ছুটির দিনে মধ্যাহ্নভোজের দাওয়াতে নানা পদে টেবিলবোঝাই থাকবে এটাই যেন স্বাভাবিক নিয়ম। পেটপূজা সেরে জিভকে আরও একটু স্বস্তি দিতে পাতে একটু মিষ্টি না উঠলে যেন পূর্ণতা আসে না। আর বাঙালির কাছে মিষ্টি হিসেবে গোলাপজামের কদর খুবই। কেমন হয় যদি এখন থেকে অতিথি আপ্যায়নের জন্য রাখা মিষ্টান্নও ঘরে বানানো যায়? ভালো তো বটেই। জেনে নিন গোলাপজাম তৈরির আদ্যোপান্ত। রেসিপি দিয়েছেন তাহ্মিনা জামান।
উপকরণ
ক্ষীর- ১ কেজি
ময়দা- ৫০ গ্রাম
রস তৈরির জন্য চিনি- প্রয়োজন মতো
এলাচ- ৪/৫টা (চিরে ভেতরের দানা বের করে আলাদা রাখুন)
ভাজার জন্য ঘি লাগবে প্রয়োজন মতো।
পদ্ধতি
প্রথমে ১ লিটার পানি আর ২৫০ গ্রাম চিনি মিশিয়ে জ্বাল দিতে হবে। যতক্ষণ না ঘন হবে ততক্ষণ জাল দিয়ে যেতে হবে। এমনকি প্রয়োজনে বাড়তি চিনি যোগ করতে হতে পারে। ঘন হয়ে এলে একটা চামচ ডুবিয়ে দেখে নিন রস ভারী হয়েছে কিনা। এবার ক্ষীর আর আর ময়দা একসঙ্গে নিয়ে মাখতে শুরু করুন। তার মধ্যে আলাদা করে রাখা এলাচের দানাও দিয়ে দেবেন। ময়দা দিলে ক্ষীরের বাঁধনটা ভালো হয়।
এবার ছোট ছোট গোল গোলাপজাম আকৃতি বানিতে হবে। ডুবো ঘিয়ের মধ্যে গোলাপজামগুলো লাল করে ভেজে নিয়ে তারপর রসে ফেলতে হবে। রস থেকে মিষ্টি বাইরে বেরিয়ে আসতে চাইবে প্রথমে, কিন্তু একটা চামচ দিয়ে আলতো আলতো চাপ দিয়ে রসের মধ্যেই ডুবিয়ে রাখুন মিষ্টিগুলোকে। যতটা বেশিক্ষণ রাখতে পারবেন, ততটা রস শোষণ করে নরম, সুন্দর হয়ে উঠবে গোলাপজাম।
নামিয়ে পরিবেশন করুন, গরম-ঠাণ্ডা দুরকমই ভালো লাগে।
সারা দিন রোজা রেখে ইফতারে নানা পদের ভাজাপোড়া, মসলাদার খাবার অনেকেই এড়িয়ে যান। এসব খাবার কোনোভাবেই স্বাস্থ্যের পক্ষে নয়, একথা সবারই জানা। আবার সারা দিন শেষে শরীরের পানিশূন্যতা কাটাতে পানির পাশাপাশি নানা রকম শরবতই ভরসা। ইফতারে যারা একটু পুষ্টিকর এবং শরীরের জন্য ভালো কিছু তৈরি করতে চান তারা জেনে নিন দই দিয়ে তৈরি মজাদার এমন কয়েকটি রেসিপি। রেসিপি দিয়েছেন তাহ্মিনা জামান।
পুদিনা টকদই শরবত
উপকরণ
প্রথমে পুদিনা পাতা ও ধনিয়াপাতা ভালো করে ধুয়ে কুচি করে একটি ব্লেন্ডারে নিন। এবার এর মধ্যে টকদই, কাঁচামরিচ কুচি, গোলমরিচের গুঁড়া ও লবণ দিয়ে ভালো করে ব্লেন্ড করুন। আধাকাপ পানি দিয়ে আবারও ব্লেন্ড করে নিন। সবশেষে অল্প একটু বিট লবণ মিশিয়ে ছাঁকনি দিয়ে ছেঁকে একটি গ্লাসে মিশ্রণটি ঢেলে নিন। ওপরে সামান্য বরফের কুচি দিয়ে পরিবেশন করুন ঠাণ্ডা পুদিনা টকদই শরবত।
দইয়ের পুডিং
উপকরণ
ক্যারামেল তৈরি: ২-৩ টেবিল চামচ চিনি ও ২ টেবিল চামচ পানি নিন। একটা পাত্রে যেখানে পুডিং বসাবেন সেটিতে চিনি, পানি নিয়ে চুলায় দিয়ে মিডিয়াম আঁচে পাত্রটি ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে ক্যারামেল করে নিন। খেয়াল রাখবেন বেশি গাঢ় যেন না হয়। পাত্রটি ঠাণ্ডা হলে, এক চা-চামচ ঘি দিয়ে ব্রাশ করে রাখুন।
পুডিং তৈরি: প্রথমে একটি বড় বাটিতে ডিমগুলো ভেঙে নিন। গুঁড়া দুধ ও পানি মিক্স করে ঘন করে গুলে রাখুন। দই সুতির কাপড়ে রেখে পানি ঝরিয়ে নিন। এবার ব্লেন্ডারে ডিম, চিনি, দুধ ও দই দিয়ে এক মিনিটের মতো ব্লেন্ড করে নিন। এখন ডিমের মিশ্রণটি ক্যারামেল পাত্রে ছেঁকে ঢেলে নিন। পুডিং পাত্রটি ঢেকে দিন ফয়েল পেপার বা ঢাকনা দিয়ে। এবার একটি পাতিলে ৩ কাপ পানি দিয়ে, একটি স্ট্যান্ডের ওপর পুডিং পাত্রটি বসিয়ে দিন। পাতিলটি ভারী কিছু দিয়ে ঢেকে দিন। মাঝারি আঁচে ২০-২৫ মিনিট স্টিম করে নিন। এভাবেই রেখে দিন ঠাণ্ডা হয়ে আসা পর্যন্ত। ঠাণ্ডা হলে পরিবেশন করুন।
ভ্যানিলা টকদইয়ের স্মুদি
উপকরণ
ব্লেন্ডারে সবগুলো উপকরণ একসঙ্গে ব্লেন্ড করে নিন। এরপর বরফের কুচি দিয়ে সঙ্গে সঙ্গে পরিবেশন করতে পারেন কিংবা ফ্রিজে রেখে ঠাণ্ডা করে পরিবেশন করা যেতে পারে মজাদার স্মুদি।
