শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

সরকারি চিকিৎসকদের প্রাতিষ্ঠানিক প্র্যাকটিস শুরু ৩০ মার্চ

সোমবার সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। ছবি: দৈনিক বাংলা
আপডেটেড
২৭ মার্চ, ২০২৩ ১৭:০৫
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা
প্রকাশিত
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা
প্রকাশিত : ২৭ মার্চ, ২০২৩ ১৪:৪৫

সরকারি চিকিৎসকদের প্রাতিষ্ঠানিক প্র্যাকটিস আগামী ৩০ মার্চ থেকে শুরু করা হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

সরকারি চিকিৎসকদের বৈকালিক স্বাস্থ্যসেবা নিয়ে সোমবার সচিবালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্যমন্ত্রী এ তথ্য জানান।

মন্ত্রী বলেন, সরকারি চিকিৎসকদের প্রাতিষ্ঠানিক প্র্যাকটিস আগামী ৩০ মার্চ থেকে পাইলট প্রজেক্ট হিসেবে শুরু করা হবে।

আরও পড়ুন: সেবা ব্যাহত হওয়ার শঙ্কা, বাড়তে পারে বৈষম্যও

প্রাথমিকভাবে ১০টি জেলা হাসপাতাল এবং ২০টি উপজেলা হাসপাতালে এ কার্যক্রম শুরু হবে। কার্যক্রমের আওতায় বিকাল ৩টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত স্বাস্থ্যসেবা দেবেন চিকিৎসকরা।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, চিকিৎসকরা সপ্তাহে দুইদিন করে প্রাইভেট প্র্যাকটিসের আওতায় রোগী দেখবেন।

প্রাইভেট প্র্যাকটিসের আওতায় রোগী দেখাতে অধ্যাপককে ৫০০ টাকা, সহযোগী অধ্যাপককে ৪০০ টাকা, সহকারী অধ্যাপককে ৩০০ টাকা এবং অন্য চিকিৎসককে ২০০ টাকা করে ফি দিতে হবে।

এসব ফি থেকে অধ্যাপকরা ৪০০ টাকা, সহযোগী অধ্যাপক ৩০০ টাকা সহকারী অধ্যাপক ২০০ টাকা এবং অন্যান্য চিকিৎসকরা ১৫০ টাকা করে পাবেন। বাকি টাকা সার্ভিস চার্জ বাবদ কাটা হবে এবং চিকিৎসকদের সহায়তাকরীরা পাবেন।


ইন্টার্ন চিকিৎসকদের আন্দোলন: স্বাস্থ্যমন্ত্রীর আশ্বাসে এক মাস বন্ধ

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

ভাতা বৃদ্ধিসহ ৪ দফা দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করছেন পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ট্রেইনি ও ইন্টার্ন চিকিৎসকরা। কর্মবিরতি পালন করে আসছিলেন তারা। তবে বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের পর তারা আন্দোলন এক মাসের জন্য স্থগিত করেছেন।

আন্দোলনকারীরা বলেন, ঈদের পর বিষয়গুলো সমাধান করবেন বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। তার আশ্বাসে আমরা একমাস আন্দোলন বন্ধ রাখবো।

এ সময় স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের ইন্টার্ন চিকিৎসকদের বহুদিনের দাবি ছিল বেতন বাড়ানোর। এই দাবির সঙ্গে প্রথম দিন থেকেই আমি সম্মতি দিয়েছি। আমি তাদের কথা শুনেছি, কয়েকবার তাদের সঙ্গে বসেছি। হাসপাতালকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য এরাই সবচেয়ে বেশি কাজ করেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, তিনি বিষয়টি দেখবেন, তাদের কাজে যোগ দিতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী। ঈদের পরেই আমরা বলতে পারব কবে তাদের বেতন বাড়বে। তবে ঈদের আগে আমরা বকেয়া ভাতাটা দিয়ে দিব এবং বন্ধ থাকা ১২ ইনিস্টিটিউটের ভাতা চালু হবে।’

এর আগে দুপুর আড়াইটায় ভাতা বৃদ্ধির বিষয়ে পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ট্রেইনি ও ইন্টার্ন চিকিৎসকদের সঙ্গে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন বৈঠক করেন। বৈঠকে চিকিৎসকদের পক্ষ থেকে মোট ২০ জন প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, ৪ দফা দাবিতে যৌথ আন্দোলন করছিলেন পোস্টগ্র্যাজুয়েট ট্রেইনি ও ইন্টার্ন চিকিৎসকরা। তাদের দাবি, দেশের সকল সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রোগীদের চিকিৎসার ক্ষেত্রে বড় দায়িত্ব পালন করতে হচ্ছে ইন্টার্ন চিকিৎসকদের। সবশেষ ২০১৫ সালে ইন্টার্ন চিকিৎসকদের ১৫ হাজার টাকা ভাতা নির্ধারণ করা হয়।


স্বাস্থ্যসেবা: ৫ বছরে ব্যয় বৃদ্ধি তিন গুণ

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ২৮ মার্চ, ২০২৪ ০০:০১
নিজস্ব প্রতিবেদক

বাংলাদেশে স্বাস্থ্যসেবার ব্যয় ধারাবাহিকভাবে বেড়েই চলছে। স্বাস্থ্য খাতে ক্রমবর্ধমান বাড়তি ব্যয় দরিদ্র ও মধ্যবিত্ত পরিবারগুলোকে চিকিৎসার ক্ষেত্রে কঠিন সংকটে ফেলেছে। বিগত পাঁচ বছরে অর্থাৎ ২০১৮ সালের তুলনায় ২০২৩ সালে এ খাতে ব্যয় তিন গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে।

সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক অন ইকোনমিক মডেলিং (সানেম) এবং যুক্তরাজ্যের ম্যানচেস্টার বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্লোবাল ডেভেলপমেন্ট ইনস্টিটিউট পরিচালিত এক গবেষণায় এসব তথ্য উঠে এসেছে। গতকাল বুধবার সানেমের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

