বৃহস্পতিবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫
১০ আশ্বিন ১৪৩২

শিশুর অতিচঞ্চলতা অমনোযোগিতা

আপডেটেড
১৬ নভেম্বর, ২০২২ ১৫:০৩
ডা. হেলাল উদ্দিন আহমেদ
প্রকাশিত
ডা. হেলাল উদ্দিন আহমেদ
প্রকাশিত : ১৬ নভেম্বর, ২০২২ ১৫:০৩

‘আমার পাঁচ বছর বয়সের ছোট মেয়ে মিনি এক দণ্ড কথা না কহিয়া থাকিতে পারে না। পৃথিবীতে জন্মগ্রহণ করিয়া ভাষা শিক্ষা করিতে সে কেবল একটি বৎসর কাল ব্যয় করিয়াছিল, তাহার পর হইতে যতক্ষণ সে জাগিয়া থাকে এক মুহূর্ত মৌনভাবে নষ্ট করে না’ - রবীন্দ্রনাথের ‘কাবুলিওয়ালা’ গল্পে মিনির চরিত্রে আমরা চপলতা,বাকপটুতা আর সহজেই এক বিষয় থেকে অন্য বিষয়ে তাদের মনোযোগ পরিবর্তন হতে দেখি। চঞ্চলতা শিশুদের স্বাভাবিক বৈশিষ্ট্য। শিশু হবে হাসিখুশি দুরন্ত। কিন্তু শিশু যখন অতিমাত্রায় অমনোযোগী হয়ে ওঠে, বাড়ি বা স্কুল কোথাও মুহূর্তের জন্য মনোসংযোগ করতে পারে না, এত বেশি চঞ্চলতা করে যে তার পড়ালেখাসহ প্রাত্যহিক কাজগুলো ব্যাহত হয় তখন সেই অমনোযোগিতা আর সঙ্গে অত্যধিক অস্থিরমতি হয়ে থাকাটা অসুস্থতা হিসেবে গণ্য করা হয়। এ রোগটিকে বলা হয় অ্যাটেনশন ডেফিসিট হাইপার অ্যাক্টিভিটি ডিসর্অডার (এডিএইচডি) বা হাইপারকাইনেটিক ডিসর্অডার। বাবা-মা বা স্কুলের শিক্ষক সবার আগে এ সমস্যাগুলো চিহ্নিত করতে পারেন। সাধারণত তিন-চার বছর বয়সের মধ্যেই এ রোগের লক্ষণগুলো প্রকাশ পায়, তবে তারও পরে এই সমস্যা দেখা দিতে পারে। এডিএইচডি নিয়ে আগে এতটা সচেতনতা ছিল না, কিন্তু এখন বাবা-মা-শিক্ষক অনেকেই এ সমস্যাটি নিয়ে সচেতন। তবে অনেক সময় চঞ্চলতা আর অতিচঞ্চলতার মাঝের পার্থক্যটুকু বুঝতে না পেরে স্বাভাবিক চঞ্চল শিশুকেই অনেকে এডিএইচডি বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন শিশু বলে মনে করেন।

কখন চঞ্চলতা একটি রোগ?

শিশুর চঞ্চলতা মানেই এডিএইচডি না। মনে রাখতে হবে-

  • শিশুর চঞ্চলতার কারণে যদি সে নিজে ক্ষতিগ্রস্ত হয় (প্রতিনিয়ত পড়ে যাওয়া, আঘাত পাওয়া ইত্যাদি)
  • শিশুর চঞ্চলতা যদি প্রায়ই অন্যের ক্ষতির কারণ হয় (জিনিসপত্র ভাঙা, অযথা ছোটাছুটি করে অন্যের কাজে বাধা দেয়া, আরেকটি শিশুকে আঘাত করা, অন্যের খেলার সামগ্রী নিয়ে নেয়া, কোথাও বেড়াতে গেলে সবকিছু ধরাধরি করা ইত্যাদি)
  • চঞ্চলতার কারণে যদি শিশুর সামাজিক বিকাশ বাধাগ্রস্ত হয় (যেমন চঞ্চলতার কারণে কেউ তার সঙ্গে মেশে না, খেলে না, তাকে এড়িয়ে চলে, তার বাবা-মাকে বাসায় আমন্ত্রণ জানাতে অনিচ্ছা প্রকাশ করে, এমনকি শিশুর চঞ্চলতার কারণে বাবা-মা নিজেরাই অন্যের আমন্ত্রণ এড়িয়ে চলেন) তখন সেই চঞ্চলতা হচ্ছে অতিচঞ্চলতা।

সেই সঙ্গে খুব বেশি পরিমাণে অমনোযোগিতা, কোনো কিছুর প্রতি বেশিক্ষণ মনোযোগ ধরে রাখতে না পারা। অতিরিক্ত দুরন্তপনা, প্রায় সর্বক্ষণ ছোটাছুটি, দৌড়াদৌড়ি এবং চিন্তা না করেই আবেগবশত হঠকারী কোনো কাজ করে ফেলার মতো বৈশিষ্ট্য এডিএইচডি রয়েছে এমন শিশুর মধ্যে থাকে।

কেন হয় এডিএইচডি?

এ সমস্যার সুনির্দিষ্ট কারণ খুঁজে পাওয়া যায়নি। এটি শিশুর স্নায়ুবিকাশজনিত সমস্যা। সাধারণত কিছু বিষয়কে এডিএইচডি হওয়ার জন্য ঝুঁকি হিসেবে বিবেচনা করা হয়-

  • বংশানুগতিক: বংশে কারও যদি এডিএইচডি থাকে।
  • মস্তিষ্কে আঘাত: জন্মের সময় বা জন্মের পর পরই যদি শিশু মাথায় আঘাত পায়
  • পরিবেশগত: গর্ভাবস্থায় মা যদি এমন জায়গায় বসবাস করেন যেখানকার বাতাসে ভারী ধাতু (যেমন সিসার পরিমাণ) বেশি। টু-স্ট্রোক ইঞ্জিন থেকে বাতাসে সিসার পরিমাণ বাড়তে পারে।
  • অপরিণত শিশু: সময়ের আগেই যদি কোনো কারণে শিশু জন্মগ্রহণ করে (প্রিম্যাচুর বেবি)
  • ওজন কম: জন্মের সময় যদি শিশুর ওজন স্বাভাবিকের চাইতে কম থাকে
  • ধূমপান: গর্ভাবস্থায় মা যদি ধূমপান বা মদ্যপান করে থাকেন

