মঙ্গলবার, ১৭ জুন ২০২৫
৩ আষাঢ় ১৪৩২

ডেঙ্গু নিয়ে ‘গা-ছাড়া’ ভাব

আপডেটেড
১৩ আগস্ট, ২০২৩ ১৪:৪৭
জাকিয়া আহমেদ
প্রকাশিত
জাকিয়া আহমেদ
প্রকাশিত : ১৩ আগস্ট, ২০২৩ ১৪:৪৭

ঠিক ১ মাস আগে দেশে সরকারি হিসাবে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা ছিল ১৪ হাজার ৮৯৭ জন। এক মাসের ব্যবধানে দেশে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮২ হাজার ৫০৬ জনে।

আর এটা কেবল স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তালিকাভুক্ত হাসপাতালের রোগীর সংখ্যা। এর বাইরে খোদ ঢাকা শহরেই অসংখ্য হাসপাতাল, ক্লিনিক, চিকিৎসকদের ব্যক্তিগত চেম্বারে এবং বাড়িতে চিকিৎসা নেয়া রোগী স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এই তালিকার বাইরে। আর ঢাকার বাইরের সংখ্যা তো দূর চিন্তা।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দেশে এখন স্বাস্থ্যের জরুরি অবস্থা চলছে। অথচ স্বাস্থ্য বিভাগ বলছে, হেলথ ইমার্জেন্সি ঘোষণার সময় এখনো আসেনি। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বছরের ৮ মাসের মাথায় যখন হাসপাতালে ঠাঁই নাই অবস্থা, রোগীদের এ হাসপাতাল থেকে ওই হাসপাতালে ঘুরতে হয়, হাসপাতাল যখন রোগীর চাপে করিডর, বারান্দায়, মেঝেতে রোগীকে জায়গা দিতে বাধ্য হয়- তখন সেটা জরুরি অবস্থা না হলে কোন অবস্থাকে জরুরি অবস্থা বলা হয়, সেটা তাদের কাছে স্পষ্ট নয়। আর ডেঙ্গুর আজকের এই অবস্থার জন্য সরকারের গা-ছাড়া ভাবই দায়ী।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যে দেখা যায়, চলতি বছরে প্রথম গত ১১ জুলাই অর্থাৎ এক মাস আগে দিনে ১ হাজারের বেশি রোগী ভর্তি হয়। সেদিন হাসপাতালে ভর্তি হওয়া ১ হাজার ৫৪ জনকে নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া রোগী সংখ্যা ছিল ১৪ হাজার ৮৯৭ জন। এক মাসের ব্যবধানে দেশে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালগুলোতে ভর্তি হয়েছে ৬৭ হাজার ৬০৯ জন।

দেশে মে মাসের মাঝামাঝি থেকে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়তে থাকে। সে মাসে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া রোগী সংখ্যা ছিল ১ হাজার ৩৬ জন। এরপর জুনে রোগী ভর্তি হয় ৫ হাজার ৯৫৬ জন আর মৃত্যু হয় ৩৪ জনের। আর জুলাইতে জুনের ৭ গুণ বেশি রোগী বলে জানিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। ৫ জুলাই সরকারি হিসাবে রোগীর সংখ্যা ১০ হাজার ছাড়িয়ে যায়। ২২ জুলাই চলতি বছরে দিনে প্রথম ২ হাজারের বেশি রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়। এরপর থেকে আর দৈনিক ভর্তি রোগী সংখ্যা ২ হাজারের নিচে নামেনি। সে মাসে হাসপাতালে ভর্তি হয় ৪৩ হাজার ৮৫৪ জন, আর মৃত্যু হয় ২০৪ জনের।

ডেঙ্গুর এই প্রাদুর্ভাবের মধ্যে ডেঙ্গু চিকিৎসার অন্যতম চিকিৎসা উপকরণ স্যালাইনের সংকট দেখা দিয়েছে। এর ভেতরেই সরকারি হাসপাতালের নির্ধারিত এসেনশিয়াল ড্রাগস কোম্পানি লিমিটেডের (ইডিসিএল) বাইরে থেকে স্যালাইন কেনার জন্য অর্থ বরাদ্দ দেয়ার কথা জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম।

গত ৬ আগস্ট তিনি বলেন, ‘দেশের সরকারি হাসপাতালে স্যালাইন সরবরাহ করে এসেনশিয়াল ড্রাগস কোম্পানি লিমিটেড-ইডিসিএল। তবে বর্তমানে চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় ইডিসিএল পুরোপুরি সরবরাহ করতে পারছে না। আর এজন্য স্যালাইন কেনার জন্য হাসপাতালগুলোকে আলাদা অর্থ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে এবং তারা এই টাকা খরচ করতে পারবে সেই এখতিয়ারও তাদের দেয়া হয়েছে।’

আর স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক গতকাল (১২ আগস্ট) জানিয়েছেন, হঠাৎ করে স্যালাইনের চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় ওষুধ কোম্পানিগুলো উৎপাদন বাড়াতে পারছে না। তাই প্রয়োজনে বিদেশ থেকে স্যালাইন আমদানি করা হবে।

দেশের সব ওষুধ কোম্পানির সঙ্গে কথা হয়েছে জানিয়ে জাহিদ মালেক বলেন, ‘তাদের পূর্ণ উৎপাদন করতে বলা হয়েছে এবং তারা পূর্ণ উৎপাদন করছেও। কিন্তু উৎপাদনের তুলনায় রোগীর সংখ্যা ১০ গুণ বেড়ে গেছে।’

