সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪

মলদ্বারের রক্তক্ষরণ: ফিস্টুলা না ফিশার?

ডা. রাজীব দে সরকার
প্রকাশিত
ডা. রাজীব দে সরকার
প্রকাশিত : ৩১ জানুয়ারি, ২০২৩ ০৮:৫৩

প্রতিদিন আমাদের হাসপাতালের আউটডোরে এবং চেম্বারে প্রচুর রোগী আসেন যাদের পায়খানার সঙ্গে রক্ত যায়। কখনো পায়খানার সঙ্গে রক্ত জড়িয়ে থাকে, কখনো-বা প্যানে বা কমোডে রক্ত ফোঁটা ফোঁটা লেগে থাকে। অনেক সময় রক্ত পায়খানা ছাড়াও ঝরতে পারে, যা সাধারণত জামা-কাপড়ে লেগে থাকে। আবার পায়খানা শেষ হবার পরও ফোঁটা ফোঁটা রক্ত পড়তে পারে। এ সময় অনেকেরই অসহ্য ব্যথা হয়। কখনো কখনো ব্যথামুক্ত রক্তক্ষরণের হিস্ট্রিও পাওয়া যায়। অবস্থা যেমনই হোক ওপরের সবগুলো ঘটনা আমাদের রোগী বা তার স্বজনদের জন্য ভীতিকর ও দুশ্চিন্তার।

মলদ্বারে আক্রান্ত যেকোনো রোগী বড় কোনো রোগের দুশ্চিন্তা নিয়েই আমাদের কাছে আসেন। বুঝতেই পারছেন, রোগটা যেহেতু মলদ্বারের এবং রোগী তার লজ্জা ভেঙ্গেই চিকিৎসকের কাছে এসেছেন, সুতরাং শারীরিকভাবে প্রচণ্ড কষ্টে না থাকলে রোগীরা সাধারণত আমাদের কাছে আসেন না। রোগের তীব্রতা যখন অনেক বেশি হয়, তখনই রোগীরা আমাদের শরণাপন্ন হন। তাই চিকিৎসক হিসেবে আমাদের কর্তব্য হলো রোগীকে সম্পূর্ণভাবে পরীক্ষা করে রোগীকে তার রোগ সম্পর্কে জানানো এবং তাকে রোগের ধরন, বিস্তার, জটিলতা ও চিকিৎসা পদ্ধতি নিয়ে যথাযথ কাউন্সেলিং করা।

মলদ্বার মানবদেহের ভাইটাল অর্গান না হলেও প্রচণ্ড সেন্সিটিভ একটা দেহাংশ। মানবদেহের এই স্থানে কোনো রোগ বা উপসর্গ দেখা দিলে লজ্জা বা দ্বিধার কারণে রোগীরা সাধারণত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে চান না। আবার খাদ্যাভ্যাস ও লাইফস্টাইলের কারণে এই মলদ্বারে নানা রোগ বাসা বাঁধে।

আজ মলদ্বারের রক্তক্ষরণের বিষয়ে সংক্ষেপে রোগীদের কিছু জিজ্ঞাসার উত্তর দেবার চেষ্টা করব। মলদ্বারের রক্তক্ষরণের কারণগুলো আমরা দুই ভাগে ভাগ করে বলতে পারি। (১) মলদ্বারে ব্যথাসহ রক্তক্ষরণ আর (২) ব্যথাহীন রক্তক্ষরণ। মলদ্বারে ব্যথাসহ রক্তক্ষরণের কারণগুলোর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো ক্রনিক অ্যানাল ফিশার এবং ফিস্টুলা-ইন-অ্যানো। এই পর্বে আমরা ব্যথাযুক্ত রক্তক্ষরণের এই দুইটি কারণ নিয়ে কথা বলব।

ক্রনিক অ্যানাল ফিশার: ক্রনিক অ্যানাল ফিশার হলো মলদ্বারের মুখ বাইরে থেকে ভেতরের দিকে লম্বালম্বিভাবে ছিঁড়ে যাওয়া। এই ছিঁড়ে যাওয়ার বেশ কিছু কারণ আছে। তীব্র কোষ্ঠকাঠিন্য বা নিয়মিত শক্ত পায়খানা হওয়া, প্রসব পরবর্তী সময়, প্রসবকালীন মলদ্বারে বেশি প্রেশার পরা, শাক-সবজি ও পানি কম খাওয়া, রেড মিট বেশি পরিমাণে খাওয়া ইত্যাদি।

রোগীর মূল কমপ্লেইন থাকে মলদ্বারের রক্তক্ষরণ (তাজা লাল রক্তক্ষরণ) ও প্রচণ্ড ব্যথা। ব্যথা বর্ণনা করতে গিয়ে রোগীরা অনেক সময় এভাবে বলেন, তাদের মনে হয় পায়খানা করার সময় বা পায়খানা করার পরে মলদ্বারের ভেতরে ‘ছুরির মতো কিছু দিয়ে কেটে ছিঁড়ে যাচ্ছে’ বা ‘কাঁটা কাঁটা লাগছে’। এ ছাড়া হালকা পেটে ব্যথা, বদহজম, মাথাব্যথা ও নিদ্রাহীনতাও এই রোগে দেখা যেতে পারে।

একবার ফিশার হয়ে গেলে এবং প্রয়োজনীয় চিকিৎসা না করা হলে ফিশার আরও বাড়তে থাকে বা আরও ভেতরের দিকে ছিঁড়তে থাকে, একই সঙ্গে বাড়ে রোগীর ভোগান্তি। চিকিৎসা না নিলে টিসু ইসকেমিয়া ও নন-হিলিংয়ের কারণে ধীরে ধীরে ক্রনিক ডিপ ফিশারে পরিণত হয়।

লেখক: জেনারেল সার্জারি বিশেষজ্ঞ ও ল্যাপারোস্কপিক সার্জন, শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল


ওষুধের দাম বাড়ানো ঠেকাতে ব্যবস্থার নির্দেশ হাইকোর্টের

ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

সব ধরনের ওষুধের মূল্য বৃদ্ধি রোধকল্পে কার্যকর ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালকসহ সংশ্লিষ্টদের এ আদেশ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে।

বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের একটি ডিভিশন বেঞ্চ আজ এ আদেশ দেন।

একইসঙ্গে অব্যাহতভাবে ওষুধের মূল্যবৃদ্ধি রোধকল্পে কর্তৃপক্ষের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ হবে না-তা জানতে চেয়ে রুলও জারি করেছেন উচ্চ আদালত। এ ছাড়া বিদেশ থেকে আমদানিকৃত অনুমোদনহীন ওষুধ বিক্রি বন্ধ করতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার জ্যোর্তিময় বড়ুয়া। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি এটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়।

‘দুই সপ্তাহে ওষুধের দাম বেড়েছে ৭ থেকে ১৪০ শতাংশ’ শিরোনামে গনমধ্যামে প্রকাশিত প্রতিবেদন যুক্ত করে হাইকোর্টে এ রিট আবেদন করা হয়। কনজ্যুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) এ রিট দায়ের করে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, দুই মাসে দেশের বিভিন্ন কোম্পানি তাদের উৎপাদিত ওষুধের দাম লাগামহীনভাবে বাড়িয়েছে। অন্তত ৫০ ধরনের ওষুধের দাম ২০ থেকে সর্বোচ্চ ১৪০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। চলতি মার্চের প্রথম সপ্তাহেও দাম বাড়ানো হয়েছে বেশ কয়েকটি ওষুধের। সবচেয়ে বেশি বাড়ানো হয়েছে অ্যান্টিবায়োটিক ট্যাবলেট, ডায়াবেটিসের রোগীদের ইনসুলিন ও ইনজেকশনের দাম।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, হৃদরোগ, উচ্চ রক্তচাপজনিত সমস্যা, হাঁপানিসহ বিভিন্ন ওষুধ এবং ভিটামিনের দামও বেড়েছে। বাদ যায়নি জ্বর-সর্দির ট্যাবলেট-ক্যাপসুল, বিভিন্ন অসুখের সিরাপও। বিভিন্ন কোম্পানির উৎপাদন খরচ বৃদ্ধি এবং বিক্রি থেকে আয়ের হিসেব পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, দাম বাড়ানোর হার অস্বাভাবিক। এই অস্বাভাবিক দাম বৃদ্ধির অজুহাত হিসেবে কোম্পানিগুলো ডলারের বিপরীতে টাকার অবমূল্যায়ন ও আন্তর্জাতিক বাজারে কাঁচামালের দাম বেড়ে যাওয়াকে দায়ী করছে।


ডেঙ্গুতে চলতি বছর মারা যেতে পারে ৪০ হাজার মানুষ

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

বিশ্বে ডেঙ্গু রোগে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুয়ায়ী, ২০০০ সালে প্রায় ২০ হাজার মানুষ ডেঙ্গুতে মারা যায়। চলতি বছর বিশ্বে ৪০ হাজার মানুষ ডেঙ্গুতে মারা যেতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। অন্যদিকে ২০০০ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে ম্যালেরিয়ায় মৃত্যুর সংখ্যা কমেছে ৩০ শতাংশ।

একটি স্ত্রী এডিস মশা যদি ফ্ল্যাভিভাইরাস প্যাথোজেন বহন করে এবং এ অবস্থায় কাউকে কামড় দেয় তাহলে ভুক্তভোগী ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হতে পারেন। অধিকাংশ ক্ষেত্রে সংক্রমণ লক্ষণ ছাড়াই চলে গেলেও দুর্ভাগ্যজনকভাবে কিছু ক্ষেত্রে ব্রেকবোন ফিভার দেখা যায়, যা গুরুতরভাবে জয়েন্টে ব্যথা, রক্তক্ষরণ এমনকি মাঝেমধ্যে মৃত্যু পর্যন্ত ঘটায়। ডেঙ্গুর আফটার-ইফেক্টও যন্ত্রণাদায়ক। ইউনাইটেড স্টেটস সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন মনে করে, সারা বিশ্বে প্রতি বছর ১০ কোটি মানুষ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়।

সবচেয়ে বেশি ডেঙ্গু আক্রান্ত অঞ্চল হলো লাতিন আমেরিকা। ২০০০ থেকে ২০০৫ সালে সেখানে বছরে গড়ে পাঁচ লাখ মানুষ ডেঙ্গু আক্রান্ত হন। কিন্তু ২০২৩ সালে অঞ্চলটিতে ৪৬ লাখ মানুষ ডেঙ্গু আক্রান্ত হন। এদিকে ২০২৪ সালে এরই মধ্যে সেখানে প্রায় ৬০ লাখ কেস শনাক্ত হয়েছে। সবচেয়ে বেশি ডেঙ্গু আক্রান্ত ব্রাজিলের মানুষ।

একদিকে যেমন ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে তেমনি অঞ্চল ছাপিয়ে তা ছড়িয়ে পড়ছে বিশ্বের সর্বত্র। এডিস মশা তাপমাত্রার ছোট পরিবর্তনের জন্য সংবেদনশীল এবং বিশ্ব উষ্ণ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তাদের পরিসর প্রসারিত হচ্ছে। অ্যানেফিলিস মশা ম্যালেরিয়া ছড়ায়, যা এখন সারা বিশ্বেই পাওয়া যায়; কিন্তু এডিস এখনো সব অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েনি; কিন্তু জলবায়ুর বর্তমান প্রবণতা অনুযায়ী, এডিস মশা দক্ষিণ ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্রের বিশাল অংশে ছড়িয়ে পড়তে পারে। এতে আরও ২০০ কোটি মানুষ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে।

নগরায়ণ এই মশার বংশবিস্তার বৃদ্ধিতে সাহায্য করছে। একটি ডেঙ্গু মশা তার দুই সপ্তাহের জীবনে একাধিক ব্যক্তিকে কামড়াতে পারে। কিছু স্থানে এই রোগ আগে ছিল না কিন্তু এখন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। এই প্রবণতা এখন বাংলাদেশ ও ভারতে দেখা যাচ্ছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ক্যালিফোর্নিয়া, দক্ষিণ ইউরোপ, আফ্রিকায় ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে।