কিছু প্রচলিত মিথ বা ভ্রান্ত ধারণা আছে যে বেশি চিনি খেলে, টিভি বেশি দেখলে, মোবাইলে গেম খেললে, বাবা-মায়ের ত্রুটিযুক্ত প্যারেন্টিংয়ের কারণে এডিএইচডি হয়। প্রকৃতপক্ষে এগুলোর সপক্ষে কোনো বিজ্ঞানভিত্তিক প্রমাণ পাওয়া যায়নি; কিন্তু কৃত্রিম রং আর মিষ্টিযুক্ত খাবার, কোমল পানীয়, ফাস্টফুড, অধিক টিভি/মোবাইল ফোনের আসক্তি, বাবা-মায়ের পেরেন্টিংয়ের ত্রুটি এডিএইচডির লক্ষণকে বাড়াতে পারে। তবে এগুলোর কারণে এডিএইচডি হয় তার কোনো প্রমাণ নেই। আন্তর্জাতিক গবেষণায় দেখা যায়, সারা বিশ্বে এ রোগের হার প্রতি এক হাজার জন শিশুর মাঝে ১৭-৫০ জন। বাংলাদেশে এক গবেষণায় দেখা গেছে, এডিএইচডি রোগের হার শিশুদের মধ্যে প্রতি হাজারে প্রায় ১০ জন। মেয়েশিশুদের তুলনায় আক্রান্ত ছেলেশিশুদের সংখ্যা তিন গুণ বেশি। কখনো কখনো কিন্তু বড়দের মধ্যেও এডিএইচডির লক্ষণ থাকে।

ধরন

লক্ষণের ওপর ভিত্তি করে সাধারণত তিন ধরনের এডিএইচডি দেখা যায়।

  • অমনোযোগিতা বেশি। পড়ালেখাসহ কোনো কাজে মনোযোগ দিতে পারে না। বেশিক্ষণ একই ধরনের কাজে মনোযোগ দিতে পারে না। কোনো নির্দেশ মনোযোগ দিয়ে শোনে না।
  • অতিচঞ্চলতা বেশি: সব সময় দুরন্তপনা করে। ছোটাছুটি-চঞ্চলতা এত বেশি যে নিজেই মাঝে মাঝে আঘাত পায়। একদণ্ড স্থির থাকে না। সবকিছু ধরাধরি করে, নাড়াচাড়া করে। বেশি বেশি কথা বলে। কাউকে কথা বলতে দিতে চায় না।
  • মিশ্র: অমনোযোগিতা এবং অতিচঞ্চলতা দুই ধরনের লক্ষণই শিশুর মধ্যে থাকে।

কখন বোঝা যাবে শিশুর মধ্যে এডিএইচডি আছে?

এডিএইচডি শনাক্ত করতে হলে তার মধ্যে নিচের লক্ষণগুলো আছে কি না দেখতে হবে-

  • কোনো কিছুর প্রতি বেশিক্ষণ মনোযোগ ধরে রাখতে না পারা
  • সারাক্ষণ ছোটাছুটি করা, চিন্তাভাবনা না করে হঠাৎ কিছু করে ফেলা
  • স্থির বসে থাকতে না পারা
  • বই-কলম প্রায়ই হারিয়ে ফেলা
  • লাফিয়ে উঁচুতে উঠে যাওয়া
  • প্রশ্ন শোনার আগেই জবাব দেয়া
  • পড়ালেখা, এমনকি খেলাধুলাতেও মনোযোগ রাখতে না পারা
  • বড়দের কাজ বা কথার মাঝে ক্রমাগত বাধা দিতে থাকে
  • একসঙ্গে অনেক কিছু করার চেষ্টা করে, কিন্তু কোনোটাই শেষ করে না।

অতিচঞ্চলতার এই লক্ষণগুলো যদি একটি ১২ বছরের কম বয়সী শিশুর মধ্যে কমপক্ষে ছয় মাস ধরে দেখা যায় এবং এ কারণে তার পড়ালেখা বাধাগ্রস্ত হতে থাকে, তখনই সেটাকে এডিএইচডি বলা হয়।

মা-বাবারা কী করবেন?

  • শিশুর জন্য একটা রুটিন তৈরি করুন। বাড়ির সবাই নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চলুন। যেমন ঠিক সময়ে ঘুমানো, খাবার সময় হলে টেবিলে বসা, খেলার সময় খেলা ইত্যাদি।
  • শিশুকে কোনো নির্দেশ দিলে তা বুঝিয়ে বলবেন। রূঢ় আচরণ করবেন না। বকাবকি, মারধর সমস্যার সমাধান নয়।
  • শিশুর ভালো কাজকে প্রশংসা করুন, কখনো পুরস্কার দিন।
  • শিশুর সমস্যা নিয়ে স্কুলের শিক্ষকের সঙ্গে খোলামেলা আলোচনা করুন। চিকিৎসকের মন্তব্য শিক্ষককে জানান এবং তার সাহায্য চান।
  • শিশুর খাদ্যতালিকায় কোমল পানীয়, চিপস, দোকানের জুস, কৃত্রিম রং আর মিষ্টির পরিমাণ কমিয়ে তাজা ফলমূল যুক্ত করুন।
  • যদি কোনো শিশুর মধ্যে এডিএইচডির লক্ষণ থাকে, তবে একজন মনোচিকিৎসকের সাহায্য নিন।

