বুধবার, ২৯ অক্টোবর ২০২৫
১৪ কার্তিক ১৪৩২

সরকারি হাসপাতালে চালু হলো বৈকালিক চেম্বার

বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে বৈকালিক স্বাস্থ্যসেবা উদ্বোধন করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড
৩০ মার্চ, ২০২৩ ১৯:৪২
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা
প্রকাশিত
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা
প্রকাশিত : ৩০ মার্চ, ২০২৩ ১৯:০০

দেশের ১২টি জেলা সদর হাসপাতাল এবং ৩৯টি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চালু হয়েছে বৈকালিক স্বাস্থ্যসেবা। এতে চিকিৎসকরা সরকারি হাসপাতালে নির্ধারিত সময়ের পর নির্দিষ্ট ফি নিয়ে রোগী দেখতে পারবেন। যদিও এ নিয়ে চিকিৎসকসহ সংশ্লিষ্টদের মধ্যে দ্বিমত রয়েছে।

বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এই সেবা উদ্বোধন করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। এ সময় তিনি গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং নিজ এলাকা মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে অনলাইনে যুক্ত হয়ে কথা বলেন।

জাহিদ মালেক বলেন, প্রাথমিকভাবে দেশের ১২টি জেলা সদর হাসপাতাল এবং ৩৯টি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এই সেবা চালু করা হলো পাইলট প্রকল্প হিসেবে। ধীরে ধীরে পরবর্তীতে সব হাসপাতালে এই সেবা চালু করা হবে, তাতে বিশাল সংখ্যক চিকিৎসক জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে এই সুযোগ পাবেন।

মন্ত্রণালয় এর আগে জানিয়েছে এ কার্যক্রমের আওতায় দ্বিতীয় শিফটে বিকেল ৩টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত রোগী দেখবেন চিকিৎসকরা। সপ্তাহে দুইদিন এই সেবা দেয়া হবে।

প্রাথমিকভাবে মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতাল, রাজবাড়ী সদর হাসপাতাল, ফেনী সদর হাসপাতাল, কক্সবাজার সদর হাসপাতাল, খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতাল, জামালপুর সদর হাসপাতাল, ঝিনাইদহ সদর হাসপাতাল, নওগাঁ সদর হাসপাতাল, ঠাকুরগাঁও সদর হাসপাতাল, কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতাল, ভোলা সদর হাসপাতাল, সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে এ সেবা চালু হয়েছে।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মধ্যে ঢাকার কেরানীগঞ্জ ও সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার, টাঙ্গাইলের মধুপুর, কিশোরগঞ্জের ভৈরব, ফরিদপুরের বোয়ালমারী, গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া, শরীয়তপুর ভেদরগঞ্জ, নোয়াখালীর, চট্টগ্রামের পটিয়া, কুমিল্লার দাউদকান্দি, কক্সবাজারের পেকুয়া, ফেনীর ছাগলনাইয়া, নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ ও বান্দরবান লামা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ এ সেবা শুরু হয়েছে।

এ ছাড়া জামালপুরের সরিষাবাড়ী, শেরপুরের নকলা, ময়মনসিংহের গফরগাঁও, নেত্রকোনার দুর্গাপুর, যশোরের মনিরামপুর, মাগুরার শ্রীপুর, কুষ্টিয়ার কুমারখালী, যশোরের কেশবপুর, নাটোরের গুরুদাসপুর, বড়াইগ্রাম, রাজশাহীর পবা, নওগাঁর সাপাহার দিনাজপুরের ফুলবাড়ী, রংপুরের বদরগঞ্জ, নীলফামারীর ডোমার, রংপুরের গঙ্গাচড়া, বরগুনার আমতলী, বরিশালের আগৈলঝাড়া, ভোলার চরফ্যাশন, মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল, সিলেটের গোলাপগঞ্জ, বিশ্বনাথ, হবিগঞ্জের মাধবপুর, সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এ সেবা চালু হয়েছে।

প্রাইভেট প্র্যাকটিসের আওতায় রোগী জন্য অধ্যাপক পর্যায়ের বিশেষজ্ঞ ফি নির্ধারণ করা হয়েছে ৫০০ টাকা। এরমধ্যে ৪০০ টাকা চিকিৎসক পাবেন, সেবার সহায়তাকারী পাবেন ৫০ টাকা এবং হাসপাতাল পাবে ৫০ টাকা।

এছাড়া সহযোগী অধ্যাপক বা সিনিয়র কনসালটেন্টের ফি নির্ধারণ করা হয়েছে ৪০০ টাকা, যার ৩০০ টাকা চিকিৎসক পাবেন। সহকারী অধ্যাপক বা জুনিয়র কনসালটেন্ট বা পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ডিগ্রিধারী চিকিৎসকের ফি নির্ধারণ করা হয়েছে ৩০০ টাকা, যার ২০০ টাকা চিকিৎসক পাবেন। এমবিবিএস বা বিডিএস বা সমমানের ডিগ্রিধারী চিকিৎসকদের ফি ২০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে, এর মধ্যে ১৫০ টাকা চিকিৎসক পাবেন।

এছাড়া লোকাল অ্যানেস্থেশিয়া প্রয়োগে ছোট সার্জারির ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞ ফি ৮০০ টাকা এবং সার্জারির ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞ ফি ১ হাজার ৫০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

এসময় উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব ড. মুহাম্মদ আনোয়ার হোসেন হাওলাদার, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এবিএম খুরশীদ আলমসহ অনেকে।


টিকেট কাটা ও ডাক্তার দেখাতে দীর্ঘ লাইনের ভোগান্তি এড়াতে বিএমইউতে অনলাইন সেবা চালু

আপডেটেড ২৯ অক্টোবর, ২০২৫ ১৪:৩৭

বাংলাদেশ মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএমইউ) এর বহির্বিভাগ টিকেট কাটতে এখন থেকে আর দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করতে হবে না। রোগীরা বিএমইউ এর ওয়েবসাইটে (https://bmu.ac.bd) গিয়ে অনলাইনে পেমেন্ট সম্পন্ন করে ব্যবস্থাপত্রটি (টিকেট) প্রিন্ট করে টিকেটে উল্লেখিত বিভাগ অনুযায়ী নির্দিষ্ট সময়ে ডাক্তার দেখিয়ে পরামর্শ নিতে পারবেন। মূলত রোগীদের ভোগান্তি নিরসন ও দুর্ভোগ লাঘবসহ অযাচিত ভিড় এড়াতে এবং বহিবির্ভাগ চিকিৎসাসেবা সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে এগিয়ে নেয়ার লক্ষ্যেই অনলাইন টিকেটিং সিস্টেম চালু করেছে বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়। এরফলে এখন থেকে বাসায় বসেই অনলাইনে কাটা যাবে বিএমইউ এর বহির্বিভাগের টিকেট। একইসঙ্গে সকাল থেকেই হাসপাতালে এসে ডাক্তার দেখাতে করতে হবে না দীর্ঘ অপেক্ষা। আজ বুধবার ২৯ অক্টোবর ২০২৫ইং তারিখে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ ডা. মিল্টন হলে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এসব তথ্য জানানো হয়। অনুষ্ঠানে এই কার্যক্রম সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে এগিয়ে নেয়ার লক্ষ্যে বিএমইউ ও পূবালী ব্যাংক এর সাথে একটি চুক্তি স্বাক্ষর হয়।

