মঙ্গলবার, ১৭ জুন ২০২৫
৩ আষাঢ় ১৪৩২

ওষুধ কিনতেই নাভিশ্বাস

জাকিয়া আহমেদ
প্রকাশিত
জাকিয়া আহমেদ
প্রকাশিত : ২৭ আগস্ট, ২০২৩ ০৮:২২

রোগ সারাতে চিকিৎসকের পরামর্শে ওষুধপথ্য সেবন করেন রোগীরা। অসুখ সারবে বলে আশায় বুক বাঁধেন। কিন্তু সেই ওষুধ এখন রোগ সারানোর বদলে উল্টো যেন চেপে ধরছে রোগীদের। ওষুধের বাড়তি খরচই তুলছে তাদের নাভিশ্বাস। বর্তমানে উচ্চ রক্তচাপের মাত্র একটি ওষুধেই রোগীদের পকেট থেকে অতিরিক্ত খরচ হচ্ছে বছরে ৩ হাজার ৪৭০ কোটি ৪০ লাখ টাকা। আর ডায়াবেটিসের একটি ওষুধে বছরে রোগীদের অতিরিক্ত খরচ হচ্ছে ২ হাজার ৮২৯ কোটি ৬০ লাখ টাকা। দুটি ওষুধে রোগীদের মোট বাড়তি ব্যয় করতে হচ্ছে ৬ হাজার ৩০০ কোটি টাকা।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অসংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার ২০২২ সালের এক জরিপের তথ্য অনুযায়ী, দেশে উচ্চ রক্তচাপের রোগীর সংখ্যা প্রায় ৪ কোটি ৮২ লাখ। এ অসুস্থতায় ভোগা একজনকে দিনে একটি করে এনজিলক খেতে হয়। গত বছরে দাম বাড়ার আগে অর্থাৎ ২০২২ সালের জুনে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর দাম বাড়ানোর আগে এর দাম ছিল ৮ টাকা (১০টির এক পাতা ৮০ টাকা)। এখন প্রতিটি ট্যাবলেটের দাম ১০ টাকা। মানে এক পাতা ১০০ টাকা। মাসে একজন উচ্চ রক্তচাপের রোগীর খরচ বেড়েছে ৬০ টাকা। এই হিসাবে ৪ কোটি ৮২ লাখ রোগীর মাসে বাড়তি খরচ ২৮৯ কোটি ২০ লাখ টাকা। বছরে ৩ হাজার ৪৭০ কোটি ৪০ লাখ টাকা।

ইন্টারন্যাশনাল ডায়াবেটিস ফেডারেশনের ২০২১ সালের এক জরিপ অনুযায়ী, দেশে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগী ১ কোটি ৩১ লাখ। যদিও ২০২২ সালে বারডেম জানায়, দেশের জনসংখ্যার ২৫ দশমিক ২ শতাংশ অর্থাৎ চার কোটিরও বেশি মানুষ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত। চিকিৎসকদের ভাষ্যে, ডায়াবেটিস রোগীদের ৬১ শতাংশই জানেন না যে তারা ডায়াবেটিসে আক্রান্ত। ফলে ধরে নেয়া যায়, ১ কোটি ৩১ লাখ মানুষ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত জেনে ওষুধ খাচ্ছেন।

ডায়াবেটিসের রোগীরা লিনাগ্লিপ নামে একটি ওষুধ সেবন করেন। ২০২২ সালের জুনের আগে এর একটির দাম ছিল ৬০ টাকা (এক পাতা বা ১০টি ট্যাবলেট ৬০০ টাকা)। এখন একটি ট্যাবলেটের দাম ৬৬ টাকা; এক পাতা ওষুধ ৬৬০ টাকা। মাসে এই একটি ওষুধের জন্য রোগীর খরচ বেড়েছে ১৮০ টাকা। বছরে ২ হাজার ১৬০ টাকা। অর্থাৎ বছরে দেশের ডায়াবেটিস রোগীদের মাত্র একটি ওষুধের জন্য বাড়তি খরচ করতে হচ্ছে ২ হাজার ৮২৯ কোটি ৬০ লাখ টাকা।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অসংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার পরিচালক অধ্যাপক ডা. রোবেদ আমীন দৈনিক বাংলাকে বলেন, ‘ওষুধের দাম বাড়ার কারণে সব রোগীই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। বিশেষ করে ক্রনিক ডিজিজ অর্থাৎ দীর্ঘমেয়াদি ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগ, কিডনি রোগের মতো অসুখে আক্রান্ত রোগীর খরচ অনেক বেশি বেড়ে গেছে। তাদের সারা জীবন এসব ওষুধ কিনে খেতে হবে।’

যদিও বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসের চিফ অপারেটিং অফিসার রাব্বুর রেজার মতে, সংকট এবং কাঁচামালের দাম বাড়া সত্ত্বেও ওষুধের দাম সেভাবে বাড়েনি। তিনি বলেন, ‘ডলারের সংকট, ওষুধের কাঁচামালের দাম বেড়েছে। কিন্তু সেভাবে ওষুধের দাম বাড়ানো হয়নি। বরং অনেক ওষুধের দাম কমেছে, সেসব নিয়ে কথা হচ্ছে না।’

চিকিৎসা খরচের ৬৪ শতাংশই ওষুধে

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইউনিট বলছে, দেশে একজন মানুষের মোট চিকিৎসা খরচ যত হয়, তার প্রায় দুই-তৃতীয়াংশই হচ্ছে ওষুধ কেনার পেছনে। গত ৫ জানুয়ারি প্রকাশিত স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইউনিটের ‘বাংলাদেশ ন্যাশনাল হেলথ অ্যাকাউন্টস ১৯৯৭-২০২০’ শীর্ষক প্রতিবেদনে এই পরিসংখ্যান তুলে ধরা হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়, চিকিৎসা ব্যয়ের মধ্যে রোগীর সবচেয়ে বেশি খরচ হয় ওষুধের পেছনে; ৬৪ দশমিক ৬ শতাংশ। যার কারণে মানুষ দরিদ্র থেকে দরিদ্র হচ্ছে।

