আপডেট : ৩০ জানুয়ারি, ২০২৩ ১২:০১
কালিয়াকৈরে শ্রমিক মারধরের প্রতিবাদে বিক্ষোভ, কারখানা বন্ধ
প্রতিনিধি, গাজীপুর

কালিয়াকৈরে শ্রমিক মারধরের প্রতিবাদে বিক্ষোভ, কারখানা বন্ধ

সোমবার সকালে নীট এশিয়া কারখানার সামনে সমবেত হয়ে বিক্ষোভ করতে থাকেন শ্রমিকরা। ছবি: দৈনিক বাংলা

গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার সফিপুর এলাকায় নীট এশিয়া নামে একটি পোশাক কারখানার শ্রমিককে মারধরের ঘটনায় তার সহকর্মীরা বিক্ষোভ মিছিল করছেন। বিক্ষোভ শুরুর আগে কারখানা বন্ধ করে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সোমবার সকালে নীট এশিয়া কারখানার সামনে কয়েক হাজার শ্রমিক সমবেত হয়ে বিক্ষোভ করতে থাকেন। ওই কারখানায় তাদের ঢুকতে দেয়া না হলে শ্রমিকরা মিছিল নিয়ে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক হয়ে বিভিন্ন কারখানার সামনের এলাকা প্রদক্ষিণ করেন। এখন তারা নীট এশিয়া গ্রুপের আরেকটি প্রতিষ্ঠান মালেক স্পিনিং কারখানার সামনে অবস্থান নিয়েছেন।

শ্রমিকরা অভিযোগ করেন, গত শনিবার নীট এশিয়া কারখানায় কাজ করার সময় একজন সুপারভাইজার ও শ্রমিককে মারধর করেন ওই প্রতিষ্ঠানের প্রোডাকশন বিভাগের জেনারেল ম্যানেজার (জিএম)। এর আগে গত ১৩ অক্টোবর কারখানার এক প্রসূতিকেও মারধর করেন ওই জিএম। কোনো কারণ ছাড়াই মাঝেমধ্যে শ্রমিকদের গায়ে হাত তোলেন তিনি। এ ঘটনায় রোববার কর্মবিরতি পালন করা হয়। সকালে এসে শ্রমিকরা শুনতে পান কারখানা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।

নীট এশিয়া কারখানার শ্রমিক সোহান খান বলেন, ‘জিএম তার রুমে নিয়ে আমাদের লোকদের মারধর করেন। পরে মারধরের ঘটনায় গতকাল আমরা কর্মবিরতি দেই এবং বিচারের দাবি তুলি। আজ সকালে আমরা কারখানা গেটে গেলে তারা শ্রমিকদের ঢুকতে দেয়নি। তারা মৌখিকভাবে বলছে কারখানা ছুটি।’

এ বিষয়ে বাংলাদেশ তৃণমূল গার্মেন্টস শ্রমিক কর্মচারী ফেডারেশন গাজীপুর জেলা শাখার সভাপতি আমজাদ হোসেন বলেন, ‘নীট এশিয়া লিমিটেড কারখানায় একজন শ্রমিককে মারধর করেছেন প্রোডাকশনের জিএম। এর প্রতিবাদে শ্রমিকরা আন্দোলন করছেন। কর্তৃপক্ষ কারখানা বন্ধ করে শ্রমিকদের ভেতরে ঢুকতে দেয়নি। পরে তারা নীট এশিয়া গ্রুপের আশপাশের কারখানাগুলো বন্ধ করার জন্য অবস্থান নেয়। শ্রমিকদের আন্দোলন শান্তিপূর্ণভাবে হচ্ছে।’

কালিয়াকৈর থানার তদন্ত কর্মকর্তা আবুল বাশার দৈনিক বাংলাকে বলেন, ‘নীট এশিয়া কারখানায় শ্রমিক মারধরের ঘটনায় সকাল থেকে বিক্ষোভ করছেন শ্রমিকরা। এখন পর্যন্ত কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। ঘটনাস্থলে শিল্প ও জেলা পুলিশের সদস্যরা রয়েছেন।’