ডেঙ্গু জ্বরের জন্য বিশ্বকে অবশ্যই প্রস্তুতি নিতে হবে। যদিও ধনী উত্তর গোলার্ধ ক্রমবর্ধমান ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে, তবে এতে বিশ্বের দরিদ্র অংশ বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে। ডেঙ্গুর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সিঙ্গাপুর দীর্ঘদিন ধরেই ভালো কাজ করেছে। দেশটি স্বাস্থ্যকর্মীদের দিয়ে নিয়মিত মনিটরিং করছে। তা ছাড়া কোথাও পানি জমেছে কি না তার খোঁজ করা, লার্ভা সংগ্রহ এবং দায়ীদের জরিমানার আওতায় নিয়ে আসা হয়েছে। মশার কেন্দ্রস্থলগুলোতে নিয়মিত ওষুধ ছেটানো হয়।

২০১৬ সাল থেকে সিঙ্গাপুর আরেকটি উচ্চ প্রযুক্তির ডেঙ্গু প্রোগ্রাম পরিচালনা করছে। প্রতি সপ্তাহে এটি ওলবাচিয়া ব্যাকটেরিয়া দ্বারা সংক্রামিত ৫০ লাখ মশা ছেড়ে দেয়, যা ডেঙ্গু সৃষ্টিকারী ভাইরাস ছড়াতে বাধা দেয়। এতে বছরে দেশটির প্রায় ৩৫ লাখ ডলার খরচ হয়। এখনো ডেঙ্গুর কোনো ভ্যাকসিন বাজারে আসেনি, তবে এ ক্ষেত্রে চেষ্টা চলছে।


জোড়া মাথা আলাদা করা রাবেয়া-রোকেয়া সুস্থ আছে

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

ঢাকা সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) জোড়া মাথা আলাদায় অস্ত্রোপচার শেষে শিশু রাবেয়া ও রোকেয়া সুস্থ আছে। সম্প্রতি তাদের অস্ত্রোপচার-পরবর্তী পর্যবেক্ষণে সিএমএইচে আসেন হাঙ্গেরির চিকিৎসক দল এবং স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন। এই চিকিৎসক দল চলমান চিকিৎসা ব্যবস্থা নিয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন। গতকাল রোববার সিএমএইচে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন। এ ছাড়াও ঊর্ধ্বতন সামরিক ও অসামরিক কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, বিরল মাথা জোড়া লাগানো জমজ শিশু রাবেয়া ও রোকেয়ার অস্ত্রোপচার-পরবর্তী ফলোআপের জন্য বিদেশি চিকিৎসক দল ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী আসেন। বক্তারা বলেন, চিকিৎসা বিজ্ঞানের পরিভাষায় জোড়া মাথার শিশুদের বলা হয় ক্রেনিয়োপগাস টুইন্স। মাথা জোড়া লাগানো জমজ শিশু চিকিৎসা বিজ্ঞানের জন্য একটি চ্যালেঞ্জিং বিকলতা। ২৫ লাখ জীবিত জমজ শিশুর মধ্যে মাত্র একটি জোড়া মাথার শিশু জন্ম নেয়। প্রায় ৪০ শতাংশ জোড়া মাথার শিশু মৃত অবস্থায় জন্মগ্রহণ করে এবং আরও এক-তৃতীয়াংশ শিশু ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই মৃত্যুবরণ করে। আনুমানিক শতকরা ২৫ ভাগ শিশু জোড়া মাথা নিয়ে বেঁচে থাকে, যাদের শল্য চিকিৎসার মাধ্যমে আলাদা করার সুযোগ রয়েছে। কিন্তু এর সাফল্যের হারও খুব বেশি নয়।

পাবনার চাটমোহর উপজেলার রফিকুল ইসলাম ও তাসলিমা বেগম দম্পতির ঘরে জন্ম নেয় বিরল দুই মাথা জোড়া লাগানো জমজ সন্তান। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে এই বিরল অস্ত্রোপচারটি প্রথমবারের মতো গত ১ আগস্ট ৩৩ ঘণ্টাব্যাপী ঢাকার সিএমএইচে সম্পন্ন হয়, যা বিশ্বে ১৭তম।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, অস্ত্রোপচারের সবচেয়ে জটিল অংশ ‘জমজ মস্তিষ্ক’ আলাদাকরণের কাজটি সম্পন্নের জন্য ২০১৯ সালের ২২ জুলাই রাবেয়া ও রোকেয়াকে সিএমএইচে আনা হয়। ২০২০ সালের ২৯ ফেব্রুয়ারি এবং ১৩ মার্চ দুই ঘণ্টা ৩০ মিনিটব্যাপী দুটি অস্ত্রোপচার সফলভাবে হয়।

এ অস্ত্রোপচার দুটির মাধ্যমে তাদের মাথায় বিদ্যমান ক্ষতস্থান নতুন কোষ দ্বারা পূর্ণ করা হয়। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারির শেষদিকে রাবেয়ার মাথার বাম দিকের চামড়ার ক্ষত শুরু হয় এবং পরে বৃদ্ধি পেয়ে চামড়ার নিচে লাগানো কৃত্রিম মাথার খুলি দৃশ্যমান হয়।

এই জটিলতা সমাধানে বাংলাদেশ ও হাঙ্গেরির বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা ২০২২ সালের ৭ মার্চ ক্রেনিয়োপ্লাসটি সার্জারির মাধ্যমে সিএমএইচে সফল অস্ত্রোপচার সম্পন্ন করেন। বর্তমানে রোকেয়া ও রাবেয়া দুজনই সুস্থ আছে। ওই অস্ত্রপচারে দেশি ও বিদেশিসহ শতাধিক বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অংশ নেন।


‘তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রি হলে স্থানীয় প্রশাসন স্কুল বন্ধ করতে পারবে’

ফাইল ছবি
আপডেটেড ২৮ এপ্রিল, ২০২৪ ১৭:৪৪
নিজস্ব প্রতিবেদক

তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রি বা তার বেশি হলে সংশ্লিষ্ট অঞ্চলের স্কুল স্থানীয় প্রশাসন বন্ধ করতে পারবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল।

আজ রোববার আগারগাঁও ঢাকা মহিলা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষা সপ্তাহের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘তাপমাত্রা সব জেলায় সমান নয়। যেমন, চট্টগ্রামে তাপমাত্রা ৩৫-৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সেখানে স্কুল বন্ধ করার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়নি।’

