ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছেন আরও ১৫ জন। এ নিয়ে এই বছর এখন পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছে ৯৪৩ জন মারা গেলেন। আর চলতি সেপ্টেম্বর মাসে এ রোগে মারা গেলেন ৩৫০ জন।
এর আগে দেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে সর্বোচ্চ ২৮১ জনের মৃত্যুর রেকর্ড হয়েছিল গত বছর। এ ছাড়া ডেঙ্গুতে ২০১৯ সালে মৃত্যু হয়েছিল ১৭৯ জনের। ২০২০ সালে ৭ জন এবং ২০২১ সালে ডেঙ্গুতে মৃত্যু হয় ১০৫ জনের।
মঙ্গলবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের দেয়া তথ্য থেকে এসব জানা যায়।
গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে নতুন রোগী ভর্তি হয়েছে ৩ হাজার ১২৩ জন। ডেঙ্গু আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে ৭৭৪ জন ঢাকার এবং ঢাকার বাইরে ২ হাজার ৩৪৯ জন।
অধিদপ্তর আরও জানায়, সারা দেশের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে বর্তমানে ১০ হাজার ১৫৬ জন রোগী ভর্তি আছে। এর মধ্যে ঢাকাতেই ৩ হাজার ৫৮১ জন, আর বাকি ৬ হাজার ৫৭৫ জন ঢাকার বাইরে অন্য বিভাগে।
চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত ১ লাখ ৯৩ হাজার ৮৮১ জন রোগী ভর্তি হয়েছে হাসপাতালে এবং ছাড়া পেয়েছে ১ লাখ ৮২ হাজার ৭৮২ জন রোগী।
ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও চারজনের মৃত্যু হয়েছে।
এ নিয়ে চলতি বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়ালো ১৬১০ জন।
মঙ্গলবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৯৫৯ জন। এর মধ্যে ঢাকা সিটিতে ২০১ জন এবং ঢাকা সিটির বাইরে ৭৫৮ জন। বর্তমানে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ৩ হাজার ৫৬৭ জন ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসাধীন।
এতে আরও বলা, চলতি বছর এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৩ লাখ ১০ হাজার ৪৬ জন। এর মধ্যে ঢাকায় ১ লাখ ৭৪ হাজার ৯৯ জন ও ঢাকার বাইরে ২ লাখ ২ হাজার ৫৪৭ জন।
সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন ৩ লাখ ৪ হাজার ৮৬৯ জন। ঢাকায় ১ লাখ ৫ হাজার ৫৬৮ জন এবং ঢাকার বাইরে ১ লাখ ৯৯ হাজার ৩০১ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন।
সারাদেশে গত ২৪ ঘন্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে চলতি বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যা ১৬০৬ জনে দাঁড়ালো।
সোমবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রোববার সকাল ৮টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘন্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৯২০ জন। নতুন এসব শনাক্তদের মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ২১৯ জন, আর ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৭০১ জন।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, বর্তমানে দেশের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে মোট ৩ হাজার ৪৯৩ জন ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসাধীন আছেন। ঢাকার সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে বর্তমানে ১ হাজার ১১ জন এবং অন্যান্য বিভাগের বিভিন্ন হাসপাতালে ২ হাজার ৪৮২ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি রয়েছেন।
চলতি বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে সারা দেশে এখন পর্যন্ত ৩ লাখ ৯ হাজার ৮৭ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন। এর মধ্যে ঢাকায় ১ লাখ ৭ হাজার ২৯৮ জন এবং ঢাকার বাইরে চিকিৎসা নিয়েছেন ২ লাখ ১ হাজার ৭৮৯ জন।
