ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে ১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে চলতি বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮২২ জনে। একই সময়ে নতুন করে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৩ হাজার ১২২ জন। রোববার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের ডেঙ্গু বিষয়ক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় (শনিবার সকাল ৮টা থেকে রোববার সকাল ৮টা পর্যন্ত) ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৩ হাজার ১২২ জন। এটি একদিনে সর্বোচ্চ রোগীর সংখ্যা। এর আগে চলতি মাসের ১০ তারিখে হাসপাতাল ২ হাজার ৯৯৩ জন ভর্তি হন। গত একদিনে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত আরও ১৮ জনের মৃত্যু হয়।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যমতে, চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ১৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১ লাখ ৬৭ হাজার ৬৮৪ জন। তাদের মধ্যে রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালে ৭৩ হাজার ২৩৩ জন ও ঢাকার বাইরের হাসপাতালগুলোতে ৯৪ হাজার ৪৫১ জন ভর্তি হয়েছেন। চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১ লাখ ৫৬ হাজার ৪২৫ জন। তাদের মধ্যে ঢাকার বাসিন্দা ৬৮ হাজার ৬০৩ জন এবং ঢাকার বাইরের ৮৭ হাজার ৮২২ জন।
এর আগে ২০২২ সালে ডেঙ্গুতে দেশের ইতিহাসের সর্বোচ্চ ২৮১ জন মারা যান। ওই বছরের শেষ মাস ডিসেম্বরে ডেঙ্গুতে ২৭ জনের মৃত্যু হয়। সে সময়ে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন ৬২ হাজার ৩৮২ জন।
ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হয়ে সারা দেশে আরও আটজনের মৃত্যু হয়েছে। হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন আরও এক হাজার ৭৯৩ জন।
শুক্রবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় (বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে শুক্রবার সকাল ৮টা) মারা যাওয়া আটজনকে নিয়ে চলতি বছর ডেঙ্গুতে প্রাণহানি ৯৭৫-এ দাঁড়িয়েছে। এর মধ্যে নারী ৬৩১ জন ও পুরুষ ৩৪৪ জন।
উল্লিখিত সময়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া এক হাজার ৭৯৩ জনের মধ্যে ঢাকার ৫৮৪ জন, আর ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালের এক হাজার ২০৯ জন। এ নিয়ে সারা দেশে চলতি এখন পর্যন্ত ভর্তি রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল দুই লাখ ৯৮১ জনে।
মোট ভর্তি রোগীদের মধ্যে হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন এক লাখ ৯০ হাজার ৪৮০ জন। বর্তমানে দেশের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে মোট নয় হাজার ৫২৬ জন ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসাধীন।
ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে দেশে আরও ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে রাজধানী ঢাকায় মারা গেছেন তিনজন, বাকিরা অন্যান্য এলাকার।
বৃহস্পতিবার সকাল ৮টার আগের ২৪ ঘণ্টায় এ মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
এ সময়ে নতুন করে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন দুই হাজার ৩৫৭ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী। তাদের মধ্যে ঢাকা মহানগরীতে ৬৭১ ও ঢাকা মহানগরীর বাইরে বিভিন্ন হাসপাতালে ১ হাজার ৬৮৬ জন ভর্তি হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
