মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪

শিশু ক্যানসার চিকিৎসায় কালক্ষেপণ নয়

আপডেটেড
২ নভেম্বর, ২০২২ ০৯:০২
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা
প্রকাশিত
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা
প্রকাশিত : ২ নভেম্বর, ২০২২ ০৯:০১

ডা. রাশেদ জাহাঙ্গীর কবীর

বর্তমান সময়ে সারা পৃথিবীতে মানুষের মৃত্যুর অন্যতম প্রধান কারণ ক্যানসার। এই রোগ বড়দের মতো শিশুদেরও আক্রান্ত করে। তবে আশার কথা এই যে, সময়মতো এবং সঠিকভাবে চিকিৎসা করলে বেশির ভাগ শিশুই এ রোগের কবল থেকে রক্ষা পায়। পাশাপাশি এ কথাও সত্যি যে, অনেক ধরনের প্রতিবন্ধকতার মুখোমুখি হতে হয় শিশুদের ক্যানসার রোগের চিকিৎসার ক্ষেত্রে।

মানসিক প্রতিবন্ধকতা

শিশুদের যে ক্যানসার হয়, এ কথাটা মেনে নিতে না পারাটাই প্রথম বাধা হিসেবে কাজ করে। কোনো ডাক্তার যখন বাচ্চার অভিভাবককে জানান যে, তার সন্তানের ক্যানসার হয়েছে তখন প্রথমে তারা বিশ্বাস করতে চান না। ফলে বিভিন্ন জায়গায় ছোটাছুটি করে সত্যতা যাচাই করতে গিয়ে কালক্ষেপণ করেন এবং প্রাথমিক পর্যায়ের রোগকে জটিল করে তোলেন। তাই বাচ্চাদেরও ক্যানসার হয়, এই কথাটা বিশ্বাস করতে হবে।

শিশুর বয়স

সাধারণ মানুষের ধারণা, পাঁচ বছর, নিদেনপক্ষে দশ-বারো বছর বয়স যাদের, তারাই শিশুর কাতারে পড়ে। যার ফলে তেরো থেকে আঠারো বছর বয়সী রোগীদের চিকিৎসার ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়। কেননা এ বয়সের বাচ্চাদের একটি বিরাট অংশ ক্যানসার রোগে আক্রান্ত হয়। অতএব, এ কথাটি মনে রাখতে হবে যে, আঠারো বছর বয়স পর্যন্ত সবাই শিশু এবং তাদের শিশু ক্যানসার বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের কাছে নিয়ে আসতে হবে। শিশুদের চিকিৎসা এবং বড়দের চিকিৎসার মধ্যে বিস্তর ফারাক আছে।

অর্থনৈতিক সমস্যা

ক্যানসার চিকিৎসায় প্রচুর টাকা খরচ হয় এই ধারণা সবার। কথাটা একেবারে ভুল নয়, তবে বড়দের চিকিৎসার তুলনায় এই খরচ তেমন বেশি নয়। তা ছাড়া সরকারি হাসপাতালে অনেক ওষুধ বিনা মূল্যে সরবরাহ করা হয়।

আর একটি ধারণা সবার মধ্যে আছে যে, ক্যানসার ভালো হয় না, তাই খামাকা টাকা খরচ করে লাভ নেই। এই ধারণাটি একেবারেই ভুল। শিশুদের ক্যানসার ভালো হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি। উন্নত বিশ্বে এই সংখ্যা শতকরা ৮০-৯৫ ভাগ, তবে আমাদের দেশে এই সংখ্যাটা শতকরা ৫০-৮০ ভাগের মতো।

‘ক্যানসার রোগ একটি অভিশাপ’- এই ধারণা থেকে অনেকেই কুসংস্কারাচ্ছন্ন হয়ে পড়েন এবং ঝাড়-ফুঁক, তাবিজ-কবচ, পানি পড়া, চাল পড়া ও বিভিন্ন টোটকা চিকিৎসার শরণাপন্ন হন। এসব করতে গিয়ে সঙ্গত কারণেই রোগী এবং রোগকে জটিল করে তোলেন। মনে রাখতে হবে, ক্যানসার চিকিৎসা যত তাড়াতাড়ি শুরু হবে, নিরাময় হওয়ার সম্ভাবনা তত বেশি।

কিছু কিছু ক্ষেত্রে আবার অন্যরকম ঘটনাও ঘটে। যারা বিত্তবান তারা অনেকেই মনে করেন আমাদের দেশে এই রোগের ভালো চিকিৎসা নেই । তাই তারা প্রথমেই বিদেশে যাওয়ার চিন্তা করেন। পাসপোর্ট, ভিসা এবং অন্যান্য কারণে সময় নষ্ট করে ফেলেন অনেকটা। ফলাফল হিসেবে প্রাথমিক পর্যায়ের অসুখ জটিল পর্যায়ে চলে যায়। আমাদের দেশে শিশু ক্যানসারের চিকিৎসা সম্ভব এবং অনেক শিশু ক্যানসার বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক এখন নিয়মিত চিকিৎসাসেবা দিয়ে যাচ্ছেন।

সবশেষে বলতে চাই, শিশু ক্যানসারের মতো জটিল রোগকে প্রতিরোধ করতে সব প্রতিবন্ধকতা দূর করতে হবে। সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। মনে রাখতে হবে, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব চিকিৎসা শুরু করতে হবে। অযথা সময় নষ্ট করা যাবে না।

