কোনো অবস্থাতেই নিবন্ধিত হাসপাতাল ও ক্লিনিক ছাড়া চেম্বারে অথবা ডায়াগনস্টিক সেন্টারে অ্যানেসথেসিয়া দেওয়া যাবে না। বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিল (বিএমডিসি) স্বীকৃত বিশেষজ্ঞ অবেদনবিদ (অ্যানেসথেটিস্ট) ছাড়া যেকোনো ধরনের অস্ত্রোপচার করা যাবে না।
অ্যানেসথেসিয়া দিতে গিয়ে পরপর দুটি শিশুসহ তিন ব্যক্তির মৃত্যুর ঘটনার পর আজ বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে জারি করা এক অফিস আদেশে এসব বিষয় উল্লেখ করা হয়েছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হাসপাতাল ও ক্লিনিক শাখার পরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) আবু হোসেন মো. মঈনুল আহসান সেই অফিস আদেশে সই করেন।
ওই অফিস আদেশে মোট ১০টি নির্দেশনা বা শর্ত জারি করা হয়েছে। এসব শর্ত বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার পরিচালনার ক্ষেত্রে আবশ্যিকভাবে প্রতিপালনের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ওই অফিস আদেশে।
গত মঙ্গলবার রাতে রাজধানীর মালিবাগ চৌধুরীপাড়ার জে এস ডায়াগনস্টিক অ্যান্ড মেডিকেল চেকআপ সেন্টারে (জে এস হাসপাতাল) খতনা করার সময় আহনাফ তাহমিদ (১০) নামে এক শিশুর মৃত্যু হয়। স্বজন ও পুলিশ সূত্র বলছে, চিকিৎসকরা শিশুটিকে অস্ত্রোপচার কক্ষে নিয়ে অবেদন (অ্যানেসথেসিয়া) করে তার খতনা করেন। কিন্তু শিশুটির আর জ্ঞান ফিরে আসেনি। রাত ১১টার দিকে তাকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। এর আগে গত মাসে রাজধানীর বাড্ডার সাঁতারকুলের ইউনাইটেড মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে খতনার পর পাঁচ বছর বয়সি শিশু আয়ানের মৃত্যু হয়। এ ছাড়া গতকাল চিকিৎসার জন্য গিয়ে মারা যান আরেক ব্যক্তি। এ পরিপ্রেক্ষিতে এমন নির্দেশনা জারি করল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
এর আগে গত বুধবার স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন বলেছেন, নিয়ম না মেনে অস্ত্রোপচার করলে সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকদের গ্রেপ্তার করে কঠোর শাস্তি দেওয়া হবে। একই সঙ্গে সেই হাসপাতাল বা ক্লিনিক সিলগালা করে দেওয়া হবে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দেওয়া ১০ দফা শর্ত:
বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার পরিচালনার ক্ষেত্রে যে ১০টি শর্ত আবশ্যিকভাবে প্রতিপালনের নির্দেশনা জারি করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সেগুলো হচ্ছে:
১. বেসরকারি ক্লিনিক/হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিকের লাইসেন্সের কপি ওই প্রতিষ্ঠানের মূল প্রবেশপথের সামনে দৃশ্যমান স্থানে অবশ্যই স্থায়ীভাবে প্রদর্শন করতে হবে।
২. সব বেসরকারি স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে ওই প্রতিষ্ঠানের যাবতীয় তথ্য সংরক্ষণ ও সরবরাহের জন্য একজন নির্ধারিত দায়িত্বপ্রাপ্ত তথ্য কর্মকর্তা বা কর্মচারী থাকতে হবে এবং তার ছবি ও মোবাইল নম্বর দৃশ্যমান স্থানে প্রদর্শন করতে হবে।
৩. যেসব প্রতিষ্ঠানের নাম ডায়াগনস্টিক ও হাসপাতাল হিসেবে আছে কিন্তু শুধু ডায়াগনস্টিক অথবা হাসপাতালের লাইসেন্স রয়েছে, তারা লাইসেন্সপ্রাপ্ত ছাড়া কোনোভাবেই নামে উল্লেখিত সেবা দিতে পারবে না।
৪. ডায়াগনস্টিক সেন্টার/প্যাথলজিক্যাল ল্যাবরেটরির ক্ষেত্রে যে ক্যাটারগরিতে লাইসেন্সপ্রাপ্ত, শুধু সে ক্যাটাগরিতে নির্ধারিত পরীক্ষা-নিরীক্ষা ব্যতীত কোনোভাবেই অন্যান্য পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা যাবে না। ক্যাটাগরি অনুযায়ী প্যাথলজি/মাইক্রোবায়োলজি, বায়োকেমিস্ট্রি ও রেডিওলজি বিশেষজ্ঞ নিয়োগ করতে হবে।
৫. বেসরকারি ক্লিনিক/হাসপাতালের ক্ষেত্রে লাইসেন্সের প্রকারভেদ ও শয্যাসংখ্যা অনুযায়ী সব শর্ত বাধ্যতামূলকভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে।
৬. হাসপাতাল/ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে নিয়োজিত সব চিকিৎসকের পেশাগত ডিগ্রির সনদগুলো, বিএমডিসির হালনাগাদ নিবন্ধন ও নিয়োগপত্রের কপি অবশ্যই সংরক্ষণ করতে হবে।
৭. হাসপাতাল/ক্লিনিকের ক্ষেত্রে যেকোনো ধরনের অপারেশন/সার্জারি/প্রসিডিউরের জন্য অবশ্যই রেজিস্টার্ড চিকিৎসককে সার্জনের সহকারী হিসেবে রাখতে হবে।
৮. কোনো অবস্থাতেই লাইসেন্সপ্রাপ্ত/নিবন্ধিত হাসপাতাল ও ক্লিনিক ছাড়া চেম্বারে অথবা ডায়াগনস্টিক সেন্টারে অ্যানেসথেসিয়া দেওয়া যাবে না। বিএমডিসি (বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিল) স্বীকৃত বিশেষজ্ঞ অবেদনবিদ ছাড়া যেকোনো ধরনের অপারেশন/সার্জারি/ইন্টারভেনশনাল প্রসিডিউর করা যাবে না।
