কয়েক দিন আগেই শেষ হলো ৪৫তম বিসিএসের আবেদনের সময়। এবার প্রস্তুতি নেয়ার পালা। বৃহৎ চাকরির বাজারের এই পরীক্ষায় এবার বসবেন প্রায় ৩ লাখ ১৮ হাজার পরীক্ষার্থী। এতে ২ হাজার ৩০৯ জন ক্যাডারের মধ্যে সবচেয়ে বেশি নিয়োগ হবে চিকিৎসায়। প্রিলিমিনারি, লিখিত ও ভাইভা এই তিন ধাপে হয় বিসিএস। প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় ১০টি বিষয়ের ওপর ২০০ নম্বরের এমসিকিউ প্রশ্ন হয়ে থাকে। বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষার বিষয়ভিত্তিক প্রস্তুতির আদ্যোপান্ত নিয়ে বিস্তারিত জানিয়েছেন ৩৮তম বিসিএসে শিক্ষা ক্যাডারপ্রাপ্ত (ইংরেজি, মেধাক্রম দ্বিতীয়) মো. মুহিবুর রহমান
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য (৩৫ নম্বর)
ব্যাকরণ অংশ (১৫ নম্বর): ব্যাকরণে অনেক সময় কিছু আনকমন প্রশ্ন থাকে। ‘দেশের যত নদীর ধারা জল না, ওরা অশ্রুধারা’ এই উক্তিটি নিচের কোন পারিভাষিক অলংকার ধারা শোভিত? (৪৪তম বিসিএস) এমন প্রশ্ন নিয়ে আপনার খুব বেশি চিন্তাভাবনা করতে হবে না। অনায়াসেই বাদ দিতে পারেন। কারণ অনেক পরীক্ষাথী-ই এর উত্তর করতে পারবে না। কিন্তু যেগুলো অনেকেই পারবে এমন কোনো প্রশ্ন ভুল করা যাবে না। ‘নিচের কোনটি নিপাতনে সিদ্ধ সন্ধি?’ ‘কোনটি ধ্বনি বিপর্যয়ের দৃষ্টান্ত?’ এ রকম প্রশ্নে ভুল করা মানেই পিছিয়ে যাওয়া। বাংলা ব্যাকরণ অংশের জন্য নবম-দশম শ্রেণির বোর্ড ব্যাকরণ বই, সঙ্গে জর্জ এমপিথ্রি বা অগ্রদূত পড়া যায়। বেশি গুরুত্ব দিতে হবে বানান ও বাক্যশুদ্ধি, ধ্বনি, শব্দ, প্রত্যয়, সমাস অধ্যায়ে। এ ছাড়া সমার্থক ও বিপরীত শব্দ, সন্ধি, ধাতু, পদ-প্রকরণ, বাগধারা, প্রয়োগ-অপপ্রয়োগ এবং পারিভাষিক শব্দ ইত্যাদি ভালো করে পড়ে যেতে হবে।
বাংলা সাহিত্য (২০ নম্বর)
বাংলা সাহিত্যের সঙ্গে পরিচয় আমাদের নতুন নয়। ছোটবেলা থেকেই সবাই সাহিত্য পড়ে এসেছেন। জীবনের নানা পর্যায়ে আহরিত জ্ঞান এখানে বেশি কাজে লাগবে। এসএসসি ও এইচএসসি সিলেবাসের সাহিত্যকর্ম ও লেখকদের গুরুত্ব বেশি। চর্যাপদ থেকে প্রতি বিসিএসেই প্রশ্ন থাকে। খুব গভীর থেকে প্রশ্ন না করলে এখানে ভুল হওয়ার মতো কিছু নেই। মধ্যযুগ ভালো করে পড়তে হবে। আধুনিক যুগের মধ্যে প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে প্রশ্ন হবে এবং কবি-সাহিত্যিকদের মধ্যে পিএসসির নির্বাচিত ১১ জন কবি-সাহিত্যিক; ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, কাজী নজরুল ইসলাম, জসীমউদ্দীন, বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, মাইকেল মধুসূদন দত্ত, মীর মশাররফ হোসেন, দীনবন্ধু মিত্র, রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন, কায়কোবাদ ও ফররুখ আহমেদ গুরুত্বপূর্ণ। এ ছাড়া ভাষাবিদ ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্, মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়, জহির রায়হান ও বাংলা সাহিত্যে পঞ্চপাণ্ডব সম্পর্কে পড়তে হবে। বিভিন্ন বাংলা সংবাদপত্রের সম্পাদক, ভাষা আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সাহিত্য ও চলচ্চিত্র গুরুত্বপূর্ণ।
ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্য (৩৫ নম্বর)
গ্রামার অংশ (২০ নম্বর): এই অংশের জন্য জোর দিতে হবে Preposition, Verb, Noun, Number, Determiner, Idioms & Phrases, Corrections, Meanings টপিকগুলোতে। তা ছাড়া pronoun, adjective, Verb, Gender, Clauses, Synonyms Antonyms, Spellings, Voice থেকেও প্রশ্ন হয়। পাশাপাশি নিয়মিত ভোকাবুলারি চর্চা জরুরি। এ জন্য Oxford Dictionary অথবা Longman Dictionary of Contemporary English অনুসরণ করে শব্দের শেষে জুড়ে দেয়া বাক্যগুলো অর্থ ও গঠন বুঝে বুঝে পড়লে ইংরেজির অনেক সমস্যা কেটে যাবে। অনেক সময় বাক্যগুলো হুবহু কমন আসে। 'Women’s employment opportunities are often severely constrained by family commitments.' (৩৫তম বিসিএস) প্রশ্নটি Longman Dictionary থেকে এসেছিল। এ ছাড়া ইংরেজির ক্ষেত্রে Cliff's TOEFL এবং Common Mistakes in English বই দুটি পড়া জরুরি।