আবহাওয়া, খাদ্যাভ্যাসের পরিবর্তন, নতুন কোনো ব্যায়াম, প্রাত্যাহিক রুটিনের ভিন্নতা কিংবা পর্যাপ্ত পানি পানের অভাবে ত্বক পানিশূন্যতা অনুভব করে। ফলে ত্বকে নানা রকম সমস্যা যেমন- ব্রণ হওয়া, চুলকানি, র্যাশ ইত্যাদি হয়ে থাকে। যেহেতু রোজার সময় স্বাভাবিক নিয়মের ব্যত্যয় ঘটে- তাই ত্বকের নানা রকম সমস্যা দেখা দিতে পারে।
মনে রাখতে হবে, ত্বকের ৭০ শতাংশই কিন্তু পানি। রোজার রাখার ফলে স্বাভাবিকভাবে আমাদের শরীর পানি ও তরলজাতীয় খাবার কম পেয়ে থাকে। তা ছাড়া এই সময়টা আবহাওয়া স্থির থাকে না। এই গরম, এই ঠাণ্ডা, এই বৃষ্টি! আর বাইরের হাওয়াতে যেন ধুলাবালি মিশে একাকার। দুপুর থেকে বিকেলে দেখা যায়, রোদের তেজ আবার বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা নামলেই বাতাস শীতল হয়ে যায়। রমজান ও আবহাওয়ার এই ওঠা-নামাতে আমাদের স্বাস্থ্য ও ত্বকের ওপর পরে বড় প্রভাব। প্রকৃতির এই বদলের সঙ্গে ত্বকের বদলও যেন অপরিহার্য। এ সময়টায় কীভাবে নিজের ত্বকের যত্ন নেয়া যায় তা নিয়ে কথা হয় রূপবিশেষজ্ঞ তারানা মাহবুবের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমরা সবচেয়ে বড় ভুলটা যা করি শীত চলে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ত্বকের যত্ন নেয়া বন্ধ করে দিই। শীতে ত্বকের যেসব শুষ্কতা দেখা দেয়, তার রেশ রয়ে যায় অনেক দিন। শীতের রুক্ষতা কমে এলেও ত্বকের রুক্ষতা রয়ে যায়। তাই এই সময়টাও নিতে হবে ত্বকের পরিপূর্ণ যত্ন।’
তারানা মাহবুব বলেন, রমজানে ৮০ শতাংশ মানুষের ত্বক পানিশূন্য হয়ে যায়। এর কারণ হিসেবে রয়েছে সারা দিন পানি পান করা হয় না আবার ইফতারের সময়ও পর্যাপ্ত পানি পান না করা। ফলে পানির ঘাটতি পূরণ হয় না। তা ছাড়া আবহাওয়াও এখন এমন যে কখনো ত্বক হয়ে যায় শুষ্ক আবার কখনো তৈলাক্ত। তাই ত্বকের যত্ন নিতে হবে বুঝেশুনে।
ত্বকের ধরন বুঝে প্রোডাক্ট নির্বাচন করুন
এ সময় গরম ও ঠাণ্ডার মিশ্রিত আবহাওয়া থাকার কারণে দুই ধরনের প্রোডাক্ট ব্যবহার করতে হবে। প্রতিদিন সকালে ও ঘুমাতে যাওয়ার আগে ভালো ব্র্যান্ডের ময়েশ্চারাইজার লাগাতে হবে। ময়েশ্চারাইজার শুষ্ক ত্বককে আর্দ্রতা প্রদান করে। ময়েশ্চারাইজার বাইরের দূষণ থেকে ত্বককে রক্ষা করে এবং এটি সূর্যের থেকে সুরক্ষা দেয়। শুষ্ক ত্বকের জন্য তেলযুক্ত এবং যাদের ত্বক তেলযুক্ত তাদের পানিযুক্ত ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করতে হবে।
প্রতিদিন পানি দিয়ে মুখ পরিষ্কার করে একটি টোনার ব্যবহার করতে হবে। হঠাৎ গরম পড়ার কারণে মুখে ব্রণের সমস্যা দেখা দেয়, টোনার সেই ব্রণ থেকে মুক্তি দেয়। বাইরে রোদের জন্য স্যানট্যান পরে তাই দিনের বেলা বের হওয়ার সময় অবশ্যই সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে হবে। সানস্ক্রিন সূর্যের ক্ষতিকর অতিবেগুনি রশ্মির হাত থেকে রক্ষা করে ও রোদের পোড়া কালো ছোপ ছোপ দাগ দূর করতে সাহায্যে করে। অনেকে আবহাওয়া একটু ঠাণ্ডা থাকলে সানস্ক্রিন এড়িয়ে যায়, এটা একদম করা যাবে না। আবহাওয়া যেমন থাকুক রোজ সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে হবে। শীতের পরে যাদের ত্বকে এখনো শুষ্কতার চাপ রয়ে গেছে, তারা প্রতিদিন গোসলের পর অলিভ অয়েল ব্যবহার করলে উপকার পাবে এবং ত্বক হাইড্রেটেড রাখতে একটা ভালো মানের ফেসওয়াশ বেছে নিতে হবে।
ঘরোয়া উপায়ে ত্বকের যত্ন নিন
