মঙ্গলবার, ৩ অক্টোবর ২০২৩

এই গরম-বৃষ্টিতে শিশুর শারীরিক অবস্থা

আপডেটেড
১৩ জুন, ২০২৩ ১৫:২১
ডা. আবু সাঈদ শিমুল
প্রকাশিত
ডা. আবু সাঈদ শিমুল
প্রকাশিত : ১৩ জুন, ২০২৩ ১০:১৩

গরম আর বৃষ্টিতে দেশের বিভিন্ন স্থানে ডায়রিয়ার প্রকোপ হঠাৎই বেড়েছে। বিশেষ করে, দেশের দক্ষিণাঞ্চলের জেলাগুলোতে ডায়রিয়া রোগীতে হাসপাতাল ভরা। রক্ষা পাচ্ছে না শিশুরাও। সময়মতো চিকিৎসা না করালে তীব্র আকার ধারণ করতে পারে। বিশেষ করে শিশুদের ডায়রিয়া প্রতিরোধে নিতে হবে বাড়তি সতর্কতা।

ছোট শিশুদের ডায়রিয়া প্রতিরোধে বুকের দুধ নিশ্চিত করতে হবে। এটা নিশ্চিত করা গেলে শিশুদের ডায়রিয়া হওয়ার আশঙ্কা অনেক কমে যায়। ছয় মাসের আগে শিশুকে বাড়তি খাবার শুরু করে দেয়া, এক বছরের আগে গরুর দুধ দেয়া কিংবা ছোট শিশুদের বাইরের কেনা খাবার, চিপস, জুস ইত্যাদি খাওয়ানো ডায়রিয়ার অন্যতম কারণ। অনেক সময় মা-বাবা শিশুকে এগুলো না দিলেও আত্মীয়স্বজন নিয়ে আসেন। এসব অভ্যাস দূর করা গেলে শিশুরা ডায়রিয়ামুক্ত হতে পারবে। এর সঙ্গে মা-বাবা কিংবা শিশুকে যারা দেখাশোনা করেন, তাদের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখাটা খুবই জরুরি। শিশুকে খাওয়ানোর আগে, মলমূত্র পরিষ্কার করার পর বা খাবার প্রস্তুত করার আগে অবশ্যই ভালো করে সাবান দিয়ে হাত ধুতে হবে। একটু বড় শিশুদের নিজে থেকে হাত ধোয়া শেখাতে হবে। ডায়রিয়া হলে বুকের দুধ বন্ধ করে দেয়া যাবে না, বরং বারবার দিতে হবে।

বড়দের চেয়ে শিশুদের শরীরের কোষের বাইরের পানি বা এক্সট্রা সেলুলার ফ্লুইড বেশি। ফলে ডায়রিয়া হলে সহজেই তাদের শরীর পানিশূন্য হয়ে পড়ে। পানিশূন্যতা তীব্র হলে শিশু অজ্ঞানও হয়ে যেতে পারে। কখনো কিডনি বিকল হতে পারে। পানিশূন্যতার লক্ষণ জানা থাকলে এ ক্ষেত্রে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া সহজ হয়।

শিশুদের ডায়রিয়াজনিত পানিশূন্যতা মারাত্মক হতে পারে। এ সমস্যার লক্ষণগুলো বারবার খেয়াল করুন। যদি শিশুর অস্থিরতা ও তৃষ্ণা খুব বেশি মনে হয়, চোখ গর্তে ঢুকে যায়, ত্বক শুষ্ক ও ঢিলে দেখায়, তবে বুঝতে হবে পানিশূন্যতা হচ্ছে। শিশু নিস্তেজ হয়ে গেলে বা তার প্রস্রাবের পরিমাণ কমে গেলে সেগুলো খারাপ লক্ষণ। যথেষ্ট খাওয়ার স্যালাইন দেয়ার পরও এমন হতে পারে।