গবেষণায় বলা হয়েছে, ২০১৮ সালের তুলনায় গড় মাথাপিছু স্বাস্থ্য ব্যয় ২০২৩ সালে তিন গুণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে মাসিক ১ হাজার ৭০৪ টাকায়।

তবে এ বর্ধিত স্বাস্থ্যসেবা ব্যয় সব আয়ের মানুষের মধ্যে সমান নয়। দরিদ্রতম ২০ শতাংশ পরিবারের জন্য এ বৃদ্ধি মাত্র দ্বিগুণ ছিল, যেখানে সবচেয়ে ধনী ২০ শতাংশ পরিবারের জন্য বৃদ্ধি ছয় গুণ। সানেম মনে করছে, স্বাস্থ্য ব্যয় বাড়ার ক্ষেত্রে করোনাভাইরাস মহামারির গুরুতর প্রভাব থাকতে পারে।

সানেমের গবেষণায় বলা হয়েছে, করোনা মহামারি মোকাবিলায় বাংলাদেশের প্রধান সাফল্য ছিল যথাসময়ে ভ্যাকসিন সরবরাহ করা। বাংলাদেশে ২০২১ সালের ২৭ জানুয়ারি কোভিড-১৯ টিকা দেওয়া শুরু হয়। এ সময় ৭৭ শতাংশ পুরুষ এবং ৪০ শতাংশ নারী ভ্যাকসিনের দুটির বেশি ডোজ পেয়েছেন।

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের পর থেকে বিভিন্ন কোম্পানি তাদের উৎপাদিত ওষুধের দাম ১৫০ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি করেছে, যা স্বাস্থ্যসেবা ব্যয়ের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রেখেছে। করোনা মহামারি ও তার পরবর্তী সময়ে দেশের উৎপাদনমুখী বিভিন্ন খাত মুনাফা সংকটে ভুগলেও ওষুধ কোম্পানিগুলো তাদের ভালো প্রবৃদ্ধি বজায় রেখেছে।

ওষুধ খাতের কোম্পানিগুলোর মুনাফার প্রবৃদ্ধি গড়ে ১৫ শতাংশের বেশি, যা বাংলাদেশের অন্য যেকোনো খাতের তুলনায় আকর্ষণীয়। ওষুধের দাম বাড়ায় অনেক কোম্পানির মুনাফা বাড়লেও সামর্থ্যহীন মানুষ ওষুধ খাওয়া কমিয়েছেন।

জরিপের তথ্য অনুযায়ী, গত পাঁচ বছরে গ্রামাঞ্চলে দারিদ্র্যের হার কমেছে। একই সময়ে দারিদ্র্যের হার বেড়েছে শহরাঞ্চলে। ২০১৮ সালে গ্রামীণ দারিদ্র্যের হার ২৪ দশমিক ৫ থেকে ২০২৩ সালে ২১ দশমিক ৬ শতাংশে নামলেও শহুরে দারিদ্র্যের হার ১৬ দশমিক ৩ থেকে বেড়ে ১৮ দশমিক ৭ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।

জরিপে দেখা যায়, উচ্চ দারিদ্র্যসীমা অনুযায়ী, জাতীয় পর্যায়ে দারিদ্র্যের হার ২০ দশমিক ৭ শতাংশ, গ্রামীণ এলাকায় ২১ দশমিক ৬ শতাংশ এবং শহরাঞ্চলে ১৮ দশমিক ৭ শতাংশ। নিম্ন দারিদ্র্যসীমা অনুযায়ী, জাতীয় পর্যায়ে চরম দারিদ্র্যের হার পরিমাপ করা হয়েছে ৭ দশমিক ৯ শতাংশ, গ্রামীণ এলাকায় ৮ দশমিক ৯ শতাংশ ও শহরাঞ্চলে ৫ দশমিক ৪ শতাংশ। এর মধ্যে বিভাগীয় পর্যায়ে সর্বোচ্চ দারিদ্র্যের হার পরিমাপ করা হয়েছে রংপুর ও বরিশালে। রংপুরে এ হার ৪২ দশমিক ৯ শতাংশ এবং বরিশালে ৩২ দশমিক ৫ শতাংশ।

বহুমাত্রিক দারিদ্র্যের সূচকেও একই ধরনের প্রবণতা দেখা যায়। গ্রামীণ বহুমাত্রিক দারিদ্র্যের হার ৩০ দশমিক ৪ শতাংশ থেকে নেমে এসেছে ২৭ দশমিক ৬ শতাংশে। অন্যদিকে, শহরাঞ্চলে তা ২০১৮ সালে ১৬ দশমিক ৮ শতাংশ থেকে ২০২৩ সালে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৮ শতাংশে।

গবেষণা প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, সরকার প্রদত্ত সামাজিক সুরক্ষা কার্যক্রমের আওতায় এসেছে ৩৭ শতাংশ দরিদ্র জনগোষ্ঠী। এর মধ্যে টিসিবি ফ্যামিলি কার্ড সেবা সর্বোচ্চ সংখ্যক তথা ১৫ দশমিক ৬৩ শতাংশ পরিবারের কাছে পৌঁছেছে। এ ছাড়া বার্ধক্য ভাতা ৮ দশমিক ৯ শতাংশ; বিধবা, স্বামী নিগৃহীতা ও দুস্থ মহিলা ভাতা ৪ দশমিক ৯৮ শতাংশ, আর্থিকভাবে অসচ্ছল প্রতিবন্ধী ভাতা ৩ দশমিক ৩৪ শতাংশ এবং খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি ভাতা ৩ দশমিক ১৭ শতাংশ জনগোষ্ঠীর কাছে পৌঁছেছে। কর্মক্ষম জনগোষ্ঠীর অধিকাংশই অর্থাৎ ৪৭ শতাংশ সেবা খাতে নিযুক্ত। ৩৬ কৃষি ও ১৮ শতাংশ শিল্প খাতে কর্মরত। জাতীয় পর্যায়ে বেকারত্বের হার ৩ দশমিক ৯ শতাংশ। গ্রামীণ এলাকায় এ হার ৩ দশমিক ৬ ও শহরাঞ্চলে ৪ দশমিক ৬ শতাংশ।


