আপডেট : ১২ জানুয়ারি, ২০২৩ ২০:৪৫
নক্ষত্রের সৃষ্টিরহস্যের পিছে
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

নক্ষত্রের সৃষ্টিরহস্যের পিছে

পৃথিবী থেকে অন্তত দুই লাখ আলোকবর্ষ দূরের একটি নক্ষত্রপুঞ্জের ছবিতে হঠাৎ আগ্রহী হয়ে উঠেছেন বিশ্বের জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা। তাদের আশা, মহাবিশ্বের সৃষ্টিতত্ত্ব সম্পর্কে এবার হয়তো বিশদ ধারণা মিলবে।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম স্কাই নিউজ বলছে, আলোচিত জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপে ‘এনজিসি ৩৪৬’ হিসেবে পরিচিত নক্ষত্রপুঞ্জের ছবি তোলা হয়। তাতে এক হাজার কোটি বছরের বেশি আগে মহাবিশ্বের শুরুর দিকে প্রথম নক্ষত্র সৃষ্টির রহস্য সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যেতে পারে।

মহাকাশে নক্ষত্রপুঞ্জের ওই অঞ্চল সম্পর্কে বিশদ জানা প্রয়োজন বলে মনে করছেন জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা। এতে বিগ ব্যাংয়ের ২০০ থেকে ৩০০ কোটি বছর পর প্রথম নক্ষত্র কীভাবে সৃষ্টি হয়েছিল, সে সম্পর্কে আরও ধারণা মিলবে বলে আশাবাদী তারা। ওই সময়টিকে ‘কসমিক নুন’ বলা হয়। সে সময়েই নক্ষত্র গঠন সবচেয়ে সক্রিয় ছিল।

গবেষক দলের সদস্য ইউরোপীয় স্পেস এজেন্সির গুইদো ডি মার্কি স্কাই নিউজকে বলেন, ‘আমরা সৃষ্টিতন্ত্র দেখছি, কেবল নক্ষত্রেরই নয়, সম্ভবত গ্রহেরও।’

মহাবিশ্বে পাথুরে গ্রহের সৃষ্টি বর্তমান ধারণার আগেই হতে পারে বলেও জানান গুইদো ডি মার্কি।

এনজিসি ৩৪৬ নক্ষত্রপুঞ্জে বেশ কিছু প্রোটোস্টার বা আদ্যনক্ষত্র রয়েছে, যা মূলত ধুলা ও গ্যাসের মেঘ। নক্ষত্র গঠনের প্রাথমিক এই পর্যায়ে আণবিক মেঘ থেকে নক্ষত্রগুলো আকৃতি পেয়ে থাকে।

যুক্তরাজ্যের অ্যাস্ট্রোনমি টেকনোলজি সেন্টারের ফেলো অলিভিয়া জোনস প্রকাশিতব্য গবেষণাপত্রের মূল লেখক। টেলিস্কোপে তোলা উচ্চ রেজল্যুশনের ছবি থেকে বিজ্ঞানীরা আরও তথ্য পাবেন বলে মনে করেন তিনি।

অলিভিয়া জোনস বলেন, ‘এই প্রথম আমরা ভিন্ন ছায়াপথে কম ও উচ্চভরের নক্ষত্র সৃষ্টির পূর্ণ বিন্যাস শনাক্ত করলাম। এতে নক্ষত্রের জন্ম কীভাবে পারিপার্শ্বিক পরিবেশে প্রভাব ফেলে, সেই সঙ্গে নক্ষত্র গঠনের প্রক্রিয়া সম্পর্কেও আরও তথ্য মিলবে।’

মহাবিশ্বের সৃষ্টিতত্ত্ব সম্পর্কে আরও তথ্য পাওয়ার আশায় ২০২১ সালের ডিসেম্বরে মহাকাশে পাঠানো হয় জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপ। গত ১২ জুলাই কাজ শুরুর পর পরই সৌরজগতের সবচেয়ে বাইরের গ্রহ নেপচুন ও এর বলয়ের ছবি পাঠিয়ে সাড়া ফেলে দিয়েছিল।