স্বাস্থ্য অর্থনীতিবিদরা বলছেন, জনগণের এই ওষুধের খরচের পেছনে বিভিন্ন দেশে সরকারের প্রচুর ভর্তুকি থাকলেও এ দেশে তা তুলনামূলক খুবই কম। ৩০ হাজার কোটি টাকার ওষুধের বাজারে সরকার খরচ করে ৩ থেকে ৫ শতাংশ। বাকি ৯৫ শতাংশই খরচ করতে হয় ব্যক্তিকে নিজের পকেট থেকে।

জনস্বাস্থ্যবিদ ডা. মুশতাক হোসেন দৈনিক বাংলাকে বলেন, ‘সরকার ২০৩০ সালের মধ্যে সর্বজনীন স্বাস্থ্য সুরক্ষা বাস্তবায়নে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। এর অন্যতম লক্ষ্য পয়সার অভাবে যেন কেউ চিকিৎসাবঞ্চিত না হয়। কিন্তু এখন যা দেখা যাচ্ছে, তাতে ২০৩০ সাল নাগাদ ওষুধ সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে চলে যাবে।’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ড. সৈয়দ আব্দুল হামিদ দৈনিক বাংলাকে বলেন, ‘২০১৬ সালে করা স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইনস্টিটিউটের এক প্রতিবেদনে দেখা যায়, চিকিৎসা খরচ মেটাতে গিয়ে বছরে ৮৬ লাখ মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে চলে যাচ্ছে। এখন এই সংখ্যা আরও বেশি বলে মনে হচ্ছে। এসব মানুষকে সংসারের অন্যান্য খাতের খরচ কমিয়ে চিকিৎসায় সে অর্থ ব্যয় করতে হচ্ছে।’

সাধারণ ওষুধের হালচাল

দেশে সবচেয়ে বেশি বিক্রি হওয়া ওষুধের অন্যতম নাপা সিরাপ। জ্বর, সর্দি, শরীর ও মাথাব্যথায় শিশুদের জন্য এর বিকল্প কম। ২০২২ সালের জুন পর্যন্ত এই নাপা সিরাপের দাম ছিল ১৮ টাকা। ২০২২ সালের ৩০ জুন ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর এ সিরাপের দাম নির্ধারণ করে ২০ টাকা। কিন্তু বছর শেষে নভেম্বরের মাঝামাঝিতে দাম হয় ২৫ টাকা। আর চলতি বছরের জুনের মাঝামাঝি নাগাদ এক বোতল নাপা সিরাপের দাম দাঁড়ায় ৩৫ টাকা। অর্থাৎ এক সিরাপের দাম বেড়েছে ১৭ টাকা।

একই অবস্থা বহুল বিক্রীত ওষুধ নাপা ট্যাবলেটের। এক পাতায় থাকে ১০টি ট্যাবলেট। ২০২২ সালের জুনের আগে নাপার প্রতি পাতার দাম ছিল ৮ টাকা। ওই বছরের ৩০ জুন ঔষধ প্রশাসনের দাম বাড়ানোর পর হয় ১০ টাকা। চলতি বছরের এপ্রিলে ওই এক পাতার দাম হয়ে যায় ১২ টাকা। অর্থাৎ নাপা ট্যাবলেটের দামও বেড়েছে ৫০ শতাংশ।

বিভিন্ন দূষণের কারণে দেশে কোষ্ঠকাঠিন্যে ভোগা রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। এ জন্য সবচেয়ে বেশি যে ওষুধ চিকিৎসকরা খাওয়ার পরামর্শ দেন তার অন্যতম অ্যাভোলাক সিরাপ। ওষুধ বিক্রেতারা জানাচ্ছেন, পুরো দেশে প্রতিদিন কয়েক লাখ অ্যাভোলাক সিরাপ বিক্রি হয়। সরকার দাম বাড়ানোর আগে অ্যাভোলাকের দাম ছিল ১৪০ টাকা। গত মে মাসের শেষ থেকে সেটি বিক্রি হচ্ছে ১৭০ টাকায়।

ওষুধ বিক্রেতারা বলছেন, দফায় দফায় দাম বাড়ায় কোম্পানিগুলো। তাই নির্দিষ্ট করে বাড়ানোর দিন-তারিখ বলা কঠিন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক বিক্রেতা জানান, কোম্পানিগুলো প্রথমে বাজারে ওষুধের সংকট দেখায়। তারপর বিক্রেতাদের মুঠোফোনে সংকটের কথা জানিয়ে খুদেবার্তা পাঠায়। এরপর দাম বাড়ানোর কথা জানায়।

শুধু নাপা অথবা অ্যাভোলাকই নয়, গত বছরের জুলাই মাসের পর থেকে সরকার-নির্ধারিত দাম উপেক্ষা করে বহুল ব্যবহৃত, বিক্রেতাদের ভাষায় ‘ফাস্ট মুভিং’ ওষুধগুলোর দাম বাড়ানো হচ্ছে দফায় দফায়।

দেশে অত্যাবশ্যকীয় তালিকায় ওষুধ আছে ২১৯টি। এর মধ্যে ১১৭টি ওষুধের সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য নির্ধারণ করে অধিদপ্তর। এই ১১৭টির মধ্যে ২০টি জেনেরিকের ৫৩টি ওষুধের খুচরা মূল্য বাড়ানোর অনুমোদন দেয়া হয়।