প্রতি ৬টি শিশুর মধ্যে ১টি শিশু সাইবার বুলিংয়ের শিকার: ডব্লিউএইচও

ফাইল ছবি
আপডেটেড ২৭ মার্চ, ২০২৪ ১৬:২৮
বাসস

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২২ সালে ১১ থেকে ১৫ বছর বয়সী প্রায় ১৬ শতাংশ শিশু সাইবার বুলিংয়ের শিকার হয়েছে যা চার বছর আগে ১৩ শতাংশ ছিল। বিশ্বের ৪৪টি দেশের ওপর এ সমীক্ষা চালানো হয়। খবর এএফপি’র।

বুধবার ইউরোপ বিষয়ক ডব্লিউএইচও’র আঞ্চলিক পরিচালক হ্যান্স ক্লুজ এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘প্রতিবেদনটি সাইবার বুলিং এবং সহিংসতাকে মোকাবেলায় আমাদের সকলের সজাগ হওয়ার একটি আহ্বান। যখন যেখানেই এ ধরনের ঘটনা ঘটুক না কেন।’

‘স্কুল পড়ুয়া শিশুদের মধ্যে স্বাস্থ্য আচরণ’ শীর্ষক সমীক্ষা অনুসারে সাম্প্রতিক মাসগুলোতে ১৫ শতাংশ ছেলে এবং ১৬ শতাংশ মেয়ে অন্ততপক্ষে একবার সাইবার বুলিংয়ের শিকার হয়েছে বলে প্রতিবেদনে বলা হয়।

জাতিসংঘের এ সংস্থা উল্লেখ করেছে, মহামারীটি কিশোর-কিশোরীদের একে অপরের প্রতি আচরণের ক্ষেত্রে পরিবর্তন আনতে দেখা গেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘কভিড-১৯ মহামারি শুরু হওয়ার পর থেকে সহকর্মী সহিংসতার ভার্চুয়াল রূপগুলো বিশেষভাবে প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠে।
বিশ্বব্যাপী মহামারি করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ায় লকডাউনের চলাকালে তরুণ সমাজ ক্রমবর্ধমানভাবে ভার্চুয়াল হয়ে উঠে।’

এতে আরও বলা হয়, অন্যান্য বুলিং সামান্য বৃদ্ধি পেলেও অনেকাংশে স্থিতিশীল রয়েছে।

গত কয়েক মাসে ১১ শতাংশ ছেলে ও মেয়ে অন্ততপক্ষে দুই বা তিনবার স্কুলে নির্যাতনের শিকার হয়েছে বলে প্রতিবেদনে জানানো হয়। চার বছর আগে এই হার ছিল ১০ শতাংশ।

বিস্তারিত কিছু উল্লেখ না করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানায়, এক্ষেত্রে বুলগেরিয়া, লিথুয়ানিয়া, মলদোভা এবং পোল্যান্ডে ছেলেদের হাতে সবচেয়ে বেশি মাত্রায় সাইবার বুলিংয়ের ঘটনা ঘটে। স্পেনে সবচেয়ে কম এ ধরনের ঘটনা ঘটে বলে প্রতিবেদনে বলা হয়।

সমীক্ষাটি ইউরোপ, মধ্য এশিয়া এবং কানাডা জুড়ে ৪৪টি দেশের ২ লক্ষ ৭৯ হাজার শিশু এবং কিশোর-কিশোরীদের তথ্যের উপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে।

বিষয়:

আরও ২৪ জনের করোনা শনাক্ত

প্রতীকী ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন ২৪ জন। তবে এই সময়ে কারও মৃত্যু হয়নি।

মঙ্গলবার বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো করোনাবিষয়ক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ৩২ জন সুস্থ হয়েছেন। এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ২০ লাখ ১৬ হাজার ৬৯৪ জন। সারা দেশে সরকারি-বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৮৮৫টি ল্যাবে গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৪২৬টি।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষায় শনাক্তের হার ৫ দশমিক ৬৩ শতাংশ।


চিকিৎসকরা রাস্তায় নেমে আসুক তা চাই না: স্বাস্থ্যমন্ত্রী 

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

ইন্টার্ন চিকিৎসকদের সমস্যা দ্রুতই সমাধান করা হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন। তিনি বলেন, ‘আমি চাই না, আমার কোনো ডাক্তার এভাবে রাস্তায় নেমে আসুক। যত দ্রুত তোমাদের এই সমস্যা সমাধান করা যায়, আমি দেখব।’ শনিবার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে গেলে পোস্টগ্র্যাজুয়েট ট্রেইনি ও ইন্টার্ন চিকিৎসকদের উদ্দেশে তিনি এ কথা বলেন।

আন্দোলনরত পোস্টগ্র্যাজুয়েট ট্রেইনি ও ইন্টার্ন চিকিৎসকদের উদ্দেশে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘চিকিৎসকদের সম্পর্কে আমি ভালো করে জানি। তোমরা বাধ্য হয়েই এসেছো। আমি গ্রাম থেকে উঠে এসেছি, আমি জানি। সুতরাং যত দ্রুত তোমাদের সমস্যা সমাধান করা যায়, আমি দেখব। এইটুকু আমি তোমাদের কথা দিলাম।’

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে চিকিৎসা ব্যবস্থা ও হাসপাতালের মূল তোমরা। তোমরা যদি ভালো করে কাজ না করো সব সুনাম-দুর্নাম তোমাদের ওপর। তোমরা ছাড়া আমি উন্নতি করতে পারব না। আমি তোমাদের দাবি দেখব।’