লেখক: সহযোগী অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান, পেডিয়াট্রিক হেমাটোলজি ও অনকোলজি

জাতীয় ক্যানসার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল


ঈদের দিন স্বাস্থ্য মন্ত্রীর আকস্মিক হাসপাতাল পরিদর্শন

ছবি: বাসস
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন আকস্মিকভাবে রাজধানীর মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও শেখ হাসিনা বার্ন ইউনিট পরিদর্শন করেছন। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে তিনি এই হাসপাতালগুলোতে পরিদর্শনে যান। ঈদ ছুটিতে সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করতেই মূলত তিনি হাসপাতালগুলো পরিদর্শন করছেন।

এই সময় মন্ত্রী বলেন, মন্ত্রী হিসেবে এটা আমার প্রথম ঈদ। আমি আশা করছি দেশের মানুষ খুব সুন্দরভাবে ঈদ পালন করছেন।
ঈদে লম্বা ছুটি। এর মধ্যেও দেশের কোনো হাসপাতালে স্বাস্থ্য সেবার ব্যাঘাত ঘটেনি।

দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পরিদর্শনকালে ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, আমি বুধবার কয়েকটা হাসপাতালে গিয়েছিলাম। আজকে আরও কয়েকটি হাসপাতালে যাবো। গতকাল দুটি হাসপাতালে গিয়েছি, দুই জায়গায়ই আমি পর্যাপ্ত ডাক্তার ও নার্স পেয়েছি। আমি সন্তুষ্ট। রোগীদের সঙ্গেও আমি কথা বলেছি। কেউ কোনো অভিযোগ করেনি। সকালে দেশের সকল হাসপাতালের পরিচালকদের মেসেজ পাঠিয়েছি। আমি এখন পর্যন্ত যতটুকু জানি, সব জায়গায় চিকিৎসা চলছে। কোথাও ব্যত্যয় ঘটেনি।


বিএসএমএমইউয়ের বহির্বিভাগ ৪ দিন বন্ধ, সব সময় খোলা জরুরি বিভাগ

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ১০ থেকে ১৪ এপ্রিল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) বহির্বিভাগ বন্ধ থাকবে। তবে রোগীদের সুবিধার্থে ১৩ এপ্রিল শনিবার সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত বিএসএমএমইউয়ের বহির্বিভাগ খোলা থাকবে। তাছাড়া প্রতিদিনই হাসপাতালের ইনডোর ও জরুরি বিভাগ খোলা থাকবে। হাসপাতালের জরুরি ল্যাব সেবাও চালু থাকবে।

তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল ক্লাস, অফিস, বৈকালিক স্পেশালাইজড কনসালটেশন সার্ভিস, সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালের কনসালটেশন সার্ভিস, পিসিআর ল্যাব, কোভিড-১৯ ভ্যাক্সিনেশন কার্যক্রম বুধবার থেকে আগামী ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত বন্ধ থাকবে। বাংলা নববর্ষ উদযাপন উপলক্ষে ১৪ এপ্রিল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালের কার্যক্রম বন্ধ থাকবে।

পবিত্র ঈদুল ফিতর ও বাংলা নববর্ষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন উপাচার্য অধ্যাপক ডা. দীন মো. নূরুল হক। এ উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, চিকিৎসক, ছাত্রছাত্রী, কর্মকর্তা, নার্স, কর্মচারী এবং শুভানুধ্যায়ীসহ দেশবাসীকে আগাম শুভেচ্ছা জানিয়েছেন তিনি।

পবিত্র ঈদুল ফিতরের ছুটির দিনগুলোতে যাতে চিকিৎসা ব্যবস্থার কোনো ঘাটতি না হয়, সেজন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে নির্দেশ দিয়েছেন বিএসএমএমইউ উপাচার্য। রোগীদের উন্নতমানের খাবার পরিবেশনেরও ব্যবস্থা করা হয়েছে।


ঈদ ছুটিতে হাসপাতালে রোগীদের সেবার মান পরিদর্শন শুরু করেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১০ এপ্রিল, ২০২৪ ১৭:৫০
বাসস

ঈদের ছুটিতে রোগীদের কেমন সেবা দেওয়া হচ্ছে তা সরেজমিনে দেখতে আকস্মিকভাবে রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতাল পরিদর্শন করেছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন। আজ বুধবার সকালে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং জাতীয় হৃদরোগ ইন্সটিটিউট আকস্মিক পরিদর্শন করেন তিনি।

মূলত ঈদ ছুটিকে কেন্দ্র করে দেশের স্বাস্থ্য সেবা যাতে বিঘ্নিত না হয়, সেজন্য অপ্রত্যাশিতভাবে স্বাস্থ্য মন্ত্রী হাসপাতাল দুটি পরিদর্শন করেন। পরিদর্শনের অংশ হিসেবে সামন্ত লাল সেন সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরী সেবা বিভাগ, বিভিন্ন ওয়ার্ড ও কিচেনসহ জাতীয় হৃদরোগ ইন্সটিটিউটের সিসিইউ (করোনারি কেয়ার ইউনিট) পরিদর্শন করেন।

পাশাপাশি হাসপাতালে চিকিৎসারত রোগী ও তাদের আপনজনদের সাথে কথা বলেন। তাদের চিকিৎসা পেতে কোন প্রকারের অসুবিধা হচ্ছে কিনা জানতে চান। সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং জাতীয় হৃদরোগ ইন্সটিটিউট পরিদর্শনকালে স্বাস্থ্যমন্ত্রী হাসপাতাল দুটিতে দায়িত্বরত চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যসেবার সাথে জড়িত অন্যান্য কর্মীদের সাথে কথা বলেন।