ইংরেজি সাহিত্য (১৫ নম্বর): স্কুল-কলেজে না পড়ে আসায় এটি অনেকের কাছেই নতুন। কিন্তু কিছু নির্দিষ্ট জায়গা থেকে সব সময়ই প্রশ্ন হয়। বিভিন্ন বিখ্যাত সাহিত্যকর্মের Quotations, Renaissance Period, Romantic Period, Victorian Period, Modern Period, Literary Terms (Simile, Metaphor, hyperbole, irony, paradox etc), Important Characters গুরুত্বপূর্ণ। লেখকদের মধ্যে William Shakespeare, Cristopher Marlowe, Ben Jonson, Jon Milton, Jonathon Swift, Alexander Pope, William Wordsworth, S.T. Coleridge, P B Shelley, John Keats, Charles Dickens, Alferd Lord Tennyson, Robert Browning, George Bernard Shaw, W B Yeats, T S Eliot & Ernest Hemingway অবশ্যই পড়তে হবে।
বাংলাদেশ বিষয়াবলি (৩০ নম্বর)
প্রাচীনকাল থেকে সমসাময়িক কাল, বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের ইতিহাস (১৯৪৭-১৯৭১), মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা, বাংলাদেশের সংবিধান, বাংলাদেশের জনসংখ্যা, শস্য উৎপাদন, শিল্প, কৃষিসম্পদ, জনসংখ্যা, শিল্প ও বাণিজ্য, অর্থনীতি, রাজনৈতিক ব্যবস্থা, বাংলাদেশের সরকারব্যবস্থা, জাতীয় অর্জন, মুক্তিযুদ্ধের স্থাপনা ও সাম্প্রতিক ঘটনা, জাতীয় অর্জন ইত্যাদি গুরুত্বপূর্ণ। এ ছাড়া নবম-দশম শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় বই দেখতে হবে। সংবিধান, অর্থনৈতিক সমীক্ষা, একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির পৌরনীতি সুশাসন দ্বিতীয় পত্র এবং যেকোনো গাইড বই ভালো অনুষঙ্গ হতে পারে। সঙ্গে নিয়মিত পত্রিকা পড়লে অনেক প্রশ্নের উত্তর সহজেই করা যায়।
আন্তর্জাতিক বিষয়াবলি (২০ নম্বর)
গুরুত্ব দিতে হবে সাম্প্রতিক ঘটনাপ্রবাহ, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক ব্যবস্থা, বিভিন্ন প্রণালি, আইনসভা, রাজধানী, মুদ্রা, চুক্তি-সনদ-সম্মেলন, জাতিসংঘ, জলবায়ু ও পরিবেশ সম্পর্কিত বিষয়াবলির মতো অধ্যায়ে। বিশ্বের সাতটি মহাদেশের ভূরাজনৈতিকভাবে বিভিন্ন দেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থান ও অঞ্চলগুলোর অবস্থান সম্পর্কে সম্যক ধারণা রাখতে হবে। পাশাপাশি রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, শ্রীলঙ্কা, আফগানিস্তান, ফিলিস্তিন-মিয়ানমার, চীন-তাইওয়ান এবং বিশ্ব রাজনীতির যেকোনো সাম্প্রতিক বিষয় পরীক্ষায় আসতে পারে। বিভিন্ন সংস্থা ও সংগঠন (জাতিপুঞ্জ, জাতিসংঘ, WHO, UNDP, ILO, WORLD BANK, IMF, WTO, OIC, GCC, AU, Arab Legue, ASEAN, SAARC, BIMSTEC etc) প্রতিষ্ঠানগুলোর হেড অফিসের অবস্থান, কার্যাবলি, গঠন ও সদস্য ইত্যাদি সম্পর্কে ধারণা নিয়ে যেতে হবে। পাশাপাশি নিয়মিত পত্রিকা পড়তে হবে। চোখ-কান খোলা রেখে পরীক্ষা দিলে ভালো নম্বর উঠবে।
সাধারণ বিজ্ঞান (১৫ নম্বর)
এই অংশে বিগত বছরের বিসিএস ও নন-ক্যাডার পরীক্ষার প্রশ্নগুলোই রিপিট হয়। গুরুত্বের বিবেচনায় ভৌতবিজ্ঞানের স্থির ও চলতড়িৎ, অ্যাটম, অ্যাসিড, ক্ষার, ধাতব, জারণ-বিজারণ। জীববিজ্ঞানের ভাইরাস-ব্যাকটেরিয়া, খাদ্য, পুষ্টি ও ভিটামিন। আধুনিক বিজ্ঞানের বায়ুমণ্ডল, রোগ ইত্যাদি অধ্যায় অবশ্যই ভালো করে পড়তে হবে। বিজ্ঞানে জব সল্যুশন থেকে অনেক প্রশ্নই হুবহু কমন আসে। অষ্টম শ্রেণির আগের সিলেবাসের সাধারণ বিজ্ঞান, নবম-দশম শ্রেণির সাধারণ বিজ্ঞান, রসায়ন, পদার্থ ও জীববিজ্ঞান বই থেকে বিসিএস সিলেবাস-সম্পর্কিত চ্যাপ্টারগুলো পড়তে হবে। পাশাপাশি ভালো মানের একটি গাইড বই পড়া উচিত।