এতে দেখা গেছে, কোনো কোনো ওষুধের দাম বেড়েছে দ্বিগুণেরও বেশি। বৃদ্ধির হার ছিল ১৩২ শতাংশ পর্যন্ত। এর বাইরে বাকি সব ওষুধের দাম নির্ধারিত হয় প্রস্তুতকারী কোম্পানির প্রস্তাব এবং সুপারিশের ভিত্তিতে। কিন্তু বাস্তবে দেখা যাচ্ছে, দেশে এমন কোনো ওষুধ নেই যার দাম বাড়েনি। কেবল একবার নয়, দফায় দফায় দাম বেড়ে ওষুধ এখন সাধারণ মানুষের এক দীর্ঘশ্বাসের নাম।

সরেজমিন ওষুধের দোকান

বাজার ঘুরে দেখা গেছে, গ্যাস্ট্রিক, উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিসসহ বিভিন্ন রোগের ওষুধের দাম বেড়েছে ১৩ থেকে ৩৩ শতাংশ পর্যন্ত। কোনো কোনো কোম্পানির জীবনরক্ষাকারী ওষুধের দাম বেড়েছে ১০ থেকে ৫০ শতাংশ।

শাহবাগ এলাকা এবং ঢাকা, মুগদা ও সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনের ওষুধের দোকানের একাধিক বিক্রেতা দৈনিক বাংলাকে জানান, সরকারিভাবে দাম বেড়েছে একবার। কিন্তু কোম্পানি দাম বাড়িয়েছে কয়েকবার। দাম বাড়ানোর জন্য কৃত্রিমভাবে ওষুধের সংকটও তৈরি করা হচ্ছে।

বিক্রেতারা জানান, ভিটামিন বি১, বি৬, বি১২-এর মধ্যে বেশি চলে নিউরো বি, ভিটাবিয়ন, নিওবিয়ন, রেনেটার নিউরোবেস্ট, মায়োলিন। এগুলোর প্রতিটির আগে দাম ছিল ৮০ টাকা পাতা। এখন কোনো কোম্পানি করেছে ৯০ টাকা, কেউ করেছে ১০০ টাকা।

অ্যান্টিবায়োটিকের ক্ষেত্রে বহুল প্রচলিত অ্যাজিথ্রোমাইসিন। যার মধ্যে জিম্যাক্স অন্যতম। জিম্যাক্স ৩৫ টাকা থেকে হয়েছে ৪০ টাকা। তবে কোনো কোনো কোম্পানি করেছে ৪৫ টাকা। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বিক্রি হয় সেফিক্সিম। এই জেনেরিকের পিস হিসেবে সেফথ্রি ২০০ এমজি আগে বিক্রি হতো ৩৫ টাকায়, এখন ৪৫ টাকা। সেফথ্রি ডিএস ৪০০ এমজি ছিল ৫০ টাকা, হয়েছে ৬০ টাকা প্রতি পিস।

কেমন আছেন রোগীরা

চাঁপাইনবাবগঞ্জের শাহেনুর রহমান হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছেন। ভুগছেন উচ্চ রক্তচাপেও। প্রতি মাসে তার ১ হাজার ৭০০ টাকার ওষুধ লাগত। এখন একই ওষুধের জন্য মাসে তার খরচ হচ্ছে ২ হাজার ৫০০ টাকা।

রাজধানীর নিকেতন ১ নম্বর গেটের পরের ছোট্ট ব্রিজ পার হয়ে গুলশানে ঢোকার মুখে লেকপাড়ে টং দোকান চালান দ্বীন মোহাম্মদ। ৪৫ বছরের দ্বীন মোহাম্মদ ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্ত। সঙ্গে আড়াই বছর আগে যোগ হয়েছে কিডনি রোগ। দ্বীন মোহাম্মদ জানালেন, উচ্চ রক্তচাপের ওষুধ বাদ দিয়েছেন। আর ডায়াবেটিস ও কিডনির ওষুধ খাওয়া কমিয়েছেন। কারণ কেনার সামর্থ্য নেই।

বেসরকারি কোম্পানিতে চাকরি করেন লিটন মুন্সী। জানালেন, ১৩ বছর ধরে স্ট্রোকের কারণে তার মায়ের শরীরের বাম পাশ প্যারালাইজড। সঙ্গে রয়েছে ডায়াবেটিস আর উচ্চ রক্তচাপ ও কিডনি সমস্যা। সপ্তাহে দুই দিন ডায়ালাইসিস করতে হয়।

লিটন মুন্সী বলেন, ‘এখন মাসের শেষ দিকে পরিকল্পনা করতে হয় সামনের মাসে কোন খরচ বাদ দিয়ে সেই টাকায় মায়ের পুরো ওষুধ কিনব। ওষুধের দাম যদি এত বাড়ে, তাহলে মানুষ বাঁচবে কীভাবে?’

মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উল্টো দিকে ওষুধের দোকানমালিক গোলাম মেহেদী হাসান আকন্দ বলেন, ‘পুরো বাংলাদেশে প্রতিদিন কয়েক লাখ অ্যাভোলাক সিরাপ বিক্রি হয়। কয়েক মাস আগে ১৪০ টাকার অ্যাভোলাক-১০০ এমএল ছিল ১৬০ টাকা, এখন সেটি ১৭০ টাকা। বড়টির দাম ছিল ২৫০ টাকা, এখন হয়েছে ২৯০ টাকা।’

নিকেতনের মেসার্স হাসান ফার্মেসির ওষুধ বিক্রেতা সাগর জানান, তার দোকানে দিনে অন্তত পাঁচটি অ্যাভোলাক সিরাপ বিক্রি হয়। সে হিসাবে মাসে বিক্রি হয় ১৫০ বোতল।

এই হিসাবে এক অ্যাভোলাক সিরাপেই এই দোকানের ক্রেতাদের পকেট থেকে ৩০ টাকা বাড়তি ধরে মাসে চলে যাচ্ছে ১ লাখ ৩৫ হাজার টাকা বাড়তি খরচ, বছরে যা দাঁড়ায় ১৬ লাখ ২০ হাজার টাকা।

