আপডেট : ৩০ জানুয়ারি, ২০২৩ ১৭:০৫
দুর্দান্ত মেহেদীতে আবার হারলেন তাসকিনরা
ক্রীড়া ডেস্ক

দুর্দান্ত মেহেদীতে আবার হারলেন তাসকিনরা

দারুণ ইনিংসে দল জেতালেন শেখ মেহেদী। ছবি: রংপুর রাইডার্স

সিলেটের উইকেটে দেড় শ পেরোনো স্কোরও কঠিন কোনো লক্ষ্য নয় এবারের বিপিএলে। সেখানে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ঢাকা ডমিনেটরস করেছে মোটে ১৪৪ রান। অবশ্য ঢাকায় নিজেদের সর্বশেষ ম্যাচে ১০৮ রানে গুটিয়েও ২৪ রানের জয় পেয়েছিলেন তাসকিন আহমেদ-নাসির হোসেনরা।

আজও বোলারদের দিকেই ম্যাচ জেতানোর দায়টা ঠেলে দিয়েছিলেন ব্যাটসম্যানরা। দ্বিতীয় ওভারেই এক উইকেট হারিয়েও বসে রংপুর রাইডার্স। কিন্তু ঢাকার ম্যাচ জেতার আশা চুরমার করে দিয়েছেন শেখ মেহেদী হাসান। দুর্দান্ত ৭২ রানের ইনিংসে দলকে এনে দিয়েছেন ৫ উইকেটের জয়। সে সঙ্গে শীর্ষ চারে রংপুরের অবস্থানও দৃঢ় করেছেন।

দ্বিতীয় ওভারে সালমান ইরশাদের বলে লাইন মিস করে এলবিডাব্লিউ হন মোহাম্মদ নাঈম। ৫ বলে শূন্য রান করা এই ওপেনারের সঙ্গী রনি তালুকদারও এগিয়েছেন ওয়ানডে ছন্দে। তবু ঢাকা চেপে বসতে পারেনি রংপুরের ওপর।

পাওয়ার প্লেতেই ৪৮ রান পেয়েছে রংপুর। এর মধ্যে মেহেদীর রান ২৬। পাওয়ার প্লের সুবিধা কাজে লাগিয়ে ১৩ বলে ৩ চার ও ২ ছক্কা মেরেছেন। এর মধ্যে লং অফ দিয়ে আল আমিন হোসেনকে মারা ছক্কাটি চোখে লেগে থাকার মতো।

নবম ওভারে রনি ফিরে যাওয়ার পর মেহেদীর অন্য প্রান্তে কোনো ব্যাটসম্যান দুই অংকও ছুঁতে পারছিলেন না। কিন্তু মেহেদী একে পাত্তা না দিয়েই ৩১তম বলেই পেয়ে গেছেন ফিফটি।

১৭তম ওভারে ফিরেছেন মেহেদী। ৪৩ বলে ৭২ রানের ইনিংসে ৬ চার ও ৫ ছক্কা ছিল তার। জয় থেকে ২২ রান দূরে ছিল রংপুর। আজমাতুল্লাহ ওমরজাই (১২*) ও মোহাম্মদ নওয়াজ (১৭*) এক ওভার আগেই জয় এনে দিয়েছেন।

এর আগে ঢাকার ইনিংসও একক লড়াইয়ের। ব্যাটিং লাইনআপে পরিবর্তন এনে উসমান গনিকে তিনে নামানো হয়েছিল। কিন্তু ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই নামতে হয়েছে তাকে। ইনিংসের শেষ ২ বলে হারিস রউফকে টানা ছক্কা মেরে অপরাজিত ৭৩ রান করে তবে ফিরেছেন। ৫৫ বলে তার ৭ চার ও ৩ ছক্কাও অবশ্য ঢাকাকে দেড় রান এনে দিতে পারেনি।

প্রথম পাঁচে অন্য কেউই ২০ রান করতে পারেননি, উল্টো ১০০ এর নিচের স্ট্রাইকরেটে বল নষ্ট করেছেন। ১২তম ওভারে নামা অধিনায়ক নাসির হোসেনই শুধু ২২ বলে ২৯ রান করেছেন। ৩ ওভারে মাত্র ১৩ রান দিয়ে ১ উইকেট পেয়েছেন মেহেদী। শেষ দিকে উসমানের তোপের মুখে পড়ে ৪ ওভারে ৪৯ রান দিয়ে উইকেটশূন্য ছিলেন হারিস রউফ।