ভূগোল, পরিবেশ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা (১০ নম্বর)
বাংলাদেশের ভৌগোলিক ও অঞ্চলভিত্তিক অবস্থান, সম্পদ ও গুরুত্ব, পরিবেশ ও প্রকৃতি, আবহাওয়া ও জলবায়ু, প্রাকৃতিক দুর্যোগের ধরন ও প্রকৃতি, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ইত্যাদি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। নবম-দশম শ্রেণির ভূগোল ও পরিবেশ বই থেকে মহাবিশ্ব ও আমাদের পৃথিবী, পৃথিবীর বাহ্যিক ও অভ্যন্তরীণ গঠন, বায়ুমণ্ডল, বারিমণ্ডল, বাংলাদেশের ভৌগোলিক বিবরণ এবং বাংলাদেশের প্রাকৃতিক দুর্যোগ এই চ্যাপ্টারগুলো ভালো করে পড়তে হবে। এখান থেকে হুবহু অনেক প্রশ্ন কমন আসে। এ ছাড়া বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক মানচিত্র সম্পর্কে ভালো ধারণা থাকলে সুবিধা হয়।
গাণিতিক যুক্তি (১৫ নম্বর)
সূচক ও লগারিদম, সামন্তর ও গুণোত্তর ধারা, অসমতা, বীজগাণিতিক সূত্রাবলি, সেট, বিন্যাস সমাবেশ, রেখা কোণ ত্রিভুজ চতুর্ভুজ, শতকরা, পরিমিতি অধ্যায়গুলো গুরুত্ব বিবেচনায় বারবার দেখতে হবে। নবম-দশম শ্রেণির সাধারণ গণিত বইটির পাশাপাশি নবম-দশম শ্রেণির উচ্চতর গণিত বই থেকে সিলেবাস অন্তর্ভুক্ত অধ্যায়গুলো দেখতে হবে। যেমন- সরল ও দ্বিপদী অসমতা, সম্ভাব্যতা, সেট ও সূচক এবং লগারিদম দেখতে হবে। এ ছাড়া কোনো গাইড বই থেকে লাভ-ক্ষতি, লসাগু-গসাগু, শতকরা, সরল ও যৌগিক মুনাফাবিষয়ক চ্যাপ্টারগুলো ভালো করে দেখতে হবে। এ ছাড়া গাইড বই থেকে সিলেবাস সম্পূর্ণ করে যাবেন।
মানসিক দক্ষতা (১৫ নম্বর)
মানসিক দক্ষতা অংশে একজন প্রার্থীর যুক্তিবোধ, মানসিকতা ও সিদ্ধান্ত গ্রহণের সক্ষমতা যাচাই করা হয়। নিয়মিত অনুশীলন করলে দক্ষ হওয়া যায়। এই অংশে সাধারণত বিগত বিসিএস প্রিলিমিনারি ও লিখিত পরীক্ষার প্রশ্নগুলো রিপিট আসে। বাজারের গাইড বই থেকে গত বিভিন্ন প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার প্রশ্ন অনুশীলন করতে হবে। এই অংশে নিজস্ব কমনসেন্স কাজে লাগালে ভালো করা যায়।
কম্পিউটার ও তথ্যপ্রযুক্তি (১৫ নম্বর)
কম্পিউটার অংশের জন্য ১০ ও তথ্যপ্রযুক্তির জন্য ৫ নম্বর থাকে। কম্পিউটারের অঙ্গসংঘটন, কম্পিউটার পেরিফেরালস, কম্পিউটারের নম্বর ব্যবস্থা, ইন্টারনেট, তথ্য যোগাযোগ ও কম্পিউটার নেটওয়ার্ক, স্মার্টফোন অধ্যায়গুলো গুরুত্বপূর্ণ। কম্পিউটার অংশের জন্য একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির ড. মাহবুবুর রহমানের কম্পিউটার বইটি এবং তথ্যপ্রযুক্তি অংশের জন্য প্রকৌশলী মুজিবুর রহমানের একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির কম্পিউটার বইগুলো পড়া যায়। গাইড বই ও জব সল্যুশন থেকে বিগত বিসিএস, ব্যাংক ও নন-ক্যাডার প্রশ্নগুলো অনুশীলন করলে কমন পাওয়া যায়।
নৈতিকতা, মূল্যবোধ ও সুশাসন (১০ নম্বর)
মূল্যবোধ শিক্ষা ও সুশাসনের সংজ্ঞা, উপাদান, বিভিন্ন উক্তি, বইয়ের নাম ইত্যাদি দেখে যেতে হবে। জব সল্যুশন থেকে অনেক প্রশ্ন কমন পড়ে। আবার প্রত্যেকবারই না পারার মতো কিছু প্রশ্ন আসে। এগুলো নিয়ে বেশি মাথা ঘামানো যাবে না। একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির মোজাম্মেল হক স্যারের পৌরনীতি ও সুশাসন বইয়ের সিলেবাস-সম্পর্কিত চ্যাপ্টারগুলো পড়তে হবে। যেমন- সুশাসন, মূল্যবোধ, আইন স্বাধীনতা ও সাম্য, ই-গভর্ন্যান্স ও সুশাসন, নাগরিকের অধিকার ও কর্তব্য এবং মানবাধিকার। এগুলো ভালোভাবে পড়ে যেতে হবে।
গ্রন্থনা: আনিসুল ইসলাম নাঈম