কিন্তু ওষুধ কোম্পানির উৎপাদন তো হঠাৎ করে বাড়ানো সম্ভব হচ্ছে না মন্তব্য করে তিনি জানান, দেশে প্রতিদিন প্রায় ৪০ হাজার ব্যাগ স্যালাইন রোগীদের দিতে হয়। এতে করে প্রতি মাসে ১২ লাখ ব্যাগ স্যালাইনের প্রয়োজন হয়। সব কোম্পানি মিলেও প্রতিদিন এত স্যালাইন উৎপাদন করতে পারে না।

ডেঙ্গু রোগীদের জন্য যখন স্যালাইনের মতো উপরকণ আমদানির চিন্তা করছে, তখন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞারা বলছেন, স্বাস্থ্যের জরুরি অবস্থা চলছে। দেশে রোগ নিয়ে গবেষণা করে সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর)। আইইডিসিআরের বর্তমান উপদেষ্টা ও সাবেক প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ডা. মুশতাক হোসেন বলেন, ‘তারা স্বীকার করুক আর না করুক, এখন জনস্বাস্থ্যের জরুরি অবস্থা চলছে। রোগীকে যখন শয্যা দেয়া যায় না, তখন তাকে জরুরি অবস্থা বলা যায়।’

মহামারি বিশেষজ্ঞ ডা. মুশতাক হোসেন বলেন, ‘ঢাকার ভেতরে রোগী স্থিতিশীল বলা হচ্ছে স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে। তারা এটা কীভাবে বলছে, আমি জানি না; এখন শুধু শয্যা বাড়িয়ে পরিস্থিতি মোকাবিলা করা যাবে না। এর জন্য বিশেষভাবে চিকিৎসা পরিকল্পনা করা দরকার।’

আর ডেঙ্গুর বিস্তার ঠেকাতে না পারাকে প্রশাসনিক ব্যর্থতা হিসেবে মন্তব্য করছেন তিনি। তিনি বলেন, “স্বাস্থ্য বিভাগ ও নগর কর্তৃপক্ষ পরিস্থিতিকে ‘গা-ছাড়া ভাবে’ দেখছে। যার কারণে আজ এই অবস্থা তৈরি হয়েছে। সরকারের উচিত এটা জনস্বাস্থ্যের জন্য জরুরি অবস্থা হিসাবে স্বীকৃতি দেয়া। এটাকে মহামারির মতো পরিস্থিতি হিসাবে মোকাবিলা করা।’’

দেশে এর আগে মহামারি মোকাবিলা করা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে ম্যালেরিয়ার প্রাদুর্ভাব হয়েছিল, কত মানুষ মারা গেছে। পরে সরকার ও জনগণ ম্যালেরিয়া মোকাবিলায় খুব আন্তরিক হয় রোগ প্রতিরোধ ও ভেক্টর বা মশা নিয়ন্ত্রণে। এরপর সেখানে সফলতা আসে।

তাহলে ডায়রিয়া, কলেরা, ফাইলেরিয়ার মতো অসুখের বেলায় সমন্বিত পদক্ষেপের কারণে সফল হওয়া গেলে স্বাস্থ্য বিভাগ, স্থানীয় সরকার, শিক্ষা মন্ত্রণালয়, তথ্য মন্ত্রণালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে নিয়ে কেন পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে না? সমন্বিত পদক্ষেপ নেয়া গেলে আমরা কেন বাংলাদেশে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ করতে পারব না?’

এ ক্ষেত্রে সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় থেকে শুরু করে শহর থেকে গ্রাম- সবাইকে একীভূত করে পদক্ষেপ নেয়ার পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, ‘সরকারের সমন্বিত পদক্ষেপের কমপক্ষে পাঁচ বছর চালাতে হবে, যাতে আমরা ডেঙ্গু থেকে মুক্ত হতে পারি।’

ডা. মুশতাক বলেন, ‘দেশে রাজনৈতিক কারণে একাধিকবার জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে। কিন্তু স্বাস্থ্যের ব্যাপারে জরুরি অবস্থা ঘোষণা হতে দেখা যায়নি। জরুরি অবস্থার জন্য হাজার হাজার মানুষ মারা যেতে হবে, বিষয়টি তেমন নয়।’

যদিও স্বাস্থ্যমন্ত্রী এবং স্বাস্থ্য অধিপ্তরের মহাপরিচালক বর্তমান অবস্থাকে জনস্বাস্থ্য জরুরি অবস্থা ঘোষণার সময় আসেনি বলে বারবার মন্তব্য করছেন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম জানিয়েছেন, এখনো পাবলিক হেলথ ইমার্জেন্সি বা জনস্বাস্থ্যবিষয়ক জরুরি অবস্থা ঘোষণার সময় আসেনি। তবে দেশে ডেঙ্গু রোগী আরও বাড়লে সংকটে পড়তে হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি। একই কথা বলেছেন স্বাস্থমন্ত্রী জাহিদ মালেক। তিনি বলেন, ‘এমন তো হচ্ছে না যে হাসপাতালে গিয়ে ডেঙ্গু রোগীরা সেবা পাচ্ছে না, তাহলে কেন হেলথ ইমার্জেন্সি ঘোষণা করতে হবে? আমি মনে করি হেলথ ইমার্জেন্সির সময় এখনো আসেনি।’