আমাদের রান্নাঘরে থাকা অনেক সহজলভ্য উপাদান দিয়ে আমরা আমাদের ত্বকের যত্ন নিতে পারি। যেমন তৈলাক্ত ত্বকের জন্য পাকা কলা খুবই উপকারী। একটি পাকা কলা চটকে মুখে লাগিয়ে ১৫ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। এটি নিয়মিত করলে তৈলাক্ত ত্বক থেকে অনেকটা রেহাই পাওয়া যাবে। শুষ্ক ত্বকে অনেক সমউ জ্বালা ভাব দেখা দেয়, তার জন্য কাঁচা দুধের সর ফ্রিজে রেখে ঠাণ্ডা করে মুখে টোনার হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে। শসার রস খুব ভালো ক্লিনজার হিসেবে কাজ করে। শসা টুকরো করে কেটে মুখে ১০ মিনিট ঘসে ধুয়ে ফেললে ত্বক অনেক হাইড্রেটেড হবে। প্রতিদিন মুখ ভালোভাবে ঠাণ্ডা পানি দিয়ে পরিষ্কার করতে হবে, গরম পানি যতটা সম্ভব এড়িয়ে যাওয়া ভালো কারণ এটি ত্বক আরও শুষ্ক করে।
ভেতরে থেকে ত্বককে পুষ্টি দিন
সারা দিন রোজা রাখবার ফলে ত্বক ডিহাইড্রেট হয়ে পড়ে। ত্বক যদি ডিহাইড্রেটেড হয়ে যায় ত্বকে সিবামের পরিমাণ নষ্ট হয়। ত্বক শুষ্ক হয়ে চুলকানি দেখা দেয়। তাই ইফতার ও সাহরিতে হাইড্রেশন বজায় রাখতে প্রচুর পানি পান করতে হবে। ভিটামিন সি-সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে। ভিটামিন সি ত্বকের গঠন বজায় রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। খাবারের সঙ্গে লেবু খাওয়ার অভ্যাস করতে হবে। লেবু ভেতর থেকে শরীরের সব দূষিত পদার্থ বের করে ত্বককে উজ্জ্বল রাখতে সাহায্যে করে। যেসব ফলমূল ও শাকসবজিতে পানির পরিমাণ বেশি থাকে তা খেতে হবে। যেমন- তরমুজ, কলা, শসা, টমেটো ইত্যাদি। মাখন খসখসে ত্বকের জন্য বেশ উপকারী। তাই সপ্তাহে কমপক্ষে দুই দিন মাখন খেতে হবে। ত্বক ভেতর থেকে সুস্থ রাখতে প্রোটিনের অনেক ভূমিকা রয়েছে। তাই রোজ ডিম খাওয়ার অভ্যাস করতে হবে। মাছের তেল ত্বক সুন্দর রাখতে সাহায্য করে। তাই খাবারের পাতে প্রোটিন রাখতে হবে।
বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন
ত্বক বিশেষজ্ঞ ডা. সেলিনা রেজা বলেন, গ্রীষ্ম শুরুর এই সময়টায় ত্বকে এলার্জি থেকে শুরু করে অন্যান্য চর্মরোগ খুব বেশি দেখা যায়। রমজান ও আবহাওয়ার কারণে শরীর শুষ্ক হয়ে চুলকানি হতে পারে এবং রাতের দিকে চুলকানি বেশি বেড়ে যায়। অনেকের মুখে লাল লাল র্যাশ দেখা যায় ও গোটা হয়। তাই এই সমস্যাগুলোকে অবহেলা করা যাবে না এবং নিজে নিজে ভুল প্রোডাক্ট ব্যবহার করা যাবে না। কারণ, আবহাওয়া ছাড়াও অনেক কারণে ত্বকে সমস্যা হতে পারে। তাই বিশেষজ্ঞের শরণাপন্ন হয়ে সঠিক চিকিৎসা নিতে হবে।
সারা দিনের ক্লান্তি উধাও করে দিতে এক কাপ ধোঁয়া ওঠা গরম চায়ের জুড়ি মেলা ভার। চা শেষ করে কাপে পরে থাকা টি ব্যাগটিও কিন্তু কম উপকারী নয়। এমনকি ব্যবহারের পরও এটি ব্যবহার করা যায় নানাভাবে নানা কাজে। চলুন জেনে নিই তেমন কিছু টিপস-
চোখের ফোলাভাব কমাতে
ঘুমের অভাব, কাজের চাপ ইত্যাদিতে চোখ ফুলে ঢোল। এ ফোলাভাব কমাতে গরম পানিতে টি ব্যাগ ভিজিয়ে নিন, তারপর সেই ভেজা টি ব্যাগ ফ্রিজে কয়েক মিনিট রাখুন যাতে ঠাণ্ডা হয়ে যায়। ঠাণ্ডা টি ব্যাগ চোখের ওপর রেখে পাঁচ মিনিট শুয়ে থাকুন, দ্রুত ফোলাভাব কমে যাবে!
ফেস স্ক্রাব হিসেবে
কোথাও ঘুরতে যাবেন হাতে একদমই সময় নেই? চা পান করে টি ব্যাগ কেটে ভেতরের চা পাতাটা বের করে মুখ স্ক্রাব করে নিতে পারেন। হাতে আরও কিছুটা সময় থাকলে চায়ের গুঁড়োটা বাটিতে নিয়ে এক চা চামচ মধু যোগ করুন, তারপর মুখে লাগিয়ে বৃত্তাকারে মাসাজ করুন। পাঁচ মিনিট রেখে পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে নিন। ত্বক উজ্জ্বল দেখাবে মুহূর্তেই।
দুর্গন্ধ কমাতে
রান্নাঘরে ডাস্টবিন থাকলে তা থেকে বিশেষ করে এই গরমকালে বাজে গন্ধ ছড়াতে পারে। ব্যবহার করা টি ব্যাগ ফেলে রাখুন ডাস্টবিনে। সব গন্ধ দূর হয়ে যাবে!
রুম ফ্রেশনার হিসেবে
ঘরে সুগন্ধের জন্য দামি এয়ার পকেট কেনেন? হাতের কাছে টি ব্যাগ থাকলে আর কেনার দরকার নেই! ব্যবহার করা টি ব্যাগ শুকনো করে নিন, তাতে ছিটিয়ে দিন কয়েক ফোঁটা পছন্দের এসেনশিয়াল অয়েল! এবার ব্যাগগুলো বাথরুমে বা ড্রয়ারের ভেতরে রেখে দিলেই হলো!