৯. সব বেসরকারি নিবন্ধিত লাইসেন্সপ্রাপ্ত হাসপাতাল/ক্লিনিকে লেবার রুম প্রটোকল অবশ্যই মেনে চলতে হবে।
১০. নিবন্ধিত/লাইসেন্সপ্রাপ্ত হাসপাতাল/ক্লিনিকে অপারেশন থিয়েটারে অবশ্যই অপারেশন থিয়েটার এটিকেট (শিষ্টাচার) মেনে চলতে হবে।
এডিস মশা বাহিত ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়ে একদিনে (রোববার সকাল ৮টা থেকে সোমবার সকাল ৮টা পর্যন্ত) আরও ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন আরও ৭০৫ জন। এ নিয়ে চলতি বছর ডেঙ্গুতে মৃত্যু হয়েছে ৪৯৭ জনের আর ওই রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয় ৯৩ হাজার ৫৬ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, সোমবার সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন এলাকায় ২৫৯ জন, ঢাকা বিভাগে ১৩৪ জন, ময়মনসিংহে ১৮ জন, চট্টগ্রামে ৭৩ জন, খুলনায় ৯৬ জন, রাজশাহী বিভাগে ৪৩ জন, রংপুর বিভাগে ১০ জন, বরিশাল বিভাগে ৬০ জন এবং সিলেট বিভাগে দুই জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। গত একদিনে যাদের মৃত্যু হয়েছে তাদের একজন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে, বাকি দুই জন ঢাকা বিভাগ ও খুলনা বিভাগের হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। সোমবার সকাল পর্যন্ত হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন ৮৯ হাজার ৭৮০ জন রোগী। বর্তমানে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি আছেন ২ হাজার ৭৭৯ জন।
তাদের মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি ১ হাজার ১৪৯ জন; আর ১ হাজার ৬৩০ জন ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি। এ বছর মোট ভর্তি রোগীদের মধ্যে ৫৪ হাজার ৪৬৬ জন ঢাকার বাইরের রোগী। ঢাকার দুই মহানগর এলাকার হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৩৭ হাজার ১৯২ জন।
ডিসেম্বরের প্রথম দুই দিনে ডেঙ্গু আক্রান্ত ১ হাজার ৫৮৭ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন আর মৃত্যু হয়েছে ৯ জনের। এ বছর সবচেয়ে বেশি ৩০ হাজার ৮৭৯ জন রোগী ভর্তি হয়েছে অক্টোবর মাসে। সে মাসে ১৩৫ জনের মৃত্যু হয়েছিল। এক মাসে সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয়েছে নভেম্বরে, ১৭৩ জন। নভেম্বরে ২৯ হাজার ৬৫২ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। জানুয়ারি মাসে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন ১ হাজার ৫৫ জন, এর মধ্যে ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। ফেব্রুয়ারি মাসে হাসপাতালে ভর্তি হন ৩৩৯ জন, মৃত্যু হয়েছে তিনজনের। মার্চ মাসে আক্রান্ত হন ৩১১ জন, এর মধ্যে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। এপ্রিল মাসে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৫০৪ জন, যাদের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে দুইজনের। মে মাসে ৬৪৪ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন, মৃত্যু হয়েছে ১২ জনের। জুন মাসে ৭৯৮ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন, মৃত্যু হয়েছে আটজনের। জুলাই মাসে ২ হাজার ৬৬৯ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হন, তাদের মধ্যে ১২ জনের মৃত্যু হয়। আগস্টে ৬ হাজার ৫২১ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল, এর মধ্যে ২৭ জনের মৃত্যু হয়।
জিকা ভাইরাসে ১১ ও চিকুনগুনিয়ার ৬৭ রোগী শনাক্ত
এদিকে এ বছর ১১ জনের শরীরে জিকা ভাইরাস ও ৬৭ জনের চিকুনগুনিয়া ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) সূত্রে এ তথ্য জানায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। গতকাল বেলা ১১টায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কনফারেন্স রুমে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবু জাফর বলেন, চলতি বছর চিকুনগুনিয়ায় ৬৭ জন এবং জিকা ভাইরাসে ১১ জন আক্রান্ত হয়েছেন। জিকা ও চিকুনগুনিয়া আক্রান্তের অধিকাংশ ঢাকার অধিবাসী। ডেঙ্গু ভাইরাস শনাক্ত করতে নিয়ে এই দুইটি ভাইরাসের রোগী মিলেছে। তিনি বলেন, জিকা ও চিকুনগুনিয়ায় মৃত্যু হার কম। তাই আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই।
সাধারণত শীত শুরু হলে এডিস মশার প্রকোপ অনেকটাই কমে যায়। এ দেশে শীতের শুরুটা নভেম্বরের মাঝামাঝি থেকে। ঢাকায় এখন শীতের আগমনী বার্তা। সারা দেশে শীত নেমেছে আগেই। কিন্তু এখনো কমেনি এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গুর প্রকোপ। বরং এ বছর নভেম্বরেই ডেঙ্গুতে আক্রান্ত রোগীদের মৃত্যু হয়েছে সবচেয়ে বেশি। নভেম্বরে এ রোগে প্রাণ হারিয়েছেন ১৭৩ জন। ক্যালেন্ডারের পাতা উল্টিয়ে নভেম্বরের শেষে এসেছে ডিসেম্বর। গত ২৪ ঘণ্টায় অর্থাৎ ৩০ নভেম্বরের সকাল ৮টা থেকে আজ রোববার (১ ডিসেম্বর) সকাল ৮টা পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন আরও ৮৮২ জন। এ ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় প্রাণ হারিয়েছেন আরও ৬ জন। ফলে চলতি বছর এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে মৃত্যু হয়েছে ৪৯৪ জনের।
