন, তারা ভালো থাকুন। তাদের যেন একে অপরের প্রতি স্বচ্ছতটা বজায় থাকে। কেন বিয়ে করবে না? এটা তো আমরা বহু বছর ধরে দেখে আসছি।’

কিন্তু নায়িকার কোনো দাম্পত্য সম্পর্কই স্থায়িত্ব লাভ করেনি। কোথায় ভুলটা ছিল- এমন প্রশ্নে শ্রাবন্তীর জবাব, ‘আমার যেটা ভুল ছিল, আমি জীবনে ভুল মানুষ বেছে নিয়েছিলাম, যেটা হয়তো আমার আরও ভালো করে বুঝে নিয়ে করা উচিত ছিল। আসলে আমি তো খুব ইমোশোনাল একজন মানুষ। সেখানে আমার মনে হয়, আবেগে না ভেসে, আরও বাস্তবতা দিয়ে জীবনটাকে দেখা উচিত ছিল। আমি বলব নিজের ভালো থাকাটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। পাশাপাশি নিজের সম্মানটা যেখানে বজায় থাকবে সেখানে এগিয়ে যাওয়া উচিত।’

নায়িকা আরও বলেন, ‘একটাই জীবন, তাই লোকে কী বলছে না বলছে, সেটা দেখে এগিয়ে যাওয়া উচিত নয়। নিজের মন যেটা বলছে, যেটা করলে আপনার ধারণা আপনার ভালো হবে, সেটাই করা উচিত।’

বয়স ১৮ হওয়ার আগেই পরিচালক রাজীব কুমার বিশ্বাসকে বিয়ে করেন শ্রাবন্তী। এই বিয়ে সূত্রেই ছেলে ঝিনুক ওরফে অভিমন্যুকে জন্ম দেন তিনি। তারপর অবশ্য ২০১৬ সালে রাজীবের সঙ্গে বিচ্ছেদের পথে হাঁটেন অভিনেত্রী। এরপর শ্রাবন্তী ফের প্রেমে পড়েন, ফের বিয়ের পিঁড়িতে বসেন কৃষাণ ব্রিজের সঙ্গে। তবে দ্বিতীয় স্বামীর সঙ্গে সেই বিয়ের মেয়াদ ছিল মাত্র ১ বছর। তারপর ফের তৃতীয় বার রোশন সিংকে বিয়ে করেন শ্রাবন্তী। এক গুরুদুয়ারাতে গিয়ে প্রায় চুপিচুপিই দুজনে বেঁধেছিলেন গাঁটছড়া। কিন্তু দেখা যায় যে, বছর ঘোরার আগেই, দুজনের সমস্যা শুরু। ছাদ আলাদা হয় রোশন ও শ্রাবন্তীর। তারপর চলতি বছরের এপ্রিল মাসে দুজনে আইনিভাবে আলাদা হয়েছেন।


সংগীতশিল্পী কনার বিবাহবিচ্ছেদের পর ন্যান্সির 'শিয়াল রাণী' মন্তব্যে বিতর্ক

আপডেটেড ২৬ জুন, ২০২৫ ১৬:০৪
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী দিলশাদ নাহার কনার বিবাহবিচ্ছেদের ঘোষণার পর সহশিল্পী নাজমুন মুনিরা ন্যান্সির একটি বিতর্কিত পোস্ট সোশ্যাল মিডিয়ায় আলোড়ন সৃষ্টি করেছে।

গত বুধবার রাত সাড়ে ১১টায় কনা তার ফেসবুক পেজে বিবাহবিচ্ছেদের ঘোষণা দিয়ে লিখেন, "জন্ম, মৃত্যু, বিয়ে—সবই আল্লাহর ইচ্ছায় ঘটে।" ঠিক এক ঘণ্টা পর রাত ১২টার দিকে ন্যান্সি তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে লেখেন, "জন্ম, মৃত্যু, বিয়ে-বিচ্ছেদ, এর সবই আল্লাহর ইচ্ছায় হয়—বাণীতে শেয়াল রাণী।"

ন্যান্সির এই 'শেয়াল রাণী' উক্তিটি সরাসরি কনাকে উদ্দেশ্য করে বলে ধারণা করছেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ব্যবহারকারীরা। বিশেষ করে কনার পোস্টের ভাষাকে হুবহু উদ্ধৃত করে এই মন্তব্য করায় বিতর্ক আরও ঘনীভূত হয়েছে।

এ প্রসঙ্গে গত বছরের একটি ঘটনাও সামনে আসছে। ২০২৩ সালের ১৪ জুলাই ন্যান্সি একটি শেয়ালের ছবি পোস্ট করেছিলেন, যা সে সময় কনাকে ইঙ্গিত করে করা হয়েছে বলে অনেকে মনে করেছিলেন। ওই সময় কনার 'দুষ্টু কোকিল' গানটি ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছিল।

যদিও দুই শিল্পীই কখনও প্রকাশ্যে একে অপর সম্পর্কে কোনো মন্তব্য করেননি, তবুও ন্যান্সির এই সাম্প্রতিক পোস্টকে অনেকেই কনার প্রতি পরোক্ষ আক্রমণ হিসেবে দেখছেন।

উল্লেখ্য, কনা ২০০০ সালে এবং ন্যান্সি ২০০৬ সালে সংগীতজগতে প্রবেশ করেন। ন্যান্সির এই মন্তব্যের পর দুই শিল্পীর মধ্যকার সম্পর্ক নিয়ে নেটিজেনদের মধ্যে জল্পনা শুরু হয়েছে।


বাদ পড়লেন ফারিণ, কে হচ্ছেন দেবের নায়িকা?

