আপডেট : ১০ জানুয়ারি, ২০২৩ ২১:৩৩
মাংস বিক্রিতে লাগবে লাইসেন্স, সর্বনিম্ন ফি ১৫ হাজার টাকা

মাংস বিক্রিতে লাগবে লাইসেন্স, সর্বনিম্ন ফি ১৫ হাজার টাকা

ছবি: সংগৃহীত

মাংস বিক্রি, জবাইখানা ও মাংস প্রক্রিয়াকরণ কারখানা স্থাপন ও পরিচালনার জন্য এখন থেকে অনুমতিপত্র (লাইসেন্স) নিতে হবে। এ জন্য এককালীন সর্বনিম্ন ফি ১৫ হাজার টাকা, আর সর্বোচ্চ ফি নির্ধারণ করা হয়েছে ৭০ হাজার টাকা। কর্তৃপক্ষ বলছে, এই ফি সামান্য। তবে তাতে একমত নন মাংস বিক্রেতারা। তারা বলছেন, এই বাড়তি খরচের প্রভাব পড়বে ক্রেতাদের ওপর।

সম্প্রতি প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ-সংক্রান্ত এক অফিস আদেশ জারি করেছেন, যা অবিলম্বে কার্যকর হবে বলে আদেশে উল্লেখ করা হয়েছে।

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের জারি করা অফিস আদেশে বলা হয়েছে, মাংস বা মাংসজাত পণ্য উৎপাদনের পরিমাণ প্রতি সপ্তাহে এক টনের নিচে হলে আবেদন ফি ১ হাজার, অনুমতিপত্রের ফি ১৫ হাজার ও নবায়ন ফি দেড় হাজার টাকা দিতে হবে। এক টনের বেশি, কিন্তু আট টনের নিচে হলে আবেদন ফি ২ হাজার, অনুমতিপত্রের ফি ২৫ হাজার ও নবায়ন ফি সাড়ে ৭ হাজার টাকা লাগবে। আর ৮ টন বা তার বেশি হলে আবেদন ফি ৩ হাজার, অনুমতিপত্রের ফি ৭০ হাজার ও নবায়ন ফি দিতে হবে ১৫ হাজার টাকা।

পশু জবাই ও মাংসের মান নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১১-এর ধারা ৯ এবং পশু জবাই ও মাংসের মান নিয়ন্ত্রণ বিধিমালা ২০২১-এর বিধি ১৩ (১) মোতাবেক জবাইখানা বা মাংস বিক্রয়কেন্দ্র স্থাপন বা মাংস প্রক্রিয়াকরণ কারখানা স্থাপন ও পরিচালনার জন্য লাইসেন্সিং কর্তৃপক্ষ হিসেবে জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা পশু চিকিৎসক না হলে জেলা পশু চিকিৎসা কর্মকর্তা নিবন্ধনের ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।

গ্রামাঞ্চলের বাজারগুলোয় মাংস বিক্রেতারা সরকারের কোনো প্রতিষ্ঠান থেকে সাধারণত নিবন্ধন করেন না। তবে সিটি করপোরেশন এলাকায় যারা মাংস বিক্রি করেন, তারা করপোরেশন থেকে ট্রেড লাইসেন্স নিয়ে থাকেন। এখন থেকে সবাইকে আসতে হবে নিবন্ধনের আওতায়।

ক্রেতাদের ওপর চাপাবেন বিক্রেতারা

মাংস বিক্রেতারা বলছেন, সিটি করপোরেশন থেকে ট্রেড লাইসেন্স নিতে ও নিয়মিত নবায়ন করতে অর্থ খরচ করতে হয়। সেই সঙ্গে পশু কেনা ও জবাইয়ের সময়ও খরচ আছে। এর মধ্যে যদি প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর থেকে আবার অনুমতিপত্র নিতে এত অর্থ খরচ করতে হয়, তাহলে তো মুশকিল। তা ছাড়া এর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে ক্রেতাদের ওপর।

রাজধানীর এক মাংস বিক্রেতা বলেন, একটি গরু কিনলে ১ হাজার টাকা হাটবাজারে রেখে দেয়। আবার একটি গরু জবাই করলে ৫০ টাকা দিতে হয়। এ ছাড়া সিটি করপোরেশনের ট্রেড লাইসেন্সের নিবন্ধন ও নবায়ন ফি তো আছেই। এ অবস্থায় প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর লাইসেন্স দিয়ে এত টাকা রাখা ঠিক হবে না। তিনি বলেন, ‘মাংসের যে দাম, তাতে এমনিতেই ব্যবসা বন্ধ হওয়ার উপক্রম। আমাকে যদি আরও টাকা দিতে হয়, এর নেতিবাচক প্রভাব বিক্রেতা ও ক্রেতা উভয়ের ওপরই পড়বে।’