বিএমইউ এর সম্মানিত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ডা. মোঃ নজরুল ইসলামের সঞ্চালানায় আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে অত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় ভাইস-চ্যান্সেলর অধ্যাপক ডা. মো. শাহিনুল আলম বলেন, অনলাইন টিকেট সিস্টেম দেশের প্রয়োজনে চালু করা হয়েছে। যেকোনো দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা সবসময় জনগণ কেন্দ্রিক হয়। শিক্ষা ও গবেষণা দেশের মানুষের জন্যই হয়। এই বিশ্ববিদ্যালয় তৈরি হয়েছে দেশের মানুষের জন্য। আমরা অনেকদিন থেকে ভাবছিলাম রোগীদের যেন দীর্ঘ অপেক্ষা করতে না হয়। অনলাইন টিকেটিং সিস্টেম দীর্ঘ অপেক্ষা ও ভোগান্তি কমাবে। এই পদ্ধতিতে রোগীরা তাদের চাহিদামতো সময়ে চিকিৎসককে দেখাতে পারবেন। সময়ের ব্যবধানে সবকিছু অনলাইন সিস্টেমে হবে। অনলাইন নানাদিক থেকে সুবিধা দিবে। টিকেট কাটতে আর হাসপাতালে দীর্ঘ লাইন দিতে হবে না জানিয়ে অধ্যাপক ডা. মোঃ শাহিনুল আলম বলেন, ওয়েটিং টাইমটাকে চেম্বার বা হাসপাতাল থেকে বাসায় নিয়ে যেতে চাই। হাসপাতালে অপেক্ষা করা লাগবে না। তবে এই কার্যক্রমে শুরুর দিকে কিছুটা সমস্যা হতে পারে। তা ওভারকাম করার জন্য সকলের সহযোগিতা প্রয়োজন। বিশেষ করে সাংবাদিক, গণমাধ্যমের সহযোগিতা প্রয়োজন। তারা ইতিবাচকভাবে তুলে ধরলে বিএমইউ এর এই প্রচেষ্টা অবশ্যই সাফল্য পাবে। প্রায় সকল রোগীই বিএমইউ এর চিকিৎসাসেবায় সন্তুষ্ট। কিন্তু দীর্ঘলাইনে দাঁড়িয়ে টিকেট কাটা, ডাক্তার দেখাতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা তাদেরকে কষ্ট দেয়। সেই কষ্ট দূরীকরণের লক্ষ্যেই আজকের এই উদ্যোগ। বিএমইউকে ডিজিটালাইজড হাসপাতালে রূপান্তরেরর কার্যক্রম চলমান আছে উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, আধুনিক বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে এগিয়ে যেতে হলে অটোমেশনের বিকল্প নাই। বিএমইউ এর অটোমেশন কার্যক্রমকে এগিয়ে নিতেই হবে।

অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মানিত প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. মোঃ আবুল কালাম আজাদ, প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মোঃ মুজিবুর রহমান হাওলাদার, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. নাহরীন আখতার, প্রক্টর ডা. শেখ ফরহাদ, আইসিটি সেলের পরিচালক অধ্যাপক ডা. একেএম আখতারুজ্জামান, পূবালী ব্যাংক লি. এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলী প্রমুখ।

তারা বলেন, বাংলাদেশ মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় চিকিৎসাসেবা, উচ্চতর মেডিক্যাল শিক্ষা ও গবেষণায় একটি আস্থার নাম। আজকেরই এই উদ্যোগ দেশের জন্য একটি মাইলফলক। এর মাধ্যমে মূলত রোগীরাই সবচাইতে বেশি উপকৃত হবেন। আগামী দিনে সেবার সকলক্ষেত্রেই এটা চালু করতে পারলে রোগীরা স্বাছন্দ্যে টিকেট কাটা থেকে শুরু করে সকল পরীক্ষা-নিরীক্ষা সম্পন্ন করে তার প্রয়োজনীয় চিকিৎসাসেবা নিতে পারবেন।


সরকারি সহায়তা ছাড়াই পঞ্চগড়ে চালু হলো ১৫০ শয্যার হাসপাতাল

জেলার ৫টি হাসপাতালেই রয়েছে চিকিৎসক সংকট
আপডেটেড ২৮ অক্টোবর, ২০২৫ ২১:৫৫
মিজানুর রহমান, পঞ্চগড়

এক বছর চার মাস আগে ৫৬ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ সম্পন্ন হওয়া অত্যাধুনিক ১৫০ শয্যার নয়তলা হাসপাতাল ভবনটি অবশেষে সীমিত পরিসরে চালু হচ্ছে-তাও সরকারি বরাদ্দ ছাড়াই। প্রয়োজনীয় চিকিৎসক, আসবাবপত্র ও চিকিৎসা সরঞ্জাম কেনার জন্য এখনো স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে কোনো অর্থ বরাদ্দ না আসায় স্থানীয় প্রশাসন ও সমাজের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ মিলে নিজস্ব উদ্যোগে তহবিল গঠন করে এই সেবা চালুর প্রস্তুতি নিয়েছে।

জানা গেছে, আধুনিক সুযোগ-সুবিধাসম্পন্ন ভবনটি নির্মাণ শেষে এক বছরেরও বেশি সময় পেরিয়ে গেলেও এখনো পূর্ণাঙ্গ চিকিৎসা কার্যক্রম শুরু করা সম্ভব হয়নি। এতে পঞ্চগড় জেলার সাধারণ মানুষকে চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত হতে হচ্ছে এবং আর্থিক ক্ষতিও গুনতে হচ্ছে।

পাশেই অবস্থিত ১০০ শয্যার আধুনিক সদর হাসপাতালে প্রতিদিন গড়ে ২৫০ থেকে ৩০০ রোগী ভর্তি থাকেন। তীব্র চিকিৎসক সংকটে অনেক রোগীকে মেঝে ও বারান্দায় চিকিৎসা নিতে হয়। অনেকে বাধ্য হয়ে চিকিৎসার জন্য দিনাজপুর, রংপুর বা ঢাকায় যাচ্ছেন-পথেই কেউ কেউ মৃত্যুবরণ করছেন। পরিচ্ছন্নতাকর্মীর ঘাটতির কারণে হাসপাতালের পরিবেশও নোংরা ও অস্বাস্থ্যকর হয়ে পড়েছে।

এ অবস্থায়, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় নতুন ভবনে সীমিত পরিসরে চিকিৎসা কার্যক্রম শুরুর নির্দেশনা দিয়েছে, তবে অর্থ বরাদ্দ দেয়নি। স্থানীয়ভাবে অর্থ সংগ্রহের নির্দেশনা পেয়ে জেলা প্রশাসক সাবেত আলী ও সিভিল সার্জন ডা. মিজানুর রহমান মাঠে নেমেছেন।

জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে রাজনৈতিক নেতা, ব্যবসায়ী, ঠিকাদার, চেম্বার নেতা, এনজিও প্রতিনিধি ও বিভিন্ন পেশাজীবীর সঙ্গে মতবিনিময় করে ইতোমধ্যে ২১ লাখ ১৫ হাজার টাকার প্রতিশ্রুতি পাওয়া গেছে। ‘স্বাস্থ্যসেবা সহায়তা তহবিল’ নামে গঠিত এ ফান্ড থেকে বেড ও চিকিৎসা সামগ্রী ক্রয় করা হবে। আপাতত ৫০ লাখ টাকা সংগ্রহের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে।

সিভিল সার্জন ডা. মিজানুর রহমান জানান, ‘স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী আপাতত সদর হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগ নতুন ভবনে স্থানান্তরের প্রস্তুতি চলছে।’ সেখানে ১০০ শয্যার মেডিসিন ইউনিট চালু করা হবে। ১৫ নভেম্বর স্বাস্থ্য উপদেষ্টা এ হাসপাতালের উদ্বোধন করার কথা রয়েছে, এবং তিনি আরো জানান যেকোনো কারণে ডেট চেঞ্জ হতে পারে।

নতুন ভবনে পূর্ণাঙ্গ কার্যক্রম শুরু করতে ৩৮৮ জন জনবল, আসবাবপত্র ও যন্ত্রপাতি কেনার জন্য ৭ কোটি ২৫ লাখ টাকার বরাদ্দ চেয়ে মন্ত্রণালয়ে চাহিদাপত্র পাঠানো হয়েছে বলেও তিনি জানান।

জেলা প্রশাসক সাবেত আলী বলেন, ‘চিকিৎসক দেওয়ার আশ্বাস আমরা পেয়েছি, তবে অর্থ বরাদ্দে সময় লাগবে। তাই স্থানীয়ভাবে তহবিল গঠন করা হয়েছে। আপাতত সংগৃহীত টাকা দিয়ে চিকিৎসা সেবা চালু করা হবে এবং ভবিষ্যতে দরিদ্র রোগীদেরও সহায়তা করা হবে।’

