মঙ্গলবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৪

তোপের মুখে পঙ্গু হাসপাতাল ছাড়লেন স্বাস্থ্য উপদেষ্টা

ছবি: সংগৃহীত
ইউএনবি
প্রকাশিত
ইউএনবি
প্রকাশিত : ১৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১৭:৪২

জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে আহতদের মধ্যে এখনও যারা চিকিৎসাধীন, তাদের দেখতে অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানে (পঙ্গু হাসপাতাল) গিয়েছিলেন স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম। কিন্তু, আহত সবার সঙ্গে দেখা না করায় হাসপাতালেই তোপের মুখে পড়তে হয় তাকে।

আজ বুধবার রাজধানীর শেরে-বাংলা নগরে অবস্থিত জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানে (নিটোর) এ ঘটনা ঘটে। বিক্ষোভকারীদের তোপের মুখে একপর্যায়ে হাসপাতাল ছাড়তে বাধ্য হন তিনি।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আজ বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুকসহ নিটোরে আহতদের দেখতে যান স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম। তারা এক ঘণ্টারও বেশি সময় নিয়ে চতুর্থ তলার পুরুষ ওয়ার্ড ঘুরে দেখে বের হওয়ার প্রস্তুতি নেন। কিন্তু তিনতলার ওয়ার্ডে থাকা আহতদের দেখতে না যাওয়ায় অনেকে ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

এরপর হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে এলে সাংবাদিকরা উপদেষ্টাকে কিছু বলার জন্য অনুরোধ করেন। এ সময় আশপাশের লোকজনকে স্বাভাবিকভাবেই সরতে বলা হয়। তবে কেউ একজন হাত দিয়ে সরিয়ে দিচ্ছিল। এতেই শুরু হয় হট্টগোল।

একপর্যায়ে বিক্ষুব্ধরা নিচে এসে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের একটি গাড়ি আটকে দেন। তাদের মধ্যে কেউ একজন গাড়ির সামনে বসে পড়েন। আরেকজন গাড়ির ছাদে উঠে পড়েন।

এমন অবস্থায় স্বাস্থ্য উপদেষ্টা ও ব্রিটিশ হাইকমিশনার অন্য একটি গাড়িতে হাসপাতাল চত্বর ত্যাগ করেন। বিক্ষোভকারীরা এ সময় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অন্য একটি গাড়ি ও প্রটোকলে থাকা পুলিশের একটি গাড়ি আটকে দেন। পরে তারা সড়কে নেমে আসেন। এতে যানজট দেখা দেয়।

এ সময় জুলাই স্মৃতি ফাউন্ডেশনের অর্থ না পাওয়ার অভিযোগও তোলেন অনেকে।


ডেঙ্গুতে ঝরল আরও দুই প্রাণ, হাসপাতালে ভর্তি ৪৭৮

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় দুজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে চলতি বছর মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৩১ জন। এই ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৪৭৮ জন, ফলে এখন পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৯৬ হাজার ৭০৬ জনে। সোমবার বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার থেকে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত ২ জনের মধ্যে ঢাকা বিভাগের (সিটি করপোরেশনের বাইরে) একজন ও ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের একজন রয়েছে। হাসপাতালে নতুন ভর্তি রোগীদের মধ্যে বরিশাল বিভাগে ৩৫, চট্টগ্রাম বিভাগে ৪১ ঢাকা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাহিরে) ১০৩, ঢাকা উত্তর সিটিতে ১০৪, ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে ৮৮, খুলনা বিভাগে ৬০, রাজশাহী বিভাগে ৩৩, ময়মনসিংহে ৭, রংপুরে ৪ এবং সিলেটে ৩ জন নতুন রোগী ভর্তি হয়েছেন।

২০২৪ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ৯৬ হাজার ৭০৬ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন, যার মধ্যে ৬৩ দশমিক ১০ শতাংশ পুরুষ এবং ৩৬ দশমিক ৯০ শতাংশ নারী। একই সময়ে ৫৩১ জন মৃত্যুবরণ করেছেন, যাদের মধ্যে ৫১ দশমিক ৬০ শতাংশ নারী এবং ৪৮ দশমিক ৪০ শতাংশ পুরুষ।

