আপডেট : ১৪ জানুয়ারি, ২০২৩ ২২:১৯
আফিফের পর রাসুলি-ঝড়, চট্টগ্রামের দ্বিতীয় জয়
ক্রীড়া প্রতিবেদক

আফিফের পর রাসুলি-ঝড়, চট্টগ্রামের দ্বিতীয় জয়

চমৎকার এক ইনিংস খেলেছেন আফিফ। ছবি: চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স

আল-আমিন জুনিয়রের দুর্ভাগ্য। তাসকিন আহমেদের ওই বলটা তার ভাগেই পড়ল। ইনিংসের প্রথম বলটা ব্যাটে খেলতে না পারলেও প্রান্ত বদল করতে পেরেছিলেন উসমান খান।

তাসকিনের পরের বলটা ছিল স্বপ্নের মতো। সবকিছুই হলো ঠিক যতটুকু দরকার। ঘন্টায় ১৪৩ কিলোমিটার গতির বল। লেংথে পরে একটু ঢুকল। ব্যাকফুটে থাকা আলআমিন ব্যাট বাড়িয়েছিলেন। কিন্তু ব্যাটের কানা এড়ানোর মতো মুভমেন্টই শুধু ছিল সে বলে। বাউন্সটাও হলো একদম মেপে মেপে, অফ স্টাম্পের বেল উড়িয়ে দিয়ে বল সীমানার বাইরে।

বলের পিছু পিছু মাঠ ছাড়লেন আল-আমিনও। প্রথম ২ ওভারে দুর্দান্ত পেস বোলিংয়ের প্রদর্শনী দেখিয়ে মাত্র ৩ রান দিয়েছিলেন তাসকিন। এমন দুর্দান্ত শুরু অবশ্য ভুলিয়ে দিয়েছেন আফিফ হোসেন। তার দারুণ এক ইনিংসে ঢাকা ডমিনেটরসের বিপক্ষে ৮ উইকেটের জয় পেয়েছে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স।

গতকাল রাতের ম্যাচে ১৩০ রানকেই কঠিন এক লক্ষ্য বানিয়ে ফেলেছিল খুলনা টাইগার্স। আজও ঢাকা ডমিনেটরস যেভাবে শুরু করেছিল, তাতে রান তোলাকে কঠিন এক কাজ মনে হচ্ছিল। উদ্‌বোধনী জুটি ৬০ রান তুললেও ৫৬ বল দরকার হয়েছে মিজানুর রহমান ও উসমান গনির।

দুজনকেই ফিরিয়েছেন আজ দলে ফেরা বাঁহাতি স্পিনার নিহাদুজ্জামান। আউট হওয়ার আগে অবশ্য রানরেট বাড়িয়ে নেয়ার চেষ্টা করেছিলেন গনি। ৩৩ বলে ২ চার ও ৪ ছক্কায় ৪৭ রান করেছেন গনি। এরপর সৌম্য ও মিঠুনরা ব্যর্থ হলেও অধিনায়ক নাসির হোসেন (৩০) ও আরিফুল হকের (২৯*) ছোট দুটি ইনিংসে ১৫৮ রানের পুঁজি পায় ঢাকা।

রান তাড়ার শুরুতেই তাসকিনের অমন রূদ্রমূর্তি চট্টগ্রামকে বেকায়দায় ফেলে দিয়েছিল। কিন্তু উসমান (২২) ও আফিফ বাকিদের ওপর চড়াও হয়ে পাওয়ার প্লেতে ৫০ রান এনে দিয়েছেন। অস্টম ওভারে উসমান ফেরার পর আফিফ দলকে টানার দায়িত্ব নিজের কাঁধে নিয়ে নেন। চমৎকার ব্যাটিংয়ে ৩৪ বলেই ফিফটি পেয়ে যান আফিফ। অন্য প্রান্তে দারউইশ রাসুলি একটু রক্ষণাত্মক খেলায় প্রয়োজনীয় রানরেট ১০-এর কাছাকাছি রয়ে যাচ্ছিল। প্রথম ২৫ বলে কোনো চার-ছক্কা না মেরে ১৯ রান করেছিলেন রাসুলি।

১৭তম ওভারে সব বদলে দিয়েছেন রাসুলি। আল-আমিন হোসেনের ওভারে ৩ ছক্কা ও ১ চারে ২৪ রান এনে দিয়েছেন। তাসকিনের পরের ওভারে টানা তিন বলে চার-ছক্কা-চার- ১৪ বল আগেই ম্যাচ শেষ! শেষ ৮ বলে ৩ চার ও চার ছক্কায় ৩৭ রান তুলেছেন রাসুলি (৫৬*)। অন্যপ্রান্তে ৬৯ রানে অপরাজিত ছিলেন ম্যাচসেরা আফিফ।