এনসিপি নেতা সারজিস আলম বলেন, ‘আমি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পাঁচটি দপ্তরে গিয়ে পঞ্চগড়ের স্বাস্থ্য খাতের দুরবস্থা তুলে ধরেছি। নভেম্বরের ২০ তারিখের মধ্যে ৫০ থেকে ৭০ শতাংশ চিকিৎসক পদ পূরণের আশ্বাস দিয়েছে তারা। সবাই মিলে সহযোগিতা করলে শিগগিরই এ জেলার স্বাস্থ্যসেবায় পরিবর্তন আসবে।’

এদিকে, পঞ্চগড় জেলার পাঁচটি হাসপাতালে দীর্ঘদিন ধরেই চিকিৎসক সংকট চলছে। বর্তমানে জেলায় মোট ১১৪টি চিকিৎসক পদ শূন্য—যার মধ্যে সদর হাসপাতালে ২১টি, তেঁতুলিয়ায় ২০টি, আটোয়ারীতে ২১টি, বোদায় ২০টি, দেবীগঞ্জে ২৪টি এবং সিভিল সার্জন কার্যালয়ে ২টি পদ ফাঁকা রয়েছে।


রূপগঞ্জে ৫ শতাধিক রোগীকে বিনামূল্যে চক্ষুসেবা প্রদান

রূপগঞ্জে চক্ষুসেবা ক্যাম্পে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। ছবি: দৈনিক বাংলা
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
রূপগঞ্জ প্রতিনিধি 

রূপগঞ্জে ৫ শতাধিক মানুষকে বিনামূল্যে চক্ষু চিকিৎসাসেবা প্রদানসহ চশমা ও ওষুধ বিতরণ করা হয়েছে। ইসলামিক পাঠাগার ও সমাজকল্যাণ পরিষদ তারাবো পৌরসভার সার্বিক ব্যবস্থাপনায় ও ইস্পাহানী ইসলামিয়া চক্ষু ইন্সটিটিউট ও হাসপাতালের সহযোগিতায় বিনামূল্যে এ চক্ষু চিকিৎসাসেবা প্রদান করা হয়েছে।

সোমবার দিনব্যাপী উপজেলার রূপসী এলাকায় রূপসী ইসলামিয়া আলিম মাদ্রাসায় এ চক্ষুসেবা প্রদান করা হয়। জানা গেছে, এ সময় রোগীদেরকে বিনামূল্য বিশেষজ্ঞ ডাক্তার দেখানো, চোখের ছানী পরীক্ষা, চশমা বিতরণ, ওষুধসহ প্রয়োজনীয় অপারেশনের ব্যবস্থা। ওষুধসহ চক্ষু হাসপাতালে যাতায়াতসহ বিভিন্ন সেবা প্রদান করা হয়।

ইস্পাহানি ইসলামিয়া চক্ষু ইন্সটিটিউটের মেডিকেল টিমের সদস্য ডা. নজরুল ইসলাম চিকিৎসাসেবা প্রদান করেন।

ইসলামি পাঠাগার ও সমাজকল্যাণ পরিষদের তারাব পৌর শাখার সভাপতি খন্দকার আল-আমীনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এ সেবা কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নারায়ণগঞ্জ ১ রূপগঞ্জ আসনের সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী আলহাজ আনোয়ার হোসেন মোল্লা। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা জামায়াতের আইনবিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট ইসরাফিল হোসাইন, এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, ইসলামি পাঠাগার ও সমাজক কল্যাণ পরিষদের সাধারণ সম্পাদক এবং নারায়ণগঞ্জ লিগ্যাল এইডের প্যানেল আইনজীবী অ্যাডভোকেট আয়নাল হক, ইসমাইল হোসেনসহ আরও অনেকে।

ইসলামি পাঠাগার ও সমাজ কল্যাণ পরিষদের সভাপতি আল আমিন বলেন, বর্তমান বাজারে সব পণ্যের দাম উর্ধ্বগতি। সাধারণ জীবনযাপনে দরিদ্র্যরা হিমসিম খাচ্ছে।

এর মাঝে যারা চোখের সমস্যায় ভুগছেন, তাদের অনেকেই টাকার অভাবে চিকিৎসা করাতে পারেন না। তাই আমরা তারাব পৌর ইসলামিক পাঠাগার ও সমাজকল্যাণ পরিষদ ও ইস্পাহানি ইসলামিয়া চক্ষু ইন্সটিটিউটের উদ্যোগে এ সেবাদান অব্যাহত রেখেছি। ইতোমধ্যেই উপজেলার বেশ কিছু এলাকায় আমরা চক্ষুসেবা কার্যক্রম পরিচালিত করেছি। এতে শত শত রোগী বিনামূল্যে সেবা গ্রহণ করে উপকৃত হয়েছেন। সেবা নিতে আসা কিছু রোগীকে বিনামূল্যে অপারেশনের জন্য বাছাই করা হয়েছে। বিনামূল্যে তাদের অপারেশন করা হবে। পর্যায়ক্রমে আমাদের এই চক্ষুসেবা কার্যক্রম রূপগঞ্জের সকল পৌরসভা ইউনিয়ন ও ওয়ার্ডের জনগণের মাঝে পৌঁছে দেওয়া হবে।


স্তন ক্যান্সারের পর গর্ভধারণ কতটা নিরাপদ?

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

স্তন ক্যান্সার থেকে সেরে ওঠার পর কি আবারও মা হওয়া সম্ভব? ক্যান্সার চিকিৎসা শেষে শরীর ও মন যখন ধীরে ধীরে সুস্থতার পথে, তখন অনেক নারীর মনে জাগে একটাই প্রশ্ন– এই অবস্থায় গর্ভধারণ কি আদৌ ঝুঁকিপূর্ণ? সম্প্রতি অঙ্কোলজি (ক্যান্সার চিকিৎসা) ও প্রজনন চিকিৎসা বিজ্ঞানের অগ্রগতিতে সেই প্রশ্নের উত্তর এখন অনেকটাই আশাব্যঞ্জক। একসময় যা ছিল একরকম অসম্ভব কল্পনা, ক্যান্সার জয় করার পর মাতৃত্বের স্বপ্ন দেখা– এখন তা পরিণত হয়েছে সম্ভাবনায়।

এখন এমন বহু নারী আছেন, যারা স্তন ক্যান্সারকে পরাজিত করে জীবনের নতুন অধ্যায়ে পা রাখছেন; গর্ভধারণের পরিকল্পনা করছেন। তবে, এই যাত্রাকে নিরাপদ ও সফল করতে হলে সঠিক সময় নির্বাচন, হরমোন সম্পর্কে ভালো ধারণা থাকা উচিৎ। একই সঙ্গে প্রজনন চিকিৎসা পদ্ধতিকে ব্যক্তিগত শারীরিক অবস্থার সঙ্গে মিল রেখে এ বিষয়ে স্পষ্ট ধারণা থাকাও অত্যন্ত জরুরি।

ভারতের আভা সার্জি সেন্টারের প্রতিষ্ঠাতা ডা. বাণীকুমার মিত্র বলেন, সাধারণত চিকিৎসকেরা ক্যান্সার চিকিৎসা শেষ হওয়ার পর অন্তত দুই থেকে তিন বছর অপেক্ষা করে গর্ভধারণের চেষ্টা শুরু করার পরামর্শ দেন। এতে শরীর আরোগ্যের সুযোগ পায় এবং ক্যান্সার পুনরায় ফিরে আসার সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ সময় পার হয়ে গেছে কি না, তা নিশ্চিত হওয়া যায়।

তিনি বলেন, হরমোন রিসেপ্টর–পজিটিভ স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত নারীদের ক্ষেত্রে এই অপেক্ষার সময় আরও দীর্ঘ হতে পারে। কারণ, তাদের অনেক সময় ট্যামোক্সিফেন বা অ্যারোমাটেজ ইনহিবিটরের মতো ওষুধ দীর্ঘদিন সেবন করতে হয়। এই ওষুধগুলো ক্যান্সার পনঃরায় হওয়া প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ হলেও গর্ভাবস্থায় সেগুলো খাওয়া নিরাপদ নয়।

