ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস অ্যাগ্রিকালচার অ্যান্ড টেকনোলজির (আইইউবিএটি) তাদের ৩২ বছর পূর্তি উদ্‌যাপন করছে। অধ্যাপক এম আলিমউল্যা মিয়ানের উদ্যোগে ১৯৯১ সালে দেশের প্রথম বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় হিসাবে যাত্রা শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয়টি।

রাজধানীর উত্তরায় বিশ্ববিদ্যালয়টির ক্যাম্পাস। বর্তমানে আট হাজারের বেশি শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ের ৬টি অনুষদে ১২টি প্রোগ্রামে পড়াশোনা করছেন। স্নাতক পর্যায়ে বিশ্ববিদ্যালয়টিতে বিবিএ, পুরকৌশল, কম্পিউটারবিজ্ঞান ও প্রকৌশল, তড়িৎ ও ইলেকট্রনিকস প্রকৌশল, যন্ত্র প্রকৌশল, অর্থনীতি, ইংরেজি, কৃষি, ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট এবং নার্সিং বিষয়ে পড়ার সুযোগ রয়েছে। স্নাতকোত্তর পর্যায়ে এমবিএ এবং এমপিএইচ প্রোগ্রামে পড়ানো হয়। প্রতিযোগী মনোভাব ধরে রাখতে বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষার্থীদের মাঝে চলে নানা আয়োজন।

১৯৯৭ সালে আইইউবিএটি অ্যাসোসিয়েশন অব কমনওয়েলথ ইউনিভার্সিটিজের সদস্য হয়, যার মাধ্যমে কমনওয়েলথের সবদেশেই আইইউবিএটির ডিগ্রি স্বীকৃতি পায়। পরিবেশবান্ধব ক্যাম্পাস হিসেবে ২০০৮ সালে এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা বিশ্ববিদ্যালয়টিকে ‘গ্রিন ক্যাম্পাস’ হিসেবে ঘোষণা দেয়। এ ছাড়া ২০২২ সালের ইউআই গ্রিন মেট্রিক ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি র‌্যাংকিংয়ে বাংলাদেশে আইইউবিএটির অবস্থান দ্বিতীয়, বিশ্বের ১০৪টি দেশের ১০৫০টি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে অবস্থান ২৫৪তম। ২০২১ সালে উরি (ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটিস উইথ রিয়েল ইমপ্যাক্ট) র‌্যাংকিংয়ে নৈতিক মানের বিবেচনায় বিশ্বের শীর্ষ ৫০ বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় স্থান ৩৯তম অবস্থান অর্জন করে আইইউবিএটি।

২০২২ সালের দ্য টাইমস হায়ার এডুকেশন ইমপ্যাক্ট র‌্যাংকিংয়ে ৬০১-৮০০তম অবস্থানে আছে প্রতিষ্ঠানটি। শিমাগো ইনিস্টিটিউশনস র‌্যাংকিংয়ে ২০২২ সালে সারা বিশ্বে আইইউবিএটির অবস্থান ৭৩৫তম। বিশ্বের ২৭টিরও বেশি দেশের ১১৩টি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে সমঝোতা সাক্ষর চুক্তি হয়েছে প্রতিষ্ঠানটির। যার ফলে প্রতিবছর শিক্ষক-ছাত্র অনুষ্ঠানের আওতায় এসব বিশ্ববিদ্যালয়ে খন্ডকালীন পড়াশোনা করার অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারে আইইউবিএটির শিক্ষার্থীরা। আইইউবিএটির ইঞ্জিনিয়ারিং প্রোগ্রামগুলো আইইবি-দ্যা ইনিস্টিটিউশন অব ইঞ্জিনিয়ারস, বাংলাদেশের অনুমোদিত। এছাড়া বিবিএ প্রোগ্রামটিও এসিবিএসপি-অ্যাক্রেডিয়েশন কাউন্সিল ফর বিজনেস স্কুল অ্যান্ড প্রোগ্রাম থেকে অনুমোদন পেয়েছে।