আপডেট : ২০ জানুয়ারি, ২০২৩ ২২:৪২
সাকিবদের টানা পঞ্চম জয়, ঢাকার টানা পঞ্চম হার
ক্রীড়া প্রতিবেদক

সাকিবদের টানা পঞ্চম জয়, ঢাকার টানা পঞ্চম হার

আরেকটি জয় সাকিবদের। ছবি: ফরচুন বরিশাল

৭ ওভারে ৮৫ রান দরকার ছিল ঢাকা ডমিনেটরসের। কাজটা কঠিন, কিন্তু মোহাম্মদ মিঠুন ও নাসির হোসেন দুজনই ততক্ষণে সেট হয়ে গেছেন। শিশিরভেজা মাঠে বল নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন। ওভারপ্রতি ১২ রান তাই খুব বেশি বড় মনে হচ্ছিল না।

ফরচুন বরিশালের কামরুল ইসলামের বলে লং অনে ক্যাচ দিয়েছিলেন নাসির। মেহেদি হাসান মিরাজ ক্যাচ ধরেছিলেন। কিন্তু তৃতীয় আম্পায়ার সেটাকে ছক্কা বলে রায় দিলেন। সে ওভারে এল ১১ রান। পরের ওভারে মিঠুন মারলেন আরেক ছক্কা, এল ৯ রান।

কামরুলের পরের ওভারে নাসিরের আরেক ছক্কায় এল ১৩ রান। মোহাম্মদ ওয়াসিমের বলে টানা দুই বলে ছক্কা ও চার মিঠুনের। এল ১৪ রান।

৩ ওভারে দরকার ৩৮ রান। এমন অবস্থায় করিম জানাত দুর্দান্ত এক ওভার উপহার দিলেন, এল মাত্র ৭ রান। ২ ওভারে দরকার ৩১।

ওয়াসিমের প্রথম বলে চার মারলেন নাসির। পরের বলে এল সিঙ্গেল। তৃতীয় বলে হাঁকাতে গিয়ে বোল্ড মিঠুন। ৩৭ বলে ৪৭ রানের ইনিংসের সঙ্গে থামল ৮৯ রানের জুটি। আরিফুল হক প্রথম বলে ব্যাটে বল লাগাতে পারলেও রান নিতে ব্যর্থ। সিঙ্গেল নিয়ে পরের বলে প্রান্ত বদল আরিফুলের। শেষ বলে আরেকটি ডট। ১৯তম ওভারে মাত্র ৬ রান দিয়ে ম্যাচের ভাগ্যই লিখে দিলেন ওয়াসিম।

প্রথম বলে ওয়াইড ইয়র্কার কামরুলের। তাতে এল মাত্র ১ রান। পরের বলে নাসিরের ২ রান। পরের বলে লং অফে বল পাঠিয়ে ফিফটি পূর্ণ করলেন নাসির (৩৫ বলে)। কিন্তু সে শট নিশ্চিত করল ওয়াইড বা নো বল না হলে এই ম্যাচে আর আর জিতছে না ঢাকা।

পরের ৩ বল থেকে এল আরও ৭ রান। তাতে ১৩ রানে হারল ঢাকা। টানা পঞ্চম হার নাসিরদের। ওদিকে টানা পঞ্চম জয়ে পয়েন্ট টেবিলে দ্বিতীয় স্থান সুদৃঢ় হলো বরিশালের।

এর আগে ব্যাট করতে নেমে বরিশাল ৫ উইকেটে ১৭৩ রান তুলেছিল। গতকাল ৪৫ বলে সেঞ্চুরি করা ইফতিখার (৫৬*) আজও ফিফটি পেয়েছেন। তবে ৩১ বলে ফিফটি পাওয়া ইফতিখার অন্যপ্রান্তে সাকিব আল হাসানকে পাননি খুব বেশি সময়ের জন্য। টানা দুই ম্যাচে শূন্য রানে আউট হওয়া মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ৩১ বলে ৩৫ রান করেছেন।

সাকিব টিকে থাকলে খুলনার রান আরও বাড়ত, সন্দেহ নেই। চার চার ও এক ছক্কায় সাকিব আগের দিনের ছন্দেই ব্যাট করছিলেন। ১০ ওভার শেষে ৮৮ রান ছিল খুলনার। কিন্তু ১১তম ওভারে মুকতার আলীর স্লোয়ারে সাকিব (৩০) বোল্ড হতেই ছন্দপতন। ইফতিখার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু একদিকে মাহমুদউল্লাহর আত্মবিশ্বাসের অভাব, ওদিকে ডেথ ওভারে সালমান ইরশাদ ও তাসকিনের দারুণ বোলিং শেষ দিকে ঝড় উঠতে দেয়নি।

তাড়া করতে নেমে ঢাকা শুরুটা করেছে দারুণ। সাকিব ও মিরাজের প্রথম ২ ওভারে মাত্র ১০ রান এসেছিল। কিন্তু তৃতীয় ওভার ঢাকাকে মোমেন্টাম এনে দিয়েছে। সাকিবের ওই ওভারে প্রথম দুই বলেই ছক্কা মেরেছেন উসমান গনি। ফর্মে ফেরার লড়াইয়ে থাকা সৌম্যও মেরেছেন আরেকটি ছক্কা। কিন্তু ৭ বলের মধ্যে গনি ও সৌম্য আউট হয়ে যান। দলকে ৫৯ রানে রেখে মোহাম্মদ ইমরানও ফেরেন।

এরপর ৫৯ বলে ৮৯ রানের জুটি গড়েছিলেন নাসির (৫৪*) ও মিঠুন। কিন্তু দলকে জয় এনে দিতে পারেননি তারা।