ডায়রিয়া হলে শিশুকে বারবার স্যালাইন খাওয়াতে হবে। বয়স দুই বছরের নিচে হলে তাদের প্রতিবার পাতলা পায়খানার পর ১০ থেকে ২০ চামচ, দুই বছরের বেশি বয়সীদের প্রতিবার পাতলা পায়খানার পর ২০ থেকে ৪০ চামচ করে স্যালাইন দিন। বমি হয়ে গেলে ১০ মিনিট অপেক্ষার পর আবার স্যালাইন খাওয়াতে হবে।

সব বয়সের জন্য স্যালাইন বানানোর নিয়ম কিন্তু একই। বয়স কম বলে আধা প্যাকেট বা কম পানিতে গুলিয়ে স্যালাইন বানানো যাবে না। অনেকেই মনে করেন, স্যালাইন বোধ হয় ডায়রিয়ার কোনো ওষুধ, তা কিন্তু নয়। ডায়রিয়ায় সাধারণত কোনো ওষুধ লাগে না, পানিশূন্যতা না হলেই হলো।

শিশুর ডায়রিয়া হলে মা স্যালাইন খেলে শিশুর কিন্তু কোনো লাভ হবে না। শিশুকেই খাওয়াতে হবে। ৫ থেকে ৭ দিনের মধ্যে শিশুর ডায়রিয়া এমনিতেই ভালো হয়ে যায়। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই আর কোনো ওষুধের প্রয়োজন হয় না। তবে শিশুদের ডায়রিয়ায় তীব্র জ্বর থাকলে বা মলের সঙ্গে রক্ত গেলে চিকিৎসকের পরামর্শে অ্যান্টিবায়োটিক প্রয়োজন হতে পারে।

শিশুর ডায়রিয়ার সঙ্গে মায়ের খাবারের কোনো সম্পর্ক নেই। তাই মায়ের খাওয়া-দাওয়ায় কোনো নিষেধ নেই। অনেকে মায়ের খাবার নিয়ন্ত্রণ করতে চান, শাকসবজি, মাছ-মাংস নিষেধ করেন, এর কোনো দরকার নেই। মা পুষ্টিকর খাবার খাবেন।

ডায়রিয়া আক্রান্ত শিশুকে ডাবের পানি, ভাতের মাড় ইত্যাদি দিতে পারেন। তবে বাজারের কোমল পানীয়, জুস, বেশি চিনিযুক্ত চা কিংবা কফি দেয়া যাবে না। স্বাভাবিক সব খাবার খাওয়ানো যাবে। শিশুকে মায়ের দুধ অবশ্যই দিয়ে যেতে হবে। স্তন্যপানকারী শিশুর ডায়রিয়া হোক বা না হোক, তাকে মায়ের দুধের পরিবর্তে অন্য কোনো দুধ দেয়া উচিত নয়।

শিশু কিছুই খেতে না পারলে, অনবরত বমি করলে, নিস্তেজ হয়ে পড়লে, মলের সঙ্গে রক্ত গেলে কিংবা ডায়রিয়া ১৪ দিনের বেশি স্থায়ী হলে তাকে হাসপাতালে নিতে হবে। ইদানীং করোনায় আক্রান্ত শিশুদেরও ডায়রিয়া হচ্ছে। তাই ডায়রিয়া আক্রান্ত শিশুর জ্বর, কাশি বা শ্বাসকষ্ট থাকলে অবশ্যই চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া বা চিকিৎসা করানো উচিত।

লেখক: শিশু রোগ বিশেষজ্ঞ, মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল


রাজবাড়ী-ঢাকা রুটে বাস বন্ধ, দুর্ভোগ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
রাজবাড়ী প্রতিনিধি

ফরিদপুরের গোল্ডেন লাইন পরিবহনের সঙ্গে দ্বন্দ্বের জেরে রাজবাড়ীতে পরিবহন বাস ধর্মঘট চলছে। এতে করে রাজবাড়ী-ঢাকা রুটে বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। সোমবার ভোর থেকে এ রুটে বাস চলাচল বন্ধ রেখেছে বাস মালিকরা।