রাজধানীর মগবাজারে মেসার্স রমনা ফার্মেসিতে ওষুধ ক্রেতাদের ভিড় লেগেই থাকে। এখানে অ্যাভোলাক ২০০ এমজির দাম ২৫০ টাকা থেকে হয়েছে ২৯০ টাকা। মানুষ বেশি কেনে বড় বোতলটিই। দোকানটি মাঝারি মানের জানিয়ে রমনা ফার্মেসির স্বত্বাধিকারী এজাজ উদ্দিন বলেন, মাসে ৩০টির মতো অ্যাভোলাকের বড় বোতল বিক্রি হয়।

বাংলাদেশ কেমিস্টস অ্যান্ড ড্রাগিস্ট সমিতির তথ্যমতে, পুরো দেশে আড়াই থেকে তিন লাখ ওষুধের দোকান রয়েছে। বাংলাদেশে কেমিস্টস অ্যান্ড ড্রাগিস্ট সমিতির পরিচালক জাকির হোসেন রনি বলেন, দেশে তাদের নিবন্ধিত ওষুধের দোকান রয়েছে আড়াই থেকে তিন লাখ। তবে অনিবন্ধিত রয়েছে এর প্রায় দেড় গুণ।

ওষুধের দাম বৃদ্ধির পক্ষে যুক্তি দিয়ে ইনসেপ্টা ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের চেয়ারম্যান আব্দুল মুক্তাদির দৈনিক বাংলাকে বলেন, ‘আগে ওষুধের যে কাঁচামাল কেনা হতো ৮০ টাকায়, সেটির দাম এখন ১১১ টাকা। তার মানে এখানে দাম বেড়েছে ২৬ টাকা, অর্থাৎ ৩০ শতাংশ। কিন্তু আমাদের ১১১ টাকায় কাঁচামাল কিনে ওষুধ বিক্রি করতে হচ্ছে ১০০ টাকায়। আমাদের আসলে লোকসান হচ্ছে। কিন্তু আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, দাম আপাতত আর বাড়াব না। অর্থনৈতিক অবস্থা একটু স্থিতিশীল হোক, এরপর সরকারের সঙ্গে আমরা কথা বলব।’

যা বলছে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর

ওষুধের দাম বাড়ানোর জন্য কোম্পানিগুলোর চাপের কথা জানিয়েছেন ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ ইউসুফ। তিনি মনে করেন, কোম্পানিগুলো আগ্রাসী বিপণন নীতি পরিহার করলে, দামি মোড়ক ব্যবহার না করলে এবং উপহার দেয়া বন্ধ করলে ওষুধের দাম কমবে।

মোহাম্মদ ইউসুফ বলেন, ‘ক্যানসার, কিডনি রোগ বা পক্ষাঘাতের চিকিৎসা করাতে গিয়ে অনেকে শেষ সম্বল ভিটা বা জমি বিক্রি করেন। এসব রোগের চিকিৎসা করাতে গিয়ে অনেকে দারিদ্র্যসীমার নিচে চলে যাচ্ছেন।’

তার মতে, ডলারের দাম যেভাবে বেড়েছে, ওষুধের দাম সেভাবে বাড়েনি। তিনি বলেন, ‘যখন ক্রাইসিস (ডলার ক্রাইসিস) শুরু হলো, তখন ওরা (কোম্পানি) এসে আমাদের বলল দাম না বাড়ালে তারা চালাতে পারবে না, কারখানা বন্ধ করে দিতে হবে।’

সবকিছু মিলিয়ে ৫০ শতাংশের বেশি খরচ বেড়েছে জানিয়ে মেজর জেনারেল মোহাম্মদ ইউসুফ বলেন, ‘এ নিয়ে অনেক আলোচনা হয়েছে। কিন্তু কাঁচামাল তো তাদের আনতে হবে, দেশে তো আর কাঁচামাল তৈরি হয় না। আমরা দাম বাড়াতে বাধ্য হয়েছি, কারণ আমাদের দেশীয় কোম্পানির লোকসান যাচ্ছিল। কিন্তু যেভাবে বাড়ার কথা ছিল, সেভাবে আসলে বাড়েনি।’


চট্টগ্রামে ছয় দিনে করোনা শনাক্ত ৯ 

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
চট্টগ্রাম ব্যুরো

চট্টগ্রামে নতুন করে আরো একজনের শরীরে করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে গত ছয় দিনে মোট ৯ জনের শরীরে এ ভাইরাসের জীবাণু শনাক্ত হয়েছে। শনিবার (১৪ জুন) সকালে সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

সিভিল সার্জন কার্যালয়ের তথ্যমতে, গত ২৪ ঘণ্টায় (শুক্রবার সকাল আটটা থেকে শনিবার সকাল আটটা) ২৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এর মধ্যে একজনের করোনা পজিটিভ পাওয়া যায়। ৪০ বছর বয়সী আক্রান্ত ওই ব্যক্তি চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলার ফতেহাবাদ এলাকার বাসিন্দা। তিনি শুক্রবার নগরের এভারকেয়ার হাসপাতালে করোনার পরীক্ষা করান। সেখানেই তার শরীরে করোনার জীবাণু শনাক্ত হয়।

এদিকে সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, আক্রান্ত নয়জনের মধ্যে পুরুষ ৫ জন এবং নারী ৪ জন। এদের মধ্যে ৭ জন নগরের এবং ২ জন উপজেলার বাসিন্দা।

অন্যদিকে, চট্টগ্রামে এখন পর্যন্ত বেসরকারি পর্যায়ে করোনা শনাক্তকরণের পরীক্ষা চালু আছে। তবে শিগগিরই চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) ও বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজেসে (বিআইটিআইডি) আরটি–পিসিআর পরীক্ষা শুরু করা যাবে বলে আশা করছেন জেলা সিভিল সার্জন ডা. জাহাঙ্গীর আলম।