প্রতি বছর বর্ষাকালে ডেঙ্গুর প্রকোপ দেখা দেয়। ২০২৩ সালের জুন মাস থেকে ডেঙ্গু পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করে। গেল বছর দেশে তিন লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নেন। এর মধ্যে ঢাকায় এক লাখ ১০ হাজার ৮ জন এবং ঢাকার বাইরে চিকিৎসা নিয়েছেন দুই লাখ ১১ হাজার ১৭১ জন।

আক্রান্তদের মধ্যে হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরেন তিন লাখ ১৮ হাজার ৭৪৯ জন। গত বছর এক হাজার ৭০৫ জন মশাবাহিত এই রোগে মারা গেছেন, যা দেশের ইতিহাসে এক বছরে সর্বোচ্চ মৃত্যু।


ডেঙ্গুতে আরও ৭ মৃত্যু, হাসপাতালে ৫৯৬ জন

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে আরও সাত জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে এডিস মশাবাহিত এই জ্বরে মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়াল ৫২৯। একই দিন ডেঙ্গু নিয়ে হাসপাতলে নতুন করে ভর্তি হয়েছেন আরও ৫৯৬ জন। এখন পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৯৬ হাজার ২২৮ জনে। রোববার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত সাত জনের মধ্যে ঢাকা বিভাগের (সিটি করপোরেশনের বাইরে) একজন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের একজন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের তিন জন, ময়মনসিংহের একজন ও রাজশাহীর একজন রয়েছেন।

এছাড়া হাসপাতালে নতুন ভর্তি রোগীদের মধ্যে বরিশাল বিভাগে ৩১, চট্টগ্রাম বিভাগে ৬৭, ঢাকা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ১৩৬, ঢাকা উত্তর সিটিতে ৯৮, ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে ১৩০, খুলনায় ৭২, রাজশাহীতে ৩২, ময়মনসিংহে ২০, রংপুরে ৮ এবং সিলেটে ২ জন নতুন রোগী ভর্তি হয়েছেন। দেশের ইতিহাসে ২০২৩ সালে সবচেয়ে বেশি মানুষ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন ও মৃত্যুবরণ করেছেন। বছরের বিভিন্ন সময়ে ডেঙ্গু আক্রান্ত হন তিন লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন। এর মধ্যে এক হাজার ৭০৫ জনের মৃত্যু হয়। ২০২২ সালে ডেঙ্গুতে দেশে ২৮১ জন মারা যান। ওই বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন ৬২ হাজার ৩৮২ জন। ২০২০ সালে করোনা মহামারিকালে ডেঙ্গু সংক্রমণ তেমন একটা দেখা না গেলেও ২০২১ সালে সারাদেশে এডিস মশাবাহী এই রোগে আক্রান্ত হন ২৮ হাজার ৪২৯ জন। সে বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ১০৫ জনের মৃত্যু হয়েছিল।


ডেঙ্গুতে ঝরল আরও ৫ প্রাণ, নতুন করে শনাক্ত ৫৬২

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হয়ে গতকাল শুক্রবার সকাল ৮টা থেকে আজ শনিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত আরও পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। একইসঙ্গে এই সময়ে ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৫৬২ জন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে শনিবার পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, হাসপাতালে নতুন ভর্তি হওয়াদের মধ্যে বরিশাল বিভাগে ৫৩ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ৭৮ জন, ঢাকা বিভাগে (সিটি কর্পোরেশনের বাইরে) ৬৪ জন, ঢাকা উত্তর সিটিতে ১২৩ জন, ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে ১৩৬ জন, খুলনা বিভাগে ৪৭ জন রয়েছেন। এ ছাড়া রাজশাহী বিভাগে ৩৭ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে ১৮ জন, রংপুর বিভাগে ২ জন এবং সিলেট বিভাগে ৪ জন নতুন রোগী ভর্তি হয়েছেন।

এদিকে গত এক দিনে সারা দেশে ৫০৩ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন। এ নিয়ে চলতি বছর ছাড়পত্র পেয়েছেন ৯২ হাজার ৭০২ জন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, এবছরের জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত সবমিলিয়ে ৯৫ হাজার ৬৩২ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। বছরের এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে মৃত্যু হয়েছে ৫২২ জনের। গত বছর ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন ৩ লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন। মারা যান ১ হাজার ৭০৫ জন।


ডেঙ্গুতে আরও ৩ মৃত্যু, নতুন শনাক্ত ১৮৬

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে প্রতিদিনই মৃত্যু হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। চলতি বছর এই সংখ্যা রেকর্ড করেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। এসময়ে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১৮৬ জন। এ নিয়ে চলতি বছরের শুরু থেকে এ পর্যন্ত ডেঙ্গুতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫১৭ জন এবং শনাক্ত রোগী বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯৫ হাজার ৭০ জনে।

