আপডেট : ৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ১৭:৩৬
টেলিস্কোপের ছবিতে আচমকা ঢুকে গেল গ্রহাণু
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

টেলিস্কোপের ছবিতে আচমকা ঢুকে গেল গ্রহাণু

শিল্পীর চোখে নতুন আবিষ্কৃত গ্রহাণু। ছবি: নাসা

সৃষ্টির শুরুর দিকের অনেক নক্ষত্রের ছবি তুলে হইচই ফেলে দিয়েছে জেমস ওয়েব টেলিস্কোপ। সে তুলনায় নতুন আবিষ্কার একরকম নস্যি।

দৈবক্রমে অজানা এক গ্রহাণুর ছবি উঠেছে ইনফ্রারেড টেলিস্কোপটিতে। আকারে ছোটই বলতে হয়, বড়জোর রোমের কলোসিয়ামের সমান। তবু সেটাকে গুরুত্বপূর্ণ বলছেন জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা।

সিএনএন জানিয়েছে, গ্রহাণুটি শনাক্ত করে ইউরোপীয় জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের একটি দল। দৈর্ঘ্যে সেটি ১০০ থেকে ২০০ মিটারের মধ্যে, অবস্থান মঙ্গল ও বৃহস্পতি গ্রহের মাঝের মূল গ্রহাণু বলয়ে। সৌরজগতের সিংহভাগ গ্রহাণুর অবস্থান ডোনাট আকৃতির এই গ্রহাণু বলয়ে।

মূল বলয়ে পাওয়া গ্রহাণুগুলোর মধ্যে নতুনটি সম্ভবত সবচেয়ে ছোট। আকারে এত ছোট আর আলোহীন মহাজাগতিক বস্তু পর্যবেক্ষণ অত্যন্ত কঠিন। তবে ভবিষ্যতে এই আকারের গ্রহাণুগুলো জেমস ওয়েব টেলিস্কোপে শনাক্ত করা যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

জেমস ওয়েবের গবেষক দল টেলিস্কোপের মিড-ইনফ্রারেড ইনস্ট্রুমেন্ট (এমআরআরআই) মূল গ্রহাণু বলয়ে ফোকাস করার সময় দৈবক্রমে গ্রহাণুটি শনাক্ত করে। বলয়টি ১৯৯৮ সালে প্রথম খুঁজে পাওয়া যায়।

গ্রহাণুগুলোর সৃষ্টি সৌরজগৎ গঠনের সময়েই। এ পর্যন্ত ১১ লাখের বেশি গ্রহাণুর অবস্থান শনাক্ত করেছেন জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা। অনেকগুলো এখনও শনাক্ত হয়নি। নতুন গ্রহাণুটির আবিষ্কারে ধারণা করা হচ্ছে, আগে এড়িয়ে যাওয়া অনেক গ্রহাণু শনাক্ত হতে পারে জেমস ওয়েব টেলিস্কোপে।