এ নিয়ে চলতি বছরে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়াল ৯৬৭ জন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বর্তমানে দেশের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে ৯ হাজার ৭৯৭ জন ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসাধীন। তাদের মধ্যে ঢাকার ৫৩টি সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে তিন হাজার ৪৫৭ এবং ঢাকার বাইরে অন্যান্য বিভাগে ছয় হাজার ৩৪০ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন।
এ বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে সারা দেশে এ পর্যন্ত ১ লাখ ৯৯ হাজার ১৮৮ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে ঢাকায় ৮১ হাজার ৮৮৭ জন এবং ঢাকার বাইরে এক লাখ ১৭ হাজার ৩০১ জন।
চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন এক লাখ ৮৮ হাজার ৪২৪ জন। তাদের মধ্যে ঢাকায় ৭৭ হাজার ৮০৩ জন এবং ঢাকার বাইরে বিভিন্ন স্থানের এক লাখ ১০ হাজার ৬২১ জন।
গত ২৪ ঘন্টায় সুস্থ হয়ে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন দুই হাজার ৫১৮ জন। এর মধ্যে ঢাকায় ৭৪৯ জন এবং ঢাকার বাইরে বিভিন্ন স্থানে সুস্থ হয়েছেন এক হাজার ৭৬৯ জন।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) নানা আয়োজনে বিশ্ব ফুসফুস দিবস-২০২৩ পালিত হয়েছে। গত সোমবার দিবসটি উপলক্ষে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা ও সেমিনারের আয়োজন করে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেসপিরেটরি মেডিসিন বিভাগ। সকাল ৯টায় ‘বি’ ব্লকের সামনে থেকে একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা শুরু হয়ে ‘ডি’ ব্লকে গিয়ে শেষ হয়। পরে ‘ডি’ ব্লকের ১৬ তলায় রেসপিরেটরি মেডিসিন বিভাগে একটি বৈজ্ঞানিক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।
এসব কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএসএমএমইউ’র উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘ধূমপানের কারণে ফুসফুসের ক্যানসারসহ নানা ধরনের রোগের সৃষ্টি হয়। ধূমপান বন্ধে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন পুরোপুরি বাস্তবায়ন ও জোরদার করতে হবে।’
সভাপতির বক্তব্য রাখেন বিএসএমএমইউ উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) ও রেসপিরেটরি মেডিসিন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. এ কে এম মোশাররফ হোসেন। বৈজ্ঞানিক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বক্ষব্যাধি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. রাজাশিস চক্রবর্তী ও সহযোগী অধ্যাপক ডা. সম্প্রীতি ইসলাম। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ডা. ছন্দা সুলতানা ডোরা। বিজ্ঞপ্তি
ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছেন আরও ১৫ জন। এ নিয়ে এই বছর এখন পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছে ৯৪৩ জন মারা গেলেন। আর চলতি সেপ্টেম্বর মাসে এ রোগে মারা গেলেন ৩৫০ জন।
এর আগে দেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে সর্বোচ্চ ২৮১ জনের মৃত্যুর রেকর্ড হয়েছিল গত বছর। এ ছাড়া ডেঙ্গুতে ২০১৯ সালে মৃত্যু হয়েছিল ১৭৯ জনের। ২০২০ সালে ৭ জন এবং ২০২১ সালে ডেঙ্গুতে মৃত্যু হয় ১০৫ জনের।
মঙ্গলবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের দেয়া তথ্য থেকে এসব জানা যায়।
গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে নতুন রোগী ভর্তি হয়েছে ৩ হাজার ১২৩ জন। ডেঙ্গু আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে ৭৭৪ জন ঢাকার এবং ঢাকার বাইরে ২ হাজার ৩৪৯ জন।
অধিদপ্তর আরও জানায়, সারা দেশের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে বর্তমানে ১০ হাজার ১৫৬ জন রোগী ভর্তি আছে। এর মধ্যে ঢাকাতেই ৩ হাজার ৫৮১ জন, আর বাকি ৬ হাজার ৫৭৫ জন ঢাকার বাইরে অন্য বিভাগে।
চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত ১ লাখ ৯৩ হাজার ৮৮১ জন রোগী ভর্তি হয়েছে হাসপাতালে এবং ছাড়া পেয়েছে ১ লাখ ৮২ হাজার ৭৮২ জন রোগী।
রোববার সকাল ৮টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে আরও ১৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে চলতি বছর দেশে ডেঙ্গুতে মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়াল ৯২৮। এ সময়ে মশাবাহিত এ রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৩ হাজার ৩৩ জন। আক্রান্তদের মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৮০১ জন আর ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ২২৩২ জন।
সোমবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বর্তমানে দেশের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে মোট ১০ হাজার ১৪৭ জন ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসাধীন আছেন। ঢাকার সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে বর্তমানে ৩ হাজার ৬২২ জন এবং অন্যান্য বিভাগের বিভিন্ন হাসপাতালে ৬ হাজার ৫২৫ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি রয়েছেন।
চলতি বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে সারা দেশে এখন পর্যন্ত ১ লাখ ৯০ হাজার ৭৫৮ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন। এর মধ্যে ঢাকায় ৭৯ হাজার ৭১৬ জন এবং ঢাকার বাইরে চিকিৎসা নিয়েছেন ১ লাখ ১১ হাজার ৪২ জন।
আক্রান্তদের মধ্যে হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১ লাখ ৭৯ হাজার ৬৮৩ জন। ঢাকায় ৭৫ হাজার ৪৮২ এবং ঢাকার বাইরে ১ লাখ ৪ হাজার ২০১ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন।
বাংলাদেশে প্রতি চারজন প্রাপ্তবয়স্কের মধ্যে একজনের উচ্চ রক্তচাপে রয়েছে। সম্প্রতি কমিউনিটি ক্লিনিকের ওষুধ তালিকায় উচ্চ রক্তচাপের ওষুধ অন্তর্ভুক্তকরণ যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত। এটি দ্রুত বাস্তবায়ন হলে দেশব্যাপী উচ্চ রক্তচাপজনিত বিভিন্ন অসংক্রামক রোগের ক্রমবর্ধমান প্রকোপ ও মৃত্যু কার্যকরভাবে নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হবে। পাশাপাশি কমিউনিটি ক্লিনিক ও উপজেলা হেলথ কমপ্লেক্সে ওষুধের সরবরাহ নিরবিচ্ছিন্ন রাখতে এ খাতে প্রয়োজনীয় বাজেট বরাদ্দ নিশ্চিত করতে হবে।
সোমবার রাজধানীর বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ) ভবনে ‘হাইপারটেনশন কন্ট্রোল ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক এক সাংবাদিক কর্মশালায় এসব তথ্য জানানো হয়। গ্লোবাল হেলথ অ্যাডভোকেসি ইনকিউবেটরের (জিএইচএআই) সহযোগিতায় ‘প্রগতির জন্য জ্ঞান’ সংস্থা এ কর্মশালার আয়োজন করে। কর্মশালায় প্রিন্ট, টেলিভিশন এবং অনলাইন মিডিয়ায় কর্মরত ২৪ জন সাংবাদিক অংশ নেন।