ওই সময় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. খুরশীদ আলম আন্দোলনরতদের উদ্দেশে বলেন, ‘আমাদের সময় ভাতা ছিল না। আমরা ভাতা চালু করেছি। স্যার যেহেতু কথা দিয়েছেন, তোমরা এইটুকু আস্থা রাখবে।’

জবাবে আন্দোলনকারী চিকিৎসকরা বলেন, ‘আমাদের এর আগেও আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। আমাদের ভাতা বন্ধ করে দিল কেন স্যার, আমরা নিরুপায় হয়ে আপনাদের কাছে এসেছি।’

এর আগে টানা কয়েক দিন ধরে বকেয়া ভাতার দাবিতে আন্দোলন করে আসছেন পোস্টগ্র্যাজুয়েট ট্রেইনি চিকিৎসকরা। গত ১৬ মার্চ বাংলাদেশ কলেজ অব ফিজিশিয়ান অ্যান্ড সার্জনস (বিসিপিএস) ভবনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন তারা।

আন্দোলনরত চিকিৎসকরা জানান, প্রতি মাসে ২৫ হাজার টাকা করে ছয় মাসে দেড় লাখ টাকা ভাতা দেওয়া কথা। এর আগে ২০ হাজার করে যখন ভাতা ছিল তখন ছয় মাস পরপর এক লাখ ২০ হাজার টাকা করে দেওয়া হতো। এ হিসেবে জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ছয় মাসের টাকা জানুয়ারির শুরুতে দেওয়ার কথা। কিন্তু মার্চের অর্ধেক পেরিয়ে গেলেও ভাতা দিতে নানাভাবে টালবাহানা করা হচ্ছে। নিয়মিত যদি ভাতা না পাই তাহলে আমরা কীভাবে চলব, আর পরিবার কীভাবে চলবে।

পোস্টগ্র্যাজুয়েট ট্রেইনি ও ইন্টার্ন চিকিৎসকদের চার দফা দাবি

১. ইন্টার্ন চিকিৎসকদের বেতন ৩০ হাজার টাকা এবং পোস্টগ্র্যাজুয়েট প্রাইভেট ট্রেইনি চিকিৎসকদের বেতন বাড়িয়ে ৫০ হাজার টাকা করতে হবে। ২. পোস্টগ্র্যাজুয়েট ট্রেইনি চিকিৎসকদের (এফসিপিএস, রেসিডেন্ট ও নন রেসিডেন্ট) বকেয়া ভাতা প্রদান করতে হবে। ৩. ১২টি প্রাইভেট ইনস্টিটিউটের নন-রেসিডেন্ট ও রেসিডেন্টদের আকস্মিক ভাতা বন্ধের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে ভাতা পুনর্বহাল করতে হবে। ৪. অবিলম্বে চিকিৎসক সুরক্ষা আইন প্রণয়ন করতে হবে।


বাড়ছে করোনা এক দিনে শনাক্ত ৩৯ জনের  

প্রতীকী ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত হয়ে কারও মৃত্যু হয়নি। এ সময় নতুন করে ৩৯ জনের শরীরে এই ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। সব মিলিয়ে মোট আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২০ লাখ ৪৯ হাজার ২৫৮ জনে।

বুধবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো করোনাবিষয়ক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়েছে, সারা দেশে সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৮৮৫টি ল্যাবে ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৬৩৯টি। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা হয়েছে এক কোটি ৫৬ লাখ ৭৫ হাজার ৩৭৯টি।

ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ও বাড়িতে উপসর্গবিহীন রোগীসহ গত ২৪ ঘণ্টায় ৪৬ জন সুস্থ হয়েছেন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ২০ লাখ ১৬ হাজার ৪৬০ জন।

গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষায় শনাক্তের হার ছয় দশমিক ১০ শতাংশ। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৭ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯৮ দশমিক ৪০ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার এক দশমিক ৪৪ শতাংশ।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় একজন আইসোলেশনে এসেছেন এবং আইসোলেশন থেকে দুইজন ছাড়পত্র পেয়েছেন। এ পর্যন্ত মোট আইসোলেশনে এসেছেন চার লাখ ৫২ হাজার ৯৫০ জন এবং আইসোলেশন থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন চার লাখ ২৩ হাজার ৬৮৭ জন। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ২৯ হাজার ২৬২ জন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যমতে, ২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে করোনাভাইরাসের প্রথম রোগী শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ করোনায় আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়।


চলতি মাসে করোনায় ঝরেছে তিন প্রাণ

প্রতীকী ছবি
আপডেটেড ১৯ মার্চ, ২০২৪ ২০:৩৪
নিজস্ব প্রতিবেদক

দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে একজনের মৃত্যু হয়েছে। তিনি ময়মনসিংহের বাসিন্দা। এ নিয়ে চলতি মাসে করোনায় তিনজনের মৃত্যু হলো। এর আগে ৮ মার্চ করোনায় একজনের মৃত্যু হয়েছিল। আর চলতি বছর করোনায় মৃত্যু হলো ১৬ জনের।

মঙ্গলবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ৩১ জনের করোনা শনাক্ত হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সবশেষ করোনা শনাক্ত হওয়া ৩১ জনের মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে শনাক্ত হয়েছে ২৮ জন। আর বাকি তিনজন চট্টগ্রামে। ওই সময় করোনা সন্দেহে ৬০২ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। রোগী শনাক্তের হার ৫ দশমিক ১৫।

দেশে এখন পর্যন্ত ২০ লাখ ৪৯ হাজার ২১৯ জনের করোনা সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। তাদের মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ২০ লাখ ১৬ হাজার ৪১৪ জন। আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে মারা গেছেন ২৯ হাজার ৪৯৩ জন।

বাংলাদেশে করোনার অমিক্রণ ধরনের একটি উপধরন জেএন.১-এ আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছেন। দ্রুত ছড়ানোর কারণে জেএন.১-কে ‘ভেরিয়েন্ট অব ইন্টারেস্ট’ হিসেবে অভিহিত করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। এমন পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর কিছু সতর্কতা মেনে চলার পরামর্শ দিয়েছে।