স্তন ক্যান্সারের চিকিৎসা যেমন– কেমোথেরাপি, রেডিয়েশন বা হরমোন থেরাপি নারীদের প্রজনন ক্ষমতার ওপর প্রভাব ফেলতে পারে। বিশেষ করে কেমোথেরাপি ডিম্বাশয়ের রিজার্ভ কমিয়ে দিতে পারে, যার অর্থ হলো নারীদের গর্ভধারণের জন্য প্রয়োজনীয় ডিম্বাণুর সংখ্যা ও গুণমান কমে যাওয়া।

চিকিৎসা শেষে কিছু নারীর মাসিক (পিরিয়ড) চক্র ফিরে এলেও সব সময় প্রজনন ক্ষমতা পুরোপুরি ফিরে আসে– এমন নিশ্চয়তা তা দেয় না। তাই, গর্ভধারণের পরিকল্পনার আগে চিকিৎসা নেওয়ার মাধ্যমে একটি পরিপূর্ণ প্রজনন মূল্যায়ন করা অত্যন্ত জরুরি।


২ দশকেও পুরোপুরি চালু হয়নি ২০ শয্যার শহীদনগর ট্রমা সেন্টার

জ্বর-ঠান্ডা, কাশির চিকিৎসায় সীমাবদ্ধ ২০ শয্যার হাসপাতালটি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দাউদকান্দি (কুমিল্লা) প্রতিনিধি

দাউদকান্দির শহীদনগরে প্রায় দুই দশক আগে নির্মিত ট্রমা সেন্টারটি আজও পুরোপুরি চালু হয়নি। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের প্রাণকেন্দ্রে স্থাপিত এ প্রতিষ্ঠানটি দুর্ঘটনায় আহতদের জরুরি চিকিৎসা দেওয়ার জন্য নির্মিত হলেও আজ সেখানে চলছে কেবল জ্বর, ঠান্ডা-কাশি আর পেটব্যথার রোগীর আউটডোর সেবা।

এখানে অর্থো-সার্জারি, অ্যানেসথেসিয়া, মেডিকেল অফিসার, নার্স ও টেকনিশিয়ানসহ ২৬টি পদ রয়েছে। অথচ কর্মরত আছেন মাত্র ১৫ জন। তাদের অনেকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দায়িত্ব পালন করেন। ফলে মহাসড়কে দুর্ঘটনায় আহত রোগীদের উন্নত চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।

সরেজমিনে দেখা যায়, তিনতলা ভবনের নিচতলায় জরুরি বিভাগ ও চিকিৎসক-নার্সদের কক্ষ মিলিয়ে সীমিত পরিসরে কিছু চিকিৎসাসেবা চলছে। বাকি ভবনজুড়ে ধ্বংসপ্রায় চিত্র। দোতলা ও তিনতলার দেয়ালে পলেস্তারা খসে পড়ছে। দরজা-জানালা নষ্ট। কোথাও লোহায় মরিচা ধরেছে। আধুনিক কাঠামোয় নির্মিত কক্ষগুলো পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে আছে।

২০০৬ সালের ৬ অক্টোবর তৎকালীন বিএনপি জোট সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা মন্ত্রী ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন আনুষ্ঠানিকভাবে সেন্টারটির উদ্বোধন করেন। প্রায় ৬ কোটি ৮৮ লাখ টাকা ব্যয়ে গণপূর্ত বিভাগের অর্থায়নে নির্মিত এই ২০ শয্যার ট্রমা সেন্টারটি উদ্বোধনের কিছুদিন পরেই সরঞ্জাম ও জনবল সংকটে বন্ধ হয়ে যায়। পরে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ২০১০ সালের ৩০ এপ্রিল দ্বিতীয়বারের মতো উদ্বোধন করা হলেও পূর্ণাঙ্গ কার্যক্রম আর শুরু হয়নি।

চাঁদগাঁও গ্রামের তসলিম আহমেদ বলেন, ট্রমা সেন্টার নির্মিত হয়েছিল দুর্ঘটনায় আহতদের তাৎক্ষণিক চিকিৎসা দেওয়ার জন্য। কিন্তু ট্রমা সেন্টারটি পুরোপুরি চালু হয়নি অদ্যাবদি। সরকার চাইলে এখানেই একটি পূর্ণাঙ্গ হাসপাতাল গড়ে তুলতে পারে বলেন তিনি।

সুন্দলপুর মডেল ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান মো. আশরাফ উদ্দিন ভূঁইয়া বলেন, পরিষদের পক্ষ থেকে ভবনের আশপাশ পরিষ্কার রাখার উদ্যোগ নিয়েছি। কিন্তু এ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাটি চালু করতে সরকারের নীতিগত পদক্ষেপ জরুরি।

স্থানীয় বাসিন্দা জসিম উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘এই ট্রমা সেন্টার ছিল আমাদের বহুদিনের স্বপ্ন। রাজনৈতিক হিংসা আর অবহেলার কারণেই ১৯ বছরেও এটি চালু হয়নি। আমরা সরকারের কাছে দ্রুত চালুর দাবি জানাচ্ছি।’

বর্তমানে সেখানে কর্মরত সিনিয়র স্টাফ নার্স রোকসানা বানু জানান, যন্ত্রপাতি ও জনবল না থাকায় দুর্ঘটনায় আহতদের চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব হয় না। প্রতিদিন গড়ে ৬০ থেকে ৭০ জন সাধারণ রোগী আউটডোরে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

দায়িত্বপ্রাপ্ত চিকিৎসক ডা. নাজমুল হাসান বলেন, আমি একাই দায়িত্ব পালন করছি। ইনডোর কার্যক্রম বন্ধ। জনবল ও সরঞ্জাম পেলে সেবা কার্যক্রম বাড়ানো সম্ভব।

দাউদকান্দি উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. হাবিবুর রহমান বলেন, জনবল ও সরঞ্জামের ঘাটতির কারণে ট্রমা সেন্টারটি পূর্ণাঙ্গভাবে চালু করা যায়নি। একটি পূর্ণাঙ্গ তালিকা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। অনুমোদন পেলে দুর্ঘটনায় আহতরা এখানেই উন্নত চিকিৎসা পাবেন।

প্রতিদিনই ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ঘটে দুর্ঘটনা। কিন্তু কাছাকাছি এই বিশেষায়িত ট্রমা সেন্টারটি অচল পড়ে থাকায় অনেক আহত রোগীকে কুমিল্লা বা ঢাকায় পাঠাতে হয়, ফলে বিলম্বে চিকিৎসা পেয়ে অনেকে প্রাণ হারাচ্ছেন। স্থানীয়দের প্রত্যাশা দীর্ঘ ১৯ বছরের স্থবিরতা কাটিয়ে দ্রুত চালু হোক শহীদনগর ট্রমা সেন্টার।


করোনার ভ্যাকসিনে সত্যিই কি চুলকানি হয়?

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

করোনা ভ্যাকসিন নেওয়ার পর নানাবিধ দীর্ঘমেয়াদি জটিলতা হচ্ছে—এমন দাবি করে বেশ কিছু গুজব ছড়িয়ে পড়েছে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে। বিশেষ করে সাম্প্রতিক সময়ে ছড়িয়ে পড়া স্ক্যাবিসসহ কিছু চর্মরোগ নিয়ে অনেকেই মনে করছেন, এগুলো নাকি ভ্যাকসিনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া। তবে চিকিৎসক ও বিশেষজ্ঞরা এসব ধারণা ভিত্তিহীন এবং বিভ্রান্তিকর বলে জানিয়েছেন।

চুলকানির গুজব ভ্রান্ত তথ্য

করোনা ভ্যাকসিন নিয়ে বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন গবেষণা চালানো হয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO), যুক্তরাষ্ট্রের রোগ নিয়ন্ত্রণ সংস্থা (CDC) এবং ইউরোপিয়ান মেডিসিন এজেন্সি (EMA)-এর তথ্য অনুযায়ী, করোনার ভ্যাকসিন সাধারণত স্বল্পস্থায়ী ও হালকা পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে। কিন্তু দীর্ঘমেয়াদে চর্মরোগ কিংবা চুলকানি তৈরি করে—এমন কোনো বৈজ্ঞানিক প্রমাণ নেই।