তিনি তাদের উদ্দেশ্যে বলেন, প্রতি ঈদের ছুটিতে একটা অভিযোগ প্রায়ই শোনা যায় যে- হাসপাতালে ডাক্তার থাকে না, নার্স থাকেনা। সেবা নিতে আসা রোগীরা চিকিৎসা পায় না। এবার এটা হতে দেয়া যাবে না।


ঈদের ছুটিতে আকস্মিক হাসপাতাল পরিদর্শনে যাবেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ৯ এপ্রিল, ২০২৪ ১৯:৪০
বাসস

ঈদুল ফিতরের সময় স্বাস্থ্যসেবা পরিস্থিতি তদারকি করতে আকস্মিকভাবে বিভিন্ন হাসপাতাল পরিদর্শনে যাবেন বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন।

তিনি বলেন, ‘যাদের ডিউটি থাকবে সেটা যাতে ব্যাহত না হয়, সেটা আমি নিজে মনিটর করব। আমি কখন, কোথায় কোন হাসপাতালে যাব, সেটা বলব না। আমি নিজেই এ কয়দিন হাসপাতালগুলো মনিটর করব। শুধু ঢাকায় না, ঢাকার বাইরেও যাব।’

স্বাস্থ্যমন্ত্রী আজ মঙ্গলবার সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ঈদুল ফিতর-এর পরপরই নববর্ষ। এ সময় অনেক বড় একটা ছুটি হয়েছে। ছুটিতে অনেকেই বাড়ি যান। এবার আমি হাসপাতাল সম্পর্কে যেটা নির্দেশ দিয়েছি- আমার হাসপাতালে যারা চিকিৎসক কাজ করবেন, সাধারণত যারা সনাতন ধর্মের থাকেন তারাই এ সময়ে কাজ করেন। ঈদের সময় রোগীদের যেমন উন্নত খাবার দেওয়া হবে, এবার আমি অফিসিয়ালি প্রত্যেক হাসপাতালের পরিচালক, ইনস্টিটিউট, উপজেলার সবাইকে বলে দিয়েছি বন্ধের সময় যাতে চিকিৎসকদের উন্নত খাবার দেওয়া হয়।
ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা নিয়ে তিনি বলেন, এটা এমন একটা রোগ, এখানে সচেতনতাই হচ্ছে সবচেয়ে বড় জিনিস। সঠিক সময় হাসপাতালে ভর্তি না হতে পারলে ডেঙ্গুতে অনেক সময় মানুষ মারাও যায়। ডেঙ্গু মশার উপদ্রব বন্ধ করতে আমাদের সচেতন হতে হবে। চিকিৎসা হলো পরের কথা। চিকিৎসা করার জন্য যা যা দরকার সেটা নিয়ে আমরা ইতোমধ্যে একটা মিটিং করেছি। ঈদের পরে আবার বসব, যেন চিকিৎসায় কোনো ঘাটতি না হয়।


হেপাটাইটিসে প্রতিদিন প্রাণ যাচ্ছে ৩,৫০০ মানুষের: ডব্লিউএইচও

আপডেটেড ৯ এপ্রিল, ২০২৪ ১৭:৩৫
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

হেপাটাইটিস ভাইরাসে প্রতিদিন ৩ হাজার ৫০০ জনেরও বেশি মানুষ মারা যাচ্ছে এবং বিশ্বব্যাপী এই সংখ্যা বাড়ছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা মঙ্গলবার সতর্ক করে দ্বিতীয় বৃহত্তম সংক্রামক ঘাতকের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।

এই সপ্তাহে পর্তুগালে বিশ্ব হেপাটাইটিস সম্মেলন উপলক্ষ্যে রেখে প্রকাশিত ডব্লিউএইচও রিপোর্ট অনুসারে ১৮৭টি দেশের নতুন তথ্যে দেখা গেছে, ভাইরাল হেপাটাইটিসে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে ২০২২ সালে ১৩ লাখে দাঁড়িয়েছে, যা ২০১৯ সালে ছিল ১১ লাখ।

ডব্লিউএইচও-এর গ্লোবাল এইচআইভি, হেপাটাইটিস এবং যৌন-সংক্রমিত সংক্রমণ কর্মসূচির প্রধান মেগ ডোহার্টি এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, এগুলো হল ‘আশঙ্কাজনক প্রবণতা।’

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হেপাটাইটিস সংক্রমণে বিশ্বব্যাপী প্রতিদিন ৩,৫০০ জন মারা যাচ্ছে। এদের মধ্যে হেপাটাইটিস বি থেকে ৮৩ শতাংশ, হেপাটাইটিস-সি থেকে ১৭ শতাংশ।

কার্যকর এবং সস্তাা জেনেরিক ওষুধ রয়েছে যা এই ভাইরাসগুলো প্রতিরোধ করতে পারে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তবুও দীর্ঘস্থায়ী হেপাটাইটিস-বি আক্রান্তদের মধ্যে মাত্র তিন শতাংশ ২০২২ সালের শেষ নাগাদ অ্যান্টিভাইরাল চিকিৎসা পেয়েছে।

হেপ সি-এর জন্য, মাত্র ২০ শতাংশ - বা ১২.৫ মিলিয়ন লোককে - চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।