আক্রান্তদের মধ্যে হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৩ লাখ ৩ হাজার ৯৮৮ জন। ঢাকায় ১ লাখ ৫ হাজার ৩৫৭ এবং ঢাকার বাইরে ১ লাখ ৯৮ হাজার ৬৩৮ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন।
দেশের মাতৃ ও নবজাতকের মৃত্যুহার কমাতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রথম ২০১০ সালে মিডওয়াইফারি কার্যক্রমের সূচনা করেন। একই সময়ে বাংলাদেশ মিডওয়াইফারি সোসাইটি (বিএমএস) মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের অনুমোদিত বাংলাদেশের সকল মিডওয়াইফদের নিয়ে একটি পেশাদার প্রতিষ্ঠান হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করে বলে জানিয়েছে বিএমএস।
সম্প্রতি ঢাকা রিপোর্টাস ইউনিটের নসরুল হামিদ অডিটোরিয়ামে সরকারী ও বেসরকারী স্টেকহোল্ডারদের নিয়ে এক আলোচনা অনুষ্ঠানে তারা এসব তথ্য জানায়।
অনুষ্ঠানে মিডওয়াইফদের কাজের স্বীকৃতি, মাতৃত্ব, নবজাতক এবং কিশোরীদের স্বাস্থ্য বিষয়ে মিডওয়াইফারি পরিষেবাগুলোর শক্তিশালীকরণ এবং মানসম্পন্ন মিডওয়াইফারি শিক্ষা নিশ্চিতকরণ বিষয়ে আলোচনা হয়। বর্তমানে, বাংলাদেশে ৭২৩০ জন লাইসেন্সপ্রাপ্ত মিডওয়াইফ (বিএনএমসি রিপোর্ট ৩১-জুলাই-২০২৩ অনুযায়ী) রয়েছেন। যাদের মধ্যে ২,৫৫৭ জন মিডওয়াইফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং ইউনিয়ন সাব সেন্টারে কর্মরত, আনুমানিক প্রায় ৫০০ জন মিডওয়াইফ রোহিঙ্গা রিফুজি ক্যাম্পগুলোতে এবং বাকিরা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কাজ করছেন। মোট ১৭০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ৫,৭০৫টি আসন রয়েছে; ৬২টি সরকারি প্রতিষ্ঠানে ১,৮২৫টি এবং ১০৮টি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে রয়েছে ৩,৮৮০ টি আসন রয়েছে ।
বর্তমানে উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে সংগঠিত মোট স্বাভাবিক প্রসবের ৭৪% মিডওয়াইফরা সম্পন্ন করছেন। মিডওয়াইফরা নরমাল ডেলিভারির মাধ্যমে মা ও নবজাতক শিশুদের জীবন বাঁচাতে পারলেও স্বীকৃতির দিক থেকে তারা পিছিয়ে। উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে মিডওয়াইফরা অপর্যাপ্ত সংখ্যায় কাজ করছেন।
সভায় আরও বলা হয়, মা ও নবজাতক শিশু স্বাস্থ্য সুরক্ষা, সিজারিয়ান ডেলিভারি কমানো ও নরমাল ডেলিভারি বাড়ানোর জন্য সরকারি এবং বেসরকারি স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানে অনতিবিলম্বে আরও মিডওয়াইফ নিয়োগ প্রয়োজন।
মিডওয়াইফ পেশাটিকে সাধারন মানুষের কাছে আরো বেশী পরিচিত করা প্রয়োজন যাতে তারা সেবা নিতে পারে এবং সরকার কর্তৃক মিডওয়াইফদের নির্ধারিত কর্ম বিবরণী অনুযায়ী কাজের অনুকুল পরিবেশ সৃষ্টি করার জন্যও সভায় জানানো হয়।
সভায় বাংলাদেশ মিডওয়াইফারি সোসাইটির সভাপতি আছমা খাতুন্, সাধারণ সম্পাদক সংগীতা সাহা প্রেমাসহ মিডওয়াইফ সৈয়দা মাহফুজা ঝুমু, নির্বাহী সদস্য জেরিন তাসনিম ও প্রজেক্ট ম্যানেজার শারমিন শবনম জয়া বক্তব্য রাখেন।
দেশে ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত আরও ৩ জন মারা গেছেন। এ নিয়ে চলতি বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মোট ১ হাজার ৫৯৮ জন মারা গেলেন।
রোববার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শনিবার সকাল আটটা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় ৯৭১ ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ২১৭ এবং ঢাকার বাইরে ভর্তি আছেন ৭৫৪ জন।