মনে রাখবেন

  • এডিএইচডি একটি স্নায়ুবিকাশজনিত রোগ
  • তবে যেকোনো চঞ্চলতা মানেই এডিএইচডি নয়
  • এডিএইচডি নিশ্চিত করতে হলে মনোচিকিৎসকের সাহায্য নিতে হবে
  • যত দ্রুত সম্ভব এডিএইচডি নির্ণয় করুন- যত দ্রুত সম্ভব চিকিৎসা গ্রহণ করুন
  • এডিএইচডির চিকিৎসায় সাইকোথেরাপি-কাউন্সেলিং, বিহেভিয়ার থেরাপি, পেরেন্ট ট্রেনিং এবং ওষুধ সবকিছুর ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ
  • অবৈজ্ঞানিক প্রচারণায় বিভ্রান্ত হবেন না। ওষুধকে ভয় পাবেন না। বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিয়ে শিশুকে নিয়মিত ওষুধ খাওয়ান। ভ্রান্ত প্রচারণার বশবর্তী হয়ে ওষুধ থেকে দূরে থাকবেন না। পাশাপাশি কাউন্সেলিং, বিহেভিয়ার থেরাপি, পেরেন্ট ট্রেনিং গ্রহণ করুন
  • শিশুর কথা বলা শিখতে দেরি হলে স্পিচ থেরাপি দেয়া লাগতে পারে; এ বিষয়টিও মাথায় রাখুন
  • এডিএইচডি আছে এমন শিশুকে নিয়মিত বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের ফলোআপে রাখুন

লেখক: সহযোগী অধ্যাপক

চাইল্ড অ্যাডোলেসেন্ট অ্যান্ড ফ্যামিলি সাইকিয়াট্রি

জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট, ঢাকা


বার্ন ইনিস্টিউট থেকে ছাড়পত্র পেলেন আরও দুই শিক্ষার্থী

আপডেটেড ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ২০:৫৩
নিজস্ব প্রতিবেদক

জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউ থেকে রাজধানীর মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় দগ্ধ মো. রাইয়ান (১৪) ও হাফসা খাঁন (১১) নামের আরও দুই শিক্ষার্থীকে আজ ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে।

শনিবার ছাড়পত্রের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসির উদ্দিন।

তিনি জানান, মো. রাইয়ান নামের এক শিক্ষার্থীর শারীরিক অবস্থার উন্নতি হওয়ায় শনিবার দুপুরের দিকে তাকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। রাইয়ান মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী। তার শরীরে ২২ শতাংশ দগ্ধ ছিল। তিনি গাজীপুরের টঙ্গীর মোহাম্মদ মোশারফ হোসেনের সন্তান।

অধ্যাপক নাসির আরো জানান, হাফসা খাঁন (১১) নামের এক শিক্ষার্থীর শারীরিক অবস্থার উন্নতি হওয়ায় শনিবার দুপুরের দিকে তাকেও ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। হাফসার শরীরে ২২ শতাংশ দগ্ধ ছিল।

ডা. নাসির জানান, আমাদের জাতীয় বার্ন ও ইনস্টিটিউট থেকে এখন পর্যন্ত ২৫ জনকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। এখানও ১১ জনকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তাদের সবার শারীরিক অবস্থা উন্নতির দিকে। আমরা আশা করছি, অন্যান্য যারা আমাদের এখানে ভর্তি আছে তারাও শিগগিরই সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরবেন ইনশাল্লাহ।


গবাদি প্রাণীতে যত্রতত্র অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার মানবদেহের জন্য হুমকি: মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধি 

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, গবাদি প্রাণীতে অ্যান্টিবায়োটিকের অবাধ ব্যবহারের ফলে ব্যাকটেরিয়াগুলো অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স তৈরি হচ্ছে। যা মানব স্বাস্থ্যের জন্য ভবিষ্যতে মারাত্মক হুমকি হয়ে উঠতে পারে। মানুষ এবং গবাদিপশু পাশাপাশি থাকলে প্রাণিসম্পদে ক্ষতিকর কিছু ব্যবহার করা হলে তা মানুষের শরীরে ফেরত আসার সম্ভবনা তৈরি হয়।

শনিবার উপদেষ্টা সৈয়দপুরের ইকো হেরিটেজ হোটেল অ্যান্ড রিসোর্ট মিলনায়তনে বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বিএলআরআই) আঞ্চলিক কেন্দ্র আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন ও কর্মশালা-২০২৫ এ প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

ফরিদা আখতার বলেন, দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের স্থানীয় জাতের মুরগিসহ অন্যান্য দেশীয় সম্পদগুলো হারিয়ে যাওয়ার হাত থেকে রক্ষা করতে হবে এবং অঞ্চলভিত্তিক ক্ষতির কারণগুলো চিহ্নিত করে তা সমাধানের জন্য কাজ করতে হবে। দেশীয় মুরগির পাশাপাশি হাঁসের ডিমের জনপ্রিয়তা বৃদ্ধির লক্ষ্যে কার্যক্রম গ্রহণ করতে হবে। তিনি বলেন, খাদ্য উৎপাদন ও খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতে স্বয়ংসম্পূর্ণ হওয়ার ক্ষেত্রে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাত অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এ জন্য ফিড ইন্ডাস্ট্রিতে খাদ্য উৎপাদনের সাথে সাথে খাদ্য তৈরির উপাদানের ক্ষেত্রেও আমাদের স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে হবে। বাইরে থেকে খাদ্য তৈরির উপাদান আমদানি করা হলে খাদ্য নিরাপত্তা বিঘ্নিত হতে পারে।

বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় মন্ত্রণালয়ের সচিব আবু তাহের মুহাম্মদ জাবের বলেন, কম খরচে খাদ্য ব্যবস্থাপনা বিষয়ে গবেষণা করতে হবে। সরকারের বিভিন্ন স্টেকহোল্ডারদের মধ্যে মন্ত্রণালয়ের কাজের ব্র্যান্ডিং বাড়াতে হবে। একই সাথে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতে কর্মরত জনবলের জন্য প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ প্রদানের লক্ষ্যে মন্ত্রণালয় সকল প্রকার সহযোগিতা করবে। কর্মশালায় বিএলআরআইয়ের মহাপরিচালক ড. শাকিলা ফারুক সভাপতির বক্তৃতায় বলেন, মধ্যম আয়ের দেশ হয়ে উঠার সাথে সাথে আমাদের প্রাণিজ আমিষের চাহিদা বৃদ্ধি পাবে এবং আমাদের উৎপাদন বাড়াতে হবে। আর উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য গবেষণার বিকল্প নেই। বিএলআরআই দেশীয় সম্পদকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। বিএলআরআই ভবিষ্যতে স্থানীয় জাত সংরক্ষণ ও খাদ্যের উৎপাদন খরচ কমানোর জন্য কাজ করবে।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব নীলুফা আক্তার, মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মো. আবদুর রউফ, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মো. আবু সুফিয়ান, বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. অনুরাধা ভদ্র। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিএলআরআইয়ের পোলট্রি রিসার্চ সেন্টারের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা এবং পোল্ট্রি গবেষণা ও উন্নয়ন জোরদারকরণ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক ড. মো. সাজেদুল করিম সরকার। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়, দপ্তর ও সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাসহ বিভিন্ন স্টেকহোল্ডার এ সময় উপস্থিত ছিলেন।