তিনি বলেন, ‘কিছু হলেই প্রথমে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করতে হবে, এ ধারণা রাখা চলবে না। আমাদের নতুন কারিকুলাম শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকেন্দ্রিক; তাই শিক্ষার্থীদের স্কুল-কলেজে আসা জরুরি। উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে অনলাইন ক্লাস করা যেতে পারে। মন্ত্রণালয়ের এতে কোনো সমস্যা নেই। কিন্তু মাধ্যমিক পর্যায়ে নতুন কারিকুলামের কারণে অনলাইন ক্লাস নেওয়া সম্ভব নয়।’

রমজান, ঈদুল ফিতর এবং দাবদাহের কারণে এক সপ্তাহের বেশি ছুটি মিলিয়ে এক মাস ৩ দিন পর আজ খুলেছে দেশের স্কুলগুলো। তবে তাপপ্রবাহ এখনো চলমান থাকায় অভিভাবকরা স্কুল খোলার ব্যাপারে আপত্তি জানিয়েছেন।

গত জানুয়ারি শীতে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কম তাপমাত্রা ছিল এমন ১০ জেলায় স্কুল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছিল। যেখানে যেখানে তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি ছিল সেখানে স্কুল খোলা ছিল। এখন গরমের সময়ও একই পদ্ধতিতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি চালু করতে চায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়।


‘রোগীদের প্রতি চিকিৎসকের অবহেলা বরদাস্ত করব না’

রোববার শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব কনভেনশন হলে ৪১তম বিসিএস ক্যাডারের নব নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের ওরিয়েন্টেশক্যাডারের নব নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের ওরিয়েন্টেশনে বক্তব্যে দেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন বলেছেন, ‘মন্ত্রী হিসেবে আমার বয়স মাত্র সাড়ে তিন মাস। এই অল্প সময়ে আমি যেখানে গিয়েছি একটা কথাই বলেছি— আমি যেমন চিকিৎসকেরও মন্ত্রী, ঠিক তেমনি রোগীদেরও মন্ত্রী। চিকিৎসকের ওপর কোনো আক্রমণ যেমন আমি সহ্য করব না, তেমনি রোগীর প্রতি কোনো চিকিৎসকের অবহেলাও বরদাস্ত করব না।’

আজ রোববার বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব কনভেনশন হলে অনুষ্ঠিত ৪১তম বিসিএস (স্বাস্থ্য) ও বিসিএস (পরিবার পরিকল্পনা) ক্যাডারের নব নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের ওরিয়েন্টেশন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, এ দেশের মানুষ অতি সাধারণ। তাদের চাওয়া-পাওয়াও সীমিত। ডাক্তারের কাছে এলে তারা প্রথমে চায় একটু ভালো ব্যবহার। একটু ভালো করে তাদের সঙ্গে কথা বলা, একটু মনোযোগ দিয়ে তাদের কথা শোনা। এটুকু পেলেই তারা সন্তুষ্ট। মন্ত্রী হিসেবে শুধু একটা প্রতিশ্রুতিই আমি দিতে পারি, তোমরা তোমাদের সর্বোচ্চ সেবাটুকু দিয়ে যাও, তোমাদের বিষয়গুলোও আমি দেখব।

তিনি আরও বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু স্বপ্ন দেখতেন, তৃণমূল পর্যায়ে স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দেওয়ার। আমি মনে করি সেই স্বপ্ন পূরণ করার কারিগর হচ্ছো তোমরা। যারা আজকে চিকিৎসক হিসেবে যোগদান করতে যাচ্ছো, আমার বিশ্বাস, তোমরা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন পূরণে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হবে।

স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আপনারা যে কর্মস্থলে যোগ দিতে যাচ্ছেন, সেখানে যারা সেবা নিতে আসবেন... তারা হয়ত আমাদের আত্মীয়স্বজন। যেহেতু আমাদের দেশটা ছোট, সেহেতু এখানে যারা সেবা নিতে আসবেন, তাদের নিজের বাবা, মা কিংবা আত্মীয়স্বজন ভেবে স্বাস্থ্যসেবা দেবেন। আপনাদের প্রতি অনুরোধ, আপনারা সেবা প্রদানে সতর্ক থাকবেন ও দায়িত্ব পালনে আন্তরিক থাকবেন৷

ওরিয়েন্টেশনে অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম ও পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সাহান আর বানু।


‘আমার নির্দেশ হলো তৃণমূলে স্বাস্থ্যসেবার মান উন্নয়ন করা’

শনিবার গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন বলেছেন, ‘আমি মাত্র তিন মাস হলো দায়িত্ব নিয়েছি। এ তিন মাসে আমার নির্দেশ হলো তৃণমূল পর্যায়ে স্বাস্থ্যসেবার মান উন্নয়ন করা। হাসপাতালগুলোতে কেন ডাক্তার থাকে না; এ বিষয়ে ডিজিসহ মন্ত্রণালয়ের সবাইকে বলা হয়েছে। ইতিমধ্যে অনেককে শোকজ করা হয়েছে এবং তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’

আজ শনিবার দুপুরে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় ১ শ শয্যা বিশিষ্ট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা জানান।

তিনি বলেন, ‘চিকিৎসক সংকট এক দিনের সমস্যা নয়। এটা বহু দিনের সমস্যা। স্ট্যান্ডার্ডে সেটাপের অনুমোদন হয়েছে। জনবল সংকট কাটানোর জন্য দ্রুত কাজ করা হচ্ছে।’

এর আগে টুঙ্গিপাড়ায় পৌঁছে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিসৌধে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী। পরে বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের শহীদ সদস্যদের আত্মার শান্তি কামনা করেন।

এরপর তিনি গিমাডাঙ্গা কমিউনিটি ক্লিনিক, গোপালগঞ্জ শেখ সায়েরা খাতুন মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব চক্ষু হাসপাতাল ও প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান এবং অ্যাসেনশিয়াল ড্রাগস কোম্পানি লিমিটেডের প্ল্যান্ট পরিদর্শন করেন।