রোববার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের দেওয়া নিয়মিত বুলেটিন থেকে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা জানা গেছে। এ বছর ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন মোট ৯২ হাজার ৩৫১ জন। এদের সিংহভাগই চিকিৎসা শেষে ঘরে ফিরেছেন বটে; কিন্তু ডেঙ্গুর লক্ষণ কমে গেলেও তাদের বড় অংশই হারিয়েছেন প্রাণশক্তি। এখনো তাদের পুরোপুরি সুস্থ হতে নিয়মবদ্ধ জীবনযাপন করতে হচ্ছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, সারা দেশের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে বর্তমানে ২ হাজার ৮৬৮ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি আছেন। এর মধ্যে ঢাকায় ভর্তি আছেন ১ হাজার ১৯৩ জন। বাকি ১ হাজার ৬৭৫ জন ভর্তি আছেন ঢাকার বাইরে বিভিন্ন বিভাগে। চলতি বছর অক্টোবরে ডেঙ্গু কেড়ে নিয়েছে ১৩৫ জনের প্রাণ। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ও মৃত্যুর তথ্য রাখে ২০০০ সাল থেকে। এর মধ্যে ২০২৩ সালে এ রোগ নিয়ে সবচেয়ে বেশি ৩ লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়। ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে সবচেয়ে বেশি ১ হাজার ৭০৫ জনের মৃত্যুও হয় ওই বছর।
গত ৫০ বছরের মধ্যে এই প্রথম অ্যাজমার রোগীদের জন্য নতুন চিকিৎসা আবিষ্কার করেছেন স্বাস্থ্য গবেষকরা। তাদের দাবি, অ্যাজমা রোগীদের জন্য এমন একটি ইনজেকশন তৈরি করা হয়েছে, যেটি রোগীর শরীরের একটি বিশেষ ধরনের প্রতিরক্ষাব্যবস্থাকে নিয়ন্ত্রণ করে। আর এর মাধ্যমে অ্যাজমা ও ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ (সিওপিডি) রোগীরা সক্রিয়া হয়ে ওঠেন।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নতুন আবিষ্কৃত ওষুধটির নাম ‘বেনরালিজুমাব’। বর্তমানে এটি গুরুতর শ্বাসকষ্টের রোগীর ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হচ্ছে।
যুক্তরাজ্যের কিংস কলেজের একদল গবেষক এই ওষুধটি আবিষ্কার করেছেন। তারা আশা করছেন, নতুন এই ওষুধটি যুক্তরাজ্যে প্রতিবছর প্রায় ২০ লাখ অ্যাজমা রোগীদের চিকিৎসায় ব্যবহার করা যাবে। ওষুধটিকে ‘গেম-চেঞ্জার’ হিসেবে আখ্যা দিয়ে গবেষকরা বলছেন, এটি অ্যাজমা ও সিওপিডি রোগীদের চিকিৎসায় বিপ্লব ঘটাতে পারে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স এক প্রতিবেদনে বলেছে, ৫০ বছর ধরে হাঁপানি বা শ্বাসকষ্টের মানসম্মত চিকিৎসা হিসেবে স্টেরয়েডের ব্যবহার হয়ে আসছে। এখন যে ইনজেকশনটি আবিষ্কৃত হয়েছে, সেটি স্টেরয়েডের চেয়ে বেশি কার্যকর।
কিংস কলেজ লন্ডনের গবেষকরা অ্যাজমা বা ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজের (সিওপিডি) উচ্চ ঝুঁকিতে থাকা ১৫৮ জন রোগীর ওপর গবেষণা চালিয়েছেন। গবেষণায় তারা দেখেছেন, অ্যাজমার আক্রমণকালে (ইগজারবেশন) অ্যাস্ট্রাজেনেকার ইনজেকশন ফ্যাসেনরা মুখে খাবার উপযোগী ‘কর্টিকোস্টেরয়েড প্রিডনিসোলোন’-এর চেয়ে বেশি কার্যকর।
গবেষণায় আরও দেখা গেছে, তীব্র অ্যাজমায় বেনরালিজুমাব প্রয়োগের ২৮ দিন পর শ্বাসকষ্টের উপসর্গ অধিকতর ভালোভাবে কমে এসেছে। গবেষণায় নেতৃত্ব দেওয়া কিংস কলেজ লন্ডনের অধ্যাপক মোনা বাফাডহেল এক বিবৃতিতে বলেন, অ্যাজমা ও সিওপিডি আক্রান্ত ব্যক্তিদের চিকিৎসায় এটি একটি যুগান্তকারী ফলাফল হতে পারে।
এডিস মশাবাহিত রোগ ডেঙ্গুর ভয়াবহতা বেড়েই চলেছে। প্রতিদিনই এই রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে অনেকে। মৃত্যুও হচ্ছে অনেক। দেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে আজ শনিবার সকাল আটটা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় আরও তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। এতে চলতি বছর নভেম্বর মাসে ডেঙ্গুতে ১৭৩ জনের মৃত্যু হলো। আগের মাস অক্টোবর মাসে মত্যু হয়েছিল ১৩৫ জনের। ফলে এবছর ১১ মাসের মধ্যে নভেম্বরে সবচেয়ে বেশি মৃত্যু দেখলো বাংলাদেশ। চলতি বছর এই ভাইরাসে এখন পর্যন্ত ৪৮৮ জনের মৃত্যু হলো। শনিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত একদিনে ডেঙ্গু নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন আরও ৬৭৫ জন। এতে নভেম্বরে ৩০ হাজার ৮৭৯ জন রোগী ভর্তি হয়েছেন। অপরদিকে অক্টোবরে ২৯ হাজার ৬৫২ জন রোগী ভর্তি হয়। এতে এ বছর হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৯১ হাজার ৪৬৯ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, একদিনে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রোগীদের মধ্যে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন এলাকায় ৩১৯ জন, ঢাকা বিভাগে ৬৯ জন, ময়মনসিংহে ১৮ জন, চট্টগ্রামে ৭২ জন, খুলনায় ৬৬ জন, রাজশাহী বিভাগে ২৭ জন, রংপুর বিভাগে ৬ জন, বরিশাল বিভাগে ৯৮ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