এ অবস্থায় উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে, যেমন হাসপাতাল বা চিকিৎসাকেন্দ্র এবং উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ ব্যক্তি, যাদের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা কম, তাদের সতর্কতা হিসেবে মাস্ক পরতে হবে। উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ ব্যক্তিদের চতুর্থ ডোজ টিকা নেওয়ারও পরামর্শ দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনাভাইরাসে সংক্রমিত রোগী শনাক্তের ঘোষণা দেয় সরকার। করোনায় প্রথম মৃত্যুর কথা জানা যায় ওই বছরের ১৮ মার্চ। এর তিন বছর পর গত বছরের মে মাসে করোনার কারণে জারি করা বৈশ্বিক জরুরি অবস্থা প্রত্যাহারের ঘোষণা দেয় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।

বিষয়:

তিন মাসে ডেঙ্গুতে ২০ মৃত্যু

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ২০ জন প্রাণ হারিয়েছেন। মঙ্গলবার সচিবালয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া নির্মূলে করণীয় বিষয়ে অনুষ্ঠিত এক আন্তমন্ত্রণালয় বৈঠকে এ তথ্য জানানো হয়।

বৈঠকে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন ছাড়াও ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম ও শেখ ফজলে নূর তাপস উপস্থিত ছিলেন।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বছরের প্রথম তিন মাসে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন ১ হাজার ৫০০ জনেরও বেশি। এ বছর রাজধানীর বাইরের জেলাগুলোতে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা বেশি। বিভাগভিত্তিক তথ্য বলছে, এ বছর ঢাকা বিভাগে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন ৭৪৫ জন। এ ছাড়া চট্টগ্রামে ৪৫৫ জন, বরিশালে ১৯০ জন, খুলনায় ৯৩ জন, রাজশাহীতে ৩৬ জন, ময়মনসিংহে ২৮, রংপুরে ১৩ জন এবং সিলেট বিভাগে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন ৬ জন।

আন্তমন্ত্রণালয় সভায় দেশের সব হাসপাতালকে ডেঙ্গু রোগীদের সেবা দেওয়ার জন্য প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী সামন্ত লাল সেন। তিনি বলেন, ‘আমরা প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নেব। প্রতিটি ওয়ার্ডে মানুষকে সচেতন করা, মানুষকে বোঝানো যে ডেঙ্গু কীভাবে হয়। আমাদের হাসপাতালে নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে যে, তারা যেন প্রস্তুত থাকেন।’

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘রোগীরা যখন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয় বা জ্বর হয় তারা যেন অতি দ্রুত হাসপাতালে আসে। অনেক সময় দেখা যায় অনেক দেরিতে আসে। তখন কিছু করা যায় না। এই মেসেজগুলো আমরা দিচ্ছি।’

এদিকে, এক বছর আগে বিটিআই আমদানি নিয়ে কেলেঙ্কারির পর এবার এডিসের লার্ভা ধ্বংস করতে নিজেরাই জৈব কীটনাশক আমদানি করার কথা জানিয়েছেন উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম।

তিনি বলেন, ‘আমরা প্রথমে বিটিআই এনেছিলাম একটা ঠিকাদারের মাধ্যমে। এটার মূল্য ছিল ৮৫ লাখ টাকা। টেস্ট কেস হিসেবে বিটিআই চেয়েছিলাম। কিন্তু বিটিআই দেখেছি ৫ টন। যে ঠিকাদার নিয়ে এসেছেন সে এটাকে মিস ডিক্লিয়ারেশন করেছে এবং যা ইচ্ছা তাই করেছে এবং সোশ্যাল মিডিয়ার সবখানে বলেছেন যে, আমরা হাজার হাজার কোটি টাকা বানায় ফেলিছি। ৫ টনের মূল্য ছিল ৮৭ লাখ টাকা। সেই ৫ টন বিটিআই আদালতের নির্দেশনার কারণে ব্যবহার করিনি।’

আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা এ জন্য এখন সরাসরি প্রথমবারের মতো বিটিআই আমদানি করতে যাচ্ছি। আজকে এখানে যারা বিশেষজ্ঞ আছেন ওনারাও বলেছেন যে কীভাবে অর্গানিক, বায়োলজিক্যাল ট্রিটমেন্ট করা যায়। বিটিআই হচ্ছে বায়োলজিক্যাল ট্রিটমেন্টের মধ্যে উত্তম প্রস্তাব। এটি নিয়ে আমরা অলরেডি কাজ করেছি। আমরা আমাদের কাজ চালিয়ে যাচ্ছি। গুলশান লেক যেদিন প্রথম পরিষ্কার করি সেখান থেকে কোটি কোটি মশা বের হয়ে গেছে। আগামীকাল যাব উত্তরাতে রাজউকের প্রত্যেকটি খাল পরিষ্কার করার জন্য।’

শুক্রবারের মধ্যে বিটিআই আমদানির প্রমাণ না দিতে পারলে ব্যবস্থা

সরকারি সংস্থাগুলোকেও দায়িত্বশীল হওয়ার আহ্বান জানান ডিএনসিসি মেয়র। তিনি বলেন, ‘আমাদের যে যার যার সংস্থা তাদের দায়িত্ব নিতে হবে। আপনারা দেখেছেন পেট্রোবাংলার নিচে থেকে লার্ভিসাইড পেয়েছি, জরিমানা করেছি ৫ লাখ টাকা করে। গতবার জাপান গার্ডেনকে জরিমানা করেছি তিন কোটি ৮৭ লাখ টাকা। আমি কাউকে দোষ দিচ্ছি না। লেটস ওয়ার্ক টুগেদার। আমাদের কাজ চালিয়ে যেতে হবে এবং আমরা অবশ্যই ফল পাব।’

গত বছর দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ সংখ্যক মানুষ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। সেবার ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছিলেন ৩ লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন। আর মারা যান ১ হাজার ৭০৫ জন।