ডোহার্টি বলেন, ‘এই ফলাফলগুলো ২০৩০ সালের মধ্যে দীর্ঘস্থায়ী হেপ বি এবং সি এর সাথে বসবাসকারী সমস্ত লোকের ৮০ শতাংশের চিকিৎসা করার জন্য বিশ্বব্যাপী লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অনেক নিচে নেমে গেছে।’

হেপাটাইটিস সংক্রমণের সামগ্রিক হার কিছুটা কমেছে।

তবে ডব্লিউএইচও প্রধান টেড্রোস আধানম গেব্রিয়েসাস জোর দিয়েছিলেন যে প্রতিবেদনটি ‘একটি উদ্বেগজনক চিত্র এঁকেছে’।

তিনি একটি বিবৃতিতে বলেছেন, ‘হেপাটাইটিস সংক্রমণ প্রতিরোধে বিশ্বব্যাপী অগ্রগতি সত্ত্বেও, মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে কারণ হেপাটাইটিসে খুব কম লোকেরই নির্ণয় এবং চিকিৎসা করা হচ্ছে।’

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আফ্রিকার নতুন হেপ বি সংক্রমণের ৬৩ শতাংশের জন্য দায়ী, তবুও মহাদেশে প্রতি পাঁচজনের মধ্যে একজনের কম শিশুর জন্মের সময় টিকা দেওয়া হয়।

জাতিসংঘের সংস্থাটিও দুঃখ প্রকাশ করেছে, ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলিতে জেনেরিক হেপাটাইটিস ওষুধের পর্যাপ্ত অ্যাক্সেস নেই এবং তাদের আরো বেশি অর্থ প্রদান করা উচিত।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হেপাটাইটিসের দুই তৃতীয়াংশই বাংলাদেশ, চীন, ইথিওপিয়া, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, নাইজেরিয়া, পাকিস্তান, ফিলিপাইন, রাশিয়া এবং ভিয়েতনামে।

ডব্লিউএইচও এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘২০২৫ সালের মধ্যে এই ১০টি দেশে প্রতিরোধ, রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসার সার্বজনীন সুবিধা এবং আফ্রিকান অঞ্চলে জোর প্রচেষ্টার পাশাপাশি এ লক্ষ্যে বিশ্বব্যাপী কার্যক্রম সঠিক পথে ফিরিয়ে আনা অপরিহার্য।’


কিউবার রাষ্ট্রীয় পদক পেলেন বাংলাদেশের দুই চিকিৎসা বিজ্ঞানী

আপডেটেড ৭ এপ্রিল, ২০২৪ ২০:৪৬
নিজস্ব প্রতিবেদক

কিউবায় রাষ্ট্রীয় পদকে ভূষিত হলেন বাংলাদেশের দুই চিকিৎসা বিজ্ঞানী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্টারভেনশনাল হেপাটোলজি ডিভিশনের প্রধান অধ্যাপক ডা. মামুন আল মাহতাব স্বপ্নীল ও জাপানের ঔতা বিশ্ববিদ্যালয়ের রিসার্চ সেন্টার ফর গ্লোবাল এন্ড লোকাল ইনফেকশাস ডিজিজেজ-এর ভিজিটিং রিসার্চার ডা. শেখ মোহাম্মদ ফজলে আকবর। গত ১ এপ্রিল দেশটির ভারাদেরো শহরে আয়োজিত এক আড়ম্বরপূর্ণ অনুষ্ঠানে সে দেশের রাষ্ট্রপতির পক্ষে তাদের হাতে ''কার্লোস জে. ফিনলে অর্ডার'' তুলে দেন বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও পরিবেশ বিষয়ক মন্ত্রী এডওয়ার্ডো মার্টিনেজ ডায়েজ।

উল্লেখ্য,''কার্লোস জে. ফিনলে অর্ডার'' বিজ্ঞান গবেষনায় কিউবার সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় পদক। কিউবার রাস্ট্রপতি এ সংক্রান্ত একটি ডিক্রি জারী করেন (নম্বর ৭৮৯; তারিখ ২৬ মার্চ, ২০২৪)। ইয়েলো ফিভারের আবিস্কারক ও নোবেল পুরস্কারের জন্য মনোনীত প্রথম কিউবান নাগরিক কার্লোস জে. ফিনলের নামে কিউবান সরকার এই পদকটি প্রবর্তন করেছেন।

বিজ্ঞানে অবদান রাখার জন্য কিউবার সরকার প্রতি বছর দেশী-বিদেশী বিজ্ঞানীদের ''কার্লোস জে. ফিনলে অর্ডার'' এ সন্মানিত করে থাকেন। ২০১৮-এ রসায়নে নোবেল বিজয়ী মার্কিন বিজ্ঞানী অধ্যাপক ড. জর্জ পি. স্মিথও এই পদক লাভ করেন।

পদক প্রাপ্তির পর অধ্যাপক ডা. স্বপ্নীল বলেন,''চিকিৎসক এবং চিকিৎসা বিজ্ঞানীর দ্বৈত সত্তা বজায় রাখাটা এদেশে বিশেষ করে খুবই চ্যালেন্জিং। কিউবার সরকারের প্রতি আমার অশেষ কৃতজ্ঞতা। কারন এ ধরনের স্বীকৃতি সমস্ত কস্টকে ভুলিয়ে দিয়ে নতুনভাবে এগিয়ে যেতে উৎসাহ যোগায়''।