দীর্ঘায়ু পেতে সাহায্য করতে পারে সমুদ্রের বাতাস: গবেষণা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

সমুদ্রপাড় বা সমুদ্রের কাছাকাছি বাস করা মানুষের কেবল মনই ভালো রাখে না, বরং দীর্ঘায়ু পেতেও সহায়ক হতে পারে বলে সাম্প্রতিক এক গবেষণায় এমন দাবি করা হয়েছে। ‘ওহাইও স্টেট ইউনিভার্সিটি’র গবেষকদের সাম্প্রতিক এক গবেষণা বলছে, যারা সমুদ্রতীর থেকে প্রায় ৫০ কিলোমিটারের মধ্যে বসবাস করেন তারা নদী বা হ্রদের কাছাকাছি শহরে বসবাসকারী মানুষের চেয়ে দীর্ঘায়ু পেতে পারেন।

যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে ৬৬ হাজারেরও বেশি আদমশুমারির তথ্য বিশ্লেষণ করেছেন গবেষকরা। মানুষ কোন ধরনের জলাশয়ের আশপাশে বাস করছেন তার ওপর নির্ভর করে তাদের গড় আয়ু কীভাবে পরিবর্তিত হয়, এ গবেষণায় তা খতিয়ে দেখেছেন তারা। যেমন– সমুদ্র, নদী, হ্রদ বা অন্য কোনো জলপথ।

গবেষণা বলছে, যারা সমুদ্রপাড় বা উপসাগরের কাছাকাছি থাকেন তারা সাধারণত বেশি দিন বাঁচেন। গড় হিসেবে উপকূলীয় অঞ্চলের বাসিন্দারা যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় গড় আয়ু ৭৯ বছরের চেয়ে আরও এক বছর বেশি বাঁচেন।

অন্যদিকে, যারা বড় হ্রদ বা নদীর মতো জলাশয়ের পাশে থাকা শহরে বাস করেন সমুদ্রপারের মানুষের চেয়ে গড়ে এক বছর কম বাঁচেন তারা।

এ গবেষণার প্রধান লেখক ড. জিয়ানইয়ং ‘জেমি’ উ বলেছেন, আয়ুর এই পার্থক্য নানা বিষয়ের মিলিত প্রভাবে হতে পারে। সমুদ্রের কাছাকাছি বসবাসকারীরা সাধারণত কিছু সুবিধা ভোগ করেন। যেমন– ঠাণ্ডা ও স্থিতিশীল তাপমাত্রা, অপেক্ষাকৃত পরিচ্ছন্ন বাতাস এবং হাঁটা বা সাঁতার কাটার মতো শারীরিক কর্মকাণ্ডে অংশ নেওয়ার সহজ সুযোগ।

এছাড়াও সমুদ্রপাড়ের মানুষ বেশি আয় করেন, ভালো যাতায়াত সুবিধা পান– এসব বিষয়ও মানুষের সুস্থ থাকা ও দীর্ঘায়ু হওয়ার ক্ষেত্রে সহায়ক ভূমিকা রাখতে পারে বলে প্রতিবেদনে লিখেছে বিজ্ঞানভিত্তিক সাইট নোরিজ।

অন্যদিকে, নদী বা হ্রদের কাছাকাছি শহরাঞ্চলের মানুষ বেশি মাত্রায় দূষণ, দারিদ্র্য, নিরাপদ ব্যায়ামের জায়গার অভাব ও বন্যার ঝুঁকিতে থাকেন। এসব থেকে ইঙ্গিত মেলে, কেন স্থলবেষ্টিত জলাশয়ের পাশে থাকা মানুষ সমুদ্রপাড়ের মানুষের মতো স্বাস্থ্য উপকারিতা পান না।

গবেষণার আরেক গবেষক ইয়ানি কাও বলেছেন, তাপমাত্রার পার্থক্য এখানে গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। সমুদ্রপাড়ের আবহাওয়া সাধারণত ঠাণ্ডা ও সহনীয় থাকে। ফলে মানুষের গরমজনিত স্বাস্থ্য সমস্যা যেমন হিট স্ট্রোক বা ক্লান্ত হওয়ার ঝুঁকি অনেকটা কমে যায়।

পানির কাছে বসবাস করাকে ‘ব্লু স্পেস’ বলে, যা শরীরের জন্য ভালো হতে পারে। তবে এ ধারণা নতুন কিছু নয়। আগের বিভিন্ন গবেষণা থেকেও ইঙ্গিত মিলেছে, যারা পানির কাছাকাছি থাকেন তারা সাধারণত বেশি সক্রিয় থাকেন। তাদের মোটা হওয়ার হার কম হয় ও হৃদযন্ত্র ভালো থাকে।

তবে এ গবেষণাতেই প্রথমবারের মতো স্পষ্ট ইঙ্গিত মিলেছে যে, মানুষ কী ধরনের পানির পাশে ও কেমন পরিবেশে বসবাস করেন তা তাদের আয়ুর ক্ষেত্রে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

ড. উ বলেছেন, ‘উপকূলীয় ও স্থলভাগের বাসিন্দাদের আয়ুর এত বড় পার্থক্য দেখে আমি অবাক হয়েছি। আমরা ভাবছিলাম সব ধরনের ব্লু স্পেস বা পানির আশপাশের এলাকা থেকে সুবিধা পাওয়া যাবে। তবে আমাদের গবেষণা বলছে, সমুদ্রপারের জীবন সত্যিই আলাদা।’


স্টেট ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশে স্বাস্থ্য সচেতনতামূলক সেমিনার ও স্তন ক্যান্সার স্ক্রিনিং অনুষ্ঠিত

