আপডেট : ১২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ২২:৫১
আইনমন্ত্রীর হাতে সাত্তারের মাইক
প্রতিনিধি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া

আইনমন্ত্রীর হাতে সাত্তারের মাইক

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন সংসদ সদস্য উকিল আবদুস সাত্তার ভূইয়া। ছবি: দৈনিক বাংলা

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে আইনমন্ত্রীর সঙ্গে এক মঞ্চে উপস্থিত হন বিএনপির দলছুট নেতা এবং সরাইল-আশুগঞ্জ আসনের সংসদ সদস্য আবদুস সাত্তার ভূঞা। সেখানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেয়ার সময় প্রায় ৩০ সেকেন্ড তার মাইক্রোফোন ধরে রাখেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। শেষে ‘বাংলাদেশে জিন্দাবাদ’ বলে বক্তব্য শেষ করেন আবদুস সাত্তার।

সম্প্রতি ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের আধুনিকায়ন করেন সদ্য বিদায়ী কমিটির সভাপতি রিয়াজ উদ্দিন ও সাধারণ সম্পাদক জাবেদ রহিনের নেতৃত্বে আগের কার্যকরী কমিটির সদস্যরা।

রোববার প্রেসক্লাবের নতুন অভিযাত্রায় শুভ উদ্বোধন উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব। বেলা পৌনে ১২টার দিকে প্রেসক্লাবে যান আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। তিনি ফিতা কেটে প্রেসক্লাবের উদ্ধোধন করেন। বেলা সোয় ১২টা থেকে দুপুর দুইটা পর্যন্ত প্রেসক্লাব সংলগ্ন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের ডরমেটরিতে আয়োজিত আলোচনাসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি রিয়াজ উদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন সদর-বিজয়নগর আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী, সরাইল-আশুগঞ্জ আসনের সংসদ সদস্য উকিল আবদুস সাত্তার ভূইয়া, সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য উম্মে ফাতেমা নাজমা বেগম, জেলা প্রশাসক মো. শাহগীর আলম, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের আল মামুন সরকার, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন।

অনুষ্ঠানে বক্তব্যের সময় আবদুস সাত্তার মুখ থেকে সামান্য দূরে মাইক্রোফোন ধরেন। এজন্য তার বক্তব্য স্পষ্ট শোনা যাচ্ছিল না। অবশ্য সে সময় তার শরীর কাঁপছিল। তিনি অনেকদিন ধরেই অসুস্থ। সেসময় পাশে বসা আইনমন্ত্রী আনিসুল হক নিজ হাতে তার মাইক্রোফোন ধরে মুখের কাছে নিয়ে যান। প্রায় ৩০ সেকেন্ড আবদুস সাত্তারের মাইক্রোফোন ধরে রাখেন আনিসুল হক।

আবদুস সাত্তার ভূঞা বলেন, উপস্থিত প্রধান অতিথি আইনমন্ত্রীসহ এখানে যারা উপস্থিত হয়েছেন, সকলকে আমি আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই। ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবে আগেও গিয়েছি। আজকে যে অবস্থানে গিয়েছে, আগে তেমন ছিল না। আপনারা যত কিছুই বলেন, আমার দৃষ্টিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব আস্তে আস্তে অনেক উন্নত হয়েছে। ভবিষ্যতে আরও উন্নত হবে। আমার শত সীমাবদ্ধতার মাঝেও যতটুকু পারি আপনাদের পাশে থাকার চেষ্টা করব।

তিনি বলেন, ‘আপনাদের দাবি-দাওয়া দেখার মালিক প্রধান অতিথি। ওনার সঙ্গেও থাকব, ওনার পাশে থাকব। যতটুকু সম্ভব সহযোগিতা করব। এই বলে আমি আমার বক্তব্য শেষ করছি। বাংলাদেশে জিন্দাবাদ।’