চীনের একেবারে উত্তরাঞ্চলে মোহে শহরে ইতিহাসের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। সেখানে তাপমাত্রা নেমে গেছে হিমাঙ্কের নিচে (মাইনাস) ৫৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। বিশ্বের হিমায়িত অঞ্চল সাইবেরিয়াঘেঁষা শহরটিতে তাপমাত্রা রেকর্ড শুরু হওয়ার পর এটিই সর্বনিম্ন তাপমাত্রা।
গত রোববার সকাল ৭টার দিকে ওই তাপমাত্রা রেকর্ডের কথা জানায় স্থানীয় আবহাওয়া কেন্দ্র। খবর বিবিসির।
মোহে শহর চীনের ‘উত্তর মেরু’ নামে পরিচিত। এটি রুশ সীমান্তের কাছে হেইলংজিয়াং প্রদেশে অবস্থিত। এর আগে শহরটিতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় মাইনাস ৫২ দশমিক ৩ ডিগ্রি। সেটি ছিল ১৯৬৯ সালে।
চীনের রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিভিশন চ্যানেল সিসিটিভিতে প্রচারিত এক ভিডিওতে দেখা যায়, ভেঙে রাখা একটি ডিম কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই ঠাণ্ডায় জমে গেছে।
স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, ‘আমি কয়েক স্তরে উষ্ণ কাপড় পরে বাইরে পেরোনোর ১০ সেকেন্ডের মধ্যে হাতজোড়া অসাড় হয়ে গেছে। আর বাইরে তেমন লোকজনও দেখলাম না।’
দক্ষিণাঞ্চলীয় প্রদেশ গুয়াংডং থেকে মোহে শহরের শীত উপভোগ করতে গেছেন লি নামে এক পর্যটক। তিনি শীতের তীব্রতা নিয়ে বলেন, ‘তাপমাত্রা মাইনাস ৫০ ডিগ্রিরও নিচে চলে যাবে আশা করিনি। এই তাপমাত্রা চমকে দিলো।’
বিবিসি বলছে, মোহে শহরকে বিপর্যস্ত করে দেয়া মাইনাস ৫৩ ডিগ্রিই চীনের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা নয়। দেশটিতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা মাইনাস ৫৮ ডিগ্রিও রেকর্ড হয়েছিল। এই তাপমাত্রা কাঁপিয়েছিল ২০০৯ সালের ডিসেম্বরে। ইনার মঙ্গোলিয়া প্রদেশের গেনহে শহরে ওই তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল।
চায়না ডেইলি বলছে, মোহে শহরটিকে চীনের সবচেয়ে শীতপ্রবণ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এলাকাটিতে বছরের আট মাস শীতকাল থাকে। তবে বছরের এই সময়টাতে শহরের গড় তাপমাত্রা সাধারণত মাইনাস ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস থাকে।
গত সপ্তাহে চীনের আবহাওয়া কর্তৃপক্ষ মোহে অঞ্চলে তাপমাত্রা আরও কমতে পারে বলে সতর্কতা জারি করে।
১৯৮/সি, তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮
©দৈনিক বাংলা