সম্প্রতি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার সাবেক পরিচালক অধ্যাপক সানিয়া তাহমিনাও ডেঙ্গু অবস্থাকে জাতীয় জরুরি অবস্থার মতো বলে মনে করছেন। দৈনিক বাংলাকে অধ্যাপক সানিয়া তাহমিনা বলেন, ‘করোনার সময় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বৈশ্বিক জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছিল। বর্তমানে ডেঙ্গু জাতীয় জরুরি অবস্থার মতো। এখন সময় সরকারি-বেসরকারি সংশ্লিষ্টদের একসঙ্গে কাজ করার। কিন্তু মনে হচ্ছে, নির্বাচনের কারণে ডেঙ্গু ইস্যুটি পেছনে পড়ে গেছে। এতে দুর্যোগ আরও বেড়ে যাওয়ার ঝুঁকি আছে।’

২০১৯ সালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার পরিচালক অধ্যাপক সানিয়া তাহমিনা বলেন, সে বছরে ডেঙ্গুর কারণে তাদের ঘুম হারাম হয়েছিল মন্তব্য করে তিনি বলেন, অথচ এবার পরিস্থিতি সে সময়ের চেয়ে খারাপ।

তিনি বলেন, সে বছরে (২০১৯) মৃত্যু হয়েছিল ১৭৯ জনের, অথচ এবার আগের সর্বোচ্চ মৃত্যু সংখ্যাকে এখনই ছাড়িয়ে গেছে। সুতরাং বাকি দিনগুলোয় আমরা মৃত্যু ঠেকিয়ে রাখতে পারব– এমন হবে না। মৃতের এই সংখ্যা দ্বিগুণও হয়ে যেতে পারে।’

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ডেঙ্গুকে একাধিকবার কেবল স্বাস্থ্য বিভাগের নয়, জনস্বাস্থ্য সমস্যা হিসেবে আখ্যা দিয়েছে। আর এজন্য মশা নির্মূল বা নিধনই একমাত্র উপায় বলেও জানিয়েছে তারা। গত ২৬ জুলাই এই পরিস্থিতিতে মশা নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে চাপ সামলানো কঠিন হয়ে পড়বে বলে সতর্কবার্তা দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবীর দৈনিক বাংলাকে বলেন, বর্তমানে শুধু ঢাকা নয়, সারা দেশেই ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। ডেঙ্গুর প্রকোপ কমাতে এডিস মশা নিয়ন্ত্রণ করতে হবে মন্তব্য করে তিনি বলেন, তা না হলে কিন্তু ডেঙ্গুর এই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখা খুবই কঠিন হয়ে পড়বে।

জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. আবু জামিল ফয়সাল দৈনিক বাংলাকে বলেন, ‘স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, তথ্য মন্ত্রণালয়, শিক্ষা মন্ত্রণালয়, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়সহ সবাইকে এখানে এগিয়ে আসতে হবে, সবাইকে নিয়ে সরকারের সমন্বিত পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। নয়তো এই ডেঙ্গু থেকে রেহাই মিলবে না।’

ডেঙ্গু নিয়ে পরিকল্পনা এবং পদক্ষেপের অভাব রয়েছে জানিয়ে আবু জামিল ফয়সাল বলেন, ‘আমরা তো জরুরি স্বাস্থ্য অবস্থার ভেতর দিয়ে যাচ্ছি, তাহলে সেটা কেন ঘোষণা করা হচ্ছে না?’

‘নির্বাচনের আগে হয়তো সরকারের অনেক চাপ রয়েছে’ মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘ঠিক আছে, তারা হয়তো সেটা ঘোষণা করবে না, কিন্তু ঘোষণা না দিয়েও তো কাজ করা যায়। আজ যদি সব জায়গায় সমন্বয় করে কাজ না করতে পারে সরকার, তাহলে এর খেসারত দিতে হবে আরও ভয়ংকরভাবে। মনে রাখতে হবে, বর্ষাকাল এখনো বাকি রয়েছে। হাসপাতালগুলোতে একটু ফাঁকা জায়গা নেই। স্বাস্থ্যব্যবস্থা ভেঙে পড়তে বেশি সময় লাগবে না এভাবে রোগী বাড়লে।

মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্রধান ফটকের পাশে, মেঝেতে রোগীদের টপকে যেতে হয়েছে- নিজের অভিজ্ঞতা জানিয়ে অধ্যাপক আবু জামিল ফয়সাল বলেন, ‘স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে নেতৃত্ব নিতে হবে, এখানে কোনো কিছু অস্বীকার করার জো নেই, পরিস্থিতি সেখানে নেই-সত্যিটা বুঝতে হবে। মশক নিধন কার্যক্রম এবং রোগীর চিকিৎসা একসঙ্গে সমন্বয় করে চলতে না পারলে ভবিষ্যৎ ভালো হবে না।’

