খুলনায় নাশকতার তিনটি মামলায় বিএনপির ৬৬ নেতাকর্মীর জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। বুধবার দুপুরে খুলনার অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক এস এম আশিকুর রহমান মামলার শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।
কারাগারে পাঠানো নেতাকর্মীদের মধ্যে রয়েছেন খুলনা মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিন, জেলা বিএনপির সদস্য সচিব মনিরুল হাসান বাপ্পী, মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মাসুদ পারভেজ বাবু, মহানগর বিএনপির সদস্য গাজী আফসারউদ্দিন, মোল্লা ফরিদ আহমেদ, কাজী শফিকুল ইসলাম, মাসুদ খান বাদল, জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক ইবাদুল হক রুবায়েদ, মহানগর ছাত্রদলের আহ্বায়ক ইসতিয়াক আহমেদ, সদস্য সচিব মো. তাজিম বিশ্বাস, স্বেচ্ছাসেবক দল সদর থানার আহ্বায়ক খায়রুজ্জামান সজীব, নগর ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক হেলাল আহমেদ সুমন, বিএনপি নেতা জালু মিয়া, ফারুক আহমেদ, জামাল উদ্দিন মোড়ল, শহিদ খান, যুবদল নেতা নাসিম আহমেদ ও মাহমুদ হাসাস বিপ্লব।
গত ৬ থেকে ৮ ডিসেম্বরের মধ্যে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের (কেএমপি) সদর, সোনাডাঙ্গা এবং লবনচরা থানায় মামলা তিনটি দায়ের হয়েছিল।
এ প্রসঙ্গে খুলনা মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক শফিকুল আলম মনা বলেন, ‘১০ ডিসেম্বর ঢাকায় বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশ বানচাল করতে খুলনার বিভিন্ন থানায় পুলিশ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়রানিমূলক নাশকতা ও সরকার উৎখাত পরিকল্পনার অভিযোগে মামলা করে। এসব মামলায় প্রায় অর্ধশত নেতাকর্মী গ্রেপ্তার হয়ে কারাবন্দি ছিলেন। অন্যরা উচ্চ আদালত থেকে ছয় সপ্তাহের আগাম জামিন পান। আজ তারা আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করলে তা নামঞ্জুর হয়।’
তিনি বলেন, ‘ওই তিনটি মামলায় যেসব অভিযোগ করা হয়েছে, আসলে সেই সময়ে এমন কোনো ঘটনা ঘটেনি। পুলিশ গায়েবি ও বানোয়াট অভিযোগে মামলা দায়ের করেছে।’
এদিকে আদেশ ঘোষণার পর আদালত প্রাঙ্গণে উপস্থিত বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের শত শত নেতাকর্মী ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তারা রাজনৈতিক হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহার, নেতাকর্মীদের নিঃশর্ত মুক্তি এবং সরকারের পদত্যাগ দাবি করে মিছিল করেন।
১৯৮/সি, তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮
©দৈনিক বাংলা