শুক্রবার বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার থেকে পাঠানো ডেঙ্গুবিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া তিনজনই ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের। এছাড়া হাসপাতালে নতুন ভর্তি রোগীদের মধ্যে বরিশাল বিভাগে ৪, চট্টগ্রাম বিভাগে ৫, ঢাকা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৪০, ঢাকা উত্তর সিটিতে ৪২, ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে ৬৭, খুলনা বিভাগে ১৭, ময়মনসিংহে ১০ ও সিলেট বিভাগে একজন রয়েছেন।

চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ৯৫ হাজার ৭০ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন, যার মধ্যে ৬৩ দশমিক ১০ শতাংশ পুরুষ এবং ৩৬ দশমিক ৯০ শতাংশ নারী। একই সময়ে ৫১৭ জন মৃত্যুবরণ করেছেন, যাদের মধ্যে ৫১ দশমিক ৬০ শতাংশ নারী এবং ৪৮ দশমিক ৪০ শতাংশ পুরুষ।

প্রতি বছর বর্ষাকালে ডেঙ্গুর প্রকোপ দেখা দেয়। ২০২৩ সালের জুন মাস থেকে ডেঙ্গু পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করে। গত বছর দেশে তিন লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নেন। এর মধ্যে ঢাকায় এক লাখ ১০ হাজার ৮ এবং ঢাকার বাইরে চিকিৎসা নেন দুই লাখ ১১ হাজার ১৭১ জন।

আক্রান্তদের মধ্যে হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরেন তিন লাখ ১৮ হাজার ৭৪৯ জন। গত বছর এক হাজার ৭০৫ জন মশাবাহিত এই রোগে মারা গেছেন, যা দেশের ইতিহাসে এক বছরে সর্বোচ্চ মৃত্যু।

এর আগে ২০১৯ সালে দেশব্যাপী ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছিলেন ১ লাখ এক হাজার ৩৫৪ জন। ওই সময় চিকিৎসক-স্বাস্থ্যকর্মীসহ প্রায় ৩০০ জনের মৃত্যু হয়েছিল।


ডেঙ্গুতে আরও ৫ জনের মৃত্যু

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

সারা দেশে ডেঙ্গু পরিস্থিতি প্রকট আকার ধারণ করেছে। প্রতিদিনই আক্রান্ত রোগী ও মৃতের তালিকা দীর্ঘ হচ্ছে। গতকাল বুধবার সকাল ৮টা থেকে আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ৫ জনের প্রাণহানি হয়েছে। এদের মধ্যে ৩ জন নারী ও ২ জন পুরুষ। পাশাপাশি এই সময়ে এডিস মশাবাহিত রোগটিতে আক্রান্ত হয়ে আরও ৫৭০ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।

এ নিয়ে চলতি বছরে ডেঙ্গুতে মৃতের সংখ্যা দাঁড়ল ৫১৪ জনে। মারা যাওয়াদের মধ্যে নারীদের সংখ্যা বেশি। এ ছাড়া চলতি বছরে এখন পর্যন্ত ৯৪ হাজার ৮৮৪ জন এই রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। আক্রান্তদের মধ্যে পুরুষের সংখ্যা বেশি।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্তদের মধ্যে ১৯৭ জন ঢাকা মহানগরের হাসপাতালগুলোতে ভর্তি হয়েছেন। এর বাইরে (সিটি করপোরেশন বাদে) ঢাকা বিভাগে ১৩৮ জন, খুলনা বিভাগে ৬৪ জন, বরিশাল বিভাগে ৫৪ জন, রাজশাহী বিভাগে ৫০ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ৪৭ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে ১৭ জন, সিলেট বিভাগে দুইজন ও রংপুর বিভাগে একজন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।

উল্লেখ্য, গত বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ১৭০৫ জন মৃত্যুবরণ করেন। ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হন তিন লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন।