বিষয়:

৩ হাজারের বেশি রোগীকে বিনামূল্যে চিকিৎসা দিল বিএসএমএমইউ

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

নানা আয়োজনের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৪তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস ২০২৪ উদযাপন করা হয়েছে।

আজ রোববার এ উপলক্ষে গৃহীত কর্মসূচির মধ্যে ছিল বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালে ও ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ, স্বেচ্ছায় রক্তদান, বিনামূল্যে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসাসেবা প্রদানসহ ফ্রি সার্জারি ও (পরীক্ষা-নিরীক্ষা) সেবা প্রদান, চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, বৃক্ষরোপণ, কেন্দ্রীয় মসজিদে দোয়া মাহফিল ইত্যাদি।

আজ সকালে এসব কর্মসূচির উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ। ওই সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. ছয়েফ উদ্দিন আহমেদ, উপ-উপাচার্য (গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মো. মনিরুজ্জামান খান, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আতিকুর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. মো. রেজাউর রহমান রেজা জানান, ৩ হাজার ৩ ৫২ জন রোগীকে বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা দেওয়া হয়। এর মধ্যে বহির্বিভাগ-১-এ মেডিসিন, শিশু ও ডেন্টাল অনুষদে ২ হাজার ৭৫ জন এবং বহির্বিভাগ-২-এ সার্জারি অনুষদে ১ হাজার ২৭৭ রোগীকে বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা দেওয়া হয়। বিজ্ঞপ্তি


স্ট্রোকের যত কারণ ও জটিলতার চিকিৎসা

আপডেটেড ১৬ মার্চ, ২০২৪ ১০:৪৩
ডা. মো. সফিউল্যাহ প্রধান

স্ট্রোক মস্তিষ্কের একটি রোগ। আমাদের মস্তিষ্কের রক্তনালীতে জটিলতার কারণে এই রোগ দেখা দেয়। প্রতিবছর বিশ্বে ১ কোটি ৭০ লক্ষ মানুষ স্ট্রোক করেন। প্রায় ৬৫ লক্ষ মানুষ স্ট্রোকের কারণে মৃত্যুবরণ করেন। ৫০ লক্ষ মানুষ স্ট্রোকের কারণে স্থায়ীভাবে অক্ষম হয়ে পড়েন। প্রতি ৬ জনে ১ জন মানুষ স্ট্রোকে আক্রান্ত হন। অনেকেই স্ট্রোককে হার্টের রোগ মনে করেন, যা একদমই ভুল। এই ভুল ধারণার কারণে রোগীরা বাড়তি ঝুঁকির সম্মুখীন হন।

স্ট্রোকের যত কারণ
১. উচ্চ রক্তচাপ
২. ডায়াবেটিস
৩. উচ্চ কোলেস্টেরল
৪. হৃদরোগ (করোনারি হৃদরোগ, ধমনী ফাইব্রিলেশন, হার্টের ভালভ রোগ, ক্যারোটিড ধমনী)
৫. অতিরিক্ত অ্যালকোহল গ্রহণ
৬. ধূমপান
৭. বেশি ওজন
৮. অপুষ্টি
৯. কায়িক পরিশ্রম না করা
১০. হেমোরেজিক স্ট্রোকে পূর্ববর্তী স্ট্রোক বা টিআইএ
১১. কোয়াগুলোপ্যাথি
১২. প্রদাহ (দীর্ঘস্থায়ী প্রদাহ মস্তিষ্কের কোষের ক্ষতির দিকে পরিচালিত করে)
১৩. ধমনী বিকৃতি
১৪. অ্যানিউরিজম
১৫. স্থূলতা
১৬. প্রি-একলাম্পসিয়া
১৭. ভাইরাল সংক্রমণ: রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস, লুপাস
১৮. উদ্বেগ, বিষণ্নতা এবং মানসিক চাপ

লক্ষণ
১. শরীরের একদিক দুর্বল বা অবশ হয়ে যায়।
২. মুখের যেকোনো একপাশ বেঁকে যায়।
৩. কথা অস্পষ্ট হয়ে যায় বা জড়িয়ে যায়।
৪. চোখের দৃষ্টি ঝাপসা হয়ে যায়।
৫. তীব্র মাথাব্যথা অনুভূত হয়।
৬. অজ্ঞান হয়ে যায়।

স্ট্রোক পরবর্তী জটিলতা
১. পক্ষাঘাত বা চলাফেরা করতে অসুবিধা।
২. পেশির ও অস্থিসন্ধির কার্যক্ষমতা হারিয়ে ফেলা বা পঙ্গুত্ব।
৩. কথা বলতে বা গিলতে অসুবিধা।
৪. অবশ অংশে ক্ষত বা বেড সোর হওয়া।
৫. শরীরের বিভিন্ন অংশে ব্যথা।
৬. মানসিক ও আচার-আচরণে অসুবিধা।

জটিলতার চিকিৎসা
স্ট্রোক-পরবর্তী সময়ের চিকিৎসা কী হবে এটা নিয়েও রয়েছে নানা জটিলতা। আমাদের দেশের সাধারণ মানুষই জানেন না স্ট্রোকে যদি কেউ প্যরালাইজড বা হয়ে পড়ে তবে তাকে কী চিকিৎসা দিতে হবে। এ ক্ষেত্রে কার্যকর একটি পদ্ধতি ফিজিওফেরাপি ও পুনর্বাসন। রোগী যদি খুব দ্রুত ফিজিওথেরাপি ও পুনর্বাসন চিকিৎসার আওতাধীন হয়, তবে প্রায় ৯৫ ভাগই আগের জীবনে ফিরে আসতে পারে। স্ট্রোকের পর রোগীর মাংসপেশি অবশ বা শক্ত হয়ে যায়। এসব রোগীর শারীরিক কার্যক্ষমতা বাড়াতে ফিজিওথেরাপি ও পুনর্বাসন চিকিৎসার গুরুত্ব অপরিসীম। স্ট্রোকের কারণে অধিকাংশ রোগীর শরীরের যেকোনো একপাশ অবশ বা প্যারালাইজড হয়ে যায়। এসময় রোগী তার স্বাভাবিক জীবন-যাপন করতে পারে না। তাই যত দ্রুত ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা শুরু করা যাবে, রোগী তত তাড়াতাড়ি সুস্থ স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসবে।

