আপডেট : ১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ০৯:০৩
সবচেয়ে পুরোনো মমি
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

সবচেয়ে পুরোনো মমি

পিরামিড আর ইতিহাস-ঐতিহ্যের দেশ মিসর। এক পিরামিডই একে বিশ্বখ্যাত করে তুলেছে। আর পিরামিডের ভেতরের যে রহস্য, তা তো আজও অধরা।

সেই রহস্যেরই কিছু উঠে আসে কালের অন্ধকার থেকে। প্রত্নতাত্ত্বিকদের প্রাণান্ত চেষ্টায় এবার বেরিয়ে এল সোনায় মোড়ানো এক মমি।

প্রত্নতাত্ত্বিকরা বলছেন, এটি প্রায় ৪ হাজার ৩০০ বছর আগের মমি এবং সবচেয়ে পুরোনো। আর ওই ব্যক্তির নাম ছিল হেকাশেপেস।

মিসরের সাবেক পুরাকীর্তিমন্ত্রী প্রত্নতাত্ত্বিক জাহি হাওয়াস বলেন, হেকাশেপেস (৩৫) ছিলেন সে সময়ের একজন বিরাট ধনী ব্যক্তি। সাক্কারা এলাকায় প্রাচীন স্টেপ পিরামিডের কাছে মাটির ৬৬ ফুট গভীরে তারা হেকাশেপেসের কফিনটি পান। ২৫ টন ওজনের পাথরের এ কফিনের ঢাকনার ওজনই ছিল ৫ টন। যা-ই হোক, কফিনটির ভেতরে এতটা যে বিস্ময় অপেক্ষা করে ছিল, তা ভাবতে পারেনি তাদের ১০ জনের দলটি। মমিটির মাথায় ছিল ব্যান্ড আর বুকে স্বর্ণের ব্রেসলেট, যা প্রমাণ করে, তিনি একজন অত্যন্ত ধনী ব্যক্তি ছিলেন।

‘এটি একেবারে অক্ষত, সোনায় মোড়ানো আর এ পর্যন্ত পাওয়া মমিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে প্রাচীন। এটি একটি দারুণ আবিষ্কার!’ উচ্ছ্বসিত হাওয়াসের মন্তব্য।

হাওয়াস জানান, তারা দুটি সমাধিরও সন্ধান পেয়েছেন। এর মধ্যে একটি হলো রাজা উনাসের। ‍যিনি রাজত্ব করেছেলেন ২৪৯৪ থেকে ২৪৮৭ খ্রিষ্টপূর্বাব্দ পর্যন্ত। এ ছাড়া সমাধিক্ষেত্রের ফলস দরজার পেছন থেকে আরও ৯টি মূর্তি পাওয়া যায়।

এই মূর্তিগুলো থেকে বোঝা যায় যে সমাধিক্ষেত্রটি ছিল ধনী ব্যক্তিদের জন্য।

স্টেপ পিরামিড হলো প্রাচীন মিসরের সবচেয়ে পুরোনো পিরামিড। এটি তৈরি হয়েছিল ২৬৬৭ থেকে ২৬৪৮ খ্রিষ্টপূর্বাব্দে।

আর সাক্কারা প্রসঙ্গে বলতে গেলে প্রথমেই যে কথাটি বলতে হয়, তা হলো কায়রোর ৩২ কিলোমিটার দূরের একটি এলাকা, যেখানে ইতিপূর্বে অনেক প্রাচীন নিদর্শন পাওয়া গেছে। যার মধ্যে অন্যতম রাজা তেতির স্ত্রী রানি নেরিতের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া মন্দির। এটি আবিষ্কৃত হয় ২০২১-এ। ওই বছরই সেখানে রাজা রামসেস দ্বিতীয়-এর প্রধান কোষাধ্যক্ষের সমাধির খোঁজ পাওয়া যায়।

সূত্র: সিএনএন