গাছ বাঁচান ছত্রাক থেকে
পছন্দের গাছে ফাঙ্গাস হলে গরম পানিতে টি ব্যাগ ভিজিয়ে রাখুন। তারপর পানিটুকু স্প্রে বোতলে ঢুকিয়ে মাটিতে আর পাতায় স্প্রে করুন সকাল-বিকেল। ছত্রাক কমে যাবে।
রোজায় আরব, তুরস্ক, ইউরোপীয় ও এশীয় খাবারের পসরা সাজিয়ে বসছে রাজধানীর অভিজাত হোটেল ওয়েস্টিন ও শেরাটন। বিভিন্ন দেশ থেকে আসা নামকরা শেফদের তৈরি আড়াই শতাধিক খাবার সেখানে পাওয়া যাবে। মিলবে ঐতিহ্যবাহী দেশীয় ইফতারিও।
কাবাব, বাকলাভা, সি ফুড পায়েলা, ল্যাম্ব ওউজি, তুর্কি ডোনার, আদানা কাবাব, তুলুম্বার মতো অনেক তুর্কি খাবারের আয়োজন করেছে শেরাটন ঢাকার দ্য গার্ডেন কিচেন। ঐতিহ্যবাহী খাবারের আয়োজনে পিছিয়ে নেই আরেক তারকা হোটেল ওয়েস্টিনও। তুর্কি শেফদের সহযোগিতায় রমজান মাসে ওয়েস্টিনের খাবার তালিকায় থাকছে চিকেন কাবসা রাইস, মিক্সড গ্রিল, সিফুড মাচবুস, ল্যাম্ব শ্যাঙ্ক, মোগল চাপ, গ্রিলড চিমিচুরি শ্যামন, মাহলাবিয়া, কুনাফাসহ বাহারি আইটেম।
অভিজাত হোটেল দুটির খাবারের তালিকায় রাখা হয়েছে জাপানি আইটেমও। সুশি, সাশিমি ও তেরিয়ার্কির মিলবে সেখানে। জাপানি মাস্টারশেফ হিরোমি ইয়োনেকাওয়ার সুস্বাদু জাপানিজ খাবারের সঙ্গে ইফতারে বেন্টো বক্সও পাওয়া যাবে।
মধ্যপ্রাচ্য ও তুর্কি খাবারের অভিজ্ঞতা দিতে ওয়েস্টিন ঢাকার দ্য সিজনাল টেস্ট এবং শেরাটন ঢাকার দ্য গার্ডেন কিচেনে থাকছে বুফে ইফতারি ও রাতের খাবার (প্রতিদিন) এবং বুফে সাহরির (বৃহস্পতিবার, শুক্রবার রাত ও সরকারি ছুটির আগের রাতে) ব্যবস্থা।
ওয়েস্টিন ঢাকার সিজনাল টেস্টে ইফতার ও রাতের প্রায় ২৫০ আইটেমে বুফে খাবারে মোট খরচ পড়বে ৮ হাজার ৮৫০ টাকা এবং সাহরি জনপ্রতি ৫ হাজার ৫৫০ টাকা। অন্যদিকে শেরাটন ঢাকার দ্য গার্ডেন কিচেনে ইফতার ও রাতের খাবারের মোট খরচ পড়বে ৯ হাজার ৯৫০ টাকা ও সাহরি খরচ হবে ৫ হাজার ৫৫০ টাকা।
এ ছাড়া হোটেল ওয়েস্টিনে মিলবে প্লাটিনাম, গোল্ড ও সিলভার ইফতারি বক্স এবং শেরাটনে বিলাসবহুল, প্রিমিয়াম ও ক্লাসিক ইফতারি বক্স। তারা মধ্যপ্রাচ্য এবং তুরস্কের সিগনেচার খাবারের সঙ্গে সরবরাহ করবে ঐতিহ্যবাহী দেশীয় ইফতারের খাবার ও সুস্বাদু জ্যাম।
রাজধানীর মোহাম্মদপুর, আদাবর রিং রোডে দেশের অন্যতম প্রধান ফ্যাশন হাউস কে ক্র্যাফটের প্রথম এক্সপেরিয়েন্স সেন্টারের সূচনা হয়েছে গত রোববার।
কে ক্র্যাফট ডিজাইন স্টুডিওর ডিজাইনকৃত পোশাক নিয়ে আয়োজন করা হয় বিশেষ ফ্যাশন শোর। সানজিদা হক আরেফিন লুনার কোরিওগ্রাফিতে দেশসেরা মডেলদের অংশগ্রহণে ফ্যাশন শোতে উৎসবমুখী পোশাকের ১১টি কিউতে প্রদর্শিত হয়েছে ৫০টি নতুন ডিজাইনের পোশাক।
এই নতুন এক্সপেরিন্স সেন্টারে বছরজুড়ে নানা ধরনের অনুষ্ঠান আয়োজনের কথা জানালেন কে ক্র্যাফটের অন্যতম উদ্যোক্তা খালিদ মাহমুদ খান।
ঠোঁট কালো হয়ে গেলে সৌন্দর্য অনেকটাই ম্লান হয়ে যায়। অনেক কারণেই ঠোঁট কালো হয়ে যেতে পারে। আবহাওয়ার পরিবর্তন, সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মির সংস্পর্শে আসা, ধূমপান, যথাযথ যত্ন না নেয়া ইত্যাদি কারণেই ঠোঁট কালচে হয়ে যেতে পারে কিংবা দাগ পড়তে পারে। একটু সতর্ক থাকলে এবং যথাযথ যত্ন নিলেই ঠোঁটের কালচে ভাব দূর করে সৌন্দর্য ফিরিয়ে আনা সম্ভব। ঠোঁটের সৌন্দর্য ফিরিয়ে আনতে যা করতে পারেন:
‘যদি বন্ধু যাবার চাও, ঘাড়ের গামছা থুইয়া যাও রে’- এটি মূলত বাঙালির ঐতিহ্যবাহী গামছাকথন। ‘গামছা’ শব্দটি এসেছে বাংলা শব্দ গা মোছা থেকে। তাইতো গামছাকে গা মোছাও বলা হয়, যা মূলত এক টুকরো কাপড়। নানা রকম বর্ণিল রঙে বোনা হয় গামছা। বাঙালির ঘরের কোণে এক টুকরো গামছা না থাকা যেন অস্বাভাবিক ঘটনা। ঘরে ফিরে গামছা দিয়ে মুখ মুছে ক্লান্তি দূর করে নেয়া হয়। একসময় গামছা ছিল ঐতিহ্যের প্রতীক। ঘরে মেহমান এলে তাকে নতুন গামছা দেয়া হতো, নতুন জামাইয়ের উপহারের ডালাতেও থাকত নতুন গামছা। সময় পাল্টে গেছে, এখন শুধু মুখ মোছার জন্য গামছা ব্যবহার করা হয় না। গামছা বেশ কয়েক বছর ধরে ফ্যাশনে নিজের নাম করে নিয়েছে।