একদিনে মারা যাওয়া তিনজনের মধ্যে সবাই ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, শনিবার পর্যন্ত হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন ৮৭ হাজার ৮৭৯ জন রোগী। বর্তমানে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি আছেন ৩ হাজার ১০২ জন। তাদের মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি ১ হাজার ৩৩৮ জন এবং ১ হাজার ৭৬৪ ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে। এ বছর মোট ভর্তি রোগীদের মধ্যে ৫৪ হাজার ৮২২ জন ঢাকার বাইরের রোগী। ঢাকার দুই মহানগর এলাকার হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৩৬ হাজার ৬৪৭ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ও মৃত্যুর তথ্য রাখে ২০০০ সাল থেকে। এর মধ্যে ২০২৩ সালে এ রোগ নিয়ে সবচেয়ে বেশি ৩ লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়। ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে সবচেয়ে বেশি ১ হাজার ৭০৫ জনের মৃত্যুও হয় ওই বছর।
মশাবাহিত ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছেন তিনজন। এ নিয়ে চলতি বছর এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে মারা গেছেন ৪৮৫ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ৩৫৪ জন ডেঙ্গু নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এ নিয়ে চলতি বছর এখন পর্যন্ত হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৯০ হাজার ৭৯৪ জন ডেঙ্গুরোগী। শুক্রবার সন্ধ্যায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া তিনজনই ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকার বাসিন্দা। আলোচ্য সময়ে আক্রান্তদের মধ্যে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন এলাকার ১৭৬ জন রয়েছেন। এ ছাড়া ঢাকা বিভাগে (সিটি করপোরেশন বাদে) ৪৬ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ৩৮ জন, বরিশাল বিভাগে ৫ জন, খুলনা বিভাগে ২৫ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে ২২ জন, রাজশাহীতে ৪১ জন এবং রংপুর বিভাগে একজন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত সারা দেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন মোট ৯০ হাজার ৭৯৪ জন। যাদের মধ্যে ৬৩ দশমিক ২০ শতাংশ পুরুষ এবং ৩৬ দশমিক ৮০ শতাংশ নারী। এ ছাড়া এখন পর্যন্ত মৃত ৪৮৫ জনের মধ্যে ৫১ দশমিক ৫০ শতাংশ নারী এবং ৪৫ দশমিক ৫০ শতাংশ পুরুষ।
প্রতি বছর বর্ষাকালে ডেঙ্গুর প্রকোপ দেখা দেয়। ২০২৩ সালের জুন মাস থেকে ডেঙ্গু পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করে। গত বছর দেশে ৩ লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নেন। এর মধ্যে ঢাকায় এক লাখ ১০ হাজার ৮ জন এবং ঢাকার বাইরে চিকিৎসা নিয়েছেন দুই লাখ ১১ হাজার ১৭১ জন।
এর আগে ২০১৯ সালে দেশব্যাপী ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছিলেন এক লাখ এক হাজার ৩৫৪ জন। ওই সময় চিকিৎসক-স্বাস্থ্যকর্মীসহ প্রায় ৩০০ জনের মৃত্যু হয়। ২০২০ সালে করোনা মহামারিকালে ডেঙ্গুর সংক্রমণ তেমন একটা দেখা না গেলেও ২০২১ সালে সারা দেশে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হন ২৮ হাজার ৪২৯ জন। ওই বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ১০৫ জন মারা যান। এ ছাড়া ২০২২ সালে ডেঙ্গু নিয়ে মোট ৬২ হাজার ৩৮২ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। ওই বছর মশাবাহিত রোগটিতে আক্রান্ত হয়ে মারা যান ২৮১ জন।
স্বাস্থ্য সংস্কার কমিশনের সদস্য অধ্যাপক ডা. সৈয়দ আকরাম হোসেন বলেছেন, ‘দেশে ক্যানসারের চিকিৎসা এখন দুর্বিষহ অবস্থায় রয়েছে। সরকারি হাসপাতালগুলোতে কার্যকরভাবে ক্যানসারের চিকিৎসা কাজ করছে না। ফলে বাধ্য হয়ে রোগীদের বেসরকারি হাসপাতালে যেতে হচ্ছে। এ ছাড়া দেশের বাইরেও যেতে হচ্ছে, এতে বছরে প্রায় ৫ মিলিয়ন ডলার দেশ থেকে চলে যাচ্ছে।
শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে বাংলাদেশ স্তন ক্যানসার সচেতনতা ফোরাম কর্তৃক আয়োজিত এক আলোচনা অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
ডা. সৈয়দ আকরাম হোসেন বলেন, ‘সরকারের উচিত দেশেই ক্যানসারের পরিপূর্ণ চিকিৎসার ব্যবস্থা তৈরি করা।’