বর্তমানে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে মোট ৩ হাজার ৫৯৫ জন ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসাধীন আছেন।
এ নিয়ে চলতি বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা ৩ লাখ ৮ হাজার ১৬৭ জনে পৌঁছেছে। এর মধ্যে ঢাকার বাসিন্দা ১ লাখ ৭০ হাজার ৭৯ জন। ঢাকার বাইরে ২ লাখ ১ হাজার ৮৮ জন।
চলতি বছর ডেঙ্গু থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৩ লাখ ২ হাজার ৯৭৪ জন।
দেশে গত ১৫ নভেম্বর ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়ে ২৪ জন মারা গেছেন, যা একদিনে এ বছরের সর্বোচ্চ মৃত্যু।
এর আগে গত ২০ সেপ্টেম্বর ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে একদিনে ২১ জন মারা যান, যা ডেঙ্গুতে এ বছর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ মৃত্যু। তারও আগে গত ২ সেপ্টেম্বরও ডেঙ্গুতে ২১ জনের মৃত্যুর কথা জানিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
ইসলামিক ওয়ার্ল্ড এডুকেশনাল, সায়েন্টিফিক অ্যান্ড কালচারাল অর্গানাইজেশন এর অর্থায়নে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের পাবলিক হেলথ এন্ড ইনফরমেটিক্স বিভাগের ‘টেক স্টক অব দ্য টেকনোলজিক্যাল ইনোভেশনস ইউজড ফর বেটার ট্রিটমেন্ট অব ডিজিজ’ শীর্ষক গবেষণাটির উদ্বোধন করা হয়েছে।
রবিবার সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ই-ব্লকে ইপনার শ্রেণিকক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ডা. মোঃ শারফুদ্দিন আহমেদ গবেষণাটির উদ্বোধন করেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য বলেন অধ্যাপক ডা. মোঃ শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘আমরা খুব দ্রুত চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি। সামনের দিনগুলো সর্বাধুনিক প্রযুক্তি চিকিৎসা ক্ষেত্রে প্রয়োগ করা হবে। সেই আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের ব্যবহার, রোবটিক সার্জারি করার জন্য এখন থেকে জনবলকে প্রশিক্ষিত করতে হবে। এখন প্রশ্ন হলো জনবলকে কিভাবে প্রশিক্ষিত করা হবে তার জন্য প্রয়োজন গবেষণা। আজকের এই গবেষণার মাধ্যমেই সেই প্রশিক্ষণের রূপরেখা তৈরি হবে।’
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, এই প্রকল্পটিতে প্রথমবারের মতো ইসলামিক ওয়ার্ল্ড এডুকেশনাল, সায়েন্টিফিক অ্যান্ড কালচারাল অর্গানাইজেশন এবং বাংলাদেশের স্বাস্থ্য খাত একত্রে কাজ করছে। এই সহযোগিতার লক্ষ্য হলো, বাংলাদেশের স্বাস্থ্য খাতে এবং রোগের চিকিৎসা সেবা উন্নতি করার জন্য একটি নতুন পথ উন্মোচন করা। অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী চিকিৎসকরা রোগের উন্নত চিকিৎসা বাড়নোর ক্ষেত্রে সরকারের ভূমিকা এবং প্রযুক্তিগত উদ্ভাবন এবং রোগের চিকিৎসা ও উন্নয়নের জন্য গবেষণা ও উদ্ভাবনে প্রাতিষ্ঠানিক ভূমিকার উপর একটি উন্মুক্ত আলোচনা করেন।
আলোচনার মাধ্যমে এই বিষয়ের বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ, সুযোগ এবং আরও অনেক গুরুত্বপূর্ণ দিক উঠে আসে। এতে বিভিন্ন সংস্থা, টারশিইয়ারি কেয়ার হাসপাতাল, বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিতসক ও গবেষকরা অংশগ্রহণ করেন।