১২ দিনে ৩০ হাজারের বেশি রোগী, ১৩৬ জনের মৃত্যু

আগের ২৪ ঘণ্টার তুলনায় গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া রোগীর সংখ্যা বেড়েছে, বেড়েছে মৃত্যুও। আর তাতে করে চলতি মাসের প্রথম ১২ দিনেই কেবল হাসপাতালে ভর্তি হওয়া রোগীর সংখ্যা ছাড়িয়ে গেল ৩০ হাজারের বেশি। এ সময় মৃত্যু হয়েছে ১৩৬ জনের।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর শনিবার জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় (১১ আগস্ট সকাল ৮টা থেকে ১২ আগস্ট সকাল ৮টা) ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ২ হাজার ৪৩২ জন, আর এ সময়ে মৃত্যু হয়েছে আরও ১৪ জনের।

তাদের নিয়ে চলতি বছরে এখন পর্যন্ত হাসপাতালে ভর্তি হলো মোট ৮২ হাজার ৫০৬ জন। তাদের মধ্যে চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরেছে ৭২ হাজার ২৮৯ জন আর বর্তমানে চিকিৎসাধীন রয়েছে ৯ হাজার ৮৩০ জন।

মারা যাওয়া ১৪ জনকে নিয়ে চলতি বছরে এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হলো ৩৮৭ জনের।

এর আগে ২০২২ সালে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সর্বোচ্চ রেকর্ড হয়। ওই বছরে ২৮১ জনের মৃত্যুর কথা জানায় অধিদপ্তর। কিন্তু চলতি বছরের ৩ আগস্ট সে রেকর্ড ভেঙে যায়। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যমতে, চলতি মাসের প্রথম ১২ দিনে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ৩০ হাজার ৬৭৪ জন আর মৃত্যু হয়েছে ১৩৬ জনের।

বিষয়:

চট্টগ্রামে ছয় দিনে করোনা শনাক্ত ৯ 

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
চট্টগ্রাম ব্যুরো

চট্টগ্রামে নতুন করে আরো একজনের শরীরে করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে গত ছয় দিনে মোট ৯ জনের শরীরে এ ভাইরাসের জীবাণু শনাক্ত হয়েছে। শনিবার (১৪ জুন) সকালে সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

সিভিল সার্জন কার্যালয়ের তথ্যমতে, গত ২৪ ঘণ্টায় (শুক্রবার সকাল আটটা থেকে শনিবার সকাল আটটা) ২৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এর মধ্যে একজনের করোনা পজিটিভ পাওয়া যায়। ৪০ বছর বয়সী আক্রান্ত ওই ব্যক্তি চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলার ফতেহাবাদ এলাকার বাসিন্দা। তিনি শুক্রবার নগরের এভারকেয়ার হাসপাতালে করোনার পরীক্ষা করান। সেখানেই তার শরীরে করোনার জীবাণু শনাক্ত হয়।

এদিকে সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, আক্রান্ত নয়জনের মধ্যে পুরুষ ৫ জন এবং নারী ৪ জন। এদের মধ্যে ৭ জন নগরের এবং ২ জন উপজেলার বাসিন্দা।

অন্যদিকে, চট্টগ্রামে এখন পর্যন্ত বেসরকারি পর্যায়ে করোনা শনাক্তকরণের পরীক্ষা চালু আছে। তবে শিগগিরই চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) ও বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজেসে (বিআইটিআইডি) আরটি–পিসিআর পরীক্ষা শুরু করা যাবে বলে আশা করছেন জেলা সিভিল সার্জন ডা. জাহাঙ্গীর আলম।


দেশে করোনায় দুইজনের মৃত্যু, শনাক্ত ১৫

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ইউএনবি

প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের সংক্রমণে দেশে আরও দুই জনের মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১২ জুন) সকাল ৮টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় এসব মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া এই সময়ের মধ্যে ১৫ জনের শরীরে ভাইরাসটি শনাক্ত করা হয়েছে।

শুক্রবার (১৩ জুন) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের করোনাবিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় প্রাণঘাতি করোনাভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়েছেন আরও ১৫ জন। এ নিয়ে দেশে করোনাভাইরাস শনাক্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২০ লাখ ৫১ হাজার ৮০০ জনে। আর মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৯ হাজার ৫০২ জনে।

এতে আরও বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ১৭৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এ সময়ে শনাক্তের হার ছিল ৮ দশমিক ৬২ শতাংশ। মোট করোনা পরীক্ষায় এ পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ০৫ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় মোট মৃত্যুহার ১ দশমিক ৪৪ শতাংশ।

গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়ে উঠেছেন আরও তিনজন। এ নিয়ে সুস্থ হয়ে ওঠা ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২০ লাখ ১৯ হাজার ৪০১ জনে।


চলতি বছর ডেঙ্গুতে সর্বোচ্চ ৫ মৃত্যু, আক্রান্ত ১৫৯

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে দেশে আরও পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। বুধবার (১১ জুন) সকাল থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় এসব মৃত্যু হয়। আর এই সময়ের মধ্যে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১৫৯ জন।

আজ শুক্রবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ অ্যান্ড ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের সংবাদ বিজ্ঞপ্তি থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

গত ২৪ ঘণ্টায় মশাবাহিত রোগটিতে বরিশাল বিভাগে মারা গেছেন চারজন। আর ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকায় মারা গেছেন একজন।

বিজ্ঞপ্তি থেকে পাওয়া তথ্য অনুসারে, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে দেশের বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি ভর্তি হয়েছেন ১৫৯ জন। নতুন আক্রান্তের মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ১৫ জন। আর ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন আরও ১৪৪ জন।