ডেঙ্গুতে আরও ৫ মৃত্যু, শনাক্ত ৬২৯ জন

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

দেশে এডিস মশার প্রকোপ কমছেই না। এ মশার কামড়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে গিয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় প্রাণ হারিয়েছেন আরও ৫ জন। এ নিয়ে চলতি বছর বুধবার পর্যন্ত ডেঙ্গুতে মারা গেছেন ৫০৯ জন। একই সঙ্গে এ সময়ে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন আরও ৬২৯ জন। বুধবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে বুধবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টার হালনাগাদ তথ্যভিত্তিক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়েছে, ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ৬২৯ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে বরিশাল বিভাগে ৫৫ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ৬১ জন, ঢাকা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ১৫৩ জন, ঢাকা উত্তর সিটিতে ১১২ জন এবং দক্ষিণ সিটিতে ৯২ জন, খুলনা বিভাগে ৭৫ জন, রাজশাহী বিভাগে ৩৪ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে ২২ জন, রংপুর বিভাগে ১৬ জন এবং সিলেট বিভাগে ৯ জন ভর্তি হয়েছেন। এদিকে একদিনে সারা দেশে ৭৫২ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন। এ নিয়ে চলতি বছর ছাড়পত্র পেয়েছেন ৯১ হাজার ৩৭৪ জন। গত বছর ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন ৩ লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন। মারা যান ১ হাজার ৭০৫ জন।


চলতি বছর ডেঙ্গুতে মৃত্যু ৫০০ ছাড়াল

নতুন করে সারা দেশে ৬২৯ জন হাসপাতালে ভর্তি
ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

ডেঙ্গু রোগের ভয়াবহতা বেড়েই চলেছে। দিন দিন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে রোগী ভর্তির সংখ্যা যেমন বাড়ছে তেমনি মৃত্যু মিছিলও বড় হচ্ছে। ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুতে আগের সব রেকর্ড ভেঙে নতুন রেকর্ড হয়েছে। আর চলতি বছরে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু ৫০০ ছাড়িয়ে গেল।

আজ মঙ্গলবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোলরুম জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে আরও ৭ জনের। তাদের নিয়ে চলতি বছরে এডিস মশার কামড়ে ৫শ মানুষের মৃত্যু হলো। একই সময়ে সারা দেশে ৬২৯ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।

এতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রোগীর মধ্যে বরিশাল বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৫৫ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৫৪ জন, ঢাকা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ১৩৩ জন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে ১১৩ জন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে ১১১ জন, খুলনা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৯২ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৩০ জন, রাজশাহী বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ২৮ জন, রংপুর বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ১২ জন, সিলেট বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) এক জন রয়েছেন। ২৪ ঘণ্টায় ৮৪২ ডেঙ্গুরোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন, চলতি বছরে মোট ৯০ হাজার ৬২২ জন ডেঙ্গুরোগী ছাড়পত্র পেয়েছেন।

চলতি বছরের ৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত মোট ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছে ৯৩ হাজার ৬৮৫ জন। এর মধ্যে ৬৩ দশমিক দুই শতাংশ পুরুষ এবং ৩৬ দশমিক আট শতাংশ নারী রয়েছেন।

গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে আরও সাতজনের মৃত্যু হয়েছে এবং চলতি বছরের এ যাবত ডেঙ্গুতে মোট মৃত্যুবরণ করেছেন ৫০৪ জন।

২০২৩ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মোট এক হাজার ৭০৫ জনের মৃত্যু হয়, পাশাপাশি ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন মোট তিন লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন।


এ বছর ডেঙ্গুতে মৃতের সংখ্যা ৫০০ ছুঁই ছুঁই

হাসপাতালে ভর্তি ৯৩ হাজার ছাড়াল * জিকা ভাইরাসে ১১ ও চিকুনগুনিয়ার ৬৭ রোগী শনাক্ত
ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

এডিস মশা বাহিত ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়ে একদিনে (রোববার সকাল ৮টা থেকে সোমবার সকাল ৮টা পর্যন্ত) আরও ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন আরও ৭০৫ জন। এ নিয়ে চলতি বছর ডেঙ্গুতে মৃত্যু হয়েছে ৪৯৭ জনের আর ওই রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয় ৯৩ হাজার ৫৬ জন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, সোমবার সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন এলাকায় ২৫৯ জন, ঢাকা বিভাগে ১৩৪ জন, ময়মনসিংহে ১৮ জন, চট্টগ্রামে ৭৩ জন, খুলনায় ৯৬ জন, রাজশাহী বিভাগে ৪৩ জন, রংপুর বিভাগে ১০ জন, বরিশাল বিভাগে ৬০ জন এবং সিলেট বিভাগে দুই জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। গত একদিনে যাদের মৃত্যু হয়েছে তাদের একজন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে, বাকি দুই জন ঢাকা বিভাগ ও খুলনা বিভাগের হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। সোমবার সকাল পর্যন্ত হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন ৮৯ হাজার ৭৮০ জন রোগী। বর্তমানে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি আছেন ২ হাজার ৭৭৯ জন।

