আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকে বেসরকারি মেডিকেল কলেজ ও ডেন্টাল কলেজে ফি বাড়ানোর ফলে শুধু পড়ার খরচই পড়বে ২৬ লাখ টাকার কাছাকাছি। এর আগে এটা ছিল প্রায় ২৩ লাখের কাছাকাছি। তবে এর সঙ্গে শিক্ষার্থীদের আনুষঙ্গিক অন্যসব খরচ হিসাব করা হয়নি।
হঠাৎ করেই বেসরকারি মেডিকেলে ভর্তি ফি ও টিউশন ফি বাড়ানোকে বাংলাদেশ প্রাইভেট মেডিকেল কলেজ অ্যাসোসিয়েশন ও বেসরকারি মেডিকেল কলেজ মালিকরা যৌক্তিক বলে দাবি করলেও বিশেষজ্ঞরা সেটা মানতে নারাজ। তারা বলছেন, ফি বাড়ানোর ফলে যারা সরকারি মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পায় না, তাদের জন্য এই অতিরিক্ত ভর্তি ফি বোঝা হয়ে দাঁড়াবে এবং তারা আগ্রহ হারাবে।
গত সোমবার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ৯ ফেব্রুয়ারি স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকের সভাপতিত্বে বেসরকারি মেডিকেল কলেজের এমবিবিএস ও বিডিএসে ভর্তি ফি বাড়ানোর বিষয়ে বৈঠক হয়। সেখানে এবার ভর্তি ফি নির্ধারণ করা হয়েছে ১৯ লাখ ৪৪ হাজার টাকা। এর আগে ২০১৮ সালের প্রজ্ঞাপনের তথ্যমতে এতদিন পর্যন্ত ভর্তি ফি ছিল ১৬ লাখ ২০ হাজার টাকা। গতবারের তুলনায় এবার ভর্তি ফি বাড়ানো হয়েছে ২০ শতাংশের বেশি। আর তারও আগে ২০১৪ সাল থেকে ভর্তি ফি ছিল ১৩ লাখ ৯০ হাজার টাকা।
এবারের টিউশন ফি ধরা হয়েছে ১০ হাজার টাকা, যা আগে ছিল আট হাজার টাকা। অর্থাৎ কেবল মোট টিউশন ফি-ই বাড়ানো হয়েছে এক লাখ ২০ হাজার টাকা।
স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের হিসাব মতে, এর আগে ২০১৮ সাল থেকে একজন শিক্ষার্থীর বেসরকারি মেডিকেল কলেজে পড়তে খরচ হতো ভর্তি ফি ১৬ লাখ ২০ হাজার টাকা, সঙ্গে আট হাজার করে টিউশন ফি হয় পাঁচ বছরে চার লাখ ৮০ হাজার টাকা। ইন্টার্নশিপ ফি এক লাখ ৮০ হাজার ধরে কেবল পড়াশানোর জন্যই মোট খরচ হতো ২২ লাখ ৮০ হাজার টাকা। এবার যা হবে প্রায় ২৬ লাখের কাছাকাছি।
এদিকে, বেসরকারি মেডিকেল কলেজভেদে শিক্ষার্থীদের বাসস্থান (হোস্টেল) খরচ পড়ে নিদেনপক্ষে মাসিক ৫ হাজার টাকা করে। যদিও এ খরচ বাড়বে কিনা সে সিদ্ধান্ত এখনো হয়নি। হতেও পারে আবার নাও হতে পারে বলে জানিয়ে বাংলাদেশ প্রাইভেট মেডিকেল কলেজ অ্যাসোসিয়েশনের একজন সদস্য বলেন, ‘মেডিকেলে পড়ার সবকটি ধাপ খুবই কঠিন। কোনো শিক্ষার্থী যদি কোনো পরীক্ষায় অকৃতকার্য না হয়ে একবারে বের হতে পারে, তাহলে তার খরচ হতো ২২ লাখ ৮০ হাজার টাকা, যা অনেক পরীক্ষার্থীর পক্ষেই সম্ভব হতো না। সে ক্ষেত্রে খরচ আরও বেড়ে যেত। এবারও সেভাবেই খরচ বাড়বে।