লেখক: ফিজিওথেরাপি, ডিজএবিলিটিস ও রিহেবিলিটেশন স্পেশালিষ্ট,
সহযোগী অধ্যাপক (আইআইএইচএস) ও কনসালটেন্ট ডিপিআরসি।


কিডনি রোগ মহামারির আকার ধারণ করতে পারে: বিএসএমএমইউ উপাচার্য

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেছেন, ‘বাংলাদেশে ১০ বছর আগে কিডনি রোগীর সংখ্যা ছিল ৮০ লাখ থেকে ১ কোটি। বর্তমানে এই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে আড়াই কোটিতে। বৃদ্ধির হার এতই বেশি যে, অদূর ভবিষ্যতে এটা মহামারির আকার ধারণ করতে পারে।’

বিশ্ব কিডনি দিবস উপলক্ষে আজ বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

উপাচার্য বলেন, বাংলাদেশে কিডনি রোগীর সংখ্যা প্রায় আড়াই কোটি। তাদের মধ্যে প্রতিবছর আকস্মিক কিডনি রোগীর সংখ্যা ২৫-৩০ হাজার, দীর্ঘস্থায়ী কিডনি রোগীর সংখ্যা ৩৫-৪০ হাজার। বাংলাদেশে কিডনি রোগের চিকিৎসক রয়েছেন প্রায় ৩০০ জন।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, একজন প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তির দুটি কিডনির প্রতিটিতে প্রায় ১০-১২ লাখ ছাঁকনি রয়েছে। মানুষের জন্মগ্রহণের ৬ সপ্তাহের মধ্যেই কিডনির ছাঁকনি বা ফিল্টার মেমব্রেন পুরোপুরি তৈরি হয়। প্রতি ২৪ ঘণ্টায় ২০০ লিটার রক্ত পরিশোধন করে। এই প্রক্রিয়ায় শরীরের ১ থেকে ৩ লিটার বর্জ্য পদার্থ প্রস্রাবের মাধ্যমে বের হয়। কোনো কারণে এ ফিল্টার যখন বাধাপ্রাপ্ত হয় তখন আকস্মিক বা দীর্ঘস্থায়ী কিডনি রোগ হতে পারে। কিডনির কার্যকারিতা যাচাই করাতে রক্তে ক্রিয়েটিনিন পরিমাপ করা যায়। যার মাধ্যমে কিডনি কতটুকু কাজ করছে বোঝা যায়। এ ছাড়া প্রস্রাবে নির্দিষ্ট মাত্রার বেশি প্রোটিন বা এলবুমিন থাকলে দীর্ঘস্থায়ী কিডনি রোগ আছে বলে ধরা হয়।

এক সমীক্ষার উল্লেখ করে বলা হয়েছে- দেশের শতকরা ১৮ ভাগ মানুষ দীর্ঘস্থায়ী কিডনি রোগে আক্রান্ত। যুক্তরাষ্ট্রে ১১ শতাংশ, অস্ট্রেলিয়ায় ১৬ শতাংশ এবং আইসল্যান্ডে ১০ শতাংশ মানুষ দীর্ঘস্থায়ী কিডনি রোগে আক্রান্ত। আকস্মিক কিডনি রোগের কারণগুলো ডায়ারিয়া, রক্তক্ষরণ, কিডনি প্রদাহ, তীব্র সংক্রমণ, আকস্মিক হৃদরোগ, কিডনির ক্ষতিকারক কিছু ওষুধ, মূত্রনালির প্রতিবন্ধকতা। লক্ষণগুলো হলো প্রস্রাব কমে যাওয়া বা বন্ধ হয়ে যাওয়া, শরীরে পানি আসা ও শ্বাসকষ্ট দেখা দেওয়া। কিডনির কার্যকারিতা তিন মাস বা তার বেশি সময় পর্যন্ত লোপ পেলে তাকে দীর্ঘমেয়াদি কিডনি রোগ বলা হয়।

দীর্ঘমেয়াদি কিডনি রোগের কারণগুলো ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, নেফ্রাইটিস ও অন্যান্য। লক্ষণ হলো বমি বমি ভাব, ক্ষুধা মন্দা, প্রথম দিকে ঘন ঘন প্রস্রাব, পরে কমে যাওয়া, ক্রমান্বয়ে দুর্বলতা বৃদ্ধি পাওয়া, রক্ত স্বল্পতা, ও শ্বাসকষ্ট।

বিএসএমএমইউর কিডনি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মো. নজরুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন ইউরোলজি বিভাগের অধ্যাপক ডা. তৌহিদ রমা সাইফুল ইসলাম দিপু, কিডনি বিভাগের অধ্যাপক ডা. এ এইচ এম হামিদ আহমেদ, অধ্যাপক ডা. কে বি এম হাদিউজ্জামান, সহযোগী অধ্যাপক ডা. ওমর ফারুক প্রমুখ।


গাজীপুরে দগ্ধ অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক

বৃহস্পতিবার সকালে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন এন্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইন্সটিটিউটে সভায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন এবং অন্যান্যরা। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

গাজীপুরে সিলিন্ডার বিস্ফোরণে গুরুতর আহত রোগীদের উন্নত চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করতে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন এন্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইন্সটিটিউটের চিকিৎসকদের সঙ্গে বোর্ড সভা করছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন।

বৃহস্পতিবার সকালে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন এন্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইন্সটিটিউটে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় ভর্তি হওয়া রোগীদের শারীরিক অবস্থার বিস্তারিত তথ্য জানেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। ভর্তিকৃতদের মধ্যে কতজন শিশু, কতজনের অবস্থা বেশি গুরুতর, কতজন আইসিইউ, কতজন এইসডিওতে ভর্তি আছেন তার খোঁজ নেন তিনি।