গামছাকে ফ্যাশন দুনিয়াতে এসেছে ফ্যাশন ডিজাইনার বিবি রাসেলের হাত ধরে। বিবি রাসেল প্রথম বিশ্বদরবারে পোশাক হিসেবে গামছাকে পরিচয় করান। বিবি রাসেলের পরেই বিভিন্ন ফ্যাশন হাউসগুলো তাদের কালেকশনে গামছাকে প্রাধান্য দিতে শুরু করে। ফ্যাশন হাউসগুলোতে গেলেই এখন গামছার বিচরণ দেখা যায়।
গামছার কথা বলতে গেলে উঠে আসবে তাঁতশিল্পের কথা। গামছা সম্পূর্ণভাবে তৈরি হয় দেশীয় তাঁতিদের হাতে। যেহেতু সবার কাছে এখন গামছার গ্রহণযোগ্যতা বাড়ছে সেহেতু সেই চাহিদা পূরণ করতে বাড়ছে গামছার উৎপাদন, যা আমাদের তাঁতশিল্পের জন্য সুখের বার্তাও বটে। গামছা তৈরিতে লাগে শুধু সুতা ও রং। গামছায় ব্যবহৃত সুতা ৬৪ কাউন্টের হয়ে থাকে। ভারতের পূর্বাঞ্চলে সবচেয়ে বেশি গামছার ব্যবহার দেখা যায়। কারণ, সেসব স্থানের আবহাওয়ার সঙ্গে গামছা বেশ মানানসই। গামছার ব্যাপক চল রয়েছে আসাম রাজ্যে। বাংলাদেশের সিরাজগঞ্জ ও পাবনা জেলায় গামছার ডিজাইন ও বৈশিষ্ট্য অক্ষুণ্ন রেখে পোশাক তৈরিতে ব্যবহার করা হচ্ছে গামছার কাপড়। মূলত, প্রকৃতির রঙের সঙ্গে মিলিয়েই তৈরি করা হয় গামছা। হরেক রকম রঙের খেলা দেখা যায় গামছাতে।
বারো হাতের শাড়িতে রূপ নিচ্ছে গামছা। নজরকাড়া সব গামছার ডিজাইনে বানানো হচ্ছে সেসব শাড়ি। কুর্তি, ফতুয়া, ব্লাউজ, ওড়না, পাঞ্জাবি ও কটিতেও দেখা যায় গামছা। এ ছাড়া গামছা দিয়ে তৈরি হচ্ছে ব্যাগ, জুতাসহ নানান ধরনের সামগ্রী। গামছা দিয়ে তৈরি করা হচ্ছে বাহারি গয়নাও মালা, চুড়ি ও কানের দুল। এসব গয়না সাধারণত হাতে তৈরি করা হয়। টুকরো গামছা দিয়ে তৈরি করা হচ্ছে ওয়েস্টার্ন পোশাকও। স্কার্ট, শার্ট, জিন্সেও দেয়া হয় গামছা কাপড়ের ছোঁয়া, এতে করে ওয়েস্টার্ন পোশাক পরিধান করেও দেশীয় ঐতিহ্যকে বহন করা যায়। যেকোনো পোশাকের সঙ্গেই গামছার কাপড় জুড়ে দিয়ে আনা হয়ে থাকা ফিউশন।
অনেকেই ঘরকে নান্দনিকভাবে সাজাতে চায় শিল্পের ছোঁয়া। সেসব ক্ষেত্রেও তারা বেছে নিচ্ছে গামছাকে। ঘরের পর্দা, প্লেসমেট, ডাইনিং টেবিলের রানার ইত্যাদিতেও ব্যবহার হচ্ছে গামছার কাপড়। গামছার কাপড় বেশ আরামদায়ক হয়। কারণ, এর কাপড় খুব নরম ও পাতলা হয় এবং পানি শোষণে সহায়ক বলে গরমকালে গামছা কাপড়ের যেকোনো পোশাক খুব স্বাচ্ছন্দ্যে পরিধান করা যায়। গামছা পোশাক যেকোনো আয়োজনের জন্য উপযোগী হলেও সাধারণত মানুষ দেশীয় যেকোনো উৎসব যেমন: পহেলা বৈশাখ, পহেলা ফাগুন, গায়ে হলুদ ইত্যাদি জায়গায় জন্য নির্বাচন করে থাকে। এ ছাড়া এটি নিত্যদিনের ব্যবহারের জন্যও বেশ উপযুক্ত ক্লাস, অফিসসহ যেকোনো জায়গায় পরিধান করা যায়। গামছা পোশাক কোনো বিয়ে কিংবা বড় অনুষ্ঠানে নির্বাচন করতে চাইলে এর সঙ্গে ভারী মেকআপ এবং ভারী গয়না পরা যেতে পারে। এতে করে গর্জিয়াস লুক আসবে। ছেলেরা গামছা পাঞ্জাবির ওপর পরতে পারেন কটি! পাঞ্জাবির ওপর কটি বেশ আভিজাত্যের ভাব নিয়ে আসে। কিছু প্রগতিশীল বাঙালি ও যারা নিজের মাঝে নান্দনিকতার ছোঁয়া আনতে চান তারা সবাই সানন্দে গামছা কাপড়কে গ্রহণ করেছে বলে জানিয়েছেন টাঙ্গাইল শাড়ি কুটিরের প্রতিষ্ঠাতা মনিরা ইমদাদ। তিনি বলেন, ‘আমাদের শোরুমে ক্রেতাসাধারণের চাহিদার ওপর নির্ভর করে গামছা শাড়ি তোলা হয়। ইদানীং লক্ষ করা যাচ্ছে, এর চাহিদা বাড়ছে। আমরাও এটাই চাই যে দেশি পণ্যের প্রতি যাতে আজকের প্রজন্মের আগ্রহ বাড়ে, এতে আমাদের ঐতিহ্যকে বিশ্বের সামনে তুলে ধরা আরও সহজ হবে।’
গামছা কাপড়ের পোশাকের দাম নির্ভর করছে ডিজাইন ও গুণগত মানের ওপর। সাধারণত গামছা কাপড়ের পোশাকের দাম হাতের নাগালেই থাকে। গামছা কাপড়ের শাড়ির দাম ৮০০ টাকা থেকে ২০০০ টাকার ভেতরেই পাওয়া যায়। সালোয়ার কামিজের দাম পড়বে ৮০০ টাকা থেকে ১৫০০ টাকা। টপস, ফতুয়া, কুর্তি পাওয়া যাবে ৫০০ টাকা থেকে ১২০০ টাকার ভেতরে। পাঞ্জাবি ৬৫০ টাকা থেকে ১০০০ টাকার মধ্যে পাওয়া যাবে। স্কার্ট পাওয়া যাবে ৬০০ টাকা থেকে ১৫০০ টাকার ভেতরে। ওড়না দাম ৩০০ টাকা থেকে ৫০০ টাকা। গামছা পোশাকের বাহারি কালেকশন পাওয়া যাবে যেকোনো দেশীয় ফ্যাশন হাউসে যেমন- আড়ং, বিবিয়ানা, নিপুণ, দেশাল ইত্যাদি শপে। এ ছাড়া এসব ব্র্যান্ড ছাড়াও লোকাল কিছু জায়গায় যেমন- নিউমার্কেট, আনারকলি, নূরজাহান ইত্যাদি জায়গায় কিছু গামছা পোশাক দেখা যায়।