উল্লেখ্য,''ন্যাসভ্যাক'' নামক হেপাটাইটিস বি’র একটি নতুন ওষুধ উদ্ভবনের জন্য কিউবান একাডেমি অব সাইন্সেস ২০১৯ সালে অধ্যাপক ডা. স্বপ্নীল ও ডা. আকবরকে কিউবান ও জাপানী কো-রিসার্চারদের সাথে একাডেমি অব সাইন্সেসের সর্বোচ্চ পদক ''প্রিমিও ন্যাশনাল'' প্রদান করে। এ ছাড়াও অধ্যাপক ডা. স্বপ্নীল ২০২১-এ বাংলাদেশ একাডেমি অব সাইন্সেসর সর্বোচ্চ পুরস্কার ''বাস গোল্ড মেডেল এওয়ার্ড'' এ ভূষিত হন।

''ন্যাসভ্যাক'' ছাড়াও অধ্যাপক ডা. স্বপ্নীল ফ্যাটি লিভার, লিভার সিরোসিস ও লিভার ক্যন্সার চিকিৎসায় স্টেম সেল এবং হার্বাল মেডিসিন নিয়ে গবেষনা করছেন।


সেবা দিন, সব সুযোগ-সুবিধা দেব

শনিবার শাহবাগে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব কনভেনশন হলে বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস ২০২৪ উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় কথা বলছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

দেশের প্রান্তিক অঞ্চল পর্যন্ত চিকিৎসাসেবা পৌঁছে দিতে চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন। সেজন্য তাদের প্রয়োজনীয় সব সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিতের আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।

আজ শনিবার রাজধানীর শাহবাগে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব কনভেনশন হলে বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস ২০২৪ উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

সামন্ত লাল সেন বলেন, ‘২০৩০ সালের মধ্যে সবার জন্য স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতে সরকার কাজ করে যাচ্ছে। এ জন্য দেশের প্রান্তিক অঞ্চল পর্যন্ত চিকিৎসাসেবা পৌঁছে দিতে হবে। চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীরা যদি ঠিকভাবে কাজ করে তাহলেই এটা সম্ভব হবে। আমি এ জন্য আপনাদের যত রকম সুযোগ-সুবিধা প্রয়োজন তার ব্যবস্থা করব। আপনারা আমাকে সেবা দিন।’

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার খুরশিদ আলম বলেন, ‘দেশে ডাক্তারের সংখ্যা ১০ হাজার থেকে বেড়ে ৩০ হাজার হয়েছে। বায়োমেট্রিক ব্যবস্থা শুরু করায় অফিসে উপস্থিতি বেড়েছে। আমাদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স আছে ৫০০টি। এর মধ্যে ৫০ শয্যার হাসপাতাল ৩৭৬টি। প্রাতিষ্ঠানিক ডেলিভারি বেড়েছে, শিশু মৃত্যুহার কমেছে। ইপিআই টিকাদান প্রায় ৯৪ শতাংশ সফল হয়েছে। রাতকানা রোগ নিয়ন্ত্রণে এসেছে। বর্তমানে ৫ বছরের কম বয়সী খর্বকায় শিশুর জন্মের সংখ্যা ২৪ শতাংশে নেমে এসেছে।’

আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাতেই বাংলাদেশের স্বাস্থ্য খাতের উন্নয়ন ও চিকিৎসা বিজ্ঞানের গবেষণায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন শুরু হয়েছিল। তিনি স্বাস্থ্য ও পুষ্টিসেবা পাওয়াকে জনগণের মৌলিক অধিকার এবং রাষ্ট্রের কর্তব্য হিসেবে সংবিধানে সংযোজনের পাশাপাশি প্রথম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় স্বাস্থ্যকে গুরুত্ব প্রদান করেন। চিকিৎসাসেবাকে সাধারণ মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়ার জন্য জেলা, থানা এবং ইউনিয়ন পর্যায়ে স্বাস্থ্যসেবা সম্প্রসারণের উদ্যোগ নিয়েছিলেন।

দেশের স্বাস্থ্য খাতের উন্নয়ন প্রসঙ্গে আলোচকরা বলেন, ‘জাতির পিতার স্বপ্ন বাস্তবায়নে তার কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী ও সফল নেতৃত্বের মাধ্যমে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের পাশাপাশি স্বাস্থ্যখাতে ব্যাপক উন্নয়ন কার্যক্রম বাস্তবায়িত হয়েছে। যার ফলে গত ১৫ বছরে শিশু ও মাতৃমৃত্যু হার হ্রাস, জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার হ্রাস, গড় আয় বৃদ্ধিসহ অন্যান্য সূচকে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি সাধিত হয়েছে।

আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণায়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের যুগ্ম সচিব ড. মো. জিয়াউদ্দিন, স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. টিটু মিয়া, পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সাহান আরা বানু, বিএসএমএমইউ উপাচার্য অধ্যাপক ডা. দীন মোহাম্মদ নূরুল হক, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) সভাপতি ডা. মো. জামাল উদ্দিন চৌধুরী।


দুই দশকে প্রোস্টেট ক্যান্সার হবে দ্বিগুণ: গবেষণা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

বিশ্বব্যাপী নতুন প্রোস্টেট ক্যান্সারের সংখ্যা আগামী দুই দশকে দ্বিগুণেরও বেশি হবে। কারণ, দরিদ্র দেশগুলো ধনী দেশগুলোর বার্ধক্যের সাথে তাল মিলিয়ে চলেছে। শুক্রবার প্রকাশিত ল্যানসেটের প্রতিবেদনে এই কথা বলা হয়েছে।

