আজ দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে আগে ব্যাট করে ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১৩২ করে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। রান তাড়ায় নেমে ৭ উইকেট ও ২৪ বল হাতে রেখে জয় পেয়েছে রংপুর রাইডার্স। এতে ১১ ম্যাচে ১৬ পয়েন্ট তাদের। হার দিয়ে টুর্নামেন্ট শেষ করল চট্টগ্রাম।
রংপুরের জয়ে কোয়ালিফায়ারের দৌড় থেকে ছিটকে গেল সাকিব আল হাসানের ফরচুন বরিশাল। শেষ ম্যাচ জিতলেও আর সেরা দুইয়ে থাকা হচ্ছে না তাদের। লিগ পর্বে নিজেদের শেষ ম্যাচে পরশু মুখোমুখি হবে রংপুর-কুমিল্লা। এই ম্যাচের জয়ী দল সিলেট স্ট্রাইকার্সের সঙ্গে শীর্ষ দুইয়ে থেকে কোয়ালিফায়ার খেলবে। যে দল হারবে তারা বরিশালের সঙ্গে এলিমিনেটর ম্যাচ খেলবে।
এদিন টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে দলকে ভালো সূচনা এনে দিতে পারেননি চট্টগ্রামের দুই ওপেনার ম্যাক্স ও'ডোড ও মেহেদী মারুফ। সুবিধা করতে পারেননি উসমান খানও। পাওয়ার প্লের ৬ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে ৩৯ রান তোলে চট্টগ্রাম। ব্যর্থতার বৃত্ত ভাঙতে পারেননি আফিফ হোসেন। ৮ বলে ১৫ রান করেন তিনি। খানিক পর বিদায় নেন ৩ রান করা ক্যাম্ফার।
৫৯ রানে ৫ উইকেট হারানোর পর ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক জিয়াউর রহমান ও পাঁচে নামা তৌফিক খান তুষার দলকে এক শর পথে নেন। ২৬ বলে ২৮ রান করেন তুষার। জিয়ার ব্যাট থেকে আসে ২৫ বলে ৩৩ রান। শেষ দিকের ব্যাটসম্যানদের চেষ্টায় ১৩২ রানে থামে চট্টগ্রাম। ২টি করে উইকেট নেন রাকিবুল ও হারিস রউফ।
লক্ষ্য টপকাতে নেমে দলকে উড়ন্ত সূচনা এনে দেন দুই ওপেনার নাঈম শেখ ও রনি তালুকদার। ৪ ওভার ৩ বলের জুটিতে আসে ৩৮ রান। নাঈম ১২ বলে ২০ রানে ফিরলে ভাঙে এই জুটি। সঙ্গী হারালেও রহমানউল্লাহ গুরবাজকে নিয়ে রানের চাকা সচল রাখেন রনি। তাদের ব্যাটে ৫০ পার করে রংপুর।
অষ্টম ওভারে রনিকে বিদায় করেন জিয়াউর। ২৮ বলে ২৭ রান করে এই ওপেনার ফিরলেও ক্রিজে নেমে গুরবাজের সঙ্গে জুটি বাঁধেন নুরুল হাসান। অর্ধশতকের কাছে গিয়ে গুরবাজ আউট হন ৪৬ রানে।
উইকেটে এসে নিহাদুজ্জমানের প্রথম বলেই হাঁকান ছক্কা হাঁকান টম কোহলার। পরের ওভারের প্রথম বলে মেহেদী হাসান রানাকে ছক্কায় ওড়ান সোহান। এই জুটিতে আর পেছনে তাকায়নি রংপুর। সোহানের ১৫ ও কোহলার ২০ রানে ৬ উইকেটের জয় পায় ২০১৭ চ্যাম্পিয়নরা।
১৯৮/সি, তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮
©দৈনিক বাংলা