কর্মশালায় জানানো হয়, বাংলাদেশে প্রতি চারজন প্রাপ্তবয়স্কের মধ্যে একজন উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্ত। ডব্লিউএইচও এর গ্লোবাল রিপোর্ট অন হাইপারটেনশন ২০২৩ অনুযায়ী, বাংলাদেশে উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্তদের মধ্যে চিকিৎসা সেবা গ্রহণের হার খুবই কম, মাত্র ৩৮ শতাংশ। প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, ২০১৯ সালে বাংলাদেশে ২ লাখ ৭৩ হাজার মানুষ হৃদরোগজনিত অসুস্থতায় মৃত্যুবরণ করেছে, যার ৫৪ শতাংশের জন্য দায়ী উচ্চ রক্তচাপ।
কর্মশালায় এসেনসিয়াল ড্রাগস্ কোম্পানি লিমিটেড (ইডিসিএল) এর উপ-মহাব্যবস্থাপক (বিক্রয় ও বিপণন) মো. জাকির হোসেন জানান, আগামী অর্থবছরে কমিউনিটি ক্লিনিক থেকে উচ্চ রক্তচাপের ওষুধের প্রাপ্যতা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।
ব্র্যাক জেমস পি গ্রান্টস স্কুল অব পাবলিক হেলথ এর অধ্যাপক ডা. মলয় কান্তি মৃধা বলেন, ‘উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে খাদ্যাভ্যাস এবং জীবনাচরণে পরিবর্তন আনা জরুরি।’
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিশ্বব্যাপী উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্ত প্রতি ৫ জনে ৪ জনই প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সেবা পায় না। এক্ষেত্রে সেবার আওতা বাড়ানো হলে ২০৫০ সালের মধ্যে ৭ দশমিক ৬ কোটি মৃত্যু এড়ানো সম্ভব।
সভায় আলোচক হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন জিএইচএআই বাংলাদেশ কান্ট্রি লিড মুহাম্মাদ রূহুল কুদ্দুস, ঢাকা ট্রিবিউনের নির্বাহী সম্পাদক রিয়াজ আহমেদ এবং প্রজ্ঞা’র নির্বাহী পরিচালক এবিএম জুবায়ের।
অনুষ্ঠানে উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ বিষয়ে মূল উপস্থাপনা তুলে ধরেন ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনের হাইপারটেনশন কন্ট্রোল বিষয়ক প্রোগ্রাম ম্যানেজার ডা. শামীম জুবায়ের এবং প্রজ্ঞা’র উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ বিষয়ক কর্মসূচির সমন্বয়ক সাদিয়া গালিবা প্রভা।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) চক্ষু বিজ্ঞান বিভাগ ও বাংলাদেশ ভিট্রিওরেটিনা সোসাইটির যৌথ উদ্যোগে ‘ডায়াবেটিক রেটিনোপ্যাথি, অযত্নে বাড়ে চোখের ক্ষতি’ প্রতিপাদ্য নিয়ে বিশ্ব রেটিনা দিবস-২০২৩ পালিত হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে গতকাল একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রায় প্রধান অতিথি হিসেবে উদ্বোধন করেন বিএসএমএমইউয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ। শোভাযাত্রা শেষে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক রেটিনা স্পেশালিস্ট ও সার্জন এবং বাংলাদেশ ভিট্রিওরেটিনা সোসাইটির প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ডা. মো. আফজাল মাহফুজউল্লাহের সঞ্চালনায় এতে বক্তব্য রাখেন চক্ষু বিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. সৈয়দ আব্দুল ওয়াদুদ, বাংলাদেশ ভিট্রিওরেটিনা সোসাইটির সভাপতি অধ্যাপক ডা. মো. আবুল বাশার শেখ, কমিউনিটি অফথালমোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মো. শওকত কবীর, চক্ষু বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ডা. নুজহাত চৌধুরী, বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক ও বাংলাদেশ ভিট্রিওরেটিনা সোসাইটির সহ-সভাপতি ডা. তারিক রেজা আলী, বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক ও বাংলাদেশ ভিট্রিওরেটিনা সোসাইটির মহাসচিব ডা. শাহানুর হাসান প্রমুখ।
ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে আরও ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে চলতি বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ৮৯৩ জনে। একই সময়ে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে আরও ২ হাজার ৮৬৫ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
শনিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় (শুক্রবার সকাল ৮টা থেকে শনিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত) ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ২ হাজার ৮৬৫ জন। আক্রান্তদের মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৮১৪ জন আর বাইরের হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ২ হাজার ৫১ জন। একই সময়ে আক্রান্ত ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে।
অধিদপ্তরের তথ্যমতে, বর্তমানে দেশের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে মোট ১০ হাজার ৫৭২ জন ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসাধীন আছেন। ঢাকার সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে বর্তমানে ৩ হাজার ৭৯৪ জন এবং অন্যান্য বিভাগের বিভিন্ন হাসপাতালে ৬ হাজার ৭৭৮ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি রয়েছেন। চলতি বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে সারা দেশে এখন পর্যন্ত ১ লাখ ৮৪ হাজার ৭১৭ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন। এর মধ্যে ঢাকায় ৭৮ হাজার ১০৩ জন এবং ঢাকার বাইরে চিকিৎসা নিয়েছেন ১ লাখ ৬ হাজার ৬১৪ জন।
অধিদপ্তর আরও জানায়, আক্রান্তদের মধ্যে হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১ লাখ ৭০ হাজার ২৫২ জন। ঢাকায় ৭৩ হাজার ৭১৩ এবং ঢাকার বাইরে ৯৯ হাজার ৫৩৯ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। চলতি বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত ৮৯৩ জনের মৃত্যু হয়েছে।
দেশে ডেঙ্গুর প্রকোপ নজরে আসে ২০০০ সালে। এরপর সবচেয়ে ডেঙ্গু বেশি রোগী শনাক্ত হয় ২০১৯ সালে। কিন্তু চলতি বছরে সে রেকর্ড ভেঙে নতুন রেকর্ড হয়। গত ২১ আগস্ট ২ হাজার ১৯৭ জনকে নিয়ে সে দিন পর্যন্ত মোট রোগী হয় ১ লাখ ২ হাজার ১৯১ জন। ২০১৯ সালে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া রোগীর সংখ্যা ছিল ১ লাখ ১ হাজার ৩৫৪ জন এবং মৃত্যু হয় ১৭৯ জনের।
ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হয়ে সারা দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও চারজনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে জ্বরটি নিয়ে দুই হাজার ১৫৩ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
শুক্রবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, নতুন রোগীদের মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৬৬৭ জন আর ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন এক হাজার ৪৮৬ জন।
বর্তমানে দেশের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে মোট ১০ হাজার ৭১ জন ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসাধীন। এর মধ্যে ঢাকার সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে বর্তমানে তিন হাজার ৬৫৮ জন এবং অন্যান্য বিভাগের বিভিন্ন হাসপাতালে ছয় হাজার ৪১৩ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি রয়েছেন।
নতুন রোগীদের নিয়ে চলতি বছর সারা দেশে এখন পর্যন্ত এক লাখ ৮১ হাজার ৮৫২ জন হাসপাতালে ভর্তি হলেন। এর মধ্যে ঢাকায় ৭৭ হাজার ২৮৯ জন এবং ঢাকার বাইরে চিকিৎসা নিয়েছেন এক লাখ চার হাজার ৫৬৩ জন।