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বিনোদন ডেস্ক

গেল বছর থেকেই দেবের ‘প্রজাপতি ২’ সিনেমা নিয়ে আলোচনা তুঙ্গে। চলতি বছরের শুরুর দিকে ছবিটি নিয়ে ফের চর্চা শুরু হয়। তবে তখনও পর্যন্ত ছবিটি নিয়ে কোনো আপডেট ছিল না। অবশেষে জানা গেল, জুলাই থেকে শুরু হতে যাচ্ছে ছবিটির শুটিং। তবে শুরুর দিকে ‘প্রজাপতি ২’-তে দেবের নায়িকা হিসেবে তাসনিয়া ফারিণের নাম শোনা গেলেও এখন আর তিনি থাকছেন না। ভিসা জটিলতার কারণে বাদ পড়েছেন তিনি।

এবার ছবিটিতে দেবের নায়িকা হচ্ছেন ওপার বাংলার ছোট পর্দার অভিনেত্রী জ্যোতির্ময়ী কুণ্ডু। এমনটাই জানিয়েছে ভারতীয় গণমাধ্যম। জানা গেছে, গত মঙ্গলবার এক বৈঠকে ছবিটি নিয়ে প্রযোজক, পরিচালক ও অভিনেতার আলোচনা হয়েছে। অতনু-দেব-অভিজিৎ ঠিক করেছেন, কলকাতায় তারা প্রথম শুটিং শুরু করবেন। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে দেশের বাইরে শুটিং করবেন। অতনু রায় চৌধুরী প্রযোজিত ‘প্রজাপতি ২’ ছবিটি পরিচালনা করবেন অভিজিৎ সেন।


মনে হয়েছিল আত্মহত্যা করি: আশা ভোসলে

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বিনোদন ডেস্ক

প্রকাশিত হয়েছে কিংবদন্তি গায়িকা আশা ভোঁসলের বায়োগ্রাফি, আশা ভোঁসলে: আ লাইফ ইন মিউজিক। বইটি লিখেছেন রম্যা শর্মা।

এই জীবনীতে আশা ভোঁসলের ব্যক্তিগত জীবনের কিছু চমকপ্রদ তথ্য উঠে এসেছে, যা পড়ে বা জেনে অবাক হবেন অনেকেই।

বইটিতে তার স্বামী গণপতরাও ভোঁসলের সঙ্গে বিয়ে নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে, যিনি আশার থেকে ২০ বছর বড় ছিলেন। এই সম্পর্ক শেষ পর্যন্ত দুঃখ আর কষ্টে গিয়ে পৌঁছেছিল।

আশা ভোঁসলে লিখেছেন, ওদের পরিবার খুব রক্ষণশীল ছিল, তারা একটা গায়িকাকে পুত্রবধূ হিসেবে মেনে নিতে পারেনি।

স্বামীকে নিয়ে আশা বলেন, আমার স্বামীর মেজাজ খুব খারাপ ছিল। হয়তো তিনি কষ্ট দিতে ভালোবাসতেন, হয়তো তিনি স্যাডিস্ট ছিলেন। কিন্তু বাইরের কেউ এসব জানতে পারত না। আমি তাকে সবসময় সম্মান দিয়েছি, কখনো প্রশ্ন করিনি। আমি শুধু নিজের কর্তব্য পালন করতাম।

তিনি আরও বলেন, একবার আমার মনে হয়েছিল আত্মহত্যা করি। আমি তখন অসুস্থ ছিলাম। আমি চার মাসের গর্ভবতী ছিলাম এবং হাসপাতালে ভর্তি ছিলাম, যেখানে অবস্থা এত খারাপ ছিল যে মনে হয়েছিল আমি নরকে চলে এসেছি।

যোগ করে কিংবদন্তি এই গায়িকা বলেন, মানসিক যন্ত্রণায় ভুগছিলাম, তখন পুরো এক বোতল ঘুমের ওষুধ খেয়ে ফেলেছিলাম। কিন্তু আমার গর্ভের সন্তানের প্রতি ভালোবাসা এতটাই শক্তিশালী ছিল যে আমি মারা যাইনি। আমি আবার জীবনে ফিরে এসেছিলাম।