এসময় জেলা প্রশাসক কাজী মাহবুবুল আলম, স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তা ও অন্যান্য আওয়ামী লীগ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।


শুধু চাকরির পেছনেই ছুটবেনা, উদ্যোক্তাও হবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

শুধু চাকরির পেছনে না ছুটে উদ্যোক্তা হতে তরুণদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন। আজ বৃহস্পতিবার সকালে বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব হেলথ সায়েন্সেসের প্রথম সমাবর্তন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘তোমরা স্বাস্থ্য বিজ্ঞান বিষয়ক বিভিন্ন কর্মমূখী প্রোগ্রামে অনার্স ও মাস্টার্স ডিগ্রী অর্জন করেছ সেই হিসেবে তোমাদের কর্মক্ষেত্র তুলনামূলকভাবে সম্প্রসারিত ও অবারিত। তবে, তোমরা শুধু চাকরির পেছনেই ছুটবেনা, উদ্যোক্তাও হবে। তরুণদের জন্য চাকরির ক্ষেত্র তৈরি করবে।’

মন্ত্রী বলেন, বিষয়ভিত্তিক ও প্রযুক্তিগত জ্ঞানে সমৃদ্ধ হয়ে সক্ষমতা ও সম্ভাবনার শতভাগ কাজে লাগিয়ে তোমরা স্বনির্ভর জনসম্পদ হিসেবে নিজেদের গিড়ে তুলবে এবং উন্নত বাংলাদেশ গঠনের অংশীদার হবে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘তোমাদের অপরিসীম ধৈর্য ও মেধাশক্তি কাজে লাগিয়ে, সেই কঠিন পথ পাড়ি দিয়ে কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে হবে। নিজেদের দক্ষতা গুণে ও যোগ্যতা বলে কর্মজীবনে সাফল্যের স্বর্ণ শিখরে আরোহন করতে হবে।’

সমাবর্তন অনুষ্ঠানে জাতীয় অধ্যাপক এ কে আজাদ খান, ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডনের অধ্যাপক এন্থনি কস্টেলো ও বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদুল আলম প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

বিষয়:

নারী চিকিৎসকের সেবা নেওয়া রোগীদের মৃত্যুহার কম

প্রতীকী ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

যেসব রোগী নারী চিকিৎসকের দ্বারা চিকিৎসা নেন তাদের মৃত্যুর হার কম। এ ছাড়া নারী চিকিৎসকের সেবা নেওয়া রোগীদের হাসপাতালে পুনরায় ভর্তি হওয়ার সম্ভাবনাও কম। চিকিৎসা ও গবেষণাবিষয়ক জার্নাল ‘অ্যানালস অব ইন্টারনাল মেডিসিন’তাদের নতুন গবেষণা প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানিয়েছে।

২০১৬ সাল থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত ৭ লাখ ৭৬ হাজার রোগীর ওপর এই গবেষণা চালানো হয়েছে। যার মধ্যে ৪ লাখ ৫৮ হাজার ১০০ জন ছিলেন নারী। আর পুরুষ ছিলেন ৩ লাখ ১৮ হাজার ৮০০ জন। গবেষণায় দেখা গেছে নারী চিকিৎসকের চিকিৎসা নেওয়া রোগীদের মৃত্যু এবং হাসপাতালে পুনরায় ভর্তি হওয়ার হার কম ছিল।

যেসব নারী রোগী নারী চিকিৎসকদের দিয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন তাদের মধ্যে মৃত্যুর হার কম ছিল। নারী চিকিৎসকদের দ্বারা চিকিৎসা নেওয়া নারী রোগীদের মৃত্যুর হার ছিল ৮ দশমিক ১৫ শতাংশ। আর পুরুষ চিকিৎসকদের দিয়ে চিকিৎসা নেওয়া নারী রোগীদের মৃত্যুর হার ছিল ৮ দশমিক ৩৮ শতাংশ।

অপরদিকে যেসব পুরুষ রোগী নারী চিকিৎসকদের দিয়ে চিকিৎসা করিয়েছেন তাদের মৃত্যুর হার ছিল ১০ দশমিক ১৫ শতাংশ। অপরদিকে পুরুষ চিকিৎসকের দ্বারা চিকিৎসা নেওয়া পুরুষ রোগীদের মৃত্যুর হার ছিল ১০ দশমিক ২৩ শতাংশ।

গবেষক ইয়োসুকে তুগাওয়া বলেন, এটি উল্লেখযোগ্য যে, নারী চিকিৎসকরা ভালো মানের চিকিৎসা দিয়ে থাকেন। সামাজিক দিক দিয়ে নারী চিকিৎসকদের দিয়ে চিকিৎসা করালে রোগীরা লাভবান হন।

বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, নারী চিকিৎসকরা রোগীদের সঙ্গে কথা বলতে বেশি সময় ব্যয় করেন এবং রোগীদের রোগ সম্পর্কে ভালোভাবে খোঁজ নেন। এ ছাড়া নারী চিকিৎসকদের দিয়ে চিকিৎসা নেওয়ার ক্ষেত্রে নারী রোগীরা বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন।

কেন নারী এবং শিশুরা শ্বেতাঙ্গ রোগীদের চেয়ে খারাপ চিকিৎসা পেয়ে থাকেন সেটি নিয়ে একটি গবেষণা চালানো হচ্ছে। এই গবেষণারই অংশ এটি।

২০০২ সালে চালানো আলাদা একটি গবেষণায় পাওয়া গিয়েছিল একজন নারী চিকিৎসক একজন রোগীর পেছনে গড়ে ২৩ মিনিট সময় ব্যয় করেন। সেখানে পুরুষ চিকিৎসক গড়ে ২১ মিনিট সময় ব্যয় করেন।


আপিল বিভাগে নিয়োগ পেলেন তিন বিচারপতি

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ২৪ এপ্রিল, ২০২৪ ২১:৪৩
নিজস্ব প্রতিবেদক

সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে তিনজন বিচারপতি নিয়োগ দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি। তারা হলেন বিচারপতি মুহাম্মদ আব্দুল হাফিজ, বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলাম ও বিচারপতি কাশেফা হোসেন। আজ বুধবার রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে তাদের নিয়োগ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে আইন মন্ত্রণালয়।

