জাতীয় সংসদের ঠাকুরগাঁও-৩ আসনের উপনির্বাচনের আনুষ্ঠানিক প্রচারণা শেষ করেছেন প্রার্থীরা। প্রতীক বরাদ্দ পাওয়ার পর থেকে সোমবার নির্বাচনী প্রচারণার শেষ দিন পর্যন্ত কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। রিটার্নিং কর্মকর্তাসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছেও কোনো প্রার্থী কোনো অভিযোগ দেননি। এই আসনে শান্তিপূর্ণ ভোট নিয়ে কোনো ধরনের শঙ্কা দেখছেন না প্রার্থী বা ভোটারদের কেউই। নির্বাচনের ছয় প্রার্থীর প্রত্যেকেই জয়ের ব্যাপারে আশাবাদ জানিয়েছেন।
দেশের আরও পাঁচটি সংসদীয় আসনের পাশাপাশি ঠাকুরগাঁও-৩ আসনেও ১ ফেব্রুয়ারি উপনির্বাচনের ভোট নেয়া হবে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম)। রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় বলছে, সুষ্ঠু ভোট আয়োজনে তারা সম্পূর্ণ প্রস্তুত।
নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে হবে জানিয়ে রংপুর আঞ্চলিক রিটার্নিং কর্মকর্তা জি এম সাহাতাব উদ্দীন বলেন, ‘ভোটাররা যেন নির্বিঘ্নে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট দিতে পারেন এই পরিবেশ আমরা তৈরি করতে পেরেছি। এখন পর্যন্ত নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন হয়নি। কোনো অভিযোগ নেই। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সব ধরনের নাশকতা ঠেকাতে প্রস্তুত। ভোটাররা ভোটকেন্দ্রে আসবেন এবং শান্তিপূর্ণভাবে ভোট দেবেন।’
ঠাকুরগাঁওয়ের এই আসনে মোট ৩ লাখ ২৪ হাজার ৭৪১ জন ভোট ১৩৮টি কেন্দ্রে ভোট দেবেন। এর মধ্যে ৭২টি কেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ, যদিও নির্বাচন কমিশন এই কেন্দ্রগুলোকে ঝুঁকিপূর্ণ না বলে গুরুত্বপূর্ণ বলে অভিহিত করছে।
এই আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ছয় প্রার্থী। দলীয় প্রার্থীরা হলেন ওয়ার্কার্স পার্টির ইয়াসিন আলী (হাতুড়ি), জাতীয় পার্টির হাফিজ উদ্দীন আহমেদ (লাঙ্গল), জাকের পার্টির এমদাদুল হক (গোলাপ ফুল), বাংলাদেশ ন্যাশনাল পিপলস পার্টির সাফি আল আসাদ (আম), বাংলাদেশ ন্যাশনাল ফ্রন্টের (বিএনএফ) সিরাজুল ইসলাম (টেলিভিশন)। এই আসনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ কোনো প্রার্থীকে মনোনয়ন দেয়নি। একতারা প্রতীক নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী গোপাল চন্দ্র রায় দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে ‘বিদ্রোহী’ হিসেবে ভোট করছেন এই আসনে।
এদিকে ভোট বর্জন করা বিএনপির স্থানীয় নেতারা এই উপনির্বাচনকে প্রহসনের নির্বাচন হিসেবে অভিহিত করছেন। ভোটাররা ভোটকেন্দ্রে না গিয়ে সরকার পতনে বিএনপির যুগপৎ আন্দোলনে শামিল হবেন বলে প্রত্যাশা তাদের। জেলা বিএনপির সভাপতি তৈমুর রহমান বলেন, ‘এ নির্বাচন আমরা মানি না। আমাদের এখন একটাই সংগ্রাম, একটাই দাবি- তা হলো তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন করে জনগণের ভোটাধিকার ফিরিয়ে দেয়া।’
১৯৮/সি, তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮
©দৈনিক বাংলা