আপডেট : ২৮ জানুয়ারি, ২০২৩ ১৭:০২
দেশছাড়া পাঁচ রুশ নাগরিকের বিমানবন্দরে করুণ দশা
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

দেশছাড়া পাঁচ রুশ নাগরিকের বিমানবন্দরে করুণ দশা

দক্ষিণ কোরিয়ার ইনছন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর

ইউক্রেনে যুদ্ধে অংশ নিতে গেল সেপ্টেম্বরে সংরক্ষিত সদস্যদের তলব করে রুশ সেনাবাহিনী। সে খবরে দেশ ছেড়ে পালান পাঁচ রুশ নাগরিক। ঢুকতে চেয়েছিলেন দক্ষিণ কোরিয়ায়। সিএনএনের খবর বলছে, দক্ষিণ কোরিয়ায় প্রবেশের অনুমতি না মেলায় মাসের পর মাস তারা বিমানবন্দরে দিন কাটাচ্ছেন।

পাঁচ নাগরিকের তিনজন অক্টোবরে, বাকি দুজন নভেম্বরে দক্ষিণ কোরিয়ার ইনছন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে গিয়ে পৌঁছান বলে জানিয়েছেন তাদের আইনজীবী লি জং চ্যান।

তাদের উদ্বাস্তু হিসেবে গ্রহণ করার আবেদন নাকচ করেছে দক্ষিণ কোরিয়ার বিচারবিষয়ক মন্ত্রণালয়। এদিকে আপিলের শুনানির অপেক্ষায় মাসের পর মাস বিমানবন্দরের বহির্গমন অংশে তারা দিন কাটাচ্ছেন। আইনজীবী লি বলেন, ‘দিনে একবার খাবার দেয়া হচ্ছে তাদের, যেটা মধ্যাহ্নভোজ। দিনের বাকি সময় রুটি আর পানীয় দিয়ে কাটাতে হচ্ছে।’

সঙ্গে যোগ করেন, গোসলের সুযোগ পেলেও নিজেদের হাতে কাপড় কাচতে হচ্ছে। বহির্গমন ও ডিউটি-ফ্রি এলাকা থেকে বের হওয়ার সুযোগ নেই তাদের।

চিকিৎসাসেবার সুযোগ যেমন পাচ্ছেন না, মানসিক স্বাস্থ্য পরিচর্যার জন্যও কোনো ব্যবস্থা নেই। বিশেষ করে এমন অনিশ্চিত পরিস্থিতিতে তা জরুরি বলে উল্লেখ করেন লি।

ইউক্রেন যুদ্ধে অংশ নিতে গত সেপ্টেম্বরে রুশ নাগরিকদের মধ্য থেকে ‘আংশিক সৈন্যযোজনের’ খবরে রাশিয়ায় বেশ বিক্ষোভ হয়েছে। অনেকেই স্থলবন্দর পেরিয়ে, কেউ উড়োজাহাজে দেশ ছাড়ার চেষ্টা করেন।

বেশ কিছু সূত্র বলছে, সৈন্যযোজনের খবর প্রকাশের প্রথম সপ্তাহে দুই লাখের বেশি মানুষ রাশিয়া ছেড়ে জর্জিয়া, কাজাখস্তান এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের অন্যান্য দেশে পালিয়ে গিয়েছেন।

বেলারুশের উদ্দেশ্যে ঘরছাড়া একজন এর আগে সিএনএনকে বলেন, ‘যা হচ্ছে তা আমি সমর্থন করি না। তাই এখনই চলে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। খারাপ লাগছে। কারণ আমার অনেক স্বজন, দেশের অনেক মানুষ এই যুদ্ধ সমর্থন করে না। যা হচ্ছে, তাতে শঙ্কিত তারা। এটা বন্ধ করার কোনো গণতান্ত্রিক পথ খোলা নেই, এমনকি আন্দোলনের সুযোগও না।’

ওই পাঁচ রুশ নাগরিকের আবেদন নাকচের পেছনে দক্ষিণ কোরিয়ার যুক্তি হলো, সামরিক বাহিনীতে অংশ না নেয়া রাজনৈতিক কারণ হতে পারে। তবে উদ্বাস্তু হিসেবে স্বীকৃতি দেয়ার মতো না। সে কারণে তাদের ‘আবেদন মূল্যায়নের যোগ্য মনে করেনি’ দেশটি।