বর্তমানে প্রধান বিচারপতিসহ আপিল বিভাগে পাঁচজন বিচারপতি রয়েছেন। নতুন এই তিনজনের নিয়োগ হওয়ায় আপিল বিভাগের বিচারপতির সংখ্যা দাঁড়াল আটজন।

আপিল বিভাগে সদ্য নিয়োগপ্রাপ্ত তিন বিচারপতিকে আগামীকাল বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা ৩০ মিনিটে শপথবাক্য পাঠ করাবেন বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান।


দাবদাহে উচ্চ স্বাস্থ্যঝুঁকিতে বাংলাদেশের শিশুরা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ছবি: সংগৃহীত

সারা দেশে এই অসহনীয় তাপমাত্রায় শিশুরা উচ্চ স্বাস্থ্যঝুঁকিতে রয়েছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘের শিশুবিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফ। আজ বুধবার বাংলাদেশে ইউনিসেফের প্রতিনিধি শেলডন ইয়েটের পক্ষ থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশজুড়ে দুঃসহ দাবদাহ বিরাজ করছে। সারা দেশে এ অসহনীয় তাপমাত্রায় শিশুদের স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা নিয়ে ইউনিসেফ গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।

ইউনিসেফের ২০২১ সালের শিশুদের জন্য জলবায়ু ঝুঁকি সূচক (সিসিআরআই) অনুযায়ী, বাংলাদেশে শিশুরা জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে ‘অতি উচ্চ ঝুঁকিতে’ রয়েছে। অস্বাভাবিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি শিশুদের জন্য মারাত্মক ঝুঁকি তৈরি করে, বিশেষ করে নবজাতক, সদ্যোজাত ও অল্পবয়সি শিশুদের জন্য। হিটস্ট্রোক ও পানিশূন্যতাজনিত ডায়রিয়ার মতো, উচ্চ তাপমাত্রার প্রভাবে সৃষ্ট অসুস্থতায় এই বয়সি শিশুরা বেশি আক্রান্ত হয়ে থাকে।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, শিশুদের ওপর তাপমাত্রা বৃদ্ধির নেতিবাচক প্রভাব বিবেচনায় নিয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সারা দেশে ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করেছে। এই পরিস্থিতিতে ইউনিসেফ বাবা-মায়েদের প্রতি তাদের সন্তানদের পানিশূন্যতা থেকে রক্ষা ও নিরাপদ রাখার জন্য বাড়তি সতর্কতা অবলম্বনের আহ্বান জানাচ্ছে।

চলমান এই দাবদাহসহ জলবায়ু পরিবর্তনের আরও ক্ষতিকর প্রভাব থেকে শিশুদের রক্ষা করার জন্য জরুরি পদক্ষেপ নেওয়ার এখনই সময়। অস্বাভাবিকভাবে তাপমাত্রা বাড়তে থাকায়, আমাদের আগে শিশু ও সবচেয়ে অসহায় জনগোষ্ঠীকে নিরাপদে রাখার প্রতি নজর দিতে হবে।
চলমান এই দাবদাহ থেকে শিশু ও অন্তঃসত্ত্বা নারীদের সুরক্ষার জন্য ইউনিসেফ সম্মুখসারির কর্মী, বাবা-মা, পরিবার, পরিচর্যাকারী ও স্থানীয় কর্তৃপক্ষের প্রতি নিম্নোক্ত পদক্ষেপগুলো গ্রহণ করার আহ্বান জানাচ্ছে।

প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা: শিশুরা যেখানেই থাকুক না কেন তাদের বসা ও খেলার জন্য ঠাণ্ডা জায়গার ব্যবস্থা করুণ। তপ্ত দুপুর ও বিকালের কয়েক ঘণ্টা তাদের বাড়ির বাইরে বেরোনো থেকে বিরত রাখুন। শিশুরা যেন হালকা ও বাতাস চলাচলের উপযোগী পোশাক পরে, তা নিশ্চিত করতে হবে। সে সঙ্গে সারা দিন তারা যেন প্রচুর পানি পান করে, সেটাও নিশ্চিত করতে হবে।

প্রাথমিক চিকিৎসা: যদি কোনো শিশু বা অন্তঃসত্ত্বা নারীর মধ্যে ‘হিট স্ট্রেস’ বা তাপমাত্রাজনিত সমস্যার উপসর্গ দেখা দেয় (যেমন, মাথা ঘোরা, অতিরিক্ত ঘাম হওয়া, বমি বমি ভাব, হালকা জ্বর, নাক দিয়ে রক্ত পড়া, মাংসপেশিতে টান, ডায়াপার পরার জায়গাগুলোতে ফুসকুড়ি) তাহলে তাকে একটি ঠাণ্ডা জায়গায় নিয়ে যান যেখানে ছায়া এবং পর্যাপ্ত বাতাস চলাচলের সুযোগ আছে। এরপর ভেজা তোয়ালে দিয়ে তার শরীর মুছিয়ে দিন বা গায়ে ঠাণ্ডা পানি দিন। তাকে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি বা খাবার স্যালাইন (ওআরএস) পান করতে দিন। তবে হিট স্ট্রেসের (তাপমাত্রাজনিত অসুস্থতার) উপসর্গ তীব্র হলে (যেমন কোনোকিছুতে সাড়া না দিলে, অজ্ঞান হয়ে পড়লে, তীব্র জ্বর, হৃৎস্পন্দন বেড়ে গেলে, খিঁচুনি দেখা দিলে এবং অচেতন হয়ে পড়লে) সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে নিতে হবে।

প্রতিবেশীদের খেয়াল রাখুন: দাবদাহ চলাকালে অসহায় পরিবার, প্রতিবন্ধী শিশু, অন্তঃসত্ত্বা নারী ও প্রবীণ ব্যক্তিরাই সবার আগে অসুস্থ হয়ে পড়েন, এমনকি মৃত্যুর উচ্চ ঝুঁকিতেও তারাই বেশি থাকেন। আপনার প্রতিবেশী, বিশেষ করে যারা একা থাকেন, তাদের খোঁজ নিন ও খেয়াল রাখুন।