বেসরকারি মেডিকেল ও বিডিএস শিক্ষার্থীদের ভর্তি ফি বাড়ানোর যৌক্তিকতা নিয়ে জানতে চাইলে স্বাস্থ্য অধিকার আন্দোলনের সভাপতি অধ্যাপক ডা. রশীদ-ই- মাহবুব মানসম্মত নয় যেসব মেডিকেল কলেজ, সেগুলো বন্ধ করে দেয়ার জন্য সুপারিশ করেছেন।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের মৌলিক বিজ্ঞান অনুষদের সাবেক ডিন অধ্যাপক ডা. ইকবাল আর্সলান বলেন, ‘দেশে বর্তমানে মানহীন বেসরকারি মেডিকেল কলেজের সংখ্যা বেশি। ফি না বাড়িয়ে সরকার সেদিকে নজর দিলে ভালো হতো। কিন্তু যাদের কার্যক্রম বন্ধ রাখা হয়, তারা উচ্চ আদালতের স্থগিতাদেশ নিয়ে কার্যক্রম পরিচালনা করছে। আমি মনে করি, আদালত যদি এসব বিষয় বিবেচনায় নেন, তাহলে চিকিৎসক তৈরি হওয়া নিয়ে বর্তমানে যে সংকট রয়েছে, তার কিছুটা সমাধান হবে।’
এদিকে, গত ৯ ফেব্রুয়ারি বেসরকারি মেডিকেল কলেজের এমবিবিএস ও বিডিএসে ভর্তি ফি বাড়ানোর বিষয়ে বৈঠকে উপস্থিত নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা জানান, আগে ভর্তিতে ‘আনফেয়ার’ অনেক কিছু করা হতো। সেসব কিছু বাদ দিয়ে বেসরকারি মেডিকেল কলেজগুলোর পক্ষ থেকে ফি বাড়ানোর দাবি করা হয়। ২০১৮ সালের পর থেকে ফি আর বাড়ানো হয়নি। সবকিছু বিবেচনায় নিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক ফি বাড়ানোর বিষয়ে মত দেন।
তবে ওই কর্মকর্তা বলেন, ‘ফি বাড়ানো একদমই উচিত হয়নি। কিন্তু তারা তো অনেক বড় স্টেকহোল্ডার (বেসরকারি মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন)। তাদের সঙ্গে পারাটা খুব কঠিন।’
রাজধানীর ইউনিভার্সাল মেডিকেল কলেজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. আশীষ কুমার চক্রবর্তী ভর্তি ফি বাড়ানোকে যৌক্তিক বলে মনে করেন। তিনি বলেন, ‘আমরা সিদ্ধান্ত নেইনি, এটা রাষ্ট্রীয় সিদ্ধান্ত। হাসপাতাল ও যন্ত্রপাতির খরচসহ সব কিছুর দাম যদি বেড়ে থাকে, তাহলে বেসরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি ফি কেন বাড়ানো হবে না?’