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে ক্যানসারের চিকিৎসা করা বেশ কঠিন। দেশে আর্লি ডায়াগনোসিসের তেমন সুব্যবস্থা নেই। যতই সচেতনতা বৃদ্ধি করা হোক না কেন, একজন ক্যানসার রোগীর ক্ষেত্রে যদি আর্লি ডায়াগনোসিসের ব্যবস্থা করা না যায়, তাহলে তা সুফল বয়ে আনবে না।’
‘কাজটা খুব কঠিন নয়, চাইলেই সম্ভব। কারণ প্রতিটি হাসপাতালেই প্রয়োজনীয় লজিস্টিক থাকে। এর জন্য দরকার হলো উদ্যোগ’- যোগ করে বললেন ডা. সৈয়দ আকরাম হোসেন।
বাংলাদেশ স্তন ক্যানসার সচেতনতা ফোরামের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান সমন্বয়কারী ডা. হাবিবুল্লাহ তালুকদার রাসকিনের সঞ্চালনায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সরকারের নারী অধিকারবিষয়ক সংস্কার কমিশনের সদস্য ড. হালিদা হানুম আখতার, সাবেক অতিরিক্ত সচিব আব্দুল হাকিম মজুমদার প্রমুখ।
এ সময় অনুষ্ঠানে স্তন ক্যানসার সচেতনতায় ১৫০ দিনের কর্মসূচির কৃতজ্ঞতা, মূল্যায়ন ও সুপারিশের কারণে ১০ সাংবাদিককে কৃতজ্ঞতা স্মারক প্রদান করা হয়।
দেশে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে আরও ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে চলতি মাসে এখন পর্যন্ত এডিস মশাবাহিত রোগটিতে ১৬৭ জনের মৃত্যু হলো। চলতি বছর এখন পর্যন্ত এক মাসে সর্বোচ্চ মৃত্যু এটি। বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন এলাকার হাসপাতালে দুজন, ঢাকা বিভাগে দুজন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন, বরিশাল ও খুলনা বিভাগে একজন করে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য বিশ্লেষণে দেখা গেছে, সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ৮৩৭ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ঢাকা বিভাগের (ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন বাদে) বিভিন্ন হাসপাতালে সর্বোচ্চ ২২১ জন ভর্তি হয়েছেন। এ ছাড়া ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন এলাকায় ১৭১, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকায় ১১৫, খুলনা বিভাগে ১০৯, চট্টগ্রাম বিভাগে ৮৫, বরিশাল বিভাগে ৭২, রাজশাহী বিভাগে ৩২, ময়মনসিংহ বিভাগে ১৮, রংপুর বিভাগে ১০ ও সিলেট বিভাগের হাসপাতালে ৪ জন ভর্তি হয়েছেন।
চলতি বছর এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ৯০ হাজার ৪৪০ রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। গত মাসে ডেঙ্গু নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৩০ হাজার ৮৭৯ জন। চলতি মাসে এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ২৮ হাজার ৬২৩ জন।
বাংলাদেশের ইতিহাসে ডেঙ্গুতে সর্বোচ্চ সংক্রমণ ও মৃত্যু হয় গত বছর (২০২৩)। তখন ৩ লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। আর মৃত্যু হয় ১ হাজার ৭০৫ জনের। এ বছর এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে ৪৮২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে ২৪৮ জন নারী ও ২৩৪ জন পুরুষ।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য বিশ্লেষণে দেখা গেছে, এ বছর ডেঙ্গুতে সবচেয়ে বেশি ১৯ হাজার ১৭১ রোগী ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন এলাকার হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এরপর ঢাকা বিভাগের (ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন বাদে) বিভিন্ন হাসপাতালে ডেঙ্গু নিয়ে ১৬ হাজার ৫২৮ জন ভর্তি হয়েছেন। আর তৃতীয় সর্বোচ্চ ১৫ হাজার ৯০৩ জন ডেঙ্গু রোগী ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরশন এলাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় দশজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৯৯০ ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী। এ নিয়ে চলতি বছরে ডেঙ্গুতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৪৭১ জনে। আর শনাক্ত রোগী বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮৮ হাজার ৭১৫ জনে।
মঙ্গলবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ডেঙ্গুবিষয়ক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, মারা যাওয়া ১০ জনের মধ্যে ৩ জন পুরুষ, ৭ জন নারী। তাদের মধ্যে তিনজন বরিশাল বিভাগের, একজন চট্টগ্রাম বিভাগের, একজন ঢাকা বিভাগের, তিনজন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের এবং দুজন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের।