জনসংখ্যাগত পরিবর্তনের সমীক্ষার ওপর ভিত্তি করে মেডিকেল জার্নালে বলা হয়েছে, ‘আমাদের অনুসন্ধানগুলো বলেছে যে, বার্ষিক নতুন প্রোস্টেট ক্যান্সার আক্রান্তের সংখ্যা ২০২০ সালে ১৪ লক্ষ থেকে ২০৪০ সালের মধ্যে ২৯ লক্ষে দাঁড়াবে।’

সমীক্ষার পিছনে গবেষকরা বলেছেন আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি সারা বিশ্বে বর্ধিত আয়ু এবং বয়সের পিরামিডের পরিবর্তনের সাথে যুক্ত।

গবেষকরা বলেছেন, প্রোস্টেট ক্যান্সার পুরুষদের মধ্যে সবচেয়ে ব্যাপক। আক্রান্ত প্রায় ১৫ শতাংশ। এটি বেশিরভাগই ৫০ বছর বয়সের পর আবির্ভূত হয় এবং পুরুষদের বয়স হিসেবে এর আশঙ্কা আরও বৃদ্ধি পায়। উন্নয়নশীল দেশগুলোতে আয়ু বৃদ্ধির সাথে সাথে প্রোস্টেট ক্যান্সারের সংখ্যাও বৃদ্ধি পায়।

তারা জোর দিয়েছিলেন, জনস্বাস্থ্য নীতিগুলো ফুসফুসের ক্যান্সার বা হৃদরোগের ক্ষেত্রে পরিবর্তনকে প্রভাবিত করতে পারে না।

গবেষকরা আরও বলেছেন, কার্যকর চিকিৎসা দেওয়ার জন্য স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষকে উন্নয়নশীল দেশগুলোতে আগে স্ক্রীনিংয়ে উৎসাহিত করতে বলা হয়েছে। কারণ, এই রোগটি প্রায়শই খুব দেরিতে নির্ণয় করা হয়।


অটিজম বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন ব্যক্তিদের জীবনমান উন্নয়নে সরকার কাজ করছে

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

অটিজম বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন ব্যক্তিরা সমাজের অবিচ্ছেদ্য অংশ। তাদের জীবনমান উন্নয়নে সরকার কাজ করছে। আজ মঙ্গলবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ১৭তম বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন সমাজকল্যাণমন্ত্রী ডা. দীপু মনি।

সমাজকল্যাণমন্ত্রী বলেন, অটিজমবিষয়ক সচেতনতা সমাজের প্রত্যেক ব্যক্তির মধ্যে ছড়িয়ে দিতে হবে। অটিজম বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন ব্যক্তিরাও যেন দেশের অন্যান্য নাগরিকের মতো সমান অধিকার ও সম্মান পায়, সেই দৃষ্টিভঙ্গি তৈরি করতে হবে। তাদের যথাযথ পরিচর্যা ও প্রশিক্ষণ দিয়ে কর্মের ব্যবস্থা করার মাধ্যমে তাদের সমাজে টিকে থাকার মতো সক্ষম করতে হবে।

অটিজম বিষয়ে সচেতনতা তৈরি ও প্রাথমিক জ্ঞানের বিষয়ে তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা তথ্যের অবাধ প্রবাহের যুগে বাস করছি। দেশ এখন শতভাগ ডিজিটাল। প্রচলিত গণমাধ্যমের বাইরেও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও আমরা তাৎক্ষণিক দেশ-বিদেশের খবরাখবরসহ অনেক কিছু সম্পর্কে জানতে পারি। ইন্টারনেটের ওপেন সোর্সের মাধ্যমে আমরা অটিজমসহ স্নায়ুবিক অন্যান্য ডিজঅর্ডার সম্পর্কে জেনে সচেতন হতে পারি।’

দীপু মনি বলেন, ‘সরকারের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, অটিজমবিষয়ক গবেষক ও চিকিৎসকের বাইরেও ব্যক্তিগত বা সামাজিক উদ্যোগের মাধ্যমে আমরা এ বিষয়ে সচেতনতা তৈরি করতে পারি। একটি শিশুর বিকাশের প্রথম দিকেই যদি বাবা-মা বা তার অভিভাবক যদি বুঝতে পারে যে, তার শিশুটির স্নায়ুবিক প্রতিবন্ধিতা রয়েছে তাহলে তার চিকিৎসা, পরিচর্যা, জীবনধারণ ও বেড়ে ওঠা অনেক সহজ হবে। অটিজম বা স্নায়ুবিক প্রতিবন্ধিতা নিয়ে সমাজে প্রচলিত বিভিন্ন কুসংস্কার থেকেও তারা রেহাই পাবে।’

অনুষ্ঠানের শেষে অটিজম বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন ব্যক্তি ও শিশুদের পরিবেশনায় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য ছিল, ‘সচেতনতা-স্বীকৃতি-মূল্যায়ন: শুধু বেঁচে থাকা থেকে সমৃদ্ধির পথে যাত্রা’।

সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. খায়রুল আলম সেখের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সভাপতি আ ফ ম রুহুল হক এমপি।

বিষয়:

বিএসএমএমইউতে রোগীদের দুর্ভোগ লাঘবে নির্দেশনা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের নবনিযুক্ত উপাচার্য অধ্যাপক ডা. দীন মো. নূরুল হক গতকাল সোমবার শহীদ ডা. মিল্টন হলে বিভাগীয় চেয়ারম্যান ও ডিনদের সঙ্গে একটি গুরুত্বপূর্ণ সভা করেছেন। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কার্যক্রম, চিকিৎসাসেবা ও গবেষণা কার্যক্রম সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে এগিয়ে নেওয়ার লক্ষ্যে দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য দেন। এ সময় ডিনরা ও বিভাগীয় চেয়ারম্যানরা নিজ নিজ বিভাগের বিভিন্ন কার্যক্রম তুলে ধরেন।

সভায় উপাচার্য অধ্যাপক ডা. দীন মো. নূরুল হক বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা শিক্ষা, চিকিৎসাসেবা ও গবেষণায় এমনভাবে উন্নত ও সমৃদ্ধ করে গড়ে তুলতে হবে যাতে এই বিশ্ববিদ্যালয়কে নিয়ে সবাই গর্ব করতে পারেন। হাসপাতালের বহির্বিভাগে প্রতিদিন হাজার হাজার রোগী চিকিৎসাসেবা নিতে আসেন। এই রোগীদের দুর্ভোগ লাঘবের দিকে নজর দিতে হবে। রোগীরা যাতে প্রয়োজনীয় টেস্ট করাসহ দ্রুত চিকিৎসাসেবা নিয়ে ফিরে যেতে পারেন, তা অবশ্যই নিশ্চিত করতে হবে। উন্নত চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করতে হলে হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট, রিপেয়ার এ্যান্ড মেইনটেন্যান্স, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা, লিলেন কিপিং, বর্জ ব্যবস্থাপনা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণাকেও সমানভাবে গুরুত্ব দিয়ে এগিয়ে নিতে হবে। বিজ্ঞপ্তি


আজ বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবস

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ২ এপ্রিল, ২০২৪ ০০:০১
নিজস্ব প্রতিবেদক

বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও আজ পালিত হচ্ছে ১৭তম বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবস। অটিজম বিষয়ে সামাজিক সচেতনতা সৃষ্টি ও তাদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় দিবসটি পালন করা হচ্ছে। এ উপলক্ষে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।

বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন। দিবসটিতে এবারের প্রতিপাদ্য- ‘সচেতনতা-স্বীকৃতি-মূল্যায়ন: শুধু বেঁচে থাকা থেকে সমৃদ্ধির পথে যাত্রা’।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার বাণীতে বলেছেন, আমাদের লক্ষ্য ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত-সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ। রূপকল্প ২০৪১ বাস্তবায়নে সকলের সঙ্গে অটিজম ও প্রতিবন্ধিতার শিকার ব্যক্তিবর্গকেও সম্পৃক্ত করতে হবে। এ লক্ষ্যে আরো বেশি প্রযুক্তিবান্ধব কার্যক্রম বাস্তবায়ন করতে তিনি নিউরো-ডেভেলপমেন্টাল প্রতিবন্ধী (এনডিডি) সুরক্ষা ট্রাস্টকে আহ্বান জানান।

তিনি বলেন, ‘আমার বিশ্বাস, অটিজম বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন শিশু-কিশোরদের সম্ভাবনাগুলোকে চিহ্নিত করে সঠিক পরিচর্যা, শিক্ষা, প্রশিক্ষণ ও স্নেহ-ভালোবাসা দিয়ে মানবিক পরিবেশে গড়ে তোলা হলে তারাও পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রের সম্পদ হিসেবে গড়ে উঠবে।’

দিবসটি পালন উপলক্ষে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে।

অনুষ্ঠানে সমাজকল্যাণ মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. দীপু মনি প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন।

এ বছর বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের মাধ্যমে দেশব্যাপী দিবসটি পালন করা হবে। দিবসটি উপলক্ষে দৈনিক পত্রিকায় বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশিত হবে।

অটিজম বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন ব্যক্তিদের সম্মানে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় ও আওতাধীন দপ্তর-সংস্থা, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও সরকারি গুরুত্বপূর্ণ ভবনে নীল রঙের আলোকসজ্জা করা হবে। এ ছাড়া অটিজম বিষয়ে সচেতনতা তৈরিতে রোড ব্র্যান্ডিং, বিশেষ স্মরণিকা ও লিফলেট ছাপানো হয়েছে।

অটিজমে আক্রান্ত শিশু ও বয়স্কদের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে সহায়তার প্রয়োজনীয়তাকে তুলে ধরতে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ ২০০৭ সালে ২ এপ্রিলকে ‘বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবস’ হিসেবে পালনের সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত গ্রহণের পর থেকে প্রতি বছর দিবসটি পালন করা হচ্ছে।

একসময় অটিজম ছিল একটি অবহেলিত জনস্বাস্থ্য ইস্যু। এ সম্পর্কে সমাজে নেতিবাচক ধারণা ছিল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কন্যা ও স্কুল সাইকোলজিস্ট সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের নিরলস প্রচেষ্টায় জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে অটিজম বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টি হয়েছে। তিনি ২০০৭ সালে এ বিষয়ে দেশে কাজ শুরু করেন। এ অবহেলিত জনস্বাস্থ্য ইস্যুতে তার বিরাট অবদানের জন্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার স্বীকৃতি পেয়েছেন।