বেফাঁস মন্তব্য, এবার সুর বদল করলেন কাজল

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বিনোদন ডেস্ক

কাজল তার নতুন হরর সিনেমা ‘মা’-এর প্রচারের সময় আলটপকা মন্তব্য করে বিপাকে পড়েছিলেন। অভিনেত্রী একটি সাক্ষাৎকারে হায়দরাবাদের রামোজি ফিল্ম সিটিতে শুটিংয়ের অভিজ্ঞতা বলতে গিয়ে এটিকে ‘ভুতুড়ে জায়গা’ বলে অভিহিত করেছিলেন। তার এই বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়, বলাই বাহুল্য তার এই কথা অনেকেরই ভালো লাগেনি। সমালোচনার পর কাজল তার এক্স অ্যাকাউন্টে নতুন একটি পোস্টে সুর বদল করেন।

কাজলের বক্তব্য

নতুন বিবৃতিতে কাজল বলেন, ‘আমার ছবি ‘মা’-এর প্রচারের সময় রামোজি ফিল্ম সিটি নিয়ে আমার আগের মন্তব্য প্রত্যাহার করতে চাই। আমি রামোজি ফিল্ম সিটিতে একাধিক প্রকল্পের শুটিং করেছি এবং বছরের পর বছর ধরে সেখানে অনেকবার থেকেছি। আমি বরবারই চলচ্চিত্র নির্মাণের জন্য এটিকে পেশাদার জায়গা বলে মনে করেছি। দেখেছি অনেক পর্যটক এখনে ঘুরতে আসেন। এটি একটি দুর্দান্ত পর্যটন গন্তব্য; পরিবার ও শিশুদের জন্য একেবারে নিরাপদ।’

যেভাবে বিতর্ক

গালাট্টা ইন্ডিয়ার সঙ্গে একটি সাক্ষাৎকারে, কাজলকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল যে তিনি কখনো নেতিবাচক শক্তির অভিজ্ঞতা পেয়েছেন কি না।

তিনি বলেন, ‘আমার একাধিকবার এমন অভিজ্ঞতা হয়েছে। একে নেতিবাচক শক্তি বা যা-ই বলুন, কখনো কখনো, আপনি যখন কোনো জায়গায় যান, তখন আপনার মনে হয় যে কিছু ঠিক নেই। আমি এমন জায়গায় শুটিং করেছি, যেখানে আমি সারা রাত ঘুমাতে পারিনি, যেখানে আমার মনে হয়েছে যদি আমি এই জায়গা ছেড়ে যেতে পারি তবে ভালো হবে। এ রকম বেশ কয়েকটি জায়গা আছে। একটি প্রধান উদাহরণ হায়দরাবাদের রামোজি রাও স্টুডিও, যা বিশ্বের সবচেয়ে ভুতুড়ে জায়গাগুলোর মধ্যে একটি হিসেবে বিবেচিত হয়। যদিও আমি যথেষ্ট ভাগ্যবান যে কিছুই (ভূত) দেখিনি।’ ‘মা’ ২৭ জুন প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাবে। বিশাল ফুরিয়া পরিচালিত ছবির অন্যতম প্রযোজক কাজলের স্বামী অজয় দেবগন।


আমির না ধানুশ, কে কাকে টেক্কা দিলেন

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বিনোদন ডেস্ক

একদিকে মুক্তি পেয়েছে আমির খানের ‘সিতারে জমিন পর’ ছবি। অপর দিকে ধানুশ, নাগার্জুন আর রাশমিকা মান্দানার প্যান ইন্ডিয়া ছবি ‘কুবের’। এই দুই ছবির মুখোমুখি ‘সংঘাত’ হয়েছে। এদিকে কিছুদিন আগে মুক্তি পাওয়া অক্ষয় কুমারের ‘হাউসফুল ৫’ এখনো চলেছে। বক্স অফিসের দৌড়ে কোন ছবি এগিয়ে আর কোন ছবি পিছিয়ে, তা দেখে নেওয়া যাক।

গত শুক্রবার মুক্তি পেয়েছে আমির খান প্রযোজিত এবং অভিনীত ছবি ‘সিতারে জমিন পর’। আমির কোমর বেঁধে এই ছবির প্রচারণা করেছেন। ২০০৭ সালে আমিরের ব্লক বাস্টার ছবি ‘তারে জমিন পর’-এর সিকুয়েল এটি। ‘সিতারে জমিন পর’ ছবিটি স্প্যানিশ ছবি ‘চ্যাম্পিয়নস’-এর অফিশিয়াল রিমেক। এই ছবির মূল আকর্ষণ আমির ছাড়া ১০ জন নিউরোডাইভারজেন্ট ব্যক্তি। ‘সিতারে জমিন পর’ ছবিতে আমিরের সঙ্গে তারা পাল্লা দিয়ে অভিনয় করেছেন। আমিরের ছবিটি চিত্রসমালোচকদের পাশাপাশি সাধারণ দর্শকের মন জয় করেছে।