দেশে করোনায় দুইজনের মৃত্যু, শনাক্ত ১৫

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ইউএনবি

প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের সংক্রমণে দেশে আরও দুই জনের মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১২ জুন) সকাল ৮টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় এসব মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া এই সময়ের মধ্যে ১৫ জনের শরীরে ভাইরাসটি শনাক্ত করা হয়েছে।

শুক্রবার (১৩ জুন) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের করোনাবিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় প্রাণঘাতি করোনাভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়েছেন আরও ১৫ জন। এ নিয়ে দেশে করোনাভাইরাস শনাক্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২০ লাখ ৫১ হাজার ৮০০ জনে। আর মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৯ হাজার ৫০২ জনে।

এতে আরও বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ১৭৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এ সময়ে শনাক্তের হার ছিল ৮ দশমিক ৬২ শতাংশ। মোট করোনা পরীক্ষায় এ পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ০৫ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় মোট মৃত্যুহার ১ দশমিক ৪৪ শতাংশ।

গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়ে উঠেছেন আরও তিনজন। এ নিয়ে সুস্থ হয়ে ওঠা ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২০ লাখ ১৯ হাজার ৪০১ জনে।


চলতি বছর ডেঙ্গুতে সর্বোচ্চ ৫ মৃত্যু, আক্রান্ত ১৫৯

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে দেশে আরও পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। বুধবার (১১ জুন) সকাল থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় এসব মৃত্যু হয়। আর এই সময়ের মধ্যে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১৫৯ জন।

আজ শুক্রবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ অ্যান্ড ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের সংবাদ বিজ্ঞপ্তি থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

গত ২৪ ঘণ্টায় মশাবাহিত রোগটিতে বরিশাল বিভাগে মারা গেছেন চারজন। আর ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকায় মারা গেছেন একজন।

বিজ্ঞপ্তি থেকে পাওয়া তথ্য অনুসারে, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে দেশের বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি ভর্তি হয়েছেন ১৫৯ জন। নতুন আক্রান্তের মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ১৫ জন। আর ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন আরও ১৪৪ জন।

বিজ্ঞপ্তি থেকে পাওয়া তথ্য অনুসারে, চলতি বছর আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত ২৮ জনের মৃত্যু হয়েছে, যাদের মধ্যে ৫৬ দশমিক ৫ শতাংশ পুরুষ এবং ৪৩ দশমিক ৫ শতাংশ নারী।

বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ১৩ জুন পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন মোট ৫ হাজার ৫৭০ জন। এর মধ্যে ৫৯ দশমিক ৫ শতাংশ পুরুষ এবং ৪০ দশমিক ৫ শতাংশ নারী। আর মারা যাওয়া রোগীদের মধ্যে ৫৩ দশমিক ৬ শতাংশ পুরুষ ও ৪৬ দশমিক ৪ শতাংশ নারী।


করোনায় আরও ১০ জন আক্রান্ত

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ১০৭ জনের নমুনা পরীক্ষায় ১০ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ সময়ে শনাক্তের হার ৯ দশমিক ৩৫ শতাংশ।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আজ এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়, দেশে এ পর্যন্ত ১ কোটি ৫৭ লাখ ২৬ হাজার ৪৮৬ জনের নমুনা পরীক্ষায় মোট করোনা শনাক্ত হয়েছে ২০ লাখ ৫১ হাজার ৭৭০ জন। এ পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ০৫ শতাংশ।

করোনা আক্রান্ত হয়ে আজ কেউ মারা যায়নি। এখন পর্যন্ত দেশে করোনায় মৃতের সংখ্যা ২৯ হাজার ৫০০ জন। মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪৪ শতাংশ।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, করোনা আক্রান্তদের মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছে ২ জন। এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছে ২০ লাখ ১৯ হাজার ৩৮০ জন। সুস্থতার হার ৯৮ দশমিক ৪২ শতাংশ।


হাসপাতালগুলোতে আবার চালু হচ্ছে করোনা পরীক্ষা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

দেশে করোনা সংক্রমণ আবারও বাড়তে থাকায়, হাসপাতালগুলোতে সীমিত পরিসরে করোনা পরীক্ষার ব্যবস্থা চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

প্রাথমিকভাবে যে সব মেডিকেল কলেজ ও জেলা হাসপাতালে আরটি পিসিআর ল্যাব রয়েছে, সেখানেই এই পরীক্ষা শুরু করা হবে।

আজ বুধবার (১১ জুন) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার পরিচালক অধ্যাপক ডা. হালিমুর রশীদ গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, স্থানীয় কোম্পানিগুলো থেকে পরীক্ষার কিট সংগ্রহ করা হচ্ছে। পাশাপাশি বিদেশ থেকেও কিট আমদানির জন্য সেন্ট্রাল মেডিকেল স্টোরস ডিপো (সিএমএসডি)-কে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

হালিমুর রশীদ আরো বলেন, আমরা আশা করছি, আগামী ১০ দিনের মধ্যে হাসপাতালগুলোতে করোনা পরীক্ষার ব্যবস্থা আবার চালু করা যাবে- তবে তা সীমিত পরিসরে হবে।

তিনি বলেন, যে সব হাসপাতালে আরটিপিসিআর ল্যাব রয়েছে, করোনা পরীক্ষা পুনরায় চালু করার প্রস্তুতি নিতে তাদেরকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল, সিলেট ও ময়মনসিংহসহ বিভাগীয় শহরের হাসপাতালগুলোতে করোনা পরীক্ষা চালু করা হবে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, যাদের করোনা উপসর্গ থাকবে, পরীক্ষা শুধু তাদের জন্যই চালু করা হবে। সে অনুযায়ী তারাই এ পরীক্ষার জন্য উপযুক্ত হবেন- যাদের শরীরে কোভিড-১৯ এর উপসর্গ (জ্বর, কাশি ও শ্বাসকষ্ট) রয়েছে অথবা চিকিৎসক যাদের করোনা পরীক্ষার পরামর্শ দেবেন।