তাদের মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি ১ হাজার ১৪৯ জন; আর ১ হাজার ৬৩০ জন ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি। এ বছর মোট ভর্তি রোগীদের মধ্যে ৫৪ হাজার ৪৬৬ জন ঢাকার বাইরের রোগী। ঢাকার দুই মহানগর এলাকার হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৩৭ হাজার ১৯২ জন।

ডিসেম্বরের প্রথম দুই দিনে ডেঙ্গু আক্রান্ত ১ হাজার ৫৮৭ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন আর মৃত্যু হয়েছে ৯ জনের। এ বছর সবচেয়ে বেশি ৩০ হাজার ৮৭৯ জন রোগী ভর্তি হয়েছে অক্টোবর মাসে। সে মাসে ১৩৫ জনের মৃত্যু হয়েছিল। এক মাসে সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয়েছে নভেম্বরে, ১৭৩ জন। নভেম্বরে ২৯ হাজার ৬৫২ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। জানুয়ারি মাসে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন ১ হাজার ৫৫ জন, এর মধ্যে ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। ফেব্রুয়ারি মাসে হাসপাতালে ভর্তি হন ৩৩৯ জন, মৃত্যু হয়েছে তিনজনের। মার্চ মাসে আক্রান্ত হন ৩১১ জন, এর মধ্যে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। এপ্রিল মাসে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৫০৪ জন, যাদের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে দুইজনের। মে মাসে ৬৪৪ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন, মৃত্যু হয়েছে ১২ জনের। জুন মাসে ৭৯৮ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন, মৃত্যু হয়েছে আটজনের। জুলাই মাসে ২ হাজার ৬৬৯ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হন, তাদের মধ্যে ১২ জনের মৃত্যু হয়। আগস্টে ৬ হাজার ৫২১ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল, এর মধ্যে ২৭ জনের মৃত্যু হয়।

জিকা ভাইরাসে ১১ ও চিকুনগুনিয়ার ৬৭ রোগী শনাক্ত

এদিকে এ বছর ১১ জনের শরীরে জিকা ভাইরাস ও ৬৭ জনের চিকুনগুনিয়া ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) সূত্রে এ তথ্য জানায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। গতকাল বেলা ১১টায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কনফারেন্স রুমে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবু জাফর বলেন, চলতি বছর চিকুনগুনিয়ায় ৬৭ জন এবং জিকা ভাইরাসে ১১ জন আক্রান্ত হয়েছেন। জিকা ও চিকুনগুনিয়া আক্রান্তের অধিকাংশ ঢাকার অধিবাসী। ডেঙ্গু ভাইরাস শনাক্ত করতে নিয়ে এই দুইটি ভাইরাসের রোগী মিলেছে। তিনি বলেন, জিকা ও চিকুনগুনিয়ায় মৃত্যু হার কম। তাই আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই।


ডেঙ্গুতে ১ দিনে আরও ৬ মৃত্যু 

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

সাধারণত শীত শুরু হলে এডিস মশার প্রকোপ অনেকটাই কমে যায়। এ দেশে শীতের শুরুটা নভেম্বরের মাঝামাঝি থেকে। ঢাকায় এখন শীতের আগমনী বার্তা। সারা দেশে শীত নেমেছে আগেই। কিন্তু এখনো কমেনি এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গুর প্রকোপ। বরং এ বছর নভেম্বরেই ডেঙ্গুতে আক্রান্ত রোগীদের মৃত্যু হয়েছে সবচেয়ে বেশি। নভেম্বরে এ রোগে প্রাণ হারিয়েছেন ১৭৩ জন। ক্যালেন্ডারের পাতা উল্টিয়ে নভেম্বরের শেষে এসেছে ডিসেম্বর। গত ২৪ ঘণ্টায় অর্থাৎ ৩০ নভেম্বরের সকাল ৮টা থেকে আজ রোববার (১ ডিসেম্বর) সকাল ৮টা পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন আরও ৮৮২ জন। এ ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় প্রাণ হারিয়েছেন আরও ৬ জন। ফলে চলতি বছর এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে মৃত্যু হয়েছে ৪৯৪ জনের।