চিকিৎসকদের অভিমত অনুযায়ী, যেসব মানুষ ভ্যাকসিনের কারণে চুলকানি হচ্ছে বলে মনে করছেন, তাদের বেশির ভাগই আসলে স্ক্যাবিস (Scabies), রিংওয়ার্ম বা দাঁদ (Ringworm) কিংবা একজিমার মতো চর্মরোগে আক্রান্ত। এসব রোগ ছড়াচ্ছে মূলত—

  • ব্যক্তিগত পরিচ্ছন্নতার অভাব,
  • ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় বসবাস,
  • আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে আসা,
  • আবহাওয়া ও পরিবেশগত কারণে।

চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. সঞ্চিয়া তারান্নুম বলেন—
“চুলকানি মানেই ভ্যাকসিনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া—এ ধারণা সম্পূর্ণ ভুল। চর্মরোগ দেখা দিলে গুজবে কান না দিয়ে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া জরুরি। দেরি হলে সংক্রমণ আরও ছড়িয়ে পড়তে পারে।”

ফুসফুস ও হৃদরোগ জটিলতার পেছনে ভ্যাকসিন নয়, দায়ী করোনা সংক্রমণ

করোনা-পরবর্তী শ্বাসকষ্ট, হৃদরোগ বা হঠাৎ মৃত্যুর কারণ হিসেবে ভ্যাকসিনকে দায়ী করে প্রচুর গুজব ছড়ানো হয়েছে। কিন্তু বাস্তবতা হলো—

করোনাভাইরাস সংক্রমণের সময় শরীরে তীব্র প্রদাহ হয়।

এতে অনেকের ফুসফুসে স্থায়ী ক্ষত (Fibrosis) তৈরি হয়, ফলে দীর্ঘমেয়াদি শ্বাসকষ্ট হতে পারে।

ভাইরাসটি হৃদপেশিতে প্রদাহ (Myocarditis) সৃষ্টি করে, যার ফলে বুক ধড়ফড়, অনিয়মিত হার্টবিট বা হৃৎপিণ্ড বিকল হওয়ার ঝুঁকি থাকে।

প্রতPrestigious গবেষণা জার্নাল Nature Medicine এবং The Lancet Respiratory Medicine–এ প্রকাশিত গবেষণে দেখা গেছে—
করোনা ভ্যাকসিন গ্রহণকারীদের মধ্যে করোনা-পরবর্তী জটিলতার ঝুঁকি ৭০% পর্যন্ত কম।

বক্ষব্যাধী বিশেষজ্ঞ ডা. মনির হোসেন বলেন—
“করোনা ভ্যাকসিন মানবতার জন্য আশীর্বাদ। এই ভ্যাকসিন না পেলে মহামারি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হতো না। ভুল তথ্যই আজকের আসল ভাইরাস—এটি মনে রাখা জরুরি।”


রুমায় চিকিৎসাসেবা পেলেন ৬৪৬ জন চক্ষুরোগী

রুমায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখছেন একজন বক্তা। ছবি: দৈনিক বাংলা
আপডেটেড ২০ অক্টোবর, ২০২৫ ২০:৩৩
রুমা (বান্দরবান) প্রতিনিধি

বান্দরবানের রুমা উপজেলায় গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর জন্য বিনামূল্যে চক্ষু চিকিৎসায় সেবা পেলেন ৬৪৬জন। তার মধ্যে ওষুধ ও চশমা গ্রহণের মধ্য দিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন ২৮০ জন রোগী। বাকি ২৬২ জন ছানি অপারেশনের জন্য বাছাই করা হয়েছে। সম্পূর্ণ বিনামূল্যে চট্টগ্রামে লায়ন্স হাসপাতালে নিয়ে ছানি অপারেশন করে চক্ষু চিকিৎসা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

সোমবার সকাল ৯টা থেকে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত ২নং সদর ইউনিয়ন পরিষদ মিলনায়তনে এই চক্ষু চিকিৎসাসেবা কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের সদস্য কেএসমংয়ের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় পাইন্দু ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান উহ্লামং, রুমা সদর ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান অংসিনু মার্মা, রেমাক্রি প্রাংসা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জিরা বম এর নেতৃত্বে বিনামূল্যে চক্ষু চিকিৎসাসেবা ক্যাম্প আয়োজন করা হয়।

কার্যক্রমটি উদ্বোধনকালে উদ্বোধক পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের সদস্য কেএস মং বলেছেন চক্ষু চিকিৎসাসেবা হচ্ছে- মানব জীবনের সবচেয়ে উত্তম সেবা। নিজ মন থেকে এ কথাটি অনুধাবিত হয়ে এর আগে রোয়াংছড়ি উপজেলাসহ বিভিন্ন স্থানে তার ব্যক্তিগত সার্বিক ব্যবস্থাপনায় চক্ষু চিকিৎসাসেবা কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়েছে।

তার এই ধারাবাহিকতায় নাইক্ষ্যংছড়ি, লামা ও আলীকদম উপজেলাতেও এই কার্যক্রম পরিচালনা পরিচালনা করা হবে।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ৩৬ বীর রুমা জোনের উপ-অধিনায়ক মেজর মেহেদী সরকার। তিনি বলেছেন চিকিৎসা ক্যাম্পের মাধ্যমে দুর্গম এলাকার মানুষের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিতে সেনাবাহিনী সবসময় কাজ করে যাচ্ছে। সম্প্রীতি বান্দরবানে সব উন্নয়ন কাজে একসাথে কাজ করা গেলে অদূর ভবিষ্যতে সম্প্রীতির পাশাপাশি আরো উন্নয়ন করা সম্ভব বলে অভিমত ব্যক্ত করেন তিনি।

সভাপতিত্ব করেন ১নং পাইন্দু ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান উহ্লামং মারমা।

এ চক্ষু চিকিৎসাসেবা ক্যাম্পে সহযোগিতা করেন চট্টগ্রাম লায়ন্স চক্ষু হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. সৌমেন তালুকদার তার চিকিৎসক দল।

শিক্ষা ও মানবসেবা সংস্থা কোয়ান্টামের পরিচালক সাইফুর রহমান জুয়েল জানান এর আগেও বিভিন্ন সময় চট্টগ্রাম লায়ন্স হাসপাতালের এমন চিকিৎসা কার্যক্রমে তারা সহযোগিতা প্রায় সময় করে আসছেন। তাদের ও এ সহযোগিতা ভবিষ্যতেও অটুট থাকবে।

সংশ্লিষ্টরা জানায়, চক্ষু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে ক্যাম্পে দুই শতাধিক রোগীকে বিনামূল্যে চোখের প্রাথমিক চিকিৎসাসহ প্রয়োজনীয় ওষুধ ও চশমা পেয়েছেন।

এছাড়াও ২৬২ জন চক্ষু রোগীকে চোখের ছানি অপারেশন প্রয়োজন, তাদেরকে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে পরবর্তী সময়ে চট্টগ্রামের লায়ন্স দাতব্য চক্ষু হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য সম্পূর্ণ বিনা খরচে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়।

এদিকে চক্ষু চিকিৎসা চলাকালে ৩৬ বীর রুমা জোনের উদ্যোগে তোমার সদর ইউনিয়ন পরিষদের মিলনায়তনে বিনামূল্যে চিকিৎসা ক্যাম্প আয়োজন করা হয়। এতে চিকিৎসাসেবা প্রদান করেন ৩৬ বীর রুমা জোনের এসএমসি, আরএমও চিকিৎসক ক্যাপ্টেন মো. সোহাগ মিয়া সজীব, এবং এএমসি, আর এম ও ক্যাপ্টেন ওমর ফারুক। চক্ষু রোগী ব্যতীত বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত রোগীরা চিকিৎসাসেবা গ্রহণ করেন।

স্থানীয়রা জানায়, পাহাড়ি এলাকার মানুষদের জন্য এমন উদ্যোগ সত্যিই প্রশংসনীয়- এতে অনেক দরিদ্র্য মানুষ ঘরে বসেই কাঙ্ক্ষিত চক্ষু চিকিৎসাসেবা পেয়েছেন।