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

স্টেট ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের (SUB) ইনস্টিটিউট অব স্কিল ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড কন্টিনিউয়িং এডুকেশন (ISDCE)-এর আয়োজনে আজ (২৭ আগষ্ট, বুধবার) অনুষ্ঠিত হলো একটি বিশেষ স্বাস্থ্যসচেতনতামূলক সেমিনার ও স্তন ক্যান্সার স্ক্রিনিং কর্মসূচি। “Her Health, Her Power: Be Aware, Be Brave, Be Cared” প্রতিপাদ্যে আয়োজিত এ দিনব্যাপী কর্মসূচিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারী ছাড়াও আশপাশের এলাকার বিপুল সংখ্যক নারী অংশ নেন।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন স্টেট ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের মাননীয় উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. আখতার হোসেন খান। সভাপতিত্ব করেন মাননীয় উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. নওজিয়া ইয়াসমিন। স্বাগত বক্তব্য রাখেন ISDCE-এর পরিচালক মো. মাহমুদুর রহমান।
মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ক্যান্সার মহামারী বিশেষজ্ঞ ও প্রতিরোধমূলক অনকোলজিস্ট প্রফেসর ড. হাবিবুল্লাহ তালুকদার রাসকিন, যিনি বাংলাদেশে স্তন ক্যান্সারের প্রকোপ, ঝুঁকি, প্রাথমিক লক্ষণ এবং নিয়মিত স্ক্রিনিংয়ের গুরুত্ব তুলে ধরেন। তিনি বলেন, “প্রতিরোধ চিকিৎসার তুলনায় অনেক সাশ্রয়ী এবং কার্যকর। সচেতনতা ও প্রাথমিক শনাক্তকরণই জীবন রক্ষার মূল চাবিকাঠি।”
অনুষ্ঠানে ক্যান্সার জয়ী এবং সেন্টার ফর ক্যান্সার কেয়ার ফাউন্ডেশনের মহাসচিব জাহান-ই-গুলশান শাপলা তার অনুপ্রেরণামূলক অভিজ্ঞতা শেয়ার করেন। এছাড়া বক্তব্য রাখেন হারমনি ট্রাস্টের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা অমিতাভ ভট্টাচার্য এবং জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ড. আবু জামিল ফয়সল।
অনুষ্ঠানে উইমেন্স হেলথ এডুকেটর মাহমুদা মিতু পরিচালিত বিশেষ প্রশিক্ষণ সেশনে নারীদের হাতে-কলমে শেখানো হয় কীভাবে ঘরে বসে স্ব-পরীক্ষার মাধ্যমে স্তন ক্যান্সারের প্রাথমিক লক্ষণ শনাক্ত করা সম্ভব। পাশাপাশি সকাল ১১টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত নারী শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও পার্শ্ববর্তী এলাকার নারীদের জন্য বিনামূল্যে স্তন ক্যান্সার স্ক্রিনিং সেবা প্রদান করা হয়।
আয়োজকরা জানান, এই কর্মসূচি একদিনের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়; বরং ভবিষ্যতে আরও নিয়মিতভাবে নারী স্বাস্থ্যসচেতনতা ও স্ক্রিনিং সেবা চালু করার পরিকল্পনা রয়েছে। কর্মসূচির পৃষ্ঠপোষকতা করে NanoGroup, যা এই আয়োজনকে সফল করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
স্টেট ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ বিশ্বাস করে, নারীর স্বাস্থ্য সুরক্ষিত হলে পরিবার ও সমাজ উভয়ই সুরক্ষিত হয়। আজকের এই আয়োজন প্রমাণ করেছে যে শিক্ষাঙ্গন শুধু জ্ঞানচর্চার ক্ষেত্র নয়, বরং সামাজিক দায়বদ্ধতা পালনেরও একটি শক্তিশালী প্ল্যাটফর্ম।


প্রাপ্তবয়স্কদের এক-তৃতীয়াংশ ভুগছে বাতের ব্যথায়

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

দেশে প্রাপ্তবয়স্ক চার কোটি মানুষ বাতের ব্যথায় ভুগছে। অর্থাৎ এক-তৃতীয়াংশ গিরা, পেশি কিংবা হাড়ের সমস্যায় ভুগছে। সম্প্রতি ‘কমিউনিটি ওরিয়েন্টেড প্রোগ্রাম ফর কন্ট্রোল অব রিউমেটিক ডিসিজের’ (কপকর্ড) চালানো এক সমীক্ষায় এ তথ্য জানা গেছে।

গতকাল শনিবার রাজধানীর শহীদ আবু সাঈদ কনভেনশন সেন্টারে রিউমাটোলজি ফাউন্ডেশন অ্যান্ড রিসার্চ (পিএনআরএফআর) আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এ তথ্য-উপাত্ত উপস্থাপন করা হয়।

এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন, প্রতিষ্ঠানটির ভাইস চেয়ারম্যান ও এম এইচ শমরিতা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. নীরা ফেরদৌস।

ডা. নীরা ফেরদৌস বলেন, গবেষণায় দেখা গেছে, দেশে প্রায় ৩ ভাগের ১ ভাগ অর্থাৎ প্রায় ৪ কোটি প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষ গিরা, পেশি কিংবা হাড়ের সমস্যায় ভুগছে। বাত ব্যথাজনিত রোগী বাড়লেও সেই তুলনায় বাতরোগ বিশেষজ্ঞ দক্ষ চিকিৎসক নেই। ফলে অনেক রোগী অপচিকিৎসার শিকার হচ্ছেন। সরকারের উচিত এই দিকে নজর দেওয়া।

তিনি বলেন, দেশে রিউমাটয়েড আর্থারাইটিসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা সাড়ে ১৭ লাখের মতো। প্রতি বছর আরো সাড়ে ৬ হাজার নতুন রোগী বাড়ছে। এদিকে বয়সজনিত বাতের রোগ হাঁটুর অস্টিওআর্থ্রাইটিসে ভুগছেন দেশের প্রায় সোয়া কোটি মানুষ।

আর নতুন করে প্রতি বছরে আক্রান্ত হচ্ছেন কমপক্ষে ১৩ লাখ মানুষ। অন্যদিকে বয়সজনিত কোমড় বাত ব্যথায় (লাম্বার স্পন্ডাইলোসিস) ভুগছেন ১ কোটি ৬ লাখ মানুষ। নতুন করে প্রতিবছর আক্রান্ত হচ্ছেন ৩ লাখের মতো রোগী।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন পিএনআরএফআরের চেয়ারম্যান, এশিয়া প্যাসিফিক লীগ অব অ্যাসোসিয়েশন ফর রিউমাটোলজি ভাইস প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক ডা. মো. নজরুল ইসলাম। তিনি বলেন, দেশে প্রতি ৪ জন মানুষে একজন নানা কারণে দরিদ্র হচ্ছেন।