বিজ্ঞপ্তি থেকে পাওয়া তথ্য অনুসারে, চলতি বছর আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত ২৮ জনের মৃত্যু হয়েছে, যাদের মধ্যে ৫৬ দশমিক ৫ শতাংশ পুরুষ এবং ৪৩ দশমিক ৫ শতাংশ নারী।

বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ১৩ জুন পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন মোট ৫ হাজার ৫৭০ জন। এর মধ্যে ৫৯ দশমিক ৫ শতাংশ পুরুষ এবং ৪০ দশমিক ৫ শতাংশ নারী। আর মারা যাওয়া রোগীদের মধ্যে ৫৩ দশমিক ৬ শতাংশ পুরুষ ও ৪৬ দশমিক ৪ শতাংশ নারী।


করোনায় আরও ১০ জন আক্রান্ত

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ১০৭ জনের নমুনা পরীক্ষায় ১০ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ সময়ে শনাক্তের হার ৯ দশমিক ৩৫ শতাংশ।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আজ এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়, দেশে এ পর্যন্ত ১ কোটি ৫৭ লাখ ২৬ হাজার ৪৮৬ জনের নমুনা পরীক্ষায় মোট করোনা শনাক্ত হয়েছে ২০ লাখ ৫১ হাজার ৭৭০ জন। এ পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ০৫ শতাংশ।

করোনা আক্রান্ত হয়ে আজ কেউ মারা যায়নি। এখন পর্যন্ত দেশে করোনায় মৃতের সংখ্যা ২৯ হাজার ৫০০ জন। মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪৪ শতাংশ।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, করোনা আক্রান্তদের মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছে ২ জন। এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছে ২০ লাখ ১৯ হাজার ৩৮০ জন। সুস্থতার হার ৯৮ দশমিক ৪২ শতাংশ।


হাসপাতালগুলোতে আবার চালু হচ্ছে করোনা পরীক্ষা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

দেশে করোনা সংক্রমণ আবারও বাড়তে থাকায়, হাসপাতালগুলোতে সীমিত পরিসরে করোনা পরীক্ষার ব্যবস্থা চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

প্রাথমিকভাবে যে সব মেডিকেল কলেজ ও জেলা হাসপাতালে আরটি পিসিআর ল্যাব রয়েছে, সেখানেই এই পরীক্ষা শুরু করা হবে।

আজ বুধবার (১১ জুন) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার পরিচালক অধ্যাপক ডা. হালিমুর রশীদ গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, স্থানীয় কোম্পানিগুলো থেকে পরীক্ষার কিট সংগ্রহ করা হচ্ছে। পাশাপাশি বিদেশ থেকেও কিট আমদানির জন্য সেন্ট্রাল মেডিকেল স্টোরস ডিপো (সিএমএসডি)-কে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

হালিমুর রশীদ আরো বলেন, আমরা আশা করছি, আগামী ১০ দিনের মধ্যে হাসপাতালগুলোতে করোনা পরীক্ষার ব্যবস্থা আবার চালু করা যাবে- তবে তা সীমিত পরিসরে হবে।

তিনি বলেন, যে সব হাসপাতালে আরটিপিসিআর ল্যাব রয়েছে, করোনা পরীক্ষা পুনরায় চালু করার প্রস্তুতি নিতে তাদেরকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল, সিলেট ও ময়মনসিংহসহ বিভাগীয় শহরের হাসপাতালগুলোতে করোনা পরীক্ষা চালু করা হবে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, যাদের করোনা উপসর্গ থাকবে, পরীক্ষা শুধু তাদের জন্যই চালু করা হবে। সে অনুযায়ী তারাই এ পরীক্ষার জন্য উপযুক্ত হবেন- যাদের শরীরে কোভিড-১৯ এর উপসর্গ (জ্বর, কাশি ও শ্বাসকষ্ট) রয়েছে অথবা চিকিৎসক যাদের করোনা পরীক্ষার পরামর্শ দেবেন।

হালিমুর রশীদ আরও বলেন, সংক্রমণের হার যদি আরও বাড়ে, তাহলে পরীক্ষার পরিধিও বাড়ানো হবে।

জনগণকে মাস্ক পরা, হাত ধোয়ার পাশাপাশি উপসর্গ দেখা দিলে ঘরে থাকার আহ্বান জানান তিনি।

অধ্যাপক ডা. রশীদ আরো বলেন, আমরা চাই না যে, পরিস্থিতি আবারো হাতের বাইরে চলে যাক। তাই সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।


দেশে ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে ২৮৮ জন আক্রান্ত

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ইউএনবি

এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে মঙ্গলবার (১০ জুন) সকাল থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় দেশে কোনো রোগীর মৃত্যু হয়নি। এ সময়ে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ২৮৮ জন।

বুধবার (১১ জুন) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ অ্যান্ড ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের সংবাদ বিজ্ঞপ্তি থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

বিজ্ঞপ্তি থেকে পাওয়া তথ্য অনুসারে, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে দেশের বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি ভর্তি হয়েছেন ২৮৮ জন। নতুন আক্রান্তের মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ১৫ জন। আর ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন আরও ২৭৩ জন।

বিজ্ঞপ্তি থেকে পাওয়া তথ্য অনুসারে, চলতি বছর আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত ২৩ জনের মৃত্যু হয়েছে, যাদের মধ্যে ৫৬ দশমিক ৫ শতাংশ পুরুষ এবং ৪৩ দশমিক ৫ শতাংশ নারী।

বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ১১ জুন পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন মোট ৫ হাজার ৩০৩ জন। এর মধ্যে ৫৯ দশমিক ৭ শতাংশ পুরুষ এবং ৪০ দশমিক ৩ শতাংশ নারী।


ঈদে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারবিহীন হাসপাতাল,  ভোগান্তিতে রোগীরা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ইউএনবি

লালবাগ থেকে হাড় ভেঙে যাওয়া চাচাকে নিয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসতাপালে এসেছেন আকাশ নামে যুবক। তার চাচাকে জরুরী ভিত্তিতে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) রাখার প্রয়োজন হলেও তা মেলেনি, এমনকি ডাক্তাদের দেখাও মেলেনি। অথচ হাসপাতালের নির্দেশনাতে বলা রয়েছে, সব রোগীদের জন্য ডাক্তার ও প্রয়োজনীয় সব সুযোগ-সুবিধা সবসময়ই বহাল থাকবে।

শনিবার (৭ জুন) সরেজমিনে ঢামেকে দেখা মেলে জাহিদ মিয়া নামে এক ব্যক্তির। তিনদিন আগে সিলেট থেকে এসেছেন তিনি। সিমেন্টের বস্তা বহন করতে গিয়ে অসাবধানতাবশত তা বুকে পড়ে ভেঙ্গে যায় কয়েকটি হাড়। চিকিৎসা নিতে এতে বেশ কয়েকদিন পার হয়ে গেলেও মিলছে না কোনো সেবা।

এসবের পাশাপাশি রয়েছে আরও এক গুরুতর সমস্যা। হাসপাতালে আগত অধিকাংশ রোগীর অভিযোগ, নার্সরা অসৌজন্যমূলক আচরন করেন, পাশাপাশি সেবা প্রদানেও উদাসীনতা দেখান তারা। নার্সদের এমন ব্যবহারে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন রোগীরা।

সেবা নেই বেসরকারি হাসপাতালে

রাজধানীর কল্যাণপুরে ইবনে সিনা হাসপাতালের জরুরি বিভাগে সেবা নিতে এসেছেন মিমি (৩৫)। তিনি বলেন, ‘আমার শরীর খারাপ লাগায় জরুরি বিভাগে এসেছি ডাক্তার দেখাতে। একজন বিশেষজ্ঞ দেখাতে চেয়েছিলাম। কিন্তু এখান থেকে জানানো হলো, ঈদের দিন কোনো বিশেষজ্ঞ ডাক্তার নেই।’

জরুরি দায়িত্বে থাকা ডাক্তার শাখাওয়াত জানান, ডিপার্টমেন্ট অনুযায়ী ডাক্তারদের ডিউটি ভাগ করা আছে। তবে ঈদের দিন কোনো বিশেষজ্ঞ ডাক্তার নেই। রবিবার থেকে দুজন করে বিশেষজ্ঞ ডাক্তার থাকবেন বলে জানান তিনি।

ইবনে সিনার কাস্টমার কেয়ার থেকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন কাস্টমার কেয়ার অফিসার বলেন, ‘আমাদের সম্পূর্ণ সেবা চালু হবে ১৪ তারিখ। সব ডাক্তার ১৪ জুন থেকে জয়েন করবেন।’

ইনডোরে যারা ভর্তি রয়েছেন তাদের জরুরি প্রয়োজনে কে দেখবেন, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘যে রোগী যে চিকিৎসকের আওতায় ভর্তি আছেন, তার সঙ্গে যোগাযোগ করে দায়িত্বরত চিকিৎসকরা সেবা দেবেন। ঈদের দিন কোনো ডাক্তার আসেননি।’

প্রসূতি বিভাগ খোলা রাখার ব্যাপারে বলেন, ‘যদি সেরকম রোগী আসে, জরুরি ব্যবস্থা নেয়ার মতো চিকিৎসক আছেন।’
তবে শনিবার কোনো ডাক্তার এই বিভাগেও ছিল না বলে জানান ওই কর্মকর্তা।

একই চিত্র দেখা যায় আনোয়ার খান মর্ডান মেডিকেল হাসপাতালেও। খবর নিয়ে জানা যায়, সেখানেও ঈদের দিন ও ঈদের পরদিন অর্থাৎ ৮ জুন কোনো বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক থাকবেন না। সেক্ষেত্রে সেবা নিতে আসা অনেককেই ফিরে যেতে হচ্ছে বলে জানান সেখানকার একজন দায়িত্বরত কর্মকর্তা।

এসব পরিস্থিতি বিবেচনায়, সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালের জন্য যে ১৬টি নির্দেশনা দেওয়া আছে, সেটার যথাযথ প্রয়োগ হচ্ছে কি না, সেক্ষেত্রে প্রশ্ন তৈরি হয়েছে।

এ বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক মইনুল আহসান ইউএনবিকে বলেন, ‘প্রাইভেট হাসপাতাল তো তাদের মতো সিদ্ধান্ত নেয়। সরকারি হাসপাতালে কোনো রোগীর যদি অভিযোগ থাকে, ওয়ার্ড নাম্বার ও রোগীর নাম বলে শুধু মৌখিক অভিযোগ করলেই আমরা ব্যবস্থা নেবো।’