দাবদাহে হাসপাতাল প্রস্তুত রাখার নির্দেশ স্বাস্থ্যমন্ত্রীর

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন। ফাইল ছবি
আপডেটেড ২১ এপ্রিল, ২০২৪ ১৭:৫৭
বাসস

তীব্র তাপপ্রবাহ কারণে প্রতিকূল পরিস্থিতিতে সারা দেশের হাসপাতালগুলোকে প্রস্তুত রাখার নির্দেশ দিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন।

আজ রোববার সচিবালয়ে সারা দেশের হাসপাতালের পরিচালক এবং সিভিল সার্জনদের সঙ্গে অনলাইনে আয়োজিত এক সভায় তিনি এ নির্দেশনা দেন।

তিনি বলেন, ‘দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে গরম চরম আকার ধারণ করেছে। তীব্র তাপপ্রবাহের মধ্যে প্রতিকূল পরিস্থিতি মোকাবিলায় সারা দেশের হাসপাতালগুলোকে প্রস্তুত রাখা এবং একই সঙ্গে হাসপাতালগুলোতে জরুরি রোগী ছাড়া ভর্তি না করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’

বয়স্ক ও শিশুরা যেন প্রয়োজন ছাড়া বাসার বাইরে না যায়, সে বিষয়ে পরামর্শ দিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এই গরমে সবচেয়ে বেশি কষ্ট পায় বয়স্ক ও বাচ্চারা। এবার এমন একটা জলবায়ু পরিবর্তন হলো যে আমরা জীবনে কখনো শুনিনি যে দুবাই বিমানবন্দর পানিতে ডুবে গেছে। যা হোক এটা প্রকৃতির নিয়ম। আমাদের এগুলো মোকাবিলা করতে হবে।’

তীব্র তাপদাহে বাচ্চাদের ঝুঁকি এড়াতে পদক্ষেপ নেওয়ার কথা জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘আমার কাছে যখন মেসেজ আসলো (হিট অ্যালার্ট), আমি শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলে আমরা প্রধানমন্ত্রীর সান্নিধ্যে গিয়ে স্কুলটা বন্ধ করে দেওয়ার ব্যবস্থা করেছি। কারণ, সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে থাকে বাচ্চা এবং বয়স্করা।’

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের ওরাল স্যালাইনের কোথাও কোনো ঘাটতি হলে যেন আমাকে সঙ্গে সঙ্গে জানানো হয়। এখন পর্যন্ত আমাদের নিয়ন্ত্রণে আছে। প্রকৃতির ওপর তো আমাদের কারও হাত নেই। এটা আমাদের প্রস্তুত রাখতে হবে।’

শিশুদের জন্য হাসপাতালগুলোতে পর্যপ্ত ব্যবস্থা আছে কি না-জানতে চাইলে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমি গতকাল শিশু হাসপাতালে গিয়েছিলাম। শিশু হাসপাতালগুলোকে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা রাখার জন্যই সারাদেশের হাসপাতালগুলোকে নির্দেশ দিয়েছি। ঠাণ্ডাজনিত রোগীদের এখন হাসপাতালে ভর্তি না করতে বলা হয়েছে।’

সভায় জানানো হয়, মহাখালীতে করোনা চিকিৎসার জন্য ডিএনসিসি হাসপাতালে শিশু ও বয়স্কদের জন্য আলাদাভাবে বেড রাখতে বলা হয়েছে।

এ সময় স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. রোকেয়া সুলতানা, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।


যেসব লক্ষণে বুঝবেন হিট স্ট্রোক হয়েছে

প্রতীকী ছবি
আপডেটেড ২০ এপ্রিল, ২০২৪ ১৮:৪২
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

গরম বাড়লে হিট স্ট্রোক বা সান স্ট্রোকের ঝুঁকি বেড়ে যায়। হিট স্ট্রোকের কিছু লক্ষণ রয়েছে যা অনেকের অজানা। লক্ষণগুলো জানা থাকলে যেমন সচেতন থাকা যায়, তেমনি অন্যদের দিকেও খেয়াল রাখা যায়। লক্ষণগুলো এক নজরে জেনে নিন-

তীব্র মাথাব্যথা

প্রচণ্ড গরমে মাথাব্যথা হওয়া। এ ছাড়া গরমে মাইগ্রেন ট্রিগার করতে পারে। এটি হিট স্ট্রোকের একটি লক্ষণ হতে পারে।

প্রচণ্ড তৃষ্ণা, পানিশূন্যতা ও ঘাম

হিট স্ট্রোকের আগে ব্যক্তি চরম তৃষ্ণা অনুভব করতে পারে সঙ্গে ডিহাইড্রেটেড এবং আড়ষ্টতা অনুভব করতে পারে। শরীর নিজেকে ঠান্ডা করার জন্য অতিরিক্ত ঘাম তৈরি করতে পারে।

দ্রুত হৃদস্পন্দন হওয়া

হিট স্ট্রোকের আগে হৃদস্পন্দন স্বাভাবিকের চেয়ে দ্রুত হতে পারে।

হাইপারভেন্টিলেশন

শ্বাসকষ্ট এবং দ্রুত ও ভারী শ্বাস-প্রশ্বাসও হিট স্ট্রোকের লক্ষণ।

বমি-বমি ভাব হওয়া

মাথাব্যথা, দ্রুত হৃদস্পন্দন ও হাইপারভেন্টিলেশন থেকে অক্সিজেনের অভাব ইত্যাদির কারণে হিট স্ট্রোকের আগে বমি-বমি ভাব হতে পারে।

বিরক্তি-বিভ্রান্তি বা প্রলাপ বকা

অতিরিক্ত তাপের কারণে হিট স্ট্রোকের আগে মানুষ বিরক্ত বোধ করতে পারে, রাগান্বিত হতে পারে, অযৌক্তিক কথা বলতে পারে এবং এমনকি প্রলাপ বকতে করতে পারে।

কথা জড়িয়ে যাওয়া

হিট স্ট্রোকের আরেকটি লক্ষণ কথা জড়িয়ে যাওয়া। ব্যক্তি অসংলগ্ন কথা বলতে শুরু করতে পারে।