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের জনস্বাস্থ্য-২-এর কারিগরি সহায়তা বিশেষজ্ঞ এবং সহ-প্রধান গবেষক ডা জোবায়ের ইবনে জাইদ, গবেষণাটির রূপরেখা এবং স্বাস্থ্য খাতে প্রযুক্তিগত উদ্ভাবনের গুরুত্ব তুলে ধরেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের পাবলিক হেলথ এন্ড ইনফরমেটিক্স বিভাগের চেযারম্যান এবং প্রিভেন্টিভ এন্ড সোস্যাল মেডিসিন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা.মোঃ আতিকুল হক। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন পাবলিক হেলথ এন্ড ইনফরমেটিক্স বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. মারুফ হক খান।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব ডা. মোঃ আখতারুজ্জামান, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের (অটিজম ব্যবস্থাপনা অধিশাখা) স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের যুগ্ম সচিব ডা. মোঃ শিব্বির আহমেদ ওসমানী মো. আনোয়ার হোসেন আকন্দ (বিপিএএ), ইসলামিক ওয়ার্ল্ড এডুকেশনাল, সায়েন্টিফিক অ্যান্ড কালচারাল অর্গানাইজেশন (ওঈঊঝঈঙ) এর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সেক্টরের প্রধান ড. রাহিল কামারও জুমের মাধ্যমে অংশগ্রহণ করেন।
সারাদেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে চলতি বছর ডেঙ্গুতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে এক হাজার ৫৮৩ জনে। এসময় হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৬৪৫ জন ডেঙ্গুরোগী।
অন্যদিকে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে বর্তমানে চিকিৎসাধীন আছেন তিন হাজার ৮৪৮ জন ডেঙ্গুরোগী।
শুক্রবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো নিয়মিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া ৬৪৫ জনের মধ্যে ঢাকার বাসিন্দা ১৫৪ এবং ঢাকার বাইরের ৪৯১ জন।
চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ২৪ নভেম্বর পর্যন্ত সারাদেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন মোট তিন লাখ ৬ হাজার ৪৩৭ জন। তাদের মধ্যে ঢাকার বাসিন্দা এক লাখ ৬ হাজার ৬৭৮ জন, আর ঢাকার বাইরের এক লাখ ৯৯ হাজার ৭৫৯ জন।
আক্রান্তদের মধ্যে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন তিন লাখ এক হাজার ছয়জন। তাদের মধ্যে ঢাকার বাসিন্দা এক লাখ ৪ হাজার ৭০৬ জন এবং ঢাকার বাইরের এক লাখ ৯৬ হাজার ৩০০ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে সাতজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে চলতি বছর ডেঙ্গুতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে এক হাজার ৫৭৭ জনে। এসময় হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন এক হাজার ৯৪ জন ডেঙ্গুরোগী। অন্যদিকে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে বর্তমানে চিকিৎসাধীন আছেন চার হাজার ১২৪ জন ডেঙ্গুরোগী।
বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো নিয়মিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, চলতি বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে সারা দেশে এখন পর্যন্ত ৩ লাখ ৫ হাজার ৭৯২ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন। এর মধ্যে ঢাকায় ১ লাখ ৬ হাজার ৫২৪ জন এবং ঢাকার বাইরে চিকিৎসা নিয়েছেন ১ লাখ ৯৯ হাজার ২৬৮ জন।
আক্রান্তদের মধ্যে হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৩ লাখ ৯১ জন। ঢাকায় ১ লাখ ৪ হাজার ৪৯৫ এবং ঢাকার বাইরে ১ লাখ ৯৫ হাজার ৫৯৬ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন।
২০২২ সালে ডেঙ্গুতে ২৮১ জন মারা যান। ওই বছরের শেষ মাস ডিসেম্বরে ২৭ জনের মৃত্যু হয়। একই সঙ্গে আলোচ্য বছরে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন ৬২ হাজার ৩৮২ জন।