হালিমুর রশীদ আরও বলেন, সংক্রমণের হার যদি আরও বাড়ে, তাহলে পরীক্ষার পরিধিও বাড়ানো হবে।

জনগণকে মাস্ক পরা, হাত ধোয়ার পাশাপাশি উপসর্গ দেখা দিলে ঘরে থাকার আহ্বান জানান তিনি।

অধ্যাপক ডা. রশীদ আরো বলেন, আমরা চাই না যে, পরিস্থিতি আবারো হাতের বাইরে চলে যাক। তাই সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।


দেশে ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে ২৮৮ জন আক্রান্ত

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ইউএনবি

এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে মঙ্গলবার (১০ জুন) সকাল থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় দেশে কোনো রোগীর মৃত্যু হয়নি। এ সময়ে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ২৮৮ জন।

বুধবার (১১ জুন) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ অ্যান্ড ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের সংবাদ বিজ্ঞপ্তি থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

বিজ্ঞপ্তি থেকে পাওয়া তথ্য অনুসারে, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে দেশের বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি ভর্তি হয়েছেন ২৮৮ জন। নতুন আক্রান্তের মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ১৫ জন। আর ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন আরও ২৭৩ জন।

বিজ্ঞপ্তি থেকে পাওয়া তথ্য অনুসারে, চলতি বছর আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত ২৩ জনের মৃত্যু হয়েছে, যাদের মধ্যে ৫৬ দশমিক ৫ শতাংশ পুরুষ এবং ৪৩ দশমিক ৫ শতাংশ নারী।

বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ১১ জুন পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন মোট ৫ হাজার ৩০৩ জন। এর মধ্যে ৫৯ দশমিক ৭ শতাংশ পুরুষ এবং ৪০ দশমিক ৩ শতাংশ নারী।


ঈদে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারবিহীন হাসপাতাল,  ভোগান্তিতে রোগীরা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ইউএনবি

লালবাগ থেকে হাড় ভেঙে যাওয়া চাচাকে নিয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসতাপালে এসেছেন আকাশ নামে যুবক। তার চাচাকে জরুরী ভিত্তিতে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) রাখার প্রয়োজন হলেও তা মেলেনি, এমনকি ডাক্তাদের দেখাও মেলেনি। অথচ হাসপাতালের নির্দেশনাতে বলা রয়েছে, সব রোগীদের জন্য ডাক্তার ও প্রয়োজনীয় সব সুযোগ-সুবিধা সবসময়ই বহাল থাকবে।

শনিবার (৭ জুন) সরেজমিনে ঢামেকে দেখা মেলে জাহিদ মিয়া নামে এক ব্যক্তির। তিনদিন আগে সিলেট থেকে এসেছেন তিনি। সিমেন্টের বস্তা বহন করতে গিয়ে অসাবধানতাবশত তা বুকে পড়ে ভেঙ্গে যায় কয়েকটি হাড়। চিকিৎসা নিতে এতে বেশ কয়েকদিন পার হয়ে গেলেও মিলছে না কোনো সেবা।

এসবের পাশাপাশি রয়েছে আরও এক গুরুতর সমস্যা। হাসপাতালে আগত অধিকাংশ রোগীর অভিযোগ, নার্সরা অসৌজন্যমূলক আচরন করেন, পাশাপাশি সেবা প্রদানেও উদাসীনতা দেখান তারা। নার্সদের এমন ব্যবহারে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন রোগীরা।

সেবা নেই বেসরকারি হাসপাতালে

রাজধানীর কল্যাণপুরে ইবনে সিনা হাসপাতালের জরুরি বিভাগে সেবা নিতে এসেছেন মিমি (৩৫)। তিনি বলেন, ‘আমার শরীর খারাপ লাগায় জরুরি বিভাগে এসেছি ডাক্তার দেখাতে। একজন বিশেষজ্ঞ দেখাতে চেয়েছিলাম। কিন্তু এখান থেকে জানানো হলো, ঈদের দিন কোনো বিশেষজ্ঞ ডাক্তার নেই।’

জরুরি দায়িত্বে থাকা ডাক্তার শাখাওয়াত জানান, ডিপার্টমেন্ট অনুযায়ী ডাক্তারদের ডিউটি ভাগ করা আছে। তবে ঈদের দিন কোনো বিশেষজ্ঞ ডাক্তার নেই। রবিবার থেকে দুজন করে বিশেষজ্ঞ ডাক্তার থাকবেন বলে জানান তিনি।

ইবনে সিনার কাস্টমার কেয়ার থেকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন কাস্টমার কেয়ার অফিসার বলেন, ‘আমাদের সম্পূর্ণ সেবা চালু হবে ১৪ তারিখ। সব ডাক্তার ১৪ জুন থেকে জয়েন করবেন।’

ইনডোরে যারা ভর্তি রয়েছেন তাদের জরুরি প্রয়োজনে কে দেখবেন, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘যে রোগী যে চিকিৎসকের আওতায় ভর্তি আছেন, তার সঙ্গে যোগাযোগ করে দায়িত্বরত চিকিৎসকরা সেবা দেবেন। ঈদের দিন কোনো ডাক্তার আসেননি।’

প্রসূতি বিভাগ খোলা রাখার ব্যাপারে বলেন, ‘যদি সেরকম রোগী আসে, জরুরি ব্যবস্থা নেয়ার মতো চিকিৎসক আছেন।’
তবে শনিবার কোনো ডাক্তার এই বিভাগেও ছিল না বলে জানান ওই কর্মকর্তা।