বর্তমানে সায়েমা ওয়াজেদ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।


শিশুদের স্বাস্থ্যসেবার মানোন্নয়নে ইউনিসেফ কাজ করতে চায়: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

শিশুদের স্বাস্থ্যসেবার মানোন্নয়নে ইউনিসেফ কাজ করতে চায় বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন।

আজ রোববার সকালে সচিবালয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর দপ্তরে ইউনিসেফ-এর জাতিসংঘ শিশু তহবিলের প্রতিনিধি শেলডন ইয়েট ও জাতিসংঘ শিশু তহবিলের হেলথ সেকশনের চীফ মায়া ভ্যানডেন্টের সাথে একটি সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে একথা জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

সামন্ত লাল সেন বলেন, ‘ইউনিসেফ করোনার সময় গোটা বিশ্বের পাশাপাশি বাংলাদেশেও নানাভাবে সহযোগিতা করেছে। এখন জাতিসংঘের শিশু তহবিল থেকে দেশের শিশুদের শতভাগ ভ্যাকসিন পাওয়া নিশ্চিত করা ও নিরাপদ মাতৃত্বসহ স্বাস্থ্যখাতের অন্যান্য দিক নিয়েও জাতিসংঘের এই বিশেষ সংস্থাটি দেশে কাজ করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে।’

এছাড়াও তারা নিরাপদ মাতৃত্ব, ভ্যাকসিন কার্যক্রমকে ফলপ্রসূ করা, দেশে ভ্যাকসিন উৎপাদনে সহায়তা করা ও তৃণমূল পর্যায়ে শিশুদের স্বাস্থ্য সংক্রান্ত অবকাঠামো নির্মাণ করাসহ অন্যান্য উন্নয়নমূলক কাজেও ইউনিসেফ ভূমিকা রাখার আগ্রহ প্রকাশ করেছে বলেও জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

একই সাথে প্রতিনিধি দল শিশুদের জন্য তৃণপর্যায়ে স্বাস্থ্য অবকাঠামো নির্মাণের জন্য ইউনিসেফ প্রতিনিধিগণকে এগিয়ে আসার অনুরোধ জানালে তারা সেটিতে আগ্রহ দেখিয়েছে।

সাক্ষাৎকালে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সাথে স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব আজিজুর রহমান, স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের মহাপরিচালক অধ্যাপক টিটো মিয়া ও স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের যুগ্মসচিব (বিশ্ব স্বাস্থ্য) মামুনুর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠকে জাতিসংঘের শিশু তহবিলের প্রতিনিধি দল করোনাকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নানারকম ফলপ্রসূ উদ্যোগের ভূয়সী প্রশংসা করেন।

দেশের স্বাস্থ্যখাত আগের থেকে আরও উন্নত হচ্ছে বলেও তারা জানান। টিকাদানে বাংলাদেশকে বিশ্বের একটি উদাহরণ হিসেবেও তারা উল্লেখ করেন।


চিকিৎসা সেবা মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে হবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

দেশের চিকিৎসা সেবাকে মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে সব ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন।

তিনি বলেন, ‘ঈদের পর তৃণমূল মানুষের স্বাস্থ্য সেবার মানোন্নয়নে আমি আবারো মাঠে নেমে পড়ব। প্রয়োজনে প্রত্যন্ত গ্রাম গঞ্জে চলে যাবো। দেশের চিকিৎসা ব্যবস্থাকে মানুষের জন্য সহজলভ্য করতে যা যা করার দরকার আমি তাই করবো।’

স্বাস্থ্যমন্ত্রী আজ সকালে রাজধানীর বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব কনভেনশন হলে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় আয়োজিত ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর ঐতিহাসিক নেতৃত্ব এবং দেশের উন্নয়ন’-শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন পূরণে কাজ করে যাচ্ছেন। আমাদের দায়িত্ব হচ্ছে, জনগণের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্যোগগুলো বাস্তবায়ন করা। সেই কাজ করতে মুখে আমাদেরকে বড় বড় কথা বললেই হবে না, কাজ করে দেখাতে হবে।’

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. রোকেয়া সুলতানা বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ২৩ বছরের ত্যাগে বাংলাদেশের জন্ম হয়েছে। কত দিন তিনি খেয়ে না খেয়ে দেশের মানুষকে একত্রিত করতে কাজ করেছেন তার হিসেব নেই। বিশ্বের অনেক দেশই স্বাধীনতার জন্য যুগের পর যুগ লড়াই করে যাচ্ছে, কিন্তু স্বাধীন হতে পারছে না। বাংলাদেশ কীভাবে পারল, ভারত কীভাবে বাংলাদেশকে মুক্তিযুদ্ধে সহায়তা করতে ঝাপিয়ে পড়ল! এগুলো তো আর এমনি এমনি হয়নি। বঙ্গবন্ধুর সাহস ছিল, বুকের পাটা বড় ছিল। এজন্যই বাংলাদেশ এত আগে স্বাধীন হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর মতো সাহসী নেতা নেই বলেই অনেক দেশ স্বাধীন হতে পারছে না।’

স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব আজিজুর রহমান এর সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়েশনের সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের সভাপতি ডা. জামাল উদ্দিন চৌধুরী, বিএসএমএমইউর ভিসি ডা. দীন মোহাম্মদ নূরুল হক, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এবিএম খুরশীদ আলম, স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের মহাপরিচালক অধ্যাপক টিটো মিয়া, পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সাহান আরা বানু, নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মাকসুরা নূর প্রমুখ।


banner close