২০২০ সালে করোনা মহামারিকালে ডেঙ্গু সংক্রমণ তেমন একটা দেখা না গেলেও ২০২১ সালে সারাদেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হন ২৮ হাজার ৪২৯ জন। একই বছর দেশব্যাপী ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ১০৫ জনের মৃত্যু হয়েছিল।
দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ১ হাজার ১৬২ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে, মৃত্যু হয়েছে আরও আটজনের। এ নিয়ে মশাবাহিত এ রোগে হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩ লাখ ৪ হাজার ৬৯৮ জন। মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১৫৭০ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, বুধবার সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ভর্তি রোগীদের মধ্যে ২২৯ জন ঢাকা মহানগরে এবং ৯৩৩ জন দেশের অন্যান্য হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। গত এক দিনে যারা মারা গেছে, তাদের মধ্যে ঢাকা ও ঢাকার বাইরে সমান সংখ্যক চারজনের মৃত্যু হয়েছে।
এ বছর ভর্তি রোগীর মধ্যে ঢাকায় ১ লাখ ৬ হাজার ২৭১ জন এবং ঢাকার বাইরের বিভিন্ন জেলায় ১ লাখ ৯৮ হাজার ৪২৭ জন। ডেঙ্গু আক্রান্তদের মধ্যে ৯১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে ঢাকায়। বাকি ৬৫৭ জন ঢাকার বাইরে বিভিন্ন হাসপাতালে মারা গেছে।
গতকাল সকাল পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছিল ৪ হাজার ১৭৮ জন রোগী। তাদের মধ্যে ১১০৯ জন ঢাকায় এবং ৩ হাজার ৬৯ জন ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে।
এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও আটজন মারা গেছেন। এ নিয়ে চলতি বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মোট ১ হাজার ৫৬২ জন মারা গেলেন। মঙ্গলবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ১ হাজার ৮৪ ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এ নিয়ে চলতি বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা ৩ লাখ ৩ হাজার ৫৩৬ জনে পৌঁছেছে। বর্তমানে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে মোট ৪ হাজার ৪৬২ জন ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসাধীন আছেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও আইইডিসিআরের তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, চলতি বছর এখন পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত ও মৃত্যুর সরকারি পরিসংখ্যান গত ২৪ বছরের সব রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে। দেশে গত ১৫ নভেম্বর ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়ে ২৪ জন মারা গেছেন, যা একদিনে এ বছরের সর্বোচ্চ মৃত্যু।
এর আগে গত ২০ সেপ্টেম্বর ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে একদিনে ২১ জন মারা যান, যা ডেঙ্গুতে এ বছর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ মৃত্যু। এরও আগে গত ২ সেপ্টেম্বরেও ডেঙ্গুতে ২১ জনের মৃত্যুর কথা জানিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
সারাদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আরও ৫ জন মারা গেছে। এ সময় নতুন করে আক্রান্ত হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১ হাজার ১৯৭ জন।
আজ সোমবার স্বাস্থ্য অধিদফতরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