এদিকে, বাংলাদেশ প্রাইভেট মেডিকেল কলেজ অ্যাসোসিয়েশনের (বিপিএমসিএ) নতুন সভাপতি ইন্টারন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ মুবিন খান পাঁচ বছর পর এবার ফি বাড়ানোর বিষয়ে বলেন, ‘যার সামর্থ্য রয়েছে তিনি পড়বেন, যার নেই তিনি সরকারিতে পড়বেন।’
প্রসঙ্গত, সারা দেশে সরকারি ও বেসরকারি মেডিকেল কলেজে ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে এমবিবিএস প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা হবে আগামী ১০ মার্চ।
স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের হিসাব অনুযায়ী দেশে ৩৭টি সরকারি মেডিকেল কলেজে আসন রয়েছে ৪ হাজার ৩৫০টি এবং বেসরকারি ৭২টি মেডিকেল কলেজে এ সংখ্যা ৬ হাজার ৪৮৯টি। গত বছর ১ এপ্রিল মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা হয়ে ফলাফল প্রকাশ হয় ৫ এপ্রিল। সেবার এক লাখ ৪৩ হাজার ৭৩০ জন ভর্তি পরীক্ষার জন্য আবেদন করেন, যা ছিল অতীতের যেকোনো সময়ের তুলনায় রেকর্ড। প্রতি আসনের বিপরীতে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ৩৩ জন।
চট্টগ্রামে নতুন করে আরো একজনের শরীরে করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে গত ছয় দিনে মোট ৯ জনের শরীরে এ ভাইরাসের জীবাণু শনাক্ত হয়েছে। শনিবার (১৪ জুন) সকালে সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের তথ্যমতে, গত ২৪ ঘণ্টায় (শুক্রবার সকাল আটটা থেকে শনিবার সকাল আটটা) ২৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এর মধ্যে একজনের করোনা পজিটিভ পাওয়া যায়। ৪০ বছর বয়সী আক্রান্ত ওই ব্যক্তি চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলার ফতেহাবাদ এলাকার বাসিন্দা। তিনি শুক্রবার নগরের এভারকেয়ার হাসপাতালে করোনার পরীক্ষা করান। সেখানেই তার শরীরে করোনার জীবাণু শনাক্ত হয়।
এদিকে সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, আক্রান্ত নয়জনের মধ্যে পুরুষ ৫ জন এবং নারী ৪ জন। এদের মধ্যে ৭ জন নগরের এবং ২ জন উপজেলার বাসিন্দা।
অন্যদিকে, চট্টগ্রামে এখন পর্যন্ত বেসরকারি পর্যায়ে করোনা শনাক্তকরণের পরীক্ষা চালু আছে। তবে শিগগিরই চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) ও বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজেসে (বিআইটিআইডি) আরটি–পিসিআর পরীক্ষা শুরু করা যাবে বলে আশা করছেন জেলা সিভিল সার্জন ডা. জাহাঙ্গীর আলম।
প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের সংক্রমণে দেশে আরও দুই জনের মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১২ জুন) সকাল ৮টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় এসব মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া এই সময়ের মধ্যে ১৫ জনের শরীরে ভাইরাসটি শনাক্ত করা হয়েছে।
শুক্রবার (১৩ জুন) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের করোনাবিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় প্রাণঘাতি করোনাভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়েছেন আরও ১৫ জন। এ নিয়ে দেশে করোনাভাইরাস শনাক্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২০ লাখ ৫১ হাজার ৮০০ জনে। আর মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৯ হাজার ৫০২ জনে।
এতে আরও বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ১৭৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এ সময়ে শনাক্তের হার ছিল ৮ দশমিক ৬২ শতাংশ। মোট করোনা পরীক্ষায় এ পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ০৫ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় মোট মৃত্যুহার ১ দশমিক ৪৪ শতাংশ।
গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়ে উঠেছেন আরও তিনজন। এ নিয়ে সুস্থ হয়ে ওঠা ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২০ লাখ ১৯ হাজার ৪০১ জনে।
এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে দেশে আরও পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। বুধবার (১১ জুন) সকাল থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় এসব মৃত্যু হয়। আর এই সময়ের মধ্যে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১৫৯ জন।
আজ শুক্রবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ অ্যান্ড ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের সংবাদ বিজ্ঞপ্তি থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় মশাবাহিত রোগটিতে বরিশাল বিভাগে মারা গেছেন চারজন। আর ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকায় মারা গেছেন একজন।
বিজ্ঞপ্তি থেকে পাওয়া তথ্য অনুসারে, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে দেশের বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি ভর্তি হয়েছেন ১৫৯ জন। নতুন আক্রান্তের মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ১৫ জন। আর ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন আরও ১৪৪ জন।
বিজ্ঞপ্তি থেকে পাওয়া তথ্য অনুসারে, চলতি বছর আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত ২৮ জনের মৃত্যু হয়েছে, যাদের মধ্যে ৫৬ দশমিক ৫ শতাংশ পুরুষ এবং ৪৩ দশমিক ৫ শতাংশ নারী।
বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ১৩ জুন পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন মোট ৫ হাজার ৫৭০ জন। এর মধ্যে ৫৯ দশমিক ৫ শতাংশ পুরুষ এবং ৪০ দশমিক ৫ শতাংশ নারী। আর মারা যাওয়া রোগীদের মধ্যে ৫৩ দশমিক ৬ শতাংশ পুরুষ ও ৪৬ দশমিক ৪ শতাংশ নারী।
দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ১০৭ জনের নমুনা পরীক্ষায় ১০ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ সময়ে শনাক্তের হার ৯ দশমিক ৩৫ শতাংশ।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আজ এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, দেশে এ পর্যন্ত ১ কোটি ৫৭ লাখ ২৬ হাজার ৪৮৬ জনের নমুনা পরীক্ষায় মোট করোনা শনাক্ত হয়েছে ২০ লাখ ৫১ হাজার ৭৭০ জন। এ পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ০৫ শতাংশ।
করোনা আক্রান্ত হয়ে আজ কেউ মারা যায়নি। এখন পর্যন্ত দেশে করোনায় মৃতের সংখ্যা ২৯ হাজার ৫০০ জন। মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪৪ শতাংশ।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, করোনা আক্রান্তদের মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছে ২ জন। এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছে ২০ লাখ ১৯ হাজার ৩৮০ জন। সুস্থতার হার ৯৮ দশমিক ৪২ শতাংশ।
দেশে করোনা সংক্রমণ আবারও বাড়তে থাকায়, হাসপাতালগুলোতে সীমিত পরিসরে করোনা পরীক্ষার ব্যবস্থা চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
প্রাথমিকভাবে যে সব মেডিকেল কলেজ ও জেলা হাসপাতালে আরটি পিসিআর ল্যাব রয়েছে, সেখানেই এই পরীক্ষা শুরু করা হবে।
আজ বুধবার (১১ জুন) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার পরিচালক অধ্যাপক ডা. হালিমুর রশীদ গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, স্থানীয় কোম্পানিগুলো থেকে পরীক্ষার কিট সংগ্রহ করা হচ্ছে। পাশাপাশি বিদেশ থেকেও কিট আমদানির জন্য সেন্ট্রাল মেডিকেল স্টোরস ডিপো (সিএমএসডি)-কে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
হালিমুর রশীদ আরো বলেন, আমরা আশা করছি, আগামী ১০ দিনের মধ্যে হাসপাতালগুলোতে করোনা পরীক্ষার ব্যবস্থা আবার চালু করা যাবে- তবে তা সীমিত পরিসরে হবে।
তিনি বলেন, যে সব হাসপাতালে আরটিপিসিআর ল্যাব রয়েছে, করোনা পরীক্ষা পুনরায় চালু করার প্রস্তুতি নিতে তাদেরকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল, সিলেট ও ময়মনসিংহসহ বিভাগীয় শহরের হাসপাতালগুলোতে করোনা পরীক্ষা চালু করা হবে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, যাদের করোনা উপসর্গ থাকবে, পরীক্ষা শুধু তাদের জন্যই চালু করা হবে। সে অনুযায়ী তারাই এ পরীক্ষার জন্য উপযুক্ত হবেন- যাদের শরীরে কোভিড-১৯ এর উপসর্গ (জ্বর, কাশি ও শ্বাসকষ্ট) রয়েছে অথবা চিকিৎসক যাদের করোনা পরীক্ষার পরামর্শ দেবেন।