রোববার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের দেওয়া নিয়মিত বুলেটিন থেকে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা জানা গেছে। এ বছর ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন মোট ৯২ হাজার ৩৫১ জন। এদের সিংহভাগই চিকিৎসা শেষে ঘরে ফিরেছেন বটে; কিন্তু ডেঙ্গুর লক্ষণ কমে গেলেও তাদের বড় অংশই হারিয়েছেন প্রাণশক্তি। এখনো তাদের পুরোপুরি সুস্থ হতে নিয়মবদ্ধ জীবনযাপন করতে হচ্ছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, সারা দেশের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে বর্তমানে ২ হাজার ৮৬৮ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি আছেন। এর মধ্যে ঢাকায় ভর্তি আছেন ১ হাজার ১৯৩ জন। বাকি ১ হাজার ৬৭৫ জন ভর্তি আছেন ঢাকার বাইরে বিভিন্ন বিভাগে। চলতি বছর অক্টোবরে ডেঙ্গু কেড়ে নিয়েছে ১৩৫ জনের প্রাণ। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ও মৃত্যুর তথ্য রাখে ২০০০ সাল থেকে। এর মধ্যে ২০২৩ সালে এ রোগ নিয়ে সবচেয়ে বেশি ৩ লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়। ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে সবচেয়ে বেশি ১ হাজার ৭০৫ জনের মৃত্যুও হয় ওই বছর।


অ্যাজমার চিকিৎসায় গবেষকদের যুগান্তকারী সাফল্য

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

গত ৫০ বছরের মধ্যে এই প্রথম অ্যাজমার রোগীদের জন্য নতুন চিকিৎসা আবিষ্কার করেছেন স্বাস্থ্য গবেষকরা। তাদের দাবি, অ্যাজমা রোগীদের জন্য এমন একটি ইনজেকশন তৈরি করা হয়েছে, যেটি রোগীর শরীরের একটি বিশেষ ধরনের প্রতিরক্ষাব্যবস্থাকে নিয়ন্ত্রণ করে। আর এর মাধ্যমে অ্যাজমা ও ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ (সিওপিডি) রোগীরা সক্রিয়া হয়ে ওঠেন।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নতুন আবিষ্কৃত ওষুধটির নাম ‘বেনরালিজুমাব’। বর্তমানে এটি গুরুতর শ্বাসকষ্টের রোগীর ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হচ্ছে।

যুক্তরাজ্যের কিংস কলেজের একদল গবেষক এই ওষুধটি আবিষ্কার করেছেন। তারা আশা করছেন, নতুন এই ওষুধটি যুক্তরাজ্যে প্রতিবছর প্রায় ২০ লাখ অ্যাজমা রোগীদের চিকিৎসায় ব্যবহার করা যাবে। ওষুধটিকে ‘গেম-চেঞ্জার’ হিসেবে আখ্যা দিয়ে গবেষকরা বলছেন, এটি অ্যাজমা ও সিওপিডি রোগীদের চিকিৎসায় বিপ্লব ঘটাতে পারে।

বার্তা সংস্থা রয়টার্স এক প্রতিবেদনে বলেছে, ৫০ বছর ধরে হাঁপানি বা শ্বাসকষ্টের মানসম্মত চিকিৎসা হিসেবে স্টেরয়েডের ব্যবহার হয়ে আসছে। এখন যে ইনজেকশনটি আবিষ্কৃত হয়েছে, সেটি স্টেরয়েডের চেয়ে বেশি কার্যকর।

কিংস কলেজ লন্ডনের গবেষকরা অ্যাজমা বা ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজের (সিওপিডি) উচ্চ ঝুঁকিতে থাকা ১৫৮ জন রোগীর ওপর গবেষণা চালিয়েছেন। গবেষণায় তারা দেখেছেন, অ্যাজমার আক্রমণকালে (ইগজারবেশন) অ্যাস্ট্রাজেনেকার ইনজেকশন ফ্যাসেনরা মুখে খাবার উপযোগী ‘কর্টিকোস্টেরয়েড প্রিডনিসোলোন’-এর চেয়ে বেশি কার্যকর।