স্বাস্থ্য অধিদফতর জানিয়েছে, গত রোববার সকাল ৮টা থেকে সোমবার সকাল ৮টা পর্যন্ত সারাদেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া রোগীদের মধ্যে ঢাকার মধ্যে ২৮৬ জন এবং ঢাকার বাইরের ৯১১ জন। এ সময় ডেঙ্গুতে মারা যাওয়া রোগীদের মধ্যে ঢাকার ৩ জন এবং ঢাকার বাইরের ২ জন।
বর্তমানে দেশের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে মোট ৪ হাজার ৬৫৩ জন ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসাধীন। ঢাকার সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে বর্তমানে ১ হাজার ১৯৩ জন এবং অন্যান্য বিভাগের বিভিন্ন হাসপাতালে ৩ হাজার ৪৬০ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি রয়েছেন।
চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ২০ নভেম্বর পর্যন্ত সারাদেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন মোট ৩ লাখ ২ হাজার ৪৫২ জন। এর মধ্যে ঢাকার বাসিন্দা ১ লাখ ৫ হাজার ৮২১ জন আর ঢাকার বাইরের ১ লাখ ৯৬ হাজার ৬৩১ জন। চলতি বছর এ পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১ হাজার ৫৫৪ জন। এর মধ্যে ঢাকায় ৯০৪ জন এবং ঢাকার বাইরে ৬৫০ জন।
একই সময় পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্তদের মধ্যে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন ২ লাখ ৯৬ হাজার ২৪৫ জন। এর মধ্যে ঢাকার বাসিন্দা ১ লাখ ৩ হাজার ৭২৪ জন এবং ঢাকার বাইরের ১ লাখ ৯২ হাজার ৫২১ জন।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের তথ্যমতে, দেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ২০২২ সালে ২৮১ জন, ২০২১ সালে ১০৫ জন, ২০২০ সালে ৭ জন ও ২০১৯ সালে ১৭৯ জনের মৃত্যু হয়।
রেজিস্টার্ড চিকিৎসকের প্রেসক্রিপশন ছাড়া অ্যান্টিবায়োটিক বিক্রি আইনে শাস্তিযোগ্য অপরাধ করা হয়েছে। ২০২৩ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের প্রস্তাবিত এই আইনের অনুমোদন দেয় সরকার। তবে রাজধানীর বিভিন্ন ফার্মাসিটিউক্যালস ঘুরে জানা যায়, অধিকাংশই জানে না এ আইন সম্পর্কে। দু-একজন জানলেও প্রয়োগ নেই সেভাবে। ১৮ থেকে ২৪ নভেম্বর বিশ্ব অ্যান্টিবায়োটিক সচেতনতা সপ্তাহ। বিশ্বের সব দেশের সঙ্গে বাংলাদেশেও নানা কর্মসূচি, র্যালির মাধ্যমে পালিত হচ্ছে এ সপ্তাহ। এবারের প্রতিপাদ্য ‘সম্মিলিতভাবে অণুজীব প্রতিরোধী সক্ষমতা নিশ্চিত করুন।’
অ্যান্টিবায়োটিক সচেতনতার ধারণাটি এসেছে এর রেজিস্ট্যান্স বেড়ে যাওয়ার কারণে। অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স কী, এটি হওয়ার কারণ, প্রতিরোধ, প্রতিকার এবং এটি নিয়ে আইন সম্পর্কে কথা হয় বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে।
অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স কী?
ঢাকা মেডিকেল কলেজের মাইক্রোভায়োলজি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক শামসুজ্জামান দৈনিক বাংলাকে বলেন, ‘মানুষের শরীরে অতিরিক্ত অ্যান্টিবায়োটিক প্রয়োগ অথবা সঠিকভাবে প্রয়োগ করা না হলে শরীরে থাকা ব্যাকটেরিয়া অ্যান্টিবায়োটিকের বিরুদ্ধে নিজ থেকেই প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তোলে। একে বলা হয় অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স। যত্রতত্র অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার করলে রেজিস্ট্যান্স ডেভেলপ করবে বলে জানান তিনি। তিনি বলেন, ‘যত বেশি অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার করা হবে, ব্যাকটেরিয়া নিজেদের মতো করে রেজিস্ট্যান্স তৈরি করে নেবে।’