এক বছর ধরে বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত রয়েছেন টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলার বামনহাটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষিকা মোমেনা সুলতানা। ৪ দফায় নেয়া ছুটি কাটিয়ে শেষে বিদ্যালয়ে যোগদান না করায় তার বিরুদ্ধে কোনো ধরণের ব্যবস্থাও নেয়নি কর্তৃপক্ষ।
বিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারির ১ থেকে সেপ্টেম্বরের ২১ তারিখ পর্যন্ত অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে তিন দফায় ছুটির আবেদন করেন। গত সেপ্টেম্বর মাস থেকে চলতি মাস পর্যন্ত একদিনও বিদ্যালয়ে আসেননি তিনি। এ নিয়ে গত ৩০ নভেম্বর বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক এক চিঠির মাধ্যমে উপজেলা শিক্ষা অফিস বরাবর তার অনুপস্থিতির বিষয়টি জানান। এরমধ্যে তিন দফার ছুটি শেষে দীর্ঘদিন সে বিদ্যালয়ে যোগদান না করায় তাকে গত বছরের ২৭ ডিসেম্বর কারণ দর্শানোর নোটিশ দেন জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার। ওই নোটিশে ৭ দিনের মধ্যে তার কাছে লিখিত জবাব চাওয়া হয়। অন্যদিকে বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা মোমেনা সুলতানাকে একাধিকবার মোবাইল ফোনে কল করে তার মোবাইল নাম্বারটি বন্ধ পাওয়া যায়।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘গত বছর ১ ফেব্রুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত শারীরিক অসুস্থতা দেখিয়ে তিন দফায় ছুটি ভোগ করেন। পরবর্তী চলতি বছর আজ বুধবার ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত তিনি অনুপস্থিত থাকেন। এর মধ্যে তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হলেও তিনি তার কোনো জবাব দেননি। চলতি মাসের ১৫-১৬ দিন আগে তাকে বিদ্যালয়ে যোগদানের কথা বলা হলেও তিনি বিদ্যালয়ে যোগদান করেননি।’
বিদ্যালয়ের সভাপতি রমজান আলী বলেন, ‘মোমেনা সুলতানা এক বছরে নানা অজুহাতে তিন দফায় ছুটির আবেদন করেছেন। শুনেছি চতুর্থ বারের মতো ফের ছুটির আবেদন করেছেন। এতে তিনি ছুটি পাননি। বর্তমানে তিনি পলাতক রয়েছেন বলে জানা যায়। তিনি বিদ্যালয়ে না আসায় শিক্ষার্থীরা ভোগান্তির শিকার হচ্ছে। তার বিরুদ্ধে জরুরি ব্যবস্থা নেয়া প্রয়োজন।’
উপজেলা শিক্ষা অফিসার এম.জি মাহমুদ ইজদানী বলেন, ‘মোমেনা সুলতানা অসুস্থতার জন্য গত বছর তিন দফায় ছুটির আবেদনের পর আবারও চতুর্থ দফায় চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ছুটির আবেদন করেছেন। বিষয়টি জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা বরাবর পাঠানো হয়েছে।’
এ ব্যাপারে টাঙ্গাইল জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার সুব্রত কুমার বণিক বলেন, ‘ওই শিক্ষিকার বিষয়ে অবগত রয়েছি। তার বিরুদ্ধে দ্রুত প্রশাসনিকভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
পাঁচটি পদে মোট ২৪ জনকে নিয়োগ দিচ্ছে ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ)। অস্থায়ীভাবে রাজস্ব খাতে লোকবল নিয়োগের জন্য সম্প্রতি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে ডিটিসিএ।
পদের নাম ও পদসংখ্যা
১. ব্যক্তিগত সহকারী-৫
২. কম্পিউটার অপারেটর-১০
৩. স্টোর কিপার-১
৪. অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক-৫
৫. ড্রাফটসম্যান (অটোক্যাড অপারেটর)-৩
যোগ্যতা
বিজ্ঞপ্তি অনুসারে যারা পদগুলোয় যোগ্যতা পূরণ করতে পারবেন তারা আবেদন করতে পারবেন অনলাইনে। যোগ্যতাসহ সব রকম নিয়মকানুন জানে এই লিংক থেকে http://dtca.teletalk.com.bd/docs/DTCA_circular_20230731_up.pdf বিজ্ঞপ্তির পিডিএফ ফাইলটি নামিয়ে নিতে পারবেন। প্রত্যেক পদে আবেদনের যোগ্যতা, অভিজ্ঞতা এবং বয়সসীমার শর্তাবলি জানা যাবে এই বিজ্ঞপ্তিতে।
আবেদনের সময়সীমা
আবেদন পূরণ শুরু হয়েছে ৩১ জুলাই। আবেদনের শেষ তারিখ ২০ আগস্ট-২০২৩।