আর এস প্রসন্না পরিচালিত এই ছবির শুরুটা একটু ধীরগতিতে হয়েছিল। তবে গত শনি আর গত রোববার বক্স অফিসে বেশ ভালোই দাপট দেখিয়েছে আমিরের এই ছবি। ‘সিতারে জমিন পর’ বক্স অফিসের খাতা খুলেছিল ১০ কোটি দশমিক ৭ লাখ রুপি দিয়ে। ছবিটি মুক্তির দ্বিতীয় দিন; অর্থাৎ গত শনিবার ২০ কোটি ২ লাখ রুপি ব্যবসা করেছে। আর গত রোববার, মানে মুক্তির তৃতীয় দিনে ‘সিতারে জমিন পর’-এর আয়ের অঙ্ক ২৯ কোটি ২২ লাখ। স্পোর্টস কমেডি–ধর্মীর ছবিটির তিন দিনে মোট আয় ৬০ কোটি ১২ লাখ।

‘কুবের’

আমির খানের ‘সিতারে জমিন পর’ ছবির মুক্তির দিনেই ধানুশের ‘কুবের’ ছবিটি মুক্তি পেয়েছে। ‘কুবের’ মুক্তির প্রথম দিন বক্স অফিসের দৌড়ে আমিরের ছবিকে পেছনে ফেলে দিয়েছিল। এই ছবি ওপেনিং ডে-তে আয় করেছিল ১৪ কোটি ৭৫ লাখ রুপি। কিন্তু সপ্তাহান্তে বাজিমাত করেছে ‘সিতারে জমিন পর’। গত শনিবার ‘কুবের’ আয় করেছে ১৬ কোটি ৫ লাখ। আর রোববার ‘কুবের’ ব্যবসা করেছে ১৭ কোটি ৬২ লাখ। এখনো পর্যন্ত ধানুশ আর নাগার্জুন অভিনীত ছবিটি আয় করেছে প্রায় ৪৮ কোটি ৮৮ লাখ রুপি।

‘হাউসফুল ৫’

দুই সপ্তাহের বেশি সময় ধরে বক্স অফিস ধরে আছে অক্ষয় কুমার অভিনীত ছবি ‘হাউসফুল ৫’। তরুণ মনসুখানি পরিচালিত এই কমেডি ঘরানার ছবিতে অক্ষয় ছাড়া আছেন নানা পাটেকর, জ্যাকি শ্রফ, অভিষেক বচ্চন, সঞ্জয় দত্ত, রিতেশ দেশমুখ, শ্রেয়স তলপড়ে, চাঙ্কি পান্ডে, চিত্রাঙ্গদা সিং, জ্যাকুলিন ফার্নান্দেজ, নারগিস ফাখরিসহ আরও অনেকে। ‘হাউসফুল ৫’ ছবিটি মুক্তির তৃতীয় সপ্তাহান্তে কোটির বেশি আয় করেছে। গত শনিবার অক্ষয়ের ছবিটি ব্যবসা করেছিল ২ কোটি ৫ লাখ রুপি। মুক্তির তৃতীয় রোববার ছবিটি আয় করেছে ৩ কোটি ৩৫ লাখ রুপি। সব মিলিয়ে ‘হাউসফুল ৫’ পঞ্চম সিকুয়েলটি মুক্তির ১৭ দিন পর্যন্ত আয় করেছে ১৭৫ কোটি ৯৫ লাখ রুপি।


প্রেমিকের ‘দীর্ঘ তালিকা’ নিয়ে যা বললেন দীপিকা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বিনোদন ডেস্ক

অভিনেতা রণবীর কাপুরের সঙ্গে বিচ্ছেদের পর ভেঙে পড়েছিলেন বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী দীপিকা পাডুকোন। এর পর রণবীর সিংয়ের সঙ্গে পরিচয় হয় অভিনেত্রীর। ‘রামলীলা’ সিনেমায় অভিনয় করতে গিয়ে দুজনের সম্পর্কের সেতু তৈরি হয়। দীর্ঘ দিন সম্পর্কে থাকার পর ২০১৮ সালে বিয়ে করেন এ তারকা জুটি। বর্তমানে অভিনেত্রী রণবীর সিংয়ের ঘরনি। এক সন্তানের মা।

তবে একটা সময়ে দীপিকার প্রেমিকের তালিকাটা ছিল বেশ লম্বা। সম্প্রতি একটি গণমাধ্যমের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে সাবেক প্রেমিকদের প্রসঙ্গে কথা বলেন অভিনেত্রী।

দীপিকা পাডুকোনকে নিয়ে সিনেমা ইন্ডাস্ট্রিতে ঘটে গেছে অনেক কাহিনি। বিজয় মালিয়ার ছেলে সিদ্ধার্থ মালিয়ার সঙ্গে দীর্ঘ দিন সম্পর্কে ছিলেন অভিনেত্রী। পরে সে সম্পর্ক ভেঙে যায়। সেই সময় সিদ্ধার্থ মালিয়া এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন— সম্পর্ক ভাঙার পরও দীপিকার সঙ্গে তার সৌজন্যমূলক যোগাযোগ ছিল।

বলিপাড়ার ডিভা তিনি। কারণ ব্যক্তিগত জীবনের জন্য বারবার খবরের শিরোনামে উঠে আসেন অভিনেত্রী। ২০০৮ সালে ‘বাচনা অ্যায় হাসিনো’ সিনেমার সেটে রণবীর কাপুরের সঙ্গে প্রথম দেখা দীপিকার। সেই সিনেমার সেট থেকেই প্রেম শুরু অভিনেত্রীর। তবে সেই সম্পর্কও দীর্ঘস্থায়ী হয়নি তার। শোনা যায়, রণবীরই তার সঙ্গে প্রতারণা করেছিলেন।