কারণ
‘আমাদের দেশে অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স ডেভেলপ করার অন্যতম কারণ সাধারণ জ্বর বা ঠাণ্ডাজনিত কারণে ফার্মেসিতে গেলে একটা অ্যান্টিবায়োটিক দিয়ে দেয়া হয়। বিশ্বের অনেক উন্নত দেশে এভাবে চাইলেই অ্যান্টিবায়োটিক পাওয়া যায় না। ডাক্তারের প্রেসক্রিপশন ছাড়া কোনো অ্যান্টিবায়োটিক সব দেশে কেউ কিনতে পারবে না।’
তিনি আরও বলেন, আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ ও উল্লেখযোগ্য ব্যাপার অনেকেই জানেন না যে, ইনফ্লুয়েঞ্জা বা ভাইরাসজনিত যেকোনো রোগে অ্যান্টিবায়োটিক লাগে না। এগুলো ৯৯ শতাংই ভাইরাল, ব্যাকটেরিয়াল না। তবে সর্দি-কাশিতেও পরবর্তী সময়ে সেকেন্ডারি ব্যাকটেরিয়াল ইনফেকশন হতে পারে। সে ক্ষেত্রে কিছু অ্যান্টিবায়োটিক দেয়া হয়। ভাইরাল ইনফেকশনে অ্যান্টিবায়োটিক খেলে আমাদের শরীরে যে অ্যান্টিবায়োটিক যেমন মুখে বা পেটে যেটা থাকে, এগুলো তখন রেজিস্ট্যান্স ডেভেলপ করে।
অধ্যাপক শামসুজ্জামান বলেন ‘এটি আশার কথা যে এখন যেহেতু আইন হয়েছে তাই যত্রতত্র অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার কমে আসবে। কারণ আগে কোনো দোকানে গিয়ে চাইলেই সহজে অ্যান্টিবায়োটিক দিয়ে দিলে ব্যবস্থা নেয়ার কোনো সুযোগ ছিল না। এখন ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান চালিয়ে এমন কিছু পেলেই আইন অনুযায়ী শাস্তি দিতে পারবেন।’
ঔষধ প্রশাসনের বক্তব্য
ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের উপপরিচালক ও আইন কর্মকর্তা মো. নুরুল আলম দৈনিক বাংলাকে বলেন, ‘বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, প্রতিবছর ৫০ লাখ লোকের মৃত্যু হয় অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্সজনিত কারণে। অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স বড় উদ্বেগের কারণ হলেও আগের আইনগুলোতে জনস্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স প্রতিরোধের লক্ষ্যে প্যাকেটে লাল রঙের মার্কিংয়ের নির্দেশনাসহ রেজিস্টার্ড চিকিৎসকের প্রেসক্রিপশন ছাড়া অ্যান্টিবায়োটিক বিক্রি আইনে শাস্তিযোগ্য অপরাধ করা হয়েছে।’
আইনে বলা হয়েছে, রেজিস্টার্ড চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র ছাড়া অ্যান্টিবায়োটিক বিক্রি ও বিতরণ করা যাবে না- এই বিধান রেখে গত ১৮ সেপ্টেম্বর ঔষধ ও কসমেটিকস আইন-২০২৩ অনুমোদন দেয় সরকার। কেউ এই নিয়ম লঙ্ঘন করলে ২০ হাজার টাকা জরিমানা ও ওষুধের দোকানের নিবন্ধন বাতিল করা হবে।
অনেক ফার্মাসিটিউক্যালস জানে না, এ ব্যাপারে ওষুধ প্রশাসনের কোনো পদক্ষেপ আছে কি না। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমাদের কর্মসূচি আছে। অ্যান্টিবায়োটিক সপ্তাহে বিশেষ কর্মসূচি রাখা হয়েছে। স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে আমরা মিটিং করেছি, আরও আলোচনা করব। মিডিয়ার মাধ্যমেও আমরা জানাচ্ছি।
প্রতিরোধ
অধ্যাপক শামসুজ্জামান বলেন, ‘অ্যান্টিবায়োটিক প্রয়োগের আগে অ্যান্টিবায়োটিক কালচার সেনসিটিভিটি করে নিতে হবে। কোন রোগে এটি সেনসিটিভ, সেটি নিশ্চিত হতে হবে। ইউরিন এবং ব্লাড কালচার পরীক্ষার মাধ্যমে এটি নিশ্চিত হওয়া যায়। এই টেস্টের নাম সেনসিটিভিটি টেস্ট। কালচার করার উদ্দেশ্য হলো, যে ব্যাকটেরিয়া পাওয়া যাবে- সেটি কোন অ্যান্টিবায়োটিকে কাজ করবে, সে অনুযায়ী ট্রিটমেন্ট করা। কিন্তু আমাদের দেশে এক শতাংশ রোগীর ক্ষেত্রেও এটি করা হয় না। কারণ এই টেস্ট সময়সাপেক্ষ ও ব্যয়বহুল। তাছাড়া সব জায়গায় এটি করার ব্যবস্থাও নেই।