বয়স
আবেদনকারীর বয়স ১৮ থেকে ৩০ (১ জুলাই ২০২৩ পর্যন্ত) বছরের মধ্যে হতে হবে। তবে মুক্তিযোদ্ধা/শহীদ মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের ক্ষেত্রে বয়স ৩২ বছর। বয়স প্রমাণের জন্য অ্যাফিডেভিট গ্রহণযোগ্য নয়।
আবেদনের নিয়ম
আগ্রহী প্রার্থীরা http://dtca.teletalk.com.bd/ এই ওয়েবসাইট থেকে আবেদনপত্র পূরণ করতে পারবেন।
সরকারি বিদ্যুৎ কোম্পানি পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ লিমিটেড (পিজিসিবি) ব্যবস্থাপনা পরিচালক পদে একজন কর্মকর্তা নিয়োগ দেবে। আগামী ৯ মার্চ পর্যন্ত আগ্রহীরা আবেদন করতে পারবেন।
পদের নাম: ব্যবস্থাপনা পরিচালক
পদসংখ্যা: ১
বয়সসীমা: ৯ মার্চ ২০২৩ তারিখে সর্বোচ্চ ৬০ বছর
চাকরির ধরন: চুক্তিভিত্তিক (৫ বছর)। ৬২ বছর বয়স পর্যন্ত চুক্তি নবায়নযোগ্য
মূল মাসিক বেতন: ১ লাখ ৭৫ হাজার টাকা।
অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা: মূল বেতনের ৫০ শতাংশ বাসাভাড়া, বছরে দুটি উৎসব বোনাস, বৈশাখী ভাতা, গ্র্যাচুইটি, মেডিকেল-সুবিধা, প্রভিডেন্ট ফান্ড, গোষ্ঠী বিমা, ছুটি ভাতা, বার্ষিক বেতন বৃদ্ধিসহ সার্বক্ষণিক গাড়ির সুবিধা।
আবেদনের যোগ্যতা:
# ইলেকট্রিক্যাল বা মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে স্নাতক ডিগ্রি। অথবা ফাইন্যান্স, বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন বা ম্যানেজমেন্ট বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি। সিজিপিএ–৫-এর স্কেলে সর্বনিম্ন ৩.৫ ও ৪-এর স্কেলে সর্বনিম্ন ২.৫ থাকতে হবে। শিক্ষাজীবনের কোনও ক্ষেত্রে তৃতীয় বিভাগ/শ্রেণি বা সমমানের জিপিএ/সিজিপিএ গ্রহণযোগ্য হবে না।
# চাকরির অভিজ্ঞতা থাকতে হবে ন্যূনতম ২৫ বছর। এর মধ্যে সিনিয়র ম্যানেজমেন্ট পদে অন্তত ৫ বছর চাকরির অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।
# সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে, বিশেষ করে জেনারেশন, ট্রান্সমিশন অথবা ডিস্ট্রিবিউশন ইউটিলিটিসে অন্তত ৫ বছর চাকরির অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।
# শ্রম আইন, কোম্পানি আইন, টিকিউএম, টিপিএম, প্রিভেনটিভ মেইনটেন্যান্স, করপোরেট গভর্ন্যান্স, স্ট্র্যাটেজিক ম্যানেজমেন্ট ও প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্টে অভিজ্ঞতা থাকলে অগ্রাধিকার দেয়া হবে।
আবেদনপত্র পাঠানোর ঠিকানা: জেনারেল ম্যানেজার (পিঅ্যান্ডএ), পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ, পিজিসিবি ভবন, অ্যাভিনিউ-৩, জহুরুল ইসলাম সিটি, আফতাবনগর, বাড্ডা, ঢাকা-১২১২।
আবেদন ফি: ২,০০০ টাকা।
ব্যাংকার্স সিলেকশন কমিটির সদস্যভুক্ত সোনালী ও জনতা ব্যাংকে জনবল নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। এ দুটি ব্যাংকে অফিসার (আইটি) পদে ৪৬৮ জন নেয়া হবে। আগ্রহী প্রার্থীদের অনলাইনে আবেদন করতে হবে। আবেদনপত্র দাখিল ও ফি প্রদানের শেষ তারিখ ২০ ফেব্রুয়ারি। তবে ভ্যারিফাই পেমেন্ট ও ট্র্যাকিং পেজ সংগ্রহের শেষ তারিখ ২৩ ফেব্রুয়ারি। এ পদে নিয়োগ পেলে বেতন হবে ১০ম গ্রেডে (১৬,০০০-৩৮,৬৪০ টাকা)।
৪৬৮ জনের মধ্যে সোনালী ব্যাংকে ৩০৭ জন এবং জনতা ব্যাংকে ১৬১ জন আইটি অফিসার নেয়া হবে। আবেদনের জন্য স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কম্পিউটার বিজ্ঞান/কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল/ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশন টেকনোলজি/ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং/ সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং/ইনফরমেশন টেকনোলজি/কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং/কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড টেলিকমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে স্নাতকোত্তর অথবা চার বছর মেয়াদি স্নাতক ডিগ্রি থাকতে হবে। মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট/সমমান এবং তদূর্ধ্ব পর্যায়ের পরীক্ষাগুলোয় কমপক্ষে একটিতে প্রথম শ্রেণি/সমমানের সিজিপিএ থাকতে হবে।