এ ছাড়াও হাসপাতালে নতুন করে ভর্তি হয়েছেন- বরিশাল বিভাগে ৮১ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ১০৩ জন, ঢাকা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ২৩৪, ঢাকা উত্তর সিটিতে ১৮৩, ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে ১৪৩, খুলনা বিভাগে ১৪৬, রাজশাহী বিভাগে ৫৯ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে ৩৮ জন, রংপুর বিভাগে ২ জন এবং সিলেট বিভাগে একজন।
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালে দেশের ইতিহাসে ডেঙ্গুতে সর্বোচ্চ ৩ লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন রোগী আক্রান্ত এবং ১ হাজার ৭০৫ জনের মৃত্যু হয়।
ডেঙ্গুতে মৃত্যুর মিছিল বাড়ছেই। গত ২৪ ঘণ্টায় মশার কামড়ে ডেঙ্গু ভাইরাসজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে মারা গেছেন ১১ জন ব্যক্তি-যা এ বছরে এখন পর্যন্ত এক দিনে সর্বোচ্চ মৃত্যুর ঘটনা। গতকাল শনিবার সকাল ৮টা থেকে আজ রোববার সকাল ৮টা পর্যন্ত সময়ে তাদের মৃত্যু হয়। এক দিনে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে আরও ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে, যা চলতি বছর এক দিনে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ মৃত্যু। এই সময়ে ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন আরও ১০৭৯ জন।
রোববার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এ বছর ডেঙ্গুতে এখন পর্যন্ত প্রাণ হারিয়েছেন ৪৫৯ জন -যা গত বছরের পর এ রোগে দেশের ইতিহাসে তৃতীয় সর্বোচ্চ মৃত্যুর সংখ্যা। এ অবস্থায় ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণকে সরকারের অগ্রাধিকার তালিকায় আনার দাবি জানিয়েছেন রোগীর স্বজনরা।
গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ১১ জনের মধ্যে ৯ জনই ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশনের বাসিন্দা। এর মধ্যে পাঁচ জন উত্তর সিটির, চার জন দক্ষিণ সিটির। বাকি দুই জন খুলনা বিভাগের।
এতে বলা হয়েছে, হাসপাতালে নতুন ভর্তি হওয়াদের মধ্যে বরিশাল বিভাগে ৯৭ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ১৩৩ জন, ঢাকা বিভাগে (সিটি কর্পোরেশনের বাইরে) ২৭২ জন, ঢাকা উত্তর সিটিতে ১৯৪ জন, ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে ১২১ জন, খুলনা বিভাগে ১৪৩ জন রয়েছেন। এ ছাড়া রাজশাহী বিভাগে ৫৮ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে ৩৫ জন, রংপুর বিভাগে ১৭ জন এবং সিলেট বিভাগে ৯ জন নতুন রোগী ভর্তি হয়েছেন।
এদিকে গত এক দিনে সারা দেশে ১২৩০ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন। এ নিয়ে চলতি বছর ছাড়পত্র পেয়েছেন ৮২ হাজার ৬১২ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত সবমিলিয়ে ৮৬ হাজার ৭৯১ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে মৃত্যু হয়েছে ৪৫৯ জনের। গত বছর ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন ৩ লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন, মারা যান ১ হাজার ৭০৫ জন।
২০২৩ সালে মশাবাহিত এই রোগে এক হাজার ৭০৫ জন মারা গেছেন, যা দেশের ইতিহাসে এক বছরে সর্বোচ্চ মৃত্যু। প্রতি বছর বর্ষাকালে ডেঙ্গুর প্রকোপ দেখা দেয়। ২০২৩ সালের জুন মাস থেকে ডেঙ্গু পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করে। গেল বছর দেশে ৩ লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নেন। এর মধ্যে ঢাকায় এক লাখ ১০ হাজার ৮ জন এবং ঢাকার বাইরে চিকিৎসা নিয়েছেন দুই লাখ ১১ হাজার ১৭১ জন।
এর আগে ২০১৯ সালে দেশব্যাপী ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছিলেন ১ লাখ এক হাজার ৩৫৪ জন। ওই সময় চিকিৎসক-স্বাস্থ্যকর্মীসহ প্রায় ৩০০ জনের মৃত্যু হয়েছিল। ২০২০ সালে করোনা মহামারিকালে ডেঙ্গুর সংক্রমণ তেমন একটা দেখা না গেলেও ২০২১ সালে সারা দেশে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হন ২৮ হাজার ৪২৯ জন। ওই বছর ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ১০৫ জনের মৃত্যু হয়েছিল। এ ছাড়া ২০২২ সালে ডেঙ্গু নিয়ে মোট ৬২ হাজার ৩৮২ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। ওই বছর মশাবাহিত রোগটিতে আক্রান্ত হয়ে ২৮১ জন মারা যান।
কক্সবাজার শহরে মাদক সেবনের টাকা চেয়ে না পাওয়ায় মাকে কুপিয়ে হত্যার পর থানায় হাজির হয়ে পুলিশের কাছে ধরা দিয়েছেন এক যুবক।
গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে কক্সবাজার পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের ঝিলংজা পশ্চিম বড়ুয়া পাড়ায় এ ঘটনা ঘটেছে বলে জানান কক্সবাজার সদর থানার ওসি ইলিয়াস খান।
নিহত আনোয়ারা বেগম (৫৫) একই এলাকার নিয়াজ আহমেদের স্ত্রী। গ্রেপ্তার হোসাইন মোহাম্মদ আবিদ (২৮) নিহতের ছেলে।
