পরশু সন্ধ্যায় মোহাম্মদ সালাউদ্দিন বলেছিলেনও, কিছু বললে আবার নিষিদ্ধ করে দেবে। অবশ্য না বলতে চেয়েও আম্পায়ারিং ও এডিআরএস নিয়ে বেশ কিছু কথা বলেছিলেন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস কোচ। ফরচুন বরিশালের বিপক্ষে ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে করা মন্তব্যের জেরে শাস্তি পেতেই হলো তাকে।
বিসিবির আচরণবিধি ভঙ্গের জন্য ম্যাচ ফির ৫০ শতাংশ জরিমানা করা হয়েছে সালাউদ্দিনকে। পাশাপাশি তিনটি ডিমেরিট পয়েন্ট যোগ হয়েছে তার নামে।
আচরণবিধির ২.৭ ধারা অনুযায়ী লেভেল ২ ভাঙার অভিযোগ আনা হয় সালাউদ্দিনের বিরুদ্ধে। ক্রিকেটার ও সাপোর্ট স্টাফদের জন্য এই ধারায়, ‘ম্যাচের কোনো ঘটনা নিয়ে প্রকাশ্য সমালোচনা ও অনুপযুক্ত মন্তব্য করা’র বিধিনিষেধ দেয়া আছে।
রোববার রাতে বিসিবির সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, মাঠের দুই আম্পায়ার, তৃতীয় আম্পায়ার ও চতুর্থ আম্পায়ার এই অভিযোগ এনেছেন সালাউদ্দিনের বিরুদ্ধে। কুমিল্লা কোচ দায় স্বীকার করে ম্যাচ রেফারি দেবব্রত পালের দেওয়া শাস্তি মেনে নেওয়ায় আনুষ্ঠানিক শুনানির প্রয়োজন পড়েনি।

পরশু ফরচুন বরিশাল-কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস ম্যাচে ইফতিখার আহমেদের বলে কুমিল্লার জাকের আলীকে এলবিডব্লিউ দেন আম্পায়ার মোর্শেদ আলী খান। খালি চোখে মনে হয়েছে লেগ স্টাম্পের বাইরে বল পিচ করেছে। রিপ্লেতে অবশ্য দেখা গেছে বলের অল্প কিছু অংশ লেগ স্টাম্পে ছিল। আইসিসির নিয়মানুযায়ী বলের অর্ধেক স্টাম্পের ভেতরে থাকলে তখন সেটা ‘পিচড অন লাইন’। ফলে জাকেরের রিভিউর ক্ষেত্রে বল লেগ স্টাম্পের বাইরে বলেই বিবেচিত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু টিভি আম্পায়ার তানভীর আহমেদ মাঠের আম্পায়ারের সিদ্ধান্তই সঠিক বলে রায় দিয়েছেন।
পরে বিসিবি এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, বিপিএলের প্লেয়িং কন্ডিশনের পরিশিষ্ট ডি১-এর ৬.৪.৩.৩ ধারা অনুযায়ী, বলের কোনো অংশ স্টাম্প লাইন স্পর্শ করলেই তাকে ‘ইন লাইন’ বলে ধরে নেয়া হবে।
১৯৮/সি, তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮
©দৈনিক বাংলা