এর মধ্যে চিকিৎসায় মানুষের ব্যয় অনেক বেশি। অথচ এই ক্ষেত্রে সহযোগিতা নেই বললেই চলে। ব্যথার কষ্টে ভোগা মানুষের পাশে দাঁড়ানোর চিন্তা থেকে আমাদের যাত্রা শুরু। এই কার্যক্রমে যারা পাশে থেকে অনুপ্রাণিত করছেন তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা।

বাত-ব্যথা রোগীদের জন্য কাজ করা সংগঠন প্রফেসর নজরুল রিউমাটোলজি ফাউন্ডেশন অ্যান্ড রিসার্চ (পিএনআরএফআর) ট্রাস্টের পক্ষ থেকে নবমবারের মতো এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। এতে দিনভর বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক প্রবন্ধ, প্রশ্ন উত্তরের মাধ্যমে সমস্যার সমাধানসহ রোগীদের হাতে কলমে ব্যায়াম শেখানো হয়।

অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য দেন মেডিসিন ও ডায়াবেটিস, থাইরয়েড রোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. নাসিম আক্তার চৌধুরী, বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) সদস্য মো. মুনির হোসেন, মেজর জেনারেল কাজী ইফতেখার-উল-আলম, রোটারি ক্লাব ঢাকার সাবেক প্রেসিডেন্ট শেখ নাহার মাহমুদ, বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম, ফাউন্ডেশনের অন্যতম পৃষ্ঠপোষক আমিনুর রহমান সাব্বির, পিএনআরএফআরের সেক্রেটারি জেনারেল ড. পিযুষ কান্তি বিশ্বাস।


ডেঙ্গুতে আরও দুইজনের মৃত্যু, হাসপাতালে ২৭৮

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

গতকাল বুধবার সকাল ৮টা থেকে বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত একদিনে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে আরও ২৭৮ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। একই সঙ্গে এই সময়ে ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে নতুন করে দুইজনের মৃত্যু হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়েছে, হাসপাতালে নতুন ভর্তিদের মধ্যে বরিশাল বিভাগে ৭২ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ৩৫ জন, ঢাকা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৪৬ জন, ঢাকা উত্তর সিটিতে ২৮ জন, ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে ৩৫ জন, খুলনা বিভাগে ১৮ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে ৪ জন, রাজশাহী বিভাগে ৩৫ জন এবং রংপুর বিভাগে ৫ জন নতুন রোগী ভর্তি হয়েছেন।

এদিকে গত একদিনে সারাদেশে ৩০৩ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন। এ নিয়ে চলতি বছর ছাড়পত্র পেয়েছেন ১৯ হাজার ৬৩৫ জন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, এ বছরের জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত সব মিলিয়ে ২০ হাজার ৯৮০ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তবে বছরের এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে মৃত্যু হয়েছে ৮৩ জনের।

প্রসঙ্গত, ২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত মোট ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছে এক লাখ এক হাজার ২১৪ জন এবং ডেঙ্গুতে মোট মৃত্যুবরণ করেছেন ৫৭৫ জন। এর আগে ২০২৩ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মোট এক হাজার ৭০৫ জনের মৃত্যু হয় ও পাশাপাশি ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন মোট তিন লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন।


বিশ্বজুড়ে দ্বিগুণ হতে পারে লিভার ক্যান্সার, প্রতিরোধযোগ্য অধিকাংশ : গবেষণা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

বিশ্বব্যাপী লিভার ক্যান্সারে আক্রান্তের সংখ্যা ২০৫০ সালের মধ্যে প্রায় দ্বিগুণ হতে পারে। মঙ্গলবার প্রকাশিত এক গবেষণায় এমন সতর্ক করা হয়েছে।

তবে স্থূলতা, মদ্যপান ও হেপাটাইটিসের মতো প্রতিরোধযোগ্য ঝুঁকিগুলোর বিরুদ্ধে এখনই কার্যকর পদক্ষেপ নিলে অনেক ক্ষেত্রেই এ রোগ এড়ানো সম্ভব।

প্যারিস থেকে এএফপি এই খবর জানিয়েছে।

ল্যানসেট মেডিকেল জার্নালে প্রকাশিত গ্লোবাল ক্যানসার অবজারভেটরির তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে লিভার ক্যান্সারে প্রতি বছর নতুন আক্রান্তের সংখ্যা ৮ লাখ ৭০ হাজার হলেও ২০৫০ সালের মধ্যে তা বেড়ে দাঁড়াবে ১৫ লাখ ২০ হাজারে। রোগটির অবস্থান এখন ক্যান্সারের মধ্যে ষষ্ঠ।

তবে মৃত্যু হারের দিক থেকে এটি তৃতীয়। গবেষণা বলছে, ২০৫০ সালের মধ্যে এই ক্যান্সারে ১৩ লাখ ৭০ হাজার মানুষের প্রাণ যেতে পারে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, লিভার ক্যান্সারের প্রতি পাঁচটি রোগীর মধ্যে তিনজনই চাইলেই এই রোগ থেকে বাঁচতে পারেন। মূল ঝুঁকিগুলোর মধ্যে রয়েছে মদ্যপান, হেপাটাইটিস বি ও সি ভাইরাস এবং ‘এমএএসএলডি’ (মেটাবলিক ডিসফাংশন অ্যাসোসিয়েটেড স্টিয়াটোটিক লিভার ডিজিজ) নামের এক রোগ। এই রোগে ওজন বাড়ার কারণে লিভারে চর্বি জমা হয়। পূর্বে এটিকে ‘নন-অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভার ডিজিজ’ নামে ডাকা হতো।