নাম প্রকাশ করার না শর্তে বাস বন্ধের বিষয়টি নিশ্চিত করে রাজবাড়ী পরিবহন মালিক গ্রুপের এক সদস্য জানান, গোল্ডেন লাইন পরিবহন রাজবাড়ীর পরিবহন মালিকদের সঙ্গে কোনো আলোচনা না করে নিজেদের মতো ট্রিপ পরিচালনা করছিল। এতে বাধা দেয়ায় ঢাকার গাবতলীতে রাজবাড়ীর বাস কাউন্টারে ভাঙচুর করা হয়। পরে ঢাকার বাস-ট্রাক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে আলোচনা করে বিষয়টির সুরাহা করা হয়। এরপর সিদ্ধান্ত হয়, গোল্ডেন লাইন রাজবাড়ীতে দুইটি ট্রিপ চালাবে। কিন্তু তারা সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে একাধিক ট্রিপ চালায়। এ ঘটনায় গত শুক্রবার বাস মালিক সমিতির সামনে থেকে গোল্ডেন লাইনের একটি বাস যাত্রীদের নামিয়ে ঢাকা ফেরত পাঠানো হয়। এ নিয়ে আবারও দ্বন্দ্ব শুরু হয়।

তিনি আরও জানান, রাজবাড়ী জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের সঙ্গে আলোচনা করে ও ঢাকার বাস-ট্রাক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে বসে বিষয়টি মিমাংসা করা হয়। কিন্তু তারপরও গোল্ডেন লাইন তাদের ইচ্ছা মতো ট্রিপ চালাচ্ছে। এতে ব্যাবসার ক্ষতি হচ্ছে।

এদিকে ঢাকা-রাজবাড়ী রুটে হঠাৎ পরিবহন বন্ধ হওয়ায় যাত্রীরা কাউন্টারের এসে ফেরত যাচ্ছেন। ফলে ভোগান্তিতে পড়েন যাত্রীরা। যাদের জরুরি কাজ রয়েছে, তারা ভেঙে ভেঙে ছোট গাড়িতে, অটোরিকশা, ভ্যান, মাহিন্দ্র, করে দৌলতদিয়া ঘাট পর্যন্ত যাচ্ছেন। আবার অনেকেই বাড়ি ফিরে যাচ্ছে।

এ বিষয়ে বক্তব্য নিতে রাজবাড়ী বাস মালিক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক লিটনের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

বিষয়:

ল্যাবএইড হাসপাতালে শুরু ‘বিশেষ সেবা পক্ষ’

আপডেটেড ২ অক্টোবর, ২০২৩ ০৯:৫৭
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

ওয়ার্ল্ড হার্ট ডে-২০২৩ উপলক্ষে ল্যাবএইড কার্ডিয়াক হাসপাতালে শুরু হয়েছে ‘বিশেষ সেবা পক্ষ’। ২৯ তারিখে শুরু হয়ে তা চলবে আগামী ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত। কার্ডিয়াক স্ক্রিনিং প্যাকেজের আওতায় হার্টের অবস্থা সম্পর্কে জানা যাবে, প্রয়োজনে পাওয়া যাবে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের পরামর্শ।

সকালে দেশবরেণ্য কার্ডিওলজিস্ট ডা. এ পি এম সোহরাবুজ্জামান, কার্ডিওলজিস্ট প্রফেসর (ডা.) এস এম মুস্তফাজামান, ল্যাবএইড হাসপাতালের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আহমেদ দাউদ, হেড অব অপারেশন ইফতেখার আহমেদসহ হাসপাতালের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অংশগ্রহণে সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে ওয়ার্ল্ড হার্ট ডে-২০২৩ উপলক্ষে ল্যাবএইড হাসপাতালের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অংশগ্রহণে এক বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার আয়োজন করা হয়। বিজ্ঞপ্তি