আক্রান্তদের মধ্যে হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন এক লাখ ৭০ হাজার ৯০২ জন।
এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া চারজনকে নিয়ে চলতি বছর ডেঙ্গু কেড়ে নিল ৮৭৯ জনের প্রাণ। এর মধ্যে নারী ৫০৬ জন ও পুরুষ ৩৭৩ জন।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) বায়ু থেকে নাইট্রোজেন অপসারণ করে অক্সিজেন উৎপাদনকারী ভ্যাকুয়াম সুইং অ্যাডসর্পশন (ভিএসএ) পদ্ধতি জেনারেটরের উদ্বোধন করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘সি’ ব্লকের সামনে উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ এ জেনারেটরের উদ্বোধন করেন।
এ সময় উপাচার্য মো. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান প্রশাসন বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রয়োজনীয় সর্বাধুনিক প্রযুক্তিগুলো সংযোজন করতে তৎপর রয়েছে।’ এ সময় নার্সিং অনুষদের ডিন অ্যানেসথেশিয়া বিভাগের অধ্যাপক ডা. দেবব্রত বণিক উপস্থিত ছিলেন। বিজ্ঞপ্তি
কিউবার রাজধানী হাভানায় অনুষ্ঠিত হলো জি ৭৭ প্লাস শীর্ষ সম্মেলন। গত ১৫-১৬ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত এই সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিনিধিত্বকারী দলের নেতৃত্ব দেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
সেখানে তার নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল গঠন করা হয়। দলের অন্য সদস্যরা হলেন, কানাডা ও কিউবার অনাবাসিক রাষ্ট্রদূত (হাইকমিশনার, অটোয়া) ড. খলিলুর রহমান, অটোয়াস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশনের মিনিস্টার দেওয়ান হোসনে আইয়ুব ও অটোয়াস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশনের প্রথম সচিব ও দূতালয় প্রধান হাসান আল বাশার আবুল উলায়ী।
সম্মেলনে ১১৬টি দেশ, ১২টি সংস্থা এবং জাতিসংঘ ব্যবস্থাপনা সংস্থার ১ হাজার ৩০০ জনেরও বেশি প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করে। এতে ৩১জন রাষ্ট্র ও সরকার প্রধান, ১২ জন ভাইস-প্রেসিডেন্ট, কেবিনেট মন্ত্রীসহ অন্যান্য উচ্চ-পর্যায়ের সদস্য রাষ্ট্রের প্রতিনিধিরাও উপস্থিত ছিলেন। কিউবার রাষ্ট্রপতি মিগুয়েল দিয়াজ-ক্যানেল গত ১৫ সেপ্টেম্বর এ ৭৭প্লাস চায়না সামিটের চেয়ারম্যান ও কিউবার রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে সম্মেলনের উদ্বোধন করেন।
সম্মেলনের শুরুতে সদস্য রাষ্ট্রগুলো নিজ নিজ দেশের পক্ষে বিবৃতি দেয়। এর আগে আলোচনার মাধ্যমে ৪৭টি বিষয়সহ এ৭৭ প্লাস চীন গ্রুপের শীর্ষ সম্মেলনের রাজনৈতিক ঘোষণা গ্রহণ করতে সকল সদস্য রাষ্ট্রগুলো সম্মত হন। বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের প্রধান হিসেবে এবং প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে স্বাস্থ্যমন্ত্রী শীর্ষ এ সম্মেলনে গত ১৬ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশের কান্ট্রি স্টেটমেন্ট পাঠ করেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় করোনা মহামারি সংকট সফলভাবে পরিচালনা করেছিলেন এবং সংকট ব্যবস্থাপনার জন্য ওই সময়ে সংশ্লিষ্ট দেশগুলো থেকে সময়মতো ভ্যাকসিন এবং অন্যান্য সংশ্লিষ্ট সরঞ্জামাদি প্রাপ্তি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল।’