করণীয়
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অ্যন্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স থেকে প্রতিকার পেতে হলে অ্যান্টিবায়োটিক প্রয়োগের পলিসি থাকতে হবে। সঠিক গাইডলাইন থাকতে হবে যে কোন রোগে কোন অ্যান্টিবায়োটিক দেয়া হবে।’
সারাদেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় চারজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে চলতি বছর ডেঙ্গুতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে এক হাজার ৫৪৩ জনে।
একই সময়ে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৯১৪ জন। এর মধ্যে ঢাকায় চিকিৎসাধীন আছেন ২০৪ ও ঢাকার বাইরে ৭১০ জন।
শনিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে নিয়মিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শুক্রবার সকাল আটটা খেতে পরবর্তী ২৪ ঘন্টায় বর্তমানে দেশের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে মোট ৫ হাজার ১৮৬ জন ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসাধীন আছেন। ঢাকার সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে বর্তমানে ১৩০৭ জন এবং অন্যান্য বিভাগের বিভিন্ন হাসপাতালে ৩৮৭৯ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি রয়েছেন।
চলতি বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে সারা দেশে এখন পর্যন্ত ২ লাখ ৯৯ হাজার ৯৬৪ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন। এর মধ্যে ঢাকায় ১ লাখ ৫ হাজার ২৮৮ জন এবং ঢাকার বাইরে চিকিৎসা নিয়েছেন ১ লাখ ৯৪ হাজার ৬৭৬ জন।
আক্রান্তদের মধ্যে হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ২ লাখ ৯৩ হাজার ২৩৫ জন। এর মধ্যে ঢাকায় ১ লাখ ৩ হাজার ৮২ এবং ঢাকার বাইরে ১ লাখ ৯০ হাজার ১৫৩ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন।
২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত আরও ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে চলতি বছরে দেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৫৩৯ জনে।
শুক্রবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে ঢাকায় ৮ জন এবং ঢাকার বাইরে বিভিন্ন এলাকায় মোট ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময়ে নতুন করে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৯৫৬ জন ডেঙ্গু রোগী। তাদের মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ২০৬ জন আর ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৭৫০ জন।
বর্তমানে দেশের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে মোট ৫ হাজার ২৪৫ জন ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসাধীন আছেন। এদের মধ্যে ঢাকার সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে বর্তমানে ১ হাজার ৩৪৫ জন এবং অন্যান্য বিভাগের বিভিন্ন হাসপাতালে ৩ হাজার ৯০০ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি রয়েছেন।
চলতি বছর সারা দেশে এখন পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন ২ লাখ ৯৯ হাজার ৫০ জন। এর মধ্যে ঢাকায় ১ লাখ ৫ হাজার ৮৪ জন এবং ঢাকার বাইরে রয়েছেন ১ লাখ ৯৩ হাজার ৯৬৬ জন।
আক্রান্তদের মধ্যে হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন মোট ২ লাখ ৯২ হাজার ২৬৬ জন। এদের মধ্যে ঢাকায় ১ লাখ ২ হাজার ৮৪১ জন এবং ঢাকার বাইরে ১ লাখ ৮৯ হাজার ৪২৫ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন।