বগুড়ায় মাকে হত্যার দায়ে আবু বক্কর (৩০) নামে এক যুবককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে আসামিকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেন বিচারক। অনাদায়ে আসামিকে আরও ৬ মাসের সশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
রোববার দুপুর পৌনে ১টার দিকে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক হাবিবা মণ্ডল এই রায় দেন।
রায় ঘোষণার সময় আসামি আবু বক্কর উপস্থিত ছিলেন। আবু বক্কর বগুড়ার ধুনট উপজেলার শৈলমারি গ্রামের বাসিন্দা। তার মায়ের নাম আলতাফুন্নেছা।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এপিপি নাছিমুল করিম হলি জানান, ২০১৫ সালের ১২ অক্টোবর রাতে ভাত খাওয়া নিয়ে তর্কের জেরে আলতাফুন্নেছার মাথায় আঘাত করেন ছেলে আবু বক্কর। এতে গুরুতর আহত হওয়ায় তাকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পরের দিন মারা যান বক্করের মা। পরে এ ঘটনায় বক্করের বড় ভাই শাহ আলম বাদী হয়ে মামলা করেন। মামলা ওই বছরের ১৬ অক্টোবর গ্রেপ্তার হন আবু বক্কর। তখন থেকেই জেল হাজতে ছিলেন তিনি।
মামলার এজাহার থেকে জানা গেছে, ঘটনার দিন আবু বক্কর নেশাগ্রস্ত ছিলেন। সেদিন রাতে নেশা করে এসে বাড়িতে ভাত খেতে বসেন তিনি। কিন্তু মা আলতাফুন্নেছা ভাত না দিয়ে আবু বক্করকে নিজে নিয়ে খেতে বলেন। এতেই উত্তেজিত হয়ে তর্কবিতর্ক শুরু করেন আবু বক্কর। এরই এক পর্যায়ে মায়ের মাথায় ইউক্যালিপ্টাসের ডাল দিয়ে আঘাত করেন। এতে আহত হয়ে পরের দিন হাসপাতালে মারা যান আলতাফুন্নেছা। মামলায় তদন্তের পর ২০১৬ সালের ২৯ ফেব্রুয়ারি চার্জশিট দেয় পুলিশ।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী বলেন, রোববার এই মামলায় আবু বক্করকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়ে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন। রায় ঘোষণার পর আবু বক্করকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
১৯৮/সি, তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮
©দৈনিক বাংলা