প্রাথমিকভাবে করোনা মহামারি ব্যবস্থাপনা অজানা ছিল, তাই মহামারি ব্যবস্থাপনার প্রাথমিক দিনগুলো মোকাবিলা ছিল চ্যালেঞ্জিং। এই অভিজ্ঞতাকে সামনে রেখে উন্নত ও উন্নয়নশীল দেশের মধ্যে সকল সেক্টরে প্রযুক্তিগত জ্ঞানের আদান-প্রদান নিশ্চিত করার উপর তিনি জোর দেন।
তিনি তার বক্তব্যে আরও বলেন, ‘আমরা বর্তমানে প্রযুক্তিগত উন্নয়নের যুগে বাস করছি, যা জীবনযাত্রায় দ্রুত বৈপ্লবিক পরিবর্তন এনেছে। তবে প্রযুক্তিগত উন্নয়নের নেতিবাচক প্রভাব উন্নয়নশীল এবং দ্বীপ দেশগুলিকে জলবায়ু পরিবর্তন এবং সম্পদের ঘাটতির কারণে বিপর্যয়ের গভীরতার দিকে নিয়ে যাচ্ছে।’
মন্ত্রী বলেন, ‘প্রযুক্তিগত জ্ঞান শুধুমাত্র উন্নত দেশের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখা উচিত নয়। বরং প্রযুক্তিগত জ্ঞান উন্নত দেশসমূহ থেকে উন্নয়নশীল দেশের সাথে অবশ্যই দ্রুত সময়ে আদান প্রদান করতে হবে। তিনি সকল সদস্য রাষ্ট্রকে পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তিগত অগ্রগতির জন্য এগিয়ে আসার আহ্বান জানান এবং এ লক্ষ্যে ব্যাপক গবেষণামুলক পদক্ষেপ নেয়া উচিত বলে মতামত ব্যক্ত করেন।’
তিনি বাংলাদেশের কান্ট্রি স্টেটমেন্টে এসময় বলেন, ‘উন্নত দেশগুলোকে শুধুমাত্র উন্নয়নশীল দেশগুলোকে আর্থিক সহায়তা দিয়েই ক্ষতিপূরণ প্রদান করলে হবে না, প্রযুক্তিগত জ্ঞান অবশ্যই প্রদান করতে হবে।’
সম্মেলনে উপলক্ষে অটোয়াস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশনের মিনিস্টার দেওয়ান হোসনে আইয়ুব ও প্রথম সচিব ও দূতালয় প্রধান হাসান আল্ বাশার আবুল উলায়ী ১৩ সেপ্টেম্বর কিউবার রাজধানী হাভানায় পৌঁছান। কিউবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সাথে সমন্বয় করে বাংলাদেশের কান্ট্রি স্টেটমেন্ট, প্রেটোকল ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ কার্যাবলী চূড়ান্ত করার মাধ্যমে বাংলাদেশের সফল অংশগ্রহণ নিশ্চিত করেন। শীর্ষ সম্মেলনের সময়, বাংলাদেশের প্রতিনিধিদলের প্রধান স্বাস্থ্যমন্ত্রী, ইয়েমেন, লিবিয়া, কিউবাসহ জাতিসংঘের জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক সচিবদের সাথেও দ্বিপাক্ষিক সাক্ষাত করেন।
সম্মেলন উপলক্ষে কিউবার রাষ্ট্রপতি, এ৭৭ প্লাস চায়না এর সদস্য দেশসমূহের রাষ্ট্র বা সরকার প্রধানগণ, কেবিনেট মন্ত্রী ও রাষ্ট্রদূতদের সম্মানে একটি নৈশভোজের আয়োজন করেন। নৈশভোজে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও বাংলাদেশ হাইকমিশন, অটোয়া, কানাডার পক্ষে মিনিস্টার দেওয়ান হোসনে আইয়ুর অংশগ্রহণ করেন। শীর্ষ সম্মেলনের শেষ তথা দ্বিতীয় দিনে ৪৭-আর্টিকেল হাভানা চূড়ান্ত ঘোষণাপত্র গ্রহণ করা হয়।
ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে আরও আট জনের মৃত্যু হয়েছে। এসময় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে দুই হাজার ৮৮৯ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
আক্রান্তদের মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৭৮৯ জন আর ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন দুই হাজার ১০০ জন।
বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বর্তমানে দেশের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে মোট ১০ হাজার ২৮০ জন ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসাধীন আছেন। ঢাকার সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে বর্তমানে তিন হাজার ৬৯৬ জন এবং অন্যান্য বিভাগের বিভিন্ন হাসপাতালে ছয় হাজার ৫৮৪ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি রয়েছেন।