ক্রেতাদের সামনে নিজেদের সেরা পণ্যগুলো তুলে ধরতে এক ছাদের নিচে সমাবেত হচ্ছে দেশের ২৯টি উদ্যোগ। পটের বিবির আয়োজনে ‘আনন্দ উঠান’ নামের এ প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হবে ধানমন্ডি ২৭ এর মাইডাস সেন্টারে।
আগামী শুক্র ও শনিবার প্রতিদিন বেলা ১১টায় ক্রেতা-দর্শনার্থীদের জন্য খুলবে মেলার দুয়ার। রাত ৮টা পর্যন্ত উদ্যোক্তারা নিজেদের পণ্য দিয়ে হাজির থাকবেন।
প্রথমবারের মতো আনন্দ উঠানের আয়োজনে পটের বিবি থাকবে নিজেদের নকশায় তৈরি শাড়ি, গরমের উপযোগী হালকা নকশার শাড়ি, ব্লাউজ, স্টিচড ড্রেস ইত্যাদি নিয়ে। থাকবে কিছু একেবারে এক্সক্লুসিভ মসলিন শাড়ি।
আরুনিকার স্টলে পাওয়া যাবে কাঠের তৈরি বুক অ্যান্ড কফি শেলফ, নেমপ্লেট ও ওয়ালহ্যাংগিং। সেইসঙ্গে নিয়মিত পণ্য যেমন কাঠের লুডু, বোর্ডগেমস, ম্যাগনেট এবং অন্যান্য হোম ডেকোর আইটেমগুলোও নতুন নকশায় হাজির হবে আনন্দ উঠানে।
মৃৎ এ দেখা মিলবে কানের দুল বা ব্যাংকের আদলে মাটির টেপা পুতুল। থাকবে নানা ধরনের গয়নার পাশাপাশি বাঁশের ঝুড়ির বিবিধ ব্যবহার। এছাড়া হাতে আঁকা পোশাকও থাকবে।
আরেক উদ্যোগ কাজলায় নিজেদের ভাবনাগুলোকে তুলে ধনরা হবে ছোট-বড় ক্যানভাসে, কখনও শাড়িতে। আজিজি ফাওমি খানের ‘সুতাচিত্র’ ও ‘খট্বায় চারণ’ এই সিরিজদুটো উঠে আসবে কাজলার কাজে।
উঠানে আনন্দ ছড়াতে গাছ নিয়ে হাজির থাকবে অরনীর ও নান্দনিক গৃহকোণ। কম যত্নে ও নিশ্চিন্তে ঘরের সৌন্দর্যবর্ধনকারী গাছ পাওয়া যাবে এখানে। অফিসের ডেস্কে, অন্ধকার ঘরের কোণে বা বারান্দায় অনায়াসে বেড়ে উঠতে পারে এমন সব গাছ কেনা যাবে আনন্দ উঠান থেকে। সেইসঙ্গে পাওয়া যাবে গাছের যত্ন বিষয়ক তথ্যও।
ঐতিহ্যবাহী এবং পরিবেশবান্ধব পাট দিয়ে তৈরি বৈচিত্রময় ব্যাগ পাওয়া যাবে কালিন্দিতে। টেকসই এবং ফ্যাশনেবল পাটের ব্যাগের পাশাপাশি কালিন্দীতে পাটের ফ্লোর ম্যাটও পাওয়া যাবে।
আনন্দ উঠানে চায়ের কাপেও আড্ডা হবে। নিজেদের চা আর টায়ের আয়োজন নিয়ে থাকবে টি টং। চায়ে চুমুক দিতে দিতে জমে উঠবে এবারের আনন্দ উঠান, এমনটাই প্রত্যাশা আয়োজকদের। কেবল টি টংয়েই নয়, খাবার নিয়ে থাকবে চিয়ারি শেফও। ঘরে তৈরি বিভিন্ন স্বাদের কেক, মাফিন, ক্রসান ইত্যাদি মিলবে এই স্টলে।
এছাড়া আরো যে উদ্যোগগুলো অংশ নিচ্ছে সেগুলো হলো তেরো পার্বণ, বুকস অব বেঙ্গল, গুটিপা, ওয়্যারহাউস, ঋ এবং ক্যানভাস।
গরম ধোঁয়া তোলা ভাতের সঙ্গে এক টুকরো ভেটকি মাছের পাতুরি, ব্যস মধ্যাহ্নভোজ চমৎকার হতে আর কী লাগে। ভেটকি মাছের পাতুরির কথা শুনে জিভে জল চলে এলে এখন আর রেস্তোরাঁয় দৌড়াতে হবে না। কেননা, বাড়িতে বসেই তৈরি করে ফেলা সম্ভব মজাদার ভেটকি মাছের পাতুরি। রেসিপি দিয়েছেন তাহমিনা জামান।
উপকরণ
ভেটকি মাছের ফিলেট, পাতুরির জন্য কাটিয়ে নিতে হবে ৪ পিস
সরিষা বাটা ২ টেবিল চামচ। পোস্ত ১ টেবিল চামচ। নারিকেল কোরানো ১/৪ কাপ
কাঁচা মরিচ ৪টা
হলুদ গুঁড়া ১ চা চামচ
লবণ স্বাদ অনুযায়ী
কলাপাতা ১টা, চার টুকরা করে কেটে নিতে হবে
সরিষার তেল ২ টেবিল চামচ
পদ্ধতি
ভেটকি মাছের ফিলেটে লবণ আর হলুদ মাখিয়ে নিতে হবে। সরিষা, কাঁচা মরিচ আর পোস্ত বেটে নিতে হবে। নারিকেল কোরানো, লবণ আর হলুদ এই মসলার সঙ্গে মিশিয়ে রাখতে হবে। এরপর মসলাটা মাছের গায়ে মাখিয়ে ফ্রিজে রাখতে হবে এক ঘণ্টার জন্য। ফ্রিজ থেকে বের করে মাছগুলো মসলা থেকে তুলে সরিষার তেল মাখাতে হবে।
এবার কলার পাতাগুলো গ্যাসের আঁচে খুব হালকা করে সেঁকে নিতে হবে, যাতে মুড়তে সুবিধা হয়। প্রতিটি পাতার ওপর প্রথমে এক টেবিল চামচ বাটা মসলা দিয়ে তার ওপর মাছের টুকরো রাখতে হবে। শেষে আবার এক চামচ মসলা দিয়ে পুরো মাছটা ঢেকে দেয়া লাগবে। সবার ওপরে একটা কাঁচা লঙ্কা রাখতে হবে, সেই সঙ্গে সামান্য তেলও দেয়া যায়।
এবার পাতা মুড়ে সাদা সুতা দিয়ে বেঁধে নিতে হবে। সব পাতুরি মোড়া হলে ভাজার পালা।
নন-স্টিক প্যানে সামান্য তেল দিয়ে তার মধ্যে পাতুরিগুলো সাজিয়ে দিতে হবে। এবার ঢাকনা দিয়ে কম আঁচে ভাজতে হবে।