নির্দেশনা অনুযায়ী বলা হয়েছিল, হাসপাতাল পরিচালকদের যেকোনো সময় প্রয়োজন হলে হাসপাতালে অবস্থান করতে হবে। তবে চিকিৎসক সংকট বিষয়ে কথা বলার জন্য ঢামেকের পরিচালক বিগ্রেডিয়ার আসাদুজ্জামান ও উপপরিচালক আশরাফুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তাদেরকে মুঠোফোনে পাওয়া যায়নি।
এর আগে, এই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সরকারি হাসপাতালগুলোর জন্য ১৬টি গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা এবং বেসরকারি হাসপাতালগুলোর জন্য দুটি মূল নির্দেশনা দেয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, যাতে সারা দেশে জরুরি চিকিৎসাসেবা বিঘ্নিত না হয়। যদিও সেসব নির্দেশনার বাস্তবায়ন তেমন চোখে পড়েনি।


ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে আরো ৬২ জন হাসপাতালে ভর্তি  

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে আরো ৬২ জন দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।

বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোলরুম থেকে পাঠানো ডেঙ্গুবিষয়ক এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রোগীর মধ্যে বরিশাল বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৫০ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) দুই জন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ছয় জন, ময়মনসিংহ বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) এক জন, রংপুর বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) এক জন এবং সিলেট বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) দুই জন রয়েছেন।

২৪ ঘণ্টায় ৬৭ জন ডেঙ্গুরোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন। চলতি বছরে এ যাবত মোট ৪ হাজার ৪১৬ জন রোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন।

চলতি বছরের এ পর্যন্ত মোট ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছে ৪ হাজার ৮৪৫ জন। এরমধ্যে ৫৯ দশমিক ৪ শতাংশ পুরুষ এবং ৪০ দশমিক ৬ শতাংশ নারী রয়েছেন।

গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে কারো মৃত্যু হয়নি। চলতি বছরে এ যাবত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ২৩ জন মারা গেছেন।

২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছে এক লাখ এক হাজার ২১৪ জন এবং ডেঙ্গুতে মারা যান ৫৭৫ জন।


ভারতে দ্রুত ছড়াচ্ছে করোনা ভাইরাস, মারা গেছেন ৭ জন

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

ভারতে করোনাভাইরাসে বিভিন্ন রাজ্যে এ পর্যন্ত মারা গেছেন ৭ জন। আক্রান্তের সংখ্যাও দ্রুত বাড়ছে। এখন পর্যন্ত দেশটিতে প্রায় ৩ হাজার লোক এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে কেরালায় আক্রান্তের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। এর পরই রয়েছে মহারাষ্ট্র ও দিল্লি। সরকারি হিসাব অনুযায়ী, গত চার দিনের মধ্যে আক্রান্তের সংখ্যা দ্রুত বেড়েছে।

গতকাল শনিবার এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২৬ মে পর্যন্ত ভারতে মোট ১ হাজার ১০ জন আক্রান্ত হওয়ার রেকর্ড করা হলেও স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সরকারি তথ্য অনুযায়ী ৩০ মে পর্যন্ত মোট এই সংখ্যা ২ হাজার ৭১০ জনে দাঁড়িয়েছে।

তথ্য অনুসারে কেরালায় ১ হাজার ১৪৭ জন, মহারাষ্ট্রে ৪২৪, দিল্লিতে ২৯৪ এবং গুজরাটে ২২৩ জনের আক্রান্তের খবর পাওয়া গেছে। তামিলনাড়ুতে এখন পর্যন্ত মোট ১৪৮ জন আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। যেখানে কর্ণাটক এবং পশ্চিমবঙ্গে যথাক্রমে ১৪৮ এবং ১১৬।

এ ছাড়া রাজস্থানে ৫১ জন, উত্তর প্রদেশে ৪২ জন, পুদুচেরিতে ২৫ জনসহ হরিয়ানা, অন্ধ্রপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, গোয়ায় করোনাভাইরাসে আক্রান্তের খবর পাওয়া গেছে। ওড়িশা, পাঞ্জাব ও জম্মু কাশ্মীরেও করোনায় আক্রান্তের খবর পাওয়া গেছে।

আন্দামান ও নিকোবর, সিকিম, হিমাচল প্রদেশে এখনো আক্রান্তের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।

এদিকে সরকারি তথ্য অনুযায়ী, সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে ভারতজুড়ে কমপক্ষে ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। মহারাষ্ট্রে (১) এবং দিল্লিতে (১) মারা যাওয়া দুজনের কোভিড-১৯-এর পাশাপাশি অন্যান্য গুরুতর অসুস্থতাও ছিল। তবে অন্যরা সংক্রমণের কারণে মারা গেছেন কি না, তা এখনো স্পষ্ট নয়।

কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, পাঞ্জাবের একজন ছাড়া যারা মারা গেছেন তারা সবাই প্রবীণ নাগরিক। তবে কর্মকর্তারা বলেছেন, করোনাভাইরাসের ঘটনাগুলো হালকা প্রকৃতির এবং এতে আতঙ্কিত হওয়ার কোনো কারণ নেই।

এই সপ্তাহের শুরুতে ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিকেল রিসার্চ (আইসিএমআর) এর মহাপরিচালক ডা. রাজীব বাহল এ বিষয়ে সতর্ক থাকার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়েছেন।