হালিমুর রশীদ আরও বলেন, সংক্রমণের হার যদি আরও বাড়ে, তাহলে পরীক্ষার পরিধিও বাড়ানো হবে।
জনগণকে মাস্ক পরা, হাত ধোয়ার পাশাপাশি উপসর্গ দেখা দিলে ঘরে থাকার আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ডা. রশীদ আরো বলেন, আমরা চাই না যে, পরিস্থিতি আবারো হাতের বাইরে চলে যাক। তাই সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।
এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে মঙ্গলবার (১০ জুন) সকাল থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় দেশে কোনো রোগীর মৃত্যু হয়নি। এ সময়ে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ২৮৮ জন।
বুধবার (১১ জুন) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ অ্যান্ড ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের সংবাদ বিজ্ঞপ্তি থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
বিজ্ঞপ্তি থেকে পাওয়া তথ্য অনুসারে, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে দেশের বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি ভর্তি হয়েছেন ২৮৮ জন। নতুন আক্রান্তের মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ১৫ জন। আর ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন আরও ২৭৩ জন।
বিজ্ঞপ্তি থেকে পাওয়া তথ্য অনুসারে, চলতি বছর আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত ২৩ জনের মৃত্যু হয়েছে, যাদের মধ্যে ৫৬ দশমিক ৫ শতাংশ পুরুষ এবং ৪৩ দশমিক ৫ শতাংশ নারী।
বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ১১ জুন পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন মোট ৫ হাজার ৩০৩ জন। এর মধ্যে ৫৯ দশমিক ৭ শতাংশ পুরুষ এবং ৪০ দশমিক ৩ শতাংশ নারী।
লালবাগ থেকে হাড় ভেঙে যাওয়া চাচাকে নিয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসতাপালে এসেছেন আকাশ নামে যুবক। তার চাচাকে জরুরী ভিত্তিতে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) রাখার প্রয়োজন হলেও তা মেলেনি, এমনকি ডাক্তাদের দেখাও মেলেনি। অথচ হাসপাতালের নির্দেশনাতে বলা রয়েছে, সব রোগীদের জন্য ডাক্তার ও প্রয়োজনীয় সব সুযোগ-সুবিধা সবসময়ই বহাল থাকবে।
শনিবার (৭ জুন) সরেজমিনে ঢামেকে দেখা মেলে জাহিদ মিয়া নামে এক ব্যক্তির। তিনদিন আগে সিলেট থেকে এসেছেন তিনি। সিমেন্টের বস্তা বহন করতে গিয়ে অসাবধানতাবশত তা বুকে পড়ে ভেঙ্গে যায় কয়েকটি হাড়। চিকিৎসা নিতে এতে বেশ কয়েকদিন পার হয়ে গেলেও মিলছে না কোনো সেবা।
এসবের পাশাপাশি রয়েছে আরও এক গুরুতর সমস্যা। হাসপাতালে আগত অধিকাংশ রোগীর অভিযোগ, নার্সরা অসৌজন্যমূলক আচরন করেন, পাশাপাশি সেবা প্রদানেও উদাসীনতা দেখান তারা। নার্সদের এমন ব্যবহারে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন রোগীরা।
সেবা নেই বেসরকারি হাসপাতালে
রাজধানীর কল্যাণপুরে ইবনে সিনা হাসপাতালের জরুরি বিভাগে সেবা নিতে এসেছেন মিমি (৩৫)। তিনি বলেন, ‘আমার শরীর খারাপ লাগায় জরুরি বিভাগে এসেছি ডাক্তার দেখাতে। একজন বিশেষজ্ঞ দেখাতে চেয়েছিলাম। কিন্তু এখান থেকে জানানো হলো, ঈদের দিন কোনো বিশেষজ্ঞ ডাক্তার নেই।’
জরুরি দায়িত্বে থাকা ডাক্তার শাখাওয়াত জানান, ডিপার্টমেন্ট অনুযায়ী ডাক্তারদের ডিউটি ভাগ করা আছে। তবে ঈদের দিন কোনো বিশেষজ্ঞ ডাক্তার নেই। রবিবার থেকে দুজন করে বিশেষজ্ঞ ডাক্তার থাকবেন বলে জানান তিনি।
ইবনে সিনার কাস্টমার কেয়ার থেকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন কাস্টমার কেয়ার অফিসার বলেন, ‘আমাদের সম্পূর্ণ সেবা চালু হবে ১৪ তারিখ। সব ডাক্তার ১৪ জুন থেকে জয়েন করবেন।’