এভাবে ৭-৮ মিনিট মাঝারি আঁচে দুপাশ ভাজলে পাতা পুড়ে কালো হয়ে যাবে, এর অর্থ মাছের পাতুরি তৈরি।
গরম ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করা যাবে।
নারীদের শরীরের গুরুত্বপূর্ণ একটা অংশ চুল। মেয়েরা শরীরের অন্যান্য অঙ্গের ওপর যেভাবে যত্ন নিয়ে থাকে তার চেয়ে একটুখানি বেশি যত্নশীল নিজের চুলের প্রতি। বর্তমান সময়ে রাস্তায় হাঁটতে বের হলে তরুণীদের মাথায় বাহারি রঙের চুলের দেখা মেলে। ফ্যাশনের ভাষায় যাকে বলে চুলে কালার করা। ফ্যাশনসচেতন নারীরা বরাবরই নিজের ওপরে এক্সপেরিমেন্ট করতে পছন্দ করেন। ফ্যাশনপ্রেমী নারীরা হরহামেশাই স্টাইল পরিবর্তন করতে নতুন নতুন লুক এক্সপেরিমেন্ট করে থাকেন নিজের চুলে।
বহুকাল আগে থেকে ঘন কালো চুলকে নারীর সৌন্দর্যের প্রতীক হিসেবে বিবেচনা করা হয়। শহরে কিংবা গ্রামে নারীর ঘন চুল রয়েছে মানেই সে আলাদা। সময়ের পরিক্রমায় বদলে গেছে জীবনযাপন। পরিবর্তন হয়েছে নারীর ফ্যাশন। বর্তমান সময়ে কালো চুলের প্রতি ঝোঁক কমেছে নারীদের। বাহারি রঙের চুলের প্রতি আগ্রহ তাদের। আপনার চুল কোঁকড়ানো কিংবা স্ট্রেইট যেমনই হোক না কেন চুলে কালার করার মাধ্যমে দ্রুত সময়ের মধ্যে আপনি আপনার লুক চেঞ্জ করতে সক্ষম। নিজেকে সবার মাঝে একটু আলাদাভাবে উপস্থাপন করার জন্য নারীরা বেছে নিচ্ছে নিজের সঙ্গে মানানসই চুলের রং। চুলে কালার করার পূর্বে অবশ্যই কিছু বিষয় মাথায় রাখতে হবে তা হচ্ছে- আপনার বয়স, আপনার গায়ের রং, আপনার পোশাক-আশাক এবং আপনার ব্যক্তিত্বের সঙ্গে খাপ খাবে কিনা।
সাম্প্রতিক সময়ে গোল্ডেন হাইলাইট, গোল্ডেন কপার, শেড রং, বারগেন্ডি ইত্যাদি রঙের প্রতি নারীদের আকর্ষণ বেশি। নিজের চেহারা পরিবর্তন আনার জন্য চুলে রং করা হলেও এসব রং এ থাকে প্রচুর কেমিক্যাল যা চুলের জন্য ক্ষতিকর। তাই ঠিকমতো যত্ন না নিলে চুলে দেখা দিতে পারে হাজারও সমস্যা। সাধারণ চুল থেকে রং করা চুল চায় একটু বেশি যত্ন। শত ব্যস্ততার মাঝেও চুলের প্রতি নিতে হবে বিশেষ যত্ন। রং করা চুলের বিশেষ যত্ন নিয়েই আমাদের আজকের আয়োজন।
নিয়মিত তেল: আমরা অনেকেই তেল ব্যবহার করতে চাই না। কিন্তু চুলের যত্নে সপ্তাহে কমপক্ষে দুই দিন তেল ব্যবহার করতে হবে। অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে তেল যাতে খাঁটি নারকেল তেল হয়। রং করা কিংবা রং ছাড়া যেকোনো চুলের প্রধান খাদ্য হচ্ছে তেল। তেল আগা ফাটা কমায় আর চুল পড়া রোধ করে। মাঝে মাঝে গরম তেল চুলে ম্যাসাজ করা যেতে পারে। এতে মাথার রক্ত চলাচল ভালো থাকে।
গরম পানি ব্যবহার না করা: আমরা অনেকেই জানি না চুলের জন্য গরম পানি বড্ড ক্ষতিকর। গরম পানি চুলে ব্যবহার করার মাধ্যমে রং করা চুল ধীরে ধীরে আরও বেশি ড্যামেজ হতে থাকে। তাই চুলে গরম পানি ব্যবহার এড়িয়ে চলা উচিত।
প্রোটিন ট্রিটমেন্ট: রং করা চুলে মাসে একবার প্রোটিন ট্রিটমেন্ট নেয়া যেতে পারে। এতে চুল পুষ্টি পাবে এবং রং করার ফলে চুলের যেই রুক্ষতা আসে তা কিছুটা দূর হবে। পার্লারে গিয়ে প্রোটিন ট্রিটমেন্ট নিতে না চাইলে ঘরেও আমরা একটা প্রোটিন প্যাক বানিয়ে চুলে দিতে পারি। যেমন: ডিম, টকদই, মধু ইত্যাদি মিশ্রণে একটি প্যাক তৈরি করা যেতে পারে। চুলকে ভেতর থেকে প্রোটিন দেয়ার জন্য বেশি প্রোটিনযুক্ত খাবার খাওয়া যেতে পারে। কারণ চুলের বৃদ্ধির জন্য প্রোটিন একটি অপরিহার্য উপাদান।
কন্ডিশনার: চুলের রং সুরক্ষিত রাখতে চাইলে কন্ডিশনারের বিকল্প নেই। তাই চুলে নিয়মিত কন্ডিশনার দিতে হবে। কন্ডিশনারের ফলে চুল ভেঙে পড়া কমে। চুলের জটযুক্ত, ক্ষতিগ্রস্ত ও বেশি চাপ পড়ে এমন অংশে ভালো মতো কন্ডিশনার ব্যবহার করা প্রয়োজন। কন্ডিশনার ব্যবহারের পরে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করে কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলা উচিত।
সালফেট ফ্রি শ্যাম্পু: শ্যাম্পুতে ফেনার জন্য সালফেট ব্যবহার করা হয়। যা চুলের জন্য কিছুটা ক্ষতিকর। বাজারে এখন সব ব্র্যান্ডের সালফেট ফ্রি শ্যাম্পু পাওয়া যায়। তাই চুলে সালফেট ফ্রি শ্যাম্পু ব্যবহারের চেষ্টা করতে হবে। এবং রং করা চুলের ঘন ঘন শ্যাম্পু ব্যবহার করা উচিত নয়। এতে চুলের রং নষ্ট হয়ে যায়। কালার প্রটেক্টিং শ্যাম্পু ব্যবহার করতে হবে।