তিনি জানান, দগ্ধ রোগীদের চিকিৎসা নিয়ে সার্বিক বিষয়ে খোঁজ নিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং এই চিকিৎসার যাবতীয় ব্যয় তিনি নিজে বহন করবেন বলে আমাকে অবগত করেছেন।

তিনি উপস্থিত চিকিৎসকদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দগ্ধ রোগীদের শারীরিক কষ্ট অনেক। প্রতিটি রোগীকে নিজের পরিবারের সদস্যদের মতো করে আমাদের সবাইকে চিন্তা করতে হবে। দগ্ধ রোগীদের অনেকেরই অবস্থা অত্যন্ত আশংকাজনক। আমরা কিছু রোগীকে হয়তো বাঁচাতে পারবো না, কিন্তু কোনো রোগীর প্রতি শেষ মুহুর্ত পর্যন্ত আমাদের চেষ্টার যেন কোনরকম অবহেলা না থাকে এটি আমাদেরকে নিশ্চিত করতে হবে।’

সভায় সিলিন্ডার বিস্ফোরণের ঘটনায় মোট ৩২ জন বর্তমানে হাসপাতালে ভর্তি আছে বলে স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে জানানো হয়। এই ৩২ জনের মধ্যে ৫ জন রোগী আইসিইউ এবং ২ জন এইচডিইউতে ভর্তি রয়েছে। রোগীদের মধ্যে ১০০ ভাগ দগ্ধ রোগী আছেন একজন, ৯৫ ভাগ দগ্ধ রোগী আছে ৩ জন এবং ৫০-১০০ ভাগ দগ্ধ রোগী আছে মোট ১৬ জন।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেনের সভাপতিত্বে সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ণ এন্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইন্সটিটিউটের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক অধ্যাপক ডা. মুহাম্মদ নওয়াজেস খান, অধ্যাপক (রেডিওলোজি) ডা. খলিলুর রহমান, অধ্যাপক (এনেস্থিসিওলজি) ডা. আতিকুল ইসলাম, সহযোগি অধ্যাপক (বার্ন এন্ড প্লাস্টিক সার্জারি) ডা. হাসিব রহমান, সহযোগি অধ্যাপক (বার্ন এন্ড প্লাস্টিক সার্জারি) ডা.হোসাইন ইমাম (ইমু) সহ অন্যান্য উর্দ্ধতন কর্মকর্তা ও চিকিৎসকবৃন্দ।

বিষয়:

স্বাস্থ্যকেন্দ্রের পরিধি আরও বৃদ্ধি করা হবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

সোমবার রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দিচ্ছেন স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণমন্ত্রী ড. সামন্ত লাল সেন। ছবি: দৈনিক বাংলা
আপডেটেড ১১ মার্চ, ২০২৪ ১৭:৫৩
নিজস্ব প্রতিবেদ

মেডিকেল কলেজ হাসপাতালগুলোর উপর বাড়তি রোগীর চাপ কমাতে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলোর পরিধি আরও বৃদ্ধি করা হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণমন্ত্রী ড. সামন্ত লাল সেন।

তিনি বলেন, ‘প্রান্তিক পর্যায়ে চিকিৎসা সেবা পৌঁছে দিতে না পারলে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালগুলোর ওপর চাপ কোনদিনও কমবে না।’

সোমবার রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি একথা বলেন।

এ সময় স্বাস্থ্যমন্ত্রী বেসরকারি হাসপাতালগুলোকে সতর্ক করে দিয়ে বলেন, ‘কোনো হাসপাতাল তাদের পূর্ব শর্ত ছাড়া চলতে পারবে না। একটা অপারেশন করতে গেলে যা যা দরকার। হার্টের রোগী রাখতে গেলে যে ব্যাক সাপোর্ট দরকার, এটা ছাড়া কোনো দিনই কোনো হাসপাতালকে অনুমোদন দেয়া হবে না। সেখানেও যদি কোনো দুর্ঘটনা ঘটে তবে তার দায়িত্বও ওই হাসপাতাল ও চিকিৎসককেই নিতে হবে।’

মন্ত্রী বলেন, ‘মেডিকেল কলেজ শুধু চিকিৎসা না এখানে শিক্ষা ও গবেষণাও করা হবে। সুতরাং আমরা জেলা হাসপাতালসহ অন্যান্য স্বাস্থ্য কেন্দ্র গুলোকে উন্নত করব। রাজশাহীতে একটা জেলা হাসপাতাল আছে। অত্যন্ত সুন্দর। কিন্তু সেটা খালি পড়ে আছে। আমরা চেষ্টা করব সেটাকেও চালু করতে। সচল করলে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রোগীর চাপ কমবে। আশা করি আমরা এগুলোর সমাধান করতে পারব। তবে জনবলের ঘাটতি আছে। বার্ন ইউনিটটি আমারও একটা টপ প্রায়োরিটি প্রজেক্ট। রাজশাহী মেডিকেলেও একটা ইউনিট হবে। এটা হলে মানুষের অনেক উপকার হবে।’

দেশের ২১ শতাংশ চিকিৎসক অফিসার অন স্পেশাল ডিউটি (ওএসডি) হিসেবে কর্মরত। এই প্রসঙ্গে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বরাদ্দকৃত সাড়ে সাতশ পোষ্টের বিপরীতে ওএসডি হিসেবে কর্মরত আছেন সাড়ে এগারো হাজার চিকিৎসক। এ বিষয়ে একটি পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। পরিকল্পনাটি বাস্তবায়ন করা গেলে এই সংখ্যা কমে আসবে।’

এসময় স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী বেগম রোকেয়া সুলতান, রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল শামীম আহমেদ, রাজশাহী মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ নওশাদ আলমসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।

বিষয়:

banner close