চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) আন্দোলনরত চারুকলা ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা ও কর্তব্যরত সাংবাদিকদের হেনস্তার ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। শনিবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার মাহবুব হারুন চৌধুরীর স্বাক্ষর করা এক অফিস আদেশে এ তথ্য জানানো হয়।
তিন সদস্যের এই কমিটির আহ্বায়ক খালেদা জিয়া হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম সোহেল, সদস্যসচিব সহকারী প্রক্টর মোহাম্মদ আহসানুল কবীর ও সদস্য হিসেবে আছেন সোহরাওয়ার্দী হলের প্রভোস্ট শিপক কৃষ্ণ দেবনাথ। এই কমিটিকে পৃথক দুই ঘটনার অভিযোগ আমলে নিয়ে তদন্ত প্রতিবেদন পেশ করতে বলা হয়েছে।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার চারুকলাকে মূল ক্যাম্পাসে স্থানান্তরের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের বাধা দেয়া ও হামলার অভিযোগ ওঠে শাখা ছাত্রলীগের উপগ্রুপ ভিএক্স (ভার্সিটি এক্সপ্রেস) ও বিএমের (বাংলার মুখ) কর্মীদের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ওই দিন দুপুরে প্রক্টর বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন চারুকলার আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।
ওই সময় পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে দৈনিক সমকালের বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি মারজান আকতার, আরটিভির ফটো সাংবাদিক এমরাউল কায়েস মিঠুসহ বেশ কয়েকজন সংবাদকর্মী ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের হাতে হেনস্তার শিকার হন। আন্দোলনের বাধা দেয়ার ঘটনা ভিডিও চিত্র ধারণ করার সময় ছাত্রলীগের কর্মীরা মারজান আক্তারের মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করেছিলেন বলে অভিযোগ করেন তিনি। এ ঘটনায় শাখা ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতা-কর্মীর নাম উল্লেখ করে লিখিত অভিযোগ দেয় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি (চবিসাস)।
সাংবাদিক হেনস্তার ঘটনায় অভিযুক্তরা হলেন ভিএক্স গ্রুপের অনুসারী ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মারুফ ইসলাম, সমাজতত্ত্ব বিভাগের ২০১৫-১৬ সেশনের শিক্ষার্থী মারুফ হাসান, বাংলা বিভাগের ২০১৮-১৯ সেশনের শিক্ষার্থী তৌহিদুল হক ফাহাদ, একই সেশনের রাজনীতি বিজ্ঞান বিভাগের শহীদুর রহমান স্বপন, ইতিহাস বিভাগের ২০১৯-২০ সেশনের শিক্ষার্থী মিজানুর রহমানসহ আরও ১০-১৫ জন।
১৯৮/সি, তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮
©দৈনিক বাংলা