বিশ্ব হেপাটাইটিস দিবসে (২৮ জুলাই) প্রকাশিত এ গবেষণায় বলা হয়, ২০৫০ সালেও হেপাটাইটিস বি ও সি ভাইরাস লিভার ক্যান্সারের প্রধান কারণ হিসেবে থাকবে। জন্মের পরপর টিকা দেওয়া হেপাটাইটিস বি প্রতিরোধে সবচেয়ে কার্যকর হলেও সাব-সাহারা আফ্রিকাসহ অনেক নিম্নআয়ের দেশে এখনও টিকাদানের হার খুবই কম।

গবেষকদের আশঙ্কা, টিকাদানের হার না বাড়লে ২০১৫ থেকে ২০৩০ সাল পর্যন্ত হেপাটাইটিস বি-তে বিশ্বজুড়ে ১ কোটি ৭০ লাখ মানুষের মৃত্যু হতে পারে।

অন্যদিকে, ২০৫০ সাল নাগাদ লিভার ক্যান্সারের ২১ শতাংশ কারণ হবে মদ্যপান, যা ২০২২ সালের তুলনায় দুই শতাংশের বেশি। এছাড়া, ওজন বাড়ার কারণে লিভারে জমে থাকা চর্বি থেকে সৃষ্ট ক্যান্সারের হার বেড়ে ১১ শতাংশে পৌঁছাবে। যা এখনকার চেয়ে দুই শতাংশ বেশি।

গবেষণাটি বলেছে, বিশ্বজুড়ে এখনই লিভার ক্যান্সার প্রতিরোধে জরুরি উদ্যোগ নিতে হবে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এ বিষয়ে জনসচেতনতা বাড়ানো অত্যন্ত জরুরি। বিশেষ করে যাঁরা স্থূলতা বা ডায়াবেটিসে আক্রান্ত, তাঁদের মধ্যে ফ্যাটি লিভার রোগের ঝুঁকি বেশি। যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপ ও এশিয়ায় এ বিষয়ে বেশি সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন গবেষকরা।


'সারা পৃথিবীতে ৩০ কোটির বেশি মানুষ হেপাটাইটিস বি ও সি‘তে আক্রান্ত’ 

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
মাহফুজ নান্টু, কুমিল্লা প্রতিনিধি

'সারা পৃথিবীতে ৩০ কোটির বেশি মানুষ 'হেপাটাইটিস বি ও সি‘তে আক্রান্ত। পৃথিবীতে ১৩ লাখ মানুষ প্রতিবছর 'হেপাটাইটিস বি'তে মারা যাচ্ছেন। বিশ্ব স্বাস্থ্যসংস্থার মতে এটি জনস্বাস্থ্যের জন্য বিরাট হুমকি। আগে বাংলাদেশের প্রতি ১২ জনে একজন আক্রান্ত ছিলেন। বর্তমানে তা কিছুটা কমেছে। তবে ৯০ শতাংশ 'হেপাটাইটিস বি' রোগী ব্যক্তি জানেন না তিনি আক্রান্ত। চিকিৎসা হাতের নাগালে। অনেকে সঠিকভাবে স্ক্রিনিং করছেন না। আবার সচেতনতার অভাবে কেউ চিকিৎসা নিচ্ছেন না। সমাজে কুসংস্কার থাকায় মানুষ সচেতন হচ্ছেন না। এই কুসংস্কার ভেঙে দিতে হবে।'

সোমবার (২৮ জুলাই) কুমিল্লায় বিশ্ব হেপাটাইটিস দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন। কুমিল্লা লিভার ক্লাব ও রোটারি ক্লাব অব লালমাইয়ের আয়োজনে কুমিল্লা লিভার ক্লাবে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় বিনামূল্যে হেপাটাইটিস বি পরীক্ষা ও স্বল্পমূল্যে ভ্যাকসিন প্রদান করা হয়। এর আগে একটি র‌্যালি নগরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে।

কুমিল্লা লিভার ক্লাবের সহ-সভাপতি লুৎফুর বারী চৌধুরী হিরুর সঞ্চালনায় ও সভাপতি প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ইজাজুল হকের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন নারী নেত্রী রোটারিয়ান দিলনাঁশি মহসিন, রোটারিয়ান ডা. তৃপ্তিশ চন্দ্র ঘোষ, রোটারি ক্লাব অব লালমাইয়ের সভাপতি এনামুল হক জুয়েল, রোটারিয়ান জাকির হোসেন, সাংবাদিক খায়রুল আহসান মানিক, রোটারিয়ান শফিকুল ইসলাম শামিম প্রমুখ।


ডেঙ্গুতে আরও ১৬৪ জন হাসপাতালে ভর্তি

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ইউএনবি

বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) সকাল ৮টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে সারা দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১৬৪ জন রোগী।

শুক্রবার (২৫ জুলাই) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ অ্যান্ড ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় বরাবরের মতো বরিশাল বিভাগে আক্রান্তের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। এ সময়ে বিভাগটিতে আক্রান্ত হয়েছেন সর্বোচ্চ ৬০ জন।

বিজ্ঞপ্তির তথ্যানুসারে, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে দেশের বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১৬৪ জন।

নতুন আক্রান্তের মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ৪০ জন। ঢাকা বাদে সারা দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন আরও ১২৪ জন।

বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, চলতি বছর আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত ৭০ জনের মৃত্যু হয়েছে, যাদের মধ্যে ৫২ দশমিক ৯ শতাংশ পুরুষ এবং ৪৭ দশমিক ১ শতাংশ নারী।

বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ১৭ জুলাই পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন মোট ১৮ হাজার ৭৮৯ জন। এর মধ্যে ৪১ দশমিক ৪ শতাংশ নারী এবং ৫৮ দশমিক ৬ শতাংশ পুরুষ।


চলতি বছরে গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে সর্বোচ্চ মৃত্যু

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ইউএনবি

এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত ও মৃত্যুর হার বেড়েই চলছে। মঙ্গলবার (২৩ জুলাই) সকাল ৮টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় এ বছর সর্বোচ্চ মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। এই সময়ের মধ্যে রাজধানী ঢাকায় ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া ঢাকার বাইরে চট্টগ্রামে মৃত্যু হয়েছে একজনের। আর সারা দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন আরও ৩১৯ জন রোগী।

বুধবার (২৩ জুলাই) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ অ্যান্ড ইমারজেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের সংবাদ বিজ্ঞপ্তি থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