গবেষণায় আরও দেখা গেছে, তীব্র অ্যাজমায় বেনরালিজুমাব প্রয়োগের ২৮ দিন পর শ্বাসকষ্টের উপসর্গ অধিকতর ভালোভাবে কমে এসেছে। গবেষণায় নেতৃত্ব দেওয়া কিংস কলেজ লন্ডনের অধ্যাপক মোনা বাফাডহেল এক বিবৃতিতে বলেন, অ্যাজমা ও সিওপিডি আক্রান্ত ব্যক্তিদের চিকিৎসায় এটি একটি যুগান্তকারী ফলাফল হতে পারে।


চলতি বছর নভেম্বরে ডেঙ্গুতে সবচেয়ে বেশি মৃত্যু

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

এডিস মশাবাহিত রোগ ডেঙ্গুর ভয়াবহতা বেড়েই চলেছে। প্রতিদিনই এই রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে অনেকে। মৃত্যুও হচ্ছে অনেক। দেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে আজ শনিবার সকাল আটটা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় আরও তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। এতে চলতি বছর নভেম্বর মাসে ডেঙ্গুতে ১৭৩ জনের মৃত্যু হলো। আগের মাস অক্টোবর মাসে মত্যু হয়েছিল ১৩৫ জনের। ফলে এবছর ১১ মাসের মধ্যে নভেম্বরে সবচেয়ে বেশি মৃত্যু দেখলো বাংলাদেশ। চলতি বছর এই ভাইরাসে এখন পর্যন্ত ৪৮৮ জনের মৃত্যু হলো। শনিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত একদিনে ডেঙ্গু নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন আরও ৬৭৫ জন। এতে নভেম্বরে ৩০ হাজার ৮৭৯ জন রোগী ভর্তি হয়েছেন। অপরদিকে অক্টোবরে ২৯ হাজার ৬৫২ জন রোগী ভর্তি হয়। এতে এ বছর হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৯১ হাজার ৪৬৯ জন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, একদিনে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রোগীদের মধ্যে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন এলাকায় ৩১৯ জন, ঢাকা বিভাগে ৬৯ জন, ময়মনসিংহে ১৮ জন, চট্টগ্রামে ৭২ জন, খুলনায় ৬৬ জন, রাজশাহী বিভাগে ২৭ জন, রংপুর বিভাগে ৬ জন, বরিশাল বিভাগে ৯৮ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।

একদিনে মারা যাওয়া তিনজনের মধ্যে সবাই ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, শনিবার পর্যন্ত হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন ৮৭ হাজার ৮৭৯ জন রোগী। বর্তমানে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি আছেন ৩ হাজার ১০২ জন। তাদের মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি ১ হাজার ৩৩৮ জন এবং ১ হাজার ৭৬৪ ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে। এ বছর মোট ভর্তি রোগীদের মধ্যে ৫৪ হাজার ৮২২ জন ঢাকার বাইরের রোগী। ঢাকার দুই মহানগর এলাকার হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৩৬ হাজার ৬৪৭ জন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ও মৃত্যুর তথ্য রাখে ২০০০ সাল থেকে। এর মধ্যে ২০২৩ সালে এ রোগ নিয়ে সবচেয়ে বেশি ৩ লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়। ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে সবচেয়ে বেশি ১ হাজার ৭০৫ জনের মৃত্যুও হয় ওই বছর।


ডেঙ্গুতে এক দিনে আরও ৩ মৃত্যু, হাসপাতালে ৩৫৪ রোগী

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

মশাবাহিত ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছেন তিনজন। এ নিয়ে চলতি বছর এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে মারা গেছেন ৪৮৫ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ৩৫৪ জন ডেঙ্গু নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এ নিয়ে চলতি বছর এখন পর্যন্ত হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৯০ হাজার ৭৯৪ জন ডেঙ্গুরোগী। শুক্রবার সন্ধ্যায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া তিনজনই ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকার বাসিন্দা। আলোচ্য সময়ে আক্রান্তদের মধ্যে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন এলাকার ১৭৬ জন রয়েছেন। এ ছাড়া ঢাকা বিভাগে (সিটি করপোরেশন বাদে) ৪৬ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ৩৮ জন, বরিশাল বিভাগে ৫ জন, খুলনা বিভাগে ২৫ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে ২২ জন, রাজশাহীতে ৪১ জন এবং রংপুর বিভাগে একজন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।

চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত সারা দেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন মোট ৯০ হাজার ৭৯৪ জন। যাদের মধ্যে ৬৩ দশমিক ২০ শতাংশ পুরুষ এবং ৩৬ দশমিক ৮০ শতাংশ নারী। এ ছাড়া এখন পর্যন্ত মৃত ৪৮৫ জনের মধ্যে ৫১ দশমিক ৫০ শতাংশ নারী এবং ৪৫ দশমিক ৫০ শতাংশ পুরুষ।

প্রতি বছর বর্ষাকালে ডেঙ্গুর প্রকোপ দেখা দেয়। ২০২৩ সালের জুন মাস থেকে ডেঙ্গু পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করে। গত বছর দেশে ৩ লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নেন। এর মধ্যে ঢাকায় এক লাখ ১০ হাজার ৮ জন এবং ঢাকার বাইরে চিকিৎসা নিয়েছেন দুই লাখ ১১ হাজার ১৭১ জন।

এর আগে ২০১৯ সালে দেশব্যাপী ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছিলেন এক লাখ এক হাজার ৩৫৪ জন। ওই সময় চিকিৎসক-স্বাস্থ্যকর্মীসহ প্রায় ৩০০ জনের মৃত্যু হয়। ২০২০ সালে করোনা মহামারিকালে ডেঙ্গুর সংক্রমণ তেমন একটা দেখা না গেলেও ২০২১ সালে সারা দেশে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হন ২৮ হাজার ৪২৯ জন। ওই বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ১০৫ জন মারা যান। এ ছাড়া ২০২২ সালে ডেঙ্গু নিয়ে মোট ৬২ হাজার ৩৮২ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। ওই বছর মশাবাহিত রোগটিতে আক্রান্ত হয়ে মারা যান ২৮১ জন।


ক্যানসারের কার্যকর চিকিৎসার অভাবে বছরে ৫ মিলিয়ন ডলার বিদেশ চলে যাচ্ছে

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

স্বাস্থ্য সংস্কার কমিশনের সদস্য অধ্যাপক ডা. সৈয়দ আকরাম হোসেন বলেছেন, ‘দেশে ক্যানসারের চিকিৎসা এখন দুর্বিষহ অবস্থায় রয়েছে। সরকারি হাসপাতালগুলোতে কার্যকরভাবে ক্যানসারের চিকিৎসা কাজ করছে না। ফলে বাধ্য হয়ে রোগীদের বেসরকারি হাসপাতালে যেতে হচ্ছে। এ ছাড়া দেশের বাইরেও যেতে হচ্ছে, এতে বছরে প্রায় ৫ মিলিয়ন ডলার দেশ থেকে চলে যাচ্ছে।

শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে বাংলাদেশ স্তন ক্যানসার সচেতনতা ফোরাম কর্তৃক আয়োজিত এক আলোচনা অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

ডা. সৈয়দ আকরাম হোসেন বলেন, ‘সরকারের উচিত দেশেই ক্যানসারের পরিপূর্ণ চিকিৎসার ব্যবস্থা তৈরি করা।’

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে ক্যানসারের চিকিৎসা করা বেশ কঠিন। দেশে আর্লি ডায়াগনোসিসের তেমন সুব্যবস্থা নেই। যতই সচেতনতা বৃদ্ধি করা হোক না কেন, একজন ক্যানসার রোগীর ক্ষেত্রে যদি আর্লি ডায়াগনোসিসের ব্যবস্থা করা না যায়, তাহলে তা সুফল বয়ে আনবে না।’

‘কাজটা খুব কঠিন নয়, চাইলেই সম্ভব। কারণ প্রতিটি হাসপাতালেই প্রয়োজনীয় লজিস্টিক থাকে। এর জন্য দরকার হলো উদ্যোগ’- যোগ করে বললেন ডা. সৈয়দ আকরাম হোসেন।

বাংলাদেশ স্তন ক্যানসার সচেতনতা ফোরামের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান সমন্বয়কারী ডা. হাবিবুল্লাহ তালুকদার রাসকিনের সঞ্চালনায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সরকারের নারী অধিকারবিষয়ক সংস্কার কমিশনের সদস্য ড. হালিদা হানুম আখতার, সাবেক অতিরিক্ত সচিব আব্দুল হাকিম মজুমদার প্রমুখ।

এ সময় অনুষ্ঠানে স্তন ক্যানসার সচেতনতায় ১৫০ দিনের কর্মসূচির কৃতজ্ঞতা, মূল্যায়ন ও সুপারিশের কারণে ১০ সাংবাদিককে কৃতজ্ঞতা স্মারক প্রদান করা হয়।


banner close