এর আগে সিদ্ধার্থ মালিয়ার সঙ্গে বিচ্ছেদের পর রণবীরের সঙ্গে সম্পর্কে থাকাকালীনও দীপিকাকে তার প্রেমজীবন নিয়ে প্রশ্ন করা হয়। উত্তরে অভিনেত্রী বলেছিলেন— আমি লক্ষ করেছি, আমার সাক্ষাৎকারে অন্য বিষয় নিয়েই আলোচনা বেশি হয়।

দীপিকা আরও বলেছিলেন— আমার বড় হয়ে ওঠার ধরন সম্পূর্ণ ভিন্ন। বেঙ্গালুরুর খুবই সাধারণ ও সুরক্ষিত পরিবার থেকে এসেছি আমি। আমার বাবা-মা এবং অন্য যে কোনো সম্পর্কই খুব মজবুত। তাই বড় হওয়ার সময়ে বেশ ভালোবাসা পেয়েই বড় হয়েছি আমি। ভেতর থেকে নিজে খুবই সংবেদনশীল মানুষ বলেও দাবি করেন দীপিকা।


পেয়েছি অনেক, ভবিষ্যতে কী হবে জানি না: সাবিলা নূর

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বিনোদন ডেস্ক

গত রোববার সন্ধ্যা। ঘড়ির কাঁটা তখন সাড়ে সাতটা ছুঁইছুঁই। ঢাকার স্টার সিনেপ্লেক্স, সনি স্কয়ার-চলচ্চিত্রের আলো ঝলমলে এক সন্ধ্যা। ‘তাণ্ডব’ সিনেমার বিশেষ প্রদর্শনী ঘিরে জমেছে তারকামুখর আসর। অতিথিরা আসছেন একে একে। নির্ধারিত সময়ের আগেই সিনেমার কলাকুশলীরা হয়ে উঠেছেন উৎসবের অংশ। লাল টুকটুকে পোশাকে অপার সৌন্দর্যে হাজির সাবিলা নূর-এই ছবির কেন্দ্রীয় নারী চরিত্রে তার আবির্ভাব যেন এক নতুন সূর্যোদয়।

নির্মাতা রায়হান রাফি তখন সিনেমা হলে প্রবেশ করে অতিথিদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়ে ব্যস্ত। ঠিক এমন এক মুহূর্তে শাকিব খানকে ঘিরে দর্শকের কৌতূহল যখন তুঙ্গে, নির্মাতা রাফি সাবিলা নূরকে সঙ্গে নিয়ে প্রেস টেবিলের সামনে এসে দাঁড়ান। উপস্থিত সংবাদকর্মীদের দিকে এক হৃদয়গ্রাহী দৃষ্টিতে তাকিয়ে সাবিলা শুরু করেন তার অনুভবের গল্প।

‘এই সিনেমা আমার প্রথম বাণিজ্যিক ছবি। সেখানে নির্মাতা হিসেবে পেয়েছি রায়হান রাফিকে, আর সহশিল্পী হিসেবে পেয়েছি আমাদের চলচ্চিত্রের সবচেয়ে বড় তারকা, শাকিব খানকে। এটা আমার অভিনয়জীবনের অন্যতম সেরা প্রাপ্তি। শুটিংয়ের সময় এক মুহূর্তের জন্যও তিনি বুঝতে দেননি আমি নতুন, আমার প্রথম। বরং যে আন্তরিকতা, সহযোগিতা আর সম্মান পেয়েছি, তা আজীবন স্মৃতিতে থাকবার মতো।’

তবে এই আনন্দের ভেতরেও রয়েছে একটা ক্ষতের দাগ। মুক্তির এক সপ্তাহের মাথায় ‘তাণ্ডব’ সিনেমাটি পাইরেসির শিকার হয়। ভেতরে জমে থাকা ক্ষোভ প্রকাশ করে সাবিলা বলেন, ‘এই সময়টা আমাদের সিনেমার নবজাগরণের সময়। দেশের ভেতরে তো বটেই, বিদেশেও প্রশংসা কুড়োচ্ছে আমাদের ছবি। এমন একটা মুহূর্তে একটি মানসম্পন্ন চলচ্চিত্র যদি পাইরেসির শিকার হয়, তাহলে সেটা শুধু দুঃখজনক নয়, সাংস্কৃতিক অপরাধ। এই কাজ যারা করে, তারা শিল্পের শত্রু।’

কিছুটা আবেগের সঙ্গে যোগ করেন, ‘এই সিনেমা থেকে আমি অনেক কিছু পেয়েছি-ভালোবাসা, শিক্ষা, আত্মবিশ্বাস। ভবিষ্যতে কী হবে, জানি না। তবে চেষ্টার কোনো কমতি থাকবে না। ভালো গল্পের সঙ্গে থাকব, সৎ কাজ করে যেতে চাই। আর বাকিটা নির্ভর করছে দর্শকের ভালোবাসার ওপর। কারণ, ‘তাণ্ডব’-এ তারা আমাকে যেভাবে গ্রহণ করেছেন, সেটা হৃদয় ছুঁয়ে গেছে।’