পেশিতে ব্যথা

হিট স্ট্রোকের আগে যেসব লক্ষণ দেখা যায়, তারমধ্যে একটি হলো পেশি ব্যথা। যদিও সাধারণ ব্যথা ভেবে মানুষ এটা গুরুত্ব দেয় না।

দুর্বলতা ও অজ্ঞান হয়ে যাওয়া

অতিরিক্ত উত্তাপের শরীর স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি কাজ করে। শরীরে আরও ক্লান্তি ও দুর্বলতা তৈরি হয়। ব্যক্তি অজ্ঞানও হয়ে যেতে পারে। এগুলো হিট স্ট্রোকের লক্ষণ।

ঘাম না হওয়া

হিট স্ট্রোকের একটি লক্ষণ হল প্রচণ্ড গরমেও ঘাম না হওয়া। সাধারণত এর মানে হচ্ছে, শরীরে ঘাম হওয়ার মতো পানি আর নেই বা শরীরের প্রাকৃতিক শীতল প্রক্রিয়াটি কাজ করছে না।

গরমে বাড়ির বাইরে কম-বেশি সবাইকেই বের হতে হয়। তবে হিট স্ট্রোক এড়াতে যতটা সম্ভব ছায়ার মধ্যে থাকার চেষ্টা করা ভলো। পানি ও পানি জাতীয় খাবারের খেয়ে হাইড্রেটেড থাকতে হবে। তবে কৃত্রিম চিনিযুক্ত পানীয় থেকে এসময় না খাওয়াই ভালো।


ঘরে বসেই করা যাবে ডেঙ্গু পরীক্ষা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

ঘরে বসে ডেঙ্গু শনাক্তের জন্য তৈরি হচ্ছে ডেঙ্গু টেস্ট কিট। বাংলাদেশ রেফারেন্স ইনস্টিটিউট ফর কেমিক্যাল মেজারমেন্টস (বিআরআইসিএম) কিটটি তৈরি করেছে। সংস্থাটি বলেছে, কোনো সরকারি বা বেসরকারি সংস্থার কাছ থেকে অর্ডার পেলে তারা কিটটি উৎপাদন শুরু করবে। গত জানুয়ারিতে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর (ডিজিডিএ) কিটটির বাণিজ্যিক উৎপাদনের অনুমোদন দেয়।

ডিজিডিএর উপ-পরিচালক মো. আব্দুল মালেক বলেন, ‘সবকিছু যাচাই-বাছাই করার পর, আমরা বিআরআইসিএমকে ড্রাগ লাইসেন্স দিয়েছি এবং এই বছরের ১৫ জানুয়ারি থেকে কিট উৎপাদন শুরু করার অনুমোদন দিয়েছি।’

বাংলাদেশ সরকারকে বৈদেশিক মুদ্রা খরচ করে বিদেশ থেকে বিপুল সংখ্যক টেস্ট কিট আমদানি করতে হয়। কর্মকর্তারা বলেছেন, যদি সরকারি হাসপাতালগুলো স্থানীয় পরীক্ষার কিট ব্যবহার করে তবে এটি ফরেক্সের ওপর চাপ কমিয়ে দেবে।

বিআরআইসিএম-এর মহাপরিচালক মালা খান বলেন, ‘২০২১ সাল থেকে যখন দেশে ডেঙ্গু বাড়তে শুরু করে তখন থেকে আমরা কিট তৈরির কাজ করি। প্রোটোকলটি তৈরির পর ২০২২ সালের মার্চ মাসে এটি বাংলাদেশ মেডিকেল রিসার্চ কাউন্সিল (বিএমআরসি) এর কাছে জমা দেই। পরে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ল্যাবরেটরি মেডিসিন অ্যান্ড রেফারেল সেন্টারে ২০২২ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০২৩ সালের আগস্ট মধ্যে কিটটির ক্লিনিকাল ট্রায়াল হয়। আমরা যে কিট তৈরি করেছি সব করসহ এর দাম হবে ১২০ টাকা, যা আমদানি করা কিটের চেয়ে সস্তা।’

মালা খানের নেতৃত্বে মামুদুল হাসান রাজু, রাইসুল ইসলাম রাব্বি, জাবেদ বিন আহমেদ, খন্দকার শরীফ ইমাম, মো রাহাত, নাফিসা চৌধুরী এবং মো. সোহেলসহ একদল বিজ্ঞানী কিটটি তৈরি করেন।

মালা বলেন, ‘জিকা, চিকুনগুনিয়া এবং কোভিড-১৯ এর মতো অন্যান্য ধরনের ভাইরাসের সাথে কিটটির কোনো ক্রস-রিয়েকশন নেই। প্রায় প্রতিটি ক্ষেত্রেই পরীক্ষার জন্য প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত লোকের সাহায্যে হাসপাতাল বা ডায়াগনস্টিক সেন্টারে রক্তের নমুনা সংগ্রহ করতে হয়। কিন্তু ডেঙ্গু র‍্যাপিড অ্যান্টিজেন কিটের ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞ জনবলের সাহায্য ছাড়াই ল্যানসেট ব্যবহার করে ঘরে বসেই আঙুলের ডগায় রক্ত পরীক্ষা করা সম্ভব। কিটটির সংবেদনশীলতা শতভাগ সঠিক বলে প্রমাণিত, এটি আজ পর্যন্ত কোনো ভুল রিপোর্ট দেয়নি। আমাদের কাছে সবচেয়ে আধুনিক প্রযুক্তি রয়েছে এবং আমরা প্রতিদিন ৫০ হাজার কিট তৈরি করতে প্রস্তুত।’

বিআরআইসিএম কর্মকর্তারা জানান, গত ২১ জানুয়ারি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কাছে এই পরীক্ষার কিটগুলো কেনার জন্য চিঠি দেওয়া হয়েছে। তবে এখনও কোনো অর্ডার পাওয়া যায়নি।’

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশিদ আলম বলেন, ‘এটি খুবই ভালো খবর। যেকোনো পণ্য কেনার জন্য আমাদের পদ্ধতি অনুসরণ করতে হবে। আমরা আমাদের স্থানীয় পণ্যের প্রচার করতে চাই। সবগুলো মানদণ্ড পূরণ হলে আমরা অবশ্যই কিটটি কিনব।’


banner close