ইনডোরে যারা ভর্তি রয়েছেন তাদের জরুরি প্রয়োজনে কে দেখবেন, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘যে রোগী যে চিকিৎসকের আওতায় ভর্তি আছেন, তার সঙ্গে যোগাযোগ করে দায়িত্বরত চিকিৎসকরা সেবা দেবেন। ঈদের দিন কোনো ডাক্তার আসেননি।’
প্রসূতি বিভাগ খোলা রাখার ব্যাপারে বলেন, ‘যদি সেরকম রোগী আসে, জরুরি ব্যবস্থা নেয়ার মতো চিকিৎসক আছেন।’
তবে শনিবার কোনো ডাক্তার এই বিভাগেও ছিল না বলে জানান ওই কর্মকর্তা।
একই চিত্র দেখা যায় আনোয়ার খান মর্ডান মেডিকেল হাসপাতালেও। খবর নিয়ে জানা যায়, সেখানেও ঈদের দিন ও ঈদের পরদিন অর্থাৎ ৮ জুন কোনো বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক থাকবেন না। সেক্ষেত্রে সেবা নিতে আসা অনেককেই ফিরে যেতে হচ্ছে বলে জানান সেখানকার একজন দায়িত্বরত কর্মকর্তা।
এসব পরিস্থিতি বিবেচনায়, সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালের জন্য যে ১৬টি নির্দেশনা দেওয়া আছে, সেটার যথাযথ প্রয়োগ হচ্ছে কি না, সেক্ষেত্রে প্রশ্ন তৈরি হয়েছে।
এ বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক মইনুল আহসান ইউএনবিকে বলেন, ‘প্রাইভেট হাসপাতাল তো তাদের মতো সিদ্ধান্ত নেয়। সরকারি হাসপাতালে কোনো রোগীর যদি অভিযোগ থাকে, ওয়ার্ড নাম্বার ও রোগীর নাম বলে শুধু মৌখিক অভিযোগ করলেই আমরা ব্যবস্থা নেবো।’
নির্দেশনা অনুযায়ী বলা হয়েছিল, হাসপাতাল পরিচালকদের যেকোনো সময় প্রয়োজন হলে হাসপাতালে অবস্থান করতে হবে। তবে চিকিৎসক সংকট বিষয়ে কথা বলার জন্য ঢামেকের পরিচালক বিগ্রেডিয়ার আসাদুজ্জামান ও উপপরিচালক আশরাফুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তাদেরকে মুঠোফোনে পাওয়া যায়নি।
এর আগে, এই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সরকারি হাসপাতালগুলোর জন্য ১৬টি গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা এবং বেসরকারি হাসপাতালগুলোর জন্য দুটি মূল নির্দেশনা দেয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, যাতে সারা দেশে জরুরি চিকিৎসাসেবা বিঘ্নিত না হয়। যদিও সেসব নির্দেশনার বাস্তবায়ন তেমন চোখে পড়েনি।
গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে আরো ৬২ জন দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোলরুম থেকে পাঠানো ডেঙ্গুবিষয়ক এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রোগীর মধ্যে বরিশাল বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৫০ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) দুই জন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ছয় জন, ময়মনসিংহ বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) এক জন, রংপুর বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) এক জন এবং সিলেট বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) দুই জন রয়েছেন।
২৪ ঘণ্টায় ৬৭ জন ডেঙ্গুরোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন। চলতি বছরে এ যাবত মোট ৪ হাজার ৪১৬ জন রোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন।
চলতি বছরের এ পর্যন্ত মোট ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছে ৪ হাজার ৮৪৫ জন। এরমধ্যে ৫৯ দশমিক ৪ শতাংশ পুরুষ এবং ৪০ দশমিক ৬ শতাংশ নারী রয়েছেন।
গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে কারো মৃত্যু হয়নি। চলতি বছরে এ যাবত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ২৩ জন মারা গেছেন।
২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছে এক লাখ এক হাজার ২১৪ জন এবং ডেঙ্গুতে মারা যান ৫৭৫ জন।
ভারতে করোনাভাইরাসে বিভিন্ন রাজ্যে এ পর্যন্ত মারা গেছেন ৭ জন। আক্রান্তের সংখ্যাও দ্রুত বাড়ছে। এখন পর্যন্ত দেশটিতে প্রায় ৩ হাজার লোক এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে কেরালায় আক্রান্তের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। এর পরই রয়েছে মহারাষ্ট্র ও দিল্লি। সরকারি হিসাব অনুযায়ী, গত চার দিনের মধ্যে আক্রান্তের সংখ্যা দ্রুত বেড়েছে।