বিশ্ব প্রবীণ দিবসে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

বিশ্ব প্রবীণ দিবস উপলক্ষে অল বাংলাদেশ সিনিয়র সিটিজেন ওয়েলফেয়ার সোসাইটি ও ডিমেনশিয়া কেয়ার ফাউন্ডেশন বাংলাদেশের যৌথ উদ্যোগে র‌্যালি, আলোচনা সভা ও স্বাস্থ্য ক্যাম্পের আয়োজন করা হয়। গতকাল রোববার সকাল ১০টায় ধানমন্ডি ৩২ নম্বর সড়ক থেকে র‌্যালি শুরু করে সোবহানবাগস্থ ড্যাফোডিল প্লাজায় এসে শেষ হয়।

ড্যাফোডিল প্লাজার ৭১ মিলনায়তনে প্রবীণদের অধিকার ও মর্যাদার বিষয়ে সভার আয়োজন করা হয়। সভা শেষে চক্ষু, হৃদরোগ, মেমোরি/ ডিমনেশিয়া, ডায়াবেটিস রোগের পরীক্ষার মাধ্যমে স্বাস্থ্য ক্যাম্প পরিচালনা করা হয়। চক্ষু পরীক্ষায় বাংলাদেশ লায়ন্স ফাউন্ডেশন কর্তৃক সার্বিক সহযোগিতা করা হয়। প্রধান অতিথি হিসেবে স্বাস্থ্য ক্যাম্প উদ্বোধন করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ডা. শারফুদ্দীন আহমেদ। বিজ্ঞপ্তি


এ বছর ডেঙ্গুতে মৃত্যু হাজার ছাড়াল

গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন দুই হাজার ৮৮২ জন। ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

ডেঙ্গুজ্বরে মৃত্যুর মিছিল দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হচ্ছে। এ বছর এখন পর্যন্ত জ্বরটি কেড়ে নিয়েছে এক হাজারেরও বেশি প্রাণ। যদিও বছর শেষ হতে আরও তিন মাস বাকি।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর রোববার জানিয়েছে, দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় (শনিবার সকাল ৮টা থেকে রোববার সকাল ৮টা পর্যন্ত) ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ১৭ জন মারা গেছেন। এ নিয়ে বছরটিতে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল এক হাজার ছয়ে।

অধিদপ্তরের হিসাবে, উল্লিখিত সময়ে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন দুই হাজার ৮৮২ জন। এর মধ্যে ঢাকা মহানগরীতে ৬২৯ জন এবং ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন দুই হাজার ২৫৩ জন।

নতুন ভর্তি রোগীদের নিয়ে এ বছর ডেঙ্গুতে হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়া রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল দুই লাখ ৬২ হাজার ৮৮ জনে। এর মধ্যে ঢাকায় ৮৩ হাজার ৮৫১ জন এবং ঢাকার বাইরে এক লাখ ২২ হাজার ৪৩৭ জন ভর্তি হয়েছেন।

মোট রোগীদের মধ্যে এ পর্যন্ত চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন এক লাখ ৯৫ হাজার ৯২৫ জন। এর মধ্যে ঢাকায় ৮০ হাজার ৮৩ জন এবং ঢাকার বাইরে বিভিন্ন স্থানে এক লাখ ১৫ হাজার ৮৪২ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। ’

বর্তমানে দেশের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে নয় হাজার ৩৫৭ জন ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসাধীন। এর মধ্যে
ঢাকার ৫৩টি সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে তিন হাজার ১২০ জন এবং অন্যান্য বিভাগে ভর্তি রয়েছেন ছয় হাজার ২৩৭ জন।


বিএসএমএমইউতে বিশ্ব হার্ট দিবস পালিত

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে ‘ভালোবাসা দিয়ে প্রতিটি হৃদয়ের যত্ন নিন’ প্রতিপাদ্য নিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) বিশ্ব হার্ট দিবস-২০২৩ উদ্‌যাপন হয়েছে। গতকাল শনিবার সকাল ৯টায় দিবসটি উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা ও একটি সিএমই আয়োজন করে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের হৃদরোগ বিভাগ ও শিশু হৃদরোগ বিভাগ।