অন্ধের চোখে আলো ছড়াচ্ছে সোনাইমুড়ী অন্ধকল্যান সমিতি আই হসপিটাল

সোনাইমুড়ী অন্ধকল্যাণ সমিতি আই হসপিটাল
আপডেটেড ২০ অক্টোবর, ২০২৫ ২০:২১
খোরশেদ আলম, নোয়াখালী

নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীতে উন্নত বিশ্বের চিকিৎসা পদ্ধতির সাথে তাল মিলিয়ে অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতির সমন্বয়ে অনন্য সাধারণ আধুনিক চক্ষু চিকিৎসা সেবা দিয়ে যাচ্ছে ‘সোনাইমুড়ী অন্ধকল্যাণ সমিতি আই হসপিটাল’। অক্লান্ত পরিশ্রম করে দৃষ্টিহীন মানুষকে পৃথিবীর আলো দেখার সুযোগ করে দিচ্ছে এই হাসপাতালের দায়িত্বরতরা।

বেগমগঞ্জ থানার সাবেক সার্কেল অফিসার (উন্নয়ন) মরহুম তাফাজ্জল আহমদ এবং সোনাইমুড়ী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মরহুম ইউনুস মিয়ার উদ্যোগে ১৯৭৮ সালের জানুয়ারি মাসে প্রতিষ্ঠিত হয় সোনাইমুড়ী অন্ধকল্যাণ সমিতি।

প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মরহুম ছাইদুল হক পাটোয়ারী এবং প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা ভূঁইয়ার হাত ধরে পথ চলা শুরু হয় এই সমিতির।

প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে ‘আই ক্যাম্প’ পরিচালনার মাধ্যমে দরিদ্র-হতদরিদ্র রোগীদের চক্ষু চিকিৎসাসেবা প্রদান এবং লেন্স স্থাপন করা ছাড়াও চশমা প্রদান করা হয়। রয়েছে সেমিনার সিম্পোজিয়াম, র‍্যালি, লিফলেট, বুকলেট,ম্যাগাজিনসহ নানা রকমের প্রচার কার্যক্রম।

সোনাইমুড়ী অন্ধকল্যাণ সমিতি ২০১১ সালের ১০ জুলাই সোনাইমুড়ী অন্ধকল্যাণ সমিতি আই হসপিটাল নামে অনুমোদন প্রাপ্ত হয়ে নিরবচ্ছিন্ন সেবা দিয়ে যাচ্ছে নোয়াখালী ও তার পাশ্ববর্তী জেলার জনগণকেও। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের ৮০ শতাংশ এবং হাসপাতালের ২০ শতাংশ অর্থে প্লুকোমা চিকিৎসা, ইয়াগ লেজার, চোখের আল্ট্রাসনোগ্রাম (বি-স্ক্যান), সেলাই বিহীন ফ্যাকো অপারেশন, ডায়াবেটিক রোগীর চক্ষু পরীক্ষা, চোখের লেন্স পরীক্ষা সহ বিভিন্ন সেবা দিয়ে আসছে।

চক্ষু চিকিৎসাসেবা নিতে আসা রিতা রাণী বলেন, তার চোখের চানি হলুদভাব থাবা ঘিরে নিচ্ছে পুরো চোখ। কিন্তু, টাকার অভাবে চোখের অপারেশন করতে পারছেন না। সোনাইমুড়ী অন্ধকল্যাণ সমিতির প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম মোস্তফা ভূঁইয়ার সহযোগিতায় স্বল্প খরচে চিকিৎসা সেবা পেয়েছেন।

আরেকজন সেবা গ্রহিতা ৭০ বছর ছুঁই ছুঁই হতদরিদ্র আবু কালাম রিক্সা চালিয়ে জিবিকা নির্বাহ করেন। তিনি সাংবাদিকদের জানান, তিনি দীর্ঘদিন ধরে চোখের সমস্যায় ভুগছেন। ছানি অপারেশন করতে বিভিন্ন স্থানে অর্থের অভাবে চোখের চিকিৎসা করাতে পারছেন না। পরে, নোয়াখালী জেলা প্রশাসকের নিটক চোখের চিকিৎসায় সহযোগিতার জন্য যান। জেলা প্রশাসক আবু কালামকে সোনাইমুড়ী অন্ধকল্যাণ সমিতি আই হসপিটালে পাঠান। এখানে তিনি অল্প খরচে চিকিৎসাসেবা পেয়ে তিনি আনন্দিত।

সোনাইমুড়ী অন্ধকল্যাণ সমিতির দপ্তর সম্পাদক মো. আবুল বাসার বলেন, এই প্রতিষ্ঠান থেকে কোনো রোগী চিকিৎসা সেবা না নিয়ে ফেরত যাবে না।

সোনাইমুড়ী অন্ধকল্যাণ সমিতির প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম মোস্তফা ভূঁইয়া জানান, সেবাই মানুষকে মহৎ করে- এ স্লোগান নিয়ে ১৯৭৮ সালে কিছু মানুষের উদ্যোগ ও অনুপ্রেরণায় সোনাইমুড়ী অন্ধকল্যাণ সমিতি প্রতিষ্ঠা করা হয়। যার পেছনে ছিল সমাজের কিছু বিত্তমান ও মহান মানুষের দান-অনুদান।

সরকারের সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয় ও সোনাইমুড়ী অন্ধকল্যাণ সমিতির যৌথ অর্থায়নে আধুনিক চক্ষু হাসপাতালটি নির্মাণ করা হয়েছে। এটি পুরোদমে চালু হলে নোয়াখালী, ফেনী, লক্ষ্মীপুর ও পার্শ্ববর্তী কুমিল্লা জেলার কিছু অংশ নিয়ে প্রায় ৪০ লাখ মানুষকে বিনামূল্যে চোখের চিকিৎসা সেবা দেওয়া সম্ভব হবে।

সোনাইমুড়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাছরিন আক্তার বলেন, বাংলাদেশে এমন প্রতিষ্ঠান বিরল। আধুনিক সুযোগ সুবিধা সম্বলিত সেবারমান অত্যন্ত ভালো। গরিব-দুঃখিরাই বেশি এখান থেকে সেবা নিচ্ছে।

নোয়াখালীর সিভিল সার্জন ডা. মরিয়ম সিমি বলেন, সোনাইমুড়ী অন্ধকল্যান সমিতি আই হসপিটালের সেবার কার্যক্রম প্রচার-প্রচারণা করলে এখানে রোগী আরো বাড়বে। প্রতিদিন এই হাসপাতাল থেকে স্বল্প মূল্যে চক্ষু রোগীরা সেবা নিচ্ছে। গ্রাম অঞ্চলের ভূঁইফোড় ও অনুমোদনহীন চক্ষু চিকিৎসালয়ে না গিয়ে এই হাসপাতালে গেলে সেবা পাবে এবং প্রতারিত হবে না।


শেবাচিমে আধুনিক সিসিইউ উদ্বোধন

হৃদরোগীদের জন্য স্বস্তির বার্তা
ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. এ কে এম মশিউল মুনীর গত রবিবার শেবাচিমে সিসিইউ বিভাগ উদ্বোধন করেন। ছবি: দৈনিক বাংলা
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বরিশাল প্রতিনিধি

মুমূর্ষু হৃদরোগীদের পর্যাপ্ত চিকিৎসাসেবা প্রদানে সুযোগ না থাকা কার্ডিওলজি বিভাগের কঠিন অবস্থা থেকে উত্তরণ এখন দৃশ্যমান। করোনারি কেয়ার ইউনিট (সিসিইউ) দুরবস্থার অবসান ঘটিয়ে ওয়ার্ডটি আধুনিকায়ন করা হয়েছে। সোমবার সকাল সাড়ে ৯টায় পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. এ কে এম মশিউল মুনীর আধুনিক সিসিইউ বিভাগ উদ্বোধন করেন।

