আপডেট : ৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ১৫:৩৬
স্ত্রীকে পুড়িয়ে হত্যায় স্বামীর মৃত্যুদণ্ড
প্রতিনিধি, কিশোরগঞ্জ

স্ত্রীকে পুড়িয়ে হত্যায় স্বামীর মৃত্যুদণ্ড

ছবি: দৈনিক বাংলা

কিশোরগঞ্জের সদরে যৌতুক না পেয়ে স্ত্রীকে পুড়িয়ে হত্যা মামলায় মামুন মিয়া নামের এক ব্যক্তিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার দুপুরে কিশোরগঞ্জের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল-১ আদালতের বিচারক মুহাম্মদ হাবিবুল্লাহ এ রায় দেন। রায় ঘোষণাকালে আসামি মামুন আদালতে অনুপস্থিত ছিলেন।

কিশোরগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১-এর স্পেশাল পিপি অ্যাডভোকেট এম এ আফজল এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

মামলার এজাহার থেকে জানা গেছে, সদর উপজেলার গাগলাইল এলাকার বাসিন্দা মৃত মতি মিয়ার ছেলে মামুন মিয়া তারাপাশা এলাকার বাসিন্দা মিনার আলম খানের মেয়ে নন্দিনীকে প্রেম করে বিয়ে করেন। এর কিছুদিন পর থেকে মামুন নন্দিনীকে যৌতুকের দাবিতে নির্যাতন শুরু করেন। নন্দিনী নির্যাতনের কথা তার মাকে জানায়। পরে তার মা গোপনে মামুনকে কিছু টাকা দেয়। কিছুদিন পর মামুন আবারও নন্দিনীকে তার বাবার বাড়ি থেকে পঞ্চাশ হাজার টাকা এনে দিতে চাপ দেন। নন্দিনী টাকা এনে দিতে পারবে না বলে জানালে মামুন শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন শুরু করেন।

এরপর ২০১৩ সালের ২০ এপ্রিল মামুন তারাপাশার দিদার মিয়ার ভাড়া বাসায় স্ত্রী নন্দিনীর কাছে আবারও পঞ্চাশ হাজার টাকা যৌতুক দাবি করেন। এ সময় নন্দিনী টাকা এনে দিতে অস্বীকার করলে তাকে মারধর করে শরীরে কেরোসিন ঢেলে আগুন লাগিয়ে পালিয়ে যান মামুন। পরে প্রতিবেশীরা নন্দিনীকে গুরুতর অবস্থায় উদ্ধার করে কিশোরগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে ভির্তি করে। সেখানে তার অবস্থা অবনতি হলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। ঘটনার পাঁচ দিন পর ওই বছরের ২৫ এপ্রিল সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

এ ঘটনায় নন্দিনীর বাবা মিনার আলম খান বাদী হয়ে মামুনকে আসামি করে মামলা করেন। মামলাটির তদন্ত শেষে ওই বছরের ১২ সেপ্টেম্বর কিশোরগঞ্জ সদর মডেল থানার তৎকালীন উপপরিদর্শক (এসআই) মো. ফজলুল হক আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। দীর্ঘ শুনানি শেষে আদালত আজ এ মামলার রায় ঘোষণা করেন।