একই চিত্র দেখা যায় আনোয়ার খান মর্ডান মেডিকেল হাসপাতালেও। খবর নিয়ে জানা যায়, সেখানেও ঈদের দিন ও ঈদের পরদিন অর্থাৎ ৮ জুন কোনো বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক থাকবেন না। সেক্ষেত্রে সেবা নিতে আসা অনেককেই ফিরে যেতে হচ্ছে বলে জানান সেখানকার একজন দায়িত্বরত কর্মকর্তা।

এসব পরিস্থিতি বিবেচনায়, সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালের জন্য যে ১৬টি নির্দেশনা দেওয়া আছে, সেটার যথাযথ প্রয়োগ হচ্ছে কি না, সেক্ষেত্রে প্রশ্ন তৈরি হয়েছে।

এ বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক মইনুল আহসান ইউএনবিকে বলেন, ‘প্রাইভেট হাসপাতাল তো তাদের মতো সিদ্ধান্ত নেয়। সরকারি হাসপাতালে কোনো রোগীর যদি অভিযোগ থাকে, ওয়ার্ড নাম্বার ও রোগীর নাম বলে শুধু মৌখিক অভিযোগ করলেই আমরা ব্যবস্থা নেবো।’

নির্দেশনা অনুযায়ী বলা হয়েছিল, হাসপাতাল পরিচালকদের যেকোনো সময় প্রয়োজন হলে হাসপাতালে অবস্থান করতে হবে। তবে চিকিৎসক সংকট বিষয়ে কথা বলার জন্য ঢামেকের পরিচালক বিগ্রেডিয়ার আসাদুজ্জামান ও উপপরিচালক আশরাফুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তাদেরকে মুঠোফোনে পাওয়া যায়নি।
এর আগে, এই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সরকারি হাসপাতালগুলোর জন্য ১৬টি গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা এবং বেসরকারি হাসপাতালগুলোর জন্য দুটি মূল নির্দেশনা দেয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, যাতে সারা দেশে জরুরি চিকিৎসাসেবা বিঘ্নিত না হয়। যদিও সেসব নির্দেশনার বাস্তবায়ন তেমন চোখে পড়েনি।


ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে আরো ৬২ জন হাসপাতালে ভর্তি  

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে আরো ৬২ জন দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।

বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোলরুম থেকে পাঠানো ডেঙ্গুবিষয়ক এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রোগীর মধ্যে বরিশাল বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৫০ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) দুই জন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ছয় জন, ময়মনসিংহ বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) এক জন, রংপুর বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) এক জন এবং সিলেট বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) দুই জন রয়েছেন।

২৪ ঘণ্টায় ৬৭ জন ডেঙ্গুরোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন। চলতি বছরে এ যাবত মোট ৪ হাজার ৪১৬ জন রোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন।

চলতি বছরের এ পর্যন্ত মোট ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছে ৪ হাজার ৮৪৫ জন। এরমধ্যে ৫৯ দশমিক ৪ শতাংশ পুরুষ এবং ৪০ দশমিক ৬ শতাংশ নারী রয়েছেন।

গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে কারো মৃত্যু হয়নি। চলতি বছরে এ যাবত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ২৩ জন মারা গেছেন।

২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছে এক লাখ এক হাজার ২১৪ জন এবং ডেঙ্গুতে মারা যান ৫৭৫ জন।


ভারতে দ্রুত ছড়াচ্ছে করোনা ভাইরাস, মারা গেছেন ৭ জন

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

ভারতে করোনাভাইরাসে বিভিন্ন রাজ্যে এ পর্যন্ত মারা গেছেন ৭ জন। আক্রান্তের সংখ্যাও দ্রুত বাড়ছে। এখন পর্যন্ত দেশটিতে প্রায় ৩ হাজার লোক এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে কেরালায় আক্রান্তের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। এর পরই রয়েছে মহারাষ্ট্র ও দিল্লি। সরকারি হিসাব অনুযায়ী, গত চার দিনের মধ্যে আক্রান্তের সংখ্যা দ্রুত বেড়েছে।

গতকাল শনিবার এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২৬ মে পর্যন্ত ভারতে মোট ১ হাজার ১০ জন আক্রান্ত হওয়ার রেকর্ড করা হলেও স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সরকারি তথ্য অনুযায়ী ৩০ মে পর্যন্ত মোট এই সংখ্যা ২ হাজার ৭১০ জনে দাঁড়িয়েছে।

তথ্য অনুসারে কেরালায় ১ হাজার ১৪৭ জন, মহারাষ্ট্রে ৪২৪, দিল্লিতে ২৯৪ এবং গুজরাটে ২২৩ জনের আক্রান্তের খবর পাওয়া গেছে। তামিলনাড়ুতে এখন পর্যন্ত মোট ১৪৮ জন আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। যেখানে কর্ণাটক এবং পশ্চিমবঙ্গে যথাক্রমে ১৪৮ এবং ১১৬।

এ ছাড়া রাজস্থানে ৫১ জন, উত্তর প্রদেশে ৪২ জন, পুদুচেরিতে ২৫ জনসহ হরিয়ানা, অন্ধ্রপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, গোয়ায় করোনাভাইরাসে আক্রান্তের খবর পাওয়া গেছে। ওড়িশা, পাঞ্জাব ও জম্মু কাশ্মীরেও করোনায় আক্রান্তের খবর পাওয়া গেছে।

আন্দামান ও নিকোবর, সিকিম, হিমাচল প্রদেশে এখনো আক্রান্তের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।

এদিকে সরকারি তথ্য অনুযায়ী, সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে ভারতজুড়ে কমপক্ষে ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। মহারাষ্ট্রে (১) এবং দিল্লিতে (১) মারা যাওয়া দুজনের কোভিড-১৯-এর পাশাপাশি অন্যান্য গুরুতর অসুস্থতাও ছিল। তবে অন্যরা সংক্রমণের কারণে মারা গেছেন কি না, তা এখনো স্পষ্ট নয়।

কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, পাঞ্জাবের একজন ছাড়া যারা মারা গেছেন তারা সবাই প্রবীণ নাগরিক। তবে কর্মকর্তারা বলেছেন, করোনাভাইরাসের ঘটনাগুলো হালকা প্রকৃতির এবং এতে আতঙ্কিত হওয়ার কোনো কারণ নেই।

এই সপ্তাহের শুরুতে ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিকেল রিসার্চ (আইসিএমআর) এর মহাপরিচালক ডা. রাজীব বাহল এ বিষয়ে সতর্ক থাকার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়েছেন।

তিনি বলেন, ‘কোভিড-১৯-এর এই নতুন রূপটি নিয়ে জনসাধারণের উদ্বিগ্ন হওয়ার কোনো কারণ নেই। আমাদের কেবল সতর্ক থাকতে হবে। সরকার এবং সব সংস্থা কী ঘটছে তা পর্যবেক্ষণ করছে। আমার মতে, প্রাথমিক সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত। আমরা এখনই বর্ধিত সতর্কতার কথা বলছি না। তবে যদি কেউ ক্যানসার রোগী হন বা তার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার সমস্যা থাকে, তাহলে আমরা সাধারণত তাদের কোনো সংক্রমণ এড়াতে পরামর্শ দিই। সতর্কতা অবলম্বন করা প্রয়োজন।’


ডেঙ্গুতে ২২ জন আক্রান্ত, মৃত্যু নেই

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ইউএনবি

এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে শুক্রবার (৩০ মে) সকাল থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় দেশে কোনো রোগীর মৃত্যু হয়নি। এ সময়ে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ২২ জন।

শনিবার (৩১ মে) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ অ্যান্ড ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের সংবাদ বিজ্ঞপ্তি থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

বিজ্ঞপ্তি থেকে পাওয়া তথ্য অনুসারে, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে দেশের বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি ভর্তি হয়েছে ২২ জন। নতুন আক্রান্তের মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ১৩ জন। আর ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন আরও ৯ জন।

বিজ্ঞপ্তি থেকে পাওয়া তথ্য অনুসারে, চলতি বছর আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত ২৩ জনের মৃত্যু হয়েছে, যাদের মধ্যে ৫৬ দশমিক ৫ শতাংশ পুরুষ এবং ৪৩ দশমিক ৫ শতাংশ নারী।

বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ২৬ মে পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন মোট ৪ হাজার ৩৪৫ জন। এর মধ্যে ৫৯ দশমিক ৫ শতাংশ পুরুষ এবং ৪০ দশমিক ৫ শতাংশ নারী।


দেশে ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত ৩, নমুনা পরীক্ষা ৫

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ইউএনবি

শুক্রবার (২৩ মে) সকাল ৮টা থেকে দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও একজনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত করা হয়েছে। এ সময়ে আক্রান্ত হয়ে কারও মৃত্যু হয়নি। শনিবার (২৪ মে) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের করোনাবিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এখন পর্যন্ত দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত মোট রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২০ লাখ ৫১ হাজার ৬৭০ জনে। আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ২৯ হাজার ৪৯৯ জনের।

এতে আরও বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ৫ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এ সময়ে শনাক্তের হার ছিল ০ দশমিক ০০ শতাংশ। মোট করোনা পরীক্ষায় এ পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ০৫ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় মোট মৃত্যুহার ১ দশমিক ৪৪ শতাংশ।

এ নিয়ে করোনায় সুস্থ হয়ে ওঠা ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২০ লাখ ১৯ হাজার ৩৪৯ জনে।


দেশে ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত ৬৭

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ইউএনবি

এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে মঙ্গলবার (২০ মে) সকাল থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় দেশে কোনো রোগীর মৃত্যু হয়নি। এ সময়ে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৬৭ জন।

বুধবার (২1 মে) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ অ্যান্ড ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের সংবাদ বিজ্ঞপ্তি থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

বিজ্ঞপ্তি থেকে পাওয়া তথ্য অনুসারে, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে দেশের বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি ভর্তি হয়েছে ৬৭ জন। নতুন আক্রান্তের মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ১৫ জন। আর ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে আরও ৫২ জন।

বিজ্ঞপ্তি থেকে পাওয়া তথ্য অনুসারে, চলতি বছর আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত ২২ জনের মৃত্যু হয়েছে, যাদের মধ্যে ৫৬ দশমিক ৫ শতাংশ পুরুষ এবং ৪৩ দশমিক ৫ শতাংশ নারী।

বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ২১ মে পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন মোট ৩ হাজার ৫৩৬ জন। এর মধ্যে ৬০ দশমিক ২ শতাংশ পুরুষ এবং ৩৯ দশমিক ৮ শতাংশ নারী।


২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে মৃত্যু ১, হাসপাতালে ১০১

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ইউএনবি

এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে সোমবার (১৯ মে) সকাল থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় দেশে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময়ে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১০১ জন।

মঙ্গলবার (২০ মে) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ অ্যান্ড ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের সংবাদ বিজ্ঞপ্তি থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

বিজ্ঞপ্তি থেকে পাওয়া তথ্য অনুসারে, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে দেশের বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি ভর্তি হয়েছে ১০১ জন। নতুন আক্রান্তের মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ৪১ জন। আর ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে আরও ৬০ জন।

বিজ্ঞপ্তি থেকে পাওয়া তথ্য অনুসারে, চলতি বছর আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত ২৩ জনের মৃত্যু হয়েছে, যাদের মধ্যে ৫৬ দশমিক ৫ শতাংশ পুরুষ এবং ৪৩ দশমিক ৫ শতাংশ নারী।

বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ২০ মে পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন মোট ৩ হাজার ৬৩৭ জন। এর মধ্যে ৬০ দশমিক ০ শতাংশ পুরুষ এবং ৪০ দশমিক ০ শতাংশ নারী।


banner close