সূত্র মতে, ২০১৪ সালের ২০ এপ্রিল দোতলা বিশিষ্ট আইসিও নতুন ভবন উদ্বোধনের পর দ্বিতীয় তলায় স্থানান্তর করা হয় করোনারি কেয়ার ইউনিট (সিসিইউ) বিভাগ। ৩৩ বছর আগে শুরু হওয়া ইউনিটটি দীর্ঘ সময় ধরে দুরবস্থা ছিল। সেই সময় থেকে শের-ই বাংলা মেডিকেলের সিসিইউ বিভাগে সরকারি খাতা কলমে মোট ৮টি শয্যা থাকলেও পরে তা ১২টিতে উন্নীত করা হয়। শয্যা সংকটের কারণে রোগীরা মেঝেতে চিকিৎসা নিতে বাধ্য হচ্ছিলেন। হাসপাতালের মূল ভবন থেকে আলাদা ভবনের দ্বিতীয় তলায় স্থানান্তরের পর ৮টি শীতাতপ মেশিন স্থাপন করা হয়। বছর দুয়েক পর সবগুলো বিকল থাকায় অসহ্য গরমে চরম দুর্ভোগ পোহাতে শুরু করে রোগীরা। অতিরিক্ত রোগীর চাপে চিকিৎসক ও নার্সদের অসহযোগিতা ও অব্যবস্থাপনায় ক্ষুদ্ধতা চরমে পৌঁছায়। দীর্ঘদিন পর শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সিসিইউ সম্পূর্ণ নতুন আঙ্গিকে চালু হলো। এটি বরিশালের মানুষের বহুদিনের দাবি পূরণ করেছে। বর্তমান হাসপাতাল পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. মশিউল মুনীরের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন সচেতন মহল। সোমবার হাসপাতালের আই ব্লকে আইসিইউ ভবনের ২য় তলার পশ্চিম পাশে আধুনিক সিসিইউ বিভাগ উদ্বোধন শেষে হাসপাতালের ৪র্থ তলার সার্জারি সেমিনার হলে সভা অনুষ্ঠিত হয়। শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. এ কে এম মশিউল মুনীরের সভাপতিত্বে সভায় সিসিইউ বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ও সহকারী অধ্যাপক ডা. অসিম বিশ্বাস জানান, হাসপাতাল পরিচালক স্যারের একান্ত প্রজেক্ট অনুযায়ী আধুনিক মানে নতুন করে হৃদরোগ (কার্ডিওলজি) বিভাগের করোনারি কেয়ার ইউনিট সাজানো হয়েছে। এখানে নতুন করে আধুনিক মানের ২৪টি বেড রাখা হয়েছে। প্রতিটি বেডের সাথে কার্ডিয়াক মনিটর, অক্সিজেন, সেন্ট্রাল এসি, ৪টি নতুন টয়লেট নির্মাণ, দেয়ালের পলেস্তারা ঠিক করাসহ বিভিন্ন আসবাবপত্র পরিবর্তন করা হয়েছে। সভায় সঞ্চালনার দায়িত্বে থাকা মেডিকেল অফিসার ডা. মুনজিবা শিরিন বলেন, শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল আধুনিকায়ণের রূপকার আমাদের পরিচালক স্যার। রোগীদের প্রযাপ্ত সেবা নিশ্চিত করতে তিনি একের পর এক উন্নয়নমূলক কাজ করে যাচ্ছেন। সম্প্রতি আধুনিক মানের ল্যাবরেটরি মেডিসিন বিভাগ ও হেমাটোলজি ল্যাবরেটরি বিভাগ এবং অটো মেশিন প্রক্রিয়া চালু করা হয়েছে। তার উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় আজ উদ্বোধন করা হলো আধুনিক সিসিইউ বিভাগ। আমরা পরিচালক স্যারের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি। সভায় পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. এ কে এম মশিউল মুনীর বলেন, আজ আমাদের একটি আনন্দের দিন। শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আধুনিক সিসিইউ বিভাগের যাত্রা শুরু হয়েছে। এই বিভাগের রোগীদের আর গরমে কষ্ট করতে হবে না।

সুচিকিৎসা নিশ্চিত করতে এখানে সকল সুযোগ-সুবিধা রাখা হয়েছে। সিসিইউ বিভাগটি আধুনিকায়ন করার জন্য যারা সহযোগিতা করেছেন তাদের তিনি ধন্যবাদ জানান। সিসিইউ বিভাগ আধুনিকায়নের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন হাসপাতালের উপপরিচালক ডা. একেএম নজমূল আহসান, সিসিইউ বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ও সহকারী অধ্যাপক ডা. অসিম বিশ্বাস, হাসপাতালের সহকারী পরিচালক (প্রশাসন) ডা. মোহাম্মাদ মাহামুদ হাসান, কার্ডিওলজি বিভাগের কনসালটেন্ট ডা. এ বি এম ইমাম হোসেন (জুয়েল), ডা. মো. মাহামুদুল হাসান, ডা. মো. আফজাল হোসেন, বরিশাল প্রেসক্লাবের সভাপতি অধ্যাপক আমিনুল ইসলাম খসরু, বরিশাল রিপোর্টার্স ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক খালিদ সাইফুল্লাহ, মো. নাসিমুল হকসহ বিভিন্ন বিভাগের চিকিৎসক, নার্স, এবং ইলেকট্রনিক, প্রিন্ট ও অনলাইন মিডিয়ার সাংবাদিকরা।


ডেঙ্গুতে আক্রান্তের সংখ্যা ৬০ হাজার ছুঁই ছুঁই

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

এডিস মশাজনিত রোগ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ৯৫০ ডেঙ্গুরোগী। চলতি বছরে এখন পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছে ৫৯ হাজার ৮৪৯ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে চলতি বছরে ২৪৫ জনের মৃত্যু হলো।
গতকাল রোববার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোলরুম থেকে পাঠানো ডেঙ্গুবিষয়ক এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রোগীর মধ্যে বরিশাল বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ১৯১ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ১১৮ জন, ঢাকা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ১৩২ জন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ১৫৪ জন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ১২৯ জন, খুলনা বিভাগে বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৬৭ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৫৬ জন, রাজশাহী বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৮৩ জন, রংপুর বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ২০ জন রয়েছে।
২৪ ঘণ্টায় এক হাজার ৮৪৮ জন ডেঙ্গুরোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছে। চলতি বছরে এযাবৎ মোট ৫৬ হাজার ৮১১ জন রোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছে।
চলতি বছরের ১৯ অক্টোবর পর্যন্ত মোট ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছে ৫৯ হাজার ৮৪৯ জন। এর মধ্যে ৬১ দশমিক ৩ শতাংশ পুরুষ এবং ৩৮ দশমিক ৭ শতাংশ নারী রয়েছেন।
গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে আরো একজনের মৃত্যু হয়েছে। চলতি বছরে এযাবৎ ডেঙ্গুতে মোট ২৪৫ জনের মৃত্যু হয়েছে।
২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত মোট ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছে এক লাখ এক হাজার ২১৪ জন এবং ডেঙ্গুতে মোট ৫৭৫ জনের মৃত্যু হয়।
২০২৩ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মোট এক হাজার ৭০৫ জনের মৃত্যু হয়, পাশাপাশি ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয় মোট তিন লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন।


শীতের শুরুতে রোগ প্রতিরোধে কার্যকর আদা-লেবুর চা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

শীতের সময় ঘনিয়ে আসছে, সঙ্গে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ-আশঙ্কা। ফলে রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর প্রয়োজনীয়তা এখন আগের চেয়ে অনেক বেশি।

বিশেষজ্ঞদের মতে, শীতকালে প্রতিদিন আদা ও লেবুর চা পান করলে সার্বিক সুস্থতা বজায় থাকে, শরীরের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে, ওজন কমাতে সহায়তা করে, হজমে উন্নতি ঘটে এবং হৃদ্‌যন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো থাকে।

আদা সাধারণত বুকজ্বালা, গ্যাস্ট্রিক, বমি ভাব এবং উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে ব্যবহৃত হয়। অন্যদিকে লেবুতে রয়েছে প্রচুর ভিটামিন ‘সি’, যা রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা জোরদার করে, রক্তাল্পতা প্রতিরোধে সাহায্য করে, কোলাজেন উৎপাদন বাড়ায় এবং হজমে সহায়তা করে।

দুই উপাদান আলাদা আলাদাভাবে যেমন উপকারী, একসঙ্গে মিশিয়ে পান করলে তা আরও কার্যকর হয়।