হেয়ার স্টাইলার এড়িয়ে চলা: রং করার ফলে এমনি চুল রুক্ষ এবং মলিন হয়ে যায় আবার এর ওপর যদি নিয়মিত হেয়ার ড্রায়ার কিংবা আয়রন করা হয় তাহলে চুল আরও বেশি ঝরতে থাকবে আর রুক্ষতা আরও বেশি বেড়ে যাবে। তাই হেয়ার স্টাইলার যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলা ভালো।
রূপচর্চায় গোলাপজলের ব্যবহার হয়ে আসছে বহু আগে থেকে। সৌন্দর্যচর্চায় প্রাকৃতিক জিনিসের কদর বরাবরই বেশি থাকে। আর তা যদি হয় হাতের কাছের কোনো উপাদান, তাহলে তো কথাই নেই। ত্বক পরিষ্কারক, উজ্জ্বলতা বাড়ানোর প্রসাধনী হিসেবে গোলাপজলের জুড়ি মেলা ভার। প্রসাধনী, চিকিৎসা, সৌন্দর্য এবং খাবারে এর ব্যবহার হয় হরহামেশাই। জেনে নেয়া যাক ত্বকে গোলাপজলের ব্যবহারের উপকারিতা নিয়ে-
পিএইচ মাত্রা বজায় রাখে
বর্তমান সময়ে কমবেশি সবারই ধারণা রয়েছে ত্বকের পিএইচ মাত্রা বজায় রাখার প্রয়োজনীয়তা নিয়ে। গোলাপের পাপড়ি ভেজানো পানিতে এর উপস্থিতি ভালো রকম। এর পিএইচ-ব্যালান্সিং বৈশিষ্ট্যের কারণে এটিকে ত্বকের জন্য প্রাকৃতিক টোনার বলা হয়। এই উপাদান মূলত ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখে, প্রাকৃতিকভাবেই ময়েশ্চারাইজ করে। ত্বকের পিএইচ মাত্রার ভারসাম্য বজায় রাখতে এটি যথেষ্ট। এটিতে অ্যাস্ট্রিজেন্ট বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যা টোনার হিসেবে প্রয়োগ করার কারণে লোমকূপ পরিষ্কার থাকে। এতে ত্বক থাকে সুস্থ ও সুন্দর।
জ্বালা প্রশমিত করুন
গোলাপজলে রয়েছে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্য, যা ত্বকের জ্বালাপোড়া ভাব কমাতে সাহায্য করে এবং রোদে পোড়া ভাব কমাতেও ভালো কাজ করে। এ ছাড়া ত্বকে চুলকানি বা র্যাশ কমাতেও গোলাপজল ব্যবহার করা যেতে পারে।
ত্বকের লালচে ভাব কমায়
গোলাপজলের অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্য কেবল জ্বালাপোড়া ভাব কমায় না, বরং ত্বকের লালচে হয়ে যাওয়া সমস্যাকেও দূর করে। এতে থাকা অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য ত্বকের লালচে ভাব সৃষ্টিকারী যেকোনো ব্যাকটেরিয়াকে ধ্বংস করতে সাহায্য করে।
ব্রণের দাগ এবং সানবার্ন নিরাময় করে
অ্যান্টিসেপটিক ও অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্যের কারণে গোলাপজল ক্ষত নিরাময়ে সাহায্য করে। এটি মূলত ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করে যেকোনো সংক্রমণ প্রতিরোধ করার মাধ্যমে ক্ষত পরিষ্কার ও নিরাময় করে। গোলাপজলের অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্য এবং পিএইচ ব্যালান্সিং বৈশিষ্ট্য ব্রণের দাগ দূর করে এবং রোদে পোড়া দাগ কমায়।
প্রাকৃতিক অ্যান্টি-এজিং এজেন্ট
ময়েশ্চারাইজিং এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্যের কারণে অ্যান্টি-এজিং স্কিনকেয়ারে গোলাপজল জনপ্রিয়। এটি বলিরেখা কমায় এবং কোষের ক্ষতি প্রতিরোধ করে, যা বার্ধক্যের দৃশ্যমান লক্ষণ প্রতিরোধ করতে সক্ষম।
ব্যবহার করুন রাতে ও দিনে
সূর্যের আলো ত্বকের ওপর সরাসরি পড়ার কারণে ত্বকে জ্বালা সৃষ্টি হয়, দাগ হয় কখনোবা লালচে ভাব তৈরি হয়। সে ক্ষেত্রে বাইরে থেকে ফিরে মুখ ধুয়ে একটা নরম কাপড় বা তুলায় খানিকটা গোলাপজল নিয়ে পুরো মুখে চেপে চেপে লাগান। আরামবোধ হবে, সেই সঙ্গে জ্বালাভাব কমবে। যাদের নিয়মিত বাইরে যেতে হয় তারা একটা বোতলে গোলাপজল নিয়ে তা ফ্রিজে রেখে দিতে পারেন। ঠাণ্ডা গোলাপজল ত্বকে আরাম দেবে।
এ ছাড়া প্রতিদিন রাতে ঘুমানোর আগে ভালোভাবে হাত-মুখ ধুয়ে একটু তুলায় গোলাপজল নিয়ে পুরো মুখ ভালোভাবে মুছে নিন। এবার ভেজাভাব শুকিয়ে যেতে দিন। সর্বশেষে ত্বকের সঙ্গে মানানসই ময়েশ্চারাইজার ক্রিম ব্যবহার করুন। ত্বকের পিএইচ ব্যালান্স জুঁতসই হলে ত্বক আপনাতেই হয়ে উঠবে উজ্জ্বল ও সুন্দর।
প্রতিদিন টুকটাক অনেক কিছুই ফ্রিজে রেখে দিতে হয়। তৈরি খাবার থেকে শুরু করে খাবারের নানা উপাদান সবকিছুই ফ্রিজে সতেজ রাখতে কিছু টিপস জেনে রাখতে পারেন-