তিনি বলেন, ‘কোভিড-১৯-এর এই নতুন রূপটি নিয়ে জনসাধারণের উদ্বিগ্ন হওয়ার কোনো কারণ নেই। আমাদের কেবল সতর্ক থাকতে হবে। সরকার এবং সব সংস্থা কী ঘটছে তা পর্যবেক্ষণ করছে। আমার মতে, প্রাথমিক সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত। আমরা এখনই বর্ধিত সতর্কতার কথা বলছি না। তবে যদি কেউ ক্যানসার রোগী হন বা তার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার সমস্যা থাকে, তাহলে আমরা সাধারণত তাদের কোনো সংক্রমণ এড়াতে পরামর্শ দিই। সতর্কতা অবলম্বন করা প্রয়োজন।’


ডেঙ্গুতে ২২ জন আক্রান্ত, মৃত্যু নেই

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ইউএনবি

এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে শুক্রবার (৩০ মে) সকাল থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় দেশে কোনো রোগীর মৃত্যু হয়নি। এ সময়ে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ২২ জন।

শনিবার (৩১ মে) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ অ্যান্ড ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের সংবাদ বিজ্ঞপ্তি থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

বিজ্ঞপ্তি থেকে পাওয়া তথ্য অনুসারে, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে দেশের বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি ভর্তি হয়েছে ২২ জন। নতুন আক্রান্তের মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ১৩ জন। আর ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন আরও ৯ জন।

বিজ্ঞপ্তি থেকে পাওয়া তথ্য অনুসারে, চলতি বছর আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত ২৩ জনের মৃত্যু হয়েছে, যাদের মধ্যে ৫৬ দশমিক ৫ শতাংশ পুরুষ এবং ৪৩ দশমিক ৫ শতাংশ নারী।

বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ২৬ মে পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন মোট ৪ হাজার ৩৪৫ জন। এর মধ্যে ৫৯ দশমিক ৫ শতাংশ পুরুষ এবং ৪০ দশমিক ৫ শতাংশ নারী।


দেশে ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত ৩, নমুনা পরীক্ষা ৫

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ইউএনবি

শুক্রবার (২৩ মে) সকাল ৮টা থেকে দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও একজনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত করা হয়েছে। এ সময়ে আক্রান্ত হয়ে কারও মৃত্যু হয়নি। শনিবার (২৪ মে) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের করোনাবিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এখন পর্যন্ত দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত মোট রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২০ লাখ ৫১ হাজার ৬৭০ জনে। আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ২৯ হাজার ৪৯৯ জনের।

এতে আরও বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ৫ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এ সময়ে শনাক্তের হার ছিল ০ দশমিক ০০ শতাংশ। মোট করোনা পরীক্ষায় এ পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ০৫ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় মোট মৃত্যুহার ১ দশমিক ৪৪ শতাংশ।

এ নিয়ে করোনায় সুস্থ হয়ে ওঠা ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২০ লাখ ১৯ হাজার ৩৪৯ জনে।


দেশে ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত ৬৭

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ইউএনবি

এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে মঙ্গলবার (২০ মে) সকাল থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় দেশে কোনো রোগীর মৃত্যু হয়নি। এ সময়ে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৬৭ জন।

বুধবার (২1 মে) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ অ্যান্ড ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের সংবাদ বিজ্ঞপ্তি থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

বিজ্ঞপ্তি থেকে পাওয়া তথ্য অনুসারে, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে দেশের বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি ভর্তি হয়েছে ৬৭ জন। নতুন আক্রান্তের মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ১৫ জন। আর ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে আরও ৫২ জন।

বিজ্ঞপ্তি থেকে পাওয়া তথ্য অনুসারে, চলতি বছর আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত ২২ জনের মৃত্যু হয়েছে, যাদের মধ্যে ৫৬ দশমিক ৫ শতাংশ পুরুষ এবং ৪৩ দশমিক ৫ শতাংশ নারী।

বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ২১ মে পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন মোট ৩ হাজার ৫৩৬ জন। এর মধ্যে ৬০ দশমিক ২ শতাংশ পুরুষ এবং ৩৯ দশমিক ৮ শতাংশ নারী।


২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে মৃত্যু ১, হাসপাতালে ১০১

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ইউএনবি

এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে সোমবার (১৯ মে) সকাল থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় দেশে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময়ে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১০১ জন।

মঙ্গলবার (২০ মে) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ অ্যান্ড ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের সংবাদ বিজ্ঞপ্তি থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

বিজ্ঞপ্তি থেকে পাওয়া তথ্য অনুসারে, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে দেশের বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি ভর্তি হয়েছে ১০১ জন। নতুন আক্রান্তের মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ৪১ জন। আর ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে আরও ৬০ জন।

বিজ্ঞপ্তি থেকে পাওয়া তথ্য অনুসারে, চলতি বছর আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত ২৩ জনের মৃত্যু হয়েছে, যাদের মধ্যে ৫৬ দশমিক ৫ শতাংশ পুরুষ এবং ৪৩ দশমিক ৫ শতাংশ নারী।

বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ২০ মে পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন মোট ৩ হাজার ৬৩৭ জন। এর মধ্যে ৬০ দশমিক ০ শতাংশ পুরুষ এবং ৪০ দশমিক ০ শতাংশ নারী।


banner close