হজমে উন্নতি

আদা খাবার হজমের গতি নিয়ন্ত্রণ করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য ও অ্যাসিডিটির ঝুঁকি কমায়। লেবু পাকস্থলীর অ্যাসিড উৎপাদন বাড়ায়, যা খাবার হজমে সহায়তা করে।

শরীর গরম রাখে

শীতের সময় শরীর গরম রাখা জরুরি। আদার চা পান করলে শরীরে প্রাকৃতিকভাবে উষ্ণতা তৈরি হয়, কারণ আদা ঘাম ঝরানোর মাধ্যমে শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি

আদা ও লেবু উভয়ই শরীরের প্রতিরোধব্যবস্থাকে শক্তিশালী করে। আদায় রয়েছে প্রদাহনাশক ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান, আর লেবু সরবরাহ করে ভিটামিন ‘সি’, অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল, অ্যান্টিভাইরাল ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট গুণাগুণ। একসঙ্গে তারা শরীরের প্রাকৃতিক প্রতিরোধ ব্যবস্থা আরও শক্ত করে।

বুক জ্বালায় আরাম

বুকজ্বালায় আদা উপশম দেয়, কারণ এটি হজমনালীকে শান্ত করে এবং প্রদাহ কমায়। যদিও লেবু অ্যাসিডিক প্রকৃতির, তবে অল্প পরিমাণে গ্রহণ করলে এটি হজম এনজাইমের সঙ্গে মিশে অ্যালকালাইন প্রভাব তৈরি করে, যা পাকস্থলীর অতিরিক্ত অ্যাসিড নিরপেক্ষ করতে সাহায্য করে।

সর্দি-কাশিতে উপকার

শীতকালে সর্দি-কাশি বা ফ্লুর মতো সমস্যা হলে আদা-লেবুর চা প্রাকৃতিক প্রতিকার হিসেবে কার্যকর বলে মনে করা হয়। এতে থাকা অ্যান্টিভাইরাল, প্রদাহনাশক ও অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান শ্বাসনালীর বন্ধভাব দূর করে, গলা ব্যথা কমায় ও প্রদাহ হ্রাস করে।

শীত মৌসুমে প্রাচীনকাল থেকেই আদা-লেবুর এই মিশ্রণকে প্রাকৃতিক ওষুধ হিসেবে ব্যবহার করা হয়ে আসছে। এটি যেমন সুস্বাদু, তেমনি শরীরের রোগপ্রতিরোধে অত্যন্ত উপকারী।


শীত আসার আগেই ঠোঁট ফাটছে ? 

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

প্রকৃতিতে এখন হেমন্তকাল চলছে। শীত আসার আগে এ সময়টায় ত্বকের সাথে সাথে অনেকের ঠোঁটেও দেখা দেয় রুক্ষতা। এ কারণে শীত আসার আগেই ঠোঁটের নিয়মিত যত্ন নেওয়া জরুরি। যাদের এখন থেকেই ঠোঁট ফাটছে বা শুষ্ক হয়ে যাচ্ছে তারা ঘরোয়া কিছু পদ্ধতি অনুসরণ করতে পারেন। যেমন- অলিভ অয়েল ও চিনির স্ক্রাব: এক চা চামচ অলিভ অয়েল, এক চা চামচ চিনি এবং আধা চা চামচ বেসন মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। এই পেস্ট ঠোঁটে মেখে রাখুন। শুকিয়ে গেলে ভেজা হাতে ম্যাসাজ করে তুলে ফেলুন। এটি সপ্তাহে দু-এক দিন করতে পারেন।

নারকেল বা ভিটামিন ই তেল: রাতে ঘুমানোর আগে ঠোঁটে নারকেল তেল বা ভিটামিন ই অয়েল লাগিয়ে ঘুমাতে পারেন। সকালে উঠে ধুয়ে ফেলুন। এতে ঠোঁটে আর্দ্রতা বজায় থাকবে।

বিটরুট ও গোলাপের ভ্যাসলিন: বিটরুটের রস এবং গোলাপের পাপড়ি একসঙ্গে জ্বাল দিয়ে ঘন মিশ্রণ তৈরি করুন। ঠান্ডা হলে ভ্যাসলিনের সাথে মিশিয়ে রাখুন। এটি নিয়মিত ব্যবহার করলে ঠোঁট নরম থাকবে।

দৈনন্দিন যত্ন

নিয়মিত ভ্যাসলিন/লিপজেল ব্যবহার: শীতকালে ঠোঁটকে নরম ও কোমল রাখতে নিয়মিত ভ্যাসলিন বা ভালো মানের লিপজেল ব্যবহার করতে পারেন।

পর্যাপ্ত পানি পান: শরীরকে সতেজ রাখতে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করা জরুরি।

ধূমপান ও মদ্যপান পরিহার: ধূমপান ও মদ্যপানের অভ্যাস থাকলে তা ঠোঁটের ক্ষতি করতে পারে।

সূর্যের আলো থেকে সুরক্ষা: বাইরে বেরোনোর সময় এসপিএফ যুক্ত লিপবাম ব্যবহার করুন। তা না হলে সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি ঠোঁটের ক্ষতি করতে পারে।


হার্ট অ্যাটাকের ৯৯ শতাংশ ঝুঁকি এই চার কারণে

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

হার্ট অ্যাটাক এখন বিশ্বজুড়ে দ্রুত বাড়তে থাকা স্বাস্থ্যঝুঁকির একটি। চিকিৎসকরা বলছেন, সুস্থ মনে হলেও অনেক মানুষের শরীরে নীরবে তৈরি হয় হৃদরোগের ঝুঁকি। অনেক সময় কোনো লক্ষণ ছাড়াই হঠাৎ ঘটে যায় হৃদ্‌রোগজনিত জটিলতা।

ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব হেলথ এবং আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশনের গবেষণা অনুযায়ী, হার্ট অ্যাটাকের ৯৯ শতাংশ ঘটনার পেছনে মাত্র চারটি কারণই প্রধান ভূমিকা রাখে।

উচ্চ রক্তচাপ

নিয়ন্ত্রণহীন উচ্চ রক্তচাপ হৃদ্‌রোগের সবচেয়ে বড় ঝুঁকি। রক্তচাপ ১৩০/৮০ এর বেশি হলে ধমনীতে চাপ বৃদ্ধি পায় এবং হৃদস্পন্দন অনিয়মিত হয়ে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বাড়ে।

উচ্চ কোলেস্টেরল

রক্তে খারাপ কোলেস্টেরল (LDL) বেড়ে গেলে ধমনিতে চর্বি জমতে শুরু করে। এ জমাট ধমনী সংকুচিত করে এবং রক্তপ্রবাহ বাধাগ্রস্ত করে, যা হার্ট অ্যাটাকের কারণ হতে পারে।

রক্তে অতিরিক্ত শর্করা

ডায়াবেটিস বা রক্তে শর্করার মাত্রা বেশি হলে ধমনিতে প্লাক জমা হয়। এর ফলে রক্তপ্রবাহ বাধাগ্রস্ত হয় এবং হৃদ্‌রোগ বা স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ে।

ধূমপান

ধূমপানের ফলে রক্তে ট্রাইগ্লিসারাইড বাড়ে এবং ভালো কোলেস্টেরল (HDL) কমে যায়। এতে রক্ত জমাট বাঁধার প্রবণতা বৃদ্ধি পায়, যা হৃদপিণ্ডে রক্তপ্রবাহ কমিয়ে দেয়।

কীভাবে ঝুঁকি কমানো যায়

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নিয়মিত শরীরচর্চা, সুষম খাদ্যগ্রহণ, শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণ, ধূমপান পরিহার এবং রক্তচাপ ও রক্তশর্করা নিয়ন্ত্রণে রাখলে হৃদ্‌রোগের ঝুঁকি অনেকটাই কমানো সম্ভব। পাশাপাশি প্রয়োজন হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ইসিজি, ইকোকার্ডিওগ্রাফি, স্ট্রেস টেস্টসহ প্রয়োজনীয় পরীক্ষা করানোর পরামর্শ দেওয়া হয়।


banner close