চলতি বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে সারা দেশে এখন পর্যন্ত এক লাখ ৭৯ হাজার ৬৯৯ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন। এর মধ্যে ঢাকায় ৭৬ হাজার ৬২২ জন এবং ঢাকার বাইরে চিকিৎসা নিয়েছেন ১ লাখ ৩ হাজার ২৫৪ জন।
আক্রান্তদের মধ্যে হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন এক লাখ ৬৮ হাজার ৫৪৪ জন। ঢাকায় ৭২ হাজার ৩৩৭ এবং ঢাকার বাইরে ৯৬ হাজার ২০৭ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন।
চলতি বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত ৮৭৫ জনের মৃত্যু হয়েছে।
করোনাভাইরাসের কারণে অনেকেই অ্যালঝাইমার্সে আক্রান্ত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ। এ রোগ সম্পর্কে যথেষ্ট জ্ঞান অর্জন এবং সচেতন হওয়া প্রয়োজন বলেও জানিয়েছেন তিনি।
অধ্যাপক শারফুদ্দিন বলেছেন, ‘অ্যালঝাইমার্স বা ডিমেনশিয়া একটি জটিল নিউরো ডিজেনারেটিভ রোগ। এ রোগের মূল লক্ষণ হচ্ছে সব জিনিস ভুলে যাওয়া, কিছু মনে রাখতে না পারা। পরে সেটা বাড়তে বাড়তে কথা বুঝতে না পারা, ভাষা চিনতে বা বলতে না পারা, মুড সুইং, হারিয়ে যাওয়ার সমস্যা বাড়তে থাকে। তাই এই রোগ সম্পর্কে যথেষ্ট জ্ঞান এবং সচেতনতা প্রয়োজন।’
বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় বিশ্ব আলঝাইমারস (ডিমেনশিয়া) দিবস উপলক্ষ্যে বিএসএমএমইউর নিউরোলজি বিভাগ আয়োজিত শোভাযাত্রায় উপাচার্য ডা. শারফুদ্দিন আহমেদ এসব কথা বলেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের বি ব্লক থেকে শুরু হয়ে বটতলা, এ ব্লক, টিএসসি প্রদক্ষিণ করে বর্হিবিভাগ-২ পার হয়ে বর্হিবিভাগ-১-এ গিয়ে শোভাযাত্রাটি শেষ হয়।
উপাচার্য এ সময় বলেন, ‘করোনার পর অনেক মানুষ এ রোগে আক্রান্ত হয়েছে। করোনার পর আমরা অনেক রোগী পেয়েছি যারা মোবাইল হাতে কল দিয়ে গিয়ে কাকে কল দিতে হবে সেটি ভুলে যায়। এ রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের পরিবারের সদস্যরা সহযোগিতা করে সে দিকে নজর দিতে হবে। এছাড়া যারা ভুলে যান, তারা কখন কী করতে হবে সেটি ডায়রিতে লিখে রাখতে পারেন। প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।’
অ্যালঝাইমার্স কী
বিএসএমএমইউর এ শোভাযাত্রায় বক্তারা বলেন, ‘অ্যালঝেইমারস একটি স্নায়ুক্ষয়জনিত রোগ। সাধারণত ষাটোর্ধ্ব ব্যক্তিরা এই রোগে বেশি আক্রান্ত হয়ে থাকেন। তবে কম বয়সেও অনেকে আক্রান্ত হন। এই রোগের প্রধান লক্ষণ হিসেবে দেখা যায়, ব্যক্তির স্মৃতিশক্তি খুব দুর্বল হয়ে যায়। মস্তিষ্কের বিভিন্ন কার্যক্ষমতাও লোপ পায়।’
এ সময় আরও বলা হয়, ‘প্রতি তিন সেকেন্ডে একজন করে এই রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। দিন দিন গোটা বিশ্বে এই রোগ বেড়েই চলেছে। তাই সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে ২১ সেপ্টেম্বর বিশ্বজুড়ে পালিত হয় অ্যালজাইমার্স ডে।’
১৯০১ সালে প্রথমবার একজন জার্মান মনোবিদ অ্যালয়েজ অ্যালঝাইমার্স এই রোগটিকে চিহ্নিত করেন। তার নাম অনুসারে রোগটিকে অ্যালঝাইমার্স বলা হয়। এর আগের শতাব্দীতে ৪৫ থেকে ৬৫ বছর বয়সীদের মধ্যেই এই রোগ সবচেয়ে বেশি পাওয়া গেছে। ১৯৮৪ সাল থেকে অ্যালঝাইমার্স ডিজিজ ইন্টারন্যাশনাল, এই রোগে আক্রান্ত মানুষদের চিকিৎসায় সাহায্য করছে এবং একই সঙ্গে সচেতনতাও তৈরি করছে। ১৯৯৪ সালে সংস্থাটি ২১ সেপ্টেম্বর মাসের ২১ তারিখ বেছে নেয় বিশ্ব অ্যালঝাইমার্স দিবস হিসেবে। এ দিনটিতেই বিশ্বজুড়ে পালিত হয় অ্যালঝাইমার্স ডে বা বিশ্ব অ্যালঝাইমার্স রোগ দিবস।