কর্মসূচির শুরুতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বে শোভাযাত্রাটি বের করা হয়।

শোভাযাত্রা শেষে শহীদ ডা. মিলন হলে আয়োজিত সিএমই আয়োজন করে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের হৃদরোগ বিভাগ। সেমিনারের প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন উপাচার্য ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) ডা. ছয়েফ উদ্দিন আহমদ। বিজ্ঞপ্তি


ডেঙ্গুতে প্রাণহানি হাজার ছুঁইছুঁই

ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে গত শুক্রবার সকাল ৮টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে চলতি বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত ৯৮৯ জনের প্রাণ গেল।

এসময় হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন আরও ২৪২৫ জন ডেঙ্গু রোগী। এদের মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৭৫১ জন, আর ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১৬৭৪ জন।

শনিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বর্তমানে দেশের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে মোট ৯ হাজার ৯৫৯ জন ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসাধীন আছেন। ঢাকার সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে বর্তমানে ৩ হাজার ৩৭৯ জন এবং অন্যান্য বিভাগের বিভিন্ন হাসপাতালে ৬ হাজার ৫৮০ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি রয়েছেন।

চলতি বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে সারা দেশে এখন পর্যন্ত ২ লাখ ৩ হাজার ৪০৬ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন। এর মধ্যে ঢাকায় ৮৩ হাজার ২২২ জন এবং ঢাকার বাইরে চিকিৎসা নিয়েছেন ১ লাখ ২০ হাজার ১৮৪ জন।

আক্রান্তদের মধ্যে হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১ লাখ ৯২ হাজার ৪৫৮ জন। ঢাকায় ৭৯ হাজার ২০৪ এবং ঢাকার বাইরে ১ লাখ ১৩ হাজার ২৫৪ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন।

বিষয়:

ডেঙ্গুতে আরও ৮ মৃত্যু, আক্রান্ত ১৭৯৩

ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হয়ে সারা দেশে আরও আটজনের মৃত্যু হয়েছে। হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন আরও এক হাজার ৭৯৩ জন।

শুক্রবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় (বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে শুক্রবার সকাল ৮টা) মারা যাওয়া আটজনকে নিয়ে চলতি বছর ডেঙ্গুতে প্রাণহানি ৯৭৫-এ দাঁড়িয়েছে। এর মধ্যে নারী ৬৩১ জন ও পুরুষ ৩৪৪ জন।

উল্লিখিত সময়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া এক হাজার ৭৯৩ জনের মধ্যে ঢাকার ৫৮৪ জন, আর ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালের এক হাজার ২০৯ জন। এ নিয়ে সারা দেশে চলতি এখন পর্যন্ত ভর্তি রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল দুই লাখ ৯৮১ জনে।

মোট ভর্তি রোগীদের মধ্যে হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন এক লাখ ৯০ হাজার ৪৮০ জন। বর্তমানে দেশের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে মোট নয় হাজার ৫২৬ জন ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসাধীন।


ডেঙ্গুতে আরও ৯ জনের মৃত্যু

ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে দেশে আরও ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে রাজধানী ঢাকায় মারা গেছেন তিনজন, বাকিরা অন্যান্য এলাকার।

বৃহস্পতিবার সকাল ৮টার আগের ২৪ ঘণ্টায় এ মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

এ সময়ে নতুন করে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন দুই হাজার ৩৫৭ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী। তাদের মধ্যে ঢাকা মহানগরীতে ৬৭১ ও ঢাকা মহানগরীর বাইরে বিভিন্ন হাসপাতালে ১ হাজার ৬৮৬ জন ভর্তি হয়েছেন।

বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।

এ নিয়ে চলতি বছরে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়াল ৯৬৭ জন।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বর্তমানে দেশের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে ৯ হাজার ৭৯৭ জন ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসাধীন। তাদের মধ্যে ঢাকার ৫৩টি সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে তিন হাজার ৪৫৭ এবং ঢাকার বাইরে অন্যান্য বিভাগে ছয় হাজার ৩৪০ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন।

এ বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে সারা দেশে এ পর্যন্ত ১ লাখ ৯৯ হাজার ১৮৮ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে ঢাকায় ৮১ হাজার ৮৮৭ জন এবং ঢাকার বাইরে এক লাখ ১৭ হাজার ৩০১ জন।

চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন এক লাখ ৮৮ হাজার ৪২৪ জন। তাদের মধ্যে ঢাকায় ৭৭ হাজার ৮০৩ জন এবং ঢাকার বাইরে বিভিন্ন স্থানের এক লাখ ১০ হাজার ৬২১ জন।

গত ২৪ ঘন্টায় সুস্থ হয়ে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন দুই হাজার ৫১৮ জন। এর মধ্যে ঢাকায় ৭৪৯ জন এবং ঢাকার বাইরে বিভিন্ন স্থানে সুস্থ হয়েছেন এক হাজার ৭৬৯ জন।

বিষয়:

বিএসএমএমইউতে বিশ্ব ফুসফুস দিবস পালিত

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) নানা আয়োজনে বিশ্ব ফুসফুস দিবস-২০২৩ পালিত হয়েছে। গত সোমবার দিবসটি উপলক্ষে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা ও সেমিনারের আয়োজন করে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেসপিরেটরি মেডিসিন বিভাগ। সকাল ৯টায় ‘বি’ ব্লকের সামনে থেকে একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা শুরু হয়ে ‘ডি’ ব্লকে গিয়ে শেষ হয়। পরে ‘ডি’ ব্লকের ১৬ তলায় রেসপিরেটরি মেডিসিন বিভাগে একটি বৈজ্ঞানিক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।

এসব কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএসএমএমইউ’র উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘ধূমপানের কারণে ফুসফুসের ক্যানসারসহ নানা ধরনের রোগের সৃষ্টি হয়। ধূমপান বন্ধে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন পুরোপুরি বাস্তবায়ন ও জোরদার করতে হবে।’

সভাপতির বক্তব্য রাখেন বিএসএমএমইউ উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) ও রেসপিরেটরি মেডিসিন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. এ কে এম মোশাররফ হোসেন। বৈজ্ঞানিক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বক্ষব্যাধি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. রাজাশিস চক্রবর্তী ও সহযোগী অধ্যাপক ডা. সম্প্রীতি ইসলাম। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ডা. ছন্দা সুলতানা ডোরা। বিজ্ঞপ্তি


ডেঙ্গুতে আরও ১৫ জনের মৃত্যু

ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছেন আরও ১৫ জন। এ নিয়ে এই বছর এখন পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছে ৯৪৩ জন মারা গেলেন। আর চলতি সেপ্টেম্বর মাসে এ রোগে মারা গেলেন ৩৫০ জন।

এর আগে দেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে সর্বোচ্চ ২৮১ জনের মৃত্যুর রেকর্ড হয়েছিল গত বছর। এ ছাড়া ডেঙ্গুতে ২০১৯ সালে মৃত্যু হয়েছিল ১৭৯ জনের। ২০২০ সালে ৭ জন এবং ২০২১ সালে ডেঙ্গুতে মৃত্যু হয় ১০৫ জনের।

মঙ্গলবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের দেয়া তথ্য থেকে এসব জানা যায়।

গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে নতুন রোগী ভর্তি হয়েছে ৩ হাজার ১২৩ জন। ডেঙ্গু আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে ৭৭৪ জন ঢাকার এবং ঢাকার বাইরে ২ হাজার ৩৪৯ জন।

অধিদপ্তর আরও জানায়, সারা দেশের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে বর্তমানে ১০ হাজার ১৫৬ জন রোগী ভর্তি আছে। এর মধ্যে ঢাকাতেই ৩ হাজার ৫৮১ জন, আর বাকি ৬ হাজার ৫৭৫ জন ঢাকার বাইরে অন্য বিভাগে।

চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত ১ লাখ ৯৩ হাজার ৮৮১ জন রোগী ভর্তি হয়েছে হাসপাতালে এবং ছাড়া পেয়েছে ১ লাখ ৮২ হাজার ৭৮২ জন রোগী।

বিষয়:

ডেঙ্গুতে আরও ১৯ জনের মৃত্যু

ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

রোববার সকাল ৮টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে আরও ১৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে চলতি বছর দেশে ডেঙ্গুতে মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়াল ৯২৮। এ সময়ে মশাবাহিত এ রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৩ হাজার ৩৩ জন। আক্রান্তদের মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৮০১ জন আর ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ২২৩২ জন।

সোমবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বর্তমানে দেশের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে মোট ১০ হাজার ১৪৭ জন ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসাধীন আছেন। ঢাকার সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে বর্তমানে ৩ হাজার ৬২২ জন এবং অন্যান্য বিভাগের বিভিন্ন হাসপাতালে ৬ হাজার ৫২৫ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি রয়েছেন।

চলতি বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে সারা দেশে এখন পর্যন্ত ১ লাখ ৯০ হাজার ৭৫৮ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন। এর মধ্যে ঢাকায় ৭৯ হাজার ৭১৬ জন এবং ঢাকার বাইরে চিকিৎসা নিয়েছেন ১ লাখ ১১ হাজার ৪২ জন।

আক্রান্তদের মধ্যে হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১ লাখ ৭৯ হাজার ৬৮৩ জন। ঢাকায় ৭৫ হাজার ৪৮২ এবং ঢাকার বাইরে ১ লাখ ৪ হাজার ২০১ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন।

বিষয়:

‘বাংলাদেশে প্রাপ্তবয়স্ক ৪ জনের একজন উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্ত’

ছবি: দৈনিক বাংলা
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

বাংলাদেশে প্রতি চারজন প্রাপ্তবয়স্কের মধ্যে একজনের উচ্চ রক্তচাপে রয়েছে। সম্প্রতি কমিউনিটি ক্লিনিকের ওষুধ তালিকায় উচ্চ রক্তচাপের ওষুধ অন্তর্ভুক্তকরণ যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত। এটি দ্রুত বাস্তবায়ন হলে দেশব্যাপী উচ্চ রক্তচাপজনিত বিভিন্ন অসংক্রামক রোগের ক্রমবর্ধমান প্রকোপ ও মৃত্যু কার্যকরভাবে নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হবে। পাশাপাশি কমিউনিটি ক্লিনিক ও উপজেলা হেলথ কমপ্লেক্সে ওষুধের সরবরাহ নিরবিচ্ছিন্ন রাখতে এ খাতে প্রয়োজনীয় বাজেট বরাদ্দ নিশ্চিত করতে হবে।

সোমবার রাজধানীর বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ) ভবনে ‘হাইপারটেনশন কন্ট্রোল ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক এক সাংবাদিক কর্মশালায় এসব তথ্য জানানো হয়। গ্লোবাল হেলথ অ্যাডভোকেসি ইনকিউবেটরের (জিএইচএআই) সহযোগিতায় ‘প্রগতির জন্য জ্ঞান’ সংস্থা এ কর্মশালার আয়োজন করে। কর্মশালায় প্রিন্ট, টেলিভিশন এবং অনলাইন মিডিয়ায় কর্মরত ২৪ জন সাংবাদিক অংশ নেন।