বয়স
আবেদনের সর্বোচ্চ বয়স ৩০ বছর। তবে বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও শারীরিক প্রতিবন্ধী আবেদনকারীর ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ বয়স ৩২ বছর। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত অনুসারে, ২০২০ সালের ২৫ মার্চ তারিখে যারা সর্বোচ্চ বয়সসীমায় পৌঁছেছেন, তারাও আবেদন করতে পারবেন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নিয়োগসংক্রান্ত ওয়েবসাইটের (https://erecruitment.bb.org.bd/) মাধ্যমে অনলাইনে আবেদন করতে হবে। আবেদন ফি বাবদ ২০০ টাকা ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের মোবাইল ব্যাংকিং রকেটের মাধ্যমে জমা দিতে হবে।
বাংলাদেশ রেলওয়ে রাজস্ব খাতভুক্ত টিকিট কালেক্টর পদে জনবল নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। এ পদে ১৩৩ জন নেয়া হবে। সব জেলার প্রার্থী আবেদন করতে পারবেন। এ পদের জন্য আবেদন শুরু হবে ১৩ ফেব্রুয়ারি। আবেদনপত্র জমা দেয়ার শেষ তারিখ আগামী ২০ মার্চ।
বিজ্ঞপ্তি অনুসারে, আবেদনের জন্য এইচএসসি বা সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে এবং উচ্চতা কমপক্ষে ৫ ফুট ৫ ইঞ্চি হতে হবে। প্রার্থীর বয়স ১৩ ফেব্রুয়ারি তারিখে ১৮-৩০ বছরের মধ্যে হতে হবে। তবে বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও শারীরিক প্রতিবন্ধী প্রার্থীদের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ বয়স ৩২ বছর।
অনলাইনে এই ওয়েবসাইটের (http://br.teletalk.com.bd/) মাধ্যমে আবেদন করতে হবে। পরীক্ষার ফি বাবদ মোট ২২৩ টাকা আবেদন করার ৭২ ঘণ্টার মধ্যে জমা দিতে হবে।
নিয়োগের ক্ষেত্রে সরকারি বিদ্যমান বিধি ও কোটাপদ্ধতি অনুসরণ করা হবে। সরকারি, আধা সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে চাকরিরত প্রার্থীদের অবশ্যই যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে আবেদন করতে হবে। বাংলাদেশ রেলওয়েতে যারা কমপক্ষে ২০ বছর চাকরি করেছেন, তাদের সন্তানরা পোষ্য কোটার সুবিধা পাবেন।
লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলে মৌখিক পরীক্ষার সময় সব সনদের মূল কপিসহ এক সেট সত্যায়িত কপি জমা দিতে হবে এবং পূরণকৃত আবেদন ফরমসহ সত্যায়িত এক সেট ফটোকপি জমা দিতে হবে।
জেলার স্থায়ী বাসিন্দার প্রমাণক হিসেবে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান/পৌরসভার মেয়র/সিটি করপোরেশনের ওয়ার্ড কাউন্সিলরের স্বাক্ষরসহ নাগরিকত্ব সনদ, জাতীয় পরিচয়পত্রের মূল কপি ও মুক্তিযোদ্ধা কোটার ক্ষেত্রে বীর মুক্তিযোদ্ধা সনদের মূল কপি জমা দিতে হবে।
সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও অধিদপ্তরের শূন্য পদ ৩ লাখ ৫৮ হাজার ১২৫টি বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন।
বুধবার জাতীয় সংসদের প্রশ্নোত্তরে আওয়ামী লীগের কাজিম উদ্দিন আহমেদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানান প্রতিমন্ত্রী। স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রশ্নোত্তর টেবিলে উপস্থাপিত হয়।