শাকিব খানও পরে বক্তব্যে বিস্ময় ও ক্ষোভ মিলিয়ে বলেন, ‘সেই জাতি সবচেয়ে উন্নত, যারা সাংস্কৃতিক দিক থেকে এগিয়ে থাকে। আমাদের সিনেমা এগিয়ে যাচ্ছে, আর ঠিক তখনই এর পথ রুদ্ধ করার চেষ্টা হচ্ছে পাইরেসির মাধ্যমে। ‘বরবাদ’-এর ক্ষেত্রেও আমরা সেটা দেখেছি। ‘তাণ্ডব’-এর ক্ষেত্রে তো আরও আগেই ঘটেছে। তবু আমি কৃতজ্ঞ দর্শকদের কাছে- পাইরেসির পরেও তারা হলে গিয়ে সিনেমা দেখেছেন, দেখাচ্ছেন। এটা এক প্রকার সাংস্কৃতিক প্রতিরোধ। সিনেমাকে বাঁচাতে হলে সবাইকে সোচ্চার হতে হবে।’

প্রদর্শনীর আসরটি রূপ নেয় এক শিল্পী-সমাবেশে। উপস্থিত ছিলেন অভিনয়শিল্পী গাজী রাকায়েত, ফজলুর রহমান বাবু, এ কে আজাদ সেতু, সালাহউদ্দিন লাভলু, সুমন আনোয়ার, মুকিত জাকারিয়া ও সদ্য অভিষিক্ত নায়িকা সাবিলা নূর।

এ ছাড়া সন্ধ্যাকে সৌন্দর্যময় করে তুলতে উপস্থিত ছিলেন অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধন, দীপা খন্দকার, তমা মির্জা, মন্দিরা চক্রবর্তী, সংগীতশিল্পী দিলশাদ নাহার কনা, জেফার রহমান এবং নির্মাতা চয়নিকা চৌধুরীসহ আরও অনেকে।


মৌসুমী, ফারিয়া, সাবিলাদের ব্যাংক হিসাব জব্দ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বিনোদন ডেস্ক

কর ফাঁকি দেওয়ার কারণে বেশ কয়েকজন তারকা শিল্পীদের ব্যাংক হিসাব জব্দ করতে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। সেই তালিকায় আছেন চিত্রনায়িকা মৌসুমী, চিত্রনায়ক বাপ্পারাজ, চিত্রনায়িকা নুসরাত ফারিয়া, সাবিলা নূর।

মোট ২৫ জনের ব্যাংক হিসাব জব্দ করা হয়েছে- এই মর্মে একটি নোটিশও প্রকাশ করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। তারকাদের ঠিকানায় চিঠিও প্রেরণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন এনবিআর ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা।

গণমাধ্যমকে তিনি বলেন, ‘সময়মতো কর পরিশোধ না করায় বেশ কয়েকজন তারকার ব্যাংক হিসাব জব্দ করা হয়েছে। এরই মধ্যে বেশ কয়েকজন তাদের কর পরিশোধ করেছেন। কয়েকজন সময় নিয়েছেন। কর পরিশোধ হলেই ব্যাংক হিসাবে সব ঝামেলা মিটে যাবে।’ কর অঞ্চল-১২’র সহকারী কর কমিশনার কাজী রেহমান সাজিদ মন স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে ২৫ জনের তালিকায় উপরোল্লেখিত নাম ছাড়াও রয়েছেন অভিনেতা আহমেদ শরীফ, শবনম পারভীন, নুসরাত ইয়াসমিন তিশাও।


একসঙ্গে সিনেমায় অভিনয় করতে চান ফারিণ, সাবিলা ও মেহজাবীন

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বিনোদন ডেস্ক

২০২৪ সালে বলিউডে মুক্তি পাওয়া ‘ক্রু’ সিনেমায় একসঙ্গে দেখা গিয়েছিল তিন জনপ্রিয় অভিনেত্রী টাবু, কারিনা কাপুর ও কৃতি শ্যাননকে। বিমানবালাদের জীবনের কঠিন সংগ্রামের কাহিনী নিয়ে নির্মিত সিনেমাটি সেসময় বেশ আলোচিত হয়েছিল। পর্দায় তিন অভিনেত্রীর উপস্থিতি ভালোই প্রশংসা কুড়িয়েছিল সিনেবোদ্ধাদের। বাংলাদেশে এমন গল্প পেলে সিনেমায় একসঙ্গে অভিনয়ের আগ্রহের কথা জানিয়েছেন সম্প্রতি রুপালি পর্দায় পা রাখা ছোটপর্দার জনপ্রিয় দুই অভিনেত্রী সাবিলা নূর ও তাসনিয়া ফারিণ। সঙ্গে যুক্ত করতে চান আরেক বন্ধু অভিনেত্রী মেহজাবীন চৌধুরীকে।

