আপডেট : ১২ জানুয়ারি, ২০২৩ ১৯:৩২
অর্থমন্ত্রীর সমালোচনায় সংসদে জাপা সংসদ সদস্য ফরাজী

অর্থমন্ত্রীর সমালোচনায় সংসদে জাপা সংসদ সদস্য ফরাজী

অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তাফা কামালের কঠোর সমালোচনা করেছেন জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য রুস্তম আলী ফরাজী। তিনি বলেছেন, ফ্রি স্টাইলে ঋণখেলাপি হচ্ছে। নয়-ছয় করে, ঘুষ-দুর্নীতি করে টাকা আয় করছে। সে টাকা নিয়ে বিদেশে পাচার করে। এগুলো দেখবেন অর্থমন্ত্রী। শেয়ার বাজার, অর্থনৈতিক অবস্থা, রিজার্ভ, রেমিট্যান্স কিছু নিয়েই অর্থমন্ত্রী কথা বলেন না।

বৃহস্পতিবার সংসদের বৈঠকে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর ধন্যবাদ প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন। এর আগে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের বৈঠক শুরু হয়।

বিরোধী দল জাপার সংসদ সদস্য ফরাজী বলেন, অর্থমন্ত্রী অত্যন্ত সজ্জন, বিনয়ী, অভিজ্ঞ, বিদ্ধান ব্যক্তি। তাকে সম্মান না করে পারা যায় না। তিনি একবারে নীরব হয়ে গেলেন, উনি কেন নীরব? ওনাকে জবাব দিতে হবে, বিতর্কে অংশ নিতে হবে। জাতিকে আশ্বস্ত করতে হবে, জাতিকে বোঝাতে হবে কারা অপ্রপচার চালায়। কারা বলে ব্যাংক শূন্য। রিজার্ভ শুন্য। দুর্ভিক্ষ হবে কারা বলে? যারা দেশের শত্রু। এসবের জবাব দেবে কে? অর্থমন্ত্রী। আশাকরি ওনি ব্যাখ্যা দেবেন।

রুস্তুম আলী ফরাজী বলেন, পাচার করা অর্থ ফিরিয়ে আনতে হবে। এটা করা অর্থমন্ত্রীর অর্পিত দায়িত্ব।

যারা চুরি-চামারি করে, নয়-ছয় করে, হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার করেছে তাদের ছবি পত্রিকায় ছাপিয়ে দেয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, তাহলে মানুষ দেখবে, থুথু দেবে। কারণ তারা মানুষ না।

রুস্তুম আলী ফরাজী বলেন, ‘বারবার মন্ত্রী হতে চায়। কারণ এখানে টাকার খনি আছে। টাকার জন্য হতে চায়। বারবার মন্ত্রী হওয়ার দরকার নেই।’

অর্থমন্ত্রীর সমালোচনা করলেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রশংসা করেন জাপার এই সংসদ সদস্য। তিনি বলেন, অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশ অনেকটাই ভাল আছে। এজন্য অনেক ভাল কাজ করতে হয়েছে। সেগুলো করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি সংশ্লিষ্টদের মধ্যে দায়িত্ব বণ্টন করে দিয়েছেন। কিন্তু অনেকে নিজের কাজ না করে প্রধানমন্ত্রীর দিকে তাকিয়ে থাকেন। এটাই সমস্যা। পদ্মাসেতু নির্মাণ করায় দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের মানুষের প্রধানমন্ত্রীর জন্য সারাজীবন দোয়া করতে হবে।

ওয়ার্কার্স পার্টি থেকে সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য লুৎফুন্নেসা খান বলেন, বৈশ্বিক সংকটের মধ্যে উন্নয়নের ধারা বজায় রাখা কঠিন ছিল। তবে সেটা ধরে রাখা গেছে। প্রধানমন্ত্রী সময়োপযোগী পদক্ষেপ নিতে সক্ষম হয়েছেন। মূল্যস্ফীতি কমে এসেছে কিন্তু খাদ্য মূল্যস্ফীতি এখনো বেশি। তিনি বঙ্গবন্ধুর আমলের মত সাধারণ মানুষের জন্য রেশনিং ব্যবস্থা চালু করার দাবি জানান। সবার জন্য না হলেও গার্মেন্টস শ্রমিকদের জন্য এই ব্যবস্থা করার দাবি জানান তিনি।

লুৎফুন্নেসা খান বলেন, এ বছর শিক্ষার্থীদের নির্ধারিত সময়ে সবাইকে বই দেয়া সম্ভব হয়নি। বইয়ে অসংখ্য বানান ভুল, কাগজ নিম্নমানের, বইয়ে সাম্প্রদায়িক বিষয় আছে। এগুলো এই সুন্দর উদ্যোগকে ম্লান করেছে।