ফরহাদ হোসেন জানান, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে সর্বশেষ প্রকাশিত স্ট্যাটিসটিকস অব সিভিল অফিসার্স অ্যান্ড স্টাফস-২০২১ বইয়ের (জুন, ২০২২ সালে প্রকাশিত) তথ্য অনুযায়ী, সরকারের অধীনে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বিভাগ, অধিদপ্তর, পরিদপ্তর ও সরকারি কার্যালয়গুলোয় বেসামরিক জনবলের মোট শূন্য পদ ৩ লাখ ৫৮ হাজার ১২৫টি। এর মধ্যে প্রথম শ্রেণির ৪৩ হাজার ৩৩৬টি, দ্বিতীয় শ্রেণির ৪০ হাজার ৫৬১, তৃতীয় শ্রণির ১ লাখ ৫১ হাজার ৫৪৮ এবং চতুর্থ শ্রেণি পদে শূন্য পদ ১ লাখ ২২ হাজার ৬৮০টি।
এর মধ্যে ৪০তম বিসিএসে ১ হাজার ৯২৯ জন নিয়োগ করা হয়েছে। ৪২তম বিশেষ বিসিএসে (স্বাস্থ্য) ক্যাডারে ৩ হাজার ৯৬৬টি সহকারী সার্জন নিয়োগ করা হয়েছে। ৪১তম বিসিএসের মৌখিক পরীক্ষা চলমান। ৪৩তম বিএসএসের লিখিত পরীক্ষার উত্তরপত্র মূল্যায়ন চলছে, ৪৪তম লিখিত পরীক্ষা গত ১১ জানুয়ারি শেষ হয়েছে। আর আগামী মার্চের দ্বিতীয় সপ্তাহে ৪৫তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি টেস্টের সম্ভাব্য তারিখ নির্ধারিত আছে।
সরকারি অফিসগুলোয় শূন্য পদের নিয়োগ চলমান বলে জানান তিনি। দ্বিতীয় শ্রেণি ১০ থেকে ১৩তম পদের নিয়োগ পিএসসির মাধ্যমে হয়ে থাকে। ১৪ থেকে ২০তম গ্রেডের নিয়োগ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, বিভাগ, অধিদফতর ও সংস্থার নিয়োগবিধি অনুযায়ী হয়ে থাকে।
প্রতিমন্ত্রী জানান, আদালতে মামলা থাকায় নিয়োগবিধি প্রণয়ন কার্যক্রম শেষ না হওয়ায় এবং পদোন্নতি যোগ্য প্রার্থী না পাওয়ায় কিছু শূন্য পদ পূরণ করা যায় না।
জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য মুজিবুল হক চুন্নুর প্রশ্নের জবাবে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী জানান, ৪০তম বিসিএসের নন-ক্যাডার পদে ৫ হাজার ৪৩৬টি শূন্য পদের চাহিদাপত্র পাওয়া গেছে। এগুলো যাচাই-বাছাই শেষে প্রকৃত সুপারিশযোগ্য শূন্য পদের সংখ্যা জানানো সম্ভব হবে।
সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য শামসুন নাহারের প্রশ্নের জবাবে ফরহাদ হোসেন বলেন, স্ট্যাটিসটিকস অব সিভিল অফিসার্স অ্যান্ড স্টাফস-২০২১ প্রতিবেদন অনুযায়ী দেশে সরকারি চাকরিজীবীর সংখ্যা ১৫ লাখ ৫৪ হাজার ৯২৭ জন। এর মধ্যে নারী ৪ লাখ ৪ হাজার ৫৯১ জন, যা মোট চাকরিজীবীর প্রায় ২৬ শতাংশ। ২০১০ সালে ছিল ২১ শতাংশ।
প্রথম শ্রেণির পদে নারীদের জন্য আলাদা কোটা না থাকলেও ১৩ থেকে ২০তম গ্রেডে নিয়োগে নারীদের জন্য ১৫ শতাংশ কোটা সংরক্ষণ করা আছে বলে জানান প্রতিমন্ত্রী।
নোয়াখালী-২ আসনের সংসদ সদস্য মোরশেদ আলমের প্রশ্নের জবাবে ফরহাদ হোসেন বলেন, সরকারের অর্থ বিভাগের ২০২২ সালের ২১ জুলাই প্রজ্ঞাপনে পেট্রোল ও লুব্রিকেন্ট (৩২৪৩১০২) খাতে চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অনুকূলে মোট বরাদ্দকৃত অর্থের সর্ব্বোচ ৮০ শতাংশ ব্যয় করার নির্দেশনা রয়েছে। তা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ইতিমধ্যে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। তার মধ্যে সরকারি গাড়ি ব্যবহার আগের তুলনায় সীমিত করে ২০ শতাংশ সাশ্রয় নিশ্চিত করা হচ্ছে।
সরকারি যানবাহন অধিদপ্তরের মাধ্যমে সব বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জ্বালানি সাশ্রয়ের বিষয়ে অর্থ বিভাগের নির্দেশনা প্রতিপালনের জন্য অনুরোধ করা হয়েছে বলে জানান প্রতিমন্ত্রী।
সরকারি যানবাহন অধিদপ্তরের গাড়ি মেরামতকালে রোড টেস্টের জন্য গাড়িপ্রতি তিন লিটারের স্থলে দুই লিটার, সিএনজিতে রূপান্তরিত গাড়ির ইএফআই/এমপিএফআই ইঞ্জিন চালুর জন্য মাসিক ৩০ লিটারের স্থলে ১৫ লিটার, সিএনজিচালিত যানে রূপান্তরিত কার্বুরেটর ইঞ্জিনের গাড়ি চালুর জন্য মাসিক ১৫ লিটারের স্থলে ১০ লিটার এবং গাড়ি ব্যবহারকারী কর্মকর্তাদের প্রতি মাসে গাড়ি প্রতি ২০০ লিটারের স্থলে ১৫০ লিটার অকটেন ও পেট্রোল ব্যবহার নিশ্চিত করা হচ্ছে।