মেহজাবীন চৌধুরী, সাবিলা নূর ও তাসনিয়া ফারিণ- তিনজনেরই ক্যারিয়ার শুরু হয়েছে টিভি নাটক দিয়ে। ভিন্ন সময়ে নাটকে কাজ শুরু করলেও বড় পর্দায় তাদের অভিষেক কাছাকাছি সময়ে। বাস্তব জীবনেও তিনজনের মধ্যে রয়েছে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক। অবসরে প্রায়ই একসঙ্গে সময় কাটাতেও দেখা যায় তাদের। দেশের বাইরেও একসঙ্গে ঘুরতে যান। তাদের বন্ধুত্বের এই রসায়ন পর্দায়ও ভালো লাগবে বলে বিশ্বাস সাবিলা ও ফারিণের।

এ প্রসঙ্গে তাসনিয়া ফারিণ বলেন, ‘বলিউডের ‘ক্রু’ সিনেমাটি দেখে মনে হয়েছিল, আমরা যদি এ রকম একটা প্রজেক্ট করতে পারি, তাহলে খুব ভালো হয়। খুব মজা করে কাজ করতে পারব।’ ফারিণের সঙ্গে একমত প্রকাশ করে সাবিলা নূর বলেন, ‘আমাদের খুব বেশি দেখা হয়, তা নয়। কিন্তু যখনই দেখা হয়, আড্ডা দিতে দিতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা চলে যায়। সে সময় আমরা কাজ নিয়ে ভাবিও না। আমরা নায়িকা- এই জিনিসটা আমাদের মাথায় থাকেই না।’

এই ঈদে প্রথমবার সাবিলা ও ফারিণকে পাওয়া গেছে বাণিজ্যিক ঘরানার সিনেমায়। রায়হান রাফীর ‘তাণ্ডব’ সিনেমায় শাকিব খানের সঙ্গে ছিলেন সাবিলা, অন্যদিকে সঞ্জয় সমদ্দারের ‘ইনসাফ’ সিনেমায় ফারিণকে দেখা গেছে শরিফুল রাজের সঙ্গে। সিনেমার প্রমোশনে ব্যস্ত সময় পার করেছেন। একসঙ্গে টিভি অনুষ্ঠানে গেছেন নিজেদের সিনেমা নিয়ে কথা বলতে। সেখানেই একসঙ্গে অভিনয়ের ইচ্ছার কথা জানালেন তারা।


‘আমরা সিনেমা বানাচ্ছি, যুদ্ধ করছি না...’

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বিনোদন ডেস্ক

বলিউডের ‘অক্টোবর’ ছবিতে বরুণ ধাওয়ানের সঙ্গে অসাধারণ অভিনয় করে লাইমলাইটে এসেছিলেন অভিনেত্রী বনিতা সান্ধু। এবার বলিউডের আরেক অভিনেত্রী দীপিকা পাড়ুকোনের হয়ে কথা বলে আরও একবার খবরের শিরোনামে এলেন বনিতা।

মূলত, দীপিকার ৮ ঘণ্টা শিফটের কাজ নিয়ে মুখ খুলেছেন অভিনেত্রী বনিতা সান্ধু। এর আগে সন্দ্বীপ রেড্ডি ভাঙ্গার ছবি ‘স্পিরিট’ থেকে দীপিকার বেরিয়ে যাওয়ার অন্যতম কারণ ছিল- মাতৃত্বকালীন সময়ে ৮ ঘণ্টার বেশি কাজ করবেন না দীপিকা। অন্যদিকে দীপিকার এই কথা মেনে নিতে রাজি ছিলেন না পরিচালক, ফলে তৈরি হয় মতবিরোধ এবং ফলস্বরূপ ছবি থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন অভিনেত্রী। তবে ব্যাপারটা এখানেই থেমে যায়নি। দীপিকার চাহিদার কথা শুনে দীপিকার পাশে এসে দাঁড়ান একাধিক পরিচালক, প্রযোজক এবং অভিনেতা অভিনেত্রী। কাজল থেকে অজয় দেবগন, রাধিকা আপ্তে থেকে দক্ষিণ সুপারস্টার রানা, সকলেই নিজেদের মন্তব্য রেখেছেন এই বিষয়টিতে। এবার প্রসঙ্গে কথা বলতে শোনা গেল বনিতা সান্ধুকে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সম্প্রতি স্ক্রিনের সঙ্গে একটি আড্ডা চলাকালীন বনিতা বলেন, ‘এটি সত্যি ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। পশ্চিমের দেশগুলোতে এই বিষয়ে একটি শক্তিশালী ইউনিয়ন থাকে, যারা এইসব বিষয়গুলো দেখাশোনা করেন। আমি সব সময় প্রত্যেকের জন্যই ১২ ঘণ্টা কাজের পক্ষে। আমরা সিনেমা বানাচ্ছি কোনো যুদ্ধ করছি না, তাই মানসিক স্বাস্থ্যকে বিসর্জন দেওয়া উচিত নয় বলেই আমি মনে করি।’