নতুন আক্রান্তের মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৯০ জন। আর ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন আরও ২২৯ জন। বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, চলতি বছর আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত ৬৯ জনের মৃত্যু হয়েছে, যাদের মধ্যে ৫৩ দশমিক ৬ শতাংশ পুরুষ এবং ৪৬ দশমিক ৪ শতাংশ নারী।

বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন মোট ১৮ হাজার ৩৪৫ জন। এর মধ্যে ৫৮ দশমিক ৭ শতাংশ পুরুষ এবং ৪১ দশমিক ৩ শতাংশ নারী।


২৪ ঘণ্টায় ২ জনের করোনা শনাক্ত

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ইউএনবি

দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও দুই জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এই সময়ের মধ্যে কারো মৃত্যু হয়নি।

মঙ্গলবার (২২ জুলাই) সকাল ৮টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় এসব শনাক্তের খবর পাওয়া যায়। বুধবার (২৩ জুলাই) স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানিয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ১৫১ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ২ দশমিক ৬৫ শতাংশ।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ২৮ জন। পাশাপাশি মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৭১০ জনে দাঁড়িয়েছে।

এ পর্যন্ত, দেশে ২০ লাখ ৫২ হাজার ২৫৫ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে। আর সারা দেশে ভাইরাসটিতে মোট মৃত্যুর সংখ্যা ২৯ হাজার ৫২৭ জনে ঠেকেছে।


ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে স্থানীয় জনগণ অংশগ্রহণ করলেই আমরা সফলঃ ডিএসসিসি প্রশাসক

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা

ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থান স্মরণে জুলাই মাসব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন (ডিএসসিসি) কর্তৃক আজ শনিবার (১৯ জুলাই) বিশেষ পরিচ্ছন্নতা ও মশক নিধন অভিযান পরিচালিত হয়েছে। ডিএসসিসি অঞ্চল-৬ এর ৭৪ নং ও ৭৫ নং ওয়ার্ডে (নন্দীপাড়া-নাসিরাবাদ এলাকা) পরিচালিত এ অভিযানে কর্পোরেশনের মাননীয় প্রশাসক জনাব মো. শাহজাহান মিয়া এঁর উপস্থিতিতে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব জনাব মো. রেজাউল মাকছুদ জাহেদী প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।

সকাল ০৬:০০ ঘটিকায় শুরু হওয়া এ পরিচ্ছন্নতা অভিযানে ডিএসসিসির বর্জ্য ব্যবস্থানা বিভাগ ও স্বাস্থ্য বিভাগের ছয় শতাধিক কর্মী এবং স্থানীয় জনগণ এই বিশেষ পরিচ্ছন্নতা অভিযানে অংশগ্রহণ করেন। পরিচ্ছন্নতা অভিযানের অংশ হিসেবে ড্রেন, নর্দমা ও ফুটপাতের ময়লা পরিষ্কার ও মশার ঔষধ প্রয়োগ করা হয়। এছাড়া, জনসচেতনতামূলক কার্যক্রমের অংশ হিসেবে স্থানীয় বাসিন্দা ও বিডি ক্লিন সদস্যদের অংশগ্রহণে জনসচেতনতামূলক একটি র‍্যালি অনুষ্ঠিত হয়।

পরিচ্ছন্নতা প্রোগ্রাম চলাকালীন সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব জনাব মো. রেজাউল মাকছুদ জাহেদী বলেন, "আমরা যদি নিজ আঙিনা পরিষ্কার রাখি, যত্রতত্র ময়লা না ফেলি তাহলে সিটি কর্পোরেশনের কাজ সহজ হয়ে যায়।" জনগণের অভ্যাস পরিবর্তনের মাধ্যমে পরিচ্ছন্ন নগর ও দেশ গড়া সম্ভব বলে তিনি মন্তব্য করেন।

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রশাসক জনাব মো. শাহজাহান মিয়া বলেন, " আমরা সম্মানিত নাগরিকদের দুয়ারে দুয়ারে এসেছি স্থানীয় বাসিন্দাদের সচেতন ও সম্পৃক্ত করতে ।" তিনি আরও বলেন, ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে স্থানীয় জনগণ অংশগ্রহণ করলেই ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন সফল হবে। এছাড়া নবগঠিত ওয়ার্ড সমূহের অবকাঠামোগত উন্নয়নে বিশেষ উদ্যোগ গৃহীত হবে বলে প্রশাসক জানান।

পরিচ্ছন্নতা অভিযানে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জনাব মো: জহিরুল ইসলাম, সচিব মুহাম্মদ শফিকুল ইসলামসহ সকল বিভাগীয় প্রধান এবং স্থানীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।


ডেঙ্গু: ২৪ ঘণ্টায় ২ জনের মৃত্যু, আক্রান্ত ৩৩০

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ইউএনবি

এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত ও মৃত্যুর ঘটনা দিনে দিনে বাড়ছে। রবিবার (১৩ জুলাই) সকাল ৮টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় রাজধানী ঢাকায় একজন ও চট্টগ্রামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এই সময়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন আরও ৩৩০ জন রোগী।

সোমবার (১৪ জুলাই) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ অ্যান্ড ইমারজেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের সংবাদ বিজ্ঞপ্তি থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

গত ২৪ ঘণ্টায় বরাবরের মতো বরিশাল বিভাগে সবচেয়ে বেশি আক্রান্তের ঘটনা ঘটেছে। এ সময়ে বিভাগটিতে নতুন আক্রান্তের সংখ্যা সর্বোচ্চ ৮৬ জন। বিজ্ঞপ্তি থেকে পাওয়া তথ্যানুসারে, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে দেশের বিভিন্ন সরকারি–বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৩৩০ জন।

নতুন আক্রান্তের মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৭১ জন। আর ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন আরও ২৫৯ জন। বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, চলতি বছর আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত ৫৮ জনের মৃত্যু হয়েছে, যাদের মধ্যে ৫৩ দশমিক ৪ শতাংশ পুরুষ এবং ৪৬ দশমিক ৬ শতাংশ নারী।

বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ১২ জুলাই পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন মোট ১৫ হাজার ২১০ জন। এর মধ্যে ৫৮ দশমিক ৮ শতাংশ পুরুষ এবং ৪১ দশমিক ২ শতাংশ নারী।


banner close