স্থানীয়দের বরাতে ইলিয়াস খান বলেন, কিছুদিন আগে আবিদের বাবা নিয়াজ আহমেদ একটি জায়গা বিক্রি করেন। সেই টাকা নিয়ে চিকিৎসার জন্য স্ত্রীসহ চট্টগ্রামে বসবাসকারী মেয়ের বাসায় অবস্থান করছিলেন নিয়াজ আহমেদ। শুক্রবার চট্টগ্রাম থেকে আবিদের মা আনোয়ারা বেগম কক্সবাজার ফেরেন।
রাতে মায়ের কাছে আবিদ টাকা চায়। কিন্তু মা ছেলেকে টাকা দিতে অপারগতা জানান। এ নিয়ে সে মায়ের সঙ্গে ঝগড়া করে। পরে রাতের খাবার খেয়ে মা-ছেলে ঘুমিয়ে পড়েন। গভীর রাতে ধারালো দা দিয়ে মাকে কুপিয়ে খুন করে আবিদ।
ওসি বলেন, ঘটনার পর আবিদ মায়ের শয়ন কক্ষের দরজা বাহির থেকে বন্ধ করে দিয়ে থানায় যায় এবং কুপিয়ে মাকে হত্যার ঘটনা পুলিশের কাছে অবহিত করে। তখন পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার দেখায়।
ইলিয়াছ খান আরও বলেন, শনিবার পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। এ সময় নিহত নারীর শয়ন কক্ষের দরজা বাহির থেকে বন্ধ ছিল। পরে দরজা খুলে খাটের ওপর থেকে মৃতদেহটি উদ্ধার করা হয়। নিহত নারীর মুখ, হাত ও মাথার কয়েকটি স্থানে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
এ সময় মৃতদেহের পাশ থেকে একটি ধারালো দা উদ্ধার করা হয়েছে বলেও জানান এ পুলিশ কর্মকর্তা।
নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়।
ওসি আরও বলেন, প্রাথমিকভাবে মাদকের সেবনের টাকা চেয়ে না পাওয়ায় মাকে খুনের তথ্য পাওয়া গেছে। তারপরও ঘটনার প্রকৃত কারণ জানতে পুলিশ কাজ করছে।
ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে এডিস মশার প্রজননস্থল ধ্বংসে কার্যকর ব্যবস্থা এখনো নেওয়া সম্ভব হয়নি। ফলে মশার কামড়ে এই রোগের সংক্রমণে মৃত্যু বাড়ছেই। গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে প্রাণ হারিয়েছেন আরও ১০ জন। একই দিন আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৮৮৬ জন রোগী। এ বছর ডেঙ্গুতে এখন পর্যন্ত প্রাণ হারিয়েছেন ৪৪৮ জন -যা গত বছরের পর এ রোগে দেশের ইতিহাসে তৃতীয় সর্বোচ্চ মৃত্যুর সংখ্যা। এ অবস্থায় ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণকে সরকারের অগ্রাধিকার তালিকায় আনার দাবি জানিয়েছেন রোগীর স্বজনরা।
শনিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোলরুম থেকে পাঠানো ডেঙ্গুবিষয়ক এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে আরও ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং চলতি বছরের এ যাবৎ ডেঙ্গুতে মোট মৃত্যুবরণ করেছেন ৪৪৮ জন।
ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রোগীর মধ্যে বরিশাল বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ১৪৪ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৬৯ জন, ঢাকা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ১২১ জন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে ২০৬ জন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে ১৬৭ জন, খুলনা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ১০৭ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ২৭ জন, রাজশাহী বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৪০ জন, রংপুর বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) সাতজন, সিলেট বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) একজন রয়েছেন।
২৪ ঘণ্টায় ৯৩৮ জন ডেঙ্গুরোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন, চলতি বছরে মোট ৮১ হাজার ৪৫৬ জন ডেঙ্গুরোগী ছাড়পত্র পেয়েছেন।
চলতি বছরের ২৩ নভেম্বর পর্যন্ত মোট ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছে ৮৫ হাজার ৭১২ জন। এর মধ্যে ৬৩ দশমিক দুই শতাংশ পুরুষ এবং ৩৬ দশমিক আট শতাংশ নারী রয়েছেন।
২০২৩ সালে মশাবাহিত এই রোগে এক হাজার ৭০৫ জন মারা গেছেন, যা দেশের ইতিহাসে এক বছরে সর্বোচ্চ মৃত্যু। প্রতি বছর বর্ষাকালে ডেঙ্গুর প্রকোপ দেখা দেয়। ২০২৩ সালের জুন মাস থেকে ডেঙ্গু পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করে। গেল বছর দেশে ৩ লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নেন। এর মধ্যে ঢাকায় এক লাখ ১০ হাজার ৮ জন এবং ঢাকার বাইরে চিকিৎসা নিয়েছেন দুই লাখ ১১ হাজার ১৭১ জন।
এর আগে ২০১৯ সালে দেশব্যাপী ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছিলেন ১ লাখ এক হাজার ৩৫৪ জন। ওই সময় চিকিৎসক-স্বাস্থ্যকর্মীসহ প্রায় ৩০০ জনের মৃত্যু হয়েছিল। ২০২০ সালে করোনা মহামারিকালে ডেঙ্গুর সংক্রমণ তেমন একটা দেখা না গেলেও ২০২১ সালে সারা দেশে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হন ২৮ হাজার ৪২৯ জন। ওই বছর ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ১০৫ জনের মৃত্যু হয়েছিল। এছাড়া ২০২২ সালে ডেঙ্গু নিয়ে মোট ৬২ হাজার ৩৮২ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। ওই বছর মশাবাহিত রোগটিতে আক্রান্ত হয়ে ২৮১ জন মারা যান।
দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন আরও ৪৫৮ জন, এই সময়ে মশাবাহিত রোগটিতে দুজনের মৃত্যু হয়েছে। সব মিলিয়ে এ বছর হাসপাতালে ভর্তি ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বেড়ে ৮৪ হাজার ৮২৬ জন হলো। আর মৃত্যু হয়েছে ৪৩৮ জনের।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, শুক্রবার সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় নতুন ভর্তি রোগীদের মধ্যে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন এলাকায় ১৮১ জন, ঢাকা বিভাগে ৫৮ জন, ময়মনসিংহে ২২ জন, চট্টগ্রামে ৬২ জন, খুলনায় ৬৫ জন, রাজশাহী বিভাগে ৪৭ জন, রংপুর বিভাগে দুইজন, বরিশাল বিভাগে ২০ জন এবং সিলেট বিভাগে একজন ভর্তি হয়েছেন।
যাদের মৃত্যু হয়েছে, তাদের মধ্যে একজন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন ও আরেকজন চট্টগ্রাম বিভাগের হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
শুক্রবার সকাল পর্যন্ত হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন ৮০ হাজার ৫১৮ জন রোগী। বর্তমানে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি আছেন ৩ হাজার ৮৭০ জন।
তাদের মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি ১ হাজার ৫৩৯ জন; আর ২ হাজার ৩৩১ জন ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি।
এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে গত একদিনে ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে চলতি বছর এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৩৬ জনে। এ সময় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন এক হাজার ২১৪ জন। এতে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮৪ হাজার ৩৬৮ জনে। বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, হাসপাতালে নতুন ভর্তি হওয়া এক হাজার ২১৪ জনের মধ্যে বরিশাল বিভাগে ৮২ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ৯৪ জন, ঢাকা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৪৩০ জন, ঢাকা উত্তর সিটিতে ১৯৫, ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে ১৪১, খুলনা বিভাগে ১১৭ জন রয়েছেন। এছাড়া রাজশাহী বিভাগে ৯১ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে ৩৯ জন, রংপুর বিভাগে ১৪ জন এবং সিলেট বিভাগে ১১ জন নতুন রোগী ভর্তি হয়েছেন।
চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ২১ নভেম্বর পর্যন্ত সারাদেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন মোট ৮৪ হাজার ৩৬৮ জন। যাদের মধ্যে ৬২ দশমিক ৯০ শতাংশ পুরুষ এবং ৩৭ দশমিক ১০ শতাংশ নারী রয়েছে। এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে মৃত্যু হয়েছে ৪৩৬ জনের। এর মধ্যে নারী ৫০ দশমিক ৭০ শতাংশ এবং পুরুষ ৪৯ দশমিক ৩০ শতাংশ। প্রতি বছর বর্ষাকালে ডেঙ্গুর প্রকোপ দেখা দেয়। ২০২৩ সালের জুন মাস থেকে ডেঙ্গু পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করে। গেল বছর দেশে তিন লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নেন। এর মধ্যে ঢাকায় এক লাখ ১০ হাজার ৮ জন এবং ঢাকার বাইরে চিকিৎসা নিয়েছেন দুই লাখ ১১ হাজার ১৭১ জন।
আক্রান্তদের মধ্যে হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরেন তিন লাখ ১৮ হাজার ৭৪৯ জন। গত বছর এক হাজার ৭০৫ জন মশাবাহিত এই রোগে মারা গেছেন, যা দেশের ইতিহাসে এক বছরে সর্বোচ্চ মৃত্যু। প্রতি বছর বর্ষাকালে ডেঙ্গুর প্রকোপ দেখা দেয়। ২০২৩ সালের জুন মাস থেকে ডেঙ্গু পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করে। গেল বছর দেশে ৩ লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নেন। এর মধ্যে ঢাকায় এক লাখ ১০ হাজার ৮ জন এবং ঢাকার বাইরে চিকিৎসা নিয়েছেন দুই লাখ ১১ হাজার ১৭১ জন।
এর আগে ২০১৯ সালে দেশব্যাপী ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছিলেন ১ লাখ এক হাজার ৩৫৪ জন। ওই সময় চিকিৎসক-স্বাস্থ্যকর্মীসহ প্রায় ৩০০ জনের মৃত্যু হয়েছিল। ২০২০ সালে করোনা মহামারিকালে ডেঙ্গুর সংক্রমণ তেমন একটা দেখা না গেলেও ২০২১ সালে সারাদেশে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হন ২৮ হাজার ৪২৯ জন। ওই বছর ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ১০৫ জনের মৃত্যু হয়েছিল। এছাড়া ২০২২ সালে ডেঙ্গু নিয়ে মোট ৬২ হাজার ৩৮২ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। ওই বছর মশাবাহিত রোগটিতে আক্রান্ত হয়ে ২৮১ জন মারা যান।