গতকাল শনিবার এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২৬ মে পর্যন্ত ভারতে মোট ১ হাজার ১০ জন আক্রান্ত হওয়ার রেকর্ড করা হলেও স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সরকারি তথ্য অনুযায়ী ৩০ মে পর্যন্ত মোট এই সংখ্যা ২ হাজার ৭১০ জনে দাঁড়িয়েছে।
তথ্য অনুসারে কেরালায় ১ হাজার ১৪৭ জন, মহারাষ্ট্রে ৪২৪, দিল্লিতে ২৯৪ এবং গুজরাটে ২২৩ জনের আক্রান্তের খবর পাওয়া গেছে। তামিলনাড়ুতে এখন পর্যন্ত মোট ১৪৮ জন আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। যেখানে কর্ণাটক এবং পশ্চিমবঙ্গে যথাক্রমে ১৪৮ এবং ১১৬।
এ ছাড়া রাজস্থানে ৫১ জন, উত্তর প্রদেশে ৪২ জন, পুদুচেরিতে ২৫ জনসহ হরিয়ানা, অন্ধ্রপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, গোয়ায় করোনাভাইরাসে আক্রান্তের খবর পাওয়া গেছে। ওড়িশা, পাঞ্জাব ও জম্মু কাশ্মীরেও করোনায় আক্রান্তের খবর পাওয়া গেছে।
আন্দামান ও নিকোবর, সিকিম, হিমাচল প্রদেশে এখনো আক্রান্তের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।
এদিকে সরকারি তথ্য অনুযায়ী, সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে ভারতজুড়ে কমপক্ষে ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। মহারাষ্ট্রে (১) এবং দিল্লিতে (১) মারা যাওয়া দুজনের কোভিড-১৯-এর পাশাপাশি অন্যান্য গুরুতর অসুস্থতাও ছিল। তবে অন্যরা সংক্রমণের কারণে মারা গেছেন কি না, তা এখনো স্পষ্ট নয়।
কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, পাঞ্জাবের একজন ছাড়া যারা মারা গেছেন তারা সবাই প্রবীণ নাগরিক। তবে কর্মকর্তারা বলেছেন, করোনাভাইরাসের ঘটনাগুলো হালকা প্রকৃতির এবং এতে আতঙ্কিত হওয়ার কোনো কারণ নেই।
এই সপ্তাহের শুরুতে ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিকেল রিসার্চ (আইসিএমআর) এর মহাপরিচালক ডা. রাজীব বাহল এ বিষয়ে সতর্ক থাকার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘কোভিড-১৯-এর এই নতুন রূপটি নিয়ে জনসাধারণের উদ্বিগ্ন হওয়ার কোনো কারণ নেই। আমাদের কেবল সতর্ক থাকতে হবে। সরকার এবং সব সংস্থা কী ঘটছে তা পর্যবেক্ষণ করছে। আমার মতে, প্রাথমিক সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত। আমরা এখনই বর্ধিত সতর্কতার কথা বলছি না। তবে যদি কেউ ক্যানসার রোগী হন বা তার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার সমস্যা থাকে, তাহলে আমরা সাধারণত তাদের কোনো সংক্রমণ এড়াতে পরামর্শ দিই। সতর্কতা অবলম্বন করা প্রয়োজন।’
এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে শুক্রবার (৩০ মে) সকাল থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় দেশে কোনো রোগীর মৃত্যু হয়নি। এ সময়ে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ২২ জন।
শনিবার (৩১ মে) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ অ্যান্ড ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের সংবাদ বিজ্ঞপ্তি থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
বিজ্ঞপ্তি থেকে পাওয়া তথ্য অনুসারে, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে দেশের বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি ভর্তি হয়েছে ২২ জন। নতুন আক্রান্তের মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ১৩ জন। আর ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন আরও ৯ জন।
বিজ্ঞপ্তি থেকে পাওয়া তথ্য অনুসারে, চলতি বছর আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত ২৩ জনের মৃত্যু হয়েছে, যাদের মধ্যে ৫৬ দশমিক ৫ শতাংশ পুরুষ এবং ৪৩ দশমিক ৫ শতাংশ নারী।
বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ২৬ মে পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন মোট ৪ হাজার ৩৪৫ জন। এর মধ্যে ৫৯ দশমিক ৫ শতাংশ পুরুষ এবং ৪০ দশমিক ৫ শতাংশ নারী।