এ ছাড়া ভিআইপিদের জন্য রিজার্ভ গাড়ি মেরামত ও টেস্ট ট্রায়ালের জন্য জ্বালানি ব্যবহার অর্ধেকে নামিয়ে আনা হয়েছে। সেই সঙ্গে গ্যাস সিলিন্ডার যুক্ত গাড়ির সিলিন্ডার ব্যবহার উপযোগী থাকলে গ্যাস ব্যবহার নিশ্চিত করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।
জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য ফখরুল ইমামের প্রশ্নের জবাবে ফরহাদ হোসেন বলেন, সরকারি কর্মচারী (আচরণ) বিধিমালা, ২০২২-এর খসড়া প্রণয়ন করে প্রশাসনিক উন্নয়ন-সংক্রান্ত সচিব কমিটিতে পাঠানো হয়। প্রশাসনিক উন্নয়ন-সংক্রান্ত সচিব কমিটির গত ৩১ মে সভার সুপারিশের প্রেক্ষিতে প্রস্তাবিত খসড়া বিধিমালাটি ভেটিংয়ের জন্য গত ৪ জুলাই লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগে পাঠানো হয়েছে।
লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগ ভেটিং দিলে সে অনুযায়ী প্রয়োজনীয় সংশোধন (যদি থাকে) করে প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদন নেওয়া হবে। এরপর এসআরও নম্বর দিয়ে গেজেট আকারে সরকারি কর্মচারী (আচরণ) বিধিমালা, ২০২২ জারির জন্য লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগে পাঠানো হবে বলে জানান জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী।
দেশের কেন্দ্রীয় ও জেলা কারাগারের জন্য ৯০ জন চিকিৎসক নিয়োগ দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। মঙ্গলবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।
যাদের নিয়োগ দেয়া হয়েছে, তাদের আগামী তিন দিনের মধ্যে নতুন কর্মস্থলে যোগদানের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, বিজ্ঞপ্তি জারির দুই কার্যদিবসের মধ্যে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের তাদের দায়িত্ব হস্তান্তর করতে হবে, অথবা তারা তৃতীয় দিনে অব্যাহতি পেয়েছেন বলে মনে করা হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, নিয়োগপ্রাপ্ত চিকিৎসকদের নতুন কর্মস্থলে যোগদানের আগে তাদের বর্তমান কর্মস্থল থেকে অব্যাহতি পত্র নিতে হবে।
আগামী ২৯ ডিসেম্বর থেকে শুরু হবে ৪৪তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা। চলবে ১১ জানুয়ারি পর্যন্ত। এবার পরীক্ষায় জোড়-বিজোড় করে প্রার্থীর রেজিস্ট্রেশন নম্বর অনুযায়ী হাজিরা খাতা তৈরি করা হয়েছে। সে কারণে প্রার্থীদের পর্যাপ্ত সময় নিয়ে পরীক্ষা কেন্দ্রে যাওয়ার অনুরোধ জানিয়েছে পাবলিক সার্ভিস কমিশন (পিএসসি)।
বৃহস্পতিবার পিএসসির পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (ক্যাডার) আনন্দ কুমার বিশ্বাস স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘পরীক্ষার হলে অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি এড়িয়ে চলার জন্য হাজিরা তালিকায় প্রার্থীর রেজিস্ট্রেশন নম্বর জোড় ও বিজোড় করে দৈবচয়ন ভিত্তিতে প্রস্তুত করা হয়েছে। দৈবচয়ন প্রক্রিয়ায় আসন এবং কক্ষ চিহ্নিত করা কিছুটা সময়সাপেক্ষ। এ পরিপ্রেক্ষিতে আসন এবং কক্ষ চিহ্নিত করার জন্য প্রার্থীদের পর্যাপ্ত সময় হাতে নিয়ে কেন্দ্রে উপস্থিত হওয়ার জন্য অনুরোধ করা হলো।’
২০২১ সালের ৩০ নভেম্বর ৪৪তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে পিএসসি। প্রিলিমিনারি পরীক্ষা হয় ২৭ মে। ফল প্রকাশ হয় ২২ জুন। এই বিসিএসে বিভিন্ন ক্যাডারে এক হাজার ৭১০ জন কর্মকর্তা নিয়োগ দেয়া হবে। এর মধ্যে প্রশাসন ক্যাডারে ২৫০ জন, পুলিশ ক্যাডারে ৫০, পররাষ্ট্র ক্যাডারে ১০, আনসার ক্যাডারে ১৪, নিরীক্ষা ও হিসাবে ৩০, কর ক্যাডারে ১১, সমবায়ে ৮, রেলওয়ে পরিবহন ও বাণিজ্যিকে ৭, তথ্যে ১০, ডাকে ২৩, বাণিজ্যে ৬, পরিবার পরিকল্পনায় ২৭, খাদ্যে ৩, টেকনিক্যাল ক্যাডারে ৪৮৫ ও শিক্ষা ক্যাডারে ৭৭৬ জন নেয়া হবে।