কর্মশালায় জানানো হয়, বাংলাদেশে প্রতি চারজন প্রাপ্তবয়স্কের মধ্যে একজন উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্ত। ডব্লিউএইচও এর গ্লোবাল রিপোর্ট অন হাইপারটেনশন ২০২৩ অনুযায়ী, বাংলাদেশে উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্তদের মধ্যে চিকিৎসা সেবা গ্রহণের হার খুবই কম, মাত্র ৩৮ শতাংশ। প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, ২০১৯ সালে বাংলাদেশে ২ লাখ ৭৩ হাজার মানুষ হৃদরোগজনিত অসুস্থতায় মৃত্যুবরণ করেছে, যার ৫৪ শতাংশের জন্য দায়ী উচ্চ রক্তচাপ।

কর্মশালায় এসেনসিয়াল ড্রাগস্ কোম্পানি লিমিটেড (ইডিসিএল) এর উপ-মহাব্যবস্থাপক (বিক্রয় ও বিপণন) মো. জাকির হোসেন জানান, আগামী অর্থবছরে কমিউনিটি ক্লিনিক থেকে উচ্চ রক্তচাপের ওষুধের প্রাপ্যতা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।

ব্র্যাক জেমস পি গ্রান্টস স্কুল অব পাবলিক হেলথ এর অধ্যাপক ডা. মলয় কান্তি মৃধা বলেন, ‘উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে খাদ্যাভ্যাস এবং জীবনাচরণে পরিবর্তন আনা জরুরি।’

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিশ্বব্যাপী উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্ত প্রতি ৫ জনে ৪ জনই প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সেবা পায় না। এক্ষেত্রে সেবার আওতা বাড়ানো হলে ২০৫০ সালের মধ্যে ৭ দশমিক ৬ কোটি মৃত্যু এড়ানো সম্ভব।

সভায় আলোচক হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন জিএইচএআই বাংলাদেশ কান্ট্রি লিড মুহাম্মাদ রূহুল কুদ্দুস, ঢাকা ট্রিবিউনের নির্বাহী সম্পাদক রিয়াজ আহমেদ এবং প্রজ্ঞা’র নির্বাহী পরিচালক এবিএম জুবায়ের।

অনুষ্ঠানে উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ বিষয়ে মূল উপস্থাপনা তুলে ধরেন ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনের হাইপারটেনশন কন্ট্রোল বিষয়ক প্রোগ্রাম ম্যানেজার ডা. শামীম জুবায়ের এবং প্রজ্ঞা’র উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ বিষয়ক কর্মসূচির সমন্বয়ক সাদিয়া গালিবা প্রভা।


বিএসএমএমইউতে বিশ্ব রেটিনা দিবস-২০২৩ পালিত

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) চক্ষু বিজ্ঞান বিভাগ ও বাংলাদেশ ভিট্রিওরেটিনা সোসাইটির যৌথ উদ্যোগে ‘ডায়াবেটিক রেটিনোপ্যাথি, অযত্নে বাড়ে চোখের ক্ষতি’ প্রতিপাদ্য নিয়ে বিশ্ব রেটিনা দিবস-২০২৩ পালিত হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে গতকাল একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রায় প্রধান অতিথি হিসেবে উদ্বোধন করেন বিএসএমএমইউয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ। শোভাযাত্রা শেষে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক রেটিনা স্পেশালিস্ট ও সার্জন এবং বাংলাদেশ ভিট্রিওরেটিনা সোসাইটির প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ডা. মো. আফজাল মাহফুজউল্লাহের সঞ্চালনায় এতে বক্তব্য রাখেন চক্ষু বিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. সৈয়দ আব্দুল ওয়াদুদ, বাংলাদেশ ভিট্রিওরেটিনা সোসাইটির সভাপতি অধ্যাপক ডা. মো. আবুল বাশার শেখ, কমিউনিটি অফথালমোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মো. শওকত কবীর, চক্ষু বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ডা. নুজহাত চৌধুরী, বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক ও বাংলাদেশ ভিট্রিওরেটিনা সোসাইটির সহ-সভাপতি ডা. তারিক রেজা আলী, বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক ও বাংলাদেশ ভিট্রিওরেটিনা সোসাইটির মহাসচিব ডা. শাহানুর হাসান প্রমুখ।


banner close