আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের রাজপথ না ছাড়ার আহ্বান জানিয়ে ক্ষমতাসীন দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘বিএনপি কখনোই গণতন্ত্রের পথে চলে না। তাদের অরাজকতা সৃষ্টি করার জন্য খালি মাঠ দেয়া হবে না।’
বৃহস্পতিবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের ময়মনসিংহ বিভাগীয় প্রতিনিধি সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে দলীয় নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে কাদের এ কথা বলেন।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘শহর থেকে গ্রাম পর্যন্ত সতর্ক পাহারায় থাকতে হবে। বিএনপির সাম্প্রদায়িক কায়দা, জঙ্গিবাদী কায়দার ও বিশৃঙ্খলতার কঠিন জবাব দেয়া হবে।’
দেশে আওয়ামী লীগ একমাত্র গণতন্ত্রের চর্চাকারী দল জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘২১ বছর ধরে এ দেশে গণতন্ত্র ছিল না। খালেদা জিয়ার শাসনামলে কোনো গণতন্ত্র ছিল না। পঁচাত্তরের পর শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর করেছিল আওয়ামী লীগ সরকার। ২০০১ সালের সরকার গণতন্ত্রের নামে দেশটাকে ধ্বংসের কিনারায় নিয়েছিল।’
বিএনপি নেতাদের উদ্দেশ করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘মির্জা) ফখরুল কবে সেক্রেটারি জেনারেল (মহাসচিব) হয়েছেন মনে আছে? যাদের ঘরেই গণতন্ত্রের চর্চা নাই, তারাই গণতন্ত্রের কথা বলে। বিদেশিদের কাছে নালিশ করে অথচ তারাই গণতন্ত্রহীন।’
তিনি বলেন, ‘(প্রধানমন্ত্রী) শেখ হাসিনা ভোট চুরির জন্য ১ কোটি ২৩ লাখ ভুয়া ভোটার বানাননি। শেখ হাসিনা গায়ের জোরে ইলেকশন কমিশন বানাননি। ইলেকশন কমিশন আইনের মাধ্যমেই গঠন করা হয়েছে। নির্বাচনের যেখানে বলেছিলেন আওয়ামী লীগের ভরাডুবি হবে, সেখানে তাদের ভরাডুবি হয়। গণতন্ত্র বিকাশমান প্রক্রিয়া, ত্রুটিমুক্ত নির্বাচন আমরাও চাই না।’
আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে যেসব অপপ্রচার হচ্ছে সেগুলোর জবাব দেয়ার জন্য টিম গঠন করা হবে বলেও জানান কাদের। তিনি বলেন, ‘কত ভয়ংকর নোংরামির রাজনীতি হলে একটি দলের নেতাকে মৃত বলে প্রোপাগান্ডা ছড়ানো হয়। যারা জঙ্গিবাদের সমর্থন করে, তারাই এসব গুজব ছড়ায়। মিথ্যাচার করে আবারও পঁচাত্তর ঘটানোর হুমকি দেয় বিএনপি।’
বিএনপির আন্দোলনের জবাব দিতে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের প্রস্তুতির আহ্বান জানিয়ে কাদের বলেন, ‘আওয়ামী লীগ নির্বাচন পর্যন্ত প্রতিদিন রাজপথে থাকবে। বিএনপি দেশের ঐতিহাসিক দিবসগুলো বিশ্বাস করে না।’
আওয়ামী লীগের কমিটি গঠন সম্পর্কে নেতাদের উদ্দেশে তিনি আরও বলেন, ‘পকেট বাণিজ্য করে, স্বজনপ্রীতি করে কমিটি গঠন করা যাবে না। কমিটি গঠন করতে হবে নিবেদিতদের নিয়ে।’
১৯৮/সি, তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮
©দৈনিক বাংলা