বনিতা আরও বলেন, ‘আমার যখন ক্যারিয়ার শুরু হয় তখন সত্যি এই ব্যাপারগুলো বুঝতে পারতাম না, আমার মনে হতো এটাই কাজ করার একমাত্র উপায়। ১৬ থেকে ১৮ ঘণ্টা কাজ করতাম। প্রযোজকরা যেমন বলতেন তেমনি করতাম। এমনও হয়েছে যখন টানা ২৪ ঘণ্টা ঘুমাইনি আমি। কিন্তু পরবর্তীকালে আমার মনে হয় যেন এটা ঠিক নয়।’

অভিনেত্রী বলেন, ‘আমি যখন প্রযোজকদের বলেছিলাম এই ব্যাপারটি নিয়ে তখন তাদের চোখে আমি খারাপ হয়ে যাই। কিন্তু তাতে আমার কিছু এসে যায় না। যেটা ঠিক বলে মনে করেছি আমি সেটাই বলেছি। প্রত্যেকটি মানুষের বিশ্রাম এবং ঘুমের দরকার আছে। কাজের পাশাপাশি নিজের দিকেও খেয়াল রাখতে হবে সকলকে।’

অক্টোবর ছবি প্রসঙ্গে অভিনেত্রী বলেন, ‘অক্টোবর সিনেমায় যখন অভিনয় করতাম তখন আমি পুরোপুরি ভারতে ছিলাম না। আমি কাজ করতে আসতাম আবার চলে যেতাম। তখন আমি লন্ডনে একটি কলেজে পড়াশোনা করতাম। তবে অনেকেই ভেবেছিলেন আমি হয়তো বিদেশে চলে গিয়েছিলাম কিন্তু আবার দেশে ফিরে এসেছি কাজের জন্য, ব্যাপারটা একেবারে সেটা নয়। আমি কখনওই দূরে যাইনি। আমি সব সময় কাজের মধ্যে ছিলাম, কিন্তু ভিন্ন দেশে।’

সবশেষে অভিনেত্রী বলেন, ‘অক্টোবর ছবির মুক্তির পর আমি স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করি এবং হলিউডের এবং সাউথ ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে অন্তত তিনটি ছবিতে কাজ করেছি। অক্টোবর ছবি সাফল্যের পর অনেকেই আমায় বলেছিলেন, আমরা ভেবেছিলাম তোমাকে ছবিতে নেব কিন্তু তুমি কোথায় ছিলে আমরা জানতাম না। ব্যাপারটা ঠিক এরকমই, আউট অফ সাইট, আউট অফ মাইন্ড।’


রীতেশ নয়, জন আব্রাহামের সঙ্গে বিয়ে? মুখ খুললেন জেনেলিয়া

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বিনোদন ডেস্ক

বলিউড তারকাদের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে ভক্ত-অনুরাগীদের কৌতূহলের শেষ নেই। সেই ধারাবাহিকতায় এবার আলোচনায় এসেছেন অভিনেত্রী জেনেলিয়া ডি’সুজা। অভিনেতা রীতেশ দেশমুখের সঙ্গে ১৩ বছরের সংসার সুখের হলেও সম্প্রতি এক বিস্ফোরক গুঞ্জন ছড়িয়েছে। বলিউডপাড়ায় শোনা যাচ্ছে—রীতেশের আগে নাকি জন আব্রাহামের সঙ্গেও বিয়ের বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন জেনেলিয়া!

এই গুঞ্জন নিয়ে সম্প্রতি মুখ খুলেছেন অভিনেত্রী নিজেই। জানালেন, ‘ফোর্স’ ছবির (২০১১) শুটিংয়ের সময় এমন ঘটনা ঘটেছিল, যেখানে তার বিপরীতে ছিলেন জন আব্রাহাম। ছবির চিত্রনাট্য অনুযায়ী সেখানে বিয়ের দৃশ্য ছিল, যা রীতিমতো প্রকৃত বিয়ের মতোই ধারণ করা হয়েছিল। কারণ, ওই দৃশ্যে সত্যিকারের ব্রাহ্মণ পুরোহিত, মন্ত্রপাঠ, মাল্যদান, মঙ্গলসূত্র পরানো এবং সাতপাক ঘোরার দৃশ্য দেখানো হয়েছিল।

এই কারণেই হয়তো অনেকে ভেবেছেন সেটি বাস্তব বিয়ে ছিল। তবে অভিনেত্রীর দাবি, ‘আমরা মোটেও বিয়ে করিনি। এর কোনো সত্যতা নেই। এটা পুরোপুরি গুজব। আমার মনে হয়, এসব তথ্য যারা ছড়িয়েছে তাদের পিআর টিমকে জিজ্ঞাসা করা উচিত।’

উল্লেখ্য, রীতেশ দেশমুখ ও জেনেলিয়া ডি’সুজা বলিউডের অন্যতম সুখী দম্পতি। ২০১২ সালে বিয়ের পর থেকেই কাজ ও সংসারের ভারসাম্য বজায় রেখে এগিয়ে চলেছেন তারা। দুই সন্তানের এই মা-অভিনেত্রী এখনো বি-টাউনের আলোচিত মুখ।


banner close