শুক্রবার (২৩ মে) সকাল ৮টা থেকে দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও একজনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত করা হয়েছে। এ সময়ে আক্রান্ত হয়ে কারও মৃত্যু হয়নি। শনিবার (২৪ মে) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের করোনাবিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এখন পর্যন্ত দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত মোট রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২০ লাখ ৫১ হাজার ৬৭০ জনে। আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ২৯ হাজার ৪৯৯ জনের।
এতে আরও বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ৫ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এ সময়ে শনাক্তের হার ছিল ০ দশমিক ০০ শতাংশ। মোট করোনা পরীক্ষায় এ পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ০৫ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় মোট মৃত্যুহার ১ দশমিক ৪৪ শতাংশ।
এ নিয়ে করোনায় সুস্থ হয়ে ওঠা ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২০ লাখ ১৯ হাজার ৩৪৯ জনে।
এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে মঙ্গলবার (২০ মে) সকাল থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় দেশে কোনো রোগীর মৃত্যু হয়নি। এ সময়ে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৬৭ জন।
বুধবার (২1 মে) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ অ্যান্ড ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের সংবাদ বিজ্ঞপ্তি থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
বিজ্ঞপ্তি থেকে পাওয়া তথ্য অনুসারে, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে দেশের বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি ভর্তি হয়েছে ৬৭ জন। নতুন আক্রান্তের মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ১৫ জন। আর ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে আরও ৫২ জন।
বিজ্ঞপ্তি থেকে পাওয়া তথ্য অনুসারে, চলতি বছর আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত ২২ জনের মৃত্যু হয়েছে, যাদের মধ্যে ৫৬ দশমিক ৫ শতাংশ পুরুষ এবং ৪৩ দশমিক ৫ শতাংশ নারী।
বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ২১ মে পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন মোট ৩ হাজার ৫৩৬ জন। এর মধ্যে ৬০ দশমিক ২ শতাংশ পুরুষ এবং ৩৯ দশমিক ৮ শতাংশ নারী।
এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে সোমবার (১৯ মে) সকাল থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় দেশে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময়ে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১০১ জন।
মঙ্গলবার (২০ মে) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ অ্যান্ড ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের সংবাদ বিজ্ঞপ্তি থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
বিজ্ঞপ্তি থেকে পাওয়া তথ্য অনুসারে, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে দেশের বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি ভর্তি হয়েছে ১০১ জন। নতুন আক্রান্তের মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ৪১ জন। আর ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে আরও ৬০ জন।
বিজ্ঞপ্তি থেকে পাওয়া তথ্য অনুসারে, চলতি বছর আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত ২৩ জনের মৃত্যু হয়েছে, যাদের মধ্যে ৫৬ দশমিক ৫ শতাংশ পুরুষ এবং ৪৩ দশমিক ৫ শতাংশ নারী।
বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ২০ মে পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন মোট ৩ হাজার ৬৩৭ জন। এর মধ্যে ৬০ দশমিক ০ শতাংশ পুরুষ এবং ৪০ দশমিক ০ শতাংশ নারী।