সুনামগঞ্জের তাহিরপুর সীমান্তে প্রবেশের পর এক বাংলাদেশি নাগরিককে গুলি করে আহত করার ঘটনায় ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের সঙ্গে পতাকা বৈঠক করেছে বিজিবি। পতাকা বৈঠকে প্রথমে গুলির ঘটনা অস্বীকার করলেও পরে তা স্বীকার করে নিয়েছে বিএসএফ। শনিবার ঘটনাস্থল পরিদর্শনে সম্মত হয়েছে ভারতীয় এই সীমান্তরক্ষী বাহিনী।
শুক্রবার দুপুরে তাহিরপুরের বুরুঙ্গাছড়া এলাকায় গুলির ঘটনা ঘটে। এ সময় গুলিবিদ্ধ হন তাহিরপুর উপজেলার উত্তর শ্রীপুর ইউনিয়নের বুরুঙ্গাছড়া গ্রামের রাশিদ মিয়ার ছেলে দেলোয়ার হোসেন (২৭)। এ ছাড়া হনুফা বেগম নামে এক নারীকে পিটিয়ে আহত করা হয়। পরে বিকেলে দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী পতাকা বৈঠক করে।
পতাকা বৈঠকে বিজিবির পক্ষে নেতৃত্ব দেন ট্যাকেরঘাট কোম্পানি কমান্ডার সুবেদার জাফর আহমদ। অন্যদিকে বিএসএফের পক্ষে নেতৃত্ব দেন শিলং ১৯৩ ব্যাটালিয়নের বড়ছড়া বিএসএফর বড়ছড়া কোম্পানি কমান্ডার দিলিপ শিং। দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে পতাকা বৈঠকের স্থায়িত্ব ছিল ১৫ মিনিট।
ট্যাকেরঘাট কোম্পানি কমান্ডার জাফর আহমেদ বলেন, প্রথমে বিএসএফ গুলি করার তথ্য অস্বীকার করে। পরে আমরা তাদের চ্যালেঞ্জ করেছি। ঘটনা ও আহতদের ছবিও দেখিয়েছি। পরে তারা বলেছে, বিএসএফ গুলি করে থাকতে পারে।
পতাকা বৈঠকে বিএসএফের পক্ষ থেকে বাংলাদেশি নাগরিকদের নিক্ষেপ করা ইট-পাটকেলের আঘাতে তাদের আট থেকে ১০ জনের আহত হওয়ার অভিযোগ করা হয় বলেও জানান জাফর আহমেদ। তিনি বলেন, একপর্যায়ে শনিবার গোলাগুলির স্থান পরিদর্শনে সম্মত হয়েছে বিএসএফ। পরিদর্শনের পর এ বিষয়ে বিস্তারিত জানাবে বলেও বিএসএফ আশ্বস্ত